নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে বদলায়, অকারণেও বদলায় । তবে আমি মনে হয় আগের মতই আছি , কখনও বদলাবওনা মনে হয় ! !
ধরুন আপনি অফিসে যাবেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন কিন্তু কোন গাড়ি পাচ্ছেন না , চিন্তার কোন কারণ নাই অপেক্ষা করুণ । আপনার হায়াতের জিন্দেগী যদি কয়েক মিলিয়ন বছর হয় তাহলে হয়ত দেখবেন কাকতালীয় ভাবে একটা চাকা নাযিল হয়ে গেছে । ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করুণ বেশি না মাত্র কয়েক মিলিয়ন বছরের মধ্যেই হয়ত দেখবেন এই একটি চাকা বিবর্তিত হয়ে চার চাকার আস্ত একটা ব্রান্ড নিউ মার্সিডিজ কারে রুপান্তরিত হয়ে গেছে ! তবে এখানে একটা সমস্যা আছে বিবর্তন তত্ব অনুসারে আপনি হয়ত দেখা যাবে মানুষ থেকে আবার পুনরায় বানরে-মানুষের হাইবিড কোন প্রজাতিতে পরিণীত হয়ে গেছেন !
যাইহোক ব্যাপারটা পরিষ্কারভাবে বলা যাক,ডারউইনের তত্ত্ব অনুসারে পৃথিবীতে যখন কোন প্রাণের অস্তিত্ব ছিল না তখন সরল এক কোষী জীব থেকে পর্যায়ক্রমে কয়েক বিলিয়ন বছরের ব্যবধানে বিবর্তিত হয়ে বহুকোষী জীব অস্তিত্বে আসে ।সরল ভাষায় তরজমা করলে যার অর্থ দাঁড়ায় প্রাণহীন বস্তু থেকে কাকতালিয়ভাবে নিখুঁত এককোষী এবং বহুকোষী জীবের উদ্ভব ঘটে । ১৮৫৯ সালে চার্লস ডারউইন তার বিখ্যাত The Origin of Species বইতে বিবর্তনের এই তত্ত্ব প্রকাশ করেন । তবে ডারউইনই একমাত্র বিজ্ঞানি নন যিনি বিবর্তন তত্ত্ব নিয়ে কাজ করেছেন , তার পূর্বেও আরও অনেকেই বিবর্তন তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেছেন । ডারউইনের বিশেষত্ব হল তিনি বিবর্তন তত্ত্ব-এ প্রাকৃতিক নির্বাচনের ধারনা যোগ করেন যা কিনা বিবর্তন তত্ত্বকে নতুন মাত্রা প্রধান করে ।
প্রাকৃতিক নির্বাচন কি ব্যাপারটা নিয়ে একটু সংক্ষেপে আলোচনা করা যাক । সময়ের পরিক্রমায় পরিবেশে পরিবর্তনের ফলে প্রতিটা জীব অনবরত-ভাবে টিকে থাকার সংগ্রামে লিপ্ত । এখানে যোগ্যরাই টিকে থাকে আর অপেক্ষাকৃত দুর্বল জীবের বিলুপ্তি ঘটে বা হারিয়ে যায় কালের গহ্বরে । পরিবেশ টিকে থাকার জন্য সে সকল জীবকেই অগ্রাধিকার দেয় যাদের বৈশিষ্টসমুহ তাদেরকে প্রাকৃতিক পরিবেশে সবচেয়ে বেশি খাপ খাওয়াতে সাহায্য করে। খুব কমন একটা উদাহারন দেয়া যাক ব্যাপারটা বুঝানোর জন্য , যে সকল হরিণ সবচেয়ে বেশি দৌড়তে পারে তারাই কেবল শিকারি পশুর হাত থেকে রক্ষা পায়। যার অর্থ দাঁড়াচ্ছে হরিণের পালটিতে শুধু দ্রুতগামী হরিণগুলোই টিকে থাকবে এবং বেশী করে সন্তান উৎপাদন করে রেখে যেতে পারবে অন্যদের তুলনায় ।
অনেকেই মনে করে ডারউইন বানর থেকে মানুষ উৎপত্তি লাব করেছেন বলে তত্ত্ব দিয়েছেন ব্যাপারটা আসলে তা নয় বরং মানুষ , বানর বা বনমানুষ Transitional বা কমন একটা প্রজাতি থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে বিবর্তন তত্ত্ব অনুসারে । সেই হিসেবে বানর আর মানুষ আত্বীয় হবার কথা ! ব্যাপারটা যাইহোক বানরকে আমাদের পূর্বপুরুষ বা কাজিন হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আমার আপত্তি আছে । এই স্বীকৃতি দিতে না দিতে চাওয়ার পিছনে বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক যুক্তি আছে , এই লেখায় আমি তা তুলে ধরার চেষ্টা করব ।
ডারউইনের পক্ষে যারা ব্যাটিং করেন তাদের দাবি বিবর্তন তত্ত্ব কোন যেনতেন তত্ত্ব নহে এটা আর বেশি কিছু ! কারণ একটা তত্ত্ব প্রতিষ্ঠিত হবার জন্য অনেক পরীক্ষা নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয় এবং কোন পরীক্ষায়ও যদি ডাক মারে তাহলে সেটা বাতিল ! বিবর্তন তত্ত্ব এ সব পরীক্ষায় বিনা হিসেবেই ফাস্ট ক্লাস ফাস্ট ! বিবর্তন তত্ত্ব-এর প্রতি তাদের এই দিঢ় ঈমান দেখে আমি বিস্মৃত ! ডারউইন সাহেবেরও বিবর্তন তত্ত্ব এর উপর এতটা গাড় ঈমান ছিল কিনা সেটা এক গবেষণার বিষয় ! কারণ তিনি বিবর্তন তত্ত্ব এর প্রমাণের জন্য কিছু কন্ডিশন বা শর্তের কথা উল্লেখ্য করেছেন , সেই শর্ত যদি পূরণ হয় তাহলে বিবর্তন তত্ত্ব প্রমাণিত হওয়া সম্ভব ! ডারউইন The Origin of Species বইয়ের ৬ষ্ট অধ্যায়ে বিবর্তন তত্ত্ব এর বেশ কিছু প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ্য করেছেন । তার মধ্যে transitional ফসিল বহুল আলোচিত বিজ্ঞান মহলে !
transition যাকে বাংলায় তরজমা করলে অর্থ দাঁড়ায় অন্তবর্তিকালিন । ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব অনুসারে মানুষ, বানর এবং শিম্পাঞ্জী মধ্যবর্তী বা transitional একটা প্রজাতি থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে । এরকমভাবে বলা যায় নেকরে এবং কুকুরও একই প্রজাতি থেকে উৎপাধিত হয়েছে! ডারউইন তার বইয়ে যে বিবর্তন তত্ত্ব তুলে ধেরেছেন তার মুল ভিত্তি হচ্ছে ফসিল। এখন পর্যন্ত হাজার হাজার ফসিল আবিষ্কৃত হয়েছে কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতির Transitional ফসিল কেউ উদ্ধার করতে পারেননি। ডারউইন আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন ভবিষ্যতে Transitional ফসিল হয়ত পাওয়া যাবে কিন্তু এখন পর্যন্ত কিছুই পাওয়া যায়নি ! পৃথিবী থেকে হাজার হাজার Transitional ফসিল হঠাৎ গায়েব হল কিভাবে এটা বারমুডার ট্রায়াঙ্গাল থেকেও বেশী রহস্যজনক ব্যাপার ! এটাই কি যথেষ্ট নয় বিবর্তন তত্ত্ব এর অসারতা প্রমাণের জন্য !
সম্প্রতি বেশ কিছু প্রজাতির ফসিল পাওয়া গেছে যা প্রমাণ করে কোন বিবর্তন ছাড়াই বেশ কিছু প্রজাতি কোটি কোটি বছর ধরে বহাল তবিয়তে এযাবত টিকে আছে । যার মধ্যে প্রায় ৯২ মিলিয়ন বছরের পুরানো একটা ঘাস ফড়িংয়ের ফসিল এবং ৩৫০ মিলিয়ন বছরের তেলাপোকার ফসিল ব্যাপারটার প্রমাণ দেয় । এই দুইটি প্রজাতি বিবর্তন তত্ত্বকে বৃদ্ধা-আঙ্গুল দেখিয়ে বুক ফুলিয়ে আরামছে বেচে আছে !
