নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‘মানুষ তার স্বপ্নের চাইতেও বড়’

কাছের-মানুষ

মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে বদলায়, অকারণেও বদলায় । তবে আমি মনে হয় আগের মতই আছি , কখনও বদলাবওনা মনে হয় ! !

কাছের-মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"তুমি বন্ধু কালা পাখি আমি যেন কি?"

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:২৭

বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি অত্যন্ত শক্তিশালী লেখক হিসেবে সমাধৃত, তিনি একাধারে কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক। আমার প্রিয় তার অসাধারণ একটি উক্তি আছে "“আমরা সবাই পাপী; আপন পাপের বাটখারা দিয়ে; অন্যের পাপ মাপি।”"।

কবির আরো কিছু বিখ্যাত উক্তি “হে দারিদ্র্য তুমি মোরে করেছ মহান।তুমি মোরে দিয়াছো খ্রিস্টের সম্মান।” তাছাড়া “অভাবের দিনে প্রিয় অতিথি আসার মতো পীড়াদায়ক বুঝি আর কিছু নেই। শুধু হৃদয় দিয়ে দেবতার পূজা হয়তো করা যায়, কিন্তু শুধু হাতে অতিথিকে বরণ করা চলে না।” কবিতায় বুঝা যায় কবি যথেষ্ট অর্থকষ্টে ছিলেন, শুধু শুধু-তো আর পেট থেকে এমন কবিতা বের হয় না! তবে অর্থকষ্ট তাকে প্রেম প্রীতি থেকে আটকাতে পারেনি, যেমন “তোমারে যে চাহিয়াছে ভুলে একদিন, সে জানে তোমারে ভোলা কি কঠিন।” এবং “প্রেম হল ধীর প্রশান্ত ও চিরন্তন।” প্রেম নিয়ে কবির বানী প্রমাণ করে কবি একজন পোড়-খাওয়া প্রেমিক।

কবি নজরুল যে শুধু প্রেম প্রতি নিয়েই থাকতেন তা নয়, অনেক অনুপ্রেরণামূলক কবিতাও প্রসব করেছেন তিনি, আমরা অনেকেই ছোট বেলায় এই কবিতাটি পড়েছি, “আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে? তোমার ছেলে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে।” কবি নজরুলের আধুনিক বিশ্ব সম্পর্কেও ভাল ধারনা ছিল বা খোজ খবর রাখতেন নিশ্চয়ই তাইতো লিখেছেন “বিশ্ব যখন এগিয়ে চলেছে, আমরা তখনও বসে বিবি তালাকের ফতোয়া খুঁজেছি, ফিকাহ ও হাদিস চষে।” তবে কবি নজরুল সবচেয়ে বেশী পরিচিত বিদ্রোহী এবং সাম্যের কবি হিসেবে, তার সেই বিখ্যাত উক্তি “মহা বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত। যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে-বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়ুগ কৃপাণ ভীম রণ, ভূমে রণিবে না-বিদ্রোহী রণ-ক্লান্ত আমি সেই দিন হব শান্ত।”

মৃত্যু নিয়েও কবি ভেবেছে তাইতো পেট থেকেই বেড়িয়েছি এমন কবিতা, “মসজিদেরই পাশে আমার কবর দিও ভাই, যেন গোরে থেকেও মোয়াজ্জিনের আজান শুনতে পাই।”

যাইহোক আমার আজকের লেখার বিষয়বস্তু কবি নজরুল নয়, তাকে নিয়ে লেখার জন্য অনেক পণ্ডিত এবং হেভি-ওয়েট লেখক আছেন। আমার লেখার বিষয়বস্তু যে কি নিজেও খেই হারিয়ে ফেললাম দেখি, আমার অবস্থা হচ্ছে "তুমি বন্ধু কালা পাখি আমি যেন কি?, বসন্ত কালে তোমায় বলতে পারিনি" । গানটি আণ্ডা-বাচ্চা যুবা থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সবাই বেশ লুফে নিয়েছে, হয়ত অনেকে জীবনের সাথে কিছুটা মিল পেয়েছেন তাই। আসলে গান বাজনা হোক বা অন্য কিছু যদি তা জীবনের কথা বলে, নিজেকে কো-রিলেট করতে পারে মানুষ সেটা অনেকদিন বেচে থাকে!

