নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে বদলায়, অকারণেও বদলায় । তবে আমি মনে হয় আগের মতই আছি , কখনও বদলাবওনা মনে হয় ! !
তখন আমি কোরিয়াতে আন্ডার-গ্রাজুয়েট করছি। আমাদের ইউনিভার্সিটিটা বিশাল বড় ছিল, অনেকগুলো ছাত্র হোস্টেল আছে, তার মাঝে কয়েকটি হোস্টেল ছিল শুধুমাত্র বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের জন্য। বিদেশী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য আলাদা হোস্টেল বানানোর শানে-নযুল হল যাতে বিদেশিরা নিজের দেশের খানা-খাদ্য রান্না-বান্না করে গলধঃকরণ করতে পারে। তবে এটা নামে মাত্র বিদেশিদের হোস্টেল বলা চলে কামে আসলে সবার জন্যই উন্মুক্ত ছিল। আমি কোরিয়াতে ছিলাম প্রায় ৫ বছর, তার মাঝে প্রায় দুই বছর ছিলাম ইউনিভার্সিটির হোস্টেলে। আমার হোস্টেল লাইফের এক বছর ছিলাম কোরিয়ান রুমমেটের সাথে, ছয়মাস চাইনিজ কুড়ালের সাথে, ইয়ে মানে চাইনিজ আরকি আর বাকি ছয়মাস ছিলাম ভিয়েতনামিজ এক রুমমেটের সাথে। আকামটি যখন ঘটে তখন আমি ইউনিভার্সিটির হোস্টেলে থাকি, একদিন হোস্টেলের ম্যানেজমেন্ট কর্তৃপক্ষ আমাকে হঠাৎ ফোন দিল নিয়ম-শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে। ফোন দিয়ে বলল আমি যেন অতিসত্বর অফিসে গিয়ে তাদের সাথে মোলাকাত করি। আমি বললাম আজ্ঞে আমার অপরাধ? বলল সরাসরি এলে বলবে তবে ব্যাপারটি গুরুতর! আমি মনে মনে বলি খাইছে আমারে, এবার বোধ হয় আমাকে নাস্তানাবুদ বানিয়ে ছাড়বে! আমি ছিলাম বাঘ, ফোনে কথা বলে ভয়ে হয়ে গেলাম ভেজা বিড়াল।
পুরো ব্যাপারটি বলছি তার আগে আমার হোস্টেলে লাইফ সম্মন্ধে কিছু বলে নেই। আমার ৫ বছরের কোরিয়ান জীবনের দু-বছর ইউনিভার্সিটি হোস্টেলে থাকা ছাড়াও বাকি তিন বছর কাটিয়েছিলাম বাঙ্গালীদের সাথে, এক সাথে ৪-৭ জন বাঙালী একসাথে বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন বাসায় ছিলাম। রান্না-বান্নাও করতাম একসাথে, আমার রান্নার হাতেখড়িও সেখানেই হয়। নিজেদের মধ্য থেকে একজন ম্যানেজার হতাম যে বাজার ঘাট এবং টাকা পয়সার হিসেব-নিকেশ রাখত। ইউনিভার্সিটিতে আমাদের বাঙালি কমিউনিটি ছিল প্রায় ১৫-২০ জনের মত, প্রায় প্রতি সপ্তাহে এক সাথে পার্টি করতাম, বিশাল খানা-দানার আয়োজন থাকত, এক সাথে রান্না-বান্না করে খেতাম। প্রতিদিন বিকেল বা উইকেন্ডে চলত আমাদের ফুটবল এবং ক্রিকেট খেলা, খেলা শেষে যে কোন এক বাঙালী ভাইয়ের বাসায় গিয়ে দানার দান খানা খাদ্য পেটে চালান করতাম। বাঙালি কমিউনিটিতে আমি আর একটি ছেলে আন্ডার-গ্রাজুয়েটে গিয়েছিলাম, আর বেশীর-ভাগ ছিল মাস্টার্স এবং পিএইচডির ছাত্রছাত্রী, তাই আমরা দুজনই ছিলাম সবচেয়ে জুনিয়র তখন।
