নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে বদলায়, অকারণেও বদলায় । তবে আমি মনে হয় আগের মতই আছি , কখনও বদলাবওনা মনে হয় ! !
“বেচে আছেতো?” পিছন থেকে উকি মেরে জিজ্ঞেস করল মিলান।
“ঠিক বুঝতে পারছি না।” হাতের নার্ভ এবং নি:শ্বাস প্রতীক্ষা করতে করতে মিলানের দিকে না তাকিয়ে বলল মরিস। ভেন্টিলেশন মেশিন লাগানো, নাকে-মুখে অক্সিজেন মাক্স, ডিসপ্লেতে বক্র রেখাটি আসতে আসতে সরল রেখায় পরিণত হচ্ছে।মরিসের কপালে চিন্তার বলি রেখা ফুটে উঠেছে, দাঁত দিয়ে নিচের ঠোট কামড়ে বলল তাড়াতাড়ি ডিফ্রাইবিলেশন মেশিনটা দাও। হার্ট কাজ করছে না, ইলেকট্রিক শক দিতে হবে। ক্রমাগত দুই তিনটি শক দিল ঘন লোমশ বুকে। ডিসপ্লেতে সরল রেখাটা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসতে শুরু করেছে, সরল রেখাটা সাইন-ওয়েব ধারণ করল।
“এবারের স্যাম্পলটি সার্ভাইব করেছে তাহলে!!” চোখেমুখে উত্তেজনা ফুটে উঠেছে মিলানের।
চোখ মুখের ঘাম মুছতে মুছতে একটা চেয়ার টেনে বসে পড়ল মরিস। অনেক ধকল গিয়েছে সারাদিন, দীর্ঘ তিন ঘণ্টা এই ছোট্ট একশত বর্গফুটের স্বচ্ছ-কাচের রুমটাতে কাজ করছে। প্রতি বারের মত ভেবেছিল এবারো এই পরীক্ষা বুঝি মাঠে মারা যাবে।
“আমাদের পরীক্ষা সফল হয়েছে, স্যাম্পল সার্ভাইব করেছে। কি বল?” আবারো বলল মিলান।
“তোমাকে না বলেছি স্যাম্পল বলবে না।” মিলানের দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে বলল মরিস।
“স্যাম্পলকে স্যাম্পল বলব-নাতো কি বলব? এটা একটা শিম্পাঞ্জী! আমরা আমাদের জটিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি এর উপর! শিম্পাঞ্জীকে স্যাম্পল বলব নাকি-তো স্যার বলব!”
“আমি তোমাকে স্যার ডাকতে বলছি না মিলান। স্যাম্পল বললে আমার কেমন জানি লাগে, শিম্পাঞ্জী বললে ভাল শুনায়, স্যাম্পল বললে কেন জানি কোন জড়বস্তু মনে হয় । মরিসের কণ্ঠে শিম্পাঞ্জির জন্য কেমন জানি মমতা ঝরে পরছে। একটু থেমে আবার বলল অথচ ওরও জীবন আছে, হাসতে পারে, আমাদের মানুষের-মত সুখ দুঃখ অনুভবের ক্ষমতাও আছে। মানুষের জীনের সাথে প্রায় ৯৯ শতাংশ মিল আছে এদের, মানুষের তিন বছর বয়সী একটা শিশুর বুদ্ধি যেমন, প্রাপ্ত বয়স্ক একটা শিম্পাঞ্জির..”
কথাটা শেষ করার আগেই মিলান বলল “হয়েছে, আমাকে আর জ্ঞান দিতে হবে না। এর আগের বিরানব্বইটা প্রথম ধাক্কা সামলাতে না পেরেই মারা গিয়েছিল! তুমি বুঝতে পারছ ব্যাপারটা? আমরা সফলতার ধার প্রান্তে! ”
“এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না মিলান! শিম্পাঞ্জিটি এখনো অচেতন আছে! উচ্চ মাত্রার ড্রাগের ফলে শরীরের ভিতরকার সেলগুলো দুর্বল হয়ে পরেছে। ড্রাগ সঠিকভাবে কাজ করলে জেনেটিক চেইনে পরিবর্তন হয়ে এক সাধারণ শিম্পাঞ্জি থেকে উচ্চ-বুদ্ধিমান প্রাণিতে পরিণত হবে! জ্ঞান ফিরলে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে, আসলেই আমাদের গবেষণা সফল না বিফল!”
