![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এই সম্পর্কে ভিডিও দেখতে চাইলে আমাদের YOUTUBE চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
ইউটিউব লিংকঃ মঙ্গল গ্রহের ৫ টি অজানা রহস্য
যিশু খ্রীষ্টের জন্মের ১০০০ বছর আগে, যখন আমাদের মহান জোতির্বিজ্ঞানী দ্বারা খুজে পাওয়া এমন ৫টি জিনিস যা আমাদের তারাগুলোর চেয়ে অনেকটা অন্য রকম আচরন করছিল। গ্রীক বিজ্ঞানীরা এদের নাম রাখেন Planetes যার অর্থ হল যাত্রী। তখন অনেক এশিয়ান সভ্যতা এদের পূজা করতে শুরু করে। এদের মধ্যেই একটি গ্রহ ছিল Mars যা পূরোপুরি লাল রঙের দেখতে ছিল এবং এ জন্যই Roman God of War এর নামে রাখা হয় Mars । কিন্তু সময় চলে যায় এবং আমাদের শ্রদ্ধা এবং আমাদের জিজ্ঞাসা প্রশ্নের জন্ম দিতে থাকে। এসর প্রশ্নের জন্যই মঙ্গল গ্রহে আমাদের চেয়ে উন্নত সভ্যতা থাকতে পারে এমন গুঞ্জন উঠতে থাকে। কিন্তু ৬ আগষ্ট ২০১২ সালের পর এইসব প্রশ্ন ও কৌতুহল চাক্ষুষ প্রমানে বদলে যায়।
৬ আগষ্ট ২০১২, এই দিন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মহাকাশ গবেষনা কেন্দ্র NASA দ্বারা প্রেরীত Curiosity Rover মঙ্গল গ্রহের ভূপৃষ্ঠে অবতরন করে।এটি এক প্রকারের চলাচলকারী যানবাহন যার উদ্দেশ্য ছিল মঙ্গল গ্রহের ভূপৃষ্ঠে অবস্থান করে এর মাটি পর্যবেক্ষন এবং ছবি তুলে তা আমদের পৃথিবীতে অবস্থান করা বিজ্ঞানীদের কাছে পাঠানো। সহজ অর্থে এই যন্ত্র মঙ্গল গ্রহে অবস্থান করে এটা জানাবে যে এখানে জীবনের জন্য অনুকূল পরিবেশ আছে কি না। আর এই কৌতুহল অর্থাৎ মঙ্গল গ্রহে জীবন আছে কি না এই জিজ্ঞাসার জন্যই এর নাম রাখা হয় Curiosity । এই যন্ত্র তার কাজ অত্যন্ত দক্ষতার সাথে পালন করেছে এবং এখন ও করছে। এই যন্ত্রে ১৭ টি ক্যামেরা আছে এবং সম্পুর্ণরূপে Sensor দ্বারা নিমজ্জিত। এসব ক্যামেরা আর সেন্সরের সাহায্যে আমাদের এমন কিছু ছবি পাঠিয়েছে যা আমাদের বিশ্বাস করাতে বাধ্য করেছে যে মঙ্গল গ্রহে এলিয়েন আছে বা আগে বসবাস করতো। আজ আমরা এমন কিছু ছবিই দেখবো এবং এদের সম্পর্কে জানবো।
Number 1, Mysterious Face on Mars. সাল ১৯৭৬। viking-1 নামের একটি মহাকাশযান আমাদের মঙ্গল গ্রহকে প্রদক্ষীন করে চলে আসার সময় একটি ছবি তোলে।এই ছবিতে আমরা একটি মানুষের চেহারা পরিষ্কার ভাবে দেখতে পারি। এই ছবি পাওয়ার পর তা পৃথিবীতে এতোটা আলোরন সৃষ্টি করেছিল যে অনেক মানুষ এটাকে এলিয়েনের কবর ভাবতে থাকে যেটার শুধু আমরা মুখই দেখতে পাচ্ছি। এছারাও অনেক লোক এটাকে বিশাল কোন দেবতার মূর্তি মনে করেছিল যা মঙ্গল গ্রহে বসবাসকারী কোন মানুষ বা এলিয়েনরা বানিয়েছে। যখন এই ছবি সম্পর্কে Nasa কে জিজ্ঞাসা করা হয় তখন তারা জানায় যে তারা এই জায়গার ২য় বার পর্যবেক্ষন করেছে। আর এইবার তারা High resulation ক্যামেরার সাহায্য জানতে পেরেছে যে এটা মঙ্গল গ্রহে অবস্থিত কোন বড় পাহাড় বা উচু স্থান যা দেখতে একদম মানুষের মুখের মতো। কিন্তু আজও কিছু লোক এটাই বিশ্বাস করে যে এটা মঙ্গল গ্রহের কোন এলিয়েন সভ্যতার নিদর্শন।
