নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‘মানুষ তার স্বপ্নের চাইতেও বড়’

কাছের-মানুষ

মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে বদলায়, অকারণেও বদলায় । তবে আমি মনে হয় আগের মতই আছি , কখনও বদলাবওনা মনে হয় ! !

কাছের-মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

মহাজগৎ, সৃষ্টি এবং স্রষ্টা ( ৩য় পর্ব ) : বিগ ব্যাং কি আমাদের মহাবিশ্ব সৃষ্টির ব্যাখ্যা দিতে পারে ? ষ্টিফেন হকিং এর সাথে আমার দ্বিমত ।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:১২

ষ্টিফেন হকিং নিঃসন্দেহে বর্তমানে এই গ্রহের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী । আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানে তার অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে । তিনি বলেছেন বিগ-ব্যাং থেকে আমাদের এই মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছে এতে পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়মগুলোই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এখানে স্রষ্টার কোন ভূমিকা নাই । সত্যিই কি তাই ? বিগ-ব্যাং আমাদের এই মহাবিশ্ব তৈরির ব্যাখ্যা দিতে পারে কিনা সেটা আমি এই লেখায় তুলে ধরব ।

অনেকেই মনে করেন বিগ ব্যাং থেকে আমাদের এই মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছে আসলে তা নয় । বিগ ব্যাং এই মহাবিশ্ব তৈরির অনেকগুলো প্রক্রিয়ার ভিতর একটি প্রক্রিয়া মাত্র ! বিগ ব্যাং এর আগে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশোন ঘটে যা থেকে বিগ ব্যাং সংগঠিত হয় ।

কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশোন এবং বিবর্তনবাদ এই দুটি জিনিষই মূলত অবিশ্বাসীদের ধর্ম থেকে সরে যাবার মূল কারণ । বিবর্তনবাদ তত্ব অনুসারে বানরকে আমাদের পূর্বপুরুষ হিসেবে মেনে নেয়াতে আমার কিঞ্চিত আপত্তি আছে । আমি এখানে বিবর্তনবাদ নিয়ে আলোচনা করব না এটা হয়ত এই সিরিজের অন্য কোন পর্বে লেখব । এখানে মূলত কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশোন এবং বিগ ব্যাং নিয়ে আলোচনা করব ।

প্রথমেই কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশোন কি তা সংক্ষেপে বলে নেয়া যাক ।

বিজ্ঞানীদের ধারনা অনুসারে পরম শূন্য বলতে কিছু নেই কারণ প্রকৃতি শূন্যতা পছন্দ করে না । এই পরম শূন্য স্থানে মূহুত্যেই এক বিলিয়ন ভাগের এক ভাগ সময়ের ভিতর কণা এবং প্রতিকণা তৈরি হচ্ছে এবং সাথে সাথেই নিজেদের মাঝে সংঘর্ষে তা বিলীন হয়ে যাচ্ছে । কোন কারণে হয়ত এই পজিটিভ এবং নেগেটিভ এনার্জি নিজেদের ধ্বংস করতে পারে না । যার ফলসরূপ কিছু কণা থেকেই যায় , ইনফ্লেশনারি থিওরি অনুসারে তা থেকে বিগ ব্যাং হয় ।

এখানে মৌলিক একটা প্রশ্ন দেখা যায় প্রকৃতি কেন শূন্য পছন্দ করে না , প্রকৃতি কেন নিজের মাঝে ইচ্ছা অনিচ্ছা-ধারন করে ? প্রকৃতি কি কোন ব্যক্তি ? সেই ব্যক্তিটি তাহলে কে ?

