| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কালো গুপ্তচর
An average person, always lack of perfection
শরীরের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা অঙ্গ লিভার, যেটা নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তা করিনা। লিভারকে বাংলায় বলে যকৃত। যকৃত বললে আমরা অনেকেই চিনিনা, কিন্তু লিভার সবাই চিনি। এই লিভার পরিপাকতন্ত্রের কী প্লেয়ার বা প্রধান অঙ্গ। আমরা ঔষধ থেকে শুরু করে যা কিছু খাই বা পান করি, সবকিছু পরিপাক হওয়ার পর রক্তে মিশে লিভারে যায়। সুতরাং, আমাদের উচিত লিভারের যথাযথ যত্ন নেওয়া যাতে লিভার সুস্থ থাকে এবং তার কাজ ঠিকঠাক করতে পারে। দ্যা মেডস্টাট জর্জটাউন ট্রান্সপ্লান্ট ইন্সটিটিটের এমডি ডা: রোহিত সাতোস্কার বলেন, "এটা এমন একটি অঙ্গ, যা সহজেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে, যদি আপনি এটার যত্ন না নেন। আর একবার নষ্ট হওয়া মানে লিভার আর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে না।"
আমাদের কি কি অভ্যাস লিভারের ক্ষতি করে এবং লিভারের যত্ন নেওয়ার কৌশল আমি আজকে আপনাদের জানাবো।
লিভার মানুষের ডানদিকে বক্ষপিঞ্জরের ঠিক নিচে থাকে। এটার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে লিভার শরীরের দ্রুত এনার্জি পাওয়ার জন্য গ্লুকোজ স্টোর করে রাখে। এটি বাইল নামে একধরনের লিকুইড তৈরি করে যা খাবার থেকে চর্বি ভাঙ্গতে সাহায্য করে।
লিভারকে সুস্থ রাখার জন্য বিশেষ কোনো কৌশল নেই। এটা শুধুমাত্র লাইফস্টাইলের উপরেই নির্ভর করে। লিভারের যত্ন নেওয়া মানে তার জন্য খারাপ জিনিস গুলো এড়িয়ে চলা।
চলুন দেখে নেই, আমাদের কি কি অভ্যাস বা কাজ লিভারের ক্ষতি করতে পারে।
প্রথমত মদপান। লিভার নষ্ট হওয়ার খুব সাধারণ একটা কারণ হলো অতিরিক্ত মদপান। মদপানে লিভার ড্যামেজ, ফ্যাটি লিভার এমনকি লিভার ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ হতে পারে ।
অতিরিক্ত ঔষধ খাওয়ার কারণে লিভার কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ঠান্ডা ও জ্বরের জন্য বহুল ব্যাবহৃত ঔষধসমূহ অনেকাংশেই লিভারের ক্ষতি করে থাকে। সুতরাং, জ্বর হলে কিংবা ঠান্ডা লাগলেই ঔষধ খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
ধূমপান বিষপান। লিভারের ক্ষতির জন্য অন্যতম দায়ী হচ্ছে ধূমপান। সিগারেটের উপাদানগুলো সরাসরি লিভারের উপর প্রভাব ফেলে লিভার টিস্যু নষ্ট করে। তাছাড়াও লিভারের দৈনন্দিন কাজেও বাধা সৃষ্টি করে।
অপর্যাপ্ত ঘুম লিভারকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। Journal of Anatomy থেকে জানা যায়, পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরী হয়। আরেক গবেষণায়, University of Pennsylvania school of medicine প্রকাশ করে, যারা রাতে ঘুমের সমস্যায় ভুগেন তারা অবেসিটি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ এর পাশাপাশি লিভার সংক্রান্ত সমস্যায়ও ভুগে থাকেন।
পুষ্টিকর খাবারের অভাব কিংবা খাবারে অনিয়ম লিভারের ক্ষতি করে থাকে। সকালে না খাওয়া, শাক, খারাপ তৈল বা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়া, পোড়া তেলের খাবার বেশি পরিমানে খাওয়া, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড, জাঙ্ক ফুড খাওয়ার কারণে লিভারের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
ক্যামিকেল সমৃদ্ধ যেকোনো খাবারই লিভারের জন্য ক্ষতিকর। আমরা অনেকেই প্রিজারভেটিভ, আর্টিফিশিয়াল ফুড কালার, আর্টিফিশিয়াল চিনি যুক্ত খাবার পছন্দ করি। যা লিভারের জন্য সুফল বয়ে আনে না।
