নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতিবাদ তো পজিটিভ ও হতে পারে।

ডাব্বা

জোছনা রাত। হট চকলেট। লেক এর পাড়। ছোট ছোট চুমুক। ভেজা রাস্তায় চেনা মুখ। আলিঙ্গন। হট চুমুক। ছোট ছোট জোছনা রাত। চকলেট লেক এর পাড়।

ডাব্বা › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিরো আলম ও Crazy Joe

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৩২

একজন মানুষের তার নিজের মতো করে জীবন যাপনের সম্পূর্ণ অধিকার আছে। যতক্ষণ পর্যন্ত না সে অসামাজিক হয়ে যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে সে অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অধিকার কারো নেই।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে কেটে, ধুয়ে, মুছে, অপরিষ্কার হাতে আমড়া বিক্রি করে কেউ সংসার চালায়। মানুষ তা খাচ্ছেও। কেউ রিজেক্টড শার্ট নতুন স্টিকার দিয়ে বিক্রি করে তার মেয়েটির যৌতুকের খরচ জোগায়। মানুষ সেই শার্টও কিনছে। কারো স্ট্যান্ডার্ডে না মানালে রাস্তার আমড়া খাবে না। আবার দমে কুলালে শার্ট-প্যান্ট বানিয়েও পড়তে পারে। অপশন আছে।

আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের সিডি বিক্রি দিয়ে জীবনের শুরুটা অন্যদিকেও প্রবাহিত হতে পারতো। সে মাদকসেবি, বদমায়েশ, বা রাজনীতির পান্ডা হতে পারতো। আমাদের দেশীয় পরিবেশে সেটাই হয়তো স্বাভাবিক হতো কিন্তু যা ঘটছে তা অস্বাভাবিক ঠেকছে আমাদের কাছে, এবং এই অস্বাভাবিকতাটাই স্বাভাবিক, কারণ এটা আমাদের কাছে নতুন। এই নতুনত্ব আমাদের সামন্ততান্ত্রিক বিশ্বাসে আঘাত করেছে। এই আঘাতটা আমাদের 'জ্বি হুজুর' মন বরদাশত করতে পারছেনা।

আশরাফুল আলমের বিদ্যা সঙ্কট আছে কিন্তু সে যে নিজ যোগ্যতায় সমাজের বিভিন্ন স্তরে একটা জায়গা করে নিয়েছে এটা স্বীকার করতে আমাদের বিদ্যালংকারদের কষ্ট হচ্ছে কারণ আমরা সৈয়দ বংশের লোক! তাই আমরা তাঁকে নিয়ে হাসি, ঠাট্টা করি। তাঁর চেহারা, কথা, বেশভূষা নিয়ে মজলিস গরম করি কিন্তু আমরা যা করি না তা হলো আমরা আমাদের চারদিকে তাকাই না।

ভালো করে নজর ফেললে অবশ্যই পরিচিত এমন কাউকে পাওয়া যাবেই যিনি কখনো অডিও বা ভিএইচএস ক্যাসেট বিক্রি করতেন। ৪০, ৩০, ২০ বছর আগের সেই মানুষগুলো কি আজকে একেকটি অডিও কোম্পানির মালিক হতে পেরেছে? নাটক, সিনেমার, বিজ্ঞাপনের প্রোডাকশন হাউয খুলেছে? আজিমপুর বাসস্ট্যান্ডের যে দোকানীর কাছ থেকে আমি নিয়মিত সাপ্তাহিক যায়যায়দিন কিনতাম সে কি কোনও খবরের কাগজের মালিক হয়েছে? না হয়নি। কিন্তু আজাদ প্রোডাক্টস ঠিকই হয়েছে। আর আমরা তাঁকে নিয়েও হেসেছিলাম।

হতে পারে হিরো আলম কড়া বাথরুম সিঙ্গার, হতে পারে তাঁর জন্যই মাহফুজুর রহমানকে আমাদের গানের পাখি বলে মনে হয়, কিন্তু আপনারা তাঁর অন্ট্রাপ্রনিউ্যয়ারশিপ(entrepreneurship)টা দেখুন। তাঁর অ্যামবিশন(ambition)টা দেখুন। তাঁর রেযিলিয়েন্স(resilience) দেখুন। তাঁর অ্যাসপিরেইশন (aspiration) দেখুন। তাঁর নেটওয়ার্কিং(networking) দেখুন। তাঁর স্বতঃস্ফূর্ততা(spontaneity) দেখুন। ক্রুর নেগেটিভ সমালোচনা কে সামাল নেয়ার মেন্টালিটি ও অ্যাটিচুওড(attitude) দেখুন, ইতিবাচকতা(posetivity) দেখুন।