বিগ ব্যাং থেকে মহাবিশ্ব সৃষ্টি

যাইহোক মূল প্রসঙ্গে আসা যাক । বিজ্ঞানী এডউইন হাবেল ১৯২৭ সালের আমাদের এই মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হচ্ছে বলে পরীক্ষা করে পান । যেহেতু প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হচ্ছে এর মানে বলা যায় সকল পার্টিক্যল এবং মৌলিক বল তথা এই মহা জগৎ সবকিছুই একসময় পঞ্জি-ভুত অবস্থায় ছিল , এর ঘনত্ব ছিল প্রায় অসীম । মূলত অসীম ঘনত্বের এই বস্তুটিই বিগ ব্যাং বা মহা বিস্ফোরণ হয়ে আমাদের এই মহা বিশ্বে পরিণত হয় ।

উপরের আলোচনা থেকে বুঝা গেল কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশোন থেকে বিগ ব্যাং সংঘটিত হয়ে আমাদের মহাবিশ্ব তৈরি হয়েছে । এখানে উল্লেখ্য করা প্রয়োজন কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন নিজে নিজে সম্ভব নয় কারণ কণা এবং প্রতিকণাগুলো পরস্পর সংঘর্ষের জন্য বল প্রয়োজন , গ্রাভিটির ভূমিকা আছে এতে। এই বল হঠাৎ কোথা থেকে নাযিল হল ? বিজ্ঞানের কাছে এর কোন উত্তর নাই ।

ডার্ক এনার্জি

যাইহোক এবার আরেকটা ফ্যাক্ট নিয়ে আলোচনা করা যাক । আমাদের মহাবিশ্ব প্রতি মূহুত্যে সম্প্রসারিত হচ্ছে , বিজ্ঞানীদের ধারনা ছিল এই সম্প্রসারণের হার প্রতিনিয়ত কমছে । ১৯৯০ সাথে বিজ্ঞানীরা পুনরায় পরীক্ষা করে পান আমাদের এই মহা বিশ্ব সম্প্রসারণের হার প্রতিনিয়ত বাড়ছে ! এর মানে অন্য একটা এনার্জি বা শক্তি এই মহা বিশ্বকে টেনে বড় করছে । এই বল মধ্যাকর্ষনের বিপরীতে কাজ করছে । এই বল বা শক্তিকে বিজ্ঞানীরা নাম দেন ডার্ক এনার্জি ।

আমাদের এই মহাবিশ্ব সম্প্রসারণের ৬৮ শতাংশ ভূমিকা এই ডার্ক এনার্জির । বিজ্ঞানী আইনস্টাইন অনেক আগে এই সম্পর্কে বলে গেছিলেন যেই শূন্য স্থান এখনও আমাদের এই মহা বিশ্বের অধীনে আসে নাই তার একটা নিজস্ব এনার্জি বা শক্তি আছে । এই ডার্ক এনার্জিই বা কোথা থেকে উদয় হল বিজ্ঞানীরা আজও তা বের করতে পারে নাই ।

ষ্টিফেন হকিং আরেক জায়গায় বলেন মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে গ্রাভিটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করেছে, গাভীটি না থাকলে মহাবিশ্ব সৃষ্টি হত না ! চমৎকার বলেছেন নিঃসন্দেহে তবে প্রশ্ন হল গ্রাভিটি মাঝখানে কোথা থেকে উৎপাদিত হল , এর ব্যাখ্যা তিনি দেননি !

হকিং এর মহাবিশ্ব নিয়ে আরেকটা উক্তি আমাকে ধোঁয়াশার মধ্যে ফেলেছে ! তিনি বলেন সৃষ্টিকর্তা হয়ত সৃষ্টি জগতের পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়মগুলো ঠিক করেছেন কিন্তু তিনি এর মাঝে আর হস্তক্ষেপ করবেন না ! তার এই উক্তি অনেকটা স্ববিরোধী কারণ তিনি নিজেই বলেছেন মহাবিশ্ব সৃষ্টিতে ঈশ্বরের ভূমিকা নেই, পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়মগুলোই মহাবিশ্ব তৈরিতে গুরুত্বপূর্নভূমিকা পালন করেছে । জগত বিখ্যাত বিজ্ঞানী ষ্টিফেন হকিং কিভাবে এতটা সিওর হলেন যে সৃষ্টিকর্তা তার সৃষ্টিতে আর হস্তক্ষেপ করবেন না!