প্রীতিলতার সামনে ক্রিকেট খেলা অবস্থায় তখনকার একটি ছবি আমার।
আমি যেই হোস্টেলটিতে ছিলাম সেটা ছেলেদের হোস্টেল। আমাদের সামনে আরও দুটি হোস্টেল ছিল, তার মাঝে একটি ছিল মেয়েদের হোস্টেল, আমরা বাঙ্গালিরা এটার নাম দিয়েছিলাম প্রীতিলতা। এই প্রীতিলতার সামনেই আমরা ক্রিকেট খেলতাম ধুমায়া, খেলা শেষে সন্ধ্যায় বাঙ্গালীদের বিশাল আড্ডা হত। আর ইউনিভার্সিটি হোস্টেলের বাইরে শেষের দিকে আমরা সাতজন বাঙালী একসাথে একটি বিশাল বাসায় থাকতাম। আমাদের ইউনিভার্সিটি এর পাশে একটি হাট বসত কাচা বাজারের, শনিবার হলে সবাই মিলে হাটে যেতাম বাজার করতে, সাঁরা সপ্তাহের মাছ-মাংস কিনে নিয়ে এসে প্রতিদিনের জন্য আলাদা আলাদা করে রেখে দিতাম ফ্রিজে, যাতে রান্না করতে সহজ হয়। দুপুরে সবাই যার যার ল্যাব থেকে এসে একসাথে খেতাম, খাবার পর একটু আড্ডা দিয়ে যে যার ল্যাবে আবার চলে যেতাম। সন্ধ্যায় ফিরে শুরু হত বিরাট আড্ডা, হলিউডের নতুন কোন সিনেমা এলে আমরা দলবেঁধে চলে যেতাম সিনেমা দেখতে। রাত বারটা বা একটায় হঠাৎ কারো পিজা বা ফ্রাইড চিকেন খেতে মনে চাইলে নেমে পরতাম নীচে। কোরিয়া অনেক জাঁকজমক একটি দেশ, পৃথিবীর এত দেশ, শহর ঘুরেছি একরকম জাঁকজমক দেশ বা শহর আমার তেমন চোখে পড়েনি, একমাত্র থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ছাড়া।
ফুটবল খেলে মাঠ থেকে বের হচ্ছি। বাংলাদেশ VS কোরিয়ানদের ম্যাচ ছিল। খেলাটি ড্র হয়েছিল।
আমি কোরিয়াতে গিয়েছিলাম সরকারী স্কলারশিপে, পড়াশুনা ফ্রি, থাকা খাওয়ার টাকাও পেতাম সরকার থেকে। তাছাড়া ডিপার্টমেন্টের একজন প্রফেসরের ল্যাবে রিসার্চ এসিসট্যাঁন্ট হিসেবেও কাজ করতাম তখন। এই প্রফেসরের আন্ডারেই আরেক বাংলাদেশী ভাই পিএইচডি করছিলেন তখন। সেই ভাই এখন বাংলাদেশের একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়য়ে শিক্ষক হিসেবে আছেন, বাংলাদেশে গেলে তার সাথে সাক্ষাৎ হয় আমার। তিনিই আমাকে সেই প্রফেসরের সাথে মোলাকাত করিয়ে দিয়েছিলেন প্রথম। সরকারী স্কলারশিপের মালপানি ছাড়াও প্রফেসরও আমাকে মাস শেষে কিছু দিরহাম ধরিয়ে দিত হাতে, আহা বিন্দাস জীবন। যখন আন্ডার গ্রাজুয়েট শেষ করি তিনি আমাকে মাস্টার্সের জন্য স্কলারশিপ দিয়ে রেখে দেন। মাস্টার্স শেষ হলে তিনি আমাকে পিএইচডির অফার করেছিলেন, তবে তখন আমার কোরিয়াতে আর থাকতে ইচ্ছে করেনি, হোম সিকনেস বেড়ে গিয়েছিল, তাই ব্যাক-টু দ্যা প্যাভিলিয়নে ব্যাক করেছিলাম। কারন ব্যাখ্যা করেছিলাম এখানেঃ স্মৃতিচারণঃ আমি দেশ ছাড়তে চাইনি