আপনারা ইন্টিরিওর(interior) টা অবজ্ঞা করে শুধু এক্সটিরিওর(exterior)টা-ই দেখছেন।

মানছি সে আপনার ক্লাস(class) এর গায়ক বা অভিনেতা না রাজনীতিবিদ না, আমি নিজেও কোনও সময় একথা সেকথা বলেছি কিন্তু হি ইয অ্যা ব্রেইভ ম্যান। হয়তো ক্রেইযি(crazy)ও। ব্রাদার, কিছু অর্জন করতে ক্রেইযি আপনাকে হতে হবেই, crazy না হয়ে আজ পর্যন্ত এই পৃথিবীতে কেউ কিছু অর্জন করেনি। হিমালয় অভিযান পাগলামি, আকাশে উড়ে বেড়ানো পাগলামি, মহাকাশ অভিযান আরো বড় পাগলামি, তাজমহল এমনকি আমাদের ভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতার যুদ্ধ এসব পাগলামিই ছিল।

দেড় যুগ আগে লন্ডনে এক ক্যাফে মালিকের সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল। নাম ছিল Joe. Joseph এর শর্ট ফর্ম। তাঁর ক্যাফে'র নাম Crazy Joe. রেফিউজি হয়ে আসা জো লেবাননের ছেলে। পথে পথে ঘুরে বেড়াতো লন্ডনে, তারপর কিছু একটা করতে হবে তাড়না থেকে Crazy Joe's Cafe'র মালিক বনে যাওয়া। ওর ওখানে প্রতি সপ্তাহে যাওয়া হতো। জো'র গল্পটা শুনে আমি এতো মুগ্ধ হয়েছিলাম যে Western University'র Ivey Business School এ ওকে নিয়ে case study'র একটা ব্যাবস্থা করে দেই যাতে ছাত্ররা ওর বিযন্যাস ট্যাকটিক্স(tactics) নিয়ে স্টাডি করতে পারে। হিরো আলমকে নিয়ে আমাদের স্টুডেন্টদের অবশ্যই case study বানানো উচিত। He is a learning tool.

অথচ তাঁকে নিয়ে যা হচ্ছে সেটা সাইবার বুলিইং(bullying) এবং একঘরে(ostracism) করে রাখা আচরণ। এসব কাজ ধর্ম বহির্ভূতও বটে। ন্যায় বিধান বা ফিকাহ পরিপন্থী। (ফিকাহের ব্যাখ্যায় আমার ভুল হলে কেউ ঠিক করে দেবেন)।

হিরো আলমের আসল নাম আশরাফুল আলম, মানে জগৎশ্রেষ্ঠ। আপনি তীর্যক দৃষ্টিতে তাঁর ক্লাসলেস(classless) জগৎটা কত বড় সে প্রশ্ন তুলতে পারেন। আলম আপনার কাছে হিরো না হতে পারে এবং তাতে কারো বিন্দু পরিমান আপত্তি থাকার কথাও না কিন্তু তাঁরও একটি আলম কিন্তু আছে। একটু একটু করে একটি আলম সে তৈরি করে নিয়েছে। আর তাঁর সেই আলমে সে অনেকেরই হিরো।

আপনার হিরোইযমের কী অবস্থা?

আমি হলফ করে বলতে পারি, আগামীকাল যদি হিরো আলম দশটি হামদ ও নাতের একটি অ্যালবাম বের করে, আজকে আপনারা যারা তাঁকে নিয়ে তামাশা করেন তারাই পরশুদিন স্ট্যাটাস দেবেন, 'আল্লাহ তুমি হিরো আলমকে নেক হায়াত দান কর'।

এটা হিপোক্রেসি।

প্লিজ, আপনার ক্লাসটাকে সংযত করুন। সবাইকে আপনার লেভেলের হতে হবে না। ব্যাঙটাকে তার মতো করেই ডাকতে দিন। এটা তার সহজাত। এতেই তার আনন্দ। অযথা ঢিল ছুড়ে আপনার নিজের পরিচয় জাহির করবেন না।

মন্তব্য ২৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৫০

রাবেয়া রাহীম বলেছেন: হিরো আলমের গাওয়া ও বেবি কাম কাম গানটা শুনলাম। আপনার যুক্তিগুলোও ঠিক আছে।

সে এমন করে গান ঘরে গাইতে পারে সমস্যা নেই তবে শুনতে খুব বেমানান লাগছিল।

যে যেমন তাকে সেই পর্যায়েই থাকা উচিত। মমতাজের পাঁচ শত সিডি বের হওয়ার পড় মমতাজ মেইন স্ট্রিমে আসতে পেরেছিল। পাঁচশত সিডি বের হওয়ার পর আমরা মমতাজের গান শুনতে পেরেছিলাম।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৭

