নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতিবাদ তো পজিটিভ ও হতে পারে।

ডাব্বা

জোছনা রাত। হট চকলেট। লেক এর পাড়। ছোট ছোট চুমুক। ভেজা রাস্তায় চেনা মুখ। আলিঙ্গন। হট চুমুক। ছোট ছোট জোছনা রাত। চকলেট লেক এর পাড়।

ডাব্বা › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল-জাজিরা, সরকারের আইনি লড়াই, এবং আলকাতরা বালকের গল্প

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০৯

All the Prime Minister's Men নামের প্রতিবেদনটিকে প্রত্যাখ্যান করে আল-জাজিরার বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়ার কথা ভাবছে বাংলাদেশ সরকার। ভেরি ওয়েল। মিথ্যার পরাজয় এবং সত্যের জয় অবশ্যম্ভাবী। প্রতিবেদনে যা কিছু দেখিয়েছে এবং বলেছে তার সাথে দ্বিমত পোষণ করে যদি দেশের জন্য মানহানিকর কিছু থাকে তবে অবশ্যই আইনের পথে হাঁটবে সরকার। আমরাও অপেক্ষায় থাকব সমুদ্র জয়ের পর মরুভূমি জয় উদযাপন করার জন্য। ইন শা আল্লাহ।

হয়তো আন্তর্জাতিক কোনও আদালতে অভিযোগ দায়ের হবে। আন্তর্জাতিক কোনও আইনি প্রতিষ্ঠান কেইস লড়বে। তার বিরাট লটবহর থাকবে। সরকারেরও নিজস্ব জনবল নিয়োজিত থাকবে। কম করে হলেও ৫-১০ কোটি টাকা চোখের নিমিষেই খরচ হয়ে যাবে বিচারের ফলাফল জানার আগেই। কতদিন ধরে চলবে লড়াই কেউ জানে না; অর্থ, আরো খরচ। রায় যদি সরকারের বিপক্ষে যায় আমরা তা জানতে পারবো না ঠিক একই কারণে, যে কারণে সংবাদমাধ্যম All the Prime Minister's Men সম্পর্কে টু শব্দটিও করতে পারছে না গ্যা গো করা ছাড়া।

এই টাকাটা আসবে কোথা থেকে? সরকার তো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না। সে কোথা থেকে খরচের টাকা পায়? ফ্রি ভ্যাকসিনের যে কথা হচ্ছে তা আসলেই কি ফ্রি?

সরকারের অধিকাংশ আয়ের উৎস বিভিন্ন প্রকার ট্যাক্স, যেমন, ব্যক্তিগত আয়ের উপর কর, কর্পোরেট কর, রেভনিউ, বন্ড, আমদানি-রপ্তানি কর, ভ্যাট, সুরা, সাকি ইত্যাদি। এর পাশাপাশি বৈদেশিক ও দেশীয় উৎস থেকেও সরকার ঋণ নিয়ে থাকে। এই ঋণের বোঝা আপনাকেও টানতে হয়। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ২০২০ এর তথ্য অনুযায়ী দেশের প্রতিটি মানুষের মাথাপিছু ঋণের বোঝা ৭৯ হাজার টাকা।

এর মানে দাঁড়ালো, আপনার, আমার ট্যাক্সের ১০ কোটি টাকা (নূন্যতম) আমাদের অনুমতি না নিয়েই আইনি লড়াইয়ের নামে জলে ঢেলে দিল সরকার। এতে আমাদের ঋণের বোঝাটাই স্ফীত হলো শুধু।

আল-জাজিরার All the Prime Minister's Men প্রতিবেদনে ঘটনা প্রবাহের যে বর্ননা দেয়া হয়েছে এর তিনটি ভাগ আছে। প্রথম ভাগে আছে তথ্য বা ইনফরমেশন। দ্বিতীয় ভাগে ডিসপ্লেইড(displayed) ডক্যুমেন্টস অ্যায প্রুফ(as proof), তৃতীয় ভাগে স্টিং অপারেশনের মাধ্যমে তথ্য ও proof এর সমন্বয় করা হয়েছে। মিডিয়া বায়াস(bias) সম্পর্কে যতটা জ্ঞান রাখি এতে All the Prime Minister's Men একটি পুর্নাঙ্গ অনুসন্ধানী প্রতিবেদন হিসেবে বিবেচিত হওয়ার যোগ্য বলে মনে করি। সত্য না মিথ্যা, তদন্তের বিষয়।