পরিশেষে এতটুকু পরিষ্কার যে বিগ-ব্যাং আমাদের এই মহাবিশ্ব তৈরির একটা ধারনা দিয়েছে মাত্র কিন্তু এর সম্পূর্ণ ব্যাখ্যা দিতে পারেনি ।

উপরের আলোচনা থেকে কয়েকটা বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যায় ।

১। কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশোনের জন্য যেই বল প্রয়োজন সেটা কোথা থেকে আসল ? কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশোনের মাধ্যমে কোন কিছু নাই থেকে কিছু সৃষ্টি হওয়া ! এটা কিভাবে সম্ভব ? ম্যাথম্যাটিকস দিয়ে এটা পরমান করা অসম্ভব !
২। বিগ-ব্যাং এর সময় যে অসীম ঘনত্বের সৃষ্টি হয়েছিল সেটা কি আসলে সম্ভব ! অসীম মানে যার কোন শেষ নেই !
৩। ডার্ক এনার্জি কোথা থেকে উদয় হল ?

উপরের প্রশ্ন-গুলোর উত্তর বিজ্ঞানীরা দিরে পারে নাই । ষ্টিফেন হকিং এবং ওনার সাহাবীরা হয়ত বিশ্বাস করে অলৌকিকভাবে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন সৃষ্টি হয়েছে, অলৌকিকভাবে প্রায় অসীম ঘনত্বের সৃষ্টি হয়েছিল এমনি ডার্ক এনার্জিটাও একটা অলৌকিক ব্যাপার । তারা অলৌকিক ব্যাপারে বিশ্বাস করেন ।

তবে আমি ধীরভাবে বিশ্বাস করি বিগ ব্যাং এ মহান সৃষ্টিকর্তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা রয়েছে নইলে এটা সম্ভব হত না । ষ্টিফেন হকিং এর সাথে আমার পার্থক্য হল আমি বিগ ব্যাং এ স্রষ্টার প্রত্যক্ষ ভুমিকা বা নির্দেশে হয়েছে বলি ঈমান এনেছি আর তিনি ঈমান এনেছেন অনেকগুলো অলৌকিকতায়।

আগের পর্ব
মহাজগৎ, সৃষ্টি এবং স্রষ্টা ( ১ম পর্ব ): স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করল, নাস্তিকেরাই কি অন্ধ বিশ্বাসী নয় !
মহাজগৎ, সৃষ্টি এবং স্রষ্টা (২য় পর্ব) : ধর্ম এবং উন্নয়ন কি সাংঘর্ষিক বিষয় !
মহাজগৎ, সৃষ্টি এবং স্রষ্টা ( ৩য় পর্ব ) : মানব মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে আসছে ! বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি আমাদের পিছনে নিয়ে যাচ্ছে নাতো ?

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:২৯

পলাশমিঞা বলেছেন: ষ্টিফেন হকিং নিঃসন্দেহে বর্তমানে এই গ্রহের সবচেয়ে বুদ্ধিমান প্রাণী

উনি কথা বলতে পারেন না। আল্লাহ যে সর্বশক্তিমান তার আরেক প্রমাণ উনি। মানুষের আয়ত্তে সব থাকলে উনি অমর হওয়ার দুশ্চিন্তা করতেন।

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

কাছের-মানুষ বলেছেন: আল্লাহ সর্ব শক্তিমান , অবশ্যই আল্লাহর ইচ্ছাতেই এই মহা বিশ্ব হয়েছে আমি বিশ্বাস করি ।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ভাইজান ।

আপনার মন্তব্য অনুপ্রাণিত হলাম । ভাল থাকুন সবসময় ।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