কি লিখতে চাইলাম আর কি লেখছি, আমার চোখে এখন "সাধা সাধা কালা কালা রং জমেছে সাধা কালা"! যাইহোক কিছুদিন আগে বাংলাদেশের মেয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন হল এতে আমি আনন্দিত এবং খুশি। মেয়ে মানুষ দেখতে আমার ভাল লাগা, পাঠকরা আমাকে ভুল বুঝবেন না, অনেক নারীবাদীরা তেড়ে আসতে আরে আমার এই বাক্য পড়ে, তাই আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলছি, সব দোষ কবির, কবি বলেছেন "তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি, একি মোর অপরাধ?"! ইয়ে মানে আমি শুধু কবির সাথে সহমত বললাম আরকি।

যাইহোক মূল প্রসঙ্গে আসা যাক, মেয়েদের এই সাফ জয়ে জনতা দুই ভাগে বিভক্ত, কেউ প্রাণ খুলে অভিবাদন জানাচ্ছে, আবার অনেকেই কমেন্টে তুমুল প্রতিবাদ করছে, যারা এর বিরুদ্ধাচরণ করছে তাদের যুক্তি হল ইসলামিক হুকুমত মতে ঠ্যাং দেখানো নাজায়েজ। আমি একজনকে চিনি সে গান বাজনা করে, কভার ফটোতেও গিটারের ছবি, মাঝে মাঝে নিজের গান বাজনা ফেইসবুকে আপলোড দেয়। গায়ক সাহেব অত্যন্ত নাখোশ হয়েছেন মেয়েদের এই জয়ে, তিনি তীব্র ভাষায় কমেন্ট করলেন মেয়েদের খেলাধুলার বিপক্ষে। তার ভাষায় মেয়েদের ঠ্যাং দেখানো ঠিক না, কেয়ামতের দিনে সব থেকে বেশী জাহান্নামী হবে মেয়েরাই, শুধু তাই না তার ভাষায় আমরা ছিলাম জান্নাতের অধিবাসী, এই নারীদের জন্যই এই পৃথিবীতে এখন আমরা। অর্থাৎ এই গায়ক সাহেবের ভাষায় "মেয়েদের ঠ্যাং দেখানো নাজায়েজ তবে গানবাজনা ঠিক আছে।"

জৈনিক এক বক্তা দেখলাম তীব্র বয়ান দিচ্ছে, "গান বাজনা হারাম, হারাম এবং হারাম"। শুধু এই বক্তাই না মোটামুটি এমন কোন বক্তা পাওয়া যাবে না যারা গান বাজনার পক্ষে বলবে। যাইহোক কোনটা হারাম আর কোন হালাল সেটাও আমার লেখার বিষয়বস্তু নয়, আমি বললাম না আমার অবস্থা হচ্ছে "তুমি বন্ধু কালা পাখি আমি যেন কি?"। এই বক্তার ভাষায় গানবাজনা হারাম তবে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা ঠিক আছে। এরা ফিকাহর এবং কিতাবের ফাঁক ফোকর দিয়ে যুক্তি দিয়ে বলে ইসলামিক হুকুমত প্রচারের জন্য এগুলো জায়েজ। এই বিষয়ে সময় নিউজের রিপোর্টে দেখলাম, দেওবন্দের ফতোয়া বলে ভিডিও নয় অডিও প্রচার করা যাবে, তবে বক্তারা সেই পথে হাঁটবে না কারণ তাতে ভিউ কম আসবে!

অনেক বক্তাদের ইউটিউব চ্যানেল আছে, ইনস্টাগ্রাম, টুইটারে একাউন্ট আছে। তারা বেশির ভাগই চড়া মূল্য নিয়ে ওয়াজ করেন। নিজের ভিডিওর নিদিষ্ট কিছু অংশ নিজের ফেইসবুক এবং ইউটিউবে ছাড়েন, এতে ভিউ বেশী হয়, বিজ্ঞাপন থেকেও ভাল টাকা আসে। অনেক সময় ওয়াজের মাঝে মদ-তারির এবং আজে বাজে বিজ্ঞাপনও চলে আসে, তবে এতে সমস্যা নেই! পবিত্র কোরানের সূরা নূরে আছে, "মুমিনদের মাঝে যারা অশ্লীলতা প্রচার করে তাদের দুনিয়াতে এবং আখেরাতে আছে কঠিন শাস্তি "। যাইহোক হোক মুল বক্তব্য হচ্ছে এই বক্তা মেনে নিচ্ছেন "গানবাজনা করা যাবে না তবে ভিডিও করা যাবে, নিজের ছবি আপলোড করা যাবে তাতে মদ-তারির বিজ্ঞাপন আসলেও করার কিছু নেই।"