তাছাড়া, বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস, প্যারাসাইট, ইমিউন সিস্টেমের অস্বাভাবিকতা, বংশগত কারণ কিংবা ক্যান্সারের কারণেও লিভার ড্যামেজ হতে পারে।
এবার সংক্ষেপে জেনে নিবো লিভার কোন ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
লিভার নানা ধরনের রোগে আক্রান্ত হতে পারে। কিছু রোগ আছে বংশগত, কিছু আমাদের অর্জিত, কিছু রোগ স্বল্পস্থায়ী এবং কিছু দীর্ঘস্থায়ী এবং চিকিৎসা সত্বেও জটিল হয়ে জীবনকে নি:শেষ করে দিতে পারে। কয়েকটি কমন লিভার সমস্যা হচ্ছে, জন্ডিস, পিত্তে পাথর, হেপাটাইটিস সি, লিভার সিরোসিস, লিভার ক্যান্সার, উইলসন্স ডিজিজ ইত্যাদী।
এখন জানিয়ে দিচ্ছি লিভার সুস্থ রাখতে যা করতে হবে।
যদি আপনি স্থুল (মোটা) অথবা কোনোভাবে ওভার ওয়েট (ওজন বেশি) হোন, আপনি ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকিতে আছেন, যা দ্রুত বর্ধনশীল লিভার ডিজিজ গুলোর মধ্যে অন্যতম। লিভার ফ্যাট কমিয়ে সুস্থ থাকার জন্য ওজন কমানো আপনার জন্য খুবই জরুরী।
ভারসাম্যপূর্ণ ডায়েট প্ল্যান আপনার লিভারকে সুস্থ রাখবে। উচ্চ ক্যালোরি যুক্ত খাবার, স্যাচুরেটেড ফ্যাট, পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট (যেমন- সাদা পাউরুটি, রেগুলার পাস্তা) এবং চিনি এড়িয়ে চলুন। কাঁচা এবং আন্ডারকুকড মাছ-মাংস পরিহার করুন। ডায়েটে ভালো এডজাস্টমেন্টের জন্য ফ্রেশ ফল, শাক সব্জী, হোল গ্রেইন রাইস এবং সিরিয়াল রাখতে পারেন।
তাছাড়া, রসুন, জাম্বুরা, গাজর, গ্রীন টি, এভোক্যাডো, আপেল, অলিভ অয়েল, লেবু, বাঁধাকপি, হলুদ ইত্যাদী লিভারের জন্য উপকারী। লিভার এবং কিডনী দুটোই সুস্থ রাখার জন্য হাইড্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সুতরাং বেশি পরিমানে পানি পান করুন।
নিয়মিত এক্সারসাইজ লিভার সুস্থ রাখার টনিক। সুতরাং নিয়মিত এক্সারসাইজ কিংবা যেকোনো ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করুন, লিভার ভালো থাকবে।
টক্সিন লিভার কোষ ধ্বংস করে দেয়। টক্সিনের সাথে এরোসল, ইন্সেক্টিসাইডস, ক্যামিকেল এবং এডিটিভ থেকে সরাসরি সংস্পর্শ হতে পারে। সুতরাং, এরোসল ব্যাবহার করার সময় মাস্ক পরিধান করুন এবং রুমের ভ্যান্টিলেশন ব্যাবস্থা নিশ্চিত করুন।
নিষিদ্ধ ঔষধের ব্যাবহার এড়িয়ে চলুন। নিষিদ্ধ ঔষধ যেমন- মারিজুয়ানা, কোকেইন, হিরোইন, হ্যালুসিনোজেন, ইনহ্যালেন্টস এবং ব্যাথা নিবারক ঔষধসমূহ লিভারের মারাত্মক ক্ষতি করে থাকে।
নিজের ব্যাক্তিগত হাইজিন আইটেমগুলো অন্য কারো সাথে শেয়ার করবেন না। উদাহরণ স্বরুপ, রেজার, দাঁতব্রাশ, নেইল কাটার। এগুলো দেহের ক্ষতিকর উপাদান সমূহ বহন করে নিয়ে আসতে পারে যা লিভারের ক্ষতির কারণ হবে।
সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। খাওয়ার আগে হাত ধুয়ে নিন। অবশ্যই ভ্যাক্সিন নিন। হেপাটাইটিস এ এবং বি এর জন্য ভ্যাক্সিন নিয়ে রাখুন।
পরিশেষে, নিজে সুস্থ্য থাকুন। অন্যকে সুস্থ্য রাখতে সচেতন করুন।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮
কালো গুপ্তচর বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
২|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:১৫
মাহবুবুল আজাদ বলেছেন: চমৎকার, অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৮
কালো গুপ্তচর বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৩|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৩৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: কালো গুপ্তচর ,
ভালো লিখেছেন ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