যাইহোক এবার ডি এন এর গঠন নিয়ে কিছু আলোকপাত করা যাক ! আধুনিক বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে মানুষের ক্রোমোজোম এর সংখ্যা ২৩ জোরা আর শিম্পাঞ্জির ২৪ জোরা । মানুষের Y ক্রোমোজোমের জিন সংখ্যা এবং শিম্পাঞ্জির ক্রোমোজোমে জিনসংখ্যার অমিল স্পষ্ট । মানুষ এক জোরা ক্রোমোজোম হারালে সে আর উৎপাদনেই যেতে পারবে না অন্য প্রজাতিতে রুপান্তরিত হওয়া-তো দূরে থাক ! মানুষ আর শিম্পাঞ্জির ডি এন এর ৯৮ শতাংশ মিল থাকা সত্বেও তার গঠনগত ভিন্নতার কারণে মানুষ আর শিম্পাঞ্জির হাইব্রিড করা যায় না। একে বলে জেনে-টিক বেরিয়ার যা এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতিকে সম্পূর্ণ আলাদা করেছে যা কিনা বিবর্তন তত্ত্ব এর সাথে সাংঘর্ষিক!
ডি এন এর চেইনে সামান্য পরিবর্তনকে বলে মিউটেশন । ডারউইন বলে গেছেন মিউটেশনের মাধ্যমে এক প্রজাতি থেকে অন্য প্রজাতির নাযিল হয়েছে বিলিয়ন বছরের ব্যবধানে । এই ওহি তিনি কোথা থেকে পেলেন তা তিনি উল্লেখ্য করেননি ! এখন পর্যন্ত এই ধরায় একটি উদাহরণও নেই যে যাতে প্রমাণিত হয় মিউটেশনের এর মাধ্যমে মানুষের থেকে অন্য প্রজাতির রূপান্তরিত হয়েছে। আমরা জানি ভুলক্রমে মিউটেশন বা জেনে-টিক চেইনে পরিবর্তন ঘটলে সাধারণত বিকলাঙ্গ বাচ্চার জন্ম নেয় নতুন কোন প্রজাতি নয় ।
সর্বশেষে বলব বিবর্তন তত্ত্ব শুধু একটা তত্ত্বই এটা কোন পরিক্ষিত সত্য (fact) নয় । ডারউইনের পক্ষে যারা ব্যাটিং করছেন তাদের দাবি অনুসারে বিবর্তন তত্ত্ব সব ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষায় পাশ এটা একটা খাটি মিথ্যাচার । বিবর্তন তত্ত্ব এবং সৃষ্টিতত্ত্ব এই দুটো সাংঘর্ষিক বিষয় , আমি সৃষ্টিতত্ত্ব বিশ্বাস করি বলে যে বিবর্তন তত্ত্ব এর বিরোধিতা করছি ব্যাপারটা তা নয়! বিবর্তন তত্ত্ব এর বিরোধিতার কারণ হল এর বৈজ্ঞানিক কোন ভিত্তি আমি খুঁজে পাইনি। বরং আমাকে বিস্মিত করে এই ভেবে যে এই মহাবিশ্ব অতি সুশৃঙ্খল এবং নিখুঁতভাবে সৃষ্টি এবং তা একটি কল্পনাতীত নিয়মের বেড়াজালে আবদ্ধ । এত নিপুণভাবে কোন সৃষ্টি কাকতালিয়ভাবে হয়ে গেল এটা আমার মস্তিষ্ক মানতে নারাজ যুক্তিসংগত-ভাবেই ।
আগের পর্ব
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ১ম পর্ব ): স্রষ্টাকে কে সৃষ্টি করল, নাস্তিকেরাই কি অন্ধ বিশ্বাসী নয় !
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ২য় পর্ব) : ধর্ম এবং উন্নয়ন কি সাংঘর্ষিক বিষয় !
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ৩য় পর্ব ) : মানব মস্তিষ্কের আকার ছোট হয়ে আসছে ! বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি আমাদের পিছনে নিয়ে যাচ্ছে নাতো ?!
মহাজগৎ এবং সৃষ্টি ( ৪র্থ পর্ব ) : বিগ ব্যাং কি আমাদের মহাবিশ্ব সৃষ্টির ব্যাখ্যা দিতে পারে ? ষ্টিফেন হকিং এর সাথে আমার দ্বিমত
০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৫২
কাছের-মানুষ বলেছেন: কোন লজিকাল মানুষ নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করলে ডারউইনের তও্ব মেনে নেবে না কারন তও্ব আলোর মুখ দেখে নি বা ফেক্ট হিসেবে দাঁড়ায় নি ।
কৃতজ্ঞতা রইল পড়ার জন্য !
ভাল থাকুন সবসময় ।
২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:০২
প্রামানিক বলেছেন: পড়ে ভালো লাগল। ধন্যবাদ
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০
কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনাকে পেয়ে ভাল লাগল পষ্টে ।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই ।
৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৪:১১
কলাবাগান১ বলেছেন: অশিক্ষিত লোকজনের হাতের লাঠি হল বিবর্তনবাদ কে অস্বীকার করা। তারা সেটা করে কেননা যে সমস্ত সাইন্টিফিক পেপার বিবর্তন বাদের স্বপক্ষে প্রমান দেওয়া আছে ...তা জীবনে ছুয়েও দেখে নাই...পড়া তো দুরের কথা। অবশ্য জ্ঞানের যে বহর..পেপার পড়ে বুঝার ক্ষমতাও নাই... বড় জোর ব্লগে এসে কপি পেস্ট করা আর কিছু লোক না বুঝে ই ধন্যবাদ বলে খালাস।
আপনাদের মত লোকদের বুঝার জন্যই এই এই ল্যাব এক্সপেরিমেন্ট টা করা হয়েছে...যদি না বুঝে থাকেন নক করবেন...
Realtime bacterial evolution in lab
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:১৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: অশিক্ষিত লোকজনের হাতের লাঠি হল বিবর্তনবাদ কে অস্বীকার করা। তারা সেটা করে কেননা যে সমস্ত সাইন্টিফিক পেপার বিবর্তন বাদের স্বপক্ষে প্রমান দেওয়া আছে ...তা জীবনে ছুয়েও দেখে নাই...পড়া তো দুরের কথা। অবশ্য জ্ঞানের যে বহর..পেপার পড়ে বুঝার ক্ষমতাও নাই... বড় জোর ব্লগে এসে কপি পেস্ট করা আর কিছু লোক না বুঝে ই ধন্যবাদ বলে খালাস।
আপনি আমার যুক্তি খন্ডন না করে আমার সিদ্ধান্তের বিপক্ষে বলেছেন কোন যুক্তি ছাড়া ! যাইহোক আপনার মত উচ্চ শিক্ষিত মানুষের পদ দুলি আমার ব্লগে পড়েছে দেখে সম্মানিত বোদ করছি । ৭-৮ বছর ব্লগিং লাইফে এমন কটু কথা অনেকে সময় ফেইস করতে হয়েছে এখন আর গায়ে মাখি নাহ !
আপনাদের মত লোকদের বুঝার জন্যই এই এই ল্যাব এক্সপেরিমেন্ট টা করা হয়েছে...যদি না বুঝে থাকেন নক করবেন...
