নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‘মানুষ তার স্বপ্নের চাইতেও বড়’

কাছের-মানুষ

মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে বদলায়, অকারণেও বদলায় । তবে আমি মনে হয় আগের মতই আছি , কখনও বদলাবওনা মনে হয় ! !

কাছের-মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

কল্প-গল্প : বৃত্ত

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:০৩


এক.
গ্রাভিটেশনাল ফোর্সের তারতর্মের জন্য ল্যাবরেটরির জিনিষপত্রগুলো দুলে উঠল। টেবিলে রাখা অসিলেস্কোপ এবং মাল্টিমিটার যন্ত্রটি বাতাসে ভেসে আচরে পড়ল মেঝেতে। মাথার উপরে ঝুলে থাকা লাইটটি তীব্র আলোর ঝলকানি দিয়ে আবার স্বাভাবিক হয়ে গেল।

' গ্রাভিটিশনের সাথে সময়ের একটি নিবিড় সম্পর্ক আছে, বুঝলেন-তো ?' ক্ষুদ্র একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরীক্ষা করতে করতে বললেন বিজ্ঞানী গেইল।

উত্তরের অপেক্ষা না করেই বললেন ' এখন আমরা গ্রাভিটিকে যদি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি তাহলে কিন্তু সময়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। আমরা জানি গ্রাভিটির সাথে আবার ভরের একটি সম্পর্ক আছে, যেমন হালকা বস্তুর তুলনায় ভারি বস্তুর গ্রাভিটি বেশী। যদি একটি নিদিষ্ট রেডিয়াসের ভিতর অসীম ভর যুক্ত বস্তু তৈরি করতে পারি তাহলে সেখানে উচ্চ মাত্রা গ্রাভিটি পাব। ঠিক কিনা ?'

সামনের চেয়ারে বসা দীর্ঘদেহী লোকটি ঈষৎ বিরক্তি নিয়ে কথাগুলো শুনছিল। লম্বা দাড়িতে মুখমণ্ডল ঢেকে আছে, ঘন প্রশস্ত গোঁফ, তাতে অনবরত তা দিয়ে চলেছেন তিনি।

' হুম' বলেই অনিচ্ছা সত্বেও মাথা ঝাঁকিয়ে সমর্থন জানালেন লোকটি। গেইলের কথায় তার কোন ভ্রূক্ষেপ নেই দেখেই বুঝা যাচ্ছে। লোকটি বেশ অস্বস্তি নিয়ে চারদিকে তাকিয়ে পরখ করে নিচ্ছে।

হাতে ধরে থাকা ছোট ডিভাইস দেখিয়ে বললেন 'আমার স্বপ্ন আমি টাইম মেশিন বানাব, পৃথিবীর বিভিন্ন সময়ে ঘুরে বেড়াব, ইতিহাসের ঐতিহাসিক ঘটনাগুলো প্রত্যক্ষ করব, ভাবুনতো একবার আপনি আইনস্টাইনের সাথে বসে চা খাচ্ছেন অথবা নিউটনের সাথে বসে মাথায় আপেল পরা নিয়ে খোশ-গল্প করছেন! কেমন লাগবে ব্যাপারটা ?' গেইলের চোখটা খুশিতে চিক চিক করে উঠল।

তিনি বলে চললেন 'এই ডিভাইসটি বানিয়েছি যাতে একটি নিদিষ্ট রেডিয়াস জুড়ে গ্রাভিটি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। দেখতেই পাচ্ছেন এখনও পুরোপুরি সফল হইনি।'

এর ফিজিক্সটা কি আপনাকে বুঝিয়ে বলি বলেই বেশ উৎসাহ নিয়ে বলে চললেন গেইল 'ডিভাইসটার ভিতরে একটি অতি ক্ষুদ্র পারমাণবিক ব্যাটারি আছে যেটা দিয়ে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করা হয়। এই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড ক্রমাগত ফোটন ট্রান্সমিট করে। এই ফোটনের নিজস্ব ভর আছে। এখন যদি অসীম সংখ্যক ফোটন জেনারেট করে এর ভরকে এমপ্লিফাই করা যায় তাহলে কিন্তু অসীম ভর পাব যা দিয়ে সহজেই গ্রাভিটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আর গ্রাভিটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব।'

যতটা উৎসাহ নিয়ে বলছে গেইল, তততাই নিরুৎসাহিত হয়ে শুনছে আগন্তুক।

আরো কিছু বলতে যাচ্ছিল গেইল। তাকে থামিয়ে দিয়ে আগন্তুক প্রসঙ্গ পাল্টানোর সুরে বললেন 'আপনি একাই থাকেন ?'

