নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

পোকা মাকড়ের অস্তিত্ব নিয়ে কিছু দিন বেঁচে থাকা

.......অতঃপর মৃত্যুর প্রতীক্ষা

সাঈফ শেরিফ

আমার প্রোফাইলের পুরোটাই অন্ধকার, আলো নেই |যৌবনে যন্ত্র শাসনের পুঁথিপাঠ কালে মনে বাসা বাধে দুরারোগ্য কর্কট রোগ, সেখান থেকেই দগদগে মানসিক ক্ষত | আজ তাই রুটি-রুজির দায়ে কোনো এক বিরান ভূমে নির্বাসিত, দেশে ভিক্ষে নেই | জীবন ধমনীর ভেতর থেকে কন্টাকীর্ণ ডালপালা টেনে হেচড়ে জুটে দুটো পয়সা, চিকিত্সার পথ্য| সংকীর্ণ হয়ে আসা অস্তিত্বে তাই অভুক্ত থাকা হয় অনেক প্রহর, সেখানে নিদ্রা, স্নান , ক্ষৌরকর্মের সময়, সুযোগ প্রায়শই নেই |দূর ভবিষ্যতে সুস্থতার সনদ নিয়ে দেশে ফিরলে, ততোদিনে হয়ত জীবনের চাহিদাশূন্য নির্বিকার কেউ একজন |

সাঈফ শেরিফ › বিস্তারিত পোস্টঃ

যেই ১০ টি উপায়ে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ঠেকানো যেত

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৫:৪৪

এক কালে জামায়াতি লবি, জামায়াতের হাজার কোটি টাকা ঢালার কেচ্ছা-কাহিনী শোনা যেত । বি এন পিকেও দায়ী করা হয়েছে অসংখ্যবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার দায়ে। সত্যিকারভাবে আজকের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে যে ঐতিহাসিক ঘটনা গুলো ভূমিকা রাখতে পারতো তা তুলে ধরা হলো।



১. ১৯৭৫ এর আগেই জিয়াউর রহমানের মৃত্যু হলে



জিয়া এবং তার দল বি এন পি খাল কেটে যুদ্ধাপরাধী কুমিরগুলোকে দেশে প্রবেশাধিকার দিয়েই প্রথমবারের মত 'একাত্তরের দালালরা কে কোথায়' জাতীয় গবেষণা করার সুযোগ করে দিয়েছে। পাকিস্তানকে ভালোবেসে পাকিস্তানে থেকে যাওয়া রাজাকারদের নিয়ে বাংলার মানুষ মাথা ঘামাতো না।



২. জামায়তে ইসলামী চিরকাল নিষিদ্ধ থাকলে



শীর্ষ রাজাকাররা যদি পাকিস্তানেই থেকে যেত, জামায়াত বাংলার মাটিতে আজন্ম নিষিদ্ধ থাকলে গ্রাম-গঞ্জ ঘুরে ঘুরে অচেনা-অজানা মলা-ঢেলা রাজাকার শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানকে ধরে ধরে ফাঁসি দেবার মত আগ্রহ থাকতোনা। বরং স্বাধীনতা-উত্তর দালাল আইনে টাটকা স্মৃতি নিয়ে তৈরি করা চিহ্নিত দালালদের তালিকা অনুযায়ীই বিচার হতো। অনেক সাক্ষী ও কার্যকর দলিলও পাওয়া যেত মামলাতে।



৩. জামায়াত বি এন পির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট থেকে সবসময় আলাদা-স্বতন্ত্র থাকলে



জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার চাইতে তাদের বি এন পি থেকে দশ হাত দূরে থাকাটা একটা গণবিবেকের দাবি এবং সেই গণবিবেকের জন্মদাতা হলো আওয়ামীলীগ। জামায়াত আলাদাভাবে নিজেদের মার্কা নিয়ে নির্বাচন করলে বি এন পিকে কলঙ্কিত হতে হয়না, জামায়াতকে আওয়ামীলীগের রোষানলে পড়তে হয়না।



৪. নিজামী-মুজাহিদকে মন্ত্রিত্ব না দিলে



নিজামী-মুজাহিদের মন্ত্রিত্বের ব্যাপারটিই মূলত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পিছনে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করেছে। এতই শক্তিশালী যে এর জন্য দায়ী বি এন পিকেই উল্টো বিচারের কাঠ গড়ায় দাড় করানোর প্রসঙ্গ এসেছে। রাগ-ঘৃণা-জিঘাংসাগুলোর জন্ম বা পুনর্জন্ম হয়েছে রাজাকারের গাড়িতে পতাকা দেখার পর থেকেই।



৫. ভোটের রাজনীতিতে রাজাকারা কোণঠাসা থাকলে



জামায়াত যদি এককভাবে নির্বাচন করে ১৯৯৬ এর নির্বাচনের মতই ২-৩ টা আসন পেতো, সেটা কারো রোষ-ক্রোধের কারণ হতোনা। ১৯৯৬-২০০১ সালে আওয়ামীলীগের শাসন আমলেও হয়নি।





