নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোকা মাকড়ের অস্তিত্ব নিয়ে কিছু দিন বেঁচে থাকা

.......অতঃপর মৃত্যুর প্রতীক্ষা

সাঈফ শেরিফ

আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |

সাঈফ শেরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভালবাসার স্বার্থপর অভিনয়, কিছু নিষ্পাপ যান্ত্রিক সত্ত্বা

১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৯:১৬

অস্ট্রিয়ার ছেলে ফেডরিখের সাথে পরিচয় রিয়েল টাইম মেশিন ল্যাবে। উচ্চতা ও দৈহিক গড়নে আমার চেয়ে ছোট খাট। খুব ভাল ইংরেজি বুঝলেও মোটেও ভাল ইংরেজি বলতে পারেনা, এখন পিএইচডি করছে। দেশে গার্ল ফ্রেন্ড ফেলে রেখে আটলান্টিকের এপাশে যন্ত্রের মত খাটে। এক নাগাড়ে আমিই কথা বলে গেলাম, সে মুগ্ধ হয়ে শুনলো। বেচে থাকা, ভালবাসা, ঈশ্বর, দর্শন কোন কিছুই বাদ দিলাম না।



ছয় ফুটি বাঙালি অপ্রত্যাশিত বলে কিনা জানিনা দূর থেকে দেখলেই "হাই বিগ গাই" সম্বোধন পেয়ে লজ্জায় পড়ে যাই। ধারলো ইউরোপীয়ান চেহারায় অসম্ভব নিষ্পাপ চেহারা আর বাচনভঙ্গী। ফুদ, তক তু মি জাতীয় উচ্চারণ ভঙ্গী। ল্যাবে এক সন্ধ্যায় চুপ চাপ মন খারাপ করে বসে আছে, আমি কথা বলার সময় দৃষ্টি নিচের দিকে। পশ্চিমা ছেলে হয়েও আটলান্টিকের এপাশে এসে ২য় নারীর দিকে মন দেয়নি, গবেষণার মাঝে ঐ মেয়েকে ঘিরেই তার ভয়েস ভিডিও চ্যাট চলতো সব সময়।



সে জানালো তাদের "ব্রেক আপ" হয়ে যাচ্ছে। বললাম কেন? তার বান্ধবী তার জন্য ৩ বছর অপেক্ষা করতে পারবেনা বলেছে।



তুমি পারলে সে পারবেনা কেন?



আই দোন্ত নো....



সে তার মাস্টার্সের সার্টিফিকেট বের করল, "আই স্পেন্ত মাই হোল তু ইয়ারস ফর দিস....বাত হোয়াত দিদ ইত গিভ তু মাই লাইফ...নাথিং..."



ফেডের মানসিক দশা বুঝার চেষ্টা করছি। সে ফট করে বললো, জানো পৃথিবীতে নারীর অভাব নেই, আমি কেন ওর জন্য পাগল হবো? আমি বললাম সেটা ঠিক আছে, কিন্তু "পারফেক্ট ম্যাচ" বা "ইউ টু মেড ফর ইচ আদার" জাতীয় অপার্থিব সৌন্দর্য থেকে তোমরা বঞ্চিত হচ্ছ।



আজ শনিবার উইকেন্ডে প্রায় জনশূণ্য ক্যাম্পাস গলে যখন ল্যাবে গিয়েছি, তার কিছু পরেই সে হাজির। থ্যাংকস গিভিং এর সমস্ত আনন্দ মাটি করে সে এসেছে ল্যাবের ওয়েব ক্যাম দিয়ে ওর সাথে কিছুটা পরাবাস্তব সময় কাটাবে, পশ্চিমা এক ছেলে তার প্রিয় মানুষকে ধরে রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা করছে দেখে মুগ্ধতায় হতবাক হয়ে গেলাম।



