নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতিবাদ তো পজিটিভ ও হতে পারে।

ডাব্বা

জোছনা রাত। হট চকলেট। লেক এর পাড়। ছোট ছোট চুমুক। ভেজা রাস্তায় চেনা মুখ। আলিঙ্গন। হট চুমুক। ছোট ছোট জোছনা রাত। চকলেট লেক এর পাড়।

ডাব্বা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন ও আমাদের টেনশন!

১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৯:৫০

রাজনৈতিক পোস্ট দেয়া বা পোস্টে মন্তব্য করা থেকে দুরে থাকি। চিনি না জানি না লোকজন উত্তরে সমানে তুই তোকারি করে ছাগু, আদা, ভাদা ট্যাগ লাগিয়ে গালির তুবরি ছোটায়। কি দরকার বাবা দাওয়াত দিয়ে ডেকে এনে নিজের সম্মান নস্ট করার? আমরা সবাই অত্যন্ত টেরিটোরিয়াল!



কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার এই জন্মতারিখ নিয়ে যা হচ্ছে সেটা নিয়ে কিছু কথা বলতে ইচ্ছে করছে। এই ব্লগেই অনেক তথ্য প্রমান সহ একটি পোস্ট নির্বাচিত পাতায় আছে।



কেউ আগ্রহী হলে সেখান থেকেও ঘুরে আসতে পারেন। বেশ কিছু ইন্টরেস্টিং মন্তব্য পড়েছে পোস্ট টিতে।



দুই বা ততোধিক জন্মতারিখ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন কিছু না। অবাক হবার মত কোন ঘটনা তো অবশ্যই নয়। আমার নিজেরই জন্ম তারিখ দুটো। একটা রিয়েল, অন্যটি সার্টিফিকেটের বয়স। এ কাহিনী বাংলাদেশের কমন কাহিনী। আপনারও হয়ত আছে। অথবা আপনার বড় ভাইয়ের বা বোনের।



আমার বান্ধবী সাদিয়ার চারটি জন্মদিন। প্রথমটি আসল, দ্বিতীয়টি নতুন স্কুলে ভর্তির সময় ওর বাবা বয়স বাড়িয়ে দিয়েছিলেন যাতে ওরা দু বোন একসাথে একই ক্লাসে থাকে। এতে ওদের আনা নেওয়া করতে একটু সুবিধে হত খালাম্মার। তৃতীয়টি ক্লাস নাইন মেট্রিক পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশনের সময় সার্টিফিকেটে বয়স কমানো যেটা খুবই স্বাভাবিক আমাদের দেশে। চতুর্থটি বেশ মজার। সাদিয়ার বিয়ে হয়ে যায় ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ারে। ওর শ্বশুর মেয়ের বয়স ১৮ না লিখিয়ে কিছুতেই বিয়ে করাবেন না।শফিক ভাই, সাদিয়ার বরও ১৮ বছরের নীচের বউ নিয়ে অ্যামেরিকায় ফিরবেন না। উনি নিজেও তখন মাস্টার্সের স্টুডেন্ট। কাজেই বিয়ের কাগজে ওর বয়স ১৮ দেখাতে আরেকবার বদলে গেল দিন তারিখ।



এবার এক মুহুর্তের জন্যে খালেদা জিয়ার কথা ভুলে যান। প্লিজ।



তারপর, নস্ট এবং নোংরা রাজনীতিটাকে নীচে রেখে একটু উপরে উঠে গিয়ে ভেবে বলুন তো, বাংলাদেশী একজন মহিলার কয়েকটি জন্ম তারিখের জন্যে তাকে মিথ্যেবাদী, ভন্ড, প্রতারক বলাটা কতটা যুক্তিযুক্ত? তার বংশ পরিচয়ের বানোয়াট তথ্য টেনে আনা থেকে ব্যক্তিগত অশ্লীল ইঙ্গিত করে কথা বলাকে কি সীমার ভেতর আছে বলবেন? আবারো মনে করিয়ে দিচ্ছি আমরা কিন্তু এ মুহুর্তে একজন সাধারন বাংলাদেশী মহিলার কথা বলছি যিনি আপনার মা, বোন বা প্রেয়সীও হতে পারেন।