এই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে লড়াই করে জিততে হলে আল-জাজিরার তথ্য, ডক্যুমেন্টস, ও স্টিং অপারেশনে কৃত অভিযোগ সমূহ মিথ্যা প্রতিপন্ন করতে হবে। যে প্রশ্নগুলো আল-জাজিরা ইথারে ছুঁড়ে দিয়েছে সেগুলোকে গওহর রিজভী বা সালমান রহমানের কৌশলে কুপোকাত করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। সত্যটা কী, তা প্রমানের দ্বায়িত্ব এখন সরকারের। 'অপপ্রচার', 'চক্রান্ত', 'বানোয়াট', 'কুচক্রী মহল', 'কুৎসা রটনা', 'মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তি' - এই শব্দবাজিতে সত্য প্রমানিত হবে না।

অ্যামেরিকার সিএনএন, ইংল্যান্ডের বিবিসি কে টেক্কা দিয়ে প্রথম সারির ইংরেজি নিউজ এজেন্সি হিসেবে সারা বিশ্বে কাতারের আল-জাজিরা সমাদৃত এবং প্রশংসিত। খুব অল্প সময়ে সংস্থাটি বিশ্বের গণমাধ্যমের আস্থা অর্জন করেছে মুসলিম বিশ্বের মিডিয়া বাতিঘর হয়ে। আল-জাজিরার রিপোর্টের পর সরকারের পতন হয়েছে, সুবিচার প্রাপ্তি ঘটেছে, ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এমন ঘটনা প্রচুর।

বাংলাদেশের 'প্রধানমন্ত্রীর লোকেরা' বলছেন যে আল-জাজিরা অনেক দেশে banned. কেন নিষিদ্ধ তা বলছেন না। জানেন না বলেই হয়তো বলতে পারছেন না। ইট'স ওকে। জানার তো শেষ নেই। আল-জাজিরা নিষিদ্ধ তার রিপোর্টের নিচুমানের জন্য না, আল-জাজিরা নিষিদ্ধ কারণ তার রিপোর্টের গভীরতায় অনেক শাসকের গদি নড়ে গিয়েছিল, যার মধ্যে মিশর অন্যতম।

নিজেকে কিছু প্রশ্ন করুন। স্বাভাবিক সাংবাদিকতার বাইরে বাংলাদেশ নিয়ে কাতার বা আল-জাজিরার মাথাব্যাথা থাকবে কেন? আমি যুক্তিসঙ্গত উত্তর পাই না। কাতার তো অ্যামেরিকা না, চায়না না, ক্যানাডাও না? কাতার তো ইন্ডিয়াও না যে আওয়ামি সরকারের পতন হলে আবার নতুন করে সব সেট করতে হবে। বাংলাদেশে তার স্বার্থটা কী? কাতার কোনো আঞ্চলিক শক্তিও না। আবার বাংলাদেশও সিঙ্গাপুর বা তাইওয়ান না। তাহলে কি তারেক রহমান বা নিজামি, গোলাম আজমের প্রেতাত্মারা আল জাজিরাকে ভয় দেখালো? কিনে ফেললো?

এটা কিন্তু বিরাট কাতুকুতু দেয়া কথা হয়ে গেল। রাবিশই না, স্টুপিড ও।

আল-জাজিরার মত একটি বৈশ্বিক নিউজ সার্ভিস তথ্য, ডক্যুমেন্টস, ও স্টিং অপারেশনের সমন্বয় ঘটিয়ে, একটি চক্রান্ত মূলক 'সম্পুর্ণ রঙিন' প্রতিবেদন তৈরি করেছে কোনও কায়েমি স্বার্থে, এমন ভাবনা কেবল রাজনৈতিক স্বমেহনের আনন্দ দিতে পারে। উত্তর দিতে না পারলে ব্যক্তিগত আক্রমণ বা গালাগাল করে বসা কোনো সুস্থ মস্তিকের কাজ না। ভুলে গেলে চলবে না, আল-জাজিরা, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা(বাসস) না।

আল-জাজিরা কি তাহলে পক্ষপাতমূলক রিপোর্ট করে না?