ডাব্বা বলেছেন: মমতাজ একজন ন্যাচারাল সংগীত শিল্পী। তবে বুঝতে পেরেছেন হয়তো, আমি আলমের শিল্পীসত্বা নিয়ে চিন্তিত না, শৈল্পিক মান নিয়ে ভাবিত না। সে যেই ট্রিটমেন্ট পাচ্ছে আমি তার প্রতিবাদ করছি। ওকে যেভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে একঘরে করা হচ্ছে তার প্রতিবাদ করছি।

২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: হিরো আলমের স্পিরিটটা আমার ভালো লাগে। ওকে এত ব্যাঙ্গ করা ঠিক না। ওর কয়েকটা ভিডিও (নাটক/ নাটিকা) মাত্র আমি দেখেছি। এগুলিকে অন্তত অপসংস্কৃতি মনে হয় নাই। আরও অনেক অপসংস্কৃতি অনেক প্রতিষ্ঠিত শিল্পিরা লালন করছেন। ওকে কোথা থেকে উঠে এসেছে এটা আমাদের চিন্তা করা উচিত।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৫

ডাব্বা বলেছেন: জ্বি, শ্রেণিবিভেদের চক্কর, অ্যাপিয়ারেন্স এ দৈন্যতা, শুদ্ধস্বরে অনভ্যস্ততা, ইত্যাদির মোড়কটা খুব ওজনদার আমাদের সুধী সমাজে।

৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:৫৫

সুমন জেবা বলেছেন: হিরো আলমকে নিয়ে আমাদের স্টূডেন্টদের অবশ্যই "case study" বানানো উচিত । He is a learning tool.

সত্যিই তিনি একটি শিক্ষণীয় সরঞ্জাম..

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:০৮

ডাব্বা বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনার মনের ভাবটা অবশ্য ঠিক ধরতে পারিনি। তবে আশাবাদী যে সামনে কোনও একসময় পারবো।

৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৫২

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমরা নিজেরা বিদ্যাবুদ্ধি অর্জন করে উপরের শ্রেণীতে উঠে যাই এবং যারা আমাদের মতো সৌভাগ্যবান নয় তাদের রুচিবোধ নিয়ে উপহাস করতে মোটেই কার্পণ্য করিনা। আমাদের মধ্যে এখনো সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতা প্রকট, তাই অন্য শ্রেণী থেকে কেউ লাইমলাইটে আসার চেষ্টা করলে তার মধ্যে অসঙ্গতি খোঁজতে শুরু করে সবাই। হিরো আলমের বিষয়ে অনেকের সেই সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতাই ফুটে উঠেছে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৮:৫৮

ডাব্বা বলেছেন: ভালো বলেছেন। এই চক্র থেকে আমরা বেরও হতে পারছিনা।

৫| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৯

মেহেদি_হাসান. বলেছেন: সাবার নিজের মতো জীবন চালানোর অধিকার আছে, কারো ভালো না লাগলে এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ বুলিং করা উচিত না কিন্তু আমরা ওটাই করি হয়তো এটা ঈর্ষার থেকে হতে পারে।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০১

ডাব্বা বলেছেন: এটা ঈর্ষার চাইতেও খারাপ। মজা লাগে তাই করি - ধরনের ব্যাপার। বিকৃত মানসিকতার মানুষে ভরে গেছে দেশ।

৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:১৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলে হিরো ভাই আর মাহফুজ স্যার গান গাইতে পারছে B-)

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০২

ডাব্বা বলেছেন: হা হা হা। মন্দ বলেননি।

৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৭

এমেরিকা বলেছেন: আমি তার আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চাই। তার বানানো ভিডিও কেউ পয়সা দিয়ে কিনে দেখে - এটা আমার বিশ্বাস হয়না। কোটি টাকা লগ্নি করে বানানো সিনেমা চরম ফ্লপ খেয়ে গেলো। ইলেকশনে এত খরচ করে গো হারা হারলো। মানুষের মধ্যে যার কোন গ্রহণযোগ্যতাই নেই, সে এত টাকা রোজগার করে কিভাবে?

