নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রতিবাদ তো পজিটিভ ও হতে পারে।

ডাব্বা

জোছনা রাত। হট চকলেট। লেক এর পাড়। ছোট ছোট চুমুক। ভেজা রাস্তায় চেনা মুখ। আলিঙ্গন। হট চুমুক। ছোট ছোট জোছনা রাত। চকলেট লেক এর পাড়।

ডাব্বা › বিস্তারিত পোস্টঃ

কেন এই নিঃসঙ্গতা

১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৪৫

নন্দিত ও দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী, সংসদ সদস্য সদ্যপ্রয়াত কবরীর এই কথা কয়টি আমাকে খুব স্পর্শ করেছে।

নিঃসঙ্গতার সহমর্মি হওয়ার মতো কাউকে না পাওয়াটা সত্যিই কষ্টের। অতৃপ্তির এমন গভীরতাকে সঙ্গী করে জীবন চালিয়ে নেয়াটাও একটা চ্যালেঞ্জ।

এই উপলব্ধি গুলোর অকপট প্রকাশেও অনেক কিছু উপেক্ষা করেই সাহসী হতে হয়। উনি অন্তত সেটা হতে পেরেছেন। আমাদের অনেকেই তাও পারিনা।



মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:



উনি মনে হয়, সিনেমা জগতের কাউকে বা কোন ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিলেন; বাংলাদেশে এসব মানুষকে বিয়ে করা ভুল।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১১

ডাব্বা বলেছেন: এই বিষয়টি আমি জানি না। উনি তো একজন চুড়ান্ত সফল মানুষ। এমন একজন নামী ও সফল মানুষও কেমন নিঃসঙ্গ হতে পারেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, আমার কাছে বিসদৃশ ঠেকছে।

২| ১৭ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১১:৫৮

মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন: খুবই মর্মান্তিক। মেনে নিতে অনেকসময় কষ্ট হয়।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৩

ডাব্বা বলেছেন: জ্বি, একজন নামী ও সফল মানুষও কেমন নিঃসঙ্গ হতে পারেন, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে, মেনে।নিতে কষ্টই হবে।

৩| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:০৫

রাজীব নুর বলেছেন: উনার মৃত্যু আমাকে কষ্ট দিয়েছে।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:১৩

ডাব্বা বলেছেন: কিছু মৃত্যু অনেক বেশি কষ্টের।

৪| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১২:২৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: ছবির নীচে উদ্ধৃত কবরীর কথাগুলো খুব বেদনাদায়ক। একটা বয়সে আমাদের অনেককেই এরকম একাকিত্বে ভুগতে হবে। তিনি সততার সাথে অনুভূতিটা প্রকাশ করেছেন, অনেকে হয়ত করবেন না।

সারাহ বেগম কবরীর জন্য শ্রদ্ধাঞ্জলি ও ভালোবাসা।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:৫৬

ডাব্বা বলেছেন: জানেন, আমার আব্বা মারা যাওয়ার পাঁচ বছর পর আমার আম্মা মারা যান। এই পাঁচ বছরে এমন একটি দিন ছিল না যেদিন তিনি আম্মার কথা স্মরণ করেছেন কিন্তু কাঁদেননি। অথচ উনার আশেপাশে উনার সব ছেলেমেয়েরা ছিল। উনি সবার মাঝেই ছিলেন। তারপরও নিঃসঙ্গ মনে করতেন নিজেকে।

৫| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ রাত ১:৩৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ”মনের ভেতরে নানা প্রশ্ন জাগানো তিনটি ঘটনা আজ হৃদয়কে নাড়া দিয়ে গেল!

১. পঞ্চাশোর্ধ্ব এক করোনা রোগী সুইসাইড নোট লিখে মুগদা হাসপাতাল থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন। লিখে গেছেন, নিজের একাকীত্বের কথা। টাকা ছিল, পয়সা ছিল। কিন্তু আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু ছিল না কাছে। পরিবার ও আত্মীয়দের সবাই ছিল যুক্তরাষ্ট্রসহ "উন্নত" দেশে! একাকীত্ব সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে লিখে গেছেন!

২. চলচ্চিত্রের "মিষ্টি মেয়ে" খ্যাত নায়িকা, সাবেক সাংসদ কবরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। মারা যাওয়ার পর তার একটি সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ ভাইরাল হয়েছে। তা হলো, জীবনে ভালো একজন বন্ধু পেলাম না, ভালো একজন স্বামী পেলাম না, সন্তানরাও যে যার মতো! কারো সাথে বসে এক কাপ চা খাবো, মনের কথা খুলে বলব- তা পেলাম না!

৩. "বিশ্ব রাজনীতির ১০০ বছর" লেখক, খ্যাতনামা কলামিস্ট, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রফেসর তারেক শামসুর রাহমানের লাশ নিজের বাসা থেকে দরজা, তালা ভেঙে উদ্ধার করা হয়েছে! বাসায় তিনি ছিলেন একা। স্ত্রী ও কন্যা আছেন যথারীতি "স্বপ্নের দেশ" যুক্তরাষ্ট্রে! অসুস্থ ও মৃত্যুর সময় কেউ ছিল না পাশে, কেউ জানেনি কিছু!