আমার পরিচিত একজন বলল, জৈনিক এক ব্যক্তি নাকি মেটাতে মানে ফেইসবুকে চাকরী পেয়েও চাকরিতে জয়েন করেন নাই কারণ মেটাতে বা ফেইসবুকে মদ-তারির বিজ্ঞাপন দেখা যায়। ফেইসবুকে শতশত ইসলামিক ভিডিও, অডিও আছে ইসলামিক হুকুমত প্রচারের জন্য। অনেক সমাজ কল্যাণমূলক কাজ, দেশের দুর্দিনে এবং বড় কোন দুর্যোগের খবর আমরা ফেইসবুকের মাধম্যেই পাই বেশীর ভাগ। অনেক দরিদ্র মানুষের জন্য সরাসরি ফেইসবুকের মাধ্যমে দিনার দিয়ে সাহায্য করা যায়। যেই মাধ্যমে ব্যাবহার করে ইসলামিক প্রচার হয় সেই মাধ্যমে চাকরী করে সেটাকে উন্নত করা যাবে না কারণ এখানে মদ-তারির বিজ্ঞাপনও দেখানো হয়! ভদ্রলোক আমি যতদূর জানি পশ্চিমা দেশে থাকে। তার সমালোচনা আমার উদ্দেশ্য নয় শুধু মাত্র এটা যার যার ব্যাক্তি স্বাধীনতার বিষয়, আমি কে হে বাধা দেবার!

জাকির নায়েকের একটি ভিডিও দেখলাম তিনি হাদিস কোরান দিয়ে সরাসরি সূরা নিসার ৯৭ এবং ৯৮ আয়াত দেখিয়ে বললেন পড়াশুনার এবং দাওয়ার কাজ ছাড়া বিদেশ থাকা যাবে না। বাংলাদেশ, পাকিস্তানের ইত্যাদি দেশের নাম নিয়ে সরাসরি বললেন এসব দেশ থেকে মানুষ বেটার লাইফের আসায় পশ্চিমে সেটেল হওয়া জন্য যায়, এগুলো সম্পূর্ণ নিষেধ। যাইহোক আমি পশ্চিমা দেশে থাকার ব্যাপারে আরও কিছু পড়াশুনা করলাম, ইসলামিক ভিত্তিক এক সাইটে দেখলাম, তারা বিভিন্ন প্রমাণ করল পশ্চিমা দেশে থাকা যাবে তবে কিছু শর্ত আছে, নিজের বিশ্বাসে অটল থাকতে হবে, ঈমান হারা হওয়া যাবে না ইত্যাদি আরো অনেক কিছু। সেই ভদ্রলোকের কাছে "পশ্চিমা দেশে থাকা যাবে তবে এই মেটাতে চাকরী করা যাবে না কারণ সেখানে হারাম বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।"

কিছুদিন আগে এক ভিডিও দেখলাম, একজন সরকারী অফিসার ঘুষ নিচ্ছে প্রকাশ্যে। সেই অফিসার বয়সে পোঢ, মুখে দাড়ি , কপালে নামাজে কালো দাগ! দেখলে মনে হয় দরবেশ। এই লোকের কাছে হয়ত নামাজ পড়তে হবে, দাড়ি রাখতে হবে তবে ঘুষ নেয়া যায়! সেদিন চিত্র নায়িকা বর্ষার ইন্টারভিউ দেখলাম, সে বলছে আমি মুসলিম পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি। বর্ষার কাছে হয়ত নামাজ পড়তে হবে তবে সিনেমাতে বেলি-ড্যান্স দিলে সমস্যা নাই!

যাইহোক এই লেখার বিষয়বস্তু ধর্মীয়-ভাবাবেগ নিয়ে নয়, এমনকি কাউকে সমালোচনা করাও নয়। আমরা আসলে ব্যক্তি পর্যায়ে নিজেদের জন্য নিজেরাই কিছু সীমানা দাড় করিয়েছি আমরা কতটুকু ধর্ম মানব এবং কতটুকু ছাড় দিব। অর্থাৎ আমাদের সবারই ব্যক্তি পর্যায়ে ধর্ম মানার ক্ষেত্রে কিছু স্কেল বা বাটখারা আছে। কেউ হয়ত পাচ-ওয়াক্ত নামাজ পরছে, তবে ব্যাংকে চাকরী করছে। ব্যাংকের উদাহরণ দিলাম এর জন্য যে ব্যাংক চাকরী করা নিয়ে ইসলামিক হুকুমতে বাধানিষেধ অথবা মতবেদ আছে। আবার অনেকে ব্যাংকে করছে না ধর্মীয় কারনে তবে শুক্রবারে বা মাঝে মধ্যে নামাজ পরছে।

