নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিটপি

বিটপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কোরবানীর অপকারিতা

০৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:২৫

কোরবাণী ইসলামে একটি অত্যাবশ্যকীয় বিধান। পবিত্র কুরআনে কোথাও পশু কুরবাণী করার ব্যাপারে নামাজ রোজার মত সরাসরি আদেশ করা হয়নি তাই এটিকে হানাফি মাজহাব অনুযায়ী ফরজ বলে ধরা হয়না। কিন্তু অন্যান্য আয়াতে এর গুরুত্ব এত বেশি বর্ণনা করা হয়েছে যে অন্যান্য মাযহাবে এটিকে ফরজ হলে স্বীকৃতি দেয়া হয়। তাই বিশ্বজুড়ে মুসলিমগণ জিলহজ মাস এলেই ঝাঁপিয়ে পড়ে কোরবানির পশু সংগ্রহ এবং তা কোরবানি করার জন্য। বিশ্বের অন্য মুসলিম দেশগুলোতে দেশে এটি উম্মাদনার পর্যায়ে না গেলেও বাংলাদেশে এটি নিয়ে রীতিমত উৎসব শুরু হয়ে যায়। যাদের সামর্থ্য নেই, তারাও লোন করা শুরু করে নিজেদের অর্থহীন প্রেস্টিজ ধরে রাখার জন্য। কোরবাণীর ঋণ শোধ করার জন্য পরবর্তীতে তাদের পরিবারের সাধ আহ্লাদ জলাঞ্জলি দিতে হয়।



এই অর্থহীন উম্মাদনা নিয়ে কেউ যে কথা বলবে, এমন সাহসও এই কপালপোড়া দেশে কোন মুমিন মুসলিমের নেই। কেউ এ নিয়ে কথা বলতে গেলেই সীমাহীন ট্রলের শিকার হয়। তথাকথিত সংস্কৃতির ধারক ও বাহকেরা তাকে কাফের বানিয়ে দিতেও দ্বিধা করেনা। কিন্তু এ নিয়ে কথা তো বলতেই হবে কাউকে না কাউকে - নইলে সত্য তো চাপা পড়েই থাকবে।

১। প্রথমতঃ কুরবানির ঈদ আসে রোজার ঈদের মাত্র ২ মাস পর। রোজার ঈদে পকেটের উপর যে অত্যাচার হয়, তার রেশ কাটাতে না কাটাতেই আরেক ঈদ এসে যায়। এই ঈদের খরচ আগের ঈদের চেয়েও কয়েকগূণ বেশি।

২। কোরবানীর পশুর যে চাহিদা থাকে, সরবরাহ সাধারণ তার চেয়ে কম হয়ে থাকে। এই হাটে আনা খুব কম গরু সম্পর্কেই নিশ্চিতভাবে বলা যাবে যে এইসব প্রাণীর শরীরে ক্ষতিকারক কোন উপাদান নেই। বিষক্রিয়াই এখন স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

৩। হাটে কোরবাণীর পশু কেনা বেচার সাধারণত কোন রেকর্ড থাকেনা। তাই অনেকটা নিশ্চিতভাবেই বলা চলে অবৈধ অর্থের একটা বড় অংশের লেনদেন এইসব হাটেই হয়ে থাকে।

৪। কোরবানির হাটে পশু আনা নেওয়া, বেচাকেনা ও পশু জবাই নিয়ে যে ধরণের নিষ্ঠুরতা চলে, তা অমানবিক। এ নিয়ে অনেক লেখালেখি হলেও ধর্মের উছিলায় যেন সব জায়েজ - এরকম ভাব ধরে এড়িয়ে যাওয়া হয়।

৫। যত্রতত্র রাস্তাঘাটে কোরবানী দেবার ফলে জনস্বাস্থ্যের উপর ব্যাপকভাবে বিরূপ প্রভাব পড়ে। সিটি কর্পোরেশন এজন্য আলাদা স্লটার প্লেসের ব্যবস্থা করে দিলেও জনগণ তাতে সাড়া দেবার কোন প্রয়োজন অনুভব করেনা।

৬। কোরবানীর পশুর মাংস বিতরণের সময় চরম অব্যবস্থাপনা লক্ষ্য করা হয়। এ সময় কাড়াকাড়িতে আহত নিহত হবার ঘটনাও ঘটে।