'একাই থাকি বলা যায় না। এই যে ল্যাবরেটরিটা দেখছেন এটা আসলে একটি স্টোরেজ রুম ছিল, এটাকে এখন ল্যাবরেটরি বানিয়েছি। উপরের তলাতে আমি আমার পরিবার নিয়ে থাকি, পরিবার বলতে আমি আর আমার স্ত্রী এইতো। জনের কাছ থেকে নিশ্চয়ই আমার সম্পর্কে জেনেই এসেছেন, আমরা খুবই ভাল বন্ধু ছিলাম কলেজ লাইফে। জন কেন পাঠিয়েছে বলবেন ?'

'বলছি! আপনার স্ত্রীকে দেখছিনা আজ ?' গোঁফে তা দিতে দিতে বলল লোকটি

'বাসায় নেই এখন।'

'ওহ তাহলে আপনি একা ?' বলল লোকটি। চেহারায় শরিফ ভাব ছিল এতক্ষণ, সেটা উবে গিয়ে একটি ধুরন্ধর একটি ভাব ফুটে উঠল সেখানে।

একটি কৃত্রিম হাসি দিয়ে পুনরায় আগন্তুক বলল 'আমাকে কি চিনতে পেরেছেন ?'

'না! তবে কিছুটা চেনা চেনা লাগে! আমার কি আপনাকে চেনার কথা ?' বেশ বিভ্রান্ত হবার ভঙ্গিতে বলল গেইল।

লোকটি বেশ মজা পেল বলে মনে হল। নিজের মুখে লেগে থাকা কৃত্রিম লম্বা দাড়িয়ে টান দিয়ে খুলে ফেলল। তারপর টেবিলে ঝুঁকে এসে পড়ল।

গেইল আগন্তুকের চেহারায় তাকিয়ে যা দেখল তাতে ভূত দেখার মত চমকে উঠল।

'এটা কিভাবে সম্ভব ?' গেইলকে দেখে বুঝার উপায় নেই কত বড় বিস্ময় নিজের বুকে চাপা দিয়ে রেখেছে।

'আমি গেইল, আজ থেকে দশ বছর পরের গেইল।' বলেই পুনরায় চেয়ারে হেলান দিল লোকটি।

'আমি বুঝলাম না ?' শুকনো গলায় বলল গেইল।

'তুমি মানে আমরা দুজন সফল হয়েছি। আমাদের পরিশ্রম সফল হয়েছে, মানুষের যেই অধরা স্বপ্ন ছিল, যাকে এতদিন অসম্ভব ভেবে এসেছে, আমরা দুজন সেটাকে সফল করেছি। অবশেষে আমরা টাইম মেশিন বানাতে পেরেছি।'

গেইল বুঝতে পারছে না তার এই মুহূর্তে কি করা উচিৎ। প্রচণ্ড ভালোলাগা এবং বিস্ময়ের একটি মিশ্র অনুভূতি বুকের মাঝে ছড়িয়ে পরছে।

দুই.
'কিভাবে সম্ভব এটা ? কবে তৈরি হল আমাদের এই টাইম মেশিন? এখনও পর্যন্ত গ্রাভিটি ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না, কিভাবে হল? ' গেইলের প্রশ্ন যেন শেষই হচ্ছে না, বুকের ভিতর ধড়ফড় করছে তার।

হাফাতে থাকে গেইল, কথা বলতে বলতে ষ্টকের অক্সিজেন ফুরিয়ে গেলে লম্বা একটি দম নিয়ে ফের জিজ্ঞেস করল 'কবে সম্বব হল এটা ? '

'শান্ত হও জুনিয়র গেইল, আসতে আসতে সব বলছি! তুমি আমার দশ বছর আগের ভার্সন, সেই হিসেবে তোমাকে জুনিয়র গেইল বলতে পারি। আমি তোমার সিনিয়র তাই তুমি আমাকে সিনিয়র গেইল বলতে পার! কি বল ? ' হো হো করে শরীর ঝাঁকিয়ে হেসে বলল সিনিয়র গেইল।

'হুম' উৎসুক হয়ে তাকিয়ে জবাব দিল।

'আজ থেকে সাত বছর পর আমার মানে আমাদের দুজনের এই গবেষণা সফল হয়েছে। আমাদের হাইপোথেসিস কাজ করেছে, তবে ব্যাপারটা যত সহজে বললাম ব্যাপারটা তা নয়, অনেক ইরর এবং ট্রায়ারের ভিতর দিয়ে যেতে হয়েছে আমাদের, টাইম সমীকরণের বিভিন্ন মানের জন্য পরীক্ষা করতে হয়েছে।' জীব দিয়ে ঠোট ভিজিয়ে বলল সিনিয়র গেইল।

'নিশ্চয়ই পৃথিবীতে তুমি বিখ্যাত হয়ে গেছ, টাকা পয়সার অভাব নেই, সুখে শান্তিতে আছ, নিজের খ্যাতিকে উপভোগ করছ ? '

