নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিটপি

বিটপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

পাকিস্তানের মুখে উচিত লাথি দেবার জন্য অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলকে ধন্যবাদ

১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫৪

পাকিস্তান একটা দেশ - যার মধ্যে ভালো বলতে গেলে কোন কিছুই নেই। এরা শিক্ষা দীক্ষায় ভালো না, রাজনীতি সব সময় অস্থিতিশীল। মারামারি কাটাকাটি লেগে আছে। অর্থনীতির অবস্থা ভয়াবহ। আর ক্রিকেট খেলার কথা বাদ দিলে তো স্পোর্টস এর দুনিয়ায় পাকিস্তানের নামই নেই।

জয়তু ক্রিকেট। এই খেলাটা আছে বলেই পকিস্তানিরা নিজেদেরকে একটু শো অফ করার সুযোগ পায়। এই খেলার সুবাদে কিছু ভাঁড় টিকটকের কল্যাণে ভাইরাল হয়ে বিখ্যাত হয়ে গেছে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার এই যে, পাকিস্তানিরা ক্রিকেট খেলাকে কেন যেন ইবাদত বানিয়ে ফেলেছে। যে ইবাদতের কিছু আহকাম আরকান হলঃ
- সেঞ্চুরি করে সেজদা দেওয়া
- খোলা মাঠে সবার মধ্যে নামাজ পড়া
- দলে কোন বিধর্মী প্লেয়ার থাকলে তাকে একঘরে করে রাখা ইত্যাদি।

এর মধ্যে সেঞ্চুরি করে সেজদা দেওয়ার ব্যাপারটা এর এত এত পপুলার করে ফেলেছে যে আমাদের দেশের কিছু প্লেয়ারও এই ভাইরাসে কিছুদিন আক্রান্ত হয়ে ছিল। খোলা মাঠে হিন্দুদের সামনে নামাজ পরার মত চমৎকার(!) কাজ করে মনে হয় হিন্দুস্থান জয় করার মত পূণ্য করে ফেলেছে। পাকিস্তান জাতীয় দলের ইতিহাসে দুজন বিধর্মী প্লেয়ার ছিল। এদের মধ্যে দানিশ কানেরিয়ার ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়েছে সহ খেলোয়ারদের ইসলামের দাওয়াতে সাড়া না দেওয়াতে কিন্তু এরকম কমিটমেন্ট ধরে রাখতে ইউসুফ ইউহানা আর পেরে ওঠেননি। তাকে তার পৈতৃক ধর্ম বিসর্জন দিয়ে দলে টিকে থাকতে হয়েছে মোহাম্মদ ইউসুফ নাম নিয়ে।

দুনিয়াতে যত কাজ আছে, এর মধ্যে একমাত্র খেলাধুলায়ই সম্ভবত ধর্মের কোন প্রভাব নেই। কোন খেলাকেই নির্দিষ্ট করে বলা যাবেনা যে এটা ঐ ধর্মের খেলা। এতে কি হয়েছে, যে কোন খেলার একটা স্বাভাবিক সৌন্দর্য হচ্ছে এর সাম্প্রদায়কতামুক্ত বৈশিষ্ট্য। মুসলিম প্লেয়ারদের নৈপুণ্য দেখে আমরা আনন্দিত হই কিন্তু খেলাকে ধর্মীয় প্রভাব মুক্ত রাখতে পারলেই খেলার সৌন্দর্য ফুটে ওঠে এবং মানুষের কাছে তা বেশি আকর্ষণীয় হয়। ভারতীয় বোলার মোহাম্মদ শামীর উপর সাপ্রদায়িক আক্রমণ হল, তখন তার টীমমেট যেভাবে তার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে - তাতে ভারতীয় দলের প্রতি আমার শ্রদ্ধা বহুগুনে বেড়ে গেছে (আমি কিন্তু ভারতের ফ্যান নই - কেউ না বুঝে উলটাপালটা ট্যাগিং করবেন না)
কিন্তু পাকিস্তান ধর্মের নামে যেভাবে ক্রিকেটকে কলুষিত করছে, তাকে পাকিস্তানী জাত নয়, বরং ক্রিকেট খেলাটার প্রতিই আমার ভালো লাগা অনেক কমে গেছে। আইসিসির উচিত ক্রিকেটের স্বার্থেই এই ব্যাপারগুলো শক্ত হাতে হ্যান্ডেল করা।

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫৬

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: ভালো বলেছেন ।

২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:২৬

গফুর মিয়া১৯১ বলেছেন: পোষ্ট প্রথম পাতায় আসবার জন্য সামু ফিড বেক এ মেইল লিখতে পারেন

৩| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৫

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: অনেকের কাছে অপ্রিয় মনে হলেও একটি চরম সত্য বলে ফেলেছেন।
শুধু ক্রিকেটাররাই নয়, প্রবাসে আমার দেখা অনেক সাধারণ পাকিস্তানিও ঠিক এই ধরণের আচরণ করে থাকে। এদের মধ্যে ধর্ম নিয়ে যে পরিমান হিপোক্রেসি দেখা যায় তার কাছাকাছি আর কোনো জাতিকে দেখেছি বলে মনে হয় না - এর পরের স্থানে সম্ভবত পার্শ্ববর্তী দেশের দাদাবাবুরা কিছুটা পাল্লা দিতে পারেন।
ধর্মের মুলকে অন্তরে ধারণ না করে লোকদেখানো শো-অফ করার প্রবণতা এদের মধ্যে প্রকটভাবে দৃশ্যমান। সারাক্ষন আপনার সামনে ধর্ম নিয়ে লেবু চিপে তিতা করার মতো আচরণ করবে কিন্তু সেই সাথে সমানে মিথ্যা বলা ও দুই নম্বরি করার ধান্দাও সমানে চালিয়ে যাবে।

৪| ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:৫১

বিটপি বলেছেন: দাদাবাবুরাও ধর্ম নিয়ে এত হিপোক্রেসি করেনা, যতটা পাকিস্তানীরা করে। ধর্ম রক্ষার নাম করে ভারত ভেঙ্গে দু'ভাগ করে পাকিস্তানের জন্ম দিল। আর তার সাথে সাথেই মুসলমানদের বাঁশ দেওয়া শুরু করল। যে মুসলমানিত্বের নামে পাকিস্তানের জন্ম দেওয়া হল - পূর্ব পাকিস্তানের নাগরিকেরাও যে সেই মুসলমানের জাত - সেটা একেবারেই ভুলে গেল। তখন ভারতীয় দাদাবাবুদের মতই তারা জাত পাত নিয়ে নর্তন কুর্দন শুরু করল।

আপনি কোন পাকিস্তানির সাথে মিশেছেন কিনা জানিনা - তবে এই জাতটা ধর্ম নিয়ে যে পরিমাণ হিপোক্রেসি করে - অন্য কোন দেশের মানুষই তা করেনা। মদ খেয়ে মাতলামি করে আবার তখন নামাজের সময় হয়ে গেলে লোক দেখানো নামাজ পড়ে। এদের হিপোক্রেসির সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত হল সেঞ্চুরি করে সেজদা দেয়া। নামাজের সময় চলে যায়, খেয়াল থাকেনা - আর সেঞ্চুরি বাগিয়ে সিজদায় পড়ে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.