নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিটপি

বিটপি › বিস্তারিত পোস্টঃ

বয়কট লাল সিং চাড্ডা

২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৩২


বলিউডের দুর্দিন শুরু হল মনে হয়। দর্শকেরা লাল সিং চাড্ডা বয়কট করেছে। তবে বয়কট না বলে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বললে হয়তোবা আরো পারফেক্ট হয়। প্রথম কয়েকদিন এই ছবি আশানুরূপ ব্যবসা করলেও সপ্তাহ না ঘুরতেই ইউ টার্ন নিয়ে নিল। এটা অবশ্য কেউ ভাবতে পারেনি। বলিউড আসলে মানুষের মনের কথা পড়তে পারেনা, তারা কি চায় - সেটা বুঝতে পারেনা। সেটা পারার কারণে তামিল তেলেগু চলচ্চিত্র হিট হয়, আর বলিউড ফ্লপ হয়।

ফরেস্ট গাম্প সিনেমার মাথামুন্ডু আমি কিছুই বুঝিনি। আগাগোড়া কি দেখালো বা কি মেসেজ দিলো, সেটা আমার এন্টেনায় ধরেনি। কিন্তু এটি যেহেতু ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে, তাই বুঝে নিয়েছি যে আমি কম বুঝি, তাই ভালো লাগেনি। সেই বোঝার চেষ্টা থেকেই লাল সিং চাড্ডা দেখা। কিন্তু ফলাফল একই। এই সিনেমায় নেই কোন ড্রামা, নেই কোন সাসপেন্স, কোন টুইস্ট - কি আছে যা দর্শক ধরে রাখবে, সেটাই বুঝা যায়নি। উপরুন্তু কিছু কিছু নাটকীয়তা আছে, যা বিরক্তিকর লেগেছে।

- বুলিদের তাড়া খেয়ে শারীরীক প্রতিবন্ধী ছেলেটা তার ক্র্যাচ ম্যাচ ভেঙে যে দৌড় দিল, সেটা কি স্বাভাবিক, নাকি বাস্তব?

- কেবলমাত্র প্রেমিকার 'ভাগ' শব্দ শুনে দৌড়ায়, পিস্তলের শব্দে রিএ্যাক্ট করেনা - সে আবার জাতীয়/ইন্টারন্যাশনাল ইভেন্টে কোয়ালিফাই করে কি করে?

- কেবলমাত্র ব্র্যান্ড নাম পালটে কোন ব্যবসা কি পাতাল থেকে আকাশে উঠানো যায়? প্রডাক্ট কোয়ালিটি কোন ব্যাপারই না?

ইন্ডিয়ার দর্শকেরা এখন আর এত বোকা নয় যে এসব অখাদ্য গিলবে। পিস্টার পারফেকশনিস্টের সৌজন্যে প্রথম কিছুদিন তারা গিলেছে - এরপর আর হজম না হওয়াতে ফেরত এসেছে।

কিন্তু ইন্ডিয়ার হিন্দু উগ্রবাদীদের লাভ হয়েছে। সিনেমার কোন এক দৃশ্যে এক মুসলিম সৈনিকের প্রশ্নের জবাবে সে পূজা পাঠ কেন করেনা, তার একটা উদ্ভট ব্যাখ্যা দিয়েছে। কোন ধর্মপ্রাণ হিন্দুর পক্ষে সে ব্যখ্যা গ্রহণযোগ্য হবেনা। তাই প্রতিক্রিয়া ওঠা স্বাভাবিক।

ইন্ডিয়ায় মুসলিম বিদ্বেষী সিনেমাগুলো ভালো ব্যবসা করে। অতীতে দেখা গেছে গাদার, ভীর জারা, এক থা টাইগার, সিক্রেট সুপারস্টার, পদ্মাবত, কাশ্মীর ফাইলস - এই সিনেমাগুলো হিট হয়েছে। মুসলিম বিদ্বেষী সেন্টিমেন্ট সিনেমা ব্যবসার এক চমৎকার উপাদান। পিকে ছবিটা কিছুটা হিন্দু বিদ্বেষী বলা চলে, কিন্তু আমীর খানের অভিনয় গুণে সে বিদ্বেষ অনেকখানি উৎরে যাওয়ায় ভারতীয়রা সিনেমাটি এক্সেপ্ট করতে আপত্তি জানায়নি।

কিন্তু মুসলিম নামধারী কোন অভিনেতা হিন্দু চরিত্রে অভিনয় করে যদি ডায়ালগ দেয়, "আমি পূজা করা পছন্দ করিনা" - সেটা হিন্দু ধর্মপ্রাণ মানুষের পক্ষে মেনে নেওয়ার কোন যুক্তি নেই।