আমার মূল বক্তব্য হচ্ছে আমাদের প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু স্কেল বা বাটখারা আছে। আমাদের মূল দণ্ডটা হয় তখনই যখন আমরা নিজেদের স্কেলে দাঁড়িয়ে বা নিজেদের বাটখারা দিয়ে যখন অন্যের পাপ পূর্ণ মাপতে যাই। আসলে শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে নয় সম্প্রদায় পর্যায়েও কিছু স্কেল আছে, আমি সেই বিষয়ে বিস্তারিত যেতে চাচ্ছি না। এক স্কেল দিয়ে আরেক স্কেল দিয়ে মাপতে গেলে মাঝে মাঝে সংঘাতও হতে পারে। যেমন পাকিস্তানের হাজেরা সম্প্রদায়ের লোকেরা যেমন হামলার লক্ষ বস্তুতে পরিণত হয়েছে সেটাও দেখা যাবে এক সম্প্রদায় নিজের স্কেল দিয়ে আরেক সম্প্রদায়কে মাপার ফলেই!

আমি অবশ্যই নিজেকে ধার্মিক হিসেবেই মানি তবে আমারও নিজস্ব কিছু স্কেল আছে! আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে আমরা নিজেরা নিজের স্কেল দিয়ে আরেকজনকে মাপছি নাতো!! প্রশ্ন উঠতে পারে আমরা কি তাহলে কেউ অন্যায় করলে তার প্রতিবাদ করতে পারব না? অবশ্যই প্রতিবাদ করতে হবে তবে এখানে বিষয় বহির্ভূত একটি কথা বলি, আমি আর্টিফিসিয়াল ইইন্টেলিজেন্ট দিয়ে চোখের রোগ নির্ণয় বিষয়ে কাজ করছি বর্তমানে, আমি আর আমার সুপারভাইজার কিছু হাইপোথিসিস নিয়ে এগুচ্ছি, আমার সুপারভাইজার বলল যদি আমাদের হাইপোথিসিস মিলে তাহলে আমরা উচ্চস্বরে গলা উঁচিয়ে পেপারে নিজেদের আর্গুমেন্ট দিব আর যদি পুরোপুরি না মিলে তাহলে গলা নামিয়ে কথা বলব অর্থাৎ মিউ মিউ করব! যাইহোক নিজের আত্মজীবনী পাঠ বন্ধ করা যাক, আমরা প্রত্যেকে নিজেদের স্কেলে আছি, তাই অন্যকে সমালোচনা করতে হবে মার্জিত-ভাবে, শালীন-ভাবে।

আমাদের উপমহাদেশে সামগ্রিকভাবে এত সমস্যার কারণ হচ্ছে আমরা আসলে প্রত্যেকেই অনেক বেশী জাজমেন্টাল, কে কি করল, কেন করল ইত্যাদি আমরা চাই প্রত্যেকে আমাদের-মত হোক, নিজের সিদ্ধান্ত অন্যের উপর চাপাতে ভালবাসি মানে সবাইকে নিজের-বাটখারা দিয়ে মাপতে চাই বা নিজের স্কেলে নামিয়ে আনতে চাই।

বিভিন্ন মতের এবং ধরনের মানুষ নিয়েই আমাদের এই গ্রহ। আমরা সবাই ভিন্নমতের সহ-অবস্থান মেনে নিয়ে সহনশীল হলে এই গ্রহ আরও সুন্দর হয়। কি লেখতে কি লেখলাম কে জানে, আমার অবস্থা "তুমি বন্ধু কালা পাখি, আমি যেন কি? বসন্ত কালে তোমায় বলতে পারিনি।" সম্প্রতি এই গানটি আমার প্রিয় গানের তালিকায় আছে, মুগাম্বার খুশ হুয়া।


মন্তব্য ২২ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (২২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৪:৫১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:
কবি নজরুলের মত ইসলামিক সঙ্গীত পৃথিবীর আর কেউ রচনা করতে পারেনি। তিনি সনাতন ধর্মীয় সঙ্গীতও রচনা করে গেছেন।
আমার কাছে কবি নজরুল একজন খাঁটি কবি। কারণ উনার মনের ভেতর যখন যেটা খেলেছে সেটা নিয়েই লিখেছেন। সবার মনের মধ্যে সব কিছু খেলেও না। উনি একজন দার্শনিক বটে যদিও সেই তকমা তাঁকে দেয়া হয় না ।