অবশ্যই করে। যে কারো চোখেই এটা ধরা পড়বে। মুসলিমদের প্রতি দূর্বলতা নিয়ে রিপোর্ট করতে দেখি। ইয়েমেনের নির্যাতিত আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা নিয়ে রিপোর্ট করে। পৃথিবীর বিভিন্ন পরিবেশের উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর জীবন নিয়ে রিপোর্ট করে। রোহিঙ্গাদের উপর মিয়ানমারের অত্যাচার নিয়ে রিপোর্ট করে। ইন্ডিয়া ও শ্রিলংকার ক্রিকেটে 'পিচ ফিক্সিং' নিয়ে অনুসন্ধানী রিপোর্ট করতে দেখেছি। এগুলো যদি কারো খারাপ লাগে, স্যরি।

আল-জাজিরার বিরুদ্ধে অভিযোগ মূলত মুসলিম আরব বিশ্বের কিছু দেশের, বিশেষ করে সৌদি আরবের। সৌদির গাত্রদাহ ইরানকে কেন্দ্র করে। এর শুরু ২০১৭ সালে যখন কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ ইরানকে একটি আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে উল্লেখ করে বিবৃতি দেন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান নীতির নিন্দা করেন। ইজরেইল এর বন্ধু, ইরানের শত্রু সৌদি আরবের তা ভালো লাগবে কেন? বাহরাইন এবং আরব আমিরাতের নতুন বন্ধু ইজরেইলের চক্ষুশূল আল-জাজিরা তো ইহুদি নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া সাম্রাজ্যের বুকে একটি শক্তিশালী বজ্রপাত।

সরকারের লোকেরা লড়াই করতে ইচ্ছা পোষণ করে জেহাদি বক্তব্য দিয়েছেন এবং দিচ্ছেন। আমি ভাবছি, সরকারের কি উচিত হবে এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে লড়াই করা?

আফ্রিকান আলকাতরা বালকের গল্পে এর উত্তর পাওয়া যেতে পারে।

এক বনে এক শেয়াল ছোট্ট এক ডানপিটে খরগোশের দুরন্তপনায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠে তাকে শাস্তি দেবে বলে ঠিক করে। অনেক চিন্তা করে একদিন আলকাতরা/পিচ দিয়ে একটা মানুষ বানিয়ে খরগোশটার চলাচলের পথে রেখে দিল। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুম সেরে খরগোশ মনের আনন্দে বাসা থেকে বের হতেই দেখে একটা বালক কেমন একা রাস্তার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। এগিয়ে গিয়ে ও জিজ্ঞেস করলো, 'Jambo!' কোনো উত্তর নেই। 'জাম্বো'! এবারও উত্তর নেই। 'বেয়াদব'! রেগে গিয়ে খরগোশটি বালকের উপর হামলে পড়লো। 'আমি তোকে জিজ্ঞেস করি আর তুই আমাকে পাত্তা দিস না', বলেই মারলো ডানহাতে অ্যায়সা এক ঘুষি। 'তুই জানিস আমি কে', বলে বাম পা দিয়ে লাথি। 'আজকে তোর একদিন কী আমার দুইদিন', বাম হাতে মারলো এক প্রকান্ড থাপ্পর। 'তুই বোবা নাকি রে', বলে ডানপায়ে কষে লাগালো পেটের মধ্যে। উন্মাদনা কাজ করছে খরগোশের মধ্যে। আরও মারতে হবে কিন্তু মুশকিল হয়ে গেল হাত টেনে বের করা যাচ্ছে না। ডান হাত টানলে বাম হাত ঢুকে যাচ্ছে, এক পা টেনে ধরলে আরেক পা আরও গভীরে চলে যাচ্ছে। ফাইট করা যাচ্ছে না! রাগে ও ভয় পেয়ে ছুটোছুটি করে যতই বের হতে চাচ্ছে আলকাতরাময় হয়ে ততই আরো আটকে যাচ্ছে ওর পুরো শরীর আলকাতরা বালকের গায়ে।

