নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিটপি

বিটপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

রোজা রাখার অপকারিতা

০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১:৪৭

মাআহে রমজানের প্রায় এক তৃতীয়াংশ শেষ হতে চলল। এ সময়ে ব্লগ লেখার জন্য এরকম একটি টপিক নির্বাচন করা হয়তো কিছুটা অযৌক্তিক, তারপরেও সময়ের প্রয়োজনে তা করতে হল। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণে সিয়াম পালন করা ফরজ, তাই কেউ এর কোন ক্ষতিকারক দিক দেখেন না - কেবল উপকার খুঁজে বেড়ান। রোজা রাখার উপকারিতা বলে শেষ করা যাবেনা। ওজন কমায়, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে রাখে, শরীরের ক্ষতিকারক রাসায়নিক নিয়ন্ত্রণে রাখে - এগুলো শুনে আমাদের মুখস্ত হয়ে যাবার যোগাড়। কিন্তু আসলেই কি রোজা রাখার কোন ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া নেই?

১। দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকাঃ সুস্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য পুষ্টিবিদেরা আমাদেরকে অল্প করে বারবার খাবার তাগিদ দেন। কিন্তু রোজায় আমরা করি উল্টোটা। রাতে দুই বা তিনবার খাই - এর মধ্যে সেহরী এবং ইফতারে সব ঢেলে দেই। আমাদের শরীর কি এই অযাচিত চাপ নিতে সক্ষম সব সময়? তাকি এর কোন ক্ষতিকর দিক আছে?

২। দীর্ঘক্ষণ পানি পান না করাঃ শরীরের সব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ সুস্থভাবে কাজ করার জন্য পর্যাপ্ত পানি পান করা আবশ্যক। কিন্তু রোজা রাখলে আমরা ১৩/২৪ ঘন্টা শরীরে কোন পানি সাপ্লাই দেইনা, উপরন্তু এসময় মূত্রত্যাগ এবং ঘামের কারণে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়, যা সাথে সাথে পূরণ করার কোন উপায় থাকেনা। এতে কি শরীরের ক্ষতি হয়না?

৩। ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষতিঃ রমজান মাস এসে আমাদের দেশে ওয়ার্কিং আওয়ার ২/৩ ঘন্টা কমে যায় - উৎপাদনও তার ফলে হ্রাস পায়, কিন্তু কর্মীদের বেতন মজুরী কিন্তু কমানো হয়না। উপরন্তু ঈদকে সামনে রেখে উৎসব ভাতা দেবার একটা চাপ মালিকপক্ষের উপর পরে, যা অযাচিত।

৪। হোটেল রেস্তোরার ব্যবসায়ে লসঃ হোটেল রেস্তোরাগুলো তাদের আয়ের সিংহভাগ করে থাকে সকালের নাস্তা ও দুপুরের খাবারে - রমজানে যে ট্রেন্ডে ব্যাপক ধ্বস নামে। এই লস পূরণ করার জন্য তারা ইফতারের নামে ২ টাকার জিনিস ১০ টাকায় বিক্রি করে নয়তো খাদ্যে ব্যাপক ভেজাল দেয়। এভাবে অনৈতিক কর্মকান্ডে এক রকম অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়।

৫। কালোবাজারীঃ হোটেল রেস্তোরা এবং অফিসের ক্যান্টিন বন্ধ থাকায় বাড়তি চাপ পড়ে ঘরের বাজারে যে কারণে ভোগ্য পণ্যের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়। এই পরিস্থতি সামাল দিতে পাইকারদেরকে অনেকটা বাধ্য হয়েই দাম বাড়াতে হয় অথবা কালোবাজারীর আশ্রয় নিতে হয়।

৬। যানজটঃ সবাই বাসায় গিয়ে ইফতার করা এত জরুরী মনে করে যে একসাথে সবাই অফিস ত্যাগ করতে গিয়ে রাস্তায় বিশাল যানজটের সৃষ্টি হয় - এতে মানুষের মূল্যবান কর্মঘন্টা নষ্ট হয়।