৭। কোরবানী গরীবের মাংস খাবার সুযোগ করে দেয় - এরকম প্রচারণা চালানো হলেও প্রকৃত সত্য হল এইসব গরীবেরা খুব কমই রান্না করে খায়। বেশিরভাগই এরা সংগ্রহ করা মাংস বিক্রি করে দেয়। হোটেল মালিকেরা এসব মাংস অর্ধেক দামে কিনে নিয়ে ফ্রিজে রেখে এগুলোই সারা বছর ধরে কাস্টমারদেরকে খাওয়ায়। কোরবানি বলে কিছু না থাকলে হয়তো এ জাতীয় অনৈতিকতা মানুষের মধ্যে আসার সুযোগ পেতোনা।

৮। কোরবানীর পশু বেচাকেনাকে কেন্দ্র করে ব্যাঙ্কের ভল্ট প্রায় খালি হয়ে যায়। এ সময়ে ব্যাঙ্কের তারল্যের ঘাটতি দেখা দেয়, যার নেতিবাচক প্রভাব অর্থনীতিতে পড়ে। কল মানির নামে মহাজনী সুদপ্রথার ব্যাপক বিস্তার ঘটে।

৯। কোরবানী প্রান্তিক অর্থনীতির জন্য লাভজনক বলে প্রচার করা হলেই আসলে এই ব্যবসা খুবই ঝুকিপূর্ণ এবং অনেকেই এরকম ব্যবসা করে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়।

১০। একটা ওয়াজিব ইবাদতের এত গুরুত্ব দেয়ার ফলে ফরজ ইবাদতগুলো প্রয়োজনীয় গুরুত্ব হারায়।

সবাই ভালো থাকবেন। ঈদ মোবারক!

মন্তব্য ২৫ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:১৩

লিংকন১১৫ বলেছেন: কোন দিন সুনিনাই কেউ লোণ করে কুরবানি দেয়,
আর কেউ যদি দেয় ও সে আবাল ছাড়া কিছু নয়।
কুরবানি লোক দেখানোর জন্য না ,
যার সামর্থ্য আছে একমাত্র সেই দিবে,

তবে আমরা বাঙ্গালীরা এটাকে একটা প্রতিযোগিতা হিসাবে দেখি অনেকে,
কার থেকে কে বড় গরু বা অন্য কিছু কিনবে ।

০৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৪৮

বিটপি বলেছেন: আমার কাছ থেকে একজন গত পরশু হাজার দশেক টাকা লোন নিয়েছে তার কোম্পানি এবার বোনাস দেয়নি, তাই। ২০১৮ সালেও আমি এই পারপাসে আরেক মহিলাকে লোন দিয়েছিলাম তার নিসাব পরিমাণ সোনাদানা আছে, কিন্তু নগদ টাকা তেমন ছিলনা। সে বছর গরু খুব সস্তা ছিল, তাই কোরবাণীর সুযোগ মিস করতে চায়নি।

২| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:৫০

বাংলার এয়ানা বলেছেন: আবোল তাবোল বলার লিমিট থাকা দরকার।

০৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:০১

বিটপি বলেছেন: তো জনাব, আমি কোথায় কোথায় লিমিট ক্রস করেছি, তা জানতে পারি কি?

৩| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:১২

নতুন বলেছেন: আমাদের দেশের ভন্ড মানুষেরা সব কিছুতেই লোক দেখানোর চেস্টা করে।

কিন্তু এতে অর্থনৈতিক ভাবে মানুষ কিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়? এটা আমাদের দেশের ব্যবসার জন্য অনেক ভালো একটা ইভেন্ট।

আগে গরু ভারত থেকে আসতো এখন দেশেই গরুর খামার হয়েছে এবং অনেক বেকার খামার করে ভালো আছে।

সারা বছর গরুর গোস্ত খেয়ে ঢেকুর তুলে কুরবানীর সময় গরুর প্রতি অমানবিক আচরন করা হচ্চে বলা তো আরেক ভন্ডামী।

