নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

‘মানুষ তার স্বপ্নের চাইতেও বড়’

কাছের-মানুষ

মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে বদলায়, অকারণেও বদলায় । তবে আমি মনে হয় আগের মতই আছি , কখনও বদলাবওনা মনে হয় ! !

কাছের-মানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকার অরিগণ থেকে এরিজোনায় রোড ট্রিপ (পর্ব এক): ভ্রমনের ইতিকথা

১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:০৬


প্রফেসর হঠাৎ একদিন বললেন "আমি যেই রিসার্চ প্রপোজালটি পাঠিয়েছিলাম সেটা একসেপ্ট হয়নি। তোমাকে আর সাপোর্ট দিতে পারব না, তুমি তোমার রাস্তা দেখতে পারো"। যারা একাডেমিক লাইনে কাজ করনে তারা ভাল করেই জানেন এরকম ঘটনা একেবারেই অপ্রত্যাশিত না, বিশেষ করে আমেরিকায় একাডেমিক পজিশনগুলোতে এরকম ঘটনা হুট-হাট করেই ঘটে থাকে। তবে এটা একটি মেডিকেল ইউনিভার্সিটি, এদের ফান্ড অনেক বলেই জানতাম, তাই ঘটনার আকস্মিকতায় আমি স্তব্ধ, বাকরুদ্ধ এবং প্রবল হতাশ হলাম। একটু চুপ থেকে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললাম "ওকে কি আর করার, তুমি আর আমাকে কতদিন সাপোর্ট দিতে পারবে"? উওরে জানাল "প্রজেক্টের যেই অবশিষ্ট টাকা আছে সেটা দিয়ে সর্বোচ্চ আগামী তিন-চার মাসের-মত সাপোর্ট দিতে পারব।" আমি একটি প্রজেক্টের কাজ প্রায় শেষ করে নিয়ে এসেছি, প্রফেসর বললেন "এই তিন-চার মাসের মধ্যে তোমার কাজের উপর একটি জার্নাল লিখে শেষ কর এতে তোমার এবং আমার অনেক ফায়দা হবে"। আমি সম্মতি স্বরূপ মাথা ঝাঁকালাম।

ঘটনাটা গত ডিসেম্বরের শেষের দিকের। আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করেছি পোস্ট-ডক্টরাল রিসার্চর হিসেবে গত বছরের মে মাসে, আর চাকরিটা এই বছরের এপ্রিলেই শেষ হয়ে যাবে। বছর পার হবার আগেই যে এরকম একটি অঘটন ঘটবে সেটা হজম করতে কিছুটা বেগ পেতে হচ্ছিল আমাকে। চাকরি হারানোর চেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে নতুন একটি জায়গায় এসে ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করিয়েছি, কিছু মানুষের সাথে সখ্যতা হয়েছে, বাসা গুছিয়ে মোটামুটি স্থির হয়েছি তখনি আবার ভাঙ্গনের সুরে বিষাদে মনটা ভরে উঠল। আমার ইচ্ছা ছিল আসতে ধীরে একাডেমী ছেড়ে ইন্ডাস্ট্রিতে অথবা ন্যাশনাল ল্যাবগুলোতে ঢুকার চেষ্টা করব, তবে হঠাৎ প্রফেসরের ফান্ড না পাওয়াতে সব প্ল্যান যেন ওলট-পালট হয়ে গেল! ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে আমেরিকার চাকরির বাজার ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা, আর এদিকে আমি টেকনিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ডের, আর সব ঠাডাও যেন আমেরিকার টেক কোম্পানিগুলোর উপরই পরেছে। ফেইসবুক, এমাজন থেকে শুরু করে বড় বড় কোম্পানিগুলোতে হাজার হাজার লোক ছাটাই শুরু করেছে এবছর। আর ছোট ছোট কোম্পানিগুলোও লোক নেয়া প্রায় বন্ধ করে দিয়েছে!