সবুজ স্থির দৃস্টিতে একবার কোড লিখছে আবার একটু চ্যাট করছে ওর সাথে, বড্ড মায়া হল দেখে। মোটে এক বছরের পরিচয়, সম্পর্ক। ফেড চাইলে যে কোন মার্কিন রমনীর বাহু বন্দী হতে পারে, সে কাজ পাগল, তার সাথে বিশ্বস্তভাবে ভালবেসেছে বহুদূরে ফেলে আসা ঘরের এক মেয়েকে। পিএইচডির ৮ মাসের মাথায় সব ছেড়ে ছুড়ে স্বদেশে ফিরে যেতে চায়। গার্ল ফ্রেন্ডের ৩ বছর লাগবে বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করতে। আমি ট্রান্সফার করে এ দেশে নিয়ে আসতে বললাম, একটা এপার্টমেন্ট ভাড়া করে এক সাথে থাকো ভাল লাগবে। অনিশ্চিত অপারগতার দায়ে মাথা নিচু করে ফেলে সে। আমি "নারী" ও "ভালবাসা" নিয়ে কিছু বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠিত ধারণা দিয়ে মন হালকার করার চেষ্টা করি তার। ১৯৭৬ সালের ফরাসি ছবি "দি টেন্যান্ট" দেখার পরামর্শ দিই, কোন সুফলের কারণে নয়, নিজের জীবনকে নাটকের মোড়কে দেখার জন্য।



শেরিফের পরাবাস্তব নেটের জীবনে নারীরা হানা দিয়েছে বেশ কবার, বেশ কজন। খুব ভদ্র, রূঢ় থাকা আর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা, উচ্চ শিক্ষিত পরিবার জেনে পাগলের দশা হয়েছে এই মানসিক রোগীর জন্য। পুরুষের টাকা, ক্যারিয়ার, প্রতিষ্ঠা পাওয়া, পরিবার দেখেই ওদের পাগলামি, ওরা মানুষ, মানুষের মন বিচার করেনা। সব কিছু গুণাবলী নিয়ে এই শেরিফ যদি শুধু ঢাকা কলেজের গ্রাজুয়েট হত, বুয়েটের উচ্চাভিলাষী নারীরা ছায়াও মাড়াতে আসতো না।



পুরুষের মন , রুচি, ব্যক্তিত্ব নিয়ে খেলে, পুরুষের ভালবাসা আর ধর্যের পরীক্ষা নিয়ে এরাই আসে আমাদের "ভালবাসা আর বন্ধুত্বের" সংজ্ঞা ও তফাত বুঝাতে। স্বদেশে থেকে যে পুরুষ নারীর মন পেতনা, সে প্রবাসী হওয়াতে নারীরা আজ কেঁদে বালিশ ভিজায়। এটা কি নিখাদ বিরহ নাকি "প্রবাসী পুরুষ" পাবার আকুতি?



ভালবাসার শুদ্ধতম অনুভূতির সংজ্ঞা বা অস্তিত্ব কোথায়? ডিজুস ঘরানার কর্পোরেট "ফ্লার্ট" বাণিজ্যে নাকি তথাকথিত বন্ধুত্বের নামে ভালবাসার কিছু স্বার্থপর অভিনয়ের সমীকরণে? যেখানে আত্মহত্যা, দেবদাস, ক্যারিয়ার ধ্বংস, পরকীয়া, ঘর ভাঙ্গার মত বাস্তবতার সামনে দাড়িয়ে আমরা , অদূরদর্শীর মত, কোন কারণ অনুসন্ধান ছাড়াই।



জীবন চালানোর ফাঁকে জীবনকে একান্তে নিয়ে ভাব বার সময় কোথায় আমাদের?



মন্তব্য ৩৪ টি রেটিং +১০/-৪

মন্তব্য (৩৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৯:৩২

বেয়াকুফ বলেছেন: মনে হয় আপনি একটা ভুল ধারনা করতেসেন। প্রবাসে আসার পর নারীরা আপনার জন্য পাগল - এটা কি শুধু নেটে, না বাস্তব জীবনে? ইন্টারনেটে চ্যাট করেতো কোন মানুষের অরিজিনাল ব্যক্তিত্বের সংস্পর্শে আশা যায় না, কাজেই বিভ্রম হতেই পারে। আপনি বাংলাদেশে থাকতে নেট এ কোন দিন ট্রাই দিসিলেন? দিলে একই ঘটনা ঘটতো। যে মেয়ে আপনার জন্য নেটে চ্যাট করতে করতে পাগোল হয়ে গেসে বা বালিশ ভিজাচ্ছে (আপনার ভাষায়), সে বাস্তবের আপনার সাথে দেখা হলে বড় মাপের ধাক্কা খাবে বলেই আমার ধারণা। এইটার সাথে আমেরিকা বা টাকা-পাত্তির কোন সম্পর্ক নাই বলে মনে করি।