Number 2, Mysterious Pyramide on Mars. বন্ধুরা যদি আমাদের পৃথিবীতে অবস্থিত পিরামিডের কথা যদি বলি তাহলে আমরা জানি যে এই পিরামিড আমাদের পুর্ববর্তী সভ্যতার মানুষেরা বানিয়েছে। কিন্তু এই ছবিতে আপনারা মঙ্গল গ্রহে অবস্থিত একটি পিরামিড দেখতে পাচ্ছেন। এই ছবিটি পাওয়ার পর আমাদের জিজ্ঞাসা আরো বেড়ে গেছে কারন এই ছবিতে যে পিরামিড দেখতে পাচ্ছেন তা দেখে মনে হচ্ছে যে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরী হয়নি বরং তা Geomatrical হিসেবেই তৈরী করা হয়েছে। আনুমানিকভাবে এর আকার একটি গাড়ির সমান হতে পারে, আবার এমন ও হতে পারে যে এই পিরামিডের শুধু উপরের অংশই আমরা দেখতে পাচ্ছি বাকি অংশ মাটির নিচে আছে। কিছু বিজ্ঞানীদের ধারনা অনুযায়ী এটা প্রাকৃতিকভাবেই তৈরী কোন বস্তু যা শুধুমাত্র আমাদের পিরামিডের মতই দেখতে। এছাড়া মাটিতে সৃষ্টি কোন বস্তুর ছায়ার ফলে এমন সৃষ্টি হতে পারে। এর পরেও কিছু লোকের ধারনা শুধুমাত্র ছায়ার দ্বারা কোন বস্তু পিরামিডের মতো দেখা সম্ভব নয়। এটি মঙ্গল গ্রহে বসবাসকারী কোন কোন উন্নত সভ্যতা দ্বারা নির্মিত হয়েছে।
Number 3, Martian Woman On Mars. আপনি যদি এমন রহস্যময় ভিডিও দেখেন তাহলে তো এই ছবি দেখেই থাকবেন। এই ছবি আসলে নিজে নিজেই একটা রহস্য। কারন এই ছবিতে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে একটি মহিলা তার একটি হাত সামনে করে বসে আছেন। কিছু লোক এই ছবি দেখার পর একে মহিলা এলিয়েন বলে ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু এই কথার কোন প্রমান কেউই দিতে পারেনি। এটাকে আমরা শুধু মানুষের আকৃতির পাথর মতো বলে পারি । কিন্তু একটা প্রশ্ন সবসমই থেকে যায়। একটি পাথর কিভাবে মানুষের আকৃতির মতো হয়। এজন্য এখনো অনেক লোক এটা মানেন যে এটা মঙ্গল গ্রহে বসবাস্কারী এলিয়েন। আপনাদের কি মনে হয়? কমেন্টে জানান।
Number 4, Mysterious Spoon On Mars. আমাদের পাঠানো রোভার দ্বারা মঙ্গল গ্রহ থেকে ২টি ছবি পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। যা দেখে আমরা এটা বলতে পারি যে পূর্বে মঙ্গল গ্রহে উন্নত সভ্যতা অবশ্যই ছিল। ১ম ছবি হচ্ছে এটি। যেখানে একটি চামচ বাতাসে ভাসছে বলে মনে হচ্ছে। আর এই ছবিতে এই চামচের নিচে এর ছায়া স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে। এখানে একটা প্রশ্ন আসে যে এই চামচ বাতাসে কিভাবে ভাসছে। এই প্রশ্নের উত্তরে Nasa জানিয়েছে যে, মঙ্গল গ্রহে কিছুক্ষন পর পরেই ঝড়ের সৃষ্টি হয়। হতে পারে যে এই ঝড়ের জন্যই এই চামচ বাতাসে উড়েছে এবং সেই সময়ই রোভার এই ছবিটি নিয়েছে। এই ছবির সাথে সাথে রোভার আমাদের আরেকটি ছবি পাঠায়। যেখানে একটি চামচ মাটির মধ্যে দেখা যাচ্ছে। এই ছবি খুব বেশি কিছু নয় কারন হতে পারে ঝড় হওয়ার পর এটি মাটির মধ্যে বসে গেছে। এই দুইটি ছবি আমাদের ব্যাখ্যা করে যে যদি এটা সত্যিই কোন চামচ হয় তাহলে অবশ্যই মঙ্গল গ্রহের উন্নত সভ্যতা এটি ব্যবহার করে। এর সাথে সাথে ১ম ছবি থেকে এটাই বোঝা যায় যে এই চামচ কোন হাল্কা ধাতু বা অন্যকিছুর দ্বারা তৈরী কারন কোন পাথরের টুকরা তো আর বাতাসে ভেসে থাকতে পারে না।