আমাদের দেশে পিযুষ বন্দোপাধ্যায় নামে একজন অভিনেতা ছিল। সে বিটিভিতে মুক্তিযুদ্ধের সিনেমায় অভিনয় করত মূলত রাজাকারের চরিত্রে। সুন্নতী পোষাকে সে যখন ইয়া বড় দাঁড়ি, হাতে তসবীহ নিয়ে, মাথায় বিশাল টুপি পড়ে পাক সেনাদের পেছন পেছন ঘুরত, তখন মনে হত, কি মজা! পোশাকের অপমানও করা হল, অভিনয়ও করা হল। আমীর খানকে দেখেও সম্ভবত ভারতীয়রা সেরকম ভাবতে শুরু করেছে।



মন্তব্য ২১ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:০৮

মনিরা সুলতানা বলেছেন: খবর দেখলাম নেটফ্লিক্স ও চুক্তি বাতিল করেছে।

২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:১৬

বিটপি বলেছেন: নেটফ্লিক্স নিশ্চয়ই মুভিটা আগেই দেখেছে। এরকম রদ্দি মাল তারা বেচার জন্য চুক্তি করল কি বুঝে?

২| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:১৩

জুল ভার্ন বলেছেন: উগ্র হিন্দুবাদীদের ভয়ে দর্শকরা এই সিনেমা দেখতে যায়না।

২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:৪২

বিটপি বলেছেন: সিনেমা দেখার জন্য উগ্রবাদীরা কাউকে আক্রমণ করেছে বলে শুনিনি। এই সিনেমার আসলে এমন কোন আকর্ষ্ণ নেই, যা দেখতে মানুষ হলে যাবে।

৩| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১১:০৬

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: বলিউডের বেশ কয়েকটি ছবি বয়কটের মুখে পড়েছে।

২৫ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ১০:৫৯

বিটপি বলেছেন: কেন? বলিউডের অপরাধ কি? অথবা ঐ ছবিগুলির অপরাধ কি?

৪| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:০৪

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: উগ্রবাদীর সবকিছুই তছনছ করতে চাই, এটা তারই হয়তো ফল।

২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:২২

বিটপি বলেছেন: উগ্রবাদীরা তো কোন হুমকি দেয়নি। এই ছবিতে এমন কিছুই নেই, যা উগ্রবাদীদেরকে উস্কে দিতে পারে।

৫| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩৮

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: ফরেষ্ট গাম্প আমার পছন্দের একটা মুভি।

আমি বহু বছর মুভি দেখি না। কোন এক ভাবে সামনে এটা (লাল সিং চাড্ডা) চলে এসেছিলো, এবং এর হাকডাক এর কারণেই দেখেছি। কয়েক মিনিট দেখে যখন মনে হয়েছে যে এটা মনে হয় ফরেষ্ট গাম্পের কপি, তখন সার্চ করে দেখি তাই। এর আগে জানা ছিলো না।

বারাবরের মত রিমেক চরম বাজে কোয়ালিটির হয়েছে। বিশেষ করে আমির খানের মত নামকরা অভিনেতাকে দেখে যখন মনে হয়েছে যে সে অভিনয়ে নতুন, তখন বিরক্তি আরও বেড়েছে। বেচারা বহু কষ্ট করে মুখের মধ্যে হাস্যকর একটা ভাব ফুটাতে চেয়েছে (ফরেষ্ট গাম্পে কিন্তু এমনটা করা হয়নি), কিন্তু কিছুই পারেনি।

আপনার তুলে ধরা পয়েন্ট গুলিও মোটামুটি মেনে নেওয়ার মতই।

ভারতীয়রা যে ইংরেজি সিনেমা রিমেকে এখনও আতুর ঘরে পড়ে আছে, তার আর একটা অনন্য উদাহরণ এই মুভিটি।

২৫ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ২:৫৫

বিটপি বলেছেন: দয়া করে একটু বলবেন, ফরেস্ট গাম্প ছবিটি কেন আপনার ভালো লেগেছে অথবা মনে রাখার মত এই ছবিতে কি আছে?

আমীর খান সম্ভবত ফুরিয়ে গেছে। পিকে ছিল তার শেষ চমক।

ভারতীয়রা কি এর আগে কখনোও কোন হলিউড সিনেমা রিমেক করেছে? নাম বলুন তো দু একটার।

৬| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৫৮

জুন বলেছেন: শুধু এটাই নয় আরও অনেক ছবিই ইদানীং মুখ থুবড়ে পরছে। মানুষ বেশিরভাগ সময়ই বিনোদনের জন্য ম্যুভি দেখতে যায়। ইদানীং ভারতে ম্যুভি বলতেই পৌরাণিক কাহিনী, ধর্মীয় বিশ্বাসের উপর নির্ভরশীল ঘটনা নাহয় দেশপ্রেম। কোন কিছুই যে অতিরিক্ত ভালো না তার প্রমান এই আমির খান আর অক্ষয়ের ছবির। আর খানেরা সবাই বুড়ো হয়েছে তাদের দিয়ে একশন রোমান্স সবটাই অবিশ্বাস্য বিটপি।