সত্যিটা, সরকারের চাইতে ভালো আর কেউ জানে না।

বিঃদ্রঃ সোয়াহিলি ভাষায় জাম্বো অর্থ হ্যালো।

মন্তব্য ৩১ টি রেটিং +৭/-০

মন্তব্য (৩১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৮

জুল ভার্ন বলেছেন: সব থেকে মজার ব্যপার হলো-আল জাজিরার রিপোর্টে সব চাইতে ক্ষতিগ্রস্ত হলে হয়েছে মাফিয়া চক্র। অথচ মাফিয়ারা কেউ প্রতিবাদ করছেনা। প্রতিবাদে মূখর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখচেনা একদল শিক্ষক, মুখ চেনা একদল সাংবাদিক এবং বিশিষ্ট সুশীল বুদ্ধিজীবি(আদতে তারা বিবৃতিজীবি)।

যথাযথ কতৃপক্ষের উচিত উল্লেখিত রিপোর্টের মিথ্যাগুলোর ব্যাখ্যা দেওয়া।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৪০

ডাব্বা বলেছেন: নেপথ্যে সংস্কারকাজ চলছে, নিশ্চিত থাকুন।

২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১১

পদ্মপুকুর বলেছেন: সুন্দর ও যৌক্তিক বিশ্লেষণ। বিবিধ কারণে এখন আমাদের মধ্যকার যৌক্তিক বিতর্কর ধারা তিরোহিত হয়েছে। সবাই একপাক্ষিক সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে তারপর যুক্তি সাজাই। এতে করে সত্যটা আর প্রকাশ্যে থাকে না। আল জাজিরার কাজ আল জাজিরা করেছে। এখন আমাদের উচিৎ প্রতিবেদনে যে অভিযোগগুলোর সত্যতা আছে, সেগুলোকে যথার্থভাবে অ্যাড্রেস করা। তারপর অসত্য অভিযোগগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা।

কিন্তু একটা ডিনেয়াল সিনড্র্রোমের মধ্য দিয়ে আমরা সে পদ্ধতিকে অস্বীকার করছি। মেঠো বক্তব্য আর মামলা দিয়ে একটা আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের মোকাবেলা করার সিদ্ধান্ত কতটা বুদ্ধিমানের কাজ হবে, সেটাও ভেবে দেখার অবকাশ থেকে যায়।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৫

ডাব্বা বলেছেন: আল জাজিরা নিজে নিশ্চিত না হয়ে এধরনের একটি পায়ে কুড়াল মারা প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে মনে করেন?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৮

ডাব্বা বলেছেন: ধন্যবাদ দিতে ভুলে গিয়েছিলাম।

৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৬

মাসুদুর রহমান (শাওন) বলেছেন: রিপোর্ট মিথ্যে হলে সরকার তা প্রমাণ করুক এটাই চাই...

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩১

ডাব্বা বলেছেন: জ্বি, শুনেছি সরকার তা করতে বদ্ধপরিকর।

৪| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:২২

করুণাধারা বলেছেন: চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন।

আমার মনে হয় মামলা হবে ঠিকই, গুচ্ছের টাকা ভাগাভাগি হবে, তারপর একসময় দেশের সব মিডিয়ায় খবর আসবে ভুয়া খবর প্রকাশের দায়ে আল জাজিরাকে বিশ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এই খবরের সত্যতা যাচাইয়ের সাধ্য আমাদের মতো আমজনতার নেই, তাই আমরা মেনে নেব। :|

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩০

ডাব্বা বলেছেন: আমরা এখন সবকিছুই মেনে নেই। বাংলাদেশের মানুষের মেরুদন্ড ভেঙে দেয়াতে আওয়ামি লিগের সাফল্যে কোনো সন্দেহ নেই।

৫| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৯

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: "তথাকথিত সুশীল এবং সুবিধাভোগীরা " - শেয়ালের মত একসাথে গলা মিলাচছে আর বলছে "আমি কলা খাইনাই" টাইপের।আসল বিষয়ের দিকে কেউ যাচছেনা সবাই নিজের গায়ে তকমা লাগাতে ব্যস্ত ।