অর্থনীতি যখন স্থবির হয়ে আসে ছোট-বড় সব কোম্পানিগুলো তখন নিজদের ঘুটিয়ে নেয় শামুকের ন্যায়, পুঁজিবাদের এই একটি অসুবিধা। আমি সাধারণত বেশীর ভাগ চাকরি Linked-in এপ্লাই করি, এর সুবিধা হল এখানে দেখা যায় কতজন একটি পজিশনে আবেদন করেছে, আমি লক্ষ করলাম কোন একটি পজিশন ওপেন হলেই সঙ্গে সঙ্গেই দুইশত এর অধিক প্রার্থী আবেদন করে বসে। তার মানে রিক্রুয়েটাররা হয়ত বেশিরভাগ সিভি পড়েও দেখবে না। যাইহোক এই বছরের শুরুতে আমি বেশ কিছু কোম্পানিতে এবং ন্যাশনাল ল্যাবে আবেদন করলাম। যেখানে গত বছর অনেক টেক কোম্পানির রিক্রুয়েটাররা Linked-in -এ নক করত ইন্টারর্ভিউ দেবার জন্য, যেমন গত বছর আমি ফেইসবুক, এমাজন, গুগল এবং টয়োটার সাবসিডিয়ারির এক কোম্পানি থেকে ডাক পেয়েছিলাম ইন্টারভিউ দেবার জন্য আর এবছর লক্ষ্য করলাম কেউ ডাকে না আবেদন করার পরও! তারপরও কয়েকটি কোম্পানি এবং একটি ন্যাশনাল ল্যাব থেকে ডাক পেয়েছিলাম, তবে কাম বারি দিতে পারিনি, ফলাফল শূন্য।

অতঃপর ভাবলাম আমার আবুল ভাই ভাল মানে যাক আবার একাডেমীতেই যাই পরিস্থিতি অনুকূল হবার আগ পর্যন্ত। একটি পিএইচডি ডিগ্রি আছে তাই অন্য কিছু নাহলেও একাডেমীতেই অন্তত চ্যালচ্যালাইয়ে পোষ্ট-ডক্টরাল রিসার্চর হিসেবে ঢুকে যেতে পারব। আমার চাকরী শেষ হবার কথা ছিল এপ্রিলে, মার্চ মাসে চারটি ইউনিভার্সিটিতে আবেধন করলাম এবং তিনটি থেকেই ডাক পেলাম। প্রথম ইন্টার্ভিউ ছিল ইউনিভার্সিটি অব এরিজোনাতে, প্রথম ইন্টার্ভিউতেই কেল্লা ফতে! প্রফেসরের সাথে কথা বলে মনে হল লোক ভাল, তিনিও বললেন আমার এখানে আস পোষ্ট-ডক্ট হিসেবে, এখানে ডেটা সাইন্টিস হিসেবে পজিশন ফাকা আছে সেখানে সামনের বছরগুলোতে তুমি চেষ্টা করতে পার, তুমি গুড ক্যান্ডিডেট। তার পামে কাজ হল, আমি চলে এলাম! আর অন্য যেই ইন্টার্ভিউগুলো চলছিল সবগুলোকেই না করে দিলাম।

এই মাসের পনের তারিখে নতুন চাকরিতে জয়েন করলাম ইউনিভার্সিটি অব এরিজোনাতে। আমি থাকতাম অরিগনে, এই মাসে এলাম এরিজোনাতে। অরিগণ থেকে এরিজোনার দুরুত্ব প্রায় ১৪০০ মাইল/২২৫৩ কিমি, চিন্তা করলাম ড্রাইভ করেই অরিগণ থেকে এরিজোনা যাব। ড্রাইভ করে যাবার শানে নুযুল হল এখানে মাল পানি খরচ কম হবে, তাছাড়া অনেক জায়গা ঘুরে ঘুরে যেতে পারব। আমার রুট ছিল অরিগণ থেকে ক্যালিফোর্নিয়ার সানফ্রানসিসকো, সান-জোস এবং লস-এঞ্জেল হয়ে এরিজোনা।

প্রায় ছয়দিন ড্রাইভ করে এই মাসের নয় তারিখে এরিজোনাতে এসে পৌঁছলাম। আমার পুরো জার্নি ছিল রোমাঞ্চকর, ভৌতিক এবং অদ্ভুত সুন্দর। গত বছর আমি আমেরিকার এলাবামা থেকে ড্রাইভ করে অরিগণ গিয়েছিলাম, দুরুত্ব ছিল প্রায় ২৫০০ মাইল/৪০২৩ কিমি, তখন ভ্রমণটাকে তেমন আমার ল্যান্সে বন্ধী করতে পারিনি। তবে এবার আমার প্রথম থেকে ইচ্ছে ছিল এই ভ্রমণটা আমি আমার ল্যান্স বন্ধী করব এবং ব্লগের পাতায় শেয়ার করব। এই সিরিজটাতে কয়েকটি পর্বে ভাগ করে আমার ভ্রমনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করব। তাই এই পর্বে আজ কিছুটা ভূমিকা দিয়েই শুরু এবং শেষ করলাম।

ভ্রমণের কিছু বিচ্ছিন্ন ছবি।




চলবে...