১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৯:৩৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ব্যাপারটা আমাকে নিয়ে নয়, আপনা কে আমি বুঝাতে পারিনি। আমার জন্য বালিশ ভিজায় নি কেউ, ওটা প্রতীকী অর্থে একজন নারী ব্লগারের অতি সম্প্রতি পোস্ট ও উল্লেখিত কাহিনীর উদ্ধৃতি মাত্র।

২| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৯:৩৪

বেয়াকুফ বলেছেন: ভার্চুয়াল থিংস আর অলোয়েজ ভার্চুয়াল। ইন্টারনেটের অপর পাশে রাসপুটিন বসে আছে না রবিউল বসে আছে, সেটা এ পাশের লোকের বুঝার কথা না।

১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৯:৩৯

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ব্যাপারটা জটিল আলোচনার দাবি রাখে। পরাবাস্তব নারীর পাল্লায় পড়ে পুরুষের সর্বসান্ত হবার কাহিনী জানেন তো? বাঙালি বড়ই বিশ্বাস প্রবণ। আমার দোষ হয়েছিল সৎ সাহসে নিজের ব্যাপারে সত্য বলা ও ব্যক্তিত্ব ধরে রাখা। মিথ্যা কথা বলে অপবিত্র বিশ্বাস আদায়ের প্রচেষ্টা এখানে ছিলনা।

৩| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৯:৩৭

বেয়াকুফ বলেছেন: অকে, সরি ফর দ্য মিস্টেক।

৪| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:১২

অচেনা সৈকত বলেছেন: "সব কিছু গুণাবলী নিয়ে এই শেরিফ যদি শুধু ঢাকা কলেজের গ্রাজুয়েট হত, বুয়েটের উচ্চাভিলাষী নারীরা ছায়াও মাড়াতে আসতো না।"
বুয়েটের মেয়েদের ব্যাপারে সত্য কথনের জন্য ধন্যবাদ।আমিও জানি না,মানুষ হিসেবে আমার আদৌ কোন দাম আছে নাকি জীবনে ক্যারিয়ার গড়াটাই আমার একমাত্র মানদন্ড।আমি যদি আজ দেশে ফিরে এসে আমার মফস্বল শহরটাতে ফিরে যাই এবং সেখানেই বাকী জীবনটা কাটাই তবে কি সবাই সেটা মেনে নেবে?

১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:২৭

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: অসাধারণ ।

৫| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:২১

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: লেখা দেখে ভাল লাগল। আপনাকে খুব মিস করছিলাম ব্লগে। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না। বার বার ভাবছিলাম, সাঈদ শেরিফ কোথায়, তাকে তো ব্লগে দেখি না।

আর, এটা ঠিক আমিও বার বার হানা দেই আপনার ব্লগে। এর কারন, আপনার লেখা সুন্দর বলে। সুন্দর না হলে ছায়াও মাড়াতাম না। এটাই বড় সত্য। রূঢ় সত্য। কঠিন সত্য।

আপনার এই লেখায় আপনার অভিযোগ নারীর প্রতি। অথচ এ অভিযোগ হওয়া উচিত ছিল মানুষের প্রতি। নারী মানুষ বই নয়। তার সীমাবদ্ধতা, মানুষ হবার কারনেই। তার চারিত্রিক দুর্বলতার উৎস তার মানব সত্ত্বা। সে দেবী নয়, বরং মানবী।

আর এমনিতে বাস্তব জীবনে পুরুষ যতটা বিশ্বাস ভংগ করে, নারী ততটা করে না। পুরুষের বহুগামীতা প্রমানিত, প্রতিষ্ঠিত সত্য। নারী সেরকম নয়। বিশ্বস্ততা আর আনুগত্য তার চরিত্রের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য।

আশা করি আপনার প্রথম সন্তান হবে একটি মেয়ে। সেই আপনাকে নারীর প্রতি সত্যিকার শ্রদ্ধাশীল হতে শেখাবে।

