নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতিবাদ তো পজিটিভ ও হতে পারে।

ডাব্বা

জোছনা রাত। হট চকলেট। লেক এর পাড়। ছোট ছোট চুমুক। ভেজা রাস্তায় চেনা মুখ। আলিঙ্গন। হট চুমুক। ছোট ছোট জোছনা রাত। চকলেট লেক এর পাড়।

ডাব্বা › বিস্তারিত পোস্টঃ

পিএইচডি সহ একাডেমিক গবেষণাকাজে গবেষকরা যেভাবে জালিয়াতি করেন

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৫৫

গবেষণা একটি শ্রমলব্ধ সময় সাপেক্ষ দিনে ১৮ ঘন্টার কাজ। একটা প্যাশনের কাজ। এ কাজে অযোগ্য শিক্ষার্থীদের কাছে 'নকল' সহজ ও জনপ্রিয় একটি পথ। আমরা সাধারণত ধরেই নেই যে যিনি গবেষণা করবেন বলে মনস্থির করেছেন তিনি উঁচু মানের নৈতিক চরিত্রের অধিকারী হবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে খ্যাতি ও শর্টকাটের মোহে শিক্ষকদের মধ্যেও কেউ কেউ এপথে পা বাড়ান এবং তার নিজের ও শিক্ষালয়ের সম্মানহানি ঘটান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান, অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান, ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ওমর ফারুক সাম্প্রতিককালে এই গর্হিত পথের পথিক হয়েছেন।

খবরের কাগজে সামিয়া এবং মারজান সম্পর্কে যা জানলাম তাতে মনে হয়েছে উভয়েই নকল বিষয়ে বিশেষ পারঙ্গম। শিক্ষক হয়েও তারা ফুকো বা এডওয়ার্ড সাঈদদের নিরাপদে থাকতে দেননি। পাতার পর পাতা কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দিয়েছেন। নিজের চরিত্রস্খলনের শিকার বানিয়েছেন। একবার নয়, বহুবার। বারবার।

গবেষণামূলক নিবন্ধ, থিসিস ইত্যাদিতে সামিয়া রহমানরা কীভাবে জালিয়াতি করেন সে ব্যাপারে খানিকটা ধারণা দেয়ার জন্য এই লেখার অবতারণা। এই অনৈতিকতার চর্চা নানাভাবেই হয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে common কিছু চর্চার কথা লিখলাম। ইংরেজিতে এই চর্চাকে প্লেজিয়ারিজম(plagiarism) বলা হয়ে থাকে।

নিচের নামগুলো আমার দেয়া, এতে ছাত্রদের সুবিধা হয় বুঝতে।

১) সেক্স ওয়ার্কারঃ
লেখালেখিতে অভিজ্ঞ এমন কাউকে দিয়ে লিখিয়ে নেয়া বা গবেষণালব্ধ তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণে বিশেষ দক্ষতা আছে এমন কাউকে ধরে বিশ্লেষণ গুলো করিয়ে নেয়া। এ ধরনের কাজে সাহায্যকারী ওয়েবসাইটও আছে, পেশাদার লেখকদের গ্রুপও আছে যারা ইউনিভার্সিটির আশেপাশে 'রাইটিং সার্ভিস' নামে বিজ্ঞাপন দিয়ে ওঁৎ পেতে থাকে। এরা সাধারণত $৪০-$১০০ চার্জ করে প্রতি পৃষ্ঠায়। এদের আমি সেক্স ওয়ার্কার নামে ডাকি। যৌনতার পরিবর্তে এরা মেধা বিক্রি করে।

২) ওয়াশিং মেশিনঃ
অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের থিসিস জোগাড় করে সেটাকে নানাভাবে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে উল্টে পালটে নিজের মন মত বানিয়ে নেয়া। আমি এটাকে নাম দিয়েছি ওয়াশিং মেশিন ট্রিটমেন্ট।