সাদিয়া'র এতগুলো তারিখের মধ্যে তো কোনটিতেই ওর হাত ছিল না।



নিজের বিবেক কোন দলের কাছে বিক্রী না করে যদি চিন্তা করা যায় [প্রায় অসম্ভব একটা কথা বললাম] তাহলে এই মাল্টিপল্‌ জন্মতারিখ অস্বাভাবিক কিছু বলে মনে হবে না। আর যদি একচোখ দিয়ে দেখতে যাই তাহলে অনেক কিছুই টু্ইস্টেড দেখাবে।



আচ্ছা, খালেদার জন্মদিনের উৎসব ১৫ই আগস্ট যদি না হয় তবেই কি তাঁর সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে? এটাই কি বাংলাদেশের একমাত্র বার্নিং কোয়েস্চেন? তাহলে গনমানুষ সহ এমনকি ইট পাথরের ও প্রানের যে দাবী রাজাকারের বিচারের পক্ষে তাঁর দুর্বল অবস্থান তার কি হবে? ভুলে যাব?!



না যাব না। তাহলে? সমস্যা তো এখানেই। আমরা ইউজড্‌, কনফিউজড্‌ এ্যান্ড অ্যাবিউজড্‌।



খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৫ই আগস্ট না হলে গোমড়ামুখী মমতা খোকা খোকা ডাক পাড়ি বলে এসে তিস্তা চুক্তিতে সই দিয়ে যাবেন না, সীমান্তে বিএসএফ এর গুলীতে মানুষ হত্যা বন্ধ হয়ে যাবে না, গঙ্গা যমুনায় পানির স্রোত বেড়ে দ্বিগুন হবে না, বিনা বিচারে মানুষ হত্যা বন্ধ হবে না, রাতারাতি যমুনা সেতুর জন্যে অর্থ সাহায্য চলে আসবে না, হলমার্কের টাকা ফেরত আসবে না, মিঃ মুহিত অর্থনীতি তে নোবেল পাবেন না, তিনি শেয়ার বাজারটা তখনো বুঝে উঠতে পারবেন না, ফরমালিন মেশানো ফলমুল, শাকসব্জী, মাছ, দুধের সাপ্লাই বন্ধ হয়ে যাবে না।



খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৫ই আগস্ট না হলে শফি হুজুর খেজুর বাদ দিয়ে চিকেন নাগেট খেতে শুরু করবেন না, দেওয়ানবাগী বা সাঈদি'র চাঁদের বুড়ির সঙ্গে ডেটিং বন্ধ হয়ে যাবে না, এরশাদ তখনো ছোক ছোক করবেন এবং ইতিউতি তাকাবেন কোন কিছুর সন্ধানে, শেখ হাসিনা ডঃ ইউনুস এর পিছু ছাড়বেন না, বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর 'ফেরাউনের মৃত্যু হয়েছে' বলা আবদুল মালেক উকিল সাহেবের মরনোত্তর বিচার হবে না; ট্যাংক এর উপর উঠে খুশীতে লাফানো ইনু'র মন্ত্রীত্ব চলে যাবে না। জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে না। মানবতাবিরোধী বিচারের বদলে যুদ্ধাপরাধের বিচার হবে না। বিচার হবে না নিজ ঘরের 'ভাল রাজাকার'টির। আনান্তা জলীল অভিনয় বাদ দিয়ে মুভি প্রযোজনায় মন দেবেন না।



খালেদা জিয়ার জন্মদিন ১৫ই আগস্ট না হলে ইন্ডিয়ার দাদাগিরি বন্ধ হয়ে যাবে না, মিয়ানমারের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যা মিটে যাবে না, পাকিস্তান ১৯৭১ এর গণহত্যার জন্যে ক্ষমা চাইবে না, আমেরিকার রক্তচক্ষু দেখানো কমে যাবে না, আই এম এফ, এ ডি বি, ওয়ার্লড ব্যাংকের মাস্তানীতে মরচে ধরবে না।



তাহলে লাভ টা কি এই ১৫ই আগস্টের জন্মদিন নিয়ে এত কচলা কচলি করে? আমরা আসলে কি চাই? আমরা কি চাই আরো তথ্য প্রমান বের করতে যেখানে দেখা যাবে যে তাঁর আরো কয়েকটি জন্ম তারিখ বিদ্যমান?

এটা বের করে কি লাভ হবে?