কবি নজরুল ইসলাম নিয়ে আমার বিশ্লেষণ হচ্ছে-
'আপনাকে পারে না একদল গ্রহন করতে , আরেক দল না পারে আপনাকে ফেলতে! "

দুই পাল্লায় দুই বাটখারা রেখে সম-ওজন কিংবা সহ-অবস্থান থাকলে এই গ্রহ একদিকে ঝুঁকে পড়বে না। ঠিক বলেছেন।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৫১

কাছের-মানুষ বলেছেন: কবি নজরুল সাম্যের কবি, তিনি একজন দার্শনিকও বটে। একজন লেখকের সমাজ, বিশ্ব সম্পর্কে সঠিক ধারনা থাকতে হয়! নজরুল শ্যামা সংগীতও গেয়েছেন, মানে দেব দেবীর প্রশংসা করেছেন!! নজরুল সম্পর্কে আপনার বিশ্লেষণ সঠিক ' আপনাকে পারে না একদল গ্রহন করতে , আরেক দল না পারে আপনাকে ফেলতে! "

আপনি শেষে যেটা বলেছেন সেটাই মূল বক্ত্যব্য। আমাদের সবার নিজস্ব কিছু স্কেল আছে।

২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:০০

সোনাগাজী বলেছেন:



মেয়েরা মানুষ, তাদের পা আছে, পা দিয়ে বল খেলা যায়, মেয়েরা বল খেলছে; যার পা নেই, সে ফুটবল খেলতে পারে না; এগুলো লজিক্যাল কথা। আরো লজিক্যাল কথা হলো, আজকের মানুষর তুলনায় গত শতাব্দীর মানুষ কম জানতেন। যারা ৪/৫ হাজার বছর আগে ধর্ম তৈরি করেছিলেন, তারা আজকের মানুষের মতো জ্ঞানী ছিলেন না; তাঁরা ধর্ম নামে যে সামাজিক ব্যবস্হা তখন চালায়েছেন, উহা আজকের জন্য অচল; ততকালী সময়ে রূপকথাকে মানুষ জীবনের অংশ ভাবতো।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৫৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমাদের ভিন্নমত নিয়ে চলতে হবে। ধর্ম কে মানবে কে মানবে না সেটা মানুষের নিজস্ব সিদ্ধান্ত । আমি বিশ্বাস করি আমরা এমনি এমনি আসিনি! মূল বক্তব্য আমরা নিজস্ব একটি স্কেলে চলি, এই স্কেল শুধু ধর্মেই সীমাবদ্ধ নয়, ব্যাক্তিগত চিন্তাভাবনা আদর্শেরর জায়গায় ও হয়। আমাদের এই ভিন্ন মত নিয়ে চলতে হবে, নয়ত সংঘাত বাধবে।

আমরা নজরুলের মত এমন কবি আর পেলাম না এত বছরেও!

৩| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৬:৪৭

কামাল৮০ বলেছেন: পাপ পুন্যের বিষয়টা আমার কাছে স্পস্ট নয়।খারাপ ভালো বুঝি।
জাকির নায়েক অনেক ভুলবাল বলেন।কিন্তু এই হাদিসটি সহি।তবে এই গুলি বাদ দিতে হবে।বর্তমান পৃথিবীর সাতে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।মানুষ যত জানবে অন্ধ কুসংস্কার তত কম মানবে।
নজরুলের বিবি তালাকের বিষয়টা রবি ঠাকুরের কাছ থেকে ধার করা।রবি ঠাকুর বলেছেন বাঙ্গালী জাতি নিংয়ে নজরুল বলেছেন বাঙ্গালী মুসলমানদের নিয়ে।বিষয় একই।
এটা ঠিক যে, প্রতিটা বাঙ্গালী মুমিনের ইসলাম ভিন্ন ভিন্ন।প্রত্যেকেই তার নিজের মতো করে ইসলাম পালন করে।আমি একদিন বাংলায় কোরান পড়ছিলাম।এক আয়াতে আছে ,তোমরা নত হয় সকালে ও সন্ধ্যায়।আমার স্ত্রী আয়াতটা শুনার পর থেকে পাঁচ বারের বদলে দুই বেলা নামাজ পড়ে।দোয়া পড়ে পাক্কা দুই ঘন্টা করে সকালে বিকালে মোট চার ঘন্টা।আমি যত তাকে বলি কোরানে আরো বেশি বারের কথা বলা আছে।সে কিছুতেই মানে না।কারন দুই বেলা পড়লে তার সুবিধা।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ৮:৫৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: আসলে জাঁকির নায়েকের সমালোচনা করা আমার লেখার উদ্দেশ্য নয়। আমার লেখার মূল বক্তব্য হল আমাদের প্রত্যেকের ধর্ম নিয়ে
নিজস্ব কিছু স্কেল আছে, আমরা কতটুকু পালন করব কতটুকু ছাড় দিব ব্যাক্তি পর্যায়ে সেটি আমরা নির্ধারন করি। আমরা নিজের স্কেল নিয়ে যখন অন্যকে বিচার করি বা কিছু চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করি তখনই সমস্যার শুরু হয়। আমাদের এই ভিন্ন মত নিয়ে চলতে হবে। সমালোচনা করা যাবে তবে সেটা প্রটোকল মেনে করতে হবে, সহনশীল হতে হবে !