৩) ফ্রাইড ফিশঃ
থিসিস যদি ইংরেজিতে হয় আর গবেষকের যদি সে ভাষায় লেখালেখিতে দখল কম থাকে তাহলে তিনি নিজের সাচ্ছন্দ্যের ভাষায় থিসিস লিখে কাউকে দিয়ে ইংরেজিতে পুনরনুবাদ করিয়ে নেন। মাছ ভাঁজার মত উল্টে নেয়া।

৪) স্কুপিং(scooping)ঃ
অন্য কারো একই বিষয়ে(topic) বা ধারণার(idea) গবেষণা করা থাকলে কেউ কেউ সেখান থেকে প্রয়োজনীয় চ্যাপ্টারগুলো কপি করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়। নিজের খাটাখাটুনি করতে হলো না।

৫) স্ক্যাল্পার(scalper)ঃ
কোনও প্রতিষ্ঠানের করা কোনও গবেষণাপত্র, অর্থ দিয়ে হোক বা ইনফ্লুয়েন্স দিয়ে হোক বা সেখানে কাজ করার সুযোগে হোক, কোনওভাবে হাতিয়ে নিয়ে নিজের গবেষণা বলেও জাহির করেন অনেকে। ধরুন, হারিস মঙ্গোলিয়াতে গবেষণা করছে ক্ষুদ্রঋণের উপর। বাংলাদেশে গ্রামীণ ব্যাংকের একটা ফিল্ড লেভেল রিসার্চ ওর বন্ধু দীপুকে দিয়ে আনিয়ে কিছু data কপি করে বসিয়ে দিয়ে গবেষণা শেষ করল। স্ক্যাল্পার হচ্ছে ব্ল্যাকার।

৬) স্লিপিহেড(sleepyhead)ঃ
অন্য ভাষায় প্রকাশিত কোনও লেখা বা গবেষণাপত্র ইংরেজিতে অনুবাদ করে নিজের নামে চালিয়ে দেয়া। উদাহরণ দিচ্ছি, ধরুন 'আব ওয়াক্ত নাহি হ্যায় রোনেকা' শিরোনামে উর্দুতে 'আল জাজিরা' নিয়ে একটি নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছিল ৭০ বছর আগে। জার্মানিতে বসে এক গবেষক সেটা পেয়ে গেলেন এবং দেখলেন যে সেখানে অনেক কিছুই আছে যা তার থিসিস উপযোগী। তিনি সেটা ইংরেজিতে অনুবাদ করে উনার নিজের কাজ বলে পেপারে যোগ করে নিলেন। স্থান এবং ভাষার ভিন্নতার কারণে পরীক্ষকের পক্ষে এই।প্রতারণা তাৎক্ষণিকভাবে ধরা মুশকিল।

৭) ডেটা মাইনার(data miner)ঃ
Data সংগ্রহে জালিয়াতিটা সবচেয়ে কমন। যেমন, গবেষকের হয়তো তথ্য সংগ্রহ করতে ৫০টি গ্রামের ২০০ স্কুলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা দরকার। তিনি ২৪টি গ্রামের ৭০টি স্কুলে গিয়ে বাকীগুলো বাসায় বসে মনগড়া তথ্য দিয়ে বানিয়ে নিলেন। এই জালিয়াতিটাও অনেকে করতে চায় না, তারা data developer দিয়ে নকল data তৈরি করে নেয়। এদের নাম দিয়েছি data miner. এরা data খননের কাজ করে।

৮) শ্মুজার(schmoozer)ঃ
অনেক গবেষক আছেন, অন্যের ধারণা(idea) বা তত্ত্ব(theory) নিজের বলে চালিয়ে দেন। এ কাজটা প্রধানত paraphrase করে করা হয়। Paraphrase কী সেটা উদাহরণটা দেখলেই বুঝবেন। মনে করুন, আনিসের একটা তত্ত্ব বা তথ্য আছে যে,'সূর্য অস্ত গেলে অন্ধকার হয়ে আসে পৃথিবী'। এটাকে আজিজ paraphrase করল, 'আফতাব অস্তমিত হওয়ার সাথে সাথে সারা মাখলুকাতে অন্ধকার ঘনিয়ে আসে', জোসেফ করল, 'রোদ ছাড়া জগত আন্ধার'। এখানে নতুন কোনো তথ্য বা তত্ব বা ধারণার অবস্থান নেই। শুধু ভাষার প্রয়োগে ভিন্নতা এনে উপস্থাপন করা। কিন্তু আনিসের নাম উল্লেখ করল না থিসিসে। কত্তবড় বদমায়েশ! এরা মিষ্টি কথায় সব গুলিয়ে দেয়।