মিলান আর মরিস দুজনেই গহীন জংগলের মাটির ভিতর ছোট ল্যাবরেটরি বানিয়ে গবেষণা করছে। কারণ জীবন্ত প্রাণী নিয়ে এই ধরনের গবেষণা নিষিদ্ধ আছে বর্তমান পৃথিবীতে।
মিলান মরিসের কাঁধে মৃধ চাপ দিয়ে বলল “আমাদের এই গবেষণা সফল হলে সারা পৃথিবীতে হইচই পরে যাবে! কি বল?”
“জেনেটিক্স নিয়ে প্রাণীদের উপর এই ধরনের গবেষণা যে নিষিদ্ধ, ব্যাপারটা নিশ্চয়ই তুমি জান? মানুষ কিভাবে এই ব্যাপারগুলো গ্রহণ করবে, সেটা বড় বিষয়।”
“তুমি এগুলো নিয়ে ভেবো না, আমরা মানুষের বৃহত্তর কল্যাণের জন্য কাজ করছি। আমাদের এই গবেষণা গল্প সিনেমাকেও হার মানাবে, আমরা সফল হলে সুপার-হিউমেনে পরিণত হবে প্রতিটি মানুষ, রোগ-বালাই সম্পূর্ণভাবে জয় করবে মানুষ, এক-একজন সুপার-হিউমেন প্রায় এক-হাজার জন সাধারণ মানুষের থেকেও বেশী বুদ্ধিমান হবে“ কথাটা বলে উত্তেজনায় ঘামছে মিলান!”
দুজনেই দম বন্ধ করে বসে আছে কখন স্যাম্পল নাম্বার তিরানব্বই জেগে উঠবে। এসিতে হিমেল হাওয়ার মাঝেও উত্তেজনায় দরদর করে ঘামছে দুই মধ্যবয়স্ক বিজ্ঞানী।
দুই.
মিলান হতাশ,কাচের রুমের বাইরে থেকে তাকিয়ে তাকিয়ে আছে স্যাম্পল নাম্বার তিরানব্বই এর দিকে। সকাল থেকে তিন চার বার বমি করেছে, তাছাড়া দুই-তিন বার মল ত্যাগ করেছে এখানে সেখানে, পরীক্ষা শুরুর আগে অন্তত মল ত্যাগ করতে নিদিষ্ট জায়গা ব্যাবহার করত, এখন তারও বালাই নেই, যেখানে সেখানে মল ত্যাগ করেই ক্ষান্ত নয় বরং নিজের মল নিজের মুখ দিয়ে চেটে পুটে তৃপ্তি সহকারে গলধকরন করেছে। মুখ দিয়ে লালা ঝরছে, দু-চারবার মিলান আর মরিসকে খামছে দেবার চেষ্টা পর্যন্ত করেছে।
আপাতত ঘুমের ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পারিয়ে রাখা হয়েছে বেডটাতে । পায়ে শিকল দিয়ে বাধা যাতে কোন প্রকার ভাঙচুর জাতীয় কিছু না করতে পারে। মরিস শিম্পাঞ্জীটির যত্ন নিচ্ছে, পরম মমতায় মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে, রক্ত চাপ, মস্তিষ্কের তরঙ্গ এবং ব্লাড স্যাম্পল পরীক্ষা করে দেখছে!
মিলান সাধা এপ্রোন পরে মরিসের পাশে এসে দাড়িয়ে একটি দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল “এর আশা ছেড়ে দাও। আমাদের এই পরীক্ষা বিফল হয়েছে। নতুন করে সিমুলেশন করতে হবে। বুদ্ধিমান প্রাণী কখনো নিজের মল নিজে খাবে না, অস্বাভাবিক আচরণ করছে!”
“হুম, বুঝতে পারছি। তারপরও প্রোটোকল অনুসারে ব্রেইনটা ভালভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। আমি মস্তিষ্ক স্ক্যান করেছি আজ, পরীক্ষা করে দেখতে হবে ।”
“পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে লাভ নেই মরিস, ল্যাবরেটরিতে খেয়ে দেয়ে দেখতে এই কয়দিনেই কেমন বোম্বল দাস হয়েছে দেখতে, দেখছ? শরীরে এই কয়দিনেই বেশ মেদ জমেছে এবং অপকৃষ্ট আচরণ করছে। একে বাহিরে মুক্তভাবে ছাড়াও সম্ভব নয়, তাই সেবা যত্ন করে সুস্থ করে লাভ নেই! আমি কি বলতে চাইছি তুমি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ মরিস ?”