কালো গুপ্তচর বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৪|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৫৯
ঢাকাবাসী বলেছেন: দরকারি পোস্ট, ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
কালো গুপ্তচর বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্যেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৫|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১২
সম্রাট ইজ বেস্ট বলেছেন: খুব দরকারী পোস্ট। কাজে লাগবে। ধন্যবাদ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০
কালো গুপ্তচর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন।
৬|
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১০
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: বিষয় গুলো শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০০
কালো গুপ্তচর বলেছেন: আপনার মন্তব্যের জন্যেও ধন্যবাদ। শুভকামনা।
৭|
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৫
বারিধারা বলেছেন: ফ্যাটি লিভার সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চাইঃ
- এটি হবার কারণ কি?
- এটি কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
- এর ঠেকে লিভার সেরোসিস হতে পারে কিনা?
- একজন পূর্ণবয়স্ক (৩৫ বছর ৫'৬"
মহিলার স্বাভাবিক ওজন কত?
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৭
কালো গুপ্তচর বলেছেন: ১. ফ্যাটি লিভার মানে হচ্ছে লিভারে চর্বি জমা হয়া। আমাদের লিভারে নরমালি কিছু চর্বি থাকে। তবে চর্বির পরিমান বেড়ে গেলে তাকে ফ্যাটি লিভার বলা হয়।
২. ফ্যাটি লিভার হয় সাধারণত খাবার থেকে। ফাস্ট ফুড, গরু-খাসীর মাংস ইত্যাদী অর্থাৎ চর্বিজাতীয় খাদ্যাভাস থেকে ফ্যাটি লিভার হতে পারে। তাছাড়া আরো কারণ আছে। যেমনটা আগেই বলেছি ওজন বেশি হলে। কিছু রোগের সাথেও এটা রিলেটেড, যেমন: ডায়াবেটিস।
৩. প্রতিরোধ করার একটাই পদ্ধতি হচ্ছে কারণগুলো থেকে দূরে থাকা।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জীবন-যাপনের পরিবর্তন। যদি আপনি অ্যালকোহলিক হয়ে থাকেন তবে অ্যালকোহল অবশ্যই বাদ দিতে হবে। ফাস্ট ফুড বা ভারী খাবার এড়িয়ে চলতে হবে। দৈনিক হাটার অভ্যাস করা ভালো । আর মোস্ট ইম্পোর্টেন্টলি ওজন বেশি হলে ওজন কমাতে হবে।
৪.হ্যা, এর থেকে সিরোসিস হতে পারে।
৫. ৫০-৬৬ কেজির মধ্যে থাকলে ওজন স্বাভাবিক।
৮|
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৬
বারিধারা বলেছেন: উপরের মন্তব্যটি মুছে দিন। কোন ফান করার জন্য মন্তব্যটি করা হয়নি।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০১
কালো গুপ্তচর বলেছেন: স্যরি, ঠিক বুঝতে পারিনি। আপনার মন্তব্য নিয়ে তো ফান করা হয়নি।
৯|
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৪৭
শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: খুব ভাল বিষয় নিয়ে লিখার জন্য ধন্যবাদ।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০২
কালো গুপ্তচর বলেছেন: আপনার মন্তব্যর জন্যেও ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সর্বদা।
১০|
১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:০৫
NurunNabi বলেছেন: আল্লাহতালা আপনার এ মেহনত কবুল করুন। অনেক উপকারী পোস্ট। এভাবে আরো লেখা চাই।
১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৩
কালো গুপ্তচর বলেছেন: লিখার চেষ্টা থাকবে। দোয়া রাখবেন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০২
বিলুনী বলেছেন: খুবই উপকারী পোষ্ট , প্রিয়তে গেল ।