নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে বদলায়, অকারণেও বদলায় । তবে আমি মনে হয় আগের মতই আছি , কখনও বদলাবওনা মনে হয় ! !
মিয়া বিবি রাজিতো কিয়া করেগা কাজী ! সত্যিই কি তাই ! কথাটা সত্যি মিথ্যা যাই হোক বিয়ে প্রসঙ্গ আসলেই অবধারিতভাবে কাজীর নামটা এসে যায়। বিয়ে বাড়ির খানা-দানা সবসময় রসাল হয় আর এই খানাদানা আমরা সবাই অনেক পছন্দ করি। তবে সব চেয়ে বেশী বিয়ের খাবার খাওনে-ওয়ালাদের যদি র্যাংকিং করা হত তাহলে কাজী সম্প্রদায়ের নাম গিনেস-বুকে অনেক আগেই উঠে যেত। তাদের-মত বিয়ে বাড়ির মুরগীর ঠ্যাং টানলে-ওয়ালা খুব কমই আছে!কাজী টেবিলে খেতে বসছে, হয়ত খাওয়ার মাঝখানে তার আরেকটা গলা ছিলা মোরগের রান টানতে মন চাইছে। দ্বিতীয় রান নিতে লজ্জা লাগছে তাই এবার পাশে বসা হাজী সাহেবকে ইশারা করে কৌশলে বলবে ‘‘ঐ বড় রানটা হাজী সাহেব নেন।’’ মতলব হাজী সাহেব যেন বিনয়িভাবে উল্টো বলেন ‘‘আরে না না আপনি নেন কাজী সাহেব।’’ আর তখনি কাজী সাহেব মুচকি হাসি দিয়ে হাতির সমান রানটা চিকুনে পেটের ভিতর চালান করে দিবে ! আমি অবশ্য বিয়ে বাড়িতে একটার বেশী রান খেতে পারি না, একটু বেশী খেলেই পেটের ভিতরের নাড়ি ভুঁড়ি ‘‘ছেড়ে দাও বাবা কেঁদে বাঁচি বলে আন্দোলন শুরু করে দেয়।’’
তখন আমি স্কুল বালক।এক বিয়েতে গেলাম বর যাত্রী হিসেব। আমাদের ভোজন কর্ম শেষ, বিয়ে পড়ানো বাকি আছে শুধু, তারপরই পাত্রী নিয়ে ফিরার পালা।কাজী সাহেব লেখালেখির কর্ম শেষ করে মেয়ের কাছে গেল কবুল বলাতে। খুব নরম সুরে কাজী বললেন ‘‘বল মা কবুল।’’ মেয়ে-তো আর কবুল বলে না!কাজী বেচারা নিরলস-ভাবে চেষ্টা করে চলেছেন কবুল বলাতে কিন্তু মেয়ের মুখ থেকে আর কবুল বের হয় না!বাড়ির মুরুব্বী এবং মেয়ের অভিভাবক হাজির হয়ে মেয়েকে বুঝাচ্ছে কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না।মনে হচ্ছে পেটে বোমা মারলে পেট ফেটে যাবে কিন্তু কবুল বের হবে না!আমি মনে মনে ভাবলাম প্রেম প্রীতির কেইস নাকি, আমি ধারনা মিথ্যে প্রমাণ করে দিয়ে মেয়ে হঠাৎ গানের সুরে কুওও(কবুল) বলে চিৎকার দিয়ে পরে গেল। এক কুওও(কবুল)বলে আধা ঘণ্টা পার, আধা ঘণ্টা পরে আরেক কুওও (কবুল) বলে আরও আধা ঘণ্টা। এভাবে প্রায় দের ঘণ্টা দারিয়ে থেকে কাজী সাহেব সফলতার সাথে বিয়ের কর্ম সম্পাদন করলেন।তবে এখন দেশ এগিয়ে যাচ্ছে ,এখনকার মেয়েরা আর কুওও(কবুল) বলে অজ্ঞান হয় না বরং এক সেকেন্ডেই তিন কবুল বলে ফেলে !