Number 5, Water On Mars. আমাদের জীবনের জন্য পানি অনেক বেশী জরুরী আর আমরা এটা মানি যে যেখানে পানি আছে সেখানে জীবন কোন না কোন রূপে অবশ্যই আছে। NASA প্রত্যেক বছর এমন সব গ্রহের সন্ধান করে যেখানে পানি তরল অবস্থায় থাকতে পারে আর যদি আমরা আমাদের সৌরজগতের কথা বলি তাহলে মঙ্গল গ্রহই প্রথমে আমাদের সামনে আসে। বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানের ফলে আমারা এমন কিছু ছবি দেখতে পাই যার থেকে আমাদের চিন্তা করতে বাধ্য করে যে মঙ্গল গ্রহে কোন দিন জীবনের অস্তিত্ব ছিল কি না। এই ছবিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন মাটির উপর কিছু স্রোতের ধারার মতো দেখা যাচ্ছে। আপনি হয়তো বুঝেই ফেলেছেন যে এই স্রোতের ধারা কি জন্য তৈরী হয়েছে। আমাদের পৃথিবীতে এই রকম শুধুমাত্র পানির স্রোত বয়ে গেলেই তৈরী হয়। আপনি কি একটা জিনিস লক্ষ্য করেছেন? এই রকম স্রোতের ধারা আমরা মঙ্গল গ্রহের পাথরের উপরেও দেখেছি। আমরা জানি যে পাথরের উপর এমন সৃষ্টি তখনই হয় যখন তার উপর ভেজা মাটি বার বার জমা হয়ে শুকিয়ে আবার বাতাসের জন্য চলে যায়। এসব প্রমানের জন্য অনেক লোক এটা মানেন যে মঙ্গল গ্রহের ভূমিতে পানির স্রোত প্রবাহিত হতো।
২৫ জুলাই ২০১৮ সাল, যখন আমাদের বিজ্ঞানীরা ঘোষনা করেছিলেন যে তারা মঙ্গল গ্রহে তারা একটি নদী খুজে বের করেছেন। বিজ্ঞানীরা জানায় যে এই নদী দৈর্ঘ্যে ২৬ কিলোমিটার এবং ২০ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে অবস্থান করছে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে এই নদী বিজ্ঞানীদের মার্শীয়ান হিম নামক পর্বতের ১ কিলোমিটার গভীরে অবস্থান করছে আর এই পানি এখন পর্যন্ত পাওয়া পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিমানে।
২১ ডিসেম্বর ২০১৮ সাল, যখন ESA বা Europian Space Agency দ্বারা মঙ্গল গ্রহের একটি কূপকে পর্যবেক্ষন করা হয়। এই পর্যবেক্ষনের ফলে সেখানে অনেক বেশি মাত্রার বরফ পাওয়া যায়।
এর কিছুদিন আগে Europian Space Agency থেকে আরো একটি ছবি পাওয়া যায় যেখানে ধোয়ার মতো কিছু একটা দেখা যাচ্ছে। আমরা মঙ্গল গ্রহের ভূপৃষ্ঠে পানি এবং বরফ খুজে পেয়েছি। এগুলো দেখার পর এমনই মনে হয় যে এসব অনেক বছর ধরে প্রবাহিত হচ্ছে। কিন্তু আজও আমরা জানি না যে এই পানি কত বছর পুরানো আর কত বছর ধরে মঙ্গল গ্রহে প্রবাহিত হচ্ছে। আমরা আশা করতে পারি যে খুব তাড়াতাড়ি আমরা মঙ্গল গ্রহে জীবন থাকার সংকেত দেখতে পাবো। এখন আপনার মনে একটি প্রশ্ন আসতে পারে, যে যে ছবি আপনাদের আমি প্রথমেও দেখিয়েছি যেমন চামচ, এলিয়েন, পিরামিড এগুলো সবই পাথরই হয় তাহলে এদের আকৃতি কিভাবে এমন হতে পারে। এর উত্তর হলো, যদি আমরা কোন বস্তুকে অনেক গভীর ভাবে লক্ষ্য করি তাহলে সেই বস্তুটিকে আমরা অন্য বস্তুর মধ্যে দেখতে পারি বা মিল খুজে পাই। আর এই জন্যই অনেক রকম একই আকৃতি আমাদের পৃথিবীতেও দেখতে পাই। আপনাদের এই ছবিগুলো দেখে কি মনে হয় কমেন্ট করে জানান। আর এই পোষ্টটি আপনার কেমন লেগেছে তাও কমেন্টে জানান। পোষ্টটি ভালো লাগলে লাইক করূন আর আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
সম্পূর্ণ পোষ্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.