নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিটপি

বিটপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

যাদের মুক্তিযোদ্ধা হবার শখ জেগেছে ......

০৯ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:২২

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নামে একটি তত্ত্ব কে বা কারা আবিষ্কার করেছে, যার মূল থীম হচ্ছে - যারা আওয়ামী লীগকে এবং কেবল মাত্র আওয়ামী লীগকে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি হিসেবে মেনে নেবেনা, তারা সবাই আসলে স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। অনেকটা জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং স্টার ওয়ার্সের ডার্থ ভেডারের সেই বিখ্যাত উক্তির মত - If you are not with me, you are my enemy....

তাদের এই ধারণা প্রতিষ্ঠিত করার পক্ষে কোন যুক্তি নেই, আছে কেবল বুক ভর্তি আবেগ। আবেগ আর আবেগ। আবেগে ডুবে গিয়ে এমন সব কথাবার্তা বলে বেড়ায়, যা শুনে হাসবো না আবেগে কাইন্দালাইবো - বুঝি না। এমন একটি আবেগীয় উক্তি হল - ইস! জন্ম যদি হোত মাগো একাত্তরের আগে, অস্ত্র কাঁধে যুদ্ধে যেতাম দারুণ ভাবাবেগে।

আসলেই, মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তান ও নাতিপুতিদেরকে এমন ঝুড়িভর্তি সুযোগ সুবিধা দেখে কার না লোভ লাগে। আমার বাবার উপর মাঝে মাঝে খুব রাগ লাগত, কেন ১৭ বছরের টগবগে যুবক হওয়া সত্ত্বেও বাবা মুক্তিযুদ্ধে গেলনা! তাহলে আজকে গর্ব করে বুক ফুলিয়ে বলতে পারতাম - আমি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান!

অনেক চেতনাধারী তাই শখ করে, যদি টাইম ট্রাভেল করা যেত! তাহলে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হবার আনন্দে শরীক হওয়া যেত। কিন্তু আপনারা কি মনে করেন? ব্যাপারটা কি এতই সোজা? হুমায়ূন আহমেদের লেখা জোছনা ও জননীর গল্প পড়ে মনে হয় যুদ্ধ একটা এ্যাডভেঞ্চার। মুক্তিযোদ্ধারা জাস্ট হাসি তামাশা করতে করতে দেশ স্বাধীন করে ফেলেছে। তার পরিচালিত যুদ্ধের ছবি শ্যামল ছায়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের যে অপারেশন দেখা গেল, তাতে মনেই হলনা তারা প্রবল প্রাক্রমশালী কোন সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে। কয়েকটা গ্রেনেড ছুঁড়ে আর মেশিনগান চার্জ করেই খেল খতম করে ফেলেছে।

এত মজার যুদ্ধ করে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব পাবার শখ কার না হয়? তাইতো চেতনাধারীরা একটা মুক্তিযুদ্ধ করে সন্তুষ্ট নয়, তারা বিরানী খেয়ে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ করতে চায়, সেই মুক্তিযুদ্ধে আবার শহীদও হয় (চেঁচাতে চেঁচাতে মারা যাওয়া কার্টুনিস্ট শান্তকেও শহীদ আখ্যা দেয়া হয়)। এরা কেউই আসলে যুদ্ধের ভয়াবহতা সম্পর্কে বিন্দুমাত্র অবগত নয়। কারো মাথাতেই যে নিতান্ত বাধ্য না হলে কেউ বউ সন্তানকে অনশ্চিত পরিবেশে ছেড়ে দিয়ে অজানার পথ পাড়ি দিতে চায়না।

এই ছবিটি দেখে আমি চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি। হয়তো সেদিন বেশি দূরে নয় যেদিন আমার বউকে এই মেয়েটির মত বাধভাঙ্গা চোখের জলে আমাকে বিদায় দিতে হবে। আমার অনাগত সন্তানকে কোলে নিয়ে আমিও এই যুবকটির মত সেদিন কান্নায় ভেঙে পড়ব। তখন কেমন কষ্ট হবে আমার? কি চলতে থাকবে আমার স্ত্রীর মনে? আমার সন্তানটিকে নিয়ে কোন অনিশ্চয়তার পথ ধরবে সে? আমার আজকে রাতে বোধ হয় ঘুম হবেনা

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩৪

সোনাগাজী বলেছেন:



মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে নিজেদের মতো থাকতে দেন, ইহা জাতির এক জেনারেশনের বিশাল অবদানের ইতিহাস, যা অনেকের জন্য পছন্দের ব্যাপার নয়।

০৯ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩৮

বিটপি বলেছেন: আমি মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করি। আজকে যে পরিচয়ে আমি মানুষের কাছে পরিচিত, তা তাদের অসামান্য অবদান। আমি কেবল বলতে চেয়েছি তারা হাসি ঠাট্টা তামাশা করে দেশ স্বাধীন করেনি। এটা এক শ্রেণীর বলদ বুঝেনা বলেই মুক্তিযোদ্ধা হবার শখ করে।

২| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৩৮

নাহিদ ২০১৯ বলেছেন: এখনকার সময়ের সবাই বড় বড় যোদ্ধা,রাজপথের সৈনিক। আমরা আসলেই ৭১ এর যুদ্ধের পরিস্থিতি অনুধাবন করতে পারিনা। স্বাধীনতার মাত্র ৫০ বছরেই ৭ কোটির মধ্যে মাত্র আড়াই লাখ বীর যোদ্ধাদের ত্যাগকে আমরা অবজ্ঞার নজরে দেখা শুরু করেছি।আমাদের সত্যিকারের বীরেরা কবরে যাচ্ছে এক বুক হতাশা আর অবজ্ঞা নিয়ে।লজ্জা আমাদের যে এই ভূখণ্ড তাঁদের যথাযথ সম্মান দিতে পারল না।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১০:৪৪

জুল ভার্ন বলেছেন: হতাশা একটি চরম মানসিক ব্যাধি, এটি নিজের প্রতি জুলুম ছাড়া আর কিছুই নয়- তবুও হতাশ হতে হয়।

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:০১

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কালে কালে আর কত কি দেখতে হবে। কবে আবার শুনতে পাই-আগামীলীগ মানেই মুক্তিযোদ্ধা সে যে প্রজন্মেরই হোক।

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:২১

প্রতিদিন বাংলা বলেছেন: শখ নয়, পেশা এখন মুক্তিযোদ্ধা শব্দটি
যে পেশায় মৃত্যুর পরেও আয় বাড়তে থাকে

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৩৭

বিটপি বলেছেন: আমি এখানে একটা কন্ট্রোভার্সিয়াল টপিক নিয়ে লিখেছি। সবাই এখানে খোলামেলাভাবে মন্তব্য করবেন - এটা আমার প্রত্যাশা। কিন্তু সবাই যদি আমার সাথে একমত হন, তাহলে আমি রিপ্লাই দিতে খুব একটা উৎসাহ পাবোনা। আমি চাই এই কথিত চেতনার পক্ষে আছেন, তাদের দুই একজন আমাকে কাউন্টার করুন। তাতে আলোচনা বা বিতর্ক জমে উঠবে। আমি কথা দিচ্ছি কোন আক্রমণাত্মক মন্তব্য করব না। আমার পোস্টে কোন ভুল কিছু বলে থাকলে সেটা ধরিয়ে দিলেও কৃতজ্ঞ থাকব।

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ সকাল ১১:৪৯

বাকপ্রবাস বলেছেন: একাত্তরের পরে জনম লইয়া মুক্তিযোদ্ধা হবার ও আনজাম আছে শুতরাং আক্ষেপের কোন কারন নাই

৮| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ১২:১৪

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: অনেক চেতনাধারী তাই শখ করে, যদি টাইম ট্রাভেল করা যেত! তাহলে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হবার আনন্দে শরীক হওয়া যেত।
কেউ কেউ কিন্তু করছেন। একবার শুনতে পেলাম বয়স হিসেবে যার ১৯৭১-এ মায়ের গর্ভে থাকার কথা তার কাছেও মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট আছে।

৯| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ দুপুর ২:২০

রাজীব নুর বলেছেন: দুষ্টদের হাতে ক্ষমতা গেলে তা ভয়াবহ হয়।

১০| ০৯ ই মার্চ, ২০২২ বিকাল ৪:৫০

নীল আকাশ বলেছেন: এখন দেশে যেই পরিমানে মুক্তিযুদ্ধার সংখা পাওয়া যায়, তাতে এরা যদি সবাই যুদ্ধ করতো, তাহলে ডিসেম্বর না জুন জুলাই মাসেই দেশ স্বাধীন হয়ে যেত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.