'সময়ের সাথে মানুষের জীবনের পারসেপশন পরিবর্তন হয়, মানুষ এক সময় যেই জিনিষটাকে না পেলে জীবন বৃথা ভাবে, জীবনের একটা সময়ে মনে হয় সেই জিনিষটার পিছনে বৃথাই সময় নষ্ট করেছে। জীবনের চলার পথে নতুন অভিজ্ঞতা হয়, নিজের ব্যক্তিত্বের, আদর্শের জায়গার পরিবর্তন এবং পরিমার্জিত হয়ে পরিপূর্ণতা লাভ করে! সাফল্য বলতে আমি দশ বছর আগে মানে তুমি এখন যা ভাবছ এক সময় পরিবর্তন হবে।' বলেই থেমে যায় সিনিয়র গেইল।

নীরবতা ভেঙ্গে আবার বলে 'সফলতা বলতে যদি ভাব টাকা পয়সা, খ্যাতি তা হলে বলতে পার আমি সুখে আছি!' কেমন কৃত্রিম একটি হাসি দেয়।

'আমি ঠিক বুঝলাম না ? '

'দিনকে দিন তুমি আরও ব্যস্ত হয়ে পরবে, টাইম মেশিন বানানোর নেশা তোমাকে পেয়ে বসবে, নিজের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক জীবন থেকে দূরে সরে যাবে, তোমার স্ত্রী তোমাকে ছেড়ে চলে যাবে, এক সময় তুমি একা হয়ে যাবে আমার মত।' সিনিয়র গেইলের কণ্ঠে হতাশা ঝরে পড়ে।

একটু থেমে আবার বলে 'আমাদের প্রজেক্ট সফল হয়েছে, তবে একটা সমস্যা আছে' দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে সিনিয়র গেইল।

'কি সমস্যা ? '

'টাইম ট্রাভেল করে শুধু অতীতে যেতে পারি, কিন্তু ভবিষ্যতে ফিরতে পারি না! বুঝতেই পারছ আমি আর ভবিষ্যতে ফিরে যেতে পারব না।'

'তোমার সেই টাইম মেশিনটা কোথায়? সেটি পরিবর্তন করে দুজন মিলে হয়ত ভবিষ্যতে যাবার উপযোগী করতে পারি' বলল জুনিয়র গেইল।

'তুমি টাইম মেশিনটাকে মনে হয় পোর্টেবল ডিভাইস ভাবছ, ব্যাপারটা তেমন নয়, সেটা ভবিষ্যতে আছে। তাছাড়া আমি ফিরে যাবার জন্য আসিনি। আমি আমার জীবন নতুন করে শুরু করতে চাই, আমি জীবনে যেই ভুলগুলো করেছি, সেগুলো আর করতে চাই না।' বলেই ধূর্তের মত হাসি দিল সিনিয়র গেইল।

'বুঝলাম না।'

'বুঝতেই পারছ। একই সময় দুই গেইল এক সাথে থাকতে পারবে না! হয়তো তুমি নয়ত আমি, দুজনের একজন থাকতে হবে!আমি ব্র্যান্ড নিউ জীবন শুরু করতে চাই।' বলেই পকেটে হাত দিয়ে লেজার গানটা বের করে সিনিয়র গেইল।

বুকের ভিতরটা মোচর দিয়ে উঠে জুনিয়র গেইলের।

'এটা তুমি করতে পার না!' আতঙ্কিত কণ্ঠে বলে জুনিয়র গেইল।

লেজার গান দিয়ে শূর্ট করে জুনিয়র গেইলের কপাল বরাবর।

কয়েক মিনিট পরে দরজায় কড়া নারার শব্দে পিছনে তাকায় সিনিয়র গেইল। কেউ একজন লেজার গান দিয়ে তাকে গুলি করে বলে 'আমি আবার তোমার দশ বছর পরের গেইল, ব্র্যান্ড নিউ জীবন শুরু চাই।' কিছুক্ষণ পর আরেকজন এসে তাকে আবার গুলি করে বলে 'আমি তোমার দশ বছর পরের ভার্সন, ব্র্যান্ড নিউ জীবন শুরু চাই।' এভাবে চলতেই থাকে চক্র, এক জনের পর আরেক জন এসে নিজেই নিজেকে মারতে থাকে।




মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: সুন্দর গল্প, ভালো লাগলো

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের অনেক ধন্যবাদ প্রিয় কবি।

২| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৯

সনেট কবি বলেছেন: ভাল লিখেছেন।

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:২৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল সনেট কবি।
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।

৩| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: শেষটায় এসে থমকে গেলাম!

অবিরমা চক্র! তাও শুধু ব্যাক এন্ডে এসে! ভবিষ্যতেতো যেতেই পারছে না।
অতীতে একে নিজেই নিজেকে খুন করছে একের পর এক!
মাথা ঘুরুন্টি মারছে ;) :P হা হা হা

গল্পে ভাললাগা

+++

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: লজিকালি চিন্তা করলে মাথা ঘুরানোরই কথা! নিজের দশ বছরের পুর্বের ভার্সনের কিছু হলে
নিজের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ার কথা! এখানে একটি প্যারাডক্স সৃষ্টি হয়েছে।

গল্প পড়েছেন এবং ভাল লেগেছে জেনে অনুপ্রাণিত হলাম। :)

৪| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:



১০ বছরের পুরানো গেইলের শেষ কোথায়?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৫৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: এর কোন শেষ হবার কথা নয়, এই চক্র এভাবেই চলতে থাকবে লজিক অনুসারে।
বলতে পারেন একটি অসীম লুপের মধ্যে আটকা পরেছে গেইল!