৪| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১১:২৯

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
চমৎকার লিখেছে।
নিজস্ব বাটখারার বিষয়টা আমরা মাথা রখিনা বলেই অন্যের ফুট বেশী চোখে পরে।
পোস্টে +

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: হ্যা আপনি ঠিক বলেছেন, এটাই পোষ্টের মূল বক্তব্য। আসলে আমরা সবাই নিজের স্কেলে চলি, এই স্কেল নিয়ে যখন অন্যকে বিচার করি তখনই সমস্যা শূরু হয়।

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

৫| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১২:৪৪

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। এক নিশ্বাসে পড়ে ফেললাম।

আমরা আসলে নিজেদের দিয়েই অপরকে বিচার করে থাকি। কিন্তু এর বাইরে কি অন্যভাবে কাউকে বিচার করা সম্ভব? আমি যে মতামত দিচ্ছি, ওটাই আমার অধীত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ফলে প্রণীত মতামত। আমরা এর ভিত্তিতেই অন্যকে বিচার করে থাকি। সেই বিচার আর কারো বিচারের সাথে মিলে যেতে পারে, এমনকি যাকে বিচার করছি তার সাথেও মিলে যেতে পারে, অথবা এর বিপরীত বা ভিন্ন কিছু হতে পারে। এজন্যই, শুরুতেই 'আপনি ভুল বলছেন' বা 'ভুল ধারণা প্রচার করছেন' - এটা বলা অসমীচীন ও অসৌজন্যমূলক। এই ভুলটা শুধু আমারই পর্যবেক্ষণ, বিচারের জন্য হয়ত আমার সঠিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা নেই, এবং আমার এই জাজমেন্টের সাথে হয়ত আর কারো জাজমেন্ট একেবারেই মিলবে না। এজন্যই কোনো বিষয়ের উপর জাজমেন্টাল মতামত দেয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।

আমাদের মধ্যে হিপোক্রিসি বা বৈপরিত্যের শেষ নাই। এজন্য, নিজে গানবাজলা করলেও অন্যের ব্যাপারে ফতোয়া দিয়ে থাকি।

তবে, বিদেশে থাকার ব্যাপারে যে বাণী শুনলাম, তাতে তো পুরোপুরি তাজ্জব বনে গেলাম। এটা কী করে সম্ভব?

নিজের স্বার্থ সিদ্ধিই হলো সবকিছুর মূলে, আমার কাছে মনে হয়।

সুন্দর রচনা। কী লিখতে কী লিখছেন, এ কথাগুলো বাদ দিয়ে দিলেই লেখাটা আরো অর্থবহ হয়ে উঠবে।

শুভেচ্ছা।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার আন্তরিক মন্তব্যের ধন্যবাদ।

আপনি ঠিক ধরেছেন আমাদের মধ্যে হিপোক্রিসি বা বৈপরিত্যের শেষ নাই, আসলে আমি বলব আমরা নিজেরাই নিজেদের জন্য একটি মানদন্ড নির্ধারন করে থাকি, সেটা হতে পারে নিজের সুবিদার জন্য এবং নিজের অর্জিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার ফলে। তাই কোনো বিষয়ের উপর জাজমেন্টাল মতামত দেয়া উচিত নয় বা দিলেও সেটা দেয়া যেতে পারে একটি লিমিট রেখে এবং পারস্পরিক সম্মান বজায় রেখে।

৬| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৫৬

আখেনাটেন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। কিছু স্ট্যান্ডার্ড বিষয় আছে যা মানুষ হিসেবে সকলের জন্য অবশ্য পালনীয় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে। এখানে কারো কোনো দ্বিমতের সুযোগ নেই। সাদাকে সাদা কিংবা কালোকে কালো হিসেবে দেখা! এই মূল্যবোধ ও নৈতিকটার মানদন্ড প্রোথিত হয় পরিবার থেকে যা সামাজিক বাস্তবতায় 'ভালো' হিসেবে অনুসৃত।