অনেক বক বক করলাম। কিছু মনে করবেন না।

১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:৩৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: নামটা ঠিক করে লিখুন দয়া করে। সাঈফের জায়গায় সাঈদ কে আমি টাইপো ধরবোনা, এটা ইচ্ছাকৃত।

আপনি তাহলে নারী? মানব সত্বা নয় জৈবিক সত্বাই মানুষের চারিত্রিক স্খলন ঘটায়।

আমি সংসার ধর্মে বিশ্বাস করিনা। কাজেই মানব সন্তান উৎপাদন ও এতদ সংক্রান্ত বিষয়গুলো আমার জন্য প্রযোজ্য ধরবেন না।

৬| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:২৬

বেয়াকুফ বলেছেন: আল্লাহ, আর যাই কর, আমার বৌ বা মাইয়া যেনু ছাগাবদলালার আম্মার মতন জামাত শিবির রাজাকার না হয়। তায়লে পুরা দুইন্যার নারি জাতির প্রতি যতটুক শ্রদ্ধা-ভক্তি অবশিষ্ট আচে, সব ধুলায় মিশে যাবেনে:(

১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:৪০

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: রাজাকারের কন্যা বিয়ে করবেন না আর রাজাকারের সাথে নিজের বৌ কে ফ্রেন্ডশিপ করতে দিবেন না। তাহলে আল্লাহর কি করার থাকবে বলুন?

৭| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:৪৭

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: "নামটা ঠিক করে লিখুন দয়া করে। সাঈফের জায়গায় সাঈদ কে আমি টাইপো ধরবোনা, এটা ইচ্ছাকৃত।"

না, টাইপো নয়। তবে ইচ্ছাকৃতও নয়। ভুল মাত্র। এইমাত্র ভালমত খেয়াল করলাম। আমি কিছুটা বেখেয়ালী। মানুষকে অবিশ্বাস না করে বরং বিশ্বাস করতে শিখলে হয়ত অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যেত।

যাই হোক, আমার প্রতি আপনার রূঢতা স্বাভাবিক ভাবেই নিলাম। এটা দেখে আমি অভ্যস্ত। অন্তত এই ব্লগে।

"আমি সংসার ধর্মে বিশ্বাস করিনা। কাজেই মানব সন্তান উৎপাদন ও এতদ সংক্রান্ত বিষয়গুলো আমার জন্য প্রযোজ্য ধরবেন না।"

মানুষ বদলায়। সুতরাং আজ যা বিশ্বাস করছেন তা আগামী কালও বিশ্বাস করবেন তার কোন নিশ্চয়তা নেই।

একটা অপ্রাসংগিক কথা। আমি নিজেও অসফল হইনি এখনও। আল্লাহ সেরকম পরিস্থিতিতে এখনও ফেলেন নি। সুতরাং আমি আপনার সে টাইপড করা নারীদের ভেতরে পড়ি না। কখনও সেরকম ছিলামও না।

আপনার জন্যে রইল শুভ কামনা।

১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১০:৫৬

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: খুব ব্যাপকভাবে শ্রুত নারী বচন "আমি ও রকম মেয়ে না।"

যাই হোক নিজে ভাল থাকলে জগত ভাল থাকল। আমার বিশ্বাসের ধারাটা সময়ের সাথে অবিশ্বাস্য ভাবে অপরিবর্তনশীল। সুবিধা মত সমাজের চলন সই আচরণ ধরে বিবর্তিত হবার মত "ম্যানিপুলেটিভ" আমি নই।

৮| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১১:১৬

উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: খুব ব্যপকভাবে শ্রুত হলেও তা মিথ্যা নয়। প্রতিটা মানুষই আলাদা। আপনি উপরে আপনার লেখায় যেরকম ক্যারেক্টারাইজেশন করেছেন, তা থেকে অনেকেই আলাদা হবে। একান্ত ব্যক্তিগত, তাও বলছি - আমার সে সার্টিফিকেট আছে বলেই এতটা বিশ্বাস নিয়ে বলতে পেরেছি।

আপনি ম্যানিপুলেটিভ কিনা জানি না, তবে মানসিকতায় সমস্যাগ্রস্ত। যা স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। স্যরি, এটা বলার জন্যে। তবে এটা তো আপনি নিজেই কিছুটা বলেছেন।