৫| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৯:৫৪

ওমেরা বলেছেন: গল্প পড়ে আমার মাথা ঘুরাচ্ছে মনে হচ্ছে দশ বছর পরের আমাকে দেখতে পাচ্ছি তার পরে, পরে ——— আপনাকে ধন্যবাদ দেয়া গেল না ভাইয়া। হি হি হি ———

ধন্যবাদ ভাইয়া -

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪০

কাছের-মানুষ বলেছেন: হা হা! মাথা ঘুরানোরি কথা ওমেরা ।
ভবিষ্যতে এই মেশিন বের হলে, নিজের আগের ভার্সনের সাথে দেখা হলে কি বলবেন ঠিক করে রাখুন আগেই! বলাতো যায় না বিজ্ঞান যেভাবে আগাচ্ছে !!!!

পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

৬| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৪০

পুলক ঢালী বলেছেন: ভীষন একটা সাইন্স ফিকশন লিখেছেন ওয়ান ওয়ে ট্রাভেলের চক্র ফাঁদ যা থেকে অসীম কাল পর্যন্ত বের হবার কোন সুযোগ নেই। কেউ যদি অতীত ভ্রমন করে তাহলে অতীত পরিবর্তন হয়ে গিয়ে বিশৃংখলার সৃষ্টি হবে যেমন আমার জন্মের সময়ে গিয়ে যদি আমাকে খুন করে আসি তাহলে ভবিষ্যতের আমি থাকি কি করে?
সুন্দর লিখেছেন ভাল লাগা রইলো।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

কাছের-মানুষ বলেছেন: হুম গল্পে একটি প্যারাডক্স আছে একমত। নিজেকে নিজে মারলে নিজের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে এতে সন্দেহ নাই। অথবা
যখনই সে নিজেকে মারবে তখন সেখান থেকে আরেকটি ইউওনিভাস শুরু হবে যেই ইউনিভার্স সে ছাড়া সবাই থাকবে।

মনযোগ সহকারে পড়ার ধন্যবাদ রইল। মন্তব্যের জন্য অনুপ্রাণিত হলাম।

৭| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: কোন কোন নওজোয়ান কই থাকে? দেখা পাওয়া যায় না!!


লাইক প্রদান করিয়া, পড়া শুরু করলুম।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪১

কাছের-মানুষ বলেছেন: এইতো একটু বিজি আছি। একটু ব্যাস্ততা কমলে সময় দিতে চেষ্টা করব আবার।

লাইক ও কমেন্টের জন্য নওজোয়ানকে ধন্যবাদ প্রধান করা হল।

৮| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১০

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: পুরোটা পড়লাম। দারুন গল্প।




পছন্দের লাইন:
'সময়ের সাথে মানুষের জীবনের পারসেপশন পরিবর্তন হয়, মানুষ এক সময় যেই জিনিষটাকে না পেলে জীবন বৃথা ভাবে, জীবনের একটা সময়ে মনে হয় সেই জিনিষটার পিছনে বৃথাই সময় নষ্ট করেছে।

@ কয়েক মিনিট পরে দরজায় কড়া নারার শব্দে পিছনে তাকায় সিনিয়র গেইল। কেউ একজন লেজার গান দিয়ে তাকে গুলি করে বলে 'আমি আবার তোমার দশ বছর পরের গেইল, ব্র্যান্ড নিউ জীবন শুরু চাই।' কিছুক্ষণ পর আরেকজন এসে তাকে আবার গুলি করে বলে 'আমি তোমার দশ বছর পরের ভার্সন, ব্র্যান্ড নিউ জীবন শুরু চাই।' এভাবে চলতেই থাকে চক্র, এক জনের পর আরেক জন এসে নিজেই নিজেকে মারতে থাকে।
(অসীম লুপ ব্যাপারটা কেমন হল না? এটার ফাইন টিউনিং করা দরকার।)
লেখকবলেছেন: এর কোন শেষ হবার কথা নয়, এই চক্র এভাবেই চলতে থাকবে লজিক অনুসারে।বলতে পারেন একটি অসীম লুপের মধ্যে আটকা পরেছে গেইল!
(কথাটা বুঝিনি। মানে, লুপ চলবে কোন লজিকে)

