নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্তর মাশঊদ

সুখের পিছনে ছুটতে ছুটতে মানুষ অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে। সেখানে আমি সত্যের সন্ধানে ছুটছি

অন্তর মাশঊদ

সুখের আশায় ছুটতে ছুটতে মানুষ অসুখে পড়ছে। আর আমি তখন সত্যের সন্ধানে ছুটছি।

অন্তর মাশঊদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আন্টিদেরকে বলছি

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:১৮

১. আজকাল অনেক আন্টিকে বিয়ের ঘটকিকে এই রকম পাত্রের সন্ধান করতে বলে শুনি -
"ছেলে শিক্ষিত এবং প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। আর সবচেয়ে ভালো হয় ''বাবা-মা-বোন নাই'' অথবা বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। মা-বোন থাকলে অনেক ঝামেলা। আমার মেয়েটার পিছনে সারাক্ষন লেগে থাকবে। আর আজকালকার ননদ গুলো খুব খারাপ। ভাই যে ভাবীদেরকে আদর-সোহাগ করে কিছু কিনে দেবে এটা দেখতে পারেনা। মনে করে তাঁর ভাগে কমতি পড়তে পারে।

২. আরে ভাবী শুনলাম আপনার মেয়েকে নাকি বিয়ে দিয়েছেন? তো কেমন আছে সে?
- কি আর বলব ভাবী। আমার মেয়ের আসলে সাত কপাল। ছেলে প্রতিষ্ঠিত। আগে বড় ভাইয়ের সাথে থাকত। বিয়ের পর আমার মেয়েকে নিজের ফ্ল্যাট কিনেছে। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো বাপ-মা-বোন নাই; তাই আমার মেয়ের বাড়তি কোন ঝামেলাই নাই। ছোট পরিবার। খুব সুখে আছে দুজনে।

খুব খারাপ লাগে। যখন দেখি কোন বিবাহযোগ্য মেয়ের মা এমনভাবে কথাগুলো বলে। আচ্ছা পাত্রের বাবা-মা-বোন থাকা কি ঝামেলা? তাঁরা কেন ভুলে যায় তাদেরও ছেলে আছে। তিনিও তো কোন না কোন মেয়ের শাশুড়ি হবেন। তাঁর মেয়েতো কারো না কারো ননদ হবে।
একটি পরিবারের মাঝে ছেলেটির বাবা-মা না থাকা যে কত বড় কষ্টের তা সেই ছেলেটিই বুঝে যার মাথার উপর হতে মা বাবার ছায়া নেই।
সেই আন্টিকে বলছি- একটা সংসারে যখন ঝগড়া লাগে ছেলেরা তখন রাগের বশে অনেক স্ত্রীর গায়ে হাত পর্যন্ত তুলে। সেই সময়ে যদি বাসায় একজন মুরুব্বি (বাবা-মা) থাকেন তিনি সেই ঝগড়া মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁর ফলে বড় কোন দুর্ঘটনার হাত হতে রক্ষা পেয়ে যায় পরিবারটি। আর একটা পরিবারে বোন একটা দেবদূতের মত কাজ করে। আপনার মেয়ের ছায়াসঙ্গি হিসেবে। মনের অনেক কথা শাশুড়িকে বলতে লজ্জা পেলেও বোনকে বলতে পারে।
তাই আবারও আন্টিদেরকে বলছি, মেয়েকে ছোট পরিবারে বিয়ে দিয়েছি বলে আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে "ছোট পরিবার" শব্দটিকে গালি দিবেন না প্লীজ।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৩

হরিপদ কেরাণী বলেছেন: ভারতীয় সিরিয়াল দেখে দেখে পারিবারিক বন্ধনগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে তালাকের হার বেড়ে গেছে। বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বাড়ছে। লিভ টুগেদারের সংখ্যা বাড়ছে। ধর্ম বিশ্বাসী মানুষেের সংখ্যা কমছে। লক্ষণগুলো ভয়াবহ!

২| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১২:৩৮

হরিপদ কেরাণী বলেছেন: বিয়ের পর মেয়ের মায়ের হাতে থাকে ছেলের বাড়ী নিয়ন্ত্রণের রিমোট কন্ট্রোল। রিমোট কন্ট্রোলে টিপ দিলেই ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা। এক সময় দেখা যায় বাবা-মা-ভাই-বোন আত্নীয় স্বজন ছেড়ে ছেলে হয়ে যায় শ্বাশুরির কৃতদাশ। এক সময় হয়ে যায় বিচি কাটা বলদ! তার কাঁধে জোয়াল চড়িয়ে করা হয় শ্বশুর বাড়ীর হালচাষ।

৩| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৯:২৩

নিলু বলেছেন: হালচাষ থেকে ফসল , তারপর জনসংখ্যা বৃদ্ধি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.