না কি চাই যে উনি ১৫ই আগস্টের দিনটিতে যেন তাঁর জন্মদিনটি পালন না করেন?

এটা তাঁর ব্যক্তিগত অধিকার।

না কি আমরা শুধুই তাঁকে গালাগাল আর শাপশাপান্ত করেই ক্ষান্ত হব?



লক্ষ্যটি কি? কি চাই? কেন এত হুলুস্থুল? সব গেল সব গেল রব! আসলেই কি সব গেল?



সত্যি, ১৫ই আগস্ট কারো কাছে শোক দিবস, কারো কাছে নাজাত দিবস। ইদানীং যোগ হয়েছে এই জন্ম দিবস তামাসা। ভবিষ্যতে আরো কিছু যোগ হবার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায়না। আমার প্রশ্ন হোল আসলেই কি এই জন্মদিন পালন নিয়ে উদ্বিগ্ন হবার মত কিছু আছে? এই জন্মদিনটা কি একটা থ্রেট? কিসের থ্রেট? কতখানি থ্রেট? কার জন্যে থ্রেট?



শেখ মুজিবুর রহমানের জন্যে থ্রেট? হাহ্‌!!

হাসতে হাসতে আমার আন্ডারওয়্যার খুলে পড়ে যাচ্ছে। [লুঙ্গি খুলে পড়ার চাইতে বেশী কঠিন এটা তাই পাঠক নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন কতখানি জোরে হাসছি]



শেখ মুজিবুর রহমানের ধার এবং ভার এর সামনে বেগম খালেদা জিয়া যথেস্টই দুর্বল একজন মানুষ। শেখ মুজিবের মত সংগ্রাম, প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং প্রতিযোগিতা করে টিকে থাকা একজন মানুষের সামনে খালেদা জিয়া কেবলই কন্যাসম এক গৃহিনী। এত দুর্বল একজনের পক্ষে কোনভাবেই মুজিব কে টেনে নামানো সম্ভব না যদিও তিনি সত্যি সত্যিই সে চেস্টা করেন এবং যতই করেন। কিন্তু আমার ধারনা সেটা তিনি বোঝেন এবং বোঝেন বলেই শেখ মুজিব কে বঙ্গবন্ধু বলে ডেকেছেন এবং উনার কবর যেয়ারত করতে গিয়েছিলেন। দ্যাট ওয়ায এ্যা স্মার্ট মুভ।



তাহলে কাদের পরামর্শে তিনি এ ধরনের হঠকারি একটি সিদ্ধান্ত নিলেন? না কি নিতে বাধ্য হলেন? কেন বাধ্য হলেন? তিনি কি তবে কিছুটা হলেও লোভে পড়ে গিয়েছিলেন? কিসের লোভ? মুজিব কে অপমান করার লোভ? হাসিনাকে অপদস্ত করার আকাঙ্খা? কাদের কুবুদ্ধিতে তিনি গাছের মগডালে উঠে আর নামতে পারছেন না?



ওয়েল, এ ব্যাপারে বাজারে কয়েকটি থিয়োরি চালু আছে। সেগুলো আপনারা জানেন।

এ বিপদ থেকে তাঁর পরিত্রানের উপায় কি? আমি জানি না।



শুধু এটা জানি যে খালেদা জিয়ার অবস্থা এখন জামাতের মত। ১৯৭১ এ ভুল করেছিলাম, এটা স্বীকার করলেই তাদের রাজনীতি শেষ (জামাতের নেতাদের মত এটা)। ১৫ই আগস্ট আমার জন্মদিন না এটা বললেই বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটা বড় ধরনের ভাড়ামীর জন্ম হবে।



বাই দ্য ওয়ে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে সবচেয়ে বড় ভাড়টির নাম কি কেউ জানেন?