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪২

কাছের-মানুষ বলেছেন: লুপ চলবে কোন লজিকে

ধরা যাক গেইল দশ বছর আগের গেইলকে মেরেছে কারন সে তার জীবনে যেই ভুল করেছে তা আর করতে চায় না। যেহেতু পূনরায় গেইল ফিরে এসে আবার পূর্বের গেইলকে মারে এসে তখন বুঝা যায় সে যখন তার জীবন শুরু করেছে তখন স্বাভাবিক ভাবে আবার টাইম মেশিন বানানোর জন্য লেগে গিয়েছি যেহেতু সে খ্যাতি এবং টাকা পয়সার নেশাও ছাড়তে পারেনি। খ্যাতি, টাকা পয়সা এবং একাকিত্বের মাঝে তাকে চয়েস করতে হত।তাই সে একটি লুপে আটকে গেছে।

যাইহোক ইন্ডিংটা এমন ভাবে করেছি যাতে পাঠক নিজের মত করে কিছু একটা ভেবে নেয়, কেউ যদি ভাবে এক সময় এই লুপ ব্রেক করবে তাহলে মনে করতে পারে। আবার যদি কেউ ভাবে লুপ ব্রেক করবে না তাহলেও আমার কোন সমস্যা নেই।

পড়ার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৯| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:১৪

পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: @ ডিভাইসটার ভিতরে একটি অতি ক্ষুদ্র পারমাণবিক ব্যাটারি আছে যেটা দিয়ে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি করা হয়। এই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ড ক্রমাগত ফোটন ট্রান্সমিট করে। এই ফোটনের নিজস্ব ভর আছে। এখন যদি অসীম সংখ্যক ফোটন জেনারেট করে এর ভরকে এমপ্লিফাই করা যায় তাহলে কিন্তু অসীম ভর পাব যা দিয়ে সহজেই গ্রাভিটিকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আর গ্রাভিটিকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব।'

ফোটনের ভর তো শূন্য ধরা হয়!
(ফোটন কণার ভর নেই, কথাটা সত্যি না। আসলে ফোটনের নিশ্চল ভর 0, অর্থাৎ গতিশীল অবস্থায় এর ভর থাকে। আর একমাত্র নিশ্চল ভর শূন্য বলেই এই কণা জগতের সর্ব্বোচ্চ বেগে(আলোর বেগ,c) গতিশীল থাকে। অন্যভাবে বললে, ফোটনকে তার নিশ্চল ভর 0 রাখতেই সবসময় c বেগে গতিশীল থাকতে হয়। কারণ কোন কণার c বেগে গতিশীল হওয়ার শর্তই হল সেই কণাটির নিশ্চল ভর শূন্য হওয়া। আর গুণ আমাদের পরিচিত জগতে কেবল ফোটনেরই আছে।)


মানুষের বুদ্ধি দিয়ে টাইম ট্রাভেল সম্ভব নয়। মানে একসাথে দুটো গেইল। আমার লজিক তো তাই বলে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৪৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: ফোটনের ভর তো শূন্য ধরা হয়!

সাধারণত ফোটনের মাস শূন্য ধরা হয় এতে কোন ভুল নেই, এর জন্যই আলোর গতিতে পৌছতে পারে।

আইনস্টাইনের সূত্র মতে আলোর গতির কাছাকাছি বা বেশী গেলে টাইম ট্রাভেল করা সম্ভব, কিন্তু এতে সমস্যা হল
মাসলেস ফোটনের গতিতে (গতিশীল অবস্থায় যেই মাস থাকে সেটাকে নিগলেট করা যায়) মানুষ যেতে পারবে না এবং টাইম ট্রাভেলো করতে পারবে না বলা যায়। তারপরও অনেক গল্পে এবং মুভিতে দেখা যায় এই গতিশীল যান দিয়ে চরিত্রগুলো টাইম ট্রাভেল করছে!

আমার গল্পে চিরাচরিত সে দিকে না গিয়ে ভিন্ন কিছু বুঝাতে ফোটনের মাস দিয়ে ট্রাভেল করার একটি হাইপথেসিস ব্যাবহার করেছি, যেহেতু ছোটাছুটি বা গতিশীল অবস্থায় মাস কিছুটা থাকে। সাইফাই গল্পে কোন বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাকে হাই লেভেলের চিন্তা করে লজিক দার করানো হয় এতে প্রতিবন্ধকতা খুব আমলে নেয়া হয় না। বৈজ্ঞানিক থিওরিগুলোকে 'যদি এটা হত', 'ওটা হত' বিচার করে একটি লজিক দার করানো হয় সাধারণত।

তবে নওজোয়ানের সাথে আমি একমত ফোটনকে ডাইরেক্ট মাসলেস বললে কনফিউজড হবার সম্ভবনা আছে, আমি এই লাইনে কিছু ব্যাখ্যা দিয়ে আরেকটু বিশদভাবে লেখব গল্পে যখন আপডেট করব।

মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য ধন্যবাদ অনেক।

১০| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:২৯

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাল লিখেছেন।
সাইন্সফিক্সান আমারও লেখার ইচ্ছা হয়