এই লেখায় এটাই শেষ কমেন্ট। খুব প্রিয় ব্লগারদের ব্লগেও আমার এত কমেন্ট করা হয় না। এখন মনে হচ্ছে পুরোটাই অরন্যে রোদন। ব্লগে মানুষ স্বস্তি পেতে আসে। সেখানে আমি মন্তব্য করায় আপনি হলেন বিরক্ত। কারো বিরক্তি উৎপাটন আমার কাম্য নয়। যা আমাকেও আহত করে খুব।

ভাল থাকুন। শুভ কামনা রইল আবারো।

১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১১:৩০

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: সমাজে "সুস্থতা আর ভদ্রতা"র ভান ধরে থাকা মানুষ দেখে আমি ক্লান্ত। আমার মানসিক যে সমস্যার কথা বললেন সেটা দেশ ও মানুষের জন্য আমি "দায়গ্রস্থতা" বা নৈরাজ্যের কারণ মনে করিনা। আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি, বখে গিয়ে দেশের বোঝা হয়ে দাড়াই নি। ওটা আমার কাছে আর্শীবাদ মনে হয়, সিজোফ্রেনিক হয়ে এমন কিছু বাস্তবতা দেখে কাতর হই, যেটা সামাজিক "স্থূল" চোখে ধরা পড়েনা।

৯| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১১:২২

সাঁঝবাতি'র রুপকথা বলেছেন: আমি সংসার ধর্মে বিশ্বাস করিনা। কাজেই মানব সন্তান উৎপাদন ও এতদ সংক্রান্ত বিষয়গুলো আমার জন্য প্রযোজ্য ধরবেন না।

হাহ হাহ হা হাহা.........
মজা পাইলাম, নিজের প্রশংসা নিজে না করলে আর চলছিল না, তাই না ...?

১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১১:৩৮

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: তোমার বান্ধবীকূল কেমন আছে সাঝবাতি? ওরা হাজিরা দিচ্ছে তো ঠিক মত? "প্রেম আর মিথস্ক্রিয়ার" ভাল দাওয়াই দিয়ে তোমার মাথা টা নষ্ট করেছে দেখি। নারী সুলভ নাম নিয়ে যখন কোন পুরুষ ব্লগায়, তখন গা ঘিন ঘিন করে। সেটাও তোমার অতিরিক্ত বান্ধবী জোটার ফল বৈকি।

১০| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১১:৪৪

ভালোকথা... বলেছেন: ভালোই বলেছেন।
++

১১| ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১১:৪৯

অরণ্যচারী বলেছেন: আমি আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা আপনার সাথে শেয়ার করতে পারি। আমার বয়স ২০, সুতরাং আমার অভিজ্ঞতা খুব সমৃদ্ধ না হওয়াই স্বাভাবিক।

আমি দেখেছি, এখনকার প্রেমে (৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে) প্রাথমিকভাবে শরীরি ব্যাপারটাই যেন কাজ করে বেশি। আর যখনই প্রেমের সম্পর্কটা স্থায়ী কোন রূপ পেতে যায়, তখনই আসে সামাজিক অবস্থান, আর্থিক সামর্থ ইত্যাদির ব্যাপার।

এখনকার মেয়েরা অনেক বেশি হিসেবী। তারা ঝোপ না বুঝে কখনোই কোপ মারে না। শুধু বুয়েট পাস হলেই তারা ঝাঁপিয়ে পড়বে না, বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল নাকি ইউআরপি, সেটাও দেখবে। ছেলেটির বাবা কি করে, মা কি কড়া টাইপের শ্বাশুড়ী হবে কিনা, বোনটি ননদ হিসেবে কেমন হবে, বিয়ের পরে আলাদা বাসা ভাড়া করে থাকা যাবে কিনা ইত্যাদি বিষয়ও বিবেচ্য।

অন্যদিকে ছেলেরা কিন্তু অতটা হিসেবী হতে শেখে নি। এটার জন্য দায়ী আমাদের সমাজ, যে সমাজ মেয়েটিকে শৈশবকাল থেকে প্র‌্যাক্টিক্যাল হতে বাধ্য করেছে আর ছেলেটিকে চড়িয়ে রেখেছে কল্পনার পঙ্খীরাজে।