পলাশমিঞা বলেছেন: আপনাকেও আন্তরিক ধন্যবাদ।

দোয়ার সময় অধমকে স্মরণ করবেন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:২৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: অবশ্যই দোয়া থাকবে ভাইজান ।
লেখালেখিতে আপনার প্রতিভা এবং শব্দের বহুমুখি ব্যাবহার আপনাকে অনেক দূর নিয়ে যাবে ।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫

পলাশমিঞা বলেছেন: দোয়ার বদলে দোয়া। জান্নাতুল ফেরদাউস হোক আমাদের গন্তব্য। আমিন।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমিন ।

৪| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২১

চাঁদগাজী বলেছেন:


" মূলত অসীম ঘনত্বের এই বস্তুটিই বিগ ব্যাং বা মহা বিস্ফোরণ হয়ে আমাদের এই মহা বিশ্বে পরিণত হয় । "

-এখানে, মানুষকে নতুন ভাবনা ও ব্যাখ্যা নিয়ে আসতে হবে সময়ের সাথে; কারণ, প্রকৃতিতে এনার্জি, পদার্থ, বল, ইত্যাদি যে অবস্হানে আছে, কিংবা ছিল, তা থেকে "অসীম ঘনত্বের" কোন পদার্থ সৃস্ট হতে পারে না।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ২:৩৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: বিজ্ঞান সাধারণত প্রায় অসীম শব্দটা উল্লেখ্য করে , প্রায় অসীম বলতে কী বুঝব! অসীম থেকে একটু কম! গাণিতিক হিসেবে অসীম থেকে যেত বড় সংখ্যাই বিয়োগ করা হোক , ফলাফল অসিমই হয় !

সময়ের সাথে হয়ত নতুন ব্যাখ্যা আসবে । বিজ্ঞান অনেক জায়গায় ব্যাখ্যা করতে না পেরে অনেকটা চতুর ব্যাখ্যা দিয়েছে , অনেক ক্ষেত্রে ফ্যন্টাসি কাজ করেছে । যেমন রিলেটিবিটি , সময় এবং মাল্টি ইউনিভার্স ব্যাপারগুলো আমার কাছে যতটা না বিজ্ঞান তার থেকে বেশী কল্প বিজ্ঞান বা ফ্যান্টাসি মনে হয় ! এগুলো নিয়ে হয়ত সামনে লেখব !

পাঠের জন্য শুকরিয়া ।

৫| ০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: আমি সাধারনত ভুলে ভরা পদার্থবিজ্ঞানের কোনো লেখায় কমেন্ট করি না কারন যেই লোকসর ন্যুনতম বল এবং শক্তি এই দুটির মধ্যে পার্থক্য বোঝার ন্যুনতম জ্ঞান নেই তাকে পদার্থবিজ্ঞানের এমন জটিলতর (সেসব অমেধাবী লোকজনদের জন্য যারা সামান্য ফুরিয়ার ট্রান্সফর্ম বুঝেন না: গীবর প্রোবাবিলিটি ডেনসিটি) এবং গানিতিক বিষয় বোঝানো ইচ্ছা আমার নেই।

প্রথম ভুল, কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন ম্যাটার এন্টিম্যাটার কই পেলেন তার জার্নাল লিংক বা কোনো টেক্সটবুক দেখান।
দ্বিতীয় ভুল, কোয়ান্টাম ভ্যাকুয়াম স্টেটে ম্যাটার তৈরী হয় কিভাবে আর তার পেছনে যে বল দরকার এটা কোথায় পেলেন, যদি পেয়ে থাকেন তাহলে তার জার্নাল লিংক বা টেক্সট বুক কপিটা দিন
তৃতীয় ভুল, বানর থেকে মানুষ আসছে এটা কোন জার্নালে পাইছেন?