যাইহোক, এবার বলা যাক আমাকে কেন হোস্টেল কর্তৃপক্ষ জরুরী তলব করেছিল। আমি সরাসরি হোস্টেল কর্তৃপক্ষের অফিসে গিয়ে দেখি এক ভদ্র মহিলা বসে আছেন, আমি তার সামনের চেয়ার টেনে বসতে বসতে নিজের পরিচয় দিলাম। বললাম "আজ্ঞে আমার অপরাধ কি?" ভদ্র মহিলা কম্পিউটারে কি যেন চেক করে মাথা উঁচিয়ে বললেন "তুমি আন্ডার-গ্রাজুয়েট পরছ, তাইনা?" আমি মাথা ঝাঁকিয়ে সম্মতি দিলাম। তুমি জানোনা আন্ডার-গ্রাজুয়েটের ছাত্রছাত্রীদের রাত ১০-টার মধ্যে হোস্টেলে ঢুকতে হয়? এর অন্যথায় হলে কঠিন শাস্তি!" বললেন তিনি। নিয়মটি আমি জানি, সর্বোচ্চ সম্ভবত চার বারের বেশী দেরি করে হোস্টেলে ঢুকলে কর্তৃপক্ষ পাকরাও করে। আমি কতবার যে দেরি করে হোস্টেলে ঢুকেছি তার কোন ইয়ত্তা নেই, রাত বারটার আগে খুব কমই হোস্টেলে ঢুকতাম রাতে! ভদ্র-মহিলা ক্ষেপে ছিল, মোটামুটি ভাল একটি সাজা দেবার জন্য মনে মনে প্রস্তুতিও নিচ্ছেন মনে হল। আমি আত্মপক্ষ সমর্থন করে বললাম আমি একটি ল্যাবে কাজ করি, সেখানে কাজ করতে করতে বাসায় ফিরতে দেরি হয়ে যায়। এখানে বলে নেই, করিয়াতে ল্যাবগুলোতে সকাল থেকে রাত ১২ টা/ ১ টা পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীরা কাজ করে। আমিও প্রতিদিন সকালে গিয়ে রাত ১২তার পর বাসায় ফিরতাম। ল্যাবগুলোতে যে শুধু কাজই হয় তা না, সেখানে আড্ডা দেয়া, একসাথে ল্যাব-মেটরা মিলে পিজা, চিকেন ফ্রাই পার্টি সবই করতাম, তাছাড়া মাঝখানে বেরিয়ে বাঙ্গালীদের সাথে আড্ডা খেলাধুলা সবই চলত। সে এক অন্য জীবন ছিল! যাইহোক, ভদ্র মহিলা আমাকে প্রফেসরকে দিয়ে একটি ইমেইল করতে বললেন, আর আমাকে একটি লঘু-শাস্তি দিলেন। শনিবার আমাকে ক্যাম্পাসে পরে থাকা কাগজ, ময়লা ইত্যাদি পরিষ্কার করতে বললেন কয়েক ঘণ্টা শাস্তিস্বরূপ।
যাইহোক লেখাটি শেষ করা যাক, আমার কোরিয়া লাইফের সেই দুরন্ত দিনগুলো এখনো মনে পরে, বিশেষ করে বাঙ্গালীদের সাথে একসাথে খেলাধুলা, খানা-দানা, উইকেন্ড এর বাঙালী পার্টি, ঈদের সকালে একসাথে নামাজ পরে সুবিদামত সময়ে পার্টি। আহারে কোথায় হারিয়ে গেল আমার ঘিয়ে বাজা দিনগুলো! যখন এই লেখাটা লেখছি তখন আমার মনে পরছে মান্নাদের সেই বিখ্যাত গানটি "কফি হাউসে সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, আজ আর নেই!" আমাদের আড্ডার নিয়মিত সদস্যরা এখন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ আর শহরে। দু-তিনজন আছে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়য়ের শিক্ষক হিসেবে, কয়েকজন ডাক্তার আছে যারা দেশেই প্যাকটিস করছে, কয়েকজন এখনো কোরিয়াতে, একজন অস্ট্রেলিয়া আর আমরা প্রায় চারজন আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্য এবং শহরে আছি। কোরিয়া ছেড়ে বাংলাদেশে ফিরলাম, তারপর বিয়ে করে দোকলা হয়ে গেলাম ডেনমার্কে পিইএইচডি করতে। পিএইচডির ফাস্ট ইয়ারেই বাচ্চা-কাচ্চা