"দশচক্রে ভগবান ও ভূত হতে বাধ্য " বা "সবাই মিলে একটানা মিথ্যা বললে তা একসময় সত্যি বলে প্রমাণীত " করা যায় কিংবা "সব শিয়ালের এক রা" এর মাধ্যমে সকল মিথ্যা বা অন্যায়কে সত্য হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায় ,এই নীতিই আমরা দেখে আসছি সারা দুনিয়ায়।

তবে ,এখানে একটা ব্যাপার - এটা দেশের ভিতরের ব্যাপার নয় বাইরের ।তাই এ প্রমাণ করা একটু কঠিন হবে আর এ মিথ্যা প্রমাণের দায় কর্তপক্ষের ,সাধারন মানুষের নয়। তবে বেশীরভাগ মানুষ ই এ বিরোধীতা দ্বারা নিজেকে কিছু একটা প্রমাণ করতে ব্যস্ত।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৭

ডাব্বা বলেছেন: সত্যিটা সরকারের চাইতে ভালো আর কেউ জানে না।

৬| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫১

কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ভুয়া একটা রিপোর্ট নিয়া এতো তোলপাড়ের কিছু নাই।

কতটুকু গাজাখুড়ি একটা রিপোর্ট তার নমুনা নিন্মরূপ-
১) জাতীর কৃতী সন্তান- দেশ প্রেমী, সর্বপরি মহান মুক্তিযোদ্ধা- জোসেফ কে খুনি বলা হয়েছে এই রিপোর্টে।
২) এই কৃতি সন্তান নাকি ভিআইপি জেলে থাকতো।
৩) এই কৃতি সন্তান নাকি- বাংলাদেশ প্রেসিডেন্টের সাধারন ক্ষমা পেয়ে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে।
৪) প্রেসিডেন্টের ক্ষমা পাওয়ার পর, উনি দেশ ত্যগ করে যখন অন্যদেশে স্যটেল হয়াছেন তার পর সরকার জানিয়েছে এই নাটকের চিত্রনাট্য মিডিয়া এবং দেশবাশিকে।
৫) হারিস নামে জেনারেল আজিজের কোনো ভাই নাই- থাকতে পারে না- সব মিথ্যা।
৬) জোসেফ নামে জেনারেল আজিজের কোনো ভাই নাই- থাকতে পারে না- সব মিথ্যা। জেনারেল আজিজের তো কোনো ভাই ই নাই।
৭) সেনা প্রধান তো দুরের কথা- জেনারেল আজিজ নামে- বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কোনো অফিসার নাই।
৮) কুক্ষ্যত খুনি- হারিস, জোসেফ বাংলাদেশে জন্মায়নাই।

পুরা রিপোর্টই - বানোয়াট এবং বিরোধী দলের ষড়যন্ত্র।
আমরা এই তিন বীরের বিরিদ্ধে বানোয়াট প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ জানাই।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৬

ডাব্বা বলেছেন: খুব মজার হয়েছে।

৭| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫৭

রাজীব নুর বলেছেন: আওয়ামী লীগ জাজিরার কোমর ভেঙ্গে দিবে। যেভাবে বিএনপির কোমর ভেঙ্গে দিয়েছে।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৪

ডাব্বা বলেছেন: আমারও তাই মনে হয়।

৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৮

ঢাবিয়ান বলেছেন: আওয়ামিলীগের লোকজন যা বলা দরকার বা যা করা দরকার তাই করছে। তারা হাসিমুখে সব মেনে নিয়ে , ক্ষমতা ছেড়ে দিবে এমনটা আশা করাটাতো আহাম্মকি ছাড়া কিছু নয়। আল জাজিরার প্রতিবেদনএর সুফল আদায় করতে হলে, বিরোধী রাজনৈতিক দল সুশিল সমাজ এবং আপাময় জনগনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবা দকরতে হবে। যেমনটা আমেরিকায় সম্প্রতি হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। তা নইলে এরকম হাজার প্রতিবেদন তৈরী হয়েও কোন লাভ হবে না।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২৩

ডাব্বা বলেছেন: আমি চাই, যে ই দেশ চালাক নির্বাচিত হয়ে দেশ চালাক। স্বচ্ছতা দিয়ে দেশ চালাক।