ভ্রমণের ভিডিও ব্লগ ফেইসবুক পেইজে।

মন্তব্য ৩৫ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৩৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:



২০০০+ থেকে ৪০০০+ কি: মি: ড্রাইভ করেছেন! জীবনের নানান অভিজ্ঞতা এক সময় নাতী নাতনীদের বলতে পারবেন। আমেরিকায় লং ড্রাইভ করে আরাম আছে। গল্প ভালো লেগেছে।



১৯ শে মে, ২০২৩ দুপুর ২:৫৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: হ্যাঁ বিচিত্র অভিজ্ঞতা হয়েছে, আমেরিকায় রোড ট্রিপ আসলে মজা আছে অনেক, গাড়িগুলো লেইন মেনে চলে, হাইওয়ে
অনেক বড়, রাস্তায় বিভিন্ন জায়গায় থেকেছি, গাড়িতে ঘুমিয়েছি।

পড়ার জন্য ধন্যবাদ রইল আপনাকে।

২| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: চমৎকার কিছুর আভাস পাচ্ছি। আশা করি ব্লগারগণ আপনার ভ্রমণ অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন।

১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমারো তাই মনে হয়! আমি চেষ্টা করব।

৩| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৪১

আমি সাজিদ বলেছেন: চমৎকার ভ্রমণ বর্ণনা। আশা করি নতুন চাকরি ভালো যাবে। বাই দ্যা ওয়ে, বাংলাদেশে ছড়িয়েছে আগামী চৌদ্দ দিনের মধ্যে আমেরিকা দেউলিয়া হয়ে যাবে।

১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

শুজবে কান দিবেন না, আমেরিকা দেউলিয়া হবে না। আমেরিকায় কাজে ফাকি দেয়া, ঘুষ খাওয়া, দায়িত্বে অবহেলা, খারাপ গনতন্ত্র, গবেষনায় গুরুত্ব না দেয়া, যোগ্যদের প্রাপ্য মর্যাদা না দেয়া ইত্যাদি নেই। এই গুনগুলো যেই জাতীর নেই তারা দেউলিয়া হতে পারে না!

৪| ১৯ শে মে, ২০২৩ বিকাল ৫:৫৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায়।

১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। পরের পর্ব আসবে শ্রীঘ্রই।

৫| ১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:২৭

নগরবালক বলেছেন: আপনার ক্যামেরার ছবি গুলো খুব সুন্দর। এটা কি ক্যামেরা??

১৯ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: এগুলো আমার মোবাইলের ছবি। তবে এই ভ্রমনের ভিডিও এবং ছবিতোলার জন্য একটি 4k রেজুলেশোনের wearable camera কিনেছিলাম। আমার ভিডিও ব্লগে সেই ক্যামেরা ব্যাবহার করেছি।

৬| ২০ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:৫১

চারাগাছ বলেছেন:
আপনি সামুর সেরা ব্লগারের একজন।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:১৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

ব্লগিংটা আমি উপভোগ করি, এমনকি ব্লগ যখন নাও লেখি, আমি ঢু মেরে যাই। ফেইসবুক এবং ইউটিউব রিল সেকশন রিমুভ করেছি আমার একাউন্ট থেকে, এগুলো দেখায় না আমাকে, এগুলো টাইম কিল করে। ফেইসবুক স্ক্রলিং করার চেয়ে ব্লগে সময় দেয়া বেশী পোডাক্টিভ মনে হয় আমার কাছে!

পরবর্তী পর্ব আসবে শীঘ্রই।

৭| ২০ শে মে, ২০২৩ রাত ১:২৪

ঘুটুরি বলেছেন: সূচনটা দারুন হয়েছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:১৯

কাছের-মানুষ বলেছেন: পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা রইল। সাথে থাকবেন আশা করি।

৮| ২০ শে মে, ২০২৩ রাত ২:১৬

কামাল১৮ বলেছেন: লম্বা ভ্রমনের কাহিনী পড়েছি ৮০ দিনে বিশ্ব ভ্রমন বইতে।কতো আগে পড়া তার পরও মনের পর্দায় জ্বল জ্বল করছে।সেখানে আমেরিকায় লম্বা ভ্রমনের একটা অংশ আছে।
লেটার ফ্রম পিকিং বইতে একটা লম্বা ভবন আছে।সেখানে আমেরিকার উত্তর পূর্ব অংশ খেকে এরিজোনা পর্যন্ত।বিস্তারিত লেখলে এটিও একটি ভালো ভ্রমন কাহিনী হবে।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:২১

কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনার মন্তব্য পড়ে আমারও পড়ার ইচ্ছে করছে বইটি। কয়েক মাস আগে হুমায়ূন আহমেদের একটি ভ্রমণ বিষয়ক বই পড়েছিলাম, আমার ভাল লেগেছিল, এর পর থেকে ভাল কিছু ভ্রমণ বই খুঁজছি মনে মনে!

আমি চেষ্টা করব লেখতে।

৯| ২০ শে মে, ২০২৩ রাত ২:২০

কামাল১৮ বলেছেন: লম্বা ভ্রমন আছে হবে।

২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:২১

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমি বুঝতে পেরেছি।

১০| ২০ শে মে, ২০২৩ রাত ২:২২

মিরোরডডল বলেছেন:



First of all, congratulations for your new role.
নো ম্যাটার হোয়াট, জিনিয়াসদের কাজের অভাব হয়না।
রোড ট্রিপ মানেই থ্রিলিং!

শুরুটা ভালো লেগেছে, বাকি পর্বে মজার অভিজ্ঞতা আর অনেক ছবি চাই।
Man you did well.


২০ শে মে, ২০২৩ সকাল ৮:২২

কাছের-মানুষ বলেছেন: আন্তরিক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

ভ্রমণের ছবিগুলো এখনও আমার wearable ডিভাইসে আছে। কম্পিউটার এ নিয়ে দেখতে হবে কতগুলো ছবি আছে এবং কেমন হয়েছে। আমি চেষ্টা করব ছবি দিতে।

১১| ২০ শে মে, ২০২৩ দুপুর ১:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা।
সাজানো গোছানো। টিপটপ।
সবচেয়ে ভালো লেগেছে, লেখার মধ্যে কোনো ভান বা ভনিতা নেই।
আমেরিকা আমার সবচেয়ে প্রিয় দেশ। একদিন আসবো। কিছুদিন বেড়িয়ে যাবো। হয়তো আপনার সাথেও দেখা হয়ে যাবে।

২০ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪২

কাছের-মানুষ বলেছেন: আমেরিকা সত্যিই সুন্দর, কি না আছে এখানে! বিশাল বড় দেশ, শীত ঠাণ্ডা থেকে শুরু করে মরুভূমি!

আসুন ঘুরে যান হয়ত দেখাও হতে পারে।

১২| ২০ শে মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ১৪০০ মাইল, টানা ছয়দিন ড্রাইভ!! :-< মোটেও সহজ কিছু নয়, যাকে বলে একেবারে মেগা ভ্রমণ। ভাবতেই রোমাঞ্চ অনুভব করছি। আমারও মাঝে মাঝে হয় তল্পি তল্পা নিয়ে একদিন বেরিয়ে পরি পৃথিবীর পথে। পরবর্তী পোস্টগুলোর অপেক্ষায় থাকবো।

শুভ কামনা।

২০ শে মে, ২০২৩ রাত ১০:৪৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: আসলে গতবছর আমি প্রায় ২৫০০শত মাইল ড্রাইভ করেছিলাম সাড়ে ৩ দিনে, তবে তেমন কিছু ঘুরি নাই। এবার নিজ থেকেই
কিছু ঘুরাঘুরির প্ল্যান করে বের হয়ে ছিলাম তাই ৬ দিনের প্ল্যান করে বেরিয়েছিলাম।এই ভ্রমনটি স্বরনীয় হয়ে থাকবে আমার স্মৃতিতে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

১৩| ২০ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:২৪

শ্রাবণধারা বলেছেন: অতি চমৎকার একটি পোস্ট। নতুন চাকুরির জন্য অনেক অভিনন্দন।
এত দীর্ঘ ড্রাইভ নিশ্চয়ই খুব রোমাঞ্চকর হয়েছিল?
ছবিগুলো অপূর্ব। তবে সম্পূর্ণ ভ্রমন বৃত্তান্ত জানার আগ্রহ জানিয়ে গেলাম।

২০ শে মে, ২০২৩ রাত ১১:৪২

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

ভ্রমণ বেশ ভাল এবং রোমাঞ্চকর ছিল। নিশ্চয়ই পরবর্তি পর্বগুলোতে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করব।