৯) ভেজিটেবলসঃ
অলস, অকর্মণ্য, ঝুমা মুরগী, বা অতিব্যস্ত ধরনের কিছু সুপারভাইজার থাকেন যারা পৃথিবীর হালচাল সম্পর্কে আর ওয়াকিবহাল নন। জীবন সম্পর্কে উনার দৃষ্টিভঙ্গি বাসা-অফিস-ক্লাস-বার-বিঙ্গো হল পর্যন্ত বিস্তৃত। গবেষণার ক্ষেত্র বিষয়ে তাঁদের জ্ঞান অপ্রতুল আবার জানার আগ্রহও নেই। সময় বা নিষ্ঠার বা উভয়েরই অভাবে তাঁর ছাত্রের গবেষণায় যথেষ্ট পরামর্শ বা মনোযোগও দিতে পারেন না। দূর্ভাগ্যবশত, এঁদের হাত ফসকে কিছু অসৎ থিসিস বের হয়ে যায়। আমার কাছে এঁরা vegetables.

১০) ডেড কেইসঃ
কিছু সুপারভাইজার আছেন যিনি নিজেই সক্রিয়ভাবে ছাত্রের থিসিস লেখায় অংশগ্রহণ করেন। শুধু তাই না, নিজের সংগ্রহে থাকা তথ্য-উপাত্ত দিয়েও ছাত্রকে সাহায্য করেন সফল হতে। এটা অনৈতিক, অন্যায়, এবং ক্রিমিনাল। Sexual favour, স্বজনপ্রীতি, কার্যকরী নেতৃত্বদানে অক্ষমতা, নিজ স্বার্থ, ইত্যাদি কারণে এধরণের স্খলন ঘটে থাকে। আমি এদের ডাকি dead case.

পিএইচডি'র গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির এগুলোই মূল উপজীব্য।

এই প্রতারণার শাস্তি খুবই কঠোর হয়ে থাকে তবে শাস্তির মাত্রা জালিয়াতির পরিমাণ, ধরন, এবং উদ্দেশ্যের উপরও নির্ভর করে। পত্রিকায় পড়েছি, সামিয়া ও মারজান ৬০-৮০ শতাংশ কপি পেইস্ট করেছেন অন্যের লেখা থেকে। এটা অত্যন্ত বড় একটা চুরি। এর অর্থ হচ্ছে তাদের নিজের কোনো গবেষণাই নেই। একটি নামী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অপরাধের শাস্তি অনেক গুরুতর হবে। পদাবনতি হলো, just a slap on the wrist.

শাস্তি পেয়েছেন এমন দুইজনকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। একজন ফ্যাকাল্টির ডিন, উনার ১৯৭৯ সনে করা থিসিসে অন্যের গবেষণার তথ্য সংযোজন করে যথাযথভাবে সাইটেশন(citation) করতে 'ভুলে গিয়েছিলেন'। ২০১০ এ এটা জানাজানি হয়ে যাওয়ায় প্রথমে সাসপেন্ড হন, পরে তদন্ত চলাকালীন সময়ে তিনি নিজেই চাকরিতে ইস্তফা দেন। ৩০ বছর পর ধরা পড়েছিল জালিয়াতি।