৬. বাচ্চু রাজাকাররা টিভিতে ধর্ম ব্যবসা করতে না আসলে



ধর্ম ব্যবসার সূত্রে খুজে পাওয়া বাচ্চু রাজাকারকে হয়তো কেউ কোনদিন চিনতই না, ধার্তব্যের মাঝেই আনতো না। যারাই টিভিতে মুখ দেখাতে গেছে, রাজনীতিতে আওয়ামীলীগের বিরোধী রাজনৈতিক দলে নাম লিখিয়ে জনগণের সামনে এসেছে তাদের রাজাকারগিরিও ধরা পড়ে গেছে।



৭. গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব না দেয়া এবং বাংলার মাটি থেকে ৮০ দশকেই তাড়িয়ে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেয়া



গণ আদালত বা জাহানারা ইমামকে কেউ চিনতোনা। মুক্তিযুদ্ধের ২০ বছর পরে সেই আন্দোলনে প্রাণ দিয়েছে গোলাম আযমের নাগরিকত্ব । জাফর ইকবালের ভাষায় রাজাকারদের হাতে বাংলার পাসপোর্ট-পতাকা তুলে দিতে পেরেছি বলেই তাদের বিচার করা সম্ভব হয়েছে।



৮. রাজাকাররা গরিব, সমাজে দুঃস্থ অপ্রতিষ্ঠিত হলে



ব্যাংক, হাসপাতাল, হাজার-হাজার কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা করে রাজাকাররা মানুষের চোখে পড়ে গেছে। এই হাজার কোটি কালো টাকা আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধ রাজনীতিতে ব্যয় হয় বলে, সেটিও ভীষণ দুশ্চিন্তার কারণ । ইসলামী ব্যাংকের সাথে লুটপাটে সোনালি-রূপালিরা পেরে না ওঠাও একটা অশনি সংকেত।



৯. শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা না হলে, জঙ্গিবাদের উত্থান না ঘটলে



গৌণ কারণ, কিন্তু এসব কিছুর জন্য জামায়তকেও দায়ী করা হয়। বাংলা ভাইও জামায়াতের সৃষ্টি। জঙ্গিবাদ দমন করতেও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে গণ্য করা যায়।



১০. দেশের মানুষ নির্বাচনে সবসময় জামাত-বি এন পিকে বর্জন করলে



একদল মানুষ জামায়াতকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তাদের নেতাদের জীবনই বিপন্ন করে তুলেছে। আওয়ামীলীগ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জেতার শতভাগ নিশ্চয়তা পেলে, জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা বা জামায়াতকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে দলের বিচার করার প্রসঙ্গটা বল পেতোনা। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হবার পিছনে বি এন পির ভোটার সমর্থকদেরও পরোক্ষ ভূমিকা আছে যাতে করে তারা আওয়ামীলীগের প্রকৃত দেশপ্রেমকে জাগিয়ে দিতে পেরেছে, প্রথম দফায় না হলেও দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর।

মন্তব্য ১২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১২) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:৫২

এম. রহমান বলেছেন: ধন্যবাদ।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:৫৩

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: লেখা পড়ে বুঝে ধন্যবাদ দিলেন তো?

২| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:৫২

চাঁদগাজী বলেছেন:


অপ্রয়োজনীয় কথাবার্তা

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ ভোর ৬:৫৫

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: বাংলার মানুষ আসলে মারো-ধরো-কাটোতে বিশ্বাসী ।

কারণ/ইতিহাস/প্রেক্ষাপট/পরিস্থিতি যাচাই করার মত গুরুতর বিষয়ে নির্মোহ চিন্তা করার মত লোকেরা নেহায়েতই সংখ্যালঘু।

৩| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৪০

মিতক্ষরা বলেছেন: আপনি ঠিক বলেছেন। বাংলাদেশের মানুষ হয়তবা রাজাকারদের ভুলেই যেত, যদি না তারা আবার রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত হত।

সামনে এরা হয়ত আবার রাজনীতি করবে, তবে সেই রাজাকারী ছায়া তাদের সমূলে পরিত্যাগ করতে হবে।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ সকাল ৯:৫০

সাঈফ শেরিফ বলেছেন:

সব রাজাকারের ফাসি হয়ে গেলেও মৌলবাদের মাঝে রাজাকারের ছায়া খোজা শুরু হবে, আওয়ামীলীগের আদর্শের বিরুদ্ধে যা যা আসবে সব কিছুতে রাজাকারের ভূত খোজা হবে । ব্যাপারটি অন্তহীন, অন্ধ, উগ্র।

৪| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ দুপুর ২:২৬

সৈয়দ নূর কামাল বলেছেন: ৭১ এর পুর্বে জন্ম নেয়া বাংলাদেশের সব মানুষকে ফাঁসী দিলে ও, বাংলাদেশ থেকে রাজাকার ইস্যু চলে যাবে, তা মনে হয়না। এটি একটি রাজনৈতিক বিনিয়োগ এবং বিনোদন