জনাব ভিডিওটা দেখলাম । বিবর্তন তও্ব মতে কোন প্রানির ডি এন এ চেইনে পরিবর্তন এর ফলে নতুন এক ধরনের প্রজাতিতে রুপান্তিত হবার কথা ! এই এক্সপারিমেন্টে শুরুতে দেখাচ্ছি ব্যাকটেরিয়া এবং শেষেও এটা ব্যাকটেরিয়াই রয়ে গেল ! এটা বিবর্তন হল কিভাবে ! বরং এটা এডাপ্টেশোন বা টিকে থাকা , মানুষের শরীরের ইমিউন সিষ্টেম সম্পের্কে আপনার ধারনা আছে তাহলে এডাপ্টেশন সম্পর্ক এ জানার কথা , যাইহোক বিস্তারিত বলতে গেলাম না ।
এত বড় যুগান্তর সৃষ্টিকারি গবেষণা নিশ্চই কোন হাই ইম্পেক্ট ফেক্টর জার্নালে প্রকাশিত হবার কথা ! লিংকটা দিয়ে কৃতার্থ করবেন ! সাথে বুলেট পয়েন্ট দিয়ে জার্নালের অংশ বাংলায় তর্জমা করলে আরো ভাল হয় ইংলিশ যেহেতু বুঝি নাহ !!
পাঠ এবং মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৩:৫১
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
//ব্যাপারটা যাইহোক বানরকে আমাদের পূর্বপুরুষ বা কাজিন হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আমার আপত্তি আছে।//
আমারও আপত্তি আছে। তাই তাদের পক্ষে ব্যাটিং বা বোলিং কিছুই করতে এমুহূর্তে আমি প্রস্তুত নই। অবশ্য ওগুলো আমি এমনিতেই খুব একটা পারি না...
আমি ভাবছি বানর যদি মানুষ হবে, তবে সব বানর মানুষ হলো না কেন....?
অথবা, মানুষ আর বিবর্তন হলো না কেন? আরও কিছু একটা হওয়া উচিত...
তবে কিছু একটা দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিয়েছে বেটা ডারউইন...
বানর দেখলেই একটা 'ফিলিং অভ্ আপনতা' চলে আসে... ভেতর থেকেই
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: মইনুল ভাই আপনাকে পোষ্টে পেয়ে ভাল লাগল অনেক ।
আমি ভাবছি বানর যদি মানুষ হবে, তবে সব বানর মানুষ হলো না কেন....? অথবা, মানুষ আর বিবর্তন হলো না কেন? আরও কিছু একটা হওয়া উচিত...
হাহা যৌক্তিক প্রশ্ন ! কিন্তু উত্তর দিবে কে ! তবে আমার মনে হয় ডারউইনের মৃত্যুর পর বিবর্তন বন্ধ হয়ে গেছে !
এমন কি দেখতে পাবেন বিবর্তনের ফলে Transitional প্রজাতি সব গায়েব হয়ে গেছে । বানর টিকে আছে, মানুষ টিকে আছে কিন্তু তাদের এনচেষ্টার সব এক সাথে গায়েব হয়ে গেছে । হাতেগুনা কিছুতো অন্তত টিকে থাকার কথা ছিল !
মানুষ আর বানরেরটা না হয় বাদ দিলাম এরকম হাজার হাজার প্রানির এনচেষ্টার গায়েব হল কিভাবে জিবিত বাদ দিলাম ফসিলতো পাবার কথা ছিল !
যাইহোক ভাল আছেন আশা করি ।
৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:০০
কলাবাগান১ বলেছেন: হার্ভাড/এমআইটির ইভুলিশিউনারী বায়োলজিস্ট দের উচিত নাকে ক্ষত দিয়ে বিজ্ঞান ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের হেফাজতিদের তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরী দেওয়া তখন তারা বিবর্তনবাদ খন্ডাবে এই বলে যে যেহেতু বানর এখনও বেচে আছে, সেহেতু বিবর্তনবাদ মিথ্যা প্রমানিত...বাহ কি লজিক? বিবর্তনবাদ বুঝার ক্ষমতাই যাদের নাই, তাদের থেকে এমন বাল্যকিল্য লজিক ই কাম্য।
কয়েক সপ্তাহের সেলেকশন প্রেসারেযখন এক ব্যাক্টিরিয়া আরেক ব্যাক্টেরিয়াতে রূপান্তরিত হল... আর মিলিয়ন বিলিয়ন বছরের সিলেকশন প্রেসার কি করতে পারে, তা এই ভিডিও বুঝায়ে দিয়েছে। এই রূপান্তরিত ব্যাক্টেরিয়া যেটা আগে কখনই পৃথিবীতে ছিল না...সেটা কয়েক সপ্তাহে নতুন ভাবে তৈরী হল (নতুন প্রজাতির ব্যাক্টেরিয়া- ল্যাবে তৈরী হল)
Homo naledi/Homo habilis/Homo neanderthalensis এদের নাম না শুনে থাকলে এখানে দেখে নিবেন
List of Human Evolution fossils
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: হার্ভাড/এমআইটির ইভুলিশিউনারী বায়োলজিস্ট দের উচিত নাকে ক্ষত দিয়ে বিজ্ঞান ছেড়ে দিয়ে বাংলাদেশের হেফাজতিদের তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার চাকরী দেওয়া তখন তারা বিবর্তনবাদ খন্ডাবে এই বলে যে যেহেতু বানর এখনও বেচে আছে, সেহেতু বিবর্তনবাদ মিথ্যা প্রমানিত...বাহ কি লজিক? বিবর্তনবাদ বুঝার ক্ষমতাই যাদের নাই, তাদের থেকে এমন বাল্যকিল্য লজিক ই কাম্য।
আপনি উত্তেজিত হয়ে পরছেন , শান্ত হোন ! আমার লেখায় আমি বলি নাই বানর বেচে আছে বলে বিবর্তন তও্ব ভুল ! আপনি আমার লেখা না পড়েই হয়ত মন্তব্য করেছেন ! মানুষ বানর থেকে হয় নাই বিবর্তন তও্ব মতে বরং বানর এবং মানুষ কমন একটা প্রজাতি থেকে এসেছে । ডারউইন বলেছিলেন কমন বা Transitional ফসিল ভবিষতে পাওয়া যাবে কিন্তু যায়নি !
আর বিবর্তন তও্ব ভুল হলে হার্ভাড/এমআইটির ইভুলিশিউনারী বায়োলজিস্টরা চাকরি ছেড়ে দিবে না কারন বিজ্ঞানের বিভিন্ন তও্ব ভুল প্রমাণিত হয়েছে এবং তার থেকে আবার নতুন তও্ব এরও জন্ম নিয়েছে । যেই তও্ব ভুল প্রমাণিত হয়েছে তার সাথে জরিত বিজ্ঞানীরা কখনও চাকরি ছারেনি বরং অন্য টপিক্স মনোযোগি হয়েছেন ! আপনি চিন্তিত হবেন না কেউ চাকরি ছাড়োবে না !
আমি ছাপোষা মানুষ দেশের বাহিরে একটা একটা ইউনিভার্সিটির ল্যাবরেটরিতে কাজ করছি যদিও আমার ফিল্ড বায়োলজি নয় ! এখানে কোন প্রফেসরদের কোন তও্ব এর ব্যাপারে ভুল বললে তারা হেসে তার লজিকাল উত্তর দেবার চেষ্টা করবে , বাংলাদেশের হেফাজতিদের দায়িত্ব দিয়ে দেয়া হবে বলে আক্রমন করবে না !
কয়েক সপ্তাহের সেলেকশন প্রেসারেযখন এক ব্যাক্টিরিয়া আরেক ব্যাক্টেরিয়াতে রূপান্তরিত হল... আর মিলিয়ন বিলিয়ন বছরের সিলেকশন প্রেসার কি করতে পারে, তা এই ভিডিও বুঝায়ে দিয়েছে। এই রূপান্তরিত ব্যাক্টেরিয়া যেটা আগে কখনই পৃথিবীতে ছিল না...সেটা কয়েক সপ্তাহে নতুন ভাবে তৈরী হল (নতুন প্রজাতির ব্যাক্টেরিয়া- ল্যাবে তৈরী হল)
এর উওর আমি আপনাকে দিয়েছি । এবং একটা প্রশ্নও করেছি । আবার দেখুন ।
Homo naledi/Homo habilis/Homo neanderthalensis এদের নাম না শুনে থাকলে এখানে দেখে নিবেন
নাম গুলো জানা আছে ভাই ! আমি বলেছি হাজার হাজার ফসিল পাওয়া গেছে কিন্তু Transitional ফসিল পাওয়া যায়নি । তাই এদের ইন্টার কানেকশোন সম্পূর্ন্য প্রমান সম্ভব নয় !