টাকা, পয়সা, যশ, খ্যাতি, পরিচিতি সবই ছিল। কিন্তু কারো পাশে ছিল না স্ত্রী, স্বামী বা পুত্র-কন্যা!
ছিল একাকীত্ব! অখণ্ড একাকীত্ব!
প্রত্যেকের মৃত্যুতে খুব কষ্ট লেগেছে।
কিন্তু "উন্নত" মহলে আমাদের সমাজ ও পরিবার ব্যবস্থা কোনদিকে যাচ্ছে তা ভাবতে গিয়ে আবারও শিউরে উঠেছি!

হায় রে ক্যারিয়ার, হায় রে উন্নয়ন, হায় রে উন্নত বিশ্বের স্বপ্ন! হায় রে, পরিবার ও সমাজ ব্যবস্থা!
একটু চিন্তা করতে পারেন, একটু ভাবতে পারেন।
আহা রে জীবন!!”

লেখাঃ শিহাব শাকির

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৭:৫৯

ডাব্বা বলেছেন: উন্নত বিশ্ব আসলে খুব নিঃসঙ্গ বিশ্ব ভাই। ফ্যামিলি ভ্যালুজ বা ফ্যামিলি টাইজ প্রায় শূন্য। আপনার উদাহরণ গুলো মর্মান্তিক।

৬| ১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৬:১৮

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কবরী প্রথম বিয়ে করে ছিলেন চিত্ত চৌধুরিকে।সেই বিয়ে বেশীদিন টিকেনি।দ্বিতীয় বিয়ে করেন সফিউদ্দীন সরোয়ারকে।সেই বিয়েও বেশীদিন টিকেনি,বলতে গেলে নিঃসঙ্গই ছিল তার ব্যক্তি জীবন।

১৮ ই এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৮:০০

ডাব্বা বলেছেন: ধন্যবাদ। এগুলো জানতাম না।

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০২১ ভোর ৪:২৩

সোহানী বলেছেন: আসলে আমার মতে এ সময়টা নি:সঙ্গ হওয়াটাই স্বাভাবিক। আর সে কারনেই আমরা সে বয়সে নাতি নাতনি নিয়ে নি:সঙ্গতা দূর করি। কিন্তু একজন সঙ্গীকে এ বয়সে বেছেঁ নেবার মতো সে সাহস অনেকের থাকে না। তা নি:সঙ্গতা খুব স্বাভাবিক হয়ে উঠে। ঠিক একই থিমের উপর একটি গল্প স্থান পেয়েছে আমার নতুন বইটিতে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:০৯

ডাব্বা বলেছেন: ঠিকই বলেছেন, এই বয়সটা নিঃসঙ্গতার উপযোগী। বৃদ্ধ বয়সের নিঃসঙ্গতা নিশ্চয়ই অনেক অসহায়। আপনি ই-বুক বের করুন, তাহলে অনেক সুবিধা।

৮| ২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:২৬

আমি সাজিদ বলেছেন: প্রথম আলো পত্রিকায় উনার সাক্ষাৎকার পড়েছি৷ উনার উপলব্ধিগুলোর সহজ সরল প্রকাশ আমাকেও ভাবিয়েছে সবার মতোন। ব্লগার নেওয়াজ আলী ভাই যে উদাহরনগুলো টেনে আনলেন সেগুলো আসলেই চোখে আঙ্গুল দিয়ে অনেক কিছু দেখিয়ে যায়৷ মহা চিত্রনায়িকার এই উপলব্ধির পেছনে সাত নম্বর কমেন্টে ব্লগার সোহানী আপুর যুক্তিটিও বেশ গ্রহনযোগ্য মনে হয়েছে।

২১ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ৩:৪৪

ডাব্বা বলেছেন: উনার এই কষ্টটা বোধহয় সবসময়ই ছিল।

৯| ২৫ শে এপ্রিল, ২০২১ রাত ২:০৮

মিরোরডডল বলেছেন:




নিঃসঙ্গতা কখনোই কাম্য না কিন্তু অনেককেই কম বেশী এর মাঝ দিয়ে যেতে হয়,
কেউ আগে আর কেউ পরে ।

আসলে মানুষ যখন কাউকে খুব ভালোবেসে কষ্ট পায়, তখন সম্পর্কে আস্থা হারিয়ে ফেলে একা কাটিয়ে দেয় জীবন ।
অনেকে মনে করে এটা বিরহ কিন্তু বিষয়টা তা না ।
বিশ্বাসের জায়গাটা নষ্ট হয়ে গেলে আর কাউকে ট্রাস্ট করা কঠিন হয়ে যায় ।
ইমোশনাল মানুষদের ক্ষেত্রে এটা হয়ে থাকে ।
হৃদয়ের ক্ষতটা যত বেশী গভীর, কষ্টটাও ঠিক তত বেশী হয়ে থাকে ।




২৬ শে এপ্রিল, ২০২১ সকাল ৯:২৫

ডাব্বা বলেছেন: কবরীর হয়তো সেই বিশ্বাসটাই নড়ে গিয়েছিল। বিশ্বাসের বাইরেও অনেকে একাকীত্বে ভুগেন। যেমন আমার আব্বা ভুগেছেন দীর্ঘ পাঁচটি বছর। অথচ আমরা উনাকে ঘিরেই ছিলাম। আব্বাকে ঘিরেই আমাদের পৃথিবী ছিল। কিন্তু উনি কখনো আম্মাকে ভুলে থাকতে পারেননি।

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.