প্রথম প্রশ্নের উত্তর: বলের সংজ্ঞানুসারে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনে বলের কি ভূমিকা? যদিও আপনি বলেননি কি ধরনের বলের প্রয়োজন এখানে। প্রথমে বুঝতে হবে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন কি? এটা এনার্জীর এমন একটা অস্থিতিশীল অবস্থা যেখানে প্রতিনিয়ত ভার্চুয়াল কনিকা সৃষ্টি হচ্ছে এবং সেই সাথে তরঙ্গে পরিণত হচ্ছে। এই ক্ষুদ্রতম স্থায়িত্বটা প্লাংকের সময় এবং এটা বুঝতে হলে কনাতত্ব তরঙ্গতত্ব অনুসরন করুন। তত্বগুলোর প্রমান এখন ইন্টারের বইতেই দেয়া আছে। ব্লগে আপনার জন্য কেউ কষ্ট করে খুটিয়ে খুটিয়ে ইকোয়েশন লিখবে না কারন এই ব্লগে ইকোয়েশন দেয়ার সুযোগ নেই

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর: এখানে

তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর: এই প্রশ্নের উত্তর এখনো জানা যায়নি যেমনটি জানা যায়নি ডার্ক ম্যাটার কি দিয়ে তৈরী। তবে বিভিন্ন হাইপোথিসিস বিদ্যমান যেগুলো প্রমানিত নয় অনেকটা গ্রাভিটনের মতো। তবে এটা নিয়ে সন্দেহ বাতিক হবার কিছু নেই কারন ভর নিয়েও অনেকে হাসি ঠাট্টা করেছিলেন কিন্তু হিগস কনিকা উদ্ঘাটনের ফলে সেই ঠাট্টার চরমতম জবাব দেয়া গেছে। এন বিজ্ঞানীদের কাছে গ্রাভিটন আর ডার্ক ম্যাটার প্রয়োরিটিতে এবং দেরী হবার কারন টেকনোলজিকাল অনগ্রসরতা।

তবে আপনার প্রশ্নের প্রায় সবগুলোর উত্তর স্ট্রিং থিওরী আর ডি ব্রেনে আছে।

মানুষ এতো নিরক্ষর কেন ভাবলে হাসি পায়

০৬ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:৩০

কাছের-মানুষ বলেছেন: শুকরিয়া পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ।

আমি সাধারনত ভুলে ভরা পদার্থবিজ্ঞানের কোনো লেখায় কমেন্ট করি না কারন যেই লোকসর ন্যুনতম বল এবং শক্তি এই দুটির মধ্যে পার্থক্য বোঝার ন্যুনতম জ্ঞান নেই তাকে পদার্থবিজ্ঞানের এমন জটিলতর (সেসব অমেধাবী লোকজনদের জন্য যারা সামান্য ফুরিয়ার ট্রান্সফর্ম বুঝেন না: গীবর প্রোবাবিলিটি ডেনসিটি) এবং গানিতিক বিষয় বোঝানো ইচ্ছা আমার নেই।

এখানে যেহেতু কমেন্ট করলেন তখন কি ধরে নিব ? আমি ফুরিয়ার ট্রান্সফর্ম বুঝি তাই মন্তব্য করলেন ! যাইহোক ।

প্রথম ভুল, কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন ম্যাটার এন্টিম্যাটার কই পেলেন তার জার্নাল লিংক বা কোনো টেক্সটবুক দেখান।
দ্বিতীয় ভুল, কোয়ান্টাম ভ্যাকুয়াম স্টেটে ম্যাটার তৈরী হয় কিভাবে আর তার পেছনে যে বল দরকার এটা কোথায় পেলেন, যদি পেয়ে থাকেন তাহলে তার জার্নাল লিংক বা টেক্সট বুক কপিটা দিন


প্রবন্ধ লেখা আর রিসার্চ পেপার বা জার্নাল লেখার মধ্যে পার্থক্যটা আপনাকে মনে হয় আমাকে বুঝাতে হবে নাহ ! আমি পিয়ার রিভিউ জার্নালে পাঠাবার জন্য কোন রিসার্চ পেপার লেখতে বসি নাই যে সব তর্থ প্রমান লেখার মধ্যে উল্লেখ্য করতে হবে ।

তৃতীয় ভুল, বানর থেকে মানুষ আসছে এটা কোন জার্নালে পাইছেন?