এর মাঝে দু চারটি ব্যাতিক্রম যে দেখা যায় না তা নয়। তবে সে সংখ্যা খুবই কম।

আপনার পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।

১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১২:০১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ধন্যবাদ।

ঢাবির শিক্ষক গ্রামের অশিক্ষিত আড়তদারের অর্ধ শিক্ষিত মেয়েকে বিয়ে করেছে, উদাহরণ আছে অনেক। কিসের টানে সেটা ব্যাখ্যার দাবি রাখে।

আর মেয়েরা ঢাবির লেকচারারের সাথে ৭ মাস প্রেম করে সুবিধামত প্রবাসী ছেলে দেখে বিয়ে করে প্রবাসী হয়ে যায়।প্রবাসী ছেলে বনাম দেশে পড়ে থাকা শিক্ষক। কোন নারী চায় প্রবাস সুখ হতে বঞ্চিত হবার মত বোকামি করতে?

আপনার জন্য অনেক শুভকামনা থাকল।

১২| ১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:১০

পাপারাৎজ্জি বলেছেন: অনবদ্য লিখেছেন সাঈফ শেরিফ....আপনার সব লেখাই আমার ফেভরিট।

১৩| ১৭ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৫:০৮

সামেদি মেডিভ বলেছেন: প্রথমেই এত সুন্দর লেখা এবং সাবলীল উপস্থাপনের জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আপনার দৃস্টিভঙ্গীর সঙ্গে আমি পুরোপুরি একমত।

মেয়েদের কে আমার কাছে এখন parasite মনেহয়।আমি এই পর্যন্ত খুব কম মেয়েকেই দেখেছি যে তারা নিজেদের কে অন্যের বোঝা হিসেবে চাপায়নি।

আর অনেকে হয়ত শুনে আমাকে মানসিক ভাবে অসুথ্হ আক্ষা দেবেন, কিন্তু আমার একটা বাজে অভ্যাস আছে - আমি একেকজন individual মেয়ের উপর total predictability ensure করতে পছন্দ করি-বাজে ব্যাপারটা হোছ্ছে এরপর আমি এদেরকে আমার জীবন থেকে আলাদা করে ফেলি, যা তারা চায়না।
এবং আমার এই অভ্যাসের জন্য আমার তাদের চিন্তার ধরন এবং স্তর বুঝতে হয়, এই বোঝার বেপারটায় আসলেই বোঝা যায় যে তারা কতখানি... [শব্দ খুজে পাছ্ছিনা] ... তাদের সবাই মোটামোটি একই ধরনের এবং স্তরের চিন্তা করে।

তাদের স্বভাব বোধহয় সবচেয়ে সুন্দর করে বলাযায় এইভাবে:
They love to see,think,decide & act upfront ... Here 'upfront' actually means the present slice of time that might extend to a year or so.

@সঈফ শেরিফ:
ব্লগে আসলে আপনার ব্লগটা সবার আগে চেক করি কিন্তু মাঝে মধ্যে আশাহত হই-আপনি মাঝেমাঝে অনেকদিন গ্যাপ দেন।

দোয়া করি ভাল থাকবেন।
আল্লাহ হাফেয।

১৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৬:৩৬

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: তাহলে কি চিরকুমার থাকাই শ্রেষ্ঠ অবলম্বন? নিজেকে ঠিক রাখতে পারলে ধর্ম কিন্তু মানুষকে চিরকুমার থাকার ব্যাপারে বাধা দেয়না।

আপনার ধ্যান ধারণা বা কর্মকান্ডের মাঝে দোষের কিছু পাইনা। পুরো ব্যাপার গুলো ভয়ংকর রকমের জটিল, এখনও অনুসন্ধানে আছি, হয়ত আপনার মত (কিন্তু আশাবাদ নিয়ে নয়)।

কাজে থাকলে নিজেকে ভুলে থাকি। কষ্ট পেলে ব্লগে আসি দু কলম হতাশার কথা লিখতে।

আমার আন্তরিক শুভ কামনা জানবেন।

১৪| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৭:০১

চিটি (হামিদা রহমান) বলেছেন: ভালো লাগলো
শেষ লাইনি বিশেষ করে .......।জীবন চালানোর ফাঁকে জীবনকে একান্তে নিয়ে ভাব বার সময় কোথায় আমাদের??