আর কিছু বিষয় আছে যা রাজনৈতিক দল, ধর্ম, সমাজ, জাতিভেদে তথাকথিত মানদন্ড (যা সময়ের সাথে প্রতিনিয়ত কখনও উঠানামাও করে সময়ের খাতিরে নাকি মানুষের হস্তক্ষেপে!) তৈরি করেছে। এখানেই মনে হয় সমস্যা। মানুষ হিসেবে যে ভালো গুণগুলো থাকা দরকার সেগুলোর প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে আমরা এখন দল, সমাজ, ধর্ম, জাতিভেদে এক্সট্রিম ভাবনাগুলো (তোমরা বনাম আমরা) গুরুত্ব দিয়ে মাপামাপি করার কারণে চারিদিকে নৈরাজ্য।

একটি সহনশীল মানবিক পরিবেশ জাতি হিসেবে নিজেদেরকে যে অনন্য উচ্চতায় নিতে পারে তা আমরা এত বছর ধরেও অনুভব করতে পারি নি। ইভেন পশ্চিমা তথা যুক্তরাষ্ট্রের মতো মানবিক পরিবেশে দেশি ভাইয়েরা গিয়ে অতি উচ্চ আসনে আসীন হয়েও নিজেদের সেই কূপমূণ্ডকতা (দলীয় কিংবা ধর্মীয়) থেকে বের হতে পারে নি। জাতি হিসেবে কিংবা মানুষ হিসেবে আমি মনে করি এটা লজ্জার! এই ব্লগও ব্যতিক্রম নয়!!!



০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:২৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: কিছু স্ট্যান্ডার্ড বিষয় আছে যা মানুষ হিসেবে সকলের জন্য অবশ্য পালনীয় জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে। এখানে কারো কোনো দ্বিমতের সুযোগ নেই। সাদাকে সাদা কিংবা কালোকে কালো হিসেবে দেখা! এই মূল্যবোধ ও নৈতিকটার মানদন্ড প্রোথিত হয় পরিবার থেকে যা সামাজিক বাস্তবতায় 'ভালো' হিসেবে অনুসৃত।

আপনি যথার্থ বলেছেন, আমি এই বিষয়টাকে বুঝাতে চেয়েছিলাম, কিছু স্ট্যান্ডার্ড বিষয় নিয়ে আমাদের কারোই দ্বিমত নেই, সাধাকে সাধা এক কালাকে অবশ্যই কালা বলতে হবে। সামাজিক, ধর্মিয় এবং রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে আমরা নিজেরা নিজেদের জন্য ব্যাক্তি পর্যায়ে একটি স্কেল দাড় করাই অর্থাত কতটুকু পালন করব এবং কতটুকু ছাড় দিব। এখানে এক এক জনের স্কেল এক এক রকম, তবে দন্ডটা শুরু যখন নিজে একটি স্কেলে দাঁড়িয়ে অন্যকে বিচার বিশ্লেষণ করি, এবং সিধান্ত চাপিয়ে দেবার চেষ্টা করি।

পোষ্টের না বলা কিছু কথাও আপনার মন্তব্যে উঠে এসেছে।

৭| ০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ বিকাল ৩:২৫

সোনাগাজী বলেছেন:



লেখক বলেছেন: আমাদের ভিন্নমত নিয়ে চলতে হবে। ধর্ম কে মানবে কে মানবে না সেটা মানুষের নিজস্ব সিদ্ধান্ত । আমি বিশ্বাস করি আমরা এমনি এমনি আসিনি!

-ভিন্নমত নিয়ে চলেন, যার ইচ্ছা সে ধর্ম মেনে চলবে; এটা যদি আপনি মেনে নেন, আপনি এই পোষ্ট কেন লিখেছেন? ধর্মীয়রা বলছে, মেয়েদের পা' ঢেকে রাখতে হবে, বল খেলতে পারবে না, এটা একটি তথকঠিত ধর্মীয় মতামত ( আসল ইহা ইডিয়টগিরি ছাড়া কিছু নয় ), এবং আপনি বিশ্বাস করেন যে, আপনি এমনিতে আসেননি, আপনার মতামাত আসলে ধর্মীয় মতামত। সমস্যা হলো আপনি কি এবং কেন লিখছেন, সেটাই আপনি জানেন না।