২৭ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১২:৩২

বিটপি বলেছেন: হাস্যকর ভিএফএক্সের কারণে পৌরাণিক ছবি নির্মাণে ভারত অনেক পিছিয়ে আছে - যদিও বাহুবলী দেখে তা মনে হয়নি। দেশপ্রেম বলতে এরা কেবল দুর্বল পাকিস্তানের সাথে পার্ট নেওয়া বুঝে - মানুষ এখন আর খায় না। তবে এটা ঠিক, খানেরা যে বুড়ো হয়ে গেছে - এটা তারা মানতে চায়না। যে সালমান মাধুরী দিক্ষিতের নায়ক হয়েছে, সে প্রৌড় বয়েসে এসে সোনাক্ষীকে নায়িকা বানায়, সোনাক্ষীর বয়েস হয়ে গেলে আবার কচি নায়িকার দিকে ঝুঁকে - এগুলোও বোধ হয় বিচক্ষণ দর্শকদের কাছে রুচিকর লাগেনি।

আমাদের দেশেও এই কালচার আছে। আমি যখন ক্লাস ফোরে, তখন জয়া আহসানকে দেখেছি জাহিদ হাসান, আজিজুল হাকিম, আফজাল হোসেনদের নায়িকা হতে। কিছুদিন আগে বাতাস গরম করা কিছু পোশাক পড়ে ছবি তুলে পত্রিকায় আসে- সেখানে লেখা ছিল - ৩৯ বছর বয়েসেও কিশোরী জয়া। আমি তো অবাক। এই নায়িকা আমার চেয়ে মাত্র ৩ বছরের বড়? কি আশ্চর্য!

৭| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ দুপুর ১:১৮

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: নেগেটিভ মার্কেটিং এর ফলে মুসলিম জঙ্গি মৌলবাদীরা আরও বেশি করে দেখবে। নিষিদ্ধ ও বিতর্কিত যেকোনো কিছুর প্রতি মানুষের ইন্টারেস্ট বেশি।

২৬ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৬:৩৪

বিটপি বলেছেন: মুসলিমদের এত ঠ্যাকা পড়েনি যে আমির খানের উদ্ধার অভিযানে নামবে। যে ব্যাটা নিজেকে মুসলিম বলে পরিচয়ই দেয়না, তার প্রতি মুসলিমদের দরদ থাকার কি কারণ থাকতে পারে? তাছাড়া এই ছবির মধ্যে মন কিছু নেই, যা জঙ্গীদেরকে উৎসাহিত করতে পারে।

৮| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:০৫

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


বয়কট খেলা চলছে মূলত কি কারণে?

২৯ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৮:৩১

বিটপি বলেছেন: অনেকদিন আগে আমীর খান দেশের পরিস্থিতি নিয়ে আশংকা প্রকাশ করেছিলেন এবং বউ বাচ্চা নিয়ে দেশে থাকবেন নাকি অন্য কোন দেশে চলে যাবেন - এই নিয়ে দ্বিধা প্রকাশ করেছিলেন। এরকম উক্তি সাচ্চা ভারতীয়দের দেশানুভূতিতে আঘাত করেছিল।

৯| ২৪ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৩৮

রানার ব্লগ বলেছেন: ইহা বিশ্রী টাইপ কপি মুভি !!! অনেক বিরক্তিকর !!

১০| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ২:৩৮

পাঠক০০৭ বলেছেন: সামু ব্লগে একটি প্রবাদ ছিলো - ছাগুরা যতই চেষ্টা করুন, নিজেদের গন্ধ এবং চরিত্র তারা বদলাতে পারে না। এই কথাটি আবারও প্রমানিত হলো। একটা সময়ে ব্লগে ছুপা ছাগুদের খুব দুর্দিন ছিলো, পাইলেই গদাম। এখন ফাঁকে মাঠ ব্লগে, দুই চারটা ছাগল তো চরে বেড়াবেই।

১১| ২৫ শে আগস্ট, ২০২২ ভোর ৪:০৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: ছবিটা দেখা হয়নি। আমি ট্রেইলার দেখছিলাম, বেশী ভাল লাগেনি আমিরের অভিনয়। আমি অরিজিনাল মুভি দেখেছি আগেই, এরকম মুভি আরে ১০/১৫ বছর আগে রিমিক হলে হয়ত মানুষ খেত, এখন সম্ভব নয় তাছাড়া এটা সব ধরনের দর্শকের জন্য নয়, এখনকার জেনারেশন চায় ধামাকা মুভি, যেমন সাউথরা এখন করছে! একেতো ধীর গতির মুভি তার উপর আমিরের অভিনয় ততটা আহামরি কিছু নয় অন্তত অরিজিনাল মুভির সাথে তুলনা করলে! এত টাকা খরচ করে রিমিক বানানোটা আমার পছন্দ নয়, বাজারে
আসল ডানো দুধ থাকতে কে নকল দুধ কিনে খাবে!

১২| ২৬ শে আগস্ট, ২০২২ রাত ১২:৫৪

জটিল ভাই বলেছেন:
নেটফ্লিক্স নাকি অর্ধেক দামেও কিন্তে চাইছে না?

১৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১৭

ইমরোজ৭৫ বলেছেন: কি সুন্দর লেখা!!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.