আবার গরিবের বাড়িতে হাতির পাড়া পরেছে , আমি গর্বিত , পূনরায় আসার জন্য ধন্যবাদ ভাই কলাবাগান১ ।
৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:০৮
কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি তো আসল যায়গারতে ই ভুল করেছেন "ডি এন এ চেইনে পরিবর্তন এর ফলে নতুন এক ধরনের প্রজাতিতে "
কয়েকটা মিউটেশনের ফলে নতুন প্রজাতি না হয়ে একই প্রজাতির ডিফারেন্ট সাব-স্পেসিস (ভেরাইটি/স্ট্রেইন) তৈরী হয়। এইডস এর ঔষুধ কয়েক বছর পর পর অকেজো হয়ে যাচ্ছে কেননা এইচআইভি ভাইরাস দ্রত রেপ্লিকেশনের ফলে মিউটেট হয়ে নতুন স্ট্রেইনে রূপান্তরিত হচ্ছে (ঔষুধের সিলেক্শান প্রেসারে)। যখন লক্ষ/কোটি বছর ধরে নেচারের সিলেক্শান প্রেসারে থাকবে, তখন হাজার মিউটেশন জমা হয়েই নতুন প্রজাতির উদ্ভব হয়/হবে।
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫০
কাছের-মানুষ বলেছেন: ডাইরেক্ট উদাহারনে যাচ্ছি , মানুষের যখন প্রথম বার চিকেন পক্স হয় তখন মানুষ যখন অসুস্থ হয় তখন তার শরিরে সেই রোগের এগেইনষ্টে একটি এন্টিবডি তৈরি হয় কারন কিছু সেল রোগের এই এন্টিজেন্ট ডিটেক্ট করে ফেলে যেহেতু আগে এটা বডিতে ছিল না (অনেক শর্ট করে বললাম )। সেল স্পেশিয়ালাইজড প্রোটিন বা এন্ডিবডি তৈরি করে । মানুষ দ্বিতিয়বার যখন আবার চিকেনপক্স এ আক্রান্ত হতে নেয় তখন বডিতে আগে থেকেই থাকা এই এন্টিবডি তাকে বাধা দেয় । যেহেতু প্রথম বার রোগটা হয়েছিল দ্বিতীয়বার হবার সম্ভবনা কম থাকে কারন আমাদের ইমিউন সিষ্টেম এভাবেই কাজ করে । এটা মিউটেশন নয় এটা ইমিউন সিস্টেমের কাজ ! ব্যাক্টেরিয়ার ক্ষেত্রে যা ঘটেছে ।
যাইহোক আপনি আপনার বিশ্বাস নিয়ে থাকতে পারেন আমার বলার কিছুই নাই । আমি শ্রদ্ধা করি আপনার বিশ্বাসকে কিন্তু একমত নই ।
ভাল থাকুন অনেক ।
৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:০৩
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: সহমত
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ চৌধুরী সাহেব ।
আপনি এখনও জেনারেলই আছেন নাকি সেইফ হয়েছেন !! !!
৮| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:২৩
কলাবাগান১ বলেছেন: আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োলজি পড়াচ্ছি ১৫ বছর ধরে..... যা বলার আপনি বলেছেন এটা আর কাউকে বলবেন না... ব্যাক্টিরিয়াতে আপনি Adapted Immune system খুজে পেয়েছেন ....বায়োলজির টেক্সট বুক নতুন করে লিখতে হবে। পারলে CRISPR দিয়ে ব্যাক্টেরিয়া কিভাবে ভাইরাস এর আক্রমন থেকে বাচে তা পড়ে দেখতে পারেন
নতুন ব্যাক্টিরিয়ার সমস্ত জিনোম বেইস বাই বেইস সিকোয়েন্স করা হয়েছে (যেটা করতে এখন কয়েক ঘন্টা লাগে) ...কয়েক ঘন্টার এক্সপেরিমেন্টেই দেখা যাচ্ছে স্পেশালি ডিএন এ এর কোন কোন বেইস পেয়ারের মিউটেশনের ফলে নতুন ব্যাক্টিয়ার এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট হয়ে যাচ্ছে।
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৪২
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমি আপনাকে বুঝাতে চেয়েছি ব্যাকটেরিয়া নিজের ভিতর একটা রেসিসটেন্ট তৈরি করেছে এবং ইমিউন সিষ্টেমের একটা উদাহারন দিয়েছি মাত্র এডাপ্টেশন বুঝানোর জন্য। ব্যাকটেরিয়ার ক্ষেত্রে ইভালুয়েশোন নয় বরং এডাপটেশোন ঘটেছে । আপনি আলোচনা অন্য দিকে নিয়ে যাচ্ছেন ।
যাইহোক ভাল থাকুন । আপনার সাথে আলোচনা করে ভাল লাগল ।
৯| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:০৪
কলাবাগান১ বলেছেন: জিনোম সিকোয়েন্স করেই বলা হচ্ছে যে মিউটেশনের ফলেই নতুন প্রজাতির ব্যাক্টিরিয়া তৈরী হচ্ছে......বিজ্ঞানী রা প্রমান ছাড়া কথা বলে না।
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:২৫
কাছের-মানুষ বলেছেন: ব্যাক্টেরিয়ার মিউটেশনের আপনার লিংকের রিয়েল এক্সপারিমেন্টের (থিউরেটিকাল নয়) উপর জার্নালে আমি খুজে পেলাম না ! ট্রান্সজিশোনাল ফসিল অনলাইন দুনিয়ায় খুজে পেলাম না সার্চ করে ।
বিজ্ঞানীদের প্রতি আপনার বিশ্বাস দেখে ভাল লাগল ।
ভাল থাকুন
১০| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৬
কলাবাগান১ বলেছেন: জেনেটিক বেসিস অফ ড্রাগ রেজিস্টেন্স ইন ভাইরাস/ব্যাক্টিরিয়া লিখে সার্চ করুন। একটা নতুন প্রজাতির ব্যাক্টেরিয়া আরেক টা ব্যাক্টিরিয়া থেকে পার্থক্য টা যে শুধই ডিএনএ এর চেন্জ সেটা আর এখন পাবলিঘ করতে হয় না কেননা এটা শ্বাসত সত্য। বিজ্ঞানীরা যখন থেকে জিনোম সিকোয়েন্স করা শিখেছে তখন থেকেই এটা প্রমানিত। ট্রান্সজিশোনাল ফসিল পাবেন না কেননা বুঝেনই না ফসিল আপনাকে কি বলছে। Homo naledi আর Homo sapiens তুলনা করলেই আপনি পেয়ে যাবেন ট্রান্সজিশোনাল ফসিল এর উপাধান
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:০৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: ট্রান্সিশনাল যেখান থেকে এক বা একাধিক প্রজাতি সৃষ্টি হয়েছে যাকে এনচেষ্টার বলে ।
যেমন মানুষ এবং বানর , শিম্পাঞ্জি কমন একটা থেকে এসেছে । আপনার কথা মানতে গেলে কমন বৈশিষ্টকে আপনি ট্রান্সিশনাল বলছেন যেহেতু Homo naledi আর Homo sapiens তুলনা করতে বলছেন । তার মানে দাড়াচ্ছে মানুষ এবং বানর , শিম্পাঞ্জি এর কোন এনচেষ্টার ছিল না বা কমন কারো কাছ থেকে আসে নি যেটা ডারউইন তও্বের পরিপন্থি ।
যাইহোক আর কথা বাড়াতে ইচ্ছে করছে না আমার । আপনি ভাল থাকুন ।
১১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৭
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্ম দিয়েই কেউ বলতে পারে না সেই সব জেনে ফেলেছে। সুতরাং মানুষের ভাবের কিছু নেই।
০৯ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৪৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: কি বুঝাতে চাইলেন ভাই বুঝলাম না ?