আমি কখনো শুনিনাই যে কেউ লোন নিয়ে গরু ছাগল কুরবানি করেছে। তাই ধনীরাই কুরবানি কুরবানির জন্য ২০হাজার থেকে লাখ টাকা খরচ করবে এবং সেটা বাজারে গিয়ে সব ব্যবসায়ীর হাতে ঘুরবে। অর্থনিতির চাকা আরো সচল হবে।

লোক দেখানো ধর্মীয় কাজ আমাদের দেশে একটা বৈশিস্ট হয়ে যাচ্ছে। এটার মুল কারন ভন্ডমাী।

কিন্তু আমার মনে হয় ইদের মানুষের খরচের খারাপ ইফেক্টের চেয়ে অর্থনৈতিক উপকারিতা বেশি। যদি এই কেনা কাটায় আমদানী না বড়ে তবে ক্ষতি কি?

০৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১১:০২

বিটপি বলেছেন: ধনীদের লোক দেখানো নিয়ে আমার কোন কথা নেই। আমার চুলকানি নিম্ন মধ্যবিত্তের ইগো আর সো কল্ড স্ট্যাটাস মেন্টেনেন্স নিয়ে। সামর্থ্য থাউক বা না থাকুক - স্ট্যাটাস রক্ষার জন্য এই গ্রুপের কোরবাণী দেওয়া চাইই চাই। কুরবাণী বলে কোন উৎসব না থাকলেও আমাদের দেশে গরুর মাংস বলে একটা ইন্ডাস্ট্রি ঠিকই থাকত। তাই আমি মনে করি, কুরবাণী বাংলাদেশের জিডিপিতে খুব বেশি একটা অবদান রাখেনা।

আমি গরুর গোস্ত মোটামুটিভাবে বর্জন করে চলি। কোন জায়গায় দাওয়াতে গেলে আমি গরুর গোস্ত, রূপচাঁদা মাছ আর চিংড়ি - এই তিনটি অতি বিলাসী খাদ্য ছুঁয়েও দেখিনা। তবে ধর্মীয় বিধি বিধানের প্রতি সম্মান রেখেই প্রতি বছর সামর্থ্য অনুযায়ী গরু কোরবাণী দেই। তবে ঈদের দিন ছাড়া অন্য কোন দিন সেই গরুর মাংস আমি খাইনা।

অর্থনীতির উপকার হয় - এটা আপনার মনে হতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়।

৪| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কামাল৮০ বলেছেন: নবী ইব্রাহীম তার কোন ছেলেকে কোরবানী করতে চেয়ে ছিলো।তার নিজের স্ত্রীর ছেলেকে নাকি দাসীর ছেলেকে।তখন লোক কত নিষ্ঠুর ছিল।স্বপ্ন দেখে বাচ্চা ছেলেকে জবাই করতে নিয়ে যায়।স্বপ্ন তো স্বপ্নই।সেটা যেই দেখুক।সেটা আবার আমরা অন্ধের মতো পালন করি।

০৯ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ৮:১৭

বিটপি বলেছেন: নবী ইবরাহীম (আ) তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী হাজেরার ছেলেকে কোরবানী করতে চাননি। আল্লাহ উনাকে আদেশ করেছিলেন তাঁর সবচেয়ে প্রিয় বস্তুকে কোরবানী করতে। তিনি ভেবে দেখলেন যে তাঁর একমাত্র সন্তানের চেয়ে প্রিয় আর কিছুই নেই। তাই তাকেই কোরবানী দিতে নিয়ে গেলেন। তিনি মোটেই নিষ্ঠুর ছিলেন না। তাঁর বুক ফেটে যাচ্ছিল এই পরীক্ষা দিতে। নবী রাসূলের পক্ষে আল্লাহ্‌র আদেশ অমান্য করার সুযোগ নেই। তিনি তাঁর ছেলেকে যখন আল্লাহ্‌র আদেশ সম্পর্কে জানান, তাঁর ছেলেও তাকে উত্তর দেয় "আপনি আমাকে ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন"

নবী রাসূলদের স্বপ্ন স্বপ্নই নয়। তাদের স্বপ্নও এক ধরণের ওহী। এর মাধ্যমে আল্লাহ্‌র আদেশ আসে, যা তারা পালন করতে বাধ্য।