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: সাইফাই ব্লগে কম আসে, লিখে ফেলুন। পাঠক হিসেবে পাশে আছি সবসময়।
পাঠ ও মন্তব্যের ধন্যনাদ অনেক ধন্যবাদ।

১১| ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১১:৪৩

সুমন কর বলেছেন: বর্ণনা এবং গল্প এবার ভালো হয়েছে। +।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: বুঝতে পারছিলাম না কেমন হল।
আপনার ফিডব্যাক আমার লেখাকে অনিপ্রাণিত করে সবসময়।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

১২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:০০

রাকু হাসান বলেছেন:

বাহ চমৎকার কল্পকাহিনী । অনেক দিনপর পড়লাম কল্পকাহিনী । এই টপিকে ব্লগে লেখা কম হয় । বেশ ক’দিন পর লিখলেন ।
গল্পে একটি প্রশ্ন গেঁথে দিয়েছিলেন পাঠকের মনে গল্পের প্রথম দিকে । আমি বুঝতে পারিনি কে বা কার সাথে কথা হচ্ছে । সে মেয়ে নাকি ছেলে । অবশ্য আস্তে আস্তে সব পরিষ্কার হয়েছে । শেষ দারুণ হয়েছে । একটি সার্থক গল্পে যা হয় আর কি । টাইম মেশিন আবিষ্কারের ফলে যদি এই খুনাখুনি হয় তাহলে তো জীবনে এ ছাড়া কোনো কাজ থাকবে না :)
তার চেয়ে বরং টাইম মেশিনের পেছনে না ছুটি :)
আরও গল্প চাই । :-B

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৫:৫৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: হুম ঠিকই বলেছেন অনেক দিন পর লেখলাম।
ব্যাস্ততার মাঝে সময় বের করা লেখা একটু কঠিন তারপরও আমার চেষ্টা থাকে মাসে অন্তত একটি কল্পকাহিনী লেখার। অন্য একটি ক্যাটাগরির লেখা লেখছিলাম মাঝে
কিন্তু পড়ে দেখি নিজেরই পছন্দ হয়নি তাই আর পোষ্ট করা হয়নি।

আপনার মন্তব্যে গল্পের কিছু দিক উঠে এসেছে।

অনুপ্রাণিত হলাম এবং মনযোগ সহকারে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল অনেক।

১৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:২৩

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: শেষের অংশে একটু সমস্যা আছে। একেক জন আসছে আর ১০ বছরের কম বয়সই version-কে খুন করছে। সেটা ঠিক আছে। যারা আসছে তাদের বয়স ১০ বছর করে বাড়ছে। সেটাও ঠিক আছে।

কিন্তু মানুষের গড় আয়ু বলে তো একটা কথা আছে! এক সময় ভবিষ্যতের লোকটা এত বুড়ো হবে যে অতীতে যাওয়ার আগেই মারা যাবে। তখনই তো ওই never ending cycle থেমে যাওয়ার কথা!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনি ঠিক ধরেছেন।

এখানে গেইল একটি চক্রের ভিতর পড়েছে। সে হয়ত তার নিজের জীবনের পুরো সময়টাই এই দশ বছর সময়ের
ভিতর আটকে থাকবে এবং নিজেই নিজেকে মারতে থাকবে । শেষটায় এই মেসেজি দিতে চেয়েছি।

অথবা লুপটা একটি পর্যায় এসে থেমেও যেতে পারে বা চলতেও পারে। তাই গল্পের শেষে একেবারে কনকুলেশোন টানা হয়নি যেমন লুপটা কি অসীম সময় পর্যন্ত চলবে নাকি নিজের জীবনের সময়কাল পর্যন্ত, এটা পাঠকের উপর ছেড়ে দিয়েছি।

আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং মন্তব্য করেছেন কৃতজ্ঞতা রইল অনেক।

১৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৩৩

অনেক কথা বলতে চাই বলেছেন: Time traveling নিয়ে আমার অনেক fascination। তাই গলপোটা ভাল লাগলো।

Google search করে একটা ছবি দেখুন। ষাটের দশকের সাদাকালো ছবি। কিছু মানুষের মাঝে একজন রহস্যময়ী, চোখে sun-glass পরে আছে। অথচ তখনও sun-glass কেউ invent করেনি! অনেকে বলে লোকটা নাকি একজন time traveler ছিলো!