১২| ১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৩৫
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োলজি পড়াচ্ছি ১৫ বছর ধরে..... এমন কমেন্টস করা উচিৎ নয়। যদিও এটা তার ব্যাপার ছিল। বললে আবার বেশি বলা হয় কিনা ওনার সাবজেক্ট থেকে আমার সাবজেক্টতো খারাপ নয়। দাদারও দাদা থাকে আমরা এটা ভুলে যাই। আমি আপনার হয়েই কমেন্টস করছিলাম।
আবার ওনার এমন কমেন্টস এর ধরন মনে হয় বাকিগুলা ব্লগ ছেড়ে পালান লাগবে। আমার ওখানে কমেন্টস করছিল একধাপ বেশি বুঝে। আমি ডিলিট করে দিয়েছি। এবং আমি বরাবরই তাই করি। @কাছের-মানুষ।
১০ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:০১
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমি ঝগড়ার বিপক্ষে । আমি মানুষকে মানুষ হিসেবে সম্মান করি সে ভিন্নমতের হলেও সমস্যা নাই।
যুক্তিসংগত আলোচনা হতেই পারে ।
আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
অনেক ভাল থাকুন ।
১৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ ভোর ৬:১১
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কলাবাগান আর লেখকের শেস তর্ক অনুযায়ী কথা দাড়ালো শিম্পান্জী তথা বানর আর মানুষের যে কমন এনসেস্টর ছিলো তার প্রমান নিয়ে। যদিও বায়োলজী আমার বিষয় নয় এবং বিবর্তনবাদটাও পুরোপুরি আমার জানা নাই তবে জার্নাল ঘেটে যা দেখলাম তাদের ফেসিয়াল স্কেলিটনটা কেমন হতে পারে সেটা নিয়ে এখনো সমস্যা রয়ে গেছে। এই কমন এনসেস্টার কে বলা হয় CHLCA। আর এই CHLCA এর অবস্থান ঠিক কত বছর আগে থাকতে পারে তা নিয়েও বিতর্ক আছে তবে সবার রেন্জ সঠিক ধরে বলা যায় ৪ থেকে ১৩ মিলিয়ন বছর আগে।
এখন প্রশ্ন হলো আপনি যদি এসব বিবর্তন কে বিশ্বাস না করেন তাহলে মানব জাতীর এমন কোনো ফসিল পেয়েছেন যেটা কিনা এমন এরকম ব হু বছর আগের কিন্তু তাদের ফেসিয়াল স্কিলিটন বা বডির গঠন এখনকার সাথে হুব হু মিলে যায়?
এক্ষেত্রে আমি একটা লিংক দেই যেখানে আপনি পাবেন যে ২০০২ সালে ৭ মিলিয়ন বছর পূর্বের একটা ফসিল পাওয়া গেছে। এবং বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন যে CHLCA এর গোত্রের কিছু হবে। ছবি স হ আছে। লিংকটা উইকিপিডিয়ার দিলাম। ওখানে আপনি একটু ঘাটাঘাটি করলে আসল জার্নাল কপিটা পেয়ে যেতে পারেন। এই ব্যাপারে আপনার বক্তব্য আশা করছি।
আরেকটা অনুরোধ, আপনি প্যারাটাইফয়েড সাজিদের মতো পোস্ট আরও দিন। কারো আপনারা যট এরকম পোস্ট দিবেন যারা লেখা পড়া করছেন কিন্তু ধার্মিক তারাও একটু ঘাটাঘাটি করবেন। সন্দেহবাদী যারা তারাও আরো ঘাটাঘাটি করবেন।
যখন আপনারা চতুরতার আশ্রয় নেবেন, কোনো প্রমান তথ্য সাবুদ দেখাতে অপরারগতা প্রকাশ করবেন তখন কিন্তু এসব সন্দেহবাদীরা এবং যারা সামান্য হলেও পড়াশোনা করছেন সত্যটা জানার জন্য তারাও কনভার্ট হবেন।
আরেকটা কথা মাচুলমানরা কখনোই বিজ্ঞ লোকেদের ছাড়ে নাই। ইবনে সিনা যাকে নিয়া আধুনা মুসলমান সমজ গর্বে গর্ভবতী হন তাকে ইমাম গাজ্জালী মুর্তাদ ঘোষনা করেন কারন তিনি কবরের আজাব বিশ্বাস করতেন না। আব্দুস সালাম যে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পাইছে, বেচারার মাথা কাটার ঘোষনা দিয়েছিলো দুটো কারনে এক হলো বেটা আহমদীয়া আরেকটা হলে সে বলেছিলেন যে মানব জাতীর উদ্ভব মঙ্গল গ্রহ থেকে হতে পারে। এমনকি পাকিস্তানের কোনো ইউনি থেকে তাকে অনারারী ডিগ্রীও দেয়া হয় নি। জীবিত অবস্থায় পাকিস্থানে ঢুকতে পারেননি এই মনিষী। আর ইরানে তো এভিল কারাগার বানাোই হয়েছে এদের জন্য। মাঝে মাঝে স্নাপ শূটার দিয়ে মেরে বলে মোসাদ ইসরাইলের কু কর্ম।
কলাবাগান লোকটা একজন একাডেমিক, আর আপনার ব্যাকগ্রাউন্ড কি সেটা অবশ্য জানি না অথচ অবলীলায় একটা ফাউল নিক এসেও দুটো কথা বলে গেলো।
ভাবতে ভালোই লাগে
১১ ই মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১:৪১
কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার দেয়া লিংকটা ঘুরে এলাম , সেখানে রিলেশোন টু হিউম্যান এন্ড শিম্পাঞ্জি সেকশনে বলা আছে, এই ফসিলটা হতে পারে মানুষ এবং শিম্পাঞ্জির এনচেষ্টার কিন্তু সাইন্টিফিক কমিউনিটিতে কোন কনকুলেশোনে পৌছায় নাই । আবার এটা যদি মানুষের এনচেষ্টার হিসেবে ধরে নেয়া হয় তবে ব্যাপারটা আরো জটিল আকার ধারন করবে । এটা মানুষের পরবর্তি ফসিল হোমো ইরেক্ট্রাস এর সাথে মোটামুটি মিলে ! যাইহোক ব্যাপারটা কমপ্লিকেটেড ।
এই ফসিলের ব্যাপার কংক্রিট কোন প্রমান বিজ্ঞান মহল দিতে পারে নাই কারন তারা নিজেরাই দ্বিদায় আছে এটা নিয়ে ! এটা কোন গ্রোত্রের হবে তারা কিছু পসিবিলিটির কথা বলেছে। আমি ঘাটাঘাটি করে যা পেলাম কমন এনচেষ্টার খুজা হচ্ছে কেউ পাচ্ছে না , কোন ফসিল পেলেই প্রথমে এনচেষ্টার বলে অনেকেই কিন্তু কিছুদিন পর প্ররিক্ষা নিরীক্ষা করে বলে এটা এনচেষ্টার নয় ।
বিবর্তনের পক্ষে যারা অনেক আর্টিকেল পরলাম তারা ট্রান্সিশনাল ফসিল না পেয়ে দাবি করছে ডারউইন এখানে ভুল ছিল (আর্টিকেল্টার লিংক টুকে রাখি নাই পড়ার সময় নয়ত শেয়ার করতাম), ট্রান্সিশোনাল বলতে কিছু নাই যদিও বিজ্ঞানিরা এটা খুজে চলেছেন কারন এটা ছাড়া বিবর্তন প্রমান সম্ভব নয় । মানব বিবর্তনের সেই হায়ারাআর্কি অনেকেই দাবি করেন সেটা কংক্রিট প্রমান ট্রান্সিশোনাল ফসিল ছাড়া সম্ভব নয় !
