![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |
কিন্তু তারপরেও কোকোর জন্য শোক! তারেক মরলেও কি প্রধানমন্ত্রী এমন শোকাতুর মুখে ক্যামেরার সামনে অভিনয় করতে পারতেন? তারেক-কোকোর কথা শুনলে ঘৃণার লেলিহান শিখা হিসহিসিয়ে ওঠে ক্ষমতাসীনদের মাঝে, সেই কোকোর জন্য শোক? জনগণের টাকা লুটে খাওয়াদের মৃত্যুতে জাতি শোক চায়!
খালেদাই বা কে? তিনি তো সংসদে নেই । একজন অসংসদীয় জনসমর্থনহীন সন্ত্রাসের রাণী যদি তার কুলাঙ্গার পুত্র হারান, সেই খানে স্বান্তনা জানানো মত মহানুভব জাতি হলে বাংলাদেশ দুর্নীতির তলানিতে থাকতোনা, জাপানই হয়ে যেত ।
শেখ হাসিনার কথাই ধরুন। তাকে কেন আমরা প্রধানমন্ত্রী বলি? তিনি তো জনগণের ভোটে জিতে প্রধানমন্ত্রী হননি, তিনি স্বঘোষিত প্রধানমন্ত্রী। জানজুয়া তার রাজনৈতিক অস্ত্র। নির্বাসিত কুলাঙ্গার সন্তানের মাকে পেপার স্প্রে, ইটের ট্রাক দিয়ে বেধে, তারপর হঠাৎ মাছের মায়ের পুত্র শোক জেড়ে উঠলো। বেচারা কোকো! সবাই ভুলে গেছে তাকে, দৃশ্যপটে তার বেয়াদব-অশিষ্টাচারী মা বনাম মমতাময়ী-মহানুভব প্রধানমন্ত্রী!
আইন-পুলিশ-প্রশাসন দিয়ে খালেদার হাত-পা বেধে তাকে নির্বাচনের আগে ফোন দিয়ে মহানুভবতার দৃষ্টান্ত হাসিনাই রেখেছিল। এইবার স্প্রে দিয়ে, খালেদার গলায় পা দিয়ে শোক জানাতে আসলেন!
শিষ্টাচারের দায়বদ্ধতা শুধু খালেদার, খালেদাকেই লিটমাস টেস্টে প্রমাণ করতে হবে জনগণ তাদের সাথে আছে, খালেদাকেই প্রমাণ করতে হবে তারা গনগণের জন্যই গণতন্ত্র চান নিজেরা ক্ষমতায় যাবার জন্য না। কিন্তু সেই প্রমাণের জন্য জনগণের ভোটাধিকার নেই, আছে জাল ভোট আর ভোটার কেন্দ্রে সন্ত্রাসী ক্যাডারের দৌরাত্ম্য।
জাতি এখন বোমাবাজ, রাজাকার, আগুনে পোড়ানো সন্ত্রাসীদের নির্মূল দেখতে চায়। কঠোর হাতেই। তাই সন্ত্রাসীর মাতার কাছে আমরা শিষ্টাচার দাবি করি--শুয়োরের মত ঘৎ ঘৎ করে বলি--এই শিমুল-কদম এর মত স্থুল বুদ্ধি সম্পন্ন লোকরা যদি বিএনপিকে চালায়, তাহলে আগামীদিনগুলো বিএনপির জন্য সুখকর হবে না |
ডাকাতি করে দখল করে নিলে সম্পত্তি মালিকানা বিষয়ে তো নিষ্পত্তি লাগেনা । হাসিনার সেই লিটমাস টেস্টের প্রয়োজন নেই। গায়ের জোরেই তিনি প্রধানমন্ত্রী, জনগণ এমনিতেই তার পক্ষে, তিনি ক্ষমতা চাননা---শুধু মানুষের মঙ্গল চান এটাও আবহাওয়াগত ভাবে প্রতিষ্ঠিত।
ভাগ্যিস শেখ মুজিবকে পাকিস্তানিরা ক্ষমতা দেয়নি, নইলে এই বাংলাদেশ কোনদিনও স্বাধীন হতোনা।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৪৬
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: আওয়ামীলীগ যেহেতু একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের দল, জনতা বাই ডিফল্ট তাদের সাথেই আছে। কাজেই প্রমাণ করতে হবে শুধু বি এন পিকেই।
হাজার হাজার মায়ের সন্তান যারা কেড়ে নেয়-- তাদের সহানুভূতি দেখানোটা নেহায়েৎ অপ্রয়োজনীয়। প্রয়োজন হতে পারে যদি তাতে রাজনৈতিক লাভ থাকে। যেই স্বৈরাচার এরশাদ হাজার হাজার আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের হত্যা-নির্যাতন করেছে, সেই এরশাদ এখন তাদেরই মুখ্য উদেষ্টা।
হাসিনার এই ঝটিকা গুলশান সফর তাই খুবই দরকার ছিল।
২| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:২৬
নিস্পাপ একজন বলেছেন: ভালো লিখেছেন।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ দুপুর ১:২৮
আমি তুমি আমরা বলেছেন: পক্ষপাতদুষ্ট পোস্ট। ভাল লাগল না।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১:৫৫
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: কার প্রতি পক্ষপাত দেখালাম, একটু বলবেন কি?
৪| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৩:৪৯
খেলাঘর বলেছেন:
শেখ হাসিনার নিজের উপর আস্হা কম।
২৮ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:০০
সাঈফ শেরিফ বলেছেন: যথেষ্ঠ আস্থা আছে বলেই নিজের কূটকৌশলে টিকে আছে ।
৫| ০২ রা ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ সকাল ৮:০৯
মিতক্ষরা বলেছেন: "জাতি এখন বোমাবাজ, রাজাকার, আগুনে পোড়ানো সন্ত্রাসীদের নির্মূল দেখতে চায়। কঠোর হাতেই। "
এইটা সবচেয়ে বড় সত্য। কিন্তু এর জন্য কোন দলই নিবেদিত প্রান নয়। ব্যর্থতার মূল দায় সরকারের - এটা মানি। বিএনপির কর্মসূচী ঘোষনার সময়ে এ বিষয়ে তাদের দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করা উচিত।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৫ ভোর ৫:৩৯
রাফা বলেছেন: ২ জনেই যখন জনতা ,জনতা করেন। প্রমাণ করার দ্বায়টাও নিশ্চই তাদেরকেই নিতে হবে।
যদিও হাজার হাজার মায়ের সন্তান কেড়ে নিতেছেন।সব কিছুর পরও তিনি তার সন্তানকে হারিয়েছেন।