উৎপাদন করলাম, ইয়ে মানে আমার ছেলের জন্ম হল আরকি! সেখানেও একটি ছোটখাটো কমিউনিটি জমিয়ে ফেলেছিলাম, তারাও এখন আমেরিকা-কানাডায় আছে, যোগাযোগ হয় নিয়মিত। তারপর এলাম আমেরিকায় এলাবামাতে, এলাবামাতে যখন ছিলাম, সেখানে আমাদের কমিউনিটি অনেক বড় ছিল, আমরা কয়েকটি ফ্যামিলি কয়দিন পরপরই পার্টি করতাম। যখনই মনে হত উইকেন্ডে কোন পার্কে বা বনজঙ্গলে গিয়ে গাছের কাঠ বাঁ লাকড়ি পুড়িয়ে দিয়ে মাংস/ পোলাও/ভাত ইত্যাদি রান্না করে খেতাম। আর ফুটবলও খেলতাম অনেক, তারপরও আমার কোরিয়ার লাইফের সেই সময়টা সত্যিই মিস করি। কোরিয়া নিয়ে আমার অনেক কিছুই লেখার আছে, আসতে আসতে শেয়ার দিব।
কোরিয়া নিয়ে লেখাঃ
কোরিয়ার স্মৃতিচারণঃ আমার কোরিয়া যাওয়ার প্রারম্ভিক ইতিহাস
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৬
কাছের-মানুষ বলেছেন: মানুষ হল নস্টালজিক প্রাণী, আমাদের সবার সাথেই এমন স্মৃতি অনেক আছে। স্মৃতিগুলো নস্টালজিক করে তোলে আমাদের।
আপনাকে ইদানীং ব্লগে দেখে ভাল লাগছে, নিয়মিত হবেন আশা করি।
২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ক্রিকেট ভালো খেলতেন মনে হয়। ব্যাট ধরা এবং দাঁড়ানোর স্টাইল দেখে মনে হচ্ছে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৬
কাছের-মানুষ বলেছেন: হ্যাঁ, ক্রিকেট ভালই খেলতাম! স্কুল লাইফে-তো সারাদিন ক্রিকেট নিয়েই পরে থাকতাম। দূর-দূরান্তেও যেতাম ক্রিকেট খেলতে বাসে করে বন্ধুরা মিলে।
৩| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫১
শেরজা তপন বলেছেন: কোরিয়ার বাকি গল্পগুলো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম...
এই বয়সে এসে ওই বয়সের এমন গল্পগুলো খুব টানে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৬
কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন, একটা বয়সের পর স্মৃতিগুলো মনে পরে বেশী।
আমি লেখবে বিভিন্ন সময়ে।
ধন্যবাদ আপনাকে।
৪| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০২
কামাল১৮ বলেছেন: ডেনমার্ক ছেড়ে আমেরিকায় কেন আসলেন।স্বর্গ থেকে নরকে।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:০৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: পড়াশুনা শেষ, ভাবলাম আমেরিকা বড় দেশ, স্কোপ বেশী সেখানে যাই, তাই পড়াশুনে শেষ করে ২০২০ এ চলে এলাম আমেরিকা । তাছাড়া ডেনমার্কে বাচ্চা স্কুলে গেলে সব ডেনিশ হোয়াইট বাচ্চাদের মাঝে নিজেকে ডিসক্রিমিনেশোন ফিল করতে পারে, আমেরিকা যাই ইমিগ্রেন্টদের দেশ, ফ্রি-ভাবে বড় হবে সেখানে। আরেকটি কারণ হল, ডলার ইনকামের শখ ছিল ছোট বেলা থেকেই, ভাবলাম আমেরিকা যাই দুহাত ভরে ডলার কামাই!