দ্বিতীয় ঘটনাটি একজন নবীন গবেষকের। সে নানাভাবে তথ্য সংগ্রহ করে এদিক সেদিক করে ভেজিটেবলসের চোখে ধুলো দিয়ে থিসিস রেডি করে ফেলে। কিন্তু পরে গবেষণালব্ধ তথ্য ডিফেন্স করতে গিয়ে অন্য পরীক্ষকদের প্রশ্নবাণে অসহায় আত্মসমর্পণ করে পিএইচডি অসম্পূর্ণ রেখেই বিদায় নিতে বাধ্য হয়। বিশ্ববিদ্যালয় তাকে আবার ফিরে আসার সুযোগ দেয়নি।

নবীন গবেষকদের জন্য ঢাকায় নীলক্ষেত হচ্ছে এই ধরনের থিসিসের breeding ground. প্রফেসর/সুপারভাইজার/পরীক্ষকের অকর্মণ্যতাও এইসব 'ড. বাকু শাহ' তৈরিতে ভুমিকা রাখছে। গবেষকদের পাশাপাশি সুপারভাইজার/অধ্যাপক/পরীক্ষকদের নিজেদের দ্বায়িত্বও সৎভাবে পালন করা উচিত এবং তাঁদেরও জবাবদিহিতার ব্যবস্থা থাকা জরুরি অথবা এ ধরনের দ্বায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় অব্যহতি নেয়া উচিত।

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৩৬

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: একটা অনুরোধ রইলো।নিচের ঘটনাটি কোন ক্যাটাগরিতে পড়ে সেটা একটু বলবেন দয়া করে।

একজন শিক্ষক লোকছড়া নিয়ে গবেষণা করবেন।তাই তার গ্রামে গ্রামে গিয়ে ছড়া সংগ্রহ করা দরকার।কিন্তু তিনি করলেন কি,নিজে না গিয়ে তার সব ছাত্রদের পাঠালেন গ্রামে গ্রামে। ছাত্ররা সংগ্রহ করে নিয়ে আসার পর তিনি সেই ছড়াগুলোকে নিজের সংগৃহিত বলে ছেপে দিলেন।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০০

ডাব্বা বলেছেন: আপনার উদাহরণ থেকে পরিষ্কার করে বুঝতে পারলাম না। একদিক দিয়ে দেখলে, গবেষক অন্যায় করেননি। গবেষণার লক্ষ্যটা জানলে মতামত দিতে সুবিধা হতো। থিসিসটি কী ছিল? লোকছড়া নিয়ে কী গবেষণা করছিলেন? কী বের করতে চাচ্ছিলেন গবেষণার মাধ্যমে?

২| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০১

রাজীব নুর বলেছেন: স্টিকি করার মতোন একটা পোষ্ট।

০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০১

ডাব্বা বলেছেন: ধন্যবাদ মিস্টার।

৩| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৭

মোঃমোস্তাফিজুর রহমান তমাল বলেছেন: তাঁর লক্ষ্য ছিল বিশ্ববিদ্যালয় যে অঞ্চলে অবস্থিত সে অঞ্চলের লোকছড়া নিয়ে থিসিস লিখবেন প্রমোশন পাওয়ার জন্য।থিসিস লেখার পর তিনি "ক এলাকার লোকছড়া" নামে বই বের করবেন। এজন্য ছাত্র-ছাত্রীদের এসাইনমেন্ট দিয়ে সবাইকে বাধ্য করলেন গ্রামে গ্রামে গিয়ে ছড়া সংগ্রহ করে আনতে। সংগ্রহ করার পর সংগ্রাহক ও সম্পাদক হিসেবে নিজের নাম দিয়ে প্রকাশ করে দিলেন থিসিস।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:৩২

ডাব্বা বলেছেন: ধরুন, একটা গবেষণার জন্য গ্রামের ২০০ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার পেশা কী ছিল, এই তথ্যটা জানা দরকার। গবেষক দশজন লোক ঠিক করে খরচপাতি দিয়ে প্রশ্নটা প্রিন্ট করে লোকগুলোকে গ্রামে পাঠিয়ে দিলেন। ওরা গিয়ে উত্তর নিয়ে আসলো। অথবা গবেষক ২০০ স্কুলের প্রতিষ্ঠাতার ফোন নাম্বার জোগাড় করে পাঁচজন ছাত্র বা অন্য কাউকে দিয়ে ফোন করিয়ে তথ্যটি নিয়ে নিলেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। গবেষণার অর্থ এই না যে আপনাকে ব্যক্তিগতভাবে স্পটে হাজির থাকতে হবে।