৯| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৭

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

ভিডিওতে আলাজাজিরা যেসব প্রিন্টেড ডকুমেন্ট ভাউচার দেখিয়েছে তার বেশীরভাগই ভুয়া।
ফটোশপ, সেখানেও ডেট ভুল করেছে।
ভিডিও স্থির করে ''ডি এইচ এল রিসিপ্ট' এ ভুল 'পরস্পর বিরোধী তারিখ' ধরা পড়েছিলো। এটা নিয়ে শোরগোল শুরু হলে জাজিরা তাদের অফিসিয়াল ভিডিওটি র সেই অংশ এডিট করে কালো করে দেয়।
জালিয়াতি নাহলে এডিট করলো কেন?
এতেই তো জাজিরা ভুয়া প্রমানিত।
নুরায় বলেছিল আলাজাজিরার একটা ভুল বের করতে পারলে ফাসি মেনে নিবে। এখন ছাগলটারে কবে ফাসি দিবেন?

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:২০

ডাব্বা বলেছেন: আপনি যদি চান আমি আপনাকে ডক্যুমেন্টস দিতে পারি এখানে, পর্যালোচনা করার জন্য। ভিডিও থেকে নেয়া না। আপনি আগ্রহী হবেন?

শোরগোল পড়ে যাওয়া খবরের একটা লিংক কি দিবেন আমাকে? আমি একটু বিশদ জানতে চাই।

ছাগলকে ফাঁসি দিয়ে মানুষ বানানোর দরকার কী?

১০| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩০

রানার ব্লগ বলেছেন: ইয়াহুদী ডেভিড বার্গ্যমান এবং স্বঘোষিত নাস্তিক সাংবাদিক তাসনিম খলিল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ডকুমেন্টারি বানানোর পর থেকেই ইয়াহুদী - নাস্তিকদের কল্লা চাওয়া মুমিনরা ইয়াহুদী ডেভিড বার্গ্যমান আর নাস্তিক সাংবাদিক তাসনিম খলিলের মুরীদ হয়ে গেলো।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১৫

ডাব্বা বলেছেন: উপরোক্ত ব্যক্তি দ্বয়ের সাথে প্রতিবেদনের সম্পর্ক কী বা কতখানি আমি জানি না, তবে আপনার প্রশ্নটিকে স্বাগত জানাই।

১১| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৫:০৯

এমেরিকা বলেছেন: ট্যাক্স দিয়ে আপনি সরকারকে কিনে নেননি যে টাকা খরচ করার জন্য সরকার আপনার অনুমতি নেবে। আপনি ট্যাক্স দিচ্ছেন কারণ ট্যাক্স না দিলে সরকার আপনার নামে মামলা করে দেবে।

রুমিন বলেছিল এই সকারের অবস্থা গরীবের শাড়ির মত। মাথা ঢাকতে গেলে পা বের হয়ে যায়। কাদের মির্জার অপকীর্তি ঢাকতে গিয়ে পাপুলের, পাপুলেরটা ঢাকতে গিয়ে হারিসের আর হারিসেরটা ঢাকতে গিয়ে আরেকজনের অপকীর্তি সবাই জেনে যাচ্ছে। তবে এই সরকারের ক্ষমতা এত বেশি যে কাপড় ছাড়া খোলা রাস্তায় হাঁটলেও কেউ তাকাতে সাহস পাবেনা। তাই ছেঁড়া কাপড় পরে রাস্তায় বের হবার আমি কোন প্রয়োজন দেখিনা।

০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১১

ডাব্বা বলেছেন: অনুমতি নেয়া উচিত। অন্তত মতামত তো নিতে পারে।

চিন্তার এই জায়গাগুলোতে পরিবর্তন আসা খুব প্রয়োজন। যদি আসে দেখবেন একনায়কতন্ত্র ও কেমন ঝলমলে লাগে।

শাড়ির উদাহরণটি ভালো লেগেছে।

১২| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৫১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দ্বিতীয় পর্ব আসতেছে দেখার আমন্ত্রণ দিয়েছে আল জাজিরা। বিচারপতি এসকে সিনার পলায়ন

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৩৮

ডাব্বা বলেছেন: ইন শা আল্লাহ, দেখব। উনি ক্যানাডায় ভালই আছেন। দেখি এখানে কী বলে।
ধন্যবাদ মিস্টার নেওয়াজ।

১৩| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ২:০০

সোহানী বলেছেন: এ রিপোর্টের কোন অংশের জন্য মামলা হবে। সেটা নিয়ে ভাবছি!!!