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০০

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার সাথে আমার মিল আছে দেখছি।
আমার নিজেরও এই জেনরিটা অনেক ভাল লাগে।
এই জেনরিতে অনেক প্যারাডক্স এবং প্রতিবন্ধকতা আছে ঠিকই তারপরও আমার ভাল লাগে।
গুগলে অনেক কিছু আমিও দেখেছি , তবে এগুলো ফেইক। আমার বিশ্বাস হয় না কেন জানি।

ধন্যবাদ অনেক।

১৫| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১২:৪৬

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: গল্পটা ভালোই এগিয়েছিলো। শেষে এসে খুব আরোপিত হয়ে গেলো। ফিনিশিং টাচ টা অন্যভাবে দেয়া যায় নাকি ভেবে দেখতে পারেন।
শুভকামনা! অনেক অনেক লিখতে থাকুন :-B

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

কাছের-মানুষ বলেছেন: পাঠ ও প্রতিক্রিয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম, আসলে আমার উদ্দেশ্য ছিল একটা প্যারাডক্সে দার করানো, আরো কিছু ইন্ডিং মাথায় ছিল, শেষে এটা চয়েস করলাম।
এই জেনরিতে আরো লেখার ইচ্ছে আছে, এর পরেরগুলোতে বৈচিত্র আনার চেষ্টা করব।

১৬| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১২

রাজীব নুর বলেছেন: গল্প এবং সবার মন্তব্য গুলো পড়লাম।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০১

কাছের-মানুষ বলেছেন: গল্প এবং সবার মন্তব্য পড়েছেন জেনে ভাল লাগল।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৭| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ১২:২০

আরজু পনি বলেছেন: সবটা খুব ভালো লেগেছে শেষের প্যারাটা ছাড়া।
শেষটা নিয়ে আরেকটু ভাবতে পারেন।
বয়সও একটা ব্যাপার।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

কাছের-মানুষ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম বয়স একটি সমস্যাতো বটেই তবে গল্পটায় আমি ভেবেছি হয়ত ২৫ এবং ৩৫ এ খুব একটি আহামরি পরিবর্তন হবার কথা নয় হয়ত। তবে আরো অন্যরকমভাবে শেষ করারও উপায় ছিল।

১৮| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৩:৩৫

নজসু বলেছেন: গল্প গল্পের মতোই চলছিল ।
বেশ আয়েশ করে পাঠ করছিলাম।
শেষটায় এসে চমকে গেলাম।
গেইলেরা কখনও শেষ হবে না।
অবিরাম চলতেই থাকবে এদের পথচলা।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০২

কাছের-মানুষ বলেছেন: গল্পটি পড়েছেন এবং ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
আপনার মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

১৯| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ বিকাল ৪:১৩

আখেনাটেন বলেছেন: এখানে গতরাতে আমি একটি মন্তব্য করেছিলাম মনে হয়।

যাহোক চমৎকার কল্প গল্প। জীবন নামক প্রোগ্রামিং ধাঁধায় অাটকে পড়েছে গেইল।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: টেকনিক্যাল কোন সমস্যা কিনা বলতে পারছি আমি কিন্তু পাইনি আপনার মন্তব্য!!

যাইহোক আপনি আবার মন্তব্য করেছেন এবং ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল অনেক।

পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল ।

২০| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৭

প্রামানিক বলেছেন: কল্প কাহিনী পড়ে বেশ ভালো লাগল। ধন্যবাদ আপনাকে।

০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:১৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ।

২১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:০৪

পবন সরকার বলেছেন: খুব ভালো লাগল।

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।

২২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:৫৫

সূর্যালোক । বলেছেন: গল্প নিয়ে অনেকে বললো ,পরে আসলাম । চমৎকার গল্প পড়লাম । পুলক ঢালী ভাইয়ের সাথে একমত

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:১৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার ভাল লেগেছে জেনে আনন্দিত হলাম।
পাঠ ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

২৩| ০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

খাঁজা বাবা বলেছেন: ভাল লেগেছে
তবে এভাবে ১০ বছরের সার্কেল চলতে থাকলে আমাদের কি হবে?

০৬ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:২০

কাছের-মানুষ বলেছেন: এই সার্কেলটা শুধু গেইলের জন্য প্রযোজ্য হবে কারন সে টাইম মেশিন ব্যাবহার করছে। বাকি সবার ক্ষেত্রে সময় স্বাভাবিক নিয়মে প্রভাহিত হবে।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল অনেক।

২৪| ১০ ই অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪

ফারিহা হোসেন প্রভা বলেছেন: আমার এখনো মাথা ব্যাথা আছে এই টাইম ফিকশন নিয়ে। আরো কিছু পোষ্ট চাই এই ব্যাপারে।

১১ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
হুম, আমার এই জেনরিতে আরো গল্প লেখার ইচ্ছা আছে।
তাছাড়া কিছু বিজ্ঞান পোষ্ট করেছিলাম ব্লগে এই টাইম ট্রাভেল, আপেক্ষিক তত্ত্ব ইত্যাদি নিয়ে।

২৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২১

নজসু বলেছেন: আপনার নতুন গল্প পাচ্ছিনা কিন্তু।
আপনার লেখা গল্পগুলো খুব আকর্ষণীয় হয়ে থাকে।

৩১ শে অক্টোবর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৩৬

কাছের-মানুষ বলেছেন:
কাজ নিয়ে একটু ব্যাস্ত সময় পার করছি, সামনের সপ্তাহ পর্যন্ত কিছুটা ব্যাস্ত থাকব।