১৪| ২১ শে মে, ২০২৩ রাত ১২:১৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অভিনন্দন নতুন চাকরীর জন্য।

২১ শে মে, ২০২৩ রাত ২:০৪

কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১৫| ২২ শে মে, ২০২৩ রাত ২:৩১

জগতারন বলেছেন:
আপনি এই লিখায় যে সমস্ত জায়গার কথা বর্ননা করলেন তার প্রত্যেকটা জায়গায় আমি বিচারন করেছি। ফিনিক্স, টুসান, অ্যারিজোনা ও লংবিস, লসএ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া আমি বেশ কিছু বছর অতিবাহিত করেছিলেম।
গাড়িতে করে ডাল্লাস, টেক্সাস থেকে আমি দুবার সিয়াটল, ওয়াসিংটন যাওয়া আসা করেছিলাম। তবে আমার রুট ছিল; কলেডো, ওয়োমিং, ইয়োঠা হয়ে।
শীতকালে ঐ সমস্ত স্থানের সৌন্দর্য ছিল অকল্পনীয়।
আমি এখন ডাল্লাস-ফোর্টোয়ার্থ বসবাস করছি।
দয়া করে আপনি আপনার ভ্রমণের বর্ননা লিখেছেন লিখতে থাকুন, সাথে আছি এবং পড়বো।

২২ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:০৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: চমৎকার আপনার অভিজ্ঞতা শুনে এবং আপনি আমেরিকায় আছেন জেনে ভাল লাগল। আপনি যেহেতু এই জায়গাগুলো ঘুরেছেন
আমার অভিজ্ঞতা হয়ত রিলেট করতে পারবেন, আপনিও শেয়ার করতে পারেন ভ্রমণ অভিজ্ঞতা।

আপনি ডাল্লাস আছেন মানে এরিজোনা থেকে বেশী দূরে না! সাথে থাকবেন আশা করি।

আজ উইকেন্ট এর শেষ দিন, তাই আরেকটি পর্ব লেখে পোষ্ট দিলাম, উইক ডে তে সুযোগ পাব না ব্যস্ত হয়ে পরব।

পাঠ ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।

১৬| ২২ শে মে, ২০২৩ ভোর ৬:০৭

কাছের-মানুষ বলেছেন: পরের পর্ব

১৭| ২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৪

জুন বলেছেন: পড়া শুরু করলাম কাছের মানুষ। আমেরিকার চাকরির বাজার তো ভেবেছিলাম অন্যান্য দেশের তুলনায় ভালো। আসলে এই কোভিড আর রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ সারা দুনিয়ার বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। আমার ছেলে প্রায় দু বছর হলো কানাডায় পড়ছে। ও লাকি যে আমাজনে ( সি গ্রেড) এর একটা ফুল টাইম পার্মানেন্ট কাজ পেয়েছে। এখন নাকি রেস্তোরাঁয় থালা বাসন ধোয়ার জন্য একজন নিবে তার জন্য ৫০০ মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে। টাকার জন্য ওই সব দেশের সরকার প্লেন ভরে ভরে স্টুডেন্ট নেয় কিন্ত তারা থাকবে কই, খাবে কি তার কোন পাত্তা নেই। এটা আমি কানাডার কথা বলেছি। কেউ যেন হুড়ুমদুরুম করে আমার সাথে কথা কাটাকাটি না করতে আসে।
পরের পর্বে যাচ্ছি :)
+

২৩ শে আগস্ট, ২০২৩ রাত ১১:৪৩

কাছের-মানুষ বলেছেন:
কানাডায় আমি যতদূর জানি আরও খারাপ অবস্থা, এই পরিস্থিতিতে এমাজনের মত বড় টেক কোম্পানীতে পার্মানেন্ট জব সত্যিই দারুণ খবর। আপনার ছেলের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা রইল।