ভালো থাকুন।

১৫| ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:১৪

মেঘলা মানুষ বলেছেন: চিন্তায় পড়লাম।

১৬| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৫০

আলোর অভিলাসী বলেছেন:

১৭| ২০ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৫০

আলোর অভিলাসী বলেছেন: "পুরুষের টাকা, ক্যারিয়ার, প্রতিষ্ঠা পাওয়া, পরিবার দেখেই ওদের পাগলামি, ওরা মানুষ, মানুষের মন বিচার করেনা। সব কিছু গুণাবলী নিয়ে এই শেরিফ যদি শুধু ঢাকা কলেজের গ্রাজুয়েট হত, বুয়েটের উচ্চাভিলাষী নারীরা ছায়াও মাড়াতে আসতো না।"

এটা তো বুয়েটের উচ্চাভিলাষী নারীদের jonnoi projojjo ty na ????
sobe narira emone na . Asha kori kokhono ta bujhben .
bangla likha ta ekhono আয়ত্তে ase ni .
Asha kori kicchu mone korben na .
valo thakun

২১ শে অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৯:১২

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৮| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:৫৯

অনর্গল বলেছেন: লেখাটা ভালো। খুবই ভালো। কিন্তু আপনি কোন প্রবাসে আছেন? আটলান্টিকের এপাশে মানে মনে হয় নর্থ আমেরিকা। কি পড়েন নর্থ আমেরিকায়? আমি তো নর্থ আমেরিকায় আছি। এই সব লেখালেখি বা চিন্তাভাবনার কোন সময় তো পাই না। নিশ্বাস ফেলারই সময় নাই। ব্লগ লেখা তার পর চ্যাট, ফেসবুক, প্রেম....ভাই কই আছেন বলেন আমি আপনার কাছেই চলে আসি। আর ভালো লাগেনা। দেশেই ভালো ছিলাম। এসব ভাবার সময় ছিল। আপনি একটু হেল্প না করলে জীবনে রস যা ছিল সব যাবে।

২১ শে অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৯:১১

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: হা হা............চমৎকার বলেছেন। আমিও সময় পাইনা দম ফেলার। কিন্তু উইকেন্ড বলে কোন কিছুতে বিশ্বাস করিনা। সময়ের কাজ সময়ে করি। উইকেন্ডে কাজ করে উইক ডে তে একটু রিলাক্সে থাকি। ঘর ছেড়ে স্কুলে যাবার পথে চোখ ফেটে কান্না আসে, কিন্তু রাতে বাসায় ফিরি ক্লান্তি আর তুপ্তি নিয়ে। স্নাতক পর্যায়ে অমানুষিক চাপের তুলনায় এখানকার চাপ বেশি না, গবেষণা নিয়ে যত ঝক্কি। আপনার পরিচয় দিয়ে মেইল করুন।

[email protected]

১৯| ০৬ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ৮:৪৬

জেমসবন্ড বলেছেন:

.......একপেশে আর নারী-বিদ্বেষী লেখা । নারী চিনতে পারেন নি ...ভালো খারাপ দু-জায়গায় আছে..আর নারী তার প্রকৃতিগত বা বৈশিষ্ট্যগত কারণে-ই একটু স্বার্থপর । এটা স্বাভাবিক ।

২০| ১৮ ই মে, ২০০৯ রাত ৮:৪৬

আমড়া কাঠের ঢেকি বলেছেন: অনেক ভালো লাগলো....... আপনার লেখার তো ভক্ত হয়ে যাচ্ছি.......

২১| ২৭ শে মে, ২০০৯ রাত ৮:৪৯

অদ্ভুতুড়ে বলেছেন: সাবলিল ভাষায় সত্য কথা বলেছেন

২২| ০৬ ই জুন, ২০০৯ রাত ১২:৪৬

জনৈক আরাফাত বলেছেন: ভাল লাগলো। আগে বেশ কিছু লেখা পড়লেও আজই প্রথম কমেন্ট! আপনি টিচার ছিলেন। বুয়েটের? ফেসবুকেও আপনার লিঙ্ক ভালো লাগে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.