৫| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৮:৪৮

জ্যাকেল বলেছেন: আপনার বর্ণিত ১ নং পয়েন্ট ইনভ্যালিড। গরু কোরবানী কেবল স্বচ্ছল লোকদের জন্য ওয়াজিব। আপনি যদি জাতে ওটিবার আশায় কোরবানি করেন তবে ইহা কেবল রিয়া (লোক দেখানো এবাদাত হবে এর সওয়াব হবে না ~ বিতর্ক আছে যদিওবা)।
বরং ভন্ডতা থেকে মুক্ত (ফলে অভাবী হিসাবে পরিচিত) এমন লোকদের জন্য কয়েক বাড়ি থেকে গোশত পাঠাই দেওয়া হইবে। প্রোটিন এর চাহিদা পূরণ থেকে শুরু করে আল্লাহর শোকর আদায় করার চরম এক সুযোগ তাদের জন্য আসবে যাহা কেবল মাত্র আল্লাহর অনুগত জনগণ/মানুষদের জন্যই উপলদ্ধি করা সম্ভব।
কোরবানীকে আপনে দোষ না দিয়ে প্রশাসন/সরকারকে দোষ দিতে পারেন নিম্নলিখিত পয়েন্ট গুলোতে-

২। বিষক্রিয়া/খারাপ ওষুধের সাহায্যে(লাভ বেশির আশায়) গরু পালন করা হলে।

৩। হাটে পশু বিকি কিনি হইলে অবশ্যই রশিদ লাগে, আমি এই ব্যাপারে হাটের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে অনেক তৎপর জ্ঞান সম্পন্ন বলিয়াই পাইয়াছি। তারপরেও অসৎ উপায়ে ক্র‍য় বিক্র‍য় হইলে ইহার জন্য আপনে কোরবানী পদ্ধতিটাকে দায়ী করতে পারেন না। ইহা যেন ঘরে আগুন লেগেছে তাই আগুনেরই দোষ। কে ভুল করেছে তার দোষ নাই এমন হইয়া গেল।

৪। সেইম কথা প্রযোজ্য, অমানবিক উপায়ে হরদম গরু কেনা বেচা হয়। শুধু কোরবানীর দোষ খুঁজতে গেলে তো আপনাকে ইসলাম/কোরবানী বিদ্বেষি বলতে হই।

৫। এর জন্য ডিসিসি/কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন, এই ব্যর্থতার দায়ভার শুধুই তাহাদের+কোরবানী দেওয়া দ্বায়িত্বজ্ঞানহীন কিছু লোকের।

৬। এইগুলা তো যেকোন দান/বিতরণে হয়। তাই বলে কি আপনি দান/বিতরণ সবকিছুর বিরোধি?

৭। এই জিনিসটা ১ নম্বরে আলাপ করেছি। আপনার অভিযোগ অসত্য এবং এক্সেপশান কে এক্সাম্পল হিসাবে নেওয়ার কায়দা আছে।

৮। এই জিনিস তো আগে কখনোই শুনি নাই যে শুধু পশু কিনতে গিয়ে মানুষ ব্যাংক খালি করে ফেলে। হাঃ হাঃ হাঃ ভাল জোক।

৯। এইগুলা নিয়া আপনে জানেন না। যদি লাভ না-ই হইতো তবে আমি প্রতিবছর কয়েক লাখ টাকা ইনভেস্ট করতে দেখি বেশ খানেক লোককে। ইহাদের অবস্থাও স্বচ্ছল, দালাল পেশা খুব বুদ্ধিমান লোকের পেশা। ভুদাই মার্কা লোক এখানে আসিলে লস তো খাবেই, যে কোন জায়গায়ই খাবে।

১০। একমাত্র এই অভিযোগ ভ্যালিড মনে হল।

০৯ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:০১

বিটপি বলেছেন: সঠিক বলেছেন কিন্তু আপনার আশা পূর্ণ করার মত, ভাল জিনিস থেকে উপকার বের করার মত যোগ্য লোকের অভাব দুনিয়া জুড়েই।

২। সরকারের পক্ষে সম্ভব নয় খামারে খামারে নিয়ে বিষক্রিয়া মনিটরিং করা। মানুষ পয়সা দিয়ে বিষ কিনে খেতে চাইলে সরকারের কিছু করার নেই।