আপনাকে ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য । আপনি বেশ কিছু ইনফরমেশোন যোগ করেছেন যেমন ইবনে সিনা এবং আব্দুস সালাম তাদের ঘটনা আমার আগে জানা ছিল না ।আমি বেশ কিছু ফ্যাক্ট নিয়ে এই সিরিজে পোষ্ট দিব যখনই সময় পাব । আপনি পোষ্ট বহির্বুত যেই কমেন্টের কথা বলেছেন আমি তার জবাব দিয়েছি ।
আমার কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাকগ্রাউন্ড ।
১৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫৮
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: ব্লগে যখন আজকাল ব্যাকগ্রান্ড দিতে হচ্ছে তখন আমিও আমার ব্যাকগ্রান্ড দিয়ে যাই। যদিও আমার প্রোফাইলে গিয়ে একটু ঘাটলেই বের হত। ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন এর উপর ডিগ্রী নেয়া। এখন খুঁজে দেখতে পারেন এটা আবার কোন সাবজেক্ট। হুদাই একটা কথা বলে যাওয়ার অভ্যাস আমার নাই।
বায়োলজিদের জিগান গিয়ে কোন সাবজেক্ট কোনটার দাদা।
আরেকটি কথা, কৃত্রিম প্রজনন যে ব্যাটায় বের করছে সে লেখাপড়া করেনি। কৃত্রিম প্রজনন জেনেটিক্স সাবজেক্টে পড়ানো হয়। উড়োজাহাজ যে বানাইছে তারা সাইকেল মেকার।
এমন আরো উদাহরণ আছে। সুতরাং শুধু ব্যাকগ্রাউন্ডই সব নয়। ধন্যবাদ।
১৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১০:৩৫
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: কি আশ্চর্য্য, বাংলাদেশে যে ভেটেরনারীর ওপর পড়ালেখা করানো হয় বা এই নামে কোনো বিষয় আছে সেটাও জানতাম না। আসলে আমি কত অজ্ঞ! আমি এটাও ভুলে গেছিলাম ২০০২ সালে চট্রগ্রাম ভেটেরনারী যেটা নাকি খুলশীর পরেই সেখানে থাকা হিমিটি আর ভন্ড (এরা আমার ক্লাশ মেট) এর বন্ধু যারা কিনা ভেটেরনারীতে পড়তো তাডের সাথে শিক্ষা সফরে টানা ৩ দিন কাটিয়েছিলাম কক্সবাজার সার্কিট হাউজ, চেড়া দ্বীপে টেকনাফে। এরা বলেছিলো ভেটেরনারীর কমন জোক এমনকি তখন পোলাপান এই বিষয়ে পড়তো এই কারনে যে বিসিএসে ১০০০ ভেটেরনারীর ডাক্তার প্রয়োজন কারন তখন কৃষি সম্প্রসারনে বিশ্ব ব্যাংক ভালো একটা ডোনেট করেছিলো, কিন্তু প্রতিবছর পাশ করতো মাত্র ২৫০। তাদের একটা জোক ছিলো বিলাই ক্যাও ক্যাও আওয়াজ করে কেন? কারন পুরো প্রকৃতিতে বিলাই এক মাত্র প্রানী যার ইয়ে বেশি অমসৃণ তাই তাদের স্ত্রী লিংগের সাথে কাম করলে প্রচন্ড ব্যাথা পায়।
যাই হোউক, আপনি যেভাবে রাইট ভ্রাতৃদ্বয়ের উদাহরন দিলেন আশা করা যায় আগামীতে আমাদের সাইফুল ভাই নিশ্চয়ই মনবজাতীর হেড ট্রান্সপ্লান্ট বা অন্য কিছু আবিস্কার করবেন। ভাই আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করছি। তার আগে এখন একটা প্রশ্ন, আপনার মতো মহান একজন ডাক্তার কি করছেন? শিক্ষক না উচ্চ শিক্ষা নিচ্ছেন? দেখি মানুষের দিকে যেভাবে আঙ্গুলি তুলছেন তখন দেখতে হয় যিনি আঙ্গুল তুলছেন সে কি ভবিষ্যতের এডিসন না নিব্রাস (নিব্রাসও উচ্চশিক্ষিত ছিলো, ধার্মিক ছিলো, পরে আইসিস হয়ে যায়)।
আসলেই ভাই ব্যাকগ্রাউন্ডই সব নয়। আর তাই যুগে যুগে গ্যালিলিও, সালাম, ইবনে সিনা উষ্টার উপ্রে থাকে তাদের স্বজাতীর কাছে। ভালো বলেছেন ভ্রাতঃ।
তারা ট্রান্সিশনাল ফসিল না পেয়ে দাবি করছে ডারউইন এখানে ভুল ছিল
সিরিয়াসলি ভাই, আর্টিক্যালটা চাচ্ছি। যদি পীয়ার রিভিউড আর্টিক্যাল হতো তাহলে এমন সুপ্রতিষ্ঠিত একটা তত্ব বা হাইপো নিয়ে কেউ আর লাফাতো না। আমি প্রমান ছাড়া মানতে পারলাম না। আপনি বলেছেন আপনি নাকি কম্পিউটার ইন্জ্ঞিনিয়ার। উল্লেখ্য আমিও আপনার গোত্রের কিন্তু আমার মেজর অন্যান্য কিছুতে। তাই আপনার জানার কথা লিংক কিভাবে খুজতে হয় (গুগল স্কলার) এবং জার্নাল বা ডেটা ছাড়া সবকিছুই মিথ্যা কারন যদি সত্য হতো তাহলে ডারউইনকে বাতিলের খাতায় নিতে বিজ্ঞানী এবং বিভিন্ন বিশ্বের শিক্ষাবিদদের দুই মিনিট টাইম লাগতো না যেমনটা টাইম লাগে নাই ইথারের ক্ষেত্রে (প্লিজ ডোন আস্ক হোয়াট ইস ইথার)।
এই ফসিলের ব্যাপার কংক্রিট কোন প্রমান বিজ্ঞান মহল দিতে পারে নাই কারন তারা নিজেরাই দ্বিদায় আছে এটা নিয়ে ! এটা কোন গ্রোত্রের হবে তারা কিছু পসিবিলিটির কথা বলেছে। আমি ঘাটাঘাটি করে যা পেলাম কমন এনচেষ্টার খুজা হচ্ছে কেউ পাচ্ছে না , কোন ফসিল পেলেই প্রথমে এনচেষ্টার বলে অনেকেই কিন্তু কিছুদিন পর প্ররিক্ষা নিরীক্ষা করে বলে এটা এনচেষ্টার নয় ।
বিবর্তনের পক্ষে যারা অনেক আর্টিকেল পরলাম তারা ট্রান্সিশনাল ফসিল না পেয়ে দাবি করছে ডারউইন এখানে ভুল ছিল (আর্টিকেল্টার লিংক টুকে রাখি নাই পড়ার সময় নয়ত শেয়ার করতাম), ট্রান্সিশোনাল বলতে কিছু নাই যদিও বিজ্ঞানিরা এটা খুজে চলেছেন কারন এটা ছাড়া বিবর্তন প্রমান সম্ভব নয় । মানব বিবর্তনের সেই হায়ারাআর্কি অনেকেই দাবি করেন সেটা কংক্রিট প্রমান ট্রান্সিশোনাল ফসিল ছাড়া সম্ভব নয় !
সুন্দর বলেছেন। এখানে দেখা যাচ্ছে যে আপনি বিজ্ঞানীদের যে দ্বিধা নিয়ে কথা বলেছেন কিন্তু এই প্রশ্নটাও এড়িয়ে গেছেন যে ধর্মগ্রন্থে যেভাবে আদম বা পূর্বাবর্তী নবী রাসূল বা তাদের গোত্রের কথা বলা হয়েছে সেরকম কোনো ফসিলিয় উদাহরন বা প্রমান পাওয়া যায় নি। এখন আপনি যেভাবে ফসিল পাওয়া যায় নি বলে মানতে পারছেন না তাহলে আপনার কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন নূহের নৌকা কই? এটার প্রমান দেন। এখন আবার বইলেন না যে ডেডসী এর ঘটনা। ডেডসী এর ঘটনার বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও আছে যেটা জানার জন্য কোনো ধর্ম গ্রন্থের দরকার নেই মোটেও। যাই হোউক, ডেডসী অপ্রাসঙ্গিক কিন্তু নূহের নৌকা অপ্রাসঙ্গিক না এই কারনে যে এরকম সরাসরি প্রমান কিন্তু ধার্মিকেরা কেউ দেখাতে পারেনি। মুসলমানরা অক্ষম কারন মুসলমান রা জ্ঞান বিজ্ঞানের চর্চা করে না। চর্চা করলেও সম্রাজ্যবাদী আর দাসী বানিয়ে কিভাবে গনিমতের মাল বানিয়ে সেক্স করা যায় আর শিশুদের বিয়ে করে পেডোফাইল হওয়া যায় এমন বর্বরতম জিনিস নিয়েই ভাবে।
আপনাকে আরো কিছু তথ্য দেই, তারপর আমি আমার প্রশ্ন করি। সবগুলো এই কমন এনসেস্টার (এনচেস্টার ,ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড না....লল) :
ট্রান্জিশনাল এনসেস্টার এক
CHLCA আর এটার ফসিল পাওয়াও যা তার প্রধন কারন হলো ফসিল ফুয়েলে পরিণত হওয়া আর দ্রুত নগরায়ন।
এখন আমি আমার পয়েন্টে আসি:
১) ধরেই নিলাম আপনার তত্ব ঠিক, ধর্মীয় তত্ব ঠিক। তাহলে প্রশ্ন আসে যে তাহলে আমাদের নবী রাসুল দের যে মৃতদেহ পাওয়া যায় বা ততকালীন সময়ের মানুষদের যে ফসিল পাওয়া যায় তাহলে তা কেনো কোরান বা বাইবেলের বর্নিত গঠনের সাথে মিলে যায় না? এই যেমন হাদিসে আছে আদম বিশাল লম্বা... অথবা সুলায়মানের বিশাল শরীর, বা আদ জাতীর গঠন। সেগুলো কেন পাওয়া যায় না?