বাংলা সিনেমার ইতিহাসে মিশা সওদাগরের হাতে কাজী সম্প্রদায় সবচেয়ে বেশী হেনস্তার শিকার হয়েছেন! মিশা কাজী সাহেবের মাথায় হাতিয়ার তাক করে তুলে নিয়ে আসত যাতে নায়িকাকে জোর করে বিয়ে করা যায়।বিয়ে পরানোর আগে নায়িকাকে বাধ্য করত দুই মণ ওজনের শরীর নিয়ে বেলি ড্যান্স দিতে, নাচের চোটে মনে হত সাত মাত্রার ভূমিকম্প হচ্ছে।নাচন পর্ব শেষে অসহায় কাজী প্রাণ ভয়ে কাঁপতে কাঁপতে বিয়ে পরানোর কাজ শুরু করত কিন্তু আফসোস এই বিয়ে পড়ানো কখনই সুন্দর সমাপ্তি হতনা কারণ বিয়ের মাঝখানে নায়ক এসে বাগরা দিত।
যাইহোক আমাদের দেশে বাংলা সিনেমায়, গল্প বা নাটকে কাজী সম্প্রদায়কে যেভাবে খুব নিরীহ ভোলা-বালা প্রাণী হিসেবে উপস্থাপন করা হয় বাস্তবে আসলে তা নয়, তার ভুক্ত ভোগী আমি! সেই গল্পই এখানে তুলে ধরছি। বিদেশ বিভূঁইয়ে জীবনের সমাপ্ত করে দেশে ফিরেই বাসায় হুশিয়ারি উচ্চারণ করে জানিয়ে দিলাম অবিবাহিত এর বদনাম ঘুচাতে চাই।বাসা থেকেও নেমে পরল পাত্রী খোজার ধান্ধায়।খোজ দ্যা সার্চ করে মাস খানেকের মধ্যেই পছন্দমত পাত্রী খুঁজে বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলা হল।আমাকে জানিয়ে দেয়া হল আমার কিছুই করতে হবে না শুধু বিয়ের আসরে তসরিফ এনে কষ্ট করে তিন কবুল বলতে হবে,তাহলেই কেল্লা ফতে। অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত(বিবাহিত) হাতে যাচ্ছি তাই খুশিতে আমি দন্ত কেলাচ্ছি।
বর যাত্রী নিয়ে বিয়ের আসরে হাজির হলাম। কাজী সাহেব আমার কাছে এলেন , তিন আমাকে কবুল বলতে অনুরোধ করার আগেই আমি এক নি:শ্বাসে ধানারধান তিন কবুল বলে ফেললাম।বিয়ে পর্ব শেষ করে সকলে মিলে আমীন নিলাম।গল্পটা এখানেই শেষ হয়ে যেতে পারত কিন্তু না গল্পের টুইস্ট এখানেই । হঠাৎ কে যেন চিৎকার দিয়ে বলল এই বিয়ে আমি মানিনা!আমি হচচকিয়ে উঠলাম, কেইসটাকি বিয়ে শেষ হতে নাহতেই বাংলা সিনেমার মত এটা আবার কোন কাহিনী! আমার আশেপাশেই তখন কয়েকজন ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব ছিল, আমি একজনকে ইশারায় ডেকে বললাম ইয়া হাবীবি(ওহে বন্ধু) দেখতো কেইসটা কি? বলার সাথে সাথে সামনে দেখি দরজা খুলে গেল, বাংলা সিনেমার-মত স্লো মোশনে আরেক লোক হেটে হেটে আসছে। দেখতে নূরানি চেহারা , মুখ-ভর্তি দাড়ি। পরিচয় ? ঝি আমি এই এলাকার কাজী , এই বিয়ে আমি মানি না।আমি মনে মনে বলি মিয়া বিবি রাজিতো কিয়া করেগা কাজী, পাত্রী রাজি আমি রাজি কাজীর ব্যাটার মানা না মানার কি? ‘‘সরকারি নিয়ম যেই এলাকায় বিয়ে হয় সেই এলাকার কাজী দিয়ে বিয়ে পরাতে হয়’’ ঝাঁঝালো ভাষায় বলল কাজী! শুনে আমি হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। নতুন কাজী আবার তিন কবুল পরিয়ে আবার বিয়ে সম্পূর্ণ করল। সবাই তিন কবুল বলে বিয়ে করে আমার বেলায় হল সর্বমোট ছয় কবুল।