আপনার উদাহরণ থেকে 'মনে হচ্ছে' শিক্ষক তার ছাত্রদের কী এবং কোথা থেকে কীভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে তা বুঝিয়ে কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন। ছাত্ররা এখানে বাহক মাত্র। মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রাহক। গবেষক নন।

আর শিক্ষক যদি ছাত্রদের উপর দায়িত্ব দেন বাড়ি বাড়ি খুঁজে, দেখে ছড়া জোগাড় করতে এবং সেই ছড়ার বই নিজের নামে প্রকাশ করেন তাহলে উচিত হতো acknowledgement এ এই ছেলেদের সাহায্যের কথা উল্লেখ করা।

বিষয়টি আরও বিশদ না জেনে কোনো উপসংহারে আসা যাচ্ছেনা। এনিওয়ে, আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ।

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:২৬

সোহানী বলেছেন: চমৎকার একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন। এবং নামকরন সহ উদাহরনগুলোও যথযথ।

সামিয়া মতো হয়তো দেশের বড় বড় আরো পিএইচডি হোল্ডাররা আছে। কিন্তু ধরা পড়েনি বলে বেচেঁ গেছে। দেশে এ নিয়ে এখনো কেন সোচ্চার হচ্ছে না সেটা এখনো বুঝতে পারছি না।

আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি। কোন প্রজেক্টে দেখেনি স্যারেরা কোন Plagiarism চেক করতে। (আমি অনেক আগের কথা বলছি, এখন কি হয় জানা নেই।) তেমনি আমি ইউনিভার্সিটি অব টরেন্টোতে পড়েছি। প্রতিটা এ্যাসাইনমেন্ট সাবমিশনের সাথে সাথেই Plagiarism চেক করে কত % কপি করা তা বলে দিতো। ১০-১২% পর্যন্ত গ্রহনযোগ্য মাত্রা ছিল। এর বেশী হলেই প্রফেসর রিজেক্ট করতো।

এ বিষয়ে সচেতনতা খুব জরুরী।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৫৭

ডাব্বা বলেছেন: বাংলাদেশে প্রয়োজন একটা রেনেসাঁ, ক্ষুদ্র গণজাগরণ দিয়ে সমাজের নিউক্লিয়াসে যে পরিবর্তন সাধিত হয়েছে তা বদলানো যাবে না।

কয়েকজন শিক্ষককে আমি জানি বাংলাদেশে, স্কুল ফ্রেন্ড। চেয়ারম্যান, প্রফেসর, অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, এঁরা কেউ অলস নয়তো রিসোর্সফুল না। এঁরা ছাত্রদের কাজ নিয়ে ভাবে না। নিজেদের আপডেইট করে না। পলিটিক্যালি বায়াসড। কোনো ভিশন নেই। জীবন তো ভালোই চলছে, কী দরকার অযাচিত তরঙ্গ আনার? এই ওঁদের ভাবনা।

দে আর বার্ন্ট আউট।

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:০৯

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




আপনার পোস্টে যথেষ্ট শ্রম দিয়েছেন।
একটি বিষয় আপনার সাথে শেয়ার করতে চাই - আপনার কি কখনো মনে হয়েছে সামিয়া রহমান রাজনৈতিক আক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন? বিষয়টি আপনি সাত মিটার না, সত্তর মিটার ডিপে গিয়ে একবার ভেবে দেখুন আমার মনে হয় আপনি আমার কথার সাখে একমত হলেও হতে পারেন।

বিস্তারিত পরবর্তি মন্তব্যে আলোচনা হতে পারে। ধন্যবাদ। পরিশ্রমি পোস্টের জন্য পোস্টে বিগ প্লাস।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৫