আর ইব্রাহিমিক ধর্ম যদি সত্যই হয় তাহলে সেখানে মানুষ স্বর্গচ্যুত হবার আগে পৃথিবীতে যে ডাইনোসর বা অন্যান্য প্রাগৈটিহাসিক প্রানী ছিলো তারা কোথা থেকে এসেছে? স্বর্গে শয়তান সাপের রূপ নিয়েছিলো, তাহলে প্রশ্ন হলো মানব জাতীর উদ্ভব যে সময়ে ধরা হয় সে সময়ের সাপের ফসিল তাতে মেলে না কেন? (যদি আপনি বলেই বসেন সাপও স্বর্গ থেকে এসেছে)
২) যদি ইব্রাহিমিক ধর্মের কোনো একটা সত্যই হয় তাহলে বর্তমানে প্রত্নতাত্বিকরা যেসব খুজে পেয়েছেন তার সাথে মিলছে না কেন? যে ফারাওকে এমন ক্ষমতাধর বলা হলো সে ছিলো আসলে হিজরা টাইপ শরীরের এক ঘেটুপুত্র টাইপ পোলা।
যদি এগুলো সত্যই হতো তাহলে এসব তো মিলে যাওয়ার কথা। তাহলে ডারউইন নিয়ে গুতোগুতি করা অর্থহীন, তাহলে সেটা করছে না কেন? এখন আবার বইলেন না যে এটা হোদেলকুত কুত ইলুপিনকাচী বা ইলুমিনাতী কেস।
৩) আরেকটা প্রশ্ন সেটা হলো যদি এইসব আমাদের আলোচিত CHLCA নাই হয় তাহলে এগুলো কি? পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন নাকি অন্য কিছু? এত গুলো প্রানী গেল কই? তাহলে সবচেয়ে পুরোনো এই মানুষটির ফসিল কিভাবে এই CHLCA গোত্রের এটার সাথে মেলে(যদিও এটি নিয়ে বেশ সন্দেহ আছে তবুও ছবিটা দেখুন)?
আর আপনি ইবনে সিনা বা সালাম সম্পর্কে নাই জানতে পারেন। আপনি কম্পিউটার ইজ্ঞিনিয়ার সেহেতু আপনাদের সেমিকন্ডাক্টর ফিজিক্স বেশী পড়ানো হয়নি শুধু ইলেক্ট্রন ব্যান্ড আর ট্রানজিস্টরের হিসাব। এসওপি র ধারে কাছেও যাননি। সেহেতু আপনার তো কোয়ান্টাম ফিজিক্স বোঝার কথা না। আপনাদের ইএমএফ করানো হয়না ঠিক মতো সেহেতু আপনি কিভাবে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন সম্পর্কে জানবেন? সেটা আমার আরেক প্রশ্ন। যেহেতু আপনি কোনো লিংক বা প্রমান দেখাতে পারেননি যা কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনে ম্যাটার-এন্টিম্যাটারের অস্তিত্ব (দেখাতে পারবেন কিভাবে কারন আপনার কনসেপ্টই ক্লিয়ার না, আপনি ভুল বলছেন এবং গুলিয়ে ফেলছেন ভার্চুয়াল পার্টিকাল- পয়েন্ট লাইক পার্টিক্যালের সাথে ম্যাটার-এন্টি ম্যাটার এনাইলেশন....তখনই বুঝতেন যদি না আপনি ফাইনম্যান ডায়াগ্রাম পড়তেন...ম্যাকানিকালে পড়লেও মেনে নিতাম দোষটা আপনার না, আপনার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের...সিএসই বলে পুরো দোষটাই আপনার ওপরই বর্তায়), সেহেতু আপনি বিগ ব্যাং বা ইনফ্লেশনের মতো এমন জটিল কনসেপ্ট (জটিল তাদের জন্যই যারা বুঝেন না, বা এর ন্যুনতম বোঝার ক্ষমতা নেই) নিয়ে কিভাবে একটা পোস্ট দিয়ে তাতে ভুল ভাল মিশিয়ে পরে কিনা গুগল করে ঠিক করে পরে আরেকটা পোস্ট দিয়ে অন্য কিছু সাজতে চান কেন, সেটা বুঝি না।
এসব আপনাদেরকে হাস্যস্পদই করে তোলে। এভাবে ধর্ম রক্ষা বা চর্চা হয় না ,ক্ষতি হয়। যেমনটা ক্ষতি করছেন দেওয়ান বাগী বা প্যারাটাইফয়েড আজাদ বা ফ্যাসাদ হোয়াটেভার!
যাই হোউক, আপনার কাছে কোনো তথ্য বা নতুন কিছুর আশা করি না। একন উৎসুক ভাই আপনার পোস্টের লিংক দিয়ে জানতে চাইছিলো ফেসবুকে আসলে আপনি বড় প্রতারক না জ্ঞানী!
আমার মনে হয় সেই ভাইটি উত্তর পেয়ে গেছেন
১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৬
কাছের-মানুষ বলেছেন: সিরিয়াসলি ভাই, আর্টিক্যালটা চাচ্ছি। যদি পীয়ার রিভিউড আর্টিক্যাল হতো তাহলে এমন সুপ্রতিষ্ঠিত একটা তত্ব বা হাইপো নিয়ে কেউ আর লাফাতো না। আমি প্রমান ছাড়া মানতে পারলাম না। আপনি বলেছেন আপনি নাকি কম্পিউটার ইন্জ্ঞিনিয়ার। উল্লেখ্য আমিও আপনার গোত্রের কিন্তু আমার মেজর অন্যান্য কিছুতে। তাই আপনার জানার কথা লিংক কিভাবে খুজতে হয় (গুগল স্কলার) এবং জার্নাল বা ডেটা ছাড়া সবকিছুই মিথ্যা কারন যদি সত্য হতো তাহলে ডারউইনকে বাতিলের খাতায় নিতে বিজ্ঞানী এবং বিভিন্ন বিশ্বের শিক্ষাবিদদের দুই মিনিট টাইম লাগতো না যেমনটা টাইম লাগে নাই ইথারের ক্ষেত্রে (প্লিজ ডোন আস্ক হোয়াট ইস ইথার)।
নারে ভাই আপনি যদি ভেবে থাকেন কোন জার্নাল আর্টিকেলের কথা সেটা তা না । জার্নাল হলে আমি নিজেই আমার মূল লেখার উল্লেখ্য করতাম ব্যাপারটা লিংক সহ। তাই এই লিংক আপনার কাছে বা কারো কাছেই গুরুত্ব বহন করে না তাই আর খুজতে গেলাম না ।
সুন্দর বলেছেন। এখানে দেখা যাচ্ছে যে আপনি বিজ্ঞানীদের যে দ্বিধা নিয়ে কথা বলেছেন কিন্তু এই প্রশ্নটাও এড়িয়ে গেছেন যে ধর্মগ্রন্থে যেভাবে আদম বা পূর্বাবর্তী নবী রাসূল বা তাদের গোত্রের কথা বলা হয়েছে সেরকম কোনো ফসিলিয় উদাহরন বা প্রমান পাওয়া যায় নি।
এখানে বুঝা গেল আপনি আমার উত্তরে সন্তুষ্ট কিন্তু আপনার প্রশ্ন হল আমি যেহেতু ধর্ম বিশ্বাস করি প্রমান ছাড়া তাই বিবর্তনে বিশ্বাস করতে হবে সন্দেহও থাকলেও ! সুন্দর লজিক !!