মানুষ বানর থেকে নয় বরং Transitional বা কমন একটা প্রজাতি উৎপত্তি লাভ করেছে বিবর্তন তত্ব অনুসারে । সেই অনুসারে বানর মানুষ আত্বিয় হবার কথা , পুরোটা লেখা আমার লেখা উচিৎ ছিল এটা স্বীকার করে নিচ্ছি ।

ত্বগুলোর প্রমান এখন ইন্টারের বইতেই দেয়া আছে। ব্লগে আপনার জন্য কেউ কষ্ট করে খুটিয়ে খুটিয়ে ইকোয়েশন লিখবে না কারন এই ব্লগে ইকোয়েশন দেয়ার সুযোগ নেই

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর: এখানে


লিংক পড়ার সময় নাই , সময় হলে না হয় পড়ে দেখা যাবে , কি বলেন ।

তৃতীয় প্রশ্নের উত্তর: এই প্রশ্নের উত্তর এখনো জানা যায়নি যেমনটি জানা যায়নি ডার্ক ম্যাটার কি দিয়ে তৈরী। তবে বিভিন্ন হাইপোথিসিস বিদ্যমান যেগুলো প্রমানিত নয় অনেকটা গ্রাভিটনের মতো। তবে এটা নিয়ে সন্দেহ বাতিক হবার কিছু নেই কারন ভর নিয়েও অনেকে হাসি ঠাট্টা করেছিলেন কিন্তু হিগস কনিকা উদ্ঘাটনের ফলে সেই ঠাট্টার চরমতম জবাব দেয়া গেছে। এন বিজ্ঞানীদের কাছে গ্রাভিটন আর ডার্ক ম্যাটার প্রয়োরিটিতে এবং দেরী হবার কারন টেকনোলজিকাল অনগ্রসরতা।

এখানে হাসি ঠাট্রার ব্যাপার আসল কোথা থেকে ! আমি কেবল ডার্ক এনার্জির উৎস বিজ্ঞানীরা দিতে পারেন নাই যার সারমর্ম দাঁড়ায় বিগব্যাং পুরোপুরি মহা বিশ্ব তৈরির ব্যাখা দিতে পারে না ,এটাই বলতে চেয়েছি । ডার্ক এনার্জির উওর যখন জানা যাবে তখন না হয় আমরা এই বিষয়ে বিতর্ক করব, কি বলেন !

৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৫:৪৯

উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: প্রবন্ধ লেখা আর রিসার্চ পেপার বা জার্নাল লেখার মধ্যে পার্থক্যটা আপনাকে মনে হয় আমাকে বুঝাতে হবে নাহ ! আমি পিয়ার রিভিউ জার্নালে পাঠাবার জন্য কোন রিসার্চ পেপার লেখতে বসি নাই যে সব তর্থ প্রমান লেখার মধ্যে উল্লেখ্য করতে হবে ।

এখন ধরা যাক একজন মানুষ মহামান্য আদালতের কাছে বিচার চাইলো যে তার আন্ডিয়া রহমত মিয়া চুরি করছে। তো দিন তারিখ ধার্য করে বিচার বসলো। তো বাদী বিবাদী মুখোমুখি। এখন বিচারক যুক্তি তর্ক শুরু করতে বললে লোকটা বারবারই বলতে লাগলো তার আন্ডিয়া রহিম মিয়াই চুরি করছে আর রহিম মিয়া মিথ্যুক। এখন সবাই বলতেছে ভাই প্রমান দেন, যুক্তি দেখান, কিছু একটা দেন। তো সে লাস্টে গিয়া বললো,"ভাই আমার মুখের কথা বিশ্বাস হয় না? আপনার কি মনে হয় আমি মিথ্যুক? আমি বাটপার?"