মাথায় একটি প্লট আছে, সময়ের অভাবে লেখতে পারছি না। ফ্রি হলে লেখব।

খোজ নেবার জন্য প্রীত হলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।

২৬| ১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২০

নজসু বলেছেন:




আপনার ব্যস্ততা দ্রুত কেটে যাক এবং কাজে সফলতা আসুক এই কামনা করছি।

১২ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:১৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

২৭| ২১ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:১৫

শান্তির দেবদূত বলেছেন: এই গল্পটা অনেক আগেই পড়েছিলাম। বিস্তারিত আলোচনার করবো বলে আর তখন কমেন্ট করা হয়নি।

গল্পের কনসেপ্টটা দারুন ছিলো। তবে এখানে একটা প্যারডক্সের তৈরী হয়েছে।
ভবিষ্যত থেকে সিনিয়র গেইল এসে যদি জুনিয়র গেইলকে মেরেই ফেলে তাহলে সাত বছর পর জুনিয়র গেইল কিভাবে টাইম মেশিনটা বানালো? অবশ্য এই গ্যান্ডফাদার প্যারাডক্স খুবই কমন একটি ফেক্টর টাইম ট্রাভেলিং সাইন্স ফিকশনে। তাই এটাকে ইগনোর করলেও সমস্যা নেই। গল্প পড়ে আনন্দ পাওয়াটাই জরুরী; সেটা এই গল্পে ভালোই পেয়েছি।

আরেকটা বিষয়, উপরে একজন প্রশ্নটা অলরেডি করেছে। লুপটা একটা সময় গিয়ে থেমে যাবে বয়সের বৃদ্ধির কারনে। সেই কমেন্ট আর সেটার রিপ্লাইটা পড়ে বিষয়টা ক্লিয়ার হয়েছে।

আরও লিখুন। অনেকে সাইন্স ফিকশন লিখে, কিন্তু পর্যাপ্ত লজিক ও ব্যাখ্যা না থাকে না; ফলে সাইন্সের চেয়ে ফ্যান্টাসিই বেশি মনে হয়। আপনার মধ্যে নতুন কন্সেপট, প্রকৃত বিজ্ঞান যুক্ত করে সাইন্স ফিকশন লেখার প্রবনতা দেখতে পাচ্ছি। এই স্টাইলটা আমার খুবই পছন্দের। আরও বড় করে, বিস্তৃত প্লটে লেখা চেষ্টা করুন, যাতে আমার মতো কল্প-গল্প পাঠকরা পড়ে তৃপ্ত হয়। শুভকামনা রইল।

২১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: অনেধ ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার মন্তব্য পেলে সত্যিই ভাল লাগা কাজ করে।

হুম, আপনি ঠিক বলেছেন, এখানে একটি প্যারাডক্স তৈরি হয়েছে, আসলে গল্পে এরকম একটি ব্যাপারই তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। আপনি ঠিক বলেছেন লুপ এক সময় থেমে যাবে বয়স বাড়ার কারনে, তবে গল্পে এই ব্যাপারটা ইচ্ছে করেই আর কনক্লুশন টানিনি, যেটা উপরেও একজনকে বলেছি।

আমি সাধারণত সাইন্স ফিকশানে যেটুকু সাইন্স না টানলেই নয় সেগুলোই ব্যাবহার করার চেষ্টা করি যাতে গল্প লজিকাল মনে হয় এবং হার্ড সাইফাই যাতে না হয়। নতুন একটি গল্প লেখা শেষ করেছি কয়েক সপ্তাহ হল, সেটাকে ঘষা মাজা করার সময় পাচ্ছি না (কাকতালীয় ভাবে আপনার নতুন লেখার গল্পের নায়কের নামের সাথে আমার নামটা মিলে গেছে, আমি নামটা পরিবর্তন করব হা হা)। আমি আসলে কোন গল্প এক নাগারে লেখে শেষ করতে পারি না, পুরো প্লট এবং ডায়ালগ মাথায় না আসা পর্যন্ত লেখা বেরোতে চায় না। বড় গল্প লেখার চেষ্টা করব একটু ফ্রি হলে।

২৮| ২১ শে মে, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৭

শান্তির দেবদূত বলেছেন: বাহ! আসলেই কাকতালীয় ব্যাপার তো!
আপনার মতো আমারও একই অবস্থা। আমি প্রথমে সম্পূর্ণ প্লট, গাথুনী, ডায়লগ মুটামুটি মনেমনে সাজাই। সব ঠিক হয়ে গেলে তারপর লেখা শুরু করি।
যাও, আপনার নতুন গল্পের অপেক্ষায় থাকলাম। শুভকামনা রইল।

২২ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৩:০৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পূনরায় মন্তব্যের জন্য।
আমার নতুন গল্প আসতে কিছুটা দেরি হবে, ঘষা মাঝা সময় পাচ্ছি না আপদত।
দেখি সময় নিয়ে বসতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.