তবে অবশ্যই বলতে হবে ডেনমার্কের মত আরামের জায়গা কোথাও নেই, ওয়ার্ক-লাইফের ব্যালেন্স আছে সেখানে তাছাড়া তারা গণতন্ত্র এবং অনেকটা সমাজতন্ত্রের ন্যায় দেশ গড়ে তুলেছে, এটা সত্যিই স্বর্গ!
৫| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩২
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আপনি দেখছি ভালোই সুদর্শন ছিলেন !!
হাহাহাহাহাহা !
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৩৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: তাই নাকি! জানতাম-নাতো আমি! হাহাহাহা !
৬| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০৩
বাউন্ডেলে বলেছেন: আপনি শুকনো কাঠের স্বাদও উপভোগ করতে সক্ষমতা অর্জন করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: কি বুঝাতে চাইলেন বুঝলাম নাহ!!!
৭| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩৮
নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: তাই নাকি! জানতাম-নাতো আমি!
বলেন কী ! কেউ বলেনি ? হায় হায় এখন দেখছি এটা সত্যি যে সুদর্শন পুরুষরা কখনও নারীদের থেকে প্রশংসা পায় না !!
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: আহা আপনি আমার কষ্টটা বাড়িয়ে দিলেন। এই দুঃখে কচু গাছের সাথে ফাঁস নিব কিনা ভাবছি! তবে প্রসংশা করার সময় এখনো চলে যায়নি আমি কিন্তু এখনো বিবাহিত ব্যাচেলর!
৮| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩
রাজীব নুর বলেছেন: সুন্দর লেখা।
আমি ফুটবল খুব ভালো খেলতাম।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: ফুটবল খেলাটা আপনি চালিয়ে চান! খেললে মন ভাল থাকে!
৯| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নাম কি?
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: চ্যানেলটি আমি বন্ধ করে দিয়েছি! সময় দিতে পারছিলাম না!
১০| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮
নতুন নকিব বলেছেন:
অসাধারণ স্মৃতিচারণ। পড়ে খুবই ভালো লাগলো।
স্মৃতির ঝাঁপি খুলে দেয়া আপনার এই পোস্টটিতে কমেন্ট করার জন্য শেষমেষ লগইন না করে পারলাম না। আগের মত তেমন আর আসা হয়ে ওঠে না ব্লগে। মূল কারণের পাশাপাশি ছন্দপতনপ্রিয় জীবনের নানাবিদ চড়াই উতরাই আর ছোটখাট কিছু ব্যস্ততাও এর জন্য হয়তো খানিকটা দায়ী।
প্রার্থনা করি, আল্লাহ তাআ'লা আপনাকে পরিবার-পরিজন সকলকে নিয়ে অনেক অনেক ভালো রাখুন। শুভকামনা জানবেন।
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫১
কাছের-মানুষ বলেছেন: পাঠ ও আন্তরিক মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল অনেক।
আসলে কত স্মৃতি জমা হয়ে আছে, আমি চেষ্টা করি জীবনের বিভিন্ন সময়ের মুহুত্যগুলো লেখায় বন্ধী করে রাখতে, স্মৃতিগুলো আবার জীবিত হয়। ভাল বাঁ মন্দ সময় চলে যায় তবে স্মৃতিগুলো থেকে যায়!
আমরা আসলে সবাই ব্যস্ত, ছন্দ পতন জীবনেরই অংশ, দোয়া রইল সব কিছু স্বাভাবিক হোক। আবার নিয়মিত হোন ব্লগে।
১১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:০৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: সুন্দর স্মৃতিচারন
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫১
কাছের-মানুষ বলেছেন: আপনি ঠিকই বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
১২| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১০
শায়মা বলেছেন: বাহ ভাইয়া!
কত আনন্দের ছিলো দিনগুলি।
আসলে কোরিয়া বা আমেরিকা না যেখানেই থাকো না কেনো হল লাইফ যত কষ্টের হোক তবুও এক মধুর স্মৃতি নিয়ে চলে সারাটা জীবন!