প্যারাটাইফয়েড সাজিদ কি যেনো নাম ঐ লোকটার, তাকেও একদিন ধরছিলাম যে ন্যাশনাল জিওগ্রাফির কই দেখছেন? লিংক দেন, সত্যতা কি? জার্নাল দেন? তো সেও লাস্টে বলে ভাই আমি জার্নাল লিখতে বসি নাই। কথা শুনে মনে হয় এই জামানার আইন্সটাইন বা নবী সুলায়মান রাঃ যিনি যাই বলবেন তা অপ্তবাক্য হিসেবে মেনে নেবো, প্রমান তথ্যসাবুদ ছাড়াই। আর যেখানে পদার্থবিজ্ঞান আসছে সেখানে তো মনে হয় জার্নাল বা ল্যাব এক্সপেরিমেন্টের কথা বলাই পাপ।

মানুষ বানর থেকে নয় বরং Transitional বা কমন একটা প্রজাতি উৎপত্তি লাভ করেছে বিবর্তন তত্ব অনুসারে । সেই অনুসারে বানর মানুষ আত্বিয় হবার কথা , পুরোটা লেখা আমার লেখা উচিৎ ছিল এটা স্বীকার করে নিচ্ছি ।

তার মানে আপনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন, ভালো। মিথ্যা বলাটা হিন্দা বা আবু লাহাবেরও একটা গুন ছিলো। আপনি মুসলমান হয়ে সেই বিরল গুনের অধিকারী হয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।


আমি কেবল ডার্ক এনার্জির উৎস বিজ্ঞানীরা দিতে পারেন নাই যার সারমর্ম দাঁড়ায় বিগব্যাং পুরোপুরি মহা বিশ্ব তৈরির ব্যাখা দিতে পারে না ,এটাই বলতে চেয়েছি ।

আসলে মানুষ ইনডাইরেক্ট কথা না বুঝতেই পারে। এর কারন একটাই অজ্ঞতা। হিগস বোসনের অস্তিত্বের বিভিন্ন তথ্য বা ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছিলো গত শতাব্দির ৩০ এর দশকের দিকে। ৯০ দশক পর্যন্ত এমনকি ২০০৯ পর্যন্তও ভরের নানা ব্যাখ্যা বাজারে বিদ্যমান ছিলো কিন্তু সেগুলো ছিলো হাইপো। পদার্থবিদেরা আসলে শতভাগ শিওর ছিলো না কোনটা সত্য হবে। পাল্লা ভারী ছিলো হিগস বোসনের দিকে। ২০১৩ তে যখন হিগসীকে পাওয়া গেলো তখন তারা বাকি কটাকে ডিসকার্ড করে দেয়, তবে বাতিল করে নি। কারন এখনো বেশ কিছু সাব এটমিক পার্টিক্যাল গোত্রের ভরের কারন জানা যায়নি। খোজা হচ্ছে সুপার সিমেট্রি পার্টিকেলের কোনো একটাকে। টেট্রা কোয়ার্কের উপস্থিতি নিয়ে কিছু দিন আগে যে উত্তেজনা গেলো সেটা তারই প্রমান। তাই ডার্ক এনার্জীর উৎস সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের ধারনা নেই এটা ভুল, বলতে পারেন তারা শতভাগ নিশ্চিত না কোনটা হতে পারে। সময় দিন, দেখবেন সেটার উত্তরও পেয়ে যাবেন।

১১ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৫৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ বড় একটা প্রতিউত্তরের জন্য ।

তার মানে আপনি মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন, ভালো। মিথ্যা বলাটা হিন্দা বা আবু লাহাবেরও একটা গুন ছিলো। আপনি মুসলমান হয়ে সেই বিরল গুনের অধিকারী হয়েছেন দেখে ভালো লাগলো।

আমি মিথ্যের আশ্রয় নেই নাই । আপনি আমার পরিবর্তি পোষ্টটা পড়েছেন বুঝার কথা!!
বাকি গুলোর ব্যাপার আর কিছু যোগ করার নাই আমার ।

আবার এসেছেন ভাল লাগল ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.