৩। রশিদে নাম থাকে, কিন্তু উহা অবৈধ লেনদেন নিরূপনে কোন কাজে আসেনা।

৫। ডিসিসি তাদের কাজ ঠিকই করে, কিন্তু মানুষ তাদের ভালো উদ্যোগে সাড়া দেয়না। সরকার তো আর মানুষকে বাধ্য করতে পারেনা - পাছে ইসলাম বিদ্বেষী ট্যাগ লেগে যায়, এই ভয়ে।

৬। যে কোন দান বিতরণে হয়না। আমরা গ্রামে দেড়শো মানুষের মধ্যে বিতরণ করেছি। সকালে নাম ঠিকানা লিখে সিরিয়াল নাম্বারের টিকেট দিয়েছি। বিকেলে সেই টিকেট ফেরত নিয়ে সবার হাতে এক কেজি করে মাংস দিয়েছি। কোন সমস্যা হয়নি।

৭। এই অভিযোগ আসত্য - এটা এত জোর দিয়ে কিভাবে বলছেন? এই নিয়ে টিভি প্রতিবেদন হয়েছে।

৮। কল মানি ইন্টারেস্ট বলে কোন কিছু শুনেছেন? এটা কেন হয়? কেবল কোরবানীর ঈদেই কেন কল মানির প্রয়োজন হয়?

৯। যে কোন ব্যবসায়েই লাভ ক্ষতি থাকে। তাই এই ব্যবসাতেও আছে - এটা অস্বীকার করার কিছু নেই।

১০। কেন ভ্যালিড একটু ব্যখ্যা করবেন? একটা ওয়াজিব ইবাদত কি এতটা গুরুত্ব পাবার যোগ্য ?

৬| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:১১

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
আপনি লিখেছেন -
""পবিত্র কুরআনে কোথাও পশু কুরবাণী করার ব্যাপারে নামাজ রোজার মত সরাসরি আদেশ করা হয়নি তাই এটিকে হানাফি মাজহাব অনুযায়ী ফরজ বলে ধরা হয়না। কিন্তু অন্যান্য আয়াতে এর গুরুত্ব এত বেশি বর্ণনা করা হয়েছে যে অন্যান্য মাযহাবে এটিকে ফরজ হলে স্বীকৃতি দেয়া হয়। ""

আমি যতদূর জানি, হানাফি মাজহাব কোরবানী ওয়াজিব বিবেচনা করে। কিন্তু অন্যান্য মাজহাব কোরবানীকে সুন্নত বা সুন্নতে মোয়াক্কাদা মনে করে। সম্ভতো ফরজ কেউ মনে করে না। (তবে আমার জানায় ভুলও থাকতে পারে।)

০৯ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৩:৩০

বিটপি বলেছেন: অন্য কোন দেশে বা জাতিতে কুরবানীকে এত গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়না - আমাদের দেশে তো এই নিয়ে রীতিমত উম্মাদনা চলে।

এই দেশে নামাজের সময় মসজিদে এলাকার ২% মুসুল্লিও খুঁজে পাওয়া যায়না। কিন্তু যেসব ইবাদতের তেমন কোন গুরুত্ব নেই, সেগুলোতে মানুষের অসীম উৎসাহ।

আপনার জানায় ভুল নেই।

৭| ০৭ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হানাফি মাজহাবে কোরবানি ওয়াজিব। বাকি তিন মাজহাবে সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

আল্লাহ বা তার রসুলের (সা) কোন আদেশ, নিষেধ, উপদেশ বা কর্মকে অপকারী বলা একটা গুনার কাজ।

আপনি যে অপকারের কথা বলেছেন সেগুলি মানুষের সৃষ্টি। আবার কিছু ব্যাপার আপনার দৃষ্টিতে অপকারী মনে হলেও আসলে অপকারী না। এটা আপনার ব্যক্তিগত মতামত। আল্লাহ এবং আল্লাহর রসুলের (সা) দিক নির্দেশনার সমালোচনা করা বুদ্ধিমানের কাজ না।

০৯ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:০২

বিটপি বলেছেন: আল্লাহ বা তার রসুলের (সা) কোন আদেশ, নিষেধ, উপদেশ বা কর্মকে অপকারী বলা একটা গুনার কাজ।
আপনি কি এমন কোন সত্যি কথা বলতে পারবেন, যেটা বললে গুনাহ হয়? আমি যদি মিথ্যা, অসত্য বা ভুল বলে থাকি, সেটা ধরিয়ে দিন।