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৫

ডাব্বা বলেছেন: আপনার প্রশ্নগুলো চমৎকার। এই দিকটা ভেবে দেখার মতো। তবে তার ফ্যান ফলোয়িং গ্রামে গঞ্জে আছে বলেই আমার ধারণা।

৮| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৪:৩৮

এমেরিকা বলেছেন: হিরো আলম যদি হামদ নাতের ক্যাসেট বের করে, আমি তার নামে ইসলাম অবমাননার মামলা করব।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৬

ডাব্বা বলেছেন: হা হা হা। দাড়ান হাসিটা থামুক আগে।

৯| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: আপনার কথা যুক্তিযুক্ত।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৭

ডাব্বা বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।

১০| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ বিকাল ৫:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন। সহমত।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ৯:০৮

ডাব্বা বলেছেন: ধন্যবাদ। ভালো আছেন আশাকরি।

১১| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১১:৩৬

সোহানী বলেছেন: আরে সবথখানে দেখি হিরো আলম। আচ্ছা তার গান শুনে বা ছবি দেখে আপনার মতামতের সাথে মিলিয়ে দেখি। এ পর্যন্ত দেখার সুযোগ হয়নি তা কোন পারফরমেন্স।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:১৮

ডাব্বা বলেছেন: পারফরম্যান্স দেখতে কষ্ট হবে। শৈল্পিক কোনো বিষয় নেই।

১২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১:২২

কবি হাফেজ আহমেদ বলেছেন: শতভাগ সহমত। আমাদের দেশের শিক্ষিত সমাজের অনেকেই দুর্নীতি, সন্ত্রাস, মাদকাসক্তের মত নোংরা কাজে লিপ্ত আর তাঁরাও হীরো আলমকে গালমন্দ করছে। কিন্তু তাঁরা আয়নায় নিজের চেহারাটা দেখে না। যতবড় শিক্ষিত মানুষ হোক না কেন, যদি সে হয় দুর্নীতিবাজ, মাস্তান কিংবা অহংকারী তবে হীরো আলম তাঁর চেয়ে উৎকৃষ্ট। আমাদের সর্বপ্রথম ঘৃণা করা দরকার শিক্ষার লেবাসধারী চোর বাটপারগুলোকে হীরো আলম কে নয়। হীরো আলমের সাহস ও ইতিবাচক চিন্তা শক্তি আমাকে ভাবায়।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:২৫

ডাব্বা বলেছেন: ভাবানোরই কথা। সবার কাছ থেকেই নিগৃহীত হয়েও হাল ধরে রেখেছে।

১৩| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ৯:৫২

রানার ব্লগ বলেছেন: হিরো আলম নামক আপদ কে আমরাই পস্রায় দিচ্ছি, একটা দেশের মুখ হয় সেই দেশের সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, গুগলে সার্চ দিলে উঠে আসে বাংলাদেশের ব্যাক্তিত্ব হিরো আলম, এটা শুধু লজ্জা না আপমান জনক। যদিও এই আলম নামক অসভ্যের তাতে কিছুই যায় আসে না।

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১০:১২

ডাব্বা বলেছেন: আলমকে আপনার সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব মনে হয় না কেন?

১৪| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: রানার ব্লগ বলেছেন: হিরো আলম নামক আপদ কে আমরাই পস্রায় দিচ্ছি, একটা দেশের মুখ হয় সেই দেশের সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব, গুগলে সার্চ দিলে উঠে আসে বাংলাদেশের ব্যাক্তিত্ব হিরো আলম, এটা শুধু লজ্জা না আপমান জনক। যদিও এই আলম নামক অসভ্যের তাতে কিছুই যায় আসে না। [/sb

বাহ! আজকাল তাহলে সংস্কৃতিরও এলিটিয়করণ হচ্ছে! হিরো আলমকে 'প্রশ্রয়' (?) দেয়ার মত মানসিকতা নিয়ে আমরা যারা সংস্কৃতি সেবা করে যাচ্ছি, তারা এদেশের সংস্কৃতিকে নিশ্চয় সঠিকমাত্রায় সেবা দিতে পারিনি, যে কারণে হিরো আলমরা উঠে আসছে। এখন তাকেতো মেনে নিতেই হবে। তাছাড়া লেখক যেটা বলেছেন- আপনার পছন্দ না হলে আপনি তাকে শুনবেন না, কিন্তু এদেশের সাংস্কৃতিক জগত থেকে তাঁকে খারিজ করে দেয়ার আপনি-আমি কে হে!

আমার একটা বিষয় মনে হয়, এই যে অনন্ত জলিল, তার সম্পর্কেও মৃদু সমালোচনা আছে, কিন্তু হিরো আলমের বিপক্ষে কঠোর সমালোচনার বিপরীতে অনন্ত জলিলের বিপক্ষে মৃদু সমালোচনা হওয়ার কারণটাই হলো শ্রেণি বিভাজন। অনন্ত জলিল ধণিকশ্রেণির প্রতিনিধি হওয়ার কারণেই তাঁর ক্ষেত্রে সমালোচনাটা মৃদু হয়েছে।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২০ রাত ১২:২৩

ডাব্বা বলেছেন: ওনারা জ্যাক মা'র কথা শোনেননি। আলম যদি একদিন অনেক বিত্তশালী হয়ে যায়, আমার খুব ইচ্ছা হবে দেখতে তখন আমাদের ইলিটরা কী করেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.