মরিসের এই অবুঝ প্রাণীটির জন্য মায়া হল। একটি প্রাণ সৃষ্টি করার তার কোন ক্ষমতা নেই, ঠিক তেমনি একটি জীবন নেবার ক্ষমতাও তার নেই। এর আগের বিরানব্বইটা স্যাম্পলের মারা যাওয়া তাকে ব্যথিত করেছে! নিজেকে মাঝে মাঝে খুব অপরাধী মনে হয় মরিসের।
একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে মোলায়েম সুরে বলল “আমি একে সুস্থ করে বাহিরে ছেড়ে দিতে চাই মিলান।”
মিলান মরিসের কথা শুনে কিছুটা মনক্ষুন্ন হল। এতটা আবেগ দিয়ে গবেষণা করা যায় না। মিলানেরও যে অবুঝ প্রাণীদের জন্য মায়া লাগে না তা নয় , তবে বড় কিছু পেতে হলে ছোট কিছুর ত্যাগ শিকার করতে হয়। ততক্ষণে স্যাম্পল নাম্বার তিরানব্বই জেগে উঠেছে। তার পায়ের শিকল খুলে নিচে নামিয়ে দিল মরিস।
“একি করছ? যে কোন সময় আক্রমণ করতে পারে মরিস?” বলল মিলান।
“দুর্বল শরীরে আক্রমণ করতে চাইলেও পারবে না মিলান। তুমি নিশ্চিন্ত থাকতে পার!”
মিলান একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল, গলা পরিষ্কার করে ঢোক গিলে আবার বলল “বাহিরের প্রাণীদের জন্য শিম্পাঞ্জীটি এখন বিপদজনক হতে পারে মরিস। ক্ষতিকর ভাইরাস হয়ত অন্য প্রাণীদের মাঝে ছড়িয়ে পরতে পারে। তুমি বুঝতে পারছ মরিস আমি অনেকক্ষণ ধরে তোমাকে কি বুঝাতে চাইছি? একটু থেমে আবার বলল একে বাঁচিয়ে রেখে লাভ নেই, আমারা রুম থেকে বেরিয়ে যাই, কন্ট্রোল রুম থেকে একটি বুতাম চাপলেই কাচের ঘরটি আটকে যাবে,দরজার উপরে লাল লাইট জ্বলে উঠবে, রুমটি হিম-শীতল হয়ে এক সময় হ্রদ-ক্রিয়া বন্ধ হয়ে আপনিই শান্তিতে মারা যাবে!”
“কোন মৃত্যুই শান্তির নয় মিলান। আগে চেক আপ করি, যদি কোন সমস্যা না হয় তাহলে একে ছেড়ে দিতে চাই।” কিছুটা জিদ করে কঠিন স্বরে বলল মিলান ।
মিলান মরিসের কথায় আর আপত্তি করল না কারণ সে জানে আপত্তি করেও কোন লাভ হবে না। একবার যেহেতু মরিস মনস্থির করে ফেলেছে একে ছেড়ে দিবে তাহলে ছাড়বেই!! ততক্ষণে এমআরআই মেশিনে স্যাম্পল নাম্বার তিরানব্বই মস্তিষ্ক স্ক্যানের তথ্য প্রবেশ করাল মরিস। রুমের মাঝখানটায় বড় আকৃতিতে ত্রি-মাত্রিক হলোগ্রাফিক চিত্র ভেসে উঠল, শিম্পাঞ্জীর উন্মুক্ত মস্তিষ্কের ভেসে উঠল, নিউরনগুলো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, দুজনই চোখ বড় বড় করে দুজন-দুজনের দিকে তাকাল।
“মস্তিষ্কের আকৃতি?” হাতে ধরে থাকা ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা পড়তে পড়তে বলল মিলান।
ত্রি-মাত্রিক ডিসপ্লেতে তাকিয়ে চোখ বড় বড় করে মরিস বলল “ইম্প্রেসিভ, ইম্প্রুভ।”
“মস্তিষ্কের ওজন?”
“ইম্প্রুভ।”
“নিউরনের ঘনত্ব?”
“ইম্প্রুভ।”
মরিস হাত দিয়ে মস্তিষ্কের লজিকাল, প্লানিং এবং ব্যবস্থাপন অংশটুকু এর দিকে ইশারা করতেই সেই অংশটুকু বড় আকারে দেখালও, বেশ সুসংহত দেখাচ্ছে সব কিছু।
“এর মানে কি তুমি বুঝতে পারছে? মানুষের থেকে উচ্চ বুদ্ধিমত্তা প্রাণিতে রূপান্তর হয়েছে! শিম্পাঞ্জীটি।”
“সর্বনাশ। স্যাম্পল তিরানব্বই এখন কোথায়? কিছুক্ষণ আগে-তো এই কক্ষেই ছিল?”