আপনার মন্তব্যের দ্বিতীয় অংশের সাথে আমি আংশিকভাবে একমত, পুরোপুরি না। আমি আমার পুরো পোস্টের কোথাও আল্লাহ বা রাসূলের (স) দিক নির্দেশনার সমালোচনা করিনি। যা বলেছি এগুলো হল ঔষধের সাইড এফেক্ট। যেকোন ঔষধ খাবার আগে তাঁর সাইড ইফেক্ট সম্পর্কে অবগত হয়ে নিলে উপকার ছাড়া অপকার কিছু হয়না।

৮| ০৮ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৩:৩৩

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আপনি দেশের মানুষ নিয়ে আর পশুর প্রতি যে দরদ
দেখালেন তার এক ভাগও যদি আল্লার উপর থাকতো
তা হলে এমন হিসাব নিকাশ করতেন না।
ইসলাম বলে নাই কেউ লোন করে কোরবানী
করো। যার সামর্থ্য আছে সে কোরবানী দিবে
আল্লাহর ও রসুলের (সা) নির্দেশনার সমালোচনা
করা গোমরাহীর বহিঃপ্রকাশ।
সামর্থ্য না থাকলে দিবেনা। যারা লোক দেখানো
কোরবানী দেয় তাদের শুধু গোস্ত খাওয়া ই হয়
কোরবানী হয়না।

১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ৯:২৮

বিটপি বলেছেন: আপনার প্রতিটি বক্তব্যর সাথে আমি একমত। আল্লাহর প্রতি আমার বিন্দুমাত্র কন দরদ নেই, আছে কৃতজ্ঞতা ও আনুগত্য। আমি মনে করি আমার জন্য এটাই উপযুক্ত।

ইসলাম কি বলেছে কি বলেনাই তা আমার ব্লগের বিষয়বস্তু না - মানুষ তার অপব্যখ্যা বা অপব্যবহার কিভাবে করছে এবং তার নেতিবাচক প্রভাব কোথায় কোথায় পড়ে, সে বিষয় তুলে ধরাই আমার উদ্দেশ্য।

৯| ০৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৪৪

তানভির জুমার বলেছেন: গতকাল হাটে অনেক গরু দেখেছি এবং আজকে ব্লগে আরেকটি গরু পোস্ট দিয়েছে দেখলাম ।

১০ ই জুলাই, ২০২২ রাত ১০:২১

বিটপি বলেছেন: এসব গরুর কাছ থেকে আপনার অনেক কিছু শেখার আছে

১০| ০৮ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১১:৩৫

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: ০১্। বাংলাদেশের লোকের কোন উৎসবের জন্য বেশী টাকা খরচ করে ফেলে। যার জন্য পকেট ঠান্ডা হয়ে যার। এর জন্য ঈদ কে দোষ দিতে পারেন না।

০২। আমি হাটে গরু ক্রয় করার চেয়ে, খামারে গুর কেনা বেচার পক্ষে। কারন এক মাত্র খামারীরা সঠিক ভাবে গরু পরিচর্া করতে পারে।

০৩। খামারীদের কাছ থেকে গরু ত্রয় করলে অবৈধ গরুর ভয় থাকে না।

০৪। গরু কে যেভাবে ঠেলা-ঠেলি করে নেওয়া হয় আবার হাটে যেভাবে গরু রাখা হয় এটা গরুর জন্য কষ্ট ধায়ক। তাই খামার থেকে গরু কেনা ভালো।

০৫। যত্র তত্র গরুর হাট বসে। এটা প্রশাসনের ব্যার্থতা। এটা ধর্মের দোষ না।

০৬। নিয়ম হচ্ছে যারা কুরবানী দেয় তারা গরিবের বাসায় গিয়ে দিয়ে আসা। আমরা কয়জনে এই নিয়ম মানি।

০৭। কুরবানীর গোস্ত গরিবদের মাঝে বন্টন কারার নিয়ম। তাদের বাসায় ফ্রিজ না থাকলে তো তারা গোস্ত বিক্রি করবেই। তাছাড়া এই গোস্ত বিক্রি করলে যদি তাদের কিছু টাকা আয় হয় তাতে দোষ কি?