আমেরিকা কোভিড কাটিয়ে উঠলেও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে চাকরির বাজার এই বছর থেকে খুব খারাপ বিশেষ করে আইটি ফিল্ডে, ফেইসবুক, এমাজনসহ বড় টেক কোম্পানিগুলো কয়েক দফা ছাটাই করেছে বছরের শুরুতে এবং অন্য কোম্পানিগুলো রিক্রুয়েটমেন্ট বন্ধ রেখেছে, তবে অন্য ফিল্ডে মোটামুটি ঠিক আছে। কানাডায়-তো ইমেগ্রেন্টও প্রচুর নেয় আর ষ্টুডেন্টতো আসেই, তাই রেস্তোরাগুলোতেও কাজ পাওয়া কঠিন। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিমান ভাড়াও অনেক বেড়েছে দেশে যেতে, কোভিডের কারণে একবার বিমান ভাড়া ভেড়েছে আরেকবার এই যুদ্ধের কারণে। আমার বউ আর ছেলে কয়েকদিন ধরে আমেরিকায় এসেছে, দীর্ঘ কয়েকমাস বাংলাদেশে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল।

এটা আমি কানাডার কথা বলেছি। কেউ যেন হুড়ুমদুরুম করে আমার সাথে কথা কাটাকাটি না করতে আসে।
ব্লগে অযোযিতভাবে অন্যের পষ্টে গিয়ে দু একজনের স্বভাব আছে আজাইরা কথা কাটাকাটি করতে আসার। মুখ খারাপও করতে পারিনা, মুখ খারাপ করলেও ব্লগাররা বলবে হাজী সাহেবের মুখ খারাপ (ইয়ে মানে আমি কিন্তু হজ্ব করিনি!)।

১৮| ২২ শে জুন, ২০২৪ সকাল ১০:৫৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথমেই শুনশান রাস্তা! কানাডার রিজাইনার রাস্তাগুলোও এখন এ রকমই দেখতে অনেকটা। ডানে বাঁয়ে ফাঁকা, হেক্টরের পর হেক্টর ফাঁকা ভূমি দিগন্তে গিয়ে শেষ হয়। এবারে শীতকালটা অনেক দেরি করে যাচ্ছে। ফলে বিস্তীর্ণ মাঠ এখনো সবুজাভ রং ধারণ করেনি, এখনো ধূসরই রয়ে গেছে অনেকটা। তবে গত বছরের এই সময়ের অভিজ্ঞতা থেকে আর সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই চারিদিক সবুজ পত্রপল্লবে ছেয়ে যাবে বলে আশা করছি।
দু'দুবারে এতটা দীর্ঘ পথ সপরিবারে লং ড্রাইভ করেছেন, নিশ্চয়ই অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, যা একটি ভ্রমণ কাহিনী বই আকারে বের করতে আপনার সহায়ক হবে।

"কেউ যেন হুড়ুমদুরুম করে আমার সাথে কথা কাটাকাটি না করতে আসে" - মজা পেলাম জুন এর এ কথাটায়। :)

২৪ শে জুন, ২০২৪ ভোর ৫:১৩

কাছের-মানুষ বলেছেন: কানাডাও অনেকটাই আমেরিকার মত দেখতে লাগার কথা। বিশাল বড় দেশ, তাছাড়া মানুষজনওতো অনেক কম!

শুধু কানাডার রিজাইনার নয় আমার মনে ওভারঅল কানাডাতে শীত একটু লম্বা সময় থাকে, তবে এখন শীঘ্রই বোধ হয় শীত চলে যাবে। আপনি বোধ হয় Newyork থেকে এখন কানাডাতে চলে আসছেন, বছরের এই সময়টা আবহাওয়া উষ্ণ হওয়া শুরু করে, ঘুরাঘুরির জন্য ভাল সময়। পরিবারের সাথে ভাল সময় কাটাচ্ছেন আশা করি।

দু'দুবারে এতটা দীর্ঘ পথ সপরিবারে লং ড্রাইভ করেছেন, নিশ্চয়ই অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন, যা একটি ভ্রমণ কাহিনী বই আকারে বের করতে আপনার সহায়ক হবে।

হ্যাঁ আমার ভ্রমণের অভিজ্ঞতা নিয়ে বই বের করার ইচ্ছে আছে। আমি এখন নিয়মিত মোটামুটি আমাজনে বই লিখে পাবলিশ করছি, এক সাথে আমাজনের সবগুলো মার্কেটপ্লেসে প্রকাশ হচ্ছে । আমাজন বাংলা সাপোর্ট করেনা, নয়ত এত দিন আমাজনে ভ্রমণ অভিজ্ঞতা নিয়ে বই বের করে ফেলতাম!

"কেউ যেন হুড়ুমদুরুম করে আমার সাথে কথা কাটাকাটি না করতে আসে" - মজা পেলাম জুন এর এ কথাটায়।

হা হা হুম। ব্লগের সেই সময়ের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি মন্তব্যটি করেছিলেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.