আপনাকে আরো কিছু তথ্য দেই, তারপর আমি আমার প্রশ্ন করি। সবগুলো এই কমন এনসেস্টার (এনচেস্টার ,ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড না....লল) :
বিলিভ মি আপনার প্রতি আমার ধারনা পালটে গেছে এটা দেখার পর ‘(এনচেস্টার ,ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড না....লল)’! আমি কখন বললাম ,ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ! খোচা মারতে হবে তাই মারলেন ! সত্যিই আনন্দ পেলাম !
পরের পয়েন্ট গুলো সম্মন্ধে বলব এটা আমার লেখার বিষয়বহিবুত প্রশ্ন ! আপনি কত কষ্ট করে প্রশ্ন গুলো করেছেন দরকার ছিল না। যখন সামনে এই সম্মন্ধে লেখি তখন আপনি এই প্রশ্ন গুলো এসে করবেন ! দাওয়াত রইল অগ্রিম ।
তার পরের কথা গুলো আপনার পাণ্ডিত্য প্রকাশ পেল ।
৩) আরেকটা প্রশ্ন সেটা হলো যদি এইসব আমাদের আলোচিত CHLCA নাই হয় তাহলে এগুলো কি? পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন নাকি অন্য কিছু? এত গুলো প্রানী গেল কই? তাহলে সবচেয়ে পুরোনো এই মানুষটির ফসিল কিভাবে এই CHLCA গোত্রের এটার সাথে মেলে(যদিও এটি নিয়ে বেশ সন্দেহ আছে তবুও ছবিটা দেখুন)?
আপনি ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বিভিন্ন ছবি দেখিয়ে বিবর্তন তও্ব সত্য তা বলতে চাইছে আরে ভাই যেই বিষয় নিয়ে সন্দেহ আছে সেই বিষয় আমি দেখে কি বলব ! আমার কিছুই বলার নাই ।
এসব আপনাদেরকে হাস্যস্পদই করে তোলে। এভাবে ধর্ম রক্ষা বা চর্চা হয় না ,ক্ষতি হয়। যেমনটা ক্ষতি করছেন দেওয়ান বাগী বা প্যারাটাইফয়েড আজাদ বা ফ্যাসাদ হোয়াটেভার!
এখানে ধর্মিয় উপাধান কোথায় পেলেন । আমি সৃষ্টি তও্ব এ বিশ্বাস করি এইটা ছাড়া ধর্মিয় কোন বিশ্লেষনে কি আমি গেছি !! আক্রমণ করতে হবে তাই করলেন !!
আমার মনে হয় সেই ভাইটি উত্তর পেয়ে গেছেন
আমি যেই মেসেজ দিয়েছি সেই ভাইটি আপনার গোত্রের হলে উত্তর পাবে এক রকম না হলে আরেক রকম ।
যাই হোউক, আপনার কাছে কোনো তথ্য বা নতুন কিছুর আশা করি না। একন উৎসুক ভাই আপনার পোস্টের লিংক দিয়ে জানতে চাইছিলো ফেসবুকে আসলে আপনি বড় প্রতারক না জ্ঞানী!
বিবর্তনের উপর একটা পোষ্ট এ এতটা আপনি আহত হলেন একজন মানুষকে প্রতারক জ্ঞানী বিভিন্ন বিশেষনে ভুশিত করলেন ।
আমার পোষ্টে আর না আসার অনুরোধ রইল ।
১৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১১:২৩
সাইফুল১৩৪০৫ বলেছেন: মাত্র তিনদিন ভেটেরিনারিয়ান বন্ধুদের সাথে থেকেই যিনি ভেটেরিনারি সম্পর্কে বিশদ জেনে ফেলেছে তার সাথে কথা বলা আর মূর্খতা একই কথা। অনুগ্রহপূর্বক আপনার বন্ধুদের বলে ভেটেরিনারি সম্পর্কে আরও কিছু জানার চেষ্টা করবেন।
১৭| ১২ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ১:৩৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: উদাসী স্বপ্ন আর সাইফুল১৩৪০৫ আপনারা তর্কাতর্কি বন্ধ করুন । নইলে আপনাদের পরবর্তি মন্দব্যগুলো ডিলিট করব যেটা আমি চাইনা ।
১৮| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ বিকাল ৫:৫২
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: পোষ্ট পড়ে আপনাকে নিতান্ত কাছের মানুষ মনে হয়েছে। পোষ্টের জন্য শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ।
১৯| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৫
নতুন বলেছেন: https://www.youtube.com/watch?v=F5fN7s7Ds9I
উনার বক্তব্যটা একটু শুনে দেখতে পারেন...
https://www.youtube.com/watch?v=DPuoGVlCjZ0
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৫৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: দেখলাম গনতন্ত্রের যুগে সবার মতামত ব্যাক্ত করার অধিকার আছে ।
ভাল থাকুন । ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য ।
২০| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৮:৪৪
একজন আহমদী মুসলিম বলেছেন: আর কত বিজ্ঞান আর ধর্ম নিয়ে বিবাদ করবেন আপনারা? কুরআনের ভুল ব্যাখ্যা করা না হলে কোনওদিনও বিজ্ঞানের সাথে তার সংঘাত হতোনা।
যারা মুসলমান আছেন দয়াকরে কুরআন , সুন্নাহ , হাদীস মেনে কথা বলুন। অন্যধর্মের প্রতি সম্মান করুন, টিটকারী মারা শরিয়তবিরুদ্ধ।
কারও কুরআনের সত্যিকার সৌন্দর্য্য জানার ইচ্ছা থাকলে এটা দেখুন
https://www.alislam.org/
১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:১১
কাছের-মানুষ বলেছেন: পোষ্ট পড়ে মন্তব্য করুন ।
আল্লাহ আমাদের সবার মঙ্গল করুন ।
২১| ০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ১২:২৭
দেশপ্রেমিক পোলা বলেছেন: ছেলে ছেলে যে বিয়ে হয়, এই বিষয়ে বিবর্তনবাদ কি বলে? এই রকম শারীরিক সম্পর্ক চলতে থাকলে কি ভবিষ্যতে ছেলেদের পাকস্থলীতে বা duodenum এ বাচ্চা পয়দা হবে? এই বিষয়ে আপনার একটি লেখা চাই।
০৪ ঠা জুন, ২০২৩ রাত ১২:৪২
কাছের-মানুষ বলেছেন: হা হা ব্যাপারটি চিন্তার! এর উত্তর আমার জানা নেই!
২২| ০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৩০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ব্রো, বিবর্তন তত্ব নিয়ে এই পোস্ট'টিতে একনজর চোখ বুলাতে পারেন।
বিবর্তন তত্বে মুসলিম বিজ্ঞানীদের অবদান
ধন্যবাদ।
০৯ ই আগস্ট, ২০২৩ রাত ১২:৫১
কাছের-মানুষ বলেছেন: সময় করে আমি দেখব। তবে হয়ত লং ডিসকাশনে বা সিরিজ মন্তব্য প্রতি মন্তব্যে যাওয়া হবে না, এগুলো সময় কিল করে।
©somewhere in net ltd.
১| ০৮ ই মার্চ, ২০১৭ রাত ৯:৩৭
শহিদুল ইসলাম মৃধা বলেছেন: ডারউইনের কাছে যা সঠিক মনে হয়েছে, তিনি তাই বলেছেন। অামার কাছে সঠিক মনে হলনা, অামি তা মানলাম না।