০৮। গরু কেনা জন্য ব্যাংকের টাকা নাই হয়ে যায়? বরং এই কুরবানী ঈদ কে কেন্দ্র করে বিদেশীরা টাকা পাঠায়। দেশে ডলার আসে। আবার মনে করেন কুরবানীর টাকা সংগ্রহের জন্য মানুষ টাকা ইনকাম করে। যা জিডিপি তে অবদান রাখে। গরু পরিবহন করার জন্য যানবাহন শ্রম দেয়। এখানেও টাকার স্রোত বয়। এই টাকা স্রোত ঘুরে ফিরে আবার সেই বোল্ট এ চলে আসে।

০৯।

১১| ০৮ ই জুলাই, ২০২২ বিকাল ৫:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার সাথে আমি একমত।

১২| ০৮ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৭

ফাহিম রুবেল বলেছেন: জ্ঞান অর্জন করা খুবই জরুরী। আপনার আরো বেশি স্টাডি করা দরকার এই ব্যাপারে।
১। এত গরু কোরবানী হবে মাত্র কয়েকদিন পরেই আমাকে গরুর চাহিদায় প্রভাব পড়ে কিনা দেখাইয়েন।
২। কোরবানির ব্যাপারে কোরআনে উল্লেখ আছে।
৩। যখন অন্য দেশে রেস্টুরেন্ট বা মাংসের জন্য গরুকে নির্মমভাবে মেরে অথবা জীবন্ত অবস্থায় যন্ত্রণা দিয়ে মাংস ছাড়ানো হয় তখন? এই ইন্টারনেটের যুগে একটু খুঁজে দেখেন মিথ্যা বলছি কিনা পেয়ে যাবেন।
৪। আর যদি বলেন পশু হত্যা তাহলে অন্যরা কি করে? এই পৃথিবীতে কাওকে বাঁচতে হলে অন্য কোন জীবনকে মারতেই হবে। কাওকে না মারলে অন্য কেউ বাচতে পারবে না এটাই নিয়ম। এই ধরেন এই একটি মাছের জীবন অথবা একটি গাছ/পাতা না মারলে আপনার পক্ষেও বাচা সম্ভব নয় ভাই।

ধর্ম অনেক সুন্দর ও সহজ ভাই। আমরা কঠিন বানিয়ে ফেলেছি। একটা হাস্যকর (অনেকের কাছেই লাগতে পারে) উদাহরণ দিয়ে কথা শেষ করি ভাই।
ধরেন, গোসল করার সময় আগে গায়ে পানি ঢালতে বলা হয়েছে তারপর মাথায়। কি হাস্যকর শোনাচ্ছে তো? ভাইরে ধর্ম মানতে হবে না। চিকিৎসা বিজ্ঞান কি বলছে দেখেন। আগে মাথায় পানি ঢাললে রক্ত চলাচল ব্যহত হতে পারে নানা রোগের সৃষ্টি হতে পারে বলে প্রমাণ দেখিয়েছে চিকিৎসা বিজ্ঞান? এইবার মানবেন তো? তাহলে ধর্ম বললেই সেটা হাস্যকর? এরকম প্রত্যেক ব্যাপারে কারন থাকে ভাই।

আল্লাহ সবাইকে তা সুন্দর জ্ঞান কাজে লাগানোর তৌফীক দান করুক। আমিন।

১৩| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ সকাল ১০:৫৩

রানার ব্লগ বলেছেন: ইব্রাহিম তার কোন সন্তান কে কোরাবানি দিতে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং যাহাকে নেয়া হয়েছিল তাহার নাম কি??!!