হঠাৎ খট করে একটি আওয়াজ হল, দুজনে পিছনে তাকাতেই দেখতে পেল কাচের দরজাটি আটকে গেল, শিম্পাঞ্জীটি এখানেই ছিল কিন্তু এখন আর দেখা যাচ্ছে না। দরজার উপরে লাল লাইটটি জ্বলে উঠল, রুমটি শীতল হতে শুরু করেছে। দুজনে আতংকে একজন আরেকজনের দিকে তাকাল, রুমের বাহিরে চোখ যেতেই স্বচ্ছ আয়নার ওপাশে শিম্পাঞ্জীটির চেহারা ভেসে উঠল, মানুষের মত দাড়িয়ে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তাদের দিকে । তার চোখ-মুখে বিদ্রূপের হাসি, হয়ত মনে মনে বলছে “ ‘বোঝ নাই ব্যাপারটা' নিপুণ অভিনয় যে কোন বুদ্ধিমান প্রাণীরই সহজাত প্রবৃত্তি” (শেষ)
১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: আইডিয়াটা কেমন , ঠিক বুঝতে পারছিলাম না!
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য!
২| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৩
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: গল্পের ভাষা প্রাঞ্জল কিন্তু আইডিয়া একেবারে নতুন নয়। অনেকদিন আগে একটি ছোট্ট কল্পগল্প পড়েছিলাম যেখানে কিছু গবেষক একটি মহাজাগতিক প্রাণি ধরেন এবং তার বুদ্ধিমত্তা পরীক্ষা করার জন্য তাকে একটি ঘরে আবদ্ধ রেখে দরজার লুকিং গ্লাসের ভেতর দিয়ে তার আচরণ পরীক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু যতবারই গবেষকগণ গ্লাসের ফুটোয় চোখ রাখতেন, তারা শুধু দেখতেন, দুটি চোখ ড্যাবড্যাব করে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। অর্থাৎ প্রাণিটিও গবেষকদের নিয়ে পরীক্ষা করছিল!
১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৫
কাছের-মানুষ বলেছেন: হুম , অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
কোন বুদ্ধিমান প্রানী নিখুত অভিনয় করে যে কাউকে বোকা বানাতে পারে এটাই ছিল এই গল্পের আইডিয়া।
৩| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:০৩
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনার লেখার হাত ভালো। লিখতে থাকুন অজস্র।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:১৫
কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আবারো ।
৪| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: আমার ভাগনীর নাম মিলান।
লেখা ভালো হয়েছে। লেখা অব্যহত রাখুন।
১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
৫| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:৫৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: প্লট প্ল্যানেট অব দ্য এ্যাপস - এর মতই্। তবে বর্ণনা সুন্দর...
১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৫৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে পাঠ ও প্রতিক্রিয়ার জন্য।
৬| ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৮
সুমন কর বলেছেন: ছোট গল্প হিসেবে ভালো লাগল। +।
১৪ ই এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:০৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।
পড়ার জন্য ধন্যবাদ রইল।
৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:৫৭
শান্তির দেবদূত বলেছেন: এটা ভালো লেগেছে। কাহিনীতে নতুনত্ব আছে সেই সাথে শেষে একটা চমকও আছে। তবে এতো ছোট, যেন চোখের পলকেই শেষ হয়ে গেল। কাহিনীর আরও ডালপালা ছড়াতে পারতেন।
এক জায়গায় লিখেছেন 'ড্রাগ' প্রয়োগ করে জেনেটিক্যালি পরিবর্তণ সাধন করা হয়েছে, আরেক জায়গায় দেখলাম ক্ষতিকর ভাইরাস। না কি এই ড্রাগটাই ভাইরাস? আমি কি কিছু মিস করেছি?
আশা করি লেখা চালিয়ে যাবেন। আপনার কাছ থেকে এমন ভালো মানের আরও সাই-ফাই পাব আশা করি। শুভকামনা রইল।
২১ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:৫২
কাছের-মানুষ বলেছেন: গল্পটা লেখে ভাবছিলাম আইডিয়াটা কেমন হল। এটা বড় করে লেখার স্কোপও ছিল, তবে অনেক সময়ই সময়ের কথা ভেবে ছোট করে লেখে ফেলি।
আপনি ঠিক ধরেছেন এক জায়গায় ড্রাগ এবং আরেক জায়গায় ভাইরাস লেখেছি, এতে অনেকেই কনফিউজড হতে পারে। আরেকটু ক্লিয়ার করা হয়ত উচিৎ ছিল। আমি যেটা
বুঝাতে চেয়েছিলাম এই ড্রাগটাই শরীরে বিভিন্ন রসায়নিক বিক্রিয়া করে ভাইরাসে রুপ নিতে পারে।
পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৭
চাঁদগাজী বলেছেন:
ওকে, কিছুটা নতুনত্ব আছে