ডাব্বা বলেছেন: আপনার ভালো লেগেছে জেনে সুখী হলাম। নিজের অভিজ্ঞতা থেকে লেখা, তেমন পরিশ্রম ছিল না। আমার পরিশ্রমী লেখাটা কাজী আনোয়ার হোসেন কে নিয়ে। হাহাহা। পড়ে দেখবেন সময় পেলে।

সামিয়া রহমান কে আমি জানি না। তাই উনার সাথে রাজনীতির সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে পারছি না। কিন্তু আপনি যদি আলোচনা করতে চান আমি জানতে আগ্রহী।

ধন্যবাদ আপনাকে।

৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:




সামিয়া রহমান, সৈয়দা রিজওয়ানা বাংলাদেশের রাজনৈতিক আক্রমণে আক্রান্ত। সৈয়দা রিজওয়ানাকে কেনো এনেছি প্রসঙ্গে - সৈয়দা রিজওয়ানাকে থামিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এবার সামিয়া রহমান কে থামিয়ে দেওয়া হলো।

এরা দুজনই যদি ফ্রন্ট লাইনে না থাকতেন, কালা ভুতনি হতেন তাহলে কেউ জানতেনও না এরা কারা। আর সামিয়া রহমানের পড়ালেখা নিয়ে যারা প্রশ্ন করছেন তারা ক অক্ষর লিখতে কটা কলম ভাঙ্গেন? সামিয়া রহমান আজকের সামিয়া রহমান না, তিনি পিএইচডি করার আগেও সামিয়া রহমান ছিলেন। স্বর্ণপদক প্রাপ্ত একজন দক্ষ মেধাবী ছাত্রী ও জার্নালিস্ট।

শিকাগো প্রেস রহস্য একদিন না একদিন উন্মোচন হবেই হবে। সামিয় রহমানের ভুল হয়েছে তিনি কপিকৃত দলিলের কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন নি - এতো বড় ভুল তিনি করার কথা না, এর পেছনে অবশ্যই ঘটনার আড়ালে ঘটনা আছে। অপেক্ষা করছি সামিয়া রহমান নিজেই বলবেন - কারণ তিনি সাহসী মানুষ।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৩৮

ডাব্বা বলেছেন: এত বড় মাপের একজন মানুষের এমন খেলনা ভুল তো করার কথা না। ভুলটা খেলনা টাইপ হলেও আকারটা কিন্তু বেশ বড়। আশাকরি তিনি নিজেকে সাধু প্রমাণের যথাযথ সুযোগ পাবেন।

উনাকে নিয়ে জানানোর জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

৭| ১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫৭

জুন বলেছেন: এটা অত্যন্ত লজ্জাস্কর সাথে দুঃখজনক ডাব্বা ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫২

ডাব্বা বলেছেন: জ্বি, কোনো সন্দেহ নেই এতে।

আপনার গ্লোব টেক এর পৌস্টে কিছু বলতে চাচ্ছিলাম কিন্তু আর খুঁজে পাচ্ছি না, তাই এখানেই বলি।

আমাদের বাংলাদেশের মানুষ গুলো ভেতর থেকে ভালো মনের। কিন্তু এই টর্চার্ড হওয়ার কথাটা যদি ২০০ জন লিখে পাঠাতো তাহলে এর একটা প্রভাব তাদের কাজে হয়তো পড়তো। যদি ২০০০ বা ১০০০০ চিঠি গিয়ে হাজির হতো গ্লোবের দরজায়, গ্লোব এটাকে ইগনোর করতে পারতো না। আর যদি কিছু না ও হতো বিষয়টি ডক্যুমেন্টেড হয়ে থাকতো। এটার অনেক মূল্য।

এই আমি আপনার কাছ থেকে শুনে একটি চিঠি লিখেছি। প্রতিবাদটুকু জানিয়ে দেবার শক্তি আছে, পোঁছে দিলাম।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.