১৪| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ দুপুর ১:১৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ হজরত ইব্রাহিমকে (আ) তার প্রিয় জিনিস কোরবানির কথা বলেন নি। আল্লাহ পরিষ্কারভাবে তার বড় ছেলে ইসমাইলকে জবেহ করার কথা বলেছেন। "অতঃপর তিনি যখন তার পিতার সাথে কাজ করার মত বয়সে উপনীত হলেন, তখন ইবরাহীম বললেন, হে প্রিয় বৎস! আমি স্বপ্নে দেখি যে, তোমাকে আমি যবেহ করছি(১), এখন তোমার অভিমত কি বল? তিনি বললেন, হে আমার পিতা! আপনি যা আদেশপ্ৰাপ্ত হয়েছেন তা-ই করুন। আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন।" (সুরা সাফফাত, আয়াত ১০২)

বড় ছেলে যে হজরত ইসমাইল ছিল এটা প্রমাণিত। ব্যাখ্যাটা বলছি।

১। হজরত ইসমাইল যে বড় ছেলে ছিলেন এটা ঐতিহাসিকভাবে স্বীকৃত। ইহুদি, খৃস্টান ধর্ম গ্রন্থ অনুযায়ীও হজরত ইসমাইল বড় ছেলে হিসাবে স্বীকৃত।
২। অতঃপর আমরা তাকে এক ধৈর্যশীল পুত্রের সুসংবাদ দিলাম। (সুরা সাফফাত আয়াত ১০১)।
৩। উপরে ১০২ নং আয়াতে হজরত ইসমাইল (আ) বলছেন যে 'আল্লাহর ইচ্ছায় আপনি আমাকে ধৈর্যশীল পাবেন'। অর্থাৎ কোরআনে বলা আছে যাকে কোরবানি করা হবে সে হবে ধৈর্যশীল। অর্থাৎ যাকে কোরবানি করার চেষ্টা করা হয়েছিল তার সুসংবাদের কথাই আল্লাহ বলেছেন কারণ দুই আয়াতেই তাঁকে ধৈর্যশীল বলা হয়েছে।

উপরের ২ ও ৩ পর্যালোচনা করলে বোঝা যায় যে যখন হজরত ইব্রাহীম (আ) নিঃসন্তান ছিলেন তখন আল্লাহ তাঁকে একজন ধৈর্যশীল সন্তানের সুসংবাদ দেন। ১০২ নং আয়াত থেকে বোঝা যায় ওনাকেই কোরবানি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। অর্থাৎ বড় ছেলেকে কোরবানির চেষ্টা করা হয়েছিল। বড় ছেলে যে হজরত ইসমাইল এটা নিয়ে মুসলমান, ইহুদি এবং খৃস্টানদের মধ্যে কোন দ্বন্দ্ব নেই। ঐতিহাসিক তথ্যও একই কথা বলে।

১৫| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৩৫

নতুন বলেছেন: আমি গরুর গোস্ত মোটামুটিভাবে বর্জন করে চলি। কোন জায়গায় দাওয়াতে গেলে আমি গরুর গোস্ত, রূপচাঁদা মাছ আর চিংড়ি - এই তিনটি অতি বিলাসী খাদ্য ছুঁয়েও দেখিনা। তবে ধর্মীয় বিধি বিধানের প্রতি সম্মান রেখেই প্রতি বছর সামর্থ্য অনুযায়ী গরু কোরবাণী দেই। তবে ঈদের দিন ছাড়া অন্য কোন দিন সেই গরুর মাংস আমি খাইনা।

অর্থনীতির উপকার হয় - এটা আপনার মনে হতে পারে, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়।


ডাক্তার গরুর গোস্ত নিষেধ করেছে কিন্তু মাঝে মাঝে সামনে আসলে খেয়ে ফেলি।

কিন্তু রুপচাদা আর চিংড়ি তো বাদ দেবার প্রশ্নই আসেনা। রুপদান্দা মাছ দেখলে মায়ের রুপচাদা শুটকি রান্না স্বাদের কথা মনে পড়ে যায়।

প্রন্তিক চাষী বা খামারী যদি গরু ছাগল পেলে বড় লোকের কাছে বিক্রি করে এই টাকার প্রবাহটা কি আমাদের অর্থনীতিকে কোন উপকারেই আসেনা?

১৬| ০৯ ই জুলাই, ২০২২ সন্ধ্যা ৬:৪৭

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি যা বলেছেন সেগুলি কোরবানির অপকারিতা না। এগুলি কোরবানি সংশ্লিষ্ট কিছু বাড়াবাড়ির অপকারিতা যেগুলি মানুষ তৈরি করেছে।

আর সত্যি কথাও গুনাহর কারণ হতে পারে। যেমন আপনি কারও গীবত করলেন। যদিও কথাটা সত্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.