গল্পের কাহিনী এখানেও শেষ হয়ে যেতে পারত কিন্তু না পিকচার আবি বাকি হে মেরি দোস্ত । দেশে বছর দুয়েক থাকার পর বউ একদিন আবদার করল বিদেশে থাকার জন্য! আমাদের তখন প্রথম সন্তান হবে, বউ বিদেশে থাকার ফযিলত সম্পর্কে আমাকে বিভিন্ন ধরনের নছিয়ত করল। আমিও ভাবলাম প্রথম সন্তান দেশের বাহিরে উৎপাদন করতে পারলে ইহকালের জিন্দেগীতে ফায়দা অনেক। ওদিকে আবার আমার পি এইচ ডি করারও খায়েশ হয়েছে, গবেষণা করে পৃথিবীকে উদ্ধার করাও দরকার।অল্প দিনের মধ্যেই পি এইচ ডি এর স্কলারশিপ যোগার করলাম, পি এইচ ডি কমিটির সাথে স্কাইপ ইন্টার্ভিউ এর সময় জানিয়ে দিলাম আমি বউ পাগল পাবলিক, বউ নিয়ে আসতে চাই। কমিটির লোকজন হাত দিয়ে মশা তাড়ানোর-মত ভাবকরে জানিয়ে দিল কোয়ি বাত নেহি।
ভিসা এপ্লাইয়ের জন্য মেরিজ সার্টিফিকেট দরকার তাই কাজী সাহেবের সিগনেচার প্রয়োজন। হাতে মাত্র একদিন সময় আছে।আমি লোক পাঠালাম কাজীর নিকট যাতে দুই কপি মেরিজ সার্টিফিকেট নিয়ে আসে। কাজী সাহেব জানিয়ে দিলেন প্রতি সিগনেচার সাড়ে তিন হাজার টাকা লাগবে কারণ উকিলের থেকে কি সাইন-ফাইন নাকি তিনি জোগাড় করে দিবেন!আমি কাজী অফিসে গিয়ে দেখি কাজী সাহেব নেই, তার সাগরেদ আছে। আমি বললাম উকিলের কাজ আমি করব আপনি আমাকে সাইন নিয়ে দেন। কাজী সাহেবের সাগরেদ গড়িমসি করতে শুরু করছেন,তিনি বলেন আগে উকিলের কাজ করিয়ে আনেন তারপর। আমি কোর্টে গিয়ে দু-তিনশ টাকা দিয়ে সব কাজ করিয়ে আনলাম। কাজীর সাগরেদ আহত হলেন । তার সাফ জবাব সাইন তিনি দিবেন না । আমি বললাম কাজী সাহেবের নাম্বার দিন? না দেয়া যাবে না স্যার বিজি লোক, কোন মন্ত্রী-মিনিস্টারের সাথে হয়ত এখন লাঞ্চ করছে আর আপনি তাকে ডিস্টার্ব করবেন। আমার চান্দি গরম হয়ে গেল।সারাদিন এদিক সেদিক করিয়ে বলল রাতে আসেন কাজী সাহেব আসবেন। রাত দশটায় দিয়ে দেখি কাজী নাই। এবার আমার চান্দি আরও গরম কারণ সকালে এম্বাসিতে দাঁড়াব। অনেক দেন দরকার করে সাগরেদ বলে কিছু দিনার অনন্ত দেন কাজটা সে করে দিবে। আমি বললাম কাজী কোথায়, সাগরেদ বিলেনের হাসি হেসে বলে আমিই কাজী বলে সাইন করে দিল! পকেট থেকে দেড়শ টাকা দিয়ে দিলাম। কাজী যে এমন পাজি হবে তা আমি ইহ-জিন্দেগিতে কল্পনাও করি নাই।
যাইহোক সব কাম কাজ ভাল ভাবে শেষ করে দুজনে দেশের বাহিরে এলাম, গতবছর আমরা দুইজন থেকে বিবর্তিত হয়ে তিনজন হলাম। যারা শুভ কর্ম সম্পাদন করতে চলছেন, তারা পাত্রী নির্বাচনের পাশাপাশি কাজী নির্বাচনের প্রতি যত্নবান হোন! সবচেয়ে ভাল হয় বাংলা সিনেমারমত আকাশ-বাতাস নদী নালা সাক্ষী রেখে শুভ কর্মটা যদি সারা যায়, না রাহেগা বাস না বাজেগা বাঁশি। আর যদি আমারমত ভুল কাজীর পাল্লায় পরেন তাহলে লাইফটা তামা তামা হয়ে যাবে।
০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩১
কাছের-মানুষ বলেছেন: পড়ে ভাল লেগেছে স্বার্থক মনে হচ্ছে!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ
২| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৫০
চাঁদগাজী বলেছেন:
২ কাজীর কাছে বিয়ের কবুল করলে ২ বউ থাকতে হয়; নিয়ম মেনে চলার চেস্টা করেন।
০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: হা হা, ২য় কাজী এসেইতো সরকারী নিয়ম দেখিয়ে আবার বিয়ে পড়াল !