১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: দিনগুলো সত্যি আনন্দের ছিল, বিশেষ করে কোরিয়ার সময়গুলো। ব্যাচেলর জীবনে কোন পিছু টান থাকে না, না থাকে দায়িত্বের চাপ, চোখে শুধু স্বপ্ন! কত দুরুস্ত সময়ই না পার করেছি, কত দেশী-বিদেশি বন্ধু। বিদেশি হোস্টেলে আমাদের কিচেনে যখন রান্না করতে যেতাম সেখানে আসত পরিচিত বিদেশী বন্ধুরা রান্না করতে, রান্না আর সাথে আমরা আড্ডা দিতাম, দুষ্টামি করতাম!
আসলে ঠিকই বলেছেন কোরিয়া বাঁ আমেরিকা লাইফ যেমনই হোক সারাটা জীবন এক মধুর স্মৃতি নিয়ে চলে যায়।
আপনাকে ব্লগে পেয়ে ভাল লাগল।
১৩| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: অনেক অনেক স্মৃতি, অনেক অনেক অভিজ্ঞতা।
আমি যখন একা থাকি বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে তখন আমার পিছনের সব স্মৃতি মনস্পষ্টে ভেসে উঠে।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৩
কাছের-মানুষ বলেছেন: আমি চেষ্টা করছি নিজের বিভিন্ন সময়ের অভিজ্ঞতা, অনুভূতি লেখার মাধম্যে ধরে রাখতে।
আপনিও শেয়ার করুণ নিজের অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে।
১৪| ১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:৪০
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: চমৎকার স্মৃুতিচারণ। পরের পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম।
১৯ শে নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৯
কাছের-মানুষ বলেছেন: পাঠ ও মন্তব্যের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল।
আমি কোরিয়া নিয়ে প্রতিটি লেখা ইন্ডিপেন্ডেন্ট-ভাবে লেখার চেষ্টা করছি। তবে আমি আবার কোন এক সময় কোরিয়া নিয়ে লেখব।
১৫| ১৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৩
এম ডি মুসা বলেছেন: সেইদেশে থেকে যান উন্নত জীবন হতে পারে
১৭ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৮
কাছের-মানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে। আপনি সঠিক বলেছেন!
১৬| ০৩ রা ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:৪৯
সোনালি কাবিন বলেছেন: চমৎকার স্মৃতিচারণ।
০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ রাত ১:০৭
কাছের-মানুষ বলেছেন: সঠিক বলেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে।
১৭| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: বেশ বর্ণাঢ্য ছিল আপনার কোরিয়ায় অধ্যয়নকাল! এত লঘু শাস্তি হলে তো বারংবার নিয়ম ভাঙারই ইচ্ছে হবার কথা!
বিজন রয় বলেছেন: আপনার এসব স্মৃতি আপনাকে কাবু করছে। আপনাকে উতলা করছে।
আমাদের সবার জন্য এরকম কিছু আছে - আমিও একটু পরে একটি পোস্ট দিব, যেখানে স্মৃতিচারণমূলক কিছু কথা ও ছবি থাকবে।
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ক্রিকেট ভালো খেলতেন মনে হয়। ব্যাট ধরা এবং দাঁড়ানোর স্টাইল দেখে মনে হচ্ছে - আমারও তাই মনে হয়।
পোস্টে একাদশতম প্লাস। + +
১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৫:১২
কাছের-মানুষ বলেছেন: দুঃখিত দেরিতে উত্তর দেবার জন্য। কয়েকদিনের জন্য কনফারেন্সে গিয়েছিলাম তাই ব্লগে আসা হয়নি।
হ্যাঁ আমার কোরিয়ান জীবন সত্যিই বর্ণাঢ্য ছিল। আমার জীবনের প্রথম বিদেশ কোরিয়া, তাই সব কিছুই অন্যরকম লাগত।
কমেন্ট, লাইক এবং প্লাসের জন্য কৃতজ্ঞতা রইল অনেক।
©somewhere in net ltd.
১| ১৮ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪৩
বিজন রয় বলেছেন: আপনার এসব স্মৃতি আপনাকে কাবু করছে। আপনাকে উতলা করছে।
আমাদের সবার জন্য এরকম কিছু আছে।
তবে আমরা দেশে অনেক বেশি মজা পাই।