ভালো লাগলো বিশ্লেষন।

০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৪৪

ডাব্বা বলেছেন: হাহাহা। মনের মতো একটি কথা বললেন।

জাতিসংঘও জড়িয়ে গিয়েছে। জাতিসংঘ থেকে এই লেভেলের প্রতিক্রিয়া আশা করিনি। সামনের পর্বগুলো সরকারের অবস্থান নাজুক করে দিতে পারে।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

১৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৪

কালো যাদুকর বলেছেন: সবার মন্তব্য পড়লাম।
বালকের গল্পও পড়লাম। আমারও মনে হয় সরকার ক্লিয়ার করুক আইনের মাধ্যমে। আমরাও চাই এরকম একটি অপবাদের সুরাহা হওয়া দরকার।
এখন দেখা যাক আইনি লড়াই কোথায় যেয়ে দাড়ায়।
সরকার যে আইনি লড়ায়ে যেতে চাচ্ছে, এটা ভাল। এতে একটি সমাধান হয়ত আসতে পারে। আর আন্তর্জাতিক আদালতে হলেই ভাল।

তবে কথা হল,জাজিরার এতে কি লাভ হল, বা প্রশ্নটি এভাবে করা যায়, এই প্রতিবেদনে আসলে কার লাভ হল?
বাংলাদেশের জনগনের লাভ হত যদি একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকত। সেটার কোন আশা দেখি না।
তাহলে কার লাভ হল?

আমার কেন জানি মনে হয় একটি নিউজ চ্যানেল শুধু শুধু এত অর্থ খরচ করে এক ঘন্টার প্রতিবেদন বানাবে না, যদি না কোন "প্রয়োজন" থাকে।

@এমেরিকা ভায়ের শাড়ির গল্পটিও ঠিক।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৪৭

ডাব্বা বলেছেন: প্রতিবেদন দেখতে দেখতে একবার ভাবছিলাম এটা সরকারেরই চাল কিনা? সেনাপ্রধানকে তফাৎ করার জন্য এই উপায় বেঁছে নিলো কিনা? ঝি কে মেরে বউকে শেখাল কিনা?

এই প্রতিবেদনের বেনেফিশিয়ারি অনেকেই। এর মধ্যে একটা, বিরোধী পক্ষ। কিন্তু আপনি যেটা বললেন, এই সুবিধা নেয়ার অবস্থানে কি বিরোধী দল আছে? আমার মনে হয় তাদের সেই শক্তিও নেই। বাংলাদেশ বিরোধী শক্তিও এর বেনেফিফিশিয়ারি হতে পারে। সরকারকে নিজ বলয়ে রাখার অভিপ্রায় যাদের আছে তারাও হতে পারে।

নিউজ চ্যানেলের কাজই তো তথ্য তুলে আনা। তাই না? তথ্যের নানামুখী বিতর্ক ও ব্যবহার হবে। আশা থাকে সুষ্ঠু আত্মারা বা নির্যাতিত গোষ্ঠী এ থেকে ফায়দা পাবে।

সেনাবাহিনীর চোখে দেখলে যথেষ্ট পরিকল্পিত এই 'আক্রমণ'। ইন্ধন থাকা বিচিত্র কিছু না।
সরকারি চোখে দেখলে এই সুযোগে আজিজকে সরাও।
পাবলিকের চোখে দেখলে সরকার সেনাবাহিনীটাকেও শেষ করে দিচ্ছে।

ধন্যবাদ আপনার সুচিন্তিত মতামতের জন্য।

১৫| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৬

নীল আকাশ বলেছেন: কোন মামলা হবে না। এইসব ভুজুং ভাজুং।
সম্ভবত কোন নতুন ইস্যু খুজছে এখনকার পরিস্থিতি ঠান্ডা করার জন্য।
অচিরেই নতুন ইস্যু আসবে আর পাবলিক আগেরটা ভুলে যাবে।

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৪৯

ডাব্বা বলেছেন: এখনতো কোনো 'পরিস্থিতি' নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.