![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সুখের আশায় ছুটতে ছুটতে মানুষ অসুখে পড়ছে। আর আমি তখন সত্যের সন্ধানে ছুটছি।
"ও দাদা ও দাদী আরে ও চাচা ও চাচী, ঘুম হতে উঠুন। সেহরী খাওয়ার সময় হয়েছে।
ও ভাইয়া ও ভাবী ঘুম হতে উঠুন সেহরী খাওয়ার সময় হয়েছে।"
ছোট্টবেলায় দেখতাম রোজার মাসে সেহরী খেতে সবাইকে ঘুম হতে জাগানোর জন্য মহল্লার বড় ভাইয়ারা দলবেঁধে প্রতিটি বাসার দরজায় কড়া নেড়ে উপরের লাইনগুলো সুরে সুরে বলে সবাইকে ঘুম হতে তুলতো।
এই কাজটির জন্য তাঁরা অবশ্য প্রতিটি বাসা হতে মাস শেষে তাঁরা একটা চাঁদা নিতো। যেই টাকা চান রাতের দিন গ্রুপের ভিতর ভাগাভাগী করে ঈদের দিন আনন্দ করত।
এরপর গ্রামে যখন গেলাম। সেখানে দেখতাম গ্রামের মসজিদের মোয়াজ্জিন সাহেব বা যিনি ইত্তেকাফে মসজিদে থাকতেন উনি মাইকের এক অসহনীয় সাইরেন বাজিয়ে সবাইকে ঘুম হতে তুলতেন। সেইসাথে মাইকে বলতেন,
"অত্র এলাকার মুসুল্লীগন! আপনারা ঘুম হতে উঠুন। সেহরী খাওয়ার সময় হয়েছে। আপনারা ঘুম হতে উঠুন সেহরী খাওয়ার সময় হয়েছে। আজকে সেহরীর শেষ সময় ভোর ** টা ** মিনিট"।
সময়ের চাহিদার সাথে সাথে উপরের যুবকদের বাড়ি বাড়ি যেয়ে ঘুম হতে জাগানোর ঐতিহ্য আজ বিলুপ্তির পথে। মোবাইল ফোনের এলার্ম এখন মানুষকে সঠিক সময়ে ডেকে তুলে। তারপরেও কেউ মিস করলেও যদি তাঁর বাসায় আমাদের জেনারেশনের ছেলে মেয়ে যদি থাকে তাহলে এলার্ম ভুল করলেও তাঁদের ছেলে মেয়ে তাঁদের জাগাতে ভুল করবেনা। কারন আমাদের জেনারেশনের বেশীরভাগই রাতে ঘুমাইনা বা ঘুমালেও অনেক দেরীতে।
অথচ এই আমাকেই কিনা সেহরীর সময় কত ডাকাডাকি করে ঘুম ভাংগাতো আম্মু আব্বু। আজ সেই আমি সঠিক সময়ে তাঁদের ঘুম ভাঙ্গাই সেহরী খাওয়ার জন্য। আসলেই প্রযুক্তি মানুষকে দিনদিন আরামপ্রিয়র সাথে সাথে নিদ্রাহীনতা আশির্বাদ আর অভিশাপ দুইভাবেই দিয়েছে।
তবে সব বন্ধ হলেও মসজিদের হুজুরেরা মুসুল্লীদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে ঘুম হতে ডেকে তোলার জন্য তাঁদের যেই দায়িত্ব তা হতে পিছপা হয়নি। তাঁরা এখনও তাঁদের সেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
যাইহোক, অনেকদিন পর ছোট্টবেলার কথা মনে পড়ে গেলো। দিনগুলো আসলেই অন্যরকম আনন্দের ছিলো।
এই যাহ! লিখতে লিখতে এলার্ম বেজে গেলো। সেহরী খাওয়ার সময় হয়েছে। আব্বু আম্মু ডাকতে গেলাম। বাই।
#অন্তর_মাশঊদ
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জুন, ২০১৫ ভোর ৬:৩৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তারা ডাকাডাকির নামে চাদাবাজির করত। রোজা রাখে মানুষ নিজের তাগিতে। কারো ডাকাডাকি মনে হয় মুখ্য নয়।