ধরে নেই খালেদা জিয়ার আসল জন্ম তারিখ আসলেই ১৫ই আগস্ট। অসম্ভব কিছু তো না। হতে পারে।



কিন্তু কথা হল, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা; শেখ মুজিবুর রহমানের অবর্তমানে স্বাধীনতার ঘোষনা দেয়া এবং বাংলাদেশের নির্বাচিত সবচাইতে সৎ রাস্ট্রনায়কের স্ত্রী হিসেবে উনার জন্মদিন যদি সত্যি সত্যি ১৫ই আগস্ট হয়েও থাকে তবু তাঁর উচিত হয়নি এটাকে এত ঘটা করে পালন করা। ঠিক হয়নি এটাকে সর্বজনীন একটা রূপ দেয়ার চেস্টা করা কারন তিনি কোন সাধারন মহিলা নন। তিনি আমার মা নন, বোন বা প্রেয়সীও নন।



আমরা একজন মৃতব্যক্তিকে সামনে রেখে কথা বলছি। এবং সেই মৃত ব্যক্তিটি মোটেই যাচ্ছে তাই কেউ নন। তাই খুবই দৃস্টিকটু এই জন্মদিনের উৎসবটি। এটি কোন স্বাভাবিক উৎসব বলে তাই আমরা মানতে পারছি না। এটি একটি আরোপিত জন্মোৎসব। এটি দ্রুত নিয়ন্ত্রিত হওয়া উচিত।



একজন মিতবাক প্রাক্তন ও ভবিষ্যত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উনার কাছ থেকে আমরা এ ধরনের বালখিল্য আচরন আশা করিনি।



শোভন মানুষ হিসেবে আমরা নিদারুন আশাহত।





বিঃ দ্রঃ সাদিয়া এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা একটি মেডিক্যাল রিসার্চ ল্যাব এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৭

আলাপচারী বলেছেন: বিক্ষিপ্ত ভাবনা এক রেখায় নিয়ে আসুন।
রচনা ধ্রুপদী হবে।
আপনার এ্যাঙ্গেল অব ভিউতে আমরা আশাবাদী।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:২৭

ডাব্বা বলেছেন: জ্বী। ধন্যবাদ।

২| ১৮ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ১০:০৯

আমিনুর রহমান বলেছেন:


চমৎকার পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।
১৫ই আগষ্ট খালেদা জিয়া জন্মদিন পালন করলে বঙ্গবন্ধু'র সম্মান হানি হবে বা অপমানিত হবেন মোটেও না। কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী এবং দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী নেত্রী হিসাবে ১৫ই আগষ্ট যদি সত্যিকার জন্মদিনও হয়ে থাকে ঘটা করে পালন করা উচিত নয়। এটা ভীষণ দৃষ্টিকটু। তবে সত্যি বলতে আমার আরো বেশী দৃষ্টিকটু মনে হয় যখন দেখি বঙ্গবন্ধু'র শোক পালন কথা না বলে কিছু মানুষ খালেদা কেন এই দিনে জন্মদিন পালন করছে তাকে কিভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা যায় তা নিয়ে কথা বলা শুরু করে। মূলত তাদের কারনে আরো বেশি প্রচার পাচ্ছে খালেদার জন্মদিনের কথা যা শোক পালনের বিষয়টা অনেক ক্ষেত্রেই ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে।

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩২

ডাব্বা বলেছেন: আমার মনে হয় খালেদা জিয়া নিজেও বিষয়টি উপলব্ধি করছেন। যে কোন বোধসম্পন্ন মানুষই করবেন। আর মানুষ নেতিবাচক বিষয়ে কথা বলে বেশী। ঠিক হয়ে যাবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্যে।

৩| ১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩১

অেসন বলেছেন: ধরে নিলাম, খালেদা জিয়ার সত্যিকারের জন্মদিন ১৫ই আগষ্ট। ৯০ দশকের আগে খালেদা জিয়াকে এভাবে জন্মদিন পালন করতে দেখিনি।
কি দরকার বিএনপি মহাসচিবের মিডিয়ার সামনে "শুভ শুভ শুভ দিন
খালেদা জিয়ার জন্মদিন" শ্লোগান দেওয়ার ! মওদুদ সাহেব তার বইয়ে
লিখেছেন এভাবে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন উনি সমর্থন করেন না।
এভাবে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালন রাজনৈতিক উষ্কানি ছাড়া আর কি?

১৯ শে আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১:৩৬

ডাব্বা বলেছেন: আপনার সাথে একমত।
দেশে সমস্যার কিন্তু অভাব নেই। নতুন আরেকটি সমস্যা নিজের হাতে ধরে তৈরী করার দরকারটা কি? ধন্যবাদ লেখাটি পড়ার জন্যে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.