৩| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৫
গেম চেঞ্জার বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ পাজী কাজী!!
পাজী শব্দটা একটু আদুরে, আমি বলব দুর্নিতিপরায়ণ কাজী!
০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: ওকে বলতে পারেন !
শুধু দুর্নিতিপরায়ণ না বেটা মহা দুর্নিতিপরায়ণ ! সকাল থেকে রাত অবদি আমাকে চরকির মতা ঘুরাইছে !
৪| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫
সুমন কর বলেছেন: রম্যে মজা পেলাম। +।
০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১২
কাছের-মানুষ বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন সবসময়।
৫| ০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:৪৬
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন:
০৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৩০
কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৬| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৩৬
অসিত কর্মকার সুজন বলেছেন: হা হা শুভ পরিনয় এর গল্পে হাসি আনন্দ থাকলে পরবর্তী প্রজন্মকে গল্প শুনাতে কাজে আসবে । শুভ কামনা রইলো আপনাদের তিনজনের জন্যে ।
০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০১
কাছের-মানুষ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
ভাল থাকুন সবসময়।
৭| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:৫১
জাহিদ অনিক বলেছেন: হা হা হা বেশ ভাল রম্য হয়েছে। ধন্যবাদ ।
যাক অতঃপর তাহারা সুখে শান্তিতে ..................।
০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০২
কাছের-মানুষ বলেছেন: হুম পুরো বাংলা সিনেমার মত অতঃপর ...
মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
৮| ০৭ ই জুন, ২০১৭ রাত ১:৫১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: বিয়ে করলেন,বিদেশ থেকে এসে আবার বিদেশে চলে এলেন, আমাদের ভাতিজাও হয়ে গেল আর আমি এতদিনে আপনার ছয় কবুলের ইতিহাস জানলাম।
০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: আপু এই প্রথম শেয়ার দিলাম তাও ব্লগে ফেইসবুকে আগে কখনও দেই নি, দিলে হয়ত জানতেন !
আপনাকে ব্লগে পেয়ে ভাল লাগল।
৯| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১০:৫২
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: অনেক মজার । ++
০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ।
১০| ০৭ ই জুন, ২০১৭ সকাল ১১:১৪
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: চমৎকার রম্য।
ধন্যবাদ ভাই কাছের মানুষ।
০৭ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:০৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনার মন্তব্যের অনুপ্রাণিত হলাম।
১১| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৯
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: আপনার সাথে এমন তামাসায় কষ্ট পেয়েছি। কাজি আসলেই ভীষণ পাজি ছিল।
০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
কাছের-মানুষ বলেছেন: কাজী এই ব্যাবহার আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল! এমন কাজী আমি জীবনে দেখি নাই!
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
১২| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৭
বিজন রয় বলেছেন: শুধু কাজি না প্রত্যেক মানুষই একটু হলেও পাঁজি।
হা হা হা হা ..........
মজা পেলুম বটে।
০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৩৬
কাছের-মানুষ বলেছেন: হুম প্রত্যেক মানুষই একটু হলেও হয়ত পাজি!
তবে এরকম খতরনাক কাজী আমার কপালে জুটবে সেটা কে ভাবছিল! সেই দিন আমাকে পুরো নাস্তানাবুদ বানিয়ে ছেড়েছিল কাজী!
পাঠ ও মন্তব্যের ধন্যবাদ রইল।
১৩| ০৭ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৪২
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কাজী সাহেবে র কল্যাণে আমরা চমৎকার একটা লেখা পেলাম ।
শুভ কামনা !