০৮ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১০:৩১

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমি জানি আমার লেখার থিম কি।

আমি বলতে চেয়েছি ব্যাক্তি পর্যায়ে আমরা নিজেরা নিজেদের মত করে ধর্মের কি মানব এবং কি ছাড় দিব এরকম একটি মানদন্ড দাড় করেছি। যেমন কামাল৮০ সাহেবও এটা ধরতে পেরেছেন তাই তিনি মন্তব্যে বলেছেন "এটা ঠিক যে, প্রতিটা বাঙ্গালী মুমিনের ইসলাম ভিন্ন ভিন্ন।প্রত্যেকেই তার নিজের মতো করে ইসলাম পালন করে।" আমি যেই উদাহারন দিয়েছি সেটাও এটা বুঝাতে যে আমরা ব্যাক্তি পর্যায়ে নিজেদের মত করে ধর্ম পালন করি অর্থাৎ নিজেদের একটি ধর্ম মানার ক্ষেত্রে স্কেল আছে।

পোষ্টের মূল থিম আমরা ভিন্ন স্কেলে আছি তবে দন্ডটা শুরু হয় তখনই যখন নিজের স্কেল দিয়ে অন্যকে মাপি। তাহলে অন্যকে আমরা কিভাবে বিচার করব, প্রথম মন্তব্য কারী বলেছেন "দুই পাল্লায় দুই বাটখারা রেখে সম-ওজন কিংবা সহ-অবস্থান থাকলে এই গ্রহ একদিকে ঝুঁকে পড়বে না।"

আমার পোষ্টে আমি স্পষ্ট করে বলেছি এই ভিন্ন মতের মানুষ নিয়েই চলতে হবে।


৮| ০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ দুপুর ১:৩২

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। পোস্টটি আমি সময় নিয়ে পড়েছি। ভালো লাগলো পড়ে।

০৯ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:২৫

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। লেখাটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।

৯| ১১ ই অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:২৬

জুল ভার্ন বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন। ভিন্নমতকে শ্রদ্ধা কিন্তু ভিন্নমত এর নামে ভণ্ডামি পরিত্যাজ্য। পোস্টে প্লাস।

১২ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১:০১

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার সাথে একমত ভিন্নমত এর নামে ভণ্ডামি পরিত্যাজ্য অবশ্যই!

১০| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ৯:০৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: কিছুটা আত্ম-সমালোচনা, কিছুটা যুক্তিনির্ভর পারস্পরিক তুলনা এবং কিছুটা রম্যের স্বাদ, এসব নিয়ে এ পাঁচমিশেলি লেখাটা বেশ উপাদেয় হয়েছে। প্লাস + +।
নিজের বাটখারায় অন্যকে মাপতে গেলেই সমূহ বিপদ, অথচ আমাদের অনেকেরই মাঝে, এমনকি উচ্চশিক্ষিতদের মাঝেও, এ প্রবণতাটা সর্বগ্রাসী। অন্যকে মাপামাপির আমরা কে? নিজেকে নিরন্তর মেপে মেপে 'ওজন' ঠিক রাখলেই তো চলে!
আপনার এ পোস্টের সুবাদে চমৎকার গানটা শোনা হলো এবং নিজেকেও 'আপডেট' করা হলো।

১৭ ই অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:০০

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার মন্তব্য সবসময়ই আমাকে অনুপ্রাণিত করে।

আসলে এই ব্যাপারগুলো অনেক সেনসিটিভ, কোন পক্ষে যায় এবং কি ধরনের আক্রমণাত্মক মন্তব্য ধেয়ে আসে বলা মুশকিল, পাল্টা চেইন মন্তব্য করাও অস্বস্তিকর মনে হয় আমার কাছে। তাই এই ধরনের বিষয়ে কিছুটা হালকা মেজাজে, আসতে আসতে অস্বস্তিকর বিষয়ে ঢূকতে চেয়েছি আর এজন্যই নজরুল নিয়ে কিছুটা প্যাচাইলাম শুরুতে! পাঁচমিশেলি লেখাটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভাল লাগল।

গানটি সম্প্রতিকালে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে।

১১| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১১:১৫

অপ্‌সরা বলেছেন: আমার এই গান পছন্দ না। :(

তবে আমার ক্লাসের পুচ্চিরাও দেখি এই গান জানে!! :-/

২৫ শে অক্টোবর, ২০২২ রাত ১২:৪৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: হ্যা এই গানটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছে।

হা হা বললাম না আন্ডা-বাচ্চা সবার পছন্দের গানটি! এরকম গান অনেক বছর পর পর আসে!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.