নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি মারুফ, রংপুরে থাকি। এখন কারমাইকেল কলেজে দ্বাদশ শ্রেণীর বাণিজ্য বিভাগে পড়াশুনা করছি। পড়াশুনার পাশাপাশি একটি সংবাদপত্রে শিশু সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছি। আর ব্লগিং পেশাটা হল শখের। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হওয়ায় আমি বাহিরে ঘুড়ে বেড়াতে অক্ষম। তাই কম্পিউটারে বসেই লেখালেখি আর পড়াশুনা করতেই সবসময় ব্যস্ত থাকি। ৩ বছর থেকে এতদিন ব্লগ পড়তাম। এখন ব্লগ লিখতে শুরু করেছি। ও! আরেকটি কথা, ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপিং শিখছি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে। ব্লগ, ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করেই যাচ্ছি। টেকনলোজি, শিশু-কিশোরদের নিয়ে লিখতে বেশি ভালোবাসি। সবশেষে বলব, আমি একজন ক্ষুদে ব্লগার। আমার একটি ব্যক্তিগত ভার্চুয়াল ডায়েরী আছে। ভিজিট করুন ঃ- www.bloggermaruf.com
বেশ কিছুদিন আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ডরেমন। বড়দের জন্য মহা যন্ত্রণার এই ডরেমন, অপরদিকে শিশুদের চরম প্রিয় ডরেমন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি খুবই খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু এতে আমার দুঃখেরও কমতি ছিল না। খুশির কারণ মূলত, বাচ্চারা যে হারে হিন্দি শেখা শুরু করেছিল তাতে প্রতিটা অভিভাবক থেকে শুরু করে দেশের বড় বড় মাথাও দুশ্চিন্তায় ডুবে গিয়েছিল। ডরেমন বন্ধ হওয়ায় তাই আমিও কিছুটা চিন্তা থেকে মুক্তি পেয়েছিলাম। অন্যদিকে দুঃখের কারণখানি হল, শিশুদেরকে নেশায় ফেলে দিয়ে তা কেড়ে নেওয়ায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছিল তাদের উপর। এই করুণ অবস্থা দেখে আমার খুবই খারাপ লেগেছিল।
তবে আবারও এসে গেছে ডরেমন। কিন্তু আর হিন্দি না ! এবার শিশুরা আনন্দের সাথে দেখছে বাংলায় ডাবিংকৃত ডরেমন। এই ডরেমন আবারও কতটা খারাপ প্রভাব ফেলবে তা বলতে পারিনা। কিন্তু আপাতত দৃষ্টিতে এর খারাপ প্রভাব মাথায় আসছে না। আর প্রভাব পড়লে পড়ুক। অন্তত এই বাংলা ডরেমন যদি হিন্দির প্রতি বাঙালি বাচ্চাদের টান-মায়া-মমতাটা কিছুটা কমাতে পারে তাতেও আমার শান্তি, আপনাদের কথা বলতে পারছিনা।
আমার বাসায় ছোট বাচ্চা বলতে একটাই বাচ্চা, সে হল আমার ভাতিজা "শাফি"। এখন পড়ছে ক্লাস ফাইভে। কিন্তু ডরেমন এর সাথে তাঁর সম্পর্ক প্রথম থেকেই। তাই এখন কিছুটা বড় হলেও আবার ডরেমন আসার আনন্দে সে বিহব্বল। তাঁর মতে, বাংলায় ডরেমনের কথা শুনতে খুব মজা লাগে। তাই আগের ডরেমনের চেয়ে এখনকার বাংলা ডরেমন দেখতে ভালো লাগে।
মানুষ মাত্রই একটু বেশি প্রত্যাশা করে। তার ব্যতিক্রম না ঘটিয়ে পরিশেষে বলতে চাই, "বাংলায় ডরেমন... তোমায় স্বাগতম"। তবে আমাদের আরও প্রত্যাশা আছে। ডাবিং করা শুধু ধার করা কার্টুন আমরা দেখতে চাইনা। চাই আমাদের নিজেদের তৈরি করা মানসম্মত নতুন চরিত্রের কার্টুন। শুধু কার্টুনও নয়। চাই বাংলায় শিশুদের বিনোদন উপযোগী চ্যানেল। আর এশিয়ান টিভিকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি আজকের এই পোস্ট। ধন্যবাদ।
* এই পোস্টটি আমার ব্যক্তিগত ব্লগ "ব্লগার মারুফ ডট কম " এ প্রথম প্রকাশ করা হয়েছে। সময় থাকলে আমার ব্যক্তিগত ব্লগটি ঘুরে আসবেন। আপনার মতামত কাম্য *
২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:২৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: বিরক্তকর একটা জিনিস! মাথা মোটা নির্ধারকরা বুঝেনা এতে শিক্ষার কিছুই নাই।
৩| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৮
পথহারা নাবিক বলেছেন: এক পর্বে দেখেছিলাম নবিতা এক মেয়ের সাথে চুমা চুমি করছে!! এইটা কি ভাবে বাচ্চারা দেখবে তা চিন্তা করে অবাক লাগছে!!
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:০২
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: ডরেমনে শিক্ষনীয় কিছু নেই আছে শুধু কি ভাবে প্রতারনা করা যায় তাহা। বন্ধ ছিল আবার যে কেন এই উটকো ঝামেলা চালু হলো?
এই আপদ বন্ধ থাকলেই ভালো হয়।