০৭ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৫
কাছের-মানুষ বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
ভাল থাকুন।
১৪| ১০ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:০৪
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: ইশ! কবে যে বিয়ে করুম ।
১১ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:২৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: শুভ কাজে আর দেরি কেন! শুধু কাজী নির্বাচনটা যেন ঠিক হয় আরকি !
১৫| ১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ২:২২
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: খুব মজার গল্প ভাই, ভালো লাগা জানিয়ে গেলাম।
ভাই, দেড় ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকলেন কেমনে!! আপনার ধৈর্য-গুণ দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই। অবশ্য বিয়ে বাড়িতে কবুল শুনা একটা মজার ব্যাপার(বেয়াইন ভাবিরা থাকে, সময় ভালো যায় হা হা।)
গল্পে রম্যতা ভালো লাগলো ভাই।
শুভকামনা আপনার জন্য।
১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:১৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: দু:খিত মন্তব্যের উত্তর আগে দিয়েছিলাম কিন্তু রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করা হয় নি!
হা হা ,দের ঘন্টা দারিয়ে ছিলাম নাকি বসে ছিলাম এখন মনে করতে পারছি না!
আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই !
লেখাটা ভাল লেগেছে জেনে স্বার্থক মনে হচ্ছে।
১৬| ১৩ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: হা হা ,দের ঘন্টা দারিয়ে ছিলাম নাকি বসে ছিলাম এখন মনে করতে পারছি না!
আপনার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই !
লেখাটা ভাল লেগেছে জেনে স্বার্থক মনে হচ্ছে।
১৭| ১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৭
বিজন রয় বলেছেন: খবর কি?
১৪ ই জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:২৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: কুশলাদির কথাকি জিজ্ঞেস করলেন! এইত ভাল আছি।
আপনার খবর কি ?
১৮| ১৮ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:১০
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: ভাল লাগলো ।
১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ২:৫৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৯| ২৫ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৪
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: এত সুন্দর গল্পটি আমি এতদিন পড়তে পারিনি!!
দেরিতে হলেও পড়তে পেরে ভালো লাগলো।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।
এত সুন্দর গল্পটি আমি এতদিন পড়তে পারিনি!!
দেরিতে হলেও পড়তে পেরে ভালো লাগলো।
শুভকামনা জানবেন সবসময়।
২৯ শে জুন, ২০১৭ বিকাল ৪:৫০
কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
ঈদ ভাল কেটেছে আশা করি! ঈদের পর ব্লগে লগইন করলাম। লেট ঈদ মোবারক আপনাকে।
২০| ১৭ ই জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং সকলের মন্তব্য গুলো পড়লাম।
১৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১১
কাছের-মানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পড়ার জন্য।
২১| ১৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৫৭
কল্পদ্রুম বলেছেন: শিরোনাম দেখেই মনে মনে ভাবছিলাম এই লেখায় আমার জন্য শিক্ষনীয় কিছু থাকবেই।ব্লগে খুব লেখকের রম্য পড়ে সত্যিকারর্থে হেসেছি।এই লেখা পড়ার সময় সারাক্ষণই হাসছিলাম।আপনার অন্য লেখা পড়ে মনে হয়েছিলো আপনি গম্ভীর মানুষ হবেন।কিন্তু আমার ধারণা একদম ভুল মনে হচ্ছে।
১৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: এই লেখাটা লেখেছিলাম প্রিয় ব্লগারদের জন্য তারা যাতে পাত্রি নির্বাচনের পাশাপাশি কাজীও নির্বাচনে মনোযোগী হয় আরকি! হা হা
যাক আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারো ভাল লাগল। আসলে ব্লগে আমি সাইন্স ফিকশনের মত কাঠখোট্টা জিনিষ নিয়ে গল্প লেখি আপনার সেরকম ধারনা হওয়া স্বাভাবিক। আরো কিছু রম্য লিখেছিলাম আগে ব্লগাররা পছন্দ করেছিলেন, মাঝে মাঝে হালকা রসিকতা টাইপ লেখা লেখতে এবং পড়তে দুটার ভাল লাগে।
২২| ১৭ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৪:২৭
আখেনাটেন বলেছেন: হা হা হা। গলাছেড়ে অট্টহাসি দিলাম পড়ার মাঝেই।
আপনি যে ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়ে এত মজার লেখা লিখেছেন পড়ে যারপরনাই মজা পেলুম। আমি বরাবরই রম্যের ভক্ত। আমার নিজেরও বেশির ভাগ লেখাই এই ক্যাটেগরীর।
সায়েন্স ফিকশন লেখার পাশাপাশি এ ধরণের লেখাও লিখতে থাকুন। এই লেখা ও মন্তব্য অনেক বছর পরে অবর্ণনীয় আনন্দ দিবে মনে হয়।
১৭ ই জুন, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৫৫
কাছের-মানুষ বলেছেন: রম্য কিন্তু আমারো পছন্দ। তবে লেখাটা লিখেছি ব্লগের অবিবাহিত নওজোয়ানদের জন্য যাতে কাজী নির্বাচনে মনোযোগি হয় তারা।
যাক আপনার ভাল লেগেছে জেনে আনিন্দিত হলাম।
রম্য আমি লেখি তবে সেটা কম। সায়েন্স ফিকাইনের পাশাপাশি আবার রম্য লেখা শুরু করতে হবে দেখছি। আপনার রম্যগুলো আমি পড়ব, এই ক্যাটাগরির লেখাও আমার ভাল লাগে।
২৩| ১৮ ই জুন, ২০২০ বিকাল ৩:৩১
আখেনাটেন বলেছেন: রম্য আমি লেখি তবে সেটা কম। সায়েন্স ফিকাইনের পাশাপাশি আবার রম্য লেখা শুরু করতে হবে দেখছি। আপনার রম্যগুলো আমি পড়ব, এই ক্যাটাগরির লেখাও আমার ভাল লাগে।-- লিখুন। জীবনের চলতি পথে কত ঘটনায় তো রয়েছে যা ক্ষণিকের জন্য হলেও হাসিতে উদ্ভাসিত করেছিল। এমনতর লেখাগুলো অবশ্যই পাঠককে বিনোদিত করে। আপনার দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞতার আলোকে তা লিখতে থাকুন। আমরাও পড়ে যারপরনাই মজা লুটপাট করি।
আমার কিছু বহুল আলুচিত রম্য-টাইপ লেখা সময় হলে পড়তে পারেন। আপনার সুবিধার জন্য লিংক দিয়ে দিলাম। কিছু আগেও পড়ে থাকতে পারেন।
*একজন ‘না’-বালকের প্রথম ও শেষ ধূম্রপানের ইতিহাস!!!!
* হানিমুন নিয়ে হানাহানি তারপরে মানহানি
*তিল
*একটি 'হাসব নাকি কাঁদব' বাস ভ্রমণ!!!!!
*কিছু অদ্ভুত কিংবা মজারু কাহানি- ‘হাতা মে ডাবু মে পুই পুই পুই’!!!!
*গ্রাফোলজিস্টের বিয়ে
*অন্যরকম বদলা
১৯ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:১৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমার যতগুলো রম্য লিখেছি সেগুলো নিজের ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা নিয়েই লিখেছি। লেখার চেষ্টা করব আরো।
চমৎকার। আপনি লেখাগুলো শেয়ার দিয়েছেন তাই ধন্যবাদ। আমি সময় নিয়ে পড়ব লেখাগুলো।
এই মাঝে কয়েকটা পড়া থাকতে পারে নাম দেখে মনে হচ্ছে। রম্য পড়তে সব সময়ই ভাল লাগে।
২৪| ২১ শে অক্টোবর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩১
খায়রুল আহসান বলেছেন: রম্যে ভাললাগা। বেশ মজার কাহিনী, লিখেছেনও রসিয়ে।
কাজিরা অধিকাংশই দেখেছি, পাজি হয়। এরা মানুষের দুর্বল মুহূর্তে তাদেরকে ইমোশনালি ব্ল্যাকমেইল করে।
২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৫১
কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যাবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
আসলে কাজীর ব্যাবহার আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। কাজিদেরকে একসময় আমি দরবেশ ভাবতাম, কাজি এমন পাজি হবে ভাবতে পারি নাই! এই হয়রানির অভিজ্ঞতাটা রম্যের ছলে বলতে চেয়েছি মাত্র!
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:২০
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: হা হা হা
রম্যে ভাললাগা
+++