৭। পরিবহণ খাতে বিশৃঙ্খলাঃ রমজানের শেষ সপ্তাহে ঢাকার বাইরে সপরিবারে যাবার কারণে পরিবহণ খাতের উপর বিশাল প্রেশার পড়ে। এই সুযোগে পরিবহণ মালিকেরা যাত্রীদেরকে ইচ্ছামত হয়রানি করে।

এগুলো কি আসলে রমজান মাসের অপকারিতা নয়? আপনাদের সুবিবেচনা প্রসূত মতামত আশা করছি।

মন্তব্য ১৯ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৯) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০২

সাজিদ! বলেছেন: আজ থেকে একশত বছর আগেও মানুষ দুই/তিন ঘন্টা পর পর খেত না। এখন আপনারা খাবারকে যেভাবে ব্যবসার উপলক্ষ বানিয়ে ফেলেছেন তাতে মানুষ মনে করছে দুই/তিন ঘন্টা পর পর না খেলে বুঝি পুষ্টি কমে গেল! কি অদ্ভুত দাবী আপনার। যে পুষ্টিবিদ বলে স্বাভাবিক মানুষের দুই/ তিন ঘন্টা পর পর খেতে হবে তার কথা শোনাটা অপরাধের মধ্যে পড়ে কারন তিনি ভুল জানেন। আপনার দাদার সময়েও দেখবেন সন্ধ্যায় শেষ খাবারটা খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তো। পরেরদিন সকালে নাস্তা করতো। এইটাও তো একটা ফাস্টিং ছিল।

ইফতার সেহেরীতে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া সেটা ধর্মের দোষ নয়। সমাজের দোষ। এখানে ধর্মকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। ১২/১৩ ঘন্টা পানি পান না করলে শরীরের বড় কোন ক্ষতি হয় না, বিজ্ঞান আবিষ্কার করতে পারে নাই। আপনি তো একে ভুল জানেন এর উপর ভুলকে সঠিক ধরে বিভ্রান্তিকর কথা ছড়াচ্ছেন।

আমাদের দোষটা সমাজের, সামাজিক রীতিনীতি মূল্যবোধের। বাইরের ইসলামিক দেশগুলোতে এমনকি অন্য ধর্ম গরিষ্ট দেশগুলোতে ধর্মীয় উৎসবের সময় দ্রব্যের মূল্য কম করা হয় কিংবা ছাড় দেওয়া হয়, বাংলাদেশে ভেজাল আর মূল্য বাড়ানো হয়, এটা দিয়ে আপনি সিদ্ধান্তে আসতে পারেন না।

বাকি পয়েন্টগুলো পড়ার রুচি নাই।

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৫১

বিটপি বলেছেন: আমি পোস্টে কোথাও ধর্মের দোষ দেইনি। রমজানে আমাদের দেশে আর্থ সামাজিক প্রেক্ষাপটে যেসব সমস্যা মানুষ দেখেও ধর্মের নামে না দেখার ভান করে, এগুলোর উপর একটু পয়েন্ট আউট করার চেষ্টা করেছি। ফাস্টিং যে শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় - এটা জেনে ভালো লাগলো। তবে দিনে ফাস্টিং এবং রাতের ফাস্টিংয়ের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ আছে। রাতে ঘুমের মধ্যে শক্তি ক্ষয় হয়না, তাই খাওয়ার প্রয়োজনও পড়েনা। কিন্তু দিনের বেলা শারীরিক পরিশ্রম করলে অবশ্যই পুষ্টির ঘাটতি হয়। সেটা কি ইফতারে একগাদা খাবার ফেললেই পূরণ হয়?

২| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০৪

সাজিদ! বলেছেন: ফাস্টিং নিয়ে একজন আমেরিকান ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্টের বিখ্যাত লেকচার শুনুন।

৩| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:১৯

অজ্ঞাতকুলশীল বলেছেন: পরিবহন ব্যবস্থা কোনকালেই হয়তো এতোটা খারাপ ছিলনা।
যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে পরিবহন খাতের অবনতি শহরের মানুষ প্রত্যক্ষ করছে।

৪| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৩১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রোজা রাখলে কারও যদি স্বাস্থ্যগত কারণে বড় কোন ঝুকি থাকে সেই ক্ষেত্রে তার জন্য আলাদা বিকল্প রাস্তা ইসলামে দেয়া আছে।

১। ১৪- ১৫ ঘণ্টা না খেয়ে থাকলে কোন সুস্থ মানুষের কোন সমস্যা হওয়ার কথা না। বরং কিছু উপকার হবে।
২। ১৪- ১৫ ঘণ্টা পানি না খেয়ে থাকার ক্ষেত্রেও উপরের ১ নং মন্তব্য প্রযোজ্য।
৩। রোজার মাসে শ্রমিকদের কাজের ক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেয়ার কথা বলা আছে। বাংলাদেশে রোজার মাসে কল কারখানায় কাজ কিছু কমলেও সেটা মানিয়ে নেয়ার মত ক্ষমতা মালিকদের আছে। মালিকদের পয়সার অভাব নাই। অনেক ক্ষেত্রে রোজার মাসে কাজ বেশী হয়। অনেক গার্মেন্টস কারখানায় রোজার মাসে সাপ্তাহিক বন্ধ কমিয়ে দেয়া হয়। ইফতারির পরে অনেক রাত পর্যন্ত কাজ করতে হয় শ্রমিকদের।
৪। পৃথিবীতে অনেক ব্যবসা আছে যেগুলিতে সিজনাল ট্রেনড থাকে। মধ্যপ্রাচ্চে ইফতারির পরে শহরের মানুষ সচল হতে শুরু করে এবং সেহরি পর্যন্ত শহরময় ঘুরে বেড়ায়, খরচ করে। আমাদের দেশেও শুনেছি অনেক দামী হোটেলে সেহেরির ব্যবস্থা আছে। ইফতারি বিক্রি করেও অনেক দামী হোটেল ভালো ব্যবসা করে। ইফতারির প্যাকেটের দাম থাকে কয়েক হাজার টাকা। তাই তাদের পুষিয়ে যাওয়ার কথা। যদিও এইভাবে অতি বিলাসী ইফতারি বাণিজ্য সমর্থন যোগ্য না।
৫। কালোবাজারি- এটা মনুষ্য সৃষ্ট সমস্যা। এটা ধর্মের নিয়মের লঙ্ঘন। এটার জন্য মানুষ দায়ী। ধর্ম দায়ী না। মধ্যপ্রাচ্চে রোজার সময় ব্যবসায়ীরা উল্টা বিভিন্ন রকমের ছাড় দিয়ে থাকেন। ফলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হয়।
৬। যানজট - এটাও মনুষ্য সৃষ্ট সমস্যা। রমজান মাসে সরকারের উচিত এই ব্যাপারে বাড়তি কোন ব্যবস্থা নেয়া। তবে যানজটের শহর ঢাকাতে এই ব্যাপারে সরকারও অসহায়। রোজাকে দোষ দিয়ে কোন লাভ নাই।
৭। পরিবহন- ইহাও মনুষ্য সৃষ্ট সমস্যা। পরিবহন খাত ভয়ংকর সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। তাছাড়া দেশের মানুষের কর্মসংস্থানের বলতে গেলে একমাত্র জায়গা ঢাকা শহর। এটার কারণ দেশের চালকরা অর্থনৈতিক পরিকল্পনায় দক্ষ না।

এগুলিকে রোজার অপকারিতা বলা ঠিক না। কারণ এই সমস্যাগুলি মানুষ সৃষ্টি করেছে। আর শুধু ঢাকা শহরের প্রেক্ষাপটে চিন্তা করলে হবে না। ঢাকা শহরকে বসবাসের অনুপযোগী করা হয়েছে ইতিমধ্যে। এটার মধ্যে রোজাকে ঢুকানোর কোন কারণ দেখি না।

হজ করতে এখন ৩ চার লাখ টাকা লাগে কম পক্ষে। তাই বলে এটাকে হজ্জের অপকারিতা বলা যাবে না। আল্লাহর কোন বিধানের অপকারিতা নাই। কারণ এই বিধান স্রষ্টা প্রদত্ত। মানুষ তার কম বুদ্ধির কারণে এবং শয়তানের ধোঁকায় পড়ে এগুলির মধ্যে সমস্যা খুঁজে বার করে। আল্লাহর হুকুম সমুহের মধ্যে অপকারিতা খুঁজতে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ না।

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:৫৬

বিটপি বলেছেন: ২। আপনি কি নিশ্চিত যে এত দীর্ঘ সময়ে পানি না খেলে আপনার কোন ক্ষতি হবেনা? ইফতারীর আগে নিজের ইউরিন কালার দেখে বলুন তো আপনার কিডনীর উপর প্রেশার পড়ছে কিনা!

৩। আমরা যারা উৎপাদনশীল কারখানায় এ সংক্রান্ত তথ্য উপাত্ত নিয়ে কাজ করি, আমরা আপনার সাথে একমত নই। পরিশ্রমের কাজে রমজান মাসের পার ডে আউটপুট প্রায় ১৫-২৫% ফল করে। ঈদে সপ্তাহব্যাপী ছুটি দেবার জন্য রমজান মাসে শুক্রবার কাজ করানো হয়, কিন্তু তাতে আউটপুট খুব বেশি বাড়েনা।

প্রতিযোগিতামূলক রপ্তানী বাজার সম্পর্কে সম্যক ধারণা থাকলে বুঝতে পারতেন কম আউটপুটের লস মানিয়ে নেয়ার ক্ষমতা মালিকদের কতখানি আছে।

৪। মধ্যপ্রাচ্যে রমাজান মাসে রাতকে দিন বানায় আর দিনে সবাই ঘুমিয়ে থাকে। আমাদের দেশে সেটা সম্ভব নয়। ইফতারীর দাম মাত্রাতিরিক্ত রাখাকে কি ইসলাম সমর্থন করে? কিন্তু দিনের বেলায় বিক্রি বন্ধের যে ক্ষতি, তা সামাল দিতে এছাড়া তো আর কোন উপায় নেই। এ ব্যাপারে ইসলামের নির্দেশনা কি? ইসলামের নামে ক্ষয়ক্ষতি মেনে নেয়া?

৫। মধ্যপ্রাচ্যে মাল কি পরিমাণ আছে, আর তার ভোক্তা কতজন? আমাদের দেশে কি সেই নয়ম খাটবে? ওরা ধনী, অরা রমজানের জন্য মালামাল প্রিজার্ভ করতে পারে। আমাদের মত গরীব দেশ কি তা পারে?

৬। রমাজান মাসের অফিস টাইম যদি স্বাভাবিক সময়ের মত হয়, তাহলে এই যানজটের নাকাল পোহাতে হয়না। কি দরকার অফিসে ফ্যানের নিচে বা এসিতে বসে যারা কাজ করে, তাদের কর্মঘন্টা কমানো?

এগুলো রোজার অপকারিতা নয়। কিন্তু রমাজান মাস এলেই আমাদের মাথায় এই ব্যাপারগুলো ব্যাপক দুশ্চিন্তার তৈরি করে। এগুলো সমাধানের আদৌ কি কোন রাস্তা আছে। রাস্তা একটাই - রমজানকে আলাদাভাবে ট্রিট না করে অন্যান্য মাসের মতই স্বাভাবিকভাবে সবকিছু চলতে দেওয়া।

মূল্যবান মতামতের জন্য ধন্যবাদ। আশা করি ভালো থাকবেন।

৫| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৪৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: তো আমরা রোজা বন্ধে একটা মানব বন্ধন করি, অন্তত প্রফাইল পিক চেঞ্জ করি? কপালে টিপ দরকার নাই

৬| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:২৯

মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: জবর মজার খবর!

৭| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৪:৩৩

জ্যাকেল বলেছেন: যারা বারবার খেয়ে অভ্যস্ত তাদের জন্য রোজা আসলেই কঠিন। কিন্তু কয়েকদিনে তা মানিয়ে নেওয়া যায়। আর সাওম আসলেই ভাল জিনিস স্বাস্থ্যের জন্য বলেই বিশ্বাস করি।

৮| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:০৪

সোবুজ বলেছেন: রোজা বা উপবাস আগেও ছিল।ইসলাম কেবল রোজাকে একটা কঠিন নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসছে।পৃথীবির সব যায়গায় সূর্যোদয় এবং সূর্যায়স্ত দেখে রোজা রাখা সম্ভব না।রোজার উপকারিতা সম্পর্কে দুই ধরনের মতবাদ আছে।একটা হলো ইসলামি মতবাদ যেটা মুসলমানরা মানে আরেকটা হলো বৈজ্ঞানিক মতবাদ যেটা মুসলমানরা মানে না।

৯| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

এত ক্ষতি মানবো না
রোজা রাখা চলবে না!

১০| ০৯ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১০:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আমি রোজা রাখি না। আমি সারা দিন না খেয়ে থাকলে আল্লাহ খুশি হবেন। এটা কেমন কথা?
আমি না খেয়ে থাকলে আল্লাহর লাভ টা কি?

১০ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৫৪

বিটপি বলেছেন: আপনি খেয়ে থাকলে বা না খেয়ে থাকলে আল্লাহ্‌র কোন লাভ-ক্ষতি কিছুই নেই। আল্লাহ চান উনি কোন আদেশ করলে আপনি তা মেনে চলেন। উনি আদেশ করেছেন সারাদিন না খেয়ে থাকতে, আপনি তা মেনে নিলে উনি খুশী হবেন, না মানলে উনি নাখোশ হবেন - এই আর কি!

১১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২২ বিকাল ৩:৪২

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
@খানসাব আপনি রোজা না রাখলে
আল্লাহর কিছু আসে যাবে না। তবে
ক্ষুধার কি যন্ত্রনা তা বোঝার জন্য
রোজা রাখুন, তা হলে বুজবেন
গরীব মানুষের কষ্ট।

১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সকাল ৮:৪৯

বিটপি বলেছেন: ক্ষুধার কি যন্ত্রনা তা বোঝার জন্য রোজা রাখার দরকার পড়েনা। জীবনে কোন না কোন সময়ে ক্ষুধার যন্ত্রণা এমনিতেই টের পাওয়া যায়। রোজায় ক্ষুধার যন্ত্রণা তেমন একটা হয়না। চিন্তা করুন তো - দুইদিন পেরিয়ে গেছে - পেটে কোন দানাপানি পড়েনি। শরীরে কোন শক্তি নেই, মাথা ঝিমঝিম করছে। মনের মধ্যে মৃত্যুচিন্তা সহ নানা রকম বদ চিন্তা উঁকি দিচ্ছে - এরকম ফ্লেভার কি রোজায় পাওয়া যায়?

১২| ১১ ই এপ্রিল, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩০

সাজিদ! বলেছেন: দিনের ফাস্টিং আর রাতের ফাস্টিং বলে কোনটার ক্ষতি কম বেশী এমন কিছু কেউ আবিষ্কার করে নি। আপনি প্রথম ব্যাক্তি হিসেবে করে ফেলুন। রাতে ঘুমের মধ্যে শক্তি ক্ষয় হয় না কই পেয়েছেন? আন্দাজি ধারণা আপনার।

১৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ২:০১

বিটপি বলেছেন: রাতে যদি আপনি পর্যাপ্ত খাদ্য ও পানি গ্রহণ করে ঘুমান, তাহলে ঘুমে যে শক্তি খরচ হয়, তা ইমেডিয়েটলি রিফিল হয়ে যায়। কিন্তু দিনের বেলা শারীরিক পরিশ্রমের কারণে যে শক্তি খরচ হয়, খাদ্য এবং বিশ্রাম ছাড়া তা পূরণ হয়না। ধন্যবাদ।

১৪| ১৩ ই এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:২২

সাজিদ! বলেছেন: রোযা রাখার অপকারিতা নিয়ে বিশদ লিখে আপনি দাবী করছেন আপনি ধর্মের বিরোধিতা করছেন না, বিষয়টা হাস্যকর। ব্লগে এখন কি আবার এসাইলামের ধান্দা শুরু হলো কিনা কে জানে, কিছু লেখা পড়ে এমনই মনে হয়। আপনি এইটা আগে জানেন, বেসিকটা, কত ঘন্টা রোযা রাখতে হয়। দিনের বেলায় শরীরে যে পরিশ্রম হয় তা সন্ধ্যার খাদ্য আর বিশ্রাম দিয়ে কিভাবে পূরণ হয়। ক্যালরি ইন আর ক্যালরি আউট কি জিনিস। মানুষের শরীর এত ফেলনা না। এটা নিজেই চমৎকারভাবে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। কিছু পড়ালেখা করুন, অবশ্যই বিষয় রিলেটেড। ব্লগে না জেনে এলোমেলো বিভ্রান্তের মতো কথা বলায় মানুষ বাহবা দিবে না। এইসব পাগলামি দেখলে গালি দিয়ে ব্লগ থেকে চলে যেতে মনে চায় মাঝে মাঝে।

১৫| ১৪ ই এপ্রিল, ২০২২ রাত ১২:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ২। রোজার কারণে সুস্থ মানুষের মুত্রের রঙ হলুদ হলে তার জন্য এত উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু দেখি না। কারও বেশী সমস্যা হলে সে রোজা রাখবে না। তবে সুস্থ মানুষের ক্ষেত্রে রোজার কারণে কিডনিতে যে চাপ পড়ে তাকে অগ্রাহ্য করা যায়। কারণ একটা সুস্থ কিডনি এই চাপ নিতে পারে। এটা বড় সমস্যা হলে দেশে রোজার কারণে লক্ষ লক্ষ লোক কিডনি সমস্যায় পতিত হতো। ইসলাম শরীরের ক্ষতি ক'রে এবাদত করতে অনুৎসাহিত করে। কোন এক সাহাবী প্রতিদিন নফল রোজা রাখতেন। এটা শুনে রসূল (সা) ওনাকে এই রকম করতে না করেছেন।
৩। একসময় রপ্তানি সেক্টরে ছিলাম কয়েক বছর। তাই কিছু খবর জানা আছে। রমজান মাসে উৎপাদনশীলতা অবশ্যই কিছুটা কমে। আপনার যুক্তি মানতে গেলে অফিসকালীন সময়ে নামাজ পড়ার অনুমতিও দেয়া উচিত না। কারণ নামাজ পড়ার সময়ে কাজ করলে দেশের সার্বিক উৎপাদনশীলতা আরও বৃদ্ধি পাবে। কাজেই দিনের বেলা নামাজ পড়াও অপকারী বলে মনে হতে পারে। কিন্তু আপনাকে মানতে হবে ইহকালে কিছু ছাড় দিয়ে তবেই ধার্মিকরা পরকালে কিছু পায়। শুধু ইহজাগতিক লাভ চিন্তা করলে আপনার যুক্তি ঠিক আছে। কিন্তু মুসলমানরা পরকালের লাভের জন্যও সময় ও শ্রম দিয়ে থাকে। অবিশ্বাসীদের কাছে এই পুরো সময় ও শ্রম হোল অপচয় ছাড়া আর কিছু না। কিন্তু মুসলমানরা এই ক্ষুদ্র ছাড়ের বিনিময়ে আখেরাতে অনেক গুণ পাওয়ার আশা করে। কাজেই এটার সাথে বিশ্বাস জড়িত। একজন ওয়ার্ক স্টাডি এক্সিকিউটিভের কাছে এটা অপকারিতা মনে হলেও পরকালকে হিসাবে নিলে এই সামান্য ত্যাগ মালিক বা শ্রমিক উভয়ের জন্য কল্যাণকর।
৪। রমজান মাসের তুলনায় রমজান ছাড়া অন্যান্য মাসে একটা জনগোষ্ঠী কি বেশী খাবার খায়। খায় না। ধরতে গেলে একই পরিমান খাবার খায়। এমনকি রমজান মাসে বেশিও খেতে পারে। কাজেই প্রকৃতপক্ষে একটা জনগোষ্ঠীতে রমজান মাসে খাদ্য দ্রব্যের ব্যবহার একই থাকে। তাই রমজানে রেস্তোরা ও মুদি ব্যবসায়ীদের মোট লাভ কমে যাওয়ার কথা না। রমজানে রেস্তোরা ব্যবসায়ীরা লাভ কম করে কিন্তু রমজানে মুদি ব্যবসায়ীদের বিক্রি বেড়ে যায়। কারণ মানুষ রমজানে বাসায় বেশী খায়। ফলে ব্যবসায়ীদের মোট লাভ একই থাকে। শুধু হাত বদল হয়। আমরা যদি ইফতারিতে বাড়াবাড়ি না করি সেই ক্ষেত্রে একটা পরিবারের রমজান ও অন্যান্য মাসের খাদ্য খরচ একই থাকার কথা ( যদি না মূল্য কৃত্রিমভাবে বৃদ্ধি না করা হয়)। এই ধরণের মজুতদারির মুনাফা ইসলাম অনুমোদন দেয় না।
৫। আমাদের দেশে কিছু বড় বড় গ্রুপ এবং সিন্ডিকেটের কারসাজীর কারণে রমজান মাসে নিত্যপণ্যের দাম আকাশে উঠে থাকে। এখানে ব্যবসায়ীদের সামর্থ্য কোন ব্যাপার না এবং এই সিন্ডিকেট গ্রুপ অধিক লাভ করার জন্য এই জুলুম করে থাকে। এরা অনেক ধনীও বটে। তারা সৎ থাকলে আমাদের দেশেও রমজানে খাদ্য দ্রব্যে ছাড় দেয়া সম্ভব। কিন্তু এই রাঘববোয়ালরা কোন ছাড় দিতে রাজি না। উল্টা কিভাবে জনগণকে নিংড়ে পকেট থেকে টাকা বের করবে এই ধান্ধায় থাকে। দেশের খাদ্য ব্যবসায়ীরা অন্যান্য মাসের চেয়ে রমজান মাসে অবৈধভাবে বেশী মুনাফা করে থাকে। এটা বন্ধ হলেই আমাদের দেশেও রমজানে দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এমনকি ছাড় দেয়া সম্ভব।
৬। যানজট কমানোর জন্য অফিস সময়ের পুনর্বিন্যাস করা যেতে পারে রমজান মাসে। তবে যানজটের সমস্যাকে রোজার অপকারিতা হিসাবে গণ্য করার কোন কারণ দেখি না। দেশের বড় জোর ৫% থেকে ১০% লোক এই সমস্যায় পড়ে।
আপনি শুধু ঢাকা বা চিটাগাং শহরকে মাথায় রেখে যানজটের কথা আলোচনা করেছেন। ফলে ৯০% লোক যানজটের সমস্যায় পড়ে না রমজান মাসে।

সর্বোপরি বলা যায় যে ত্যাগের বিনিময়েই একজন ধার্মিক মুসলমান ইহকাল ও পরকালে ভালো কিছু অর্জন করে থাকে। এটার সাথে বিশ্বাসও জড়িত। তাই পার্থিব দৃষ্টিতে এগুলিকে রোজার অপকারিতা মনে হলেও আসলে এগুলি অপকারিতা না। কারণ ধার্মিকের ক্ষেত্রেও নো পেইন নো গেইন। রসূল (সা) ও তাঁর সাহাবীরা পরকালে ভালো কিছু পাওয়ার আশায় ইবাদতের পিছনে অনেক সময় ও শ্রম দিতেন। ইসলামের যে কোন আমলের প্রতিদান হিসাব করতে হলে পরকালের প্রাপ্তির কথাও মাথায় রাখতে হবে। যদিও অবিশ্বাসীদের কাছে মুসলমানদের এই সকল সময় ও শ্রম অর্থহীন।

আপনার সাথে একমত যে আমরা রমজানকে বিশেষভাবে পালন করতে গিয়ে অনেক ক্ষতিকর কাজ করে থাকি। রসুলের (সা) জমানায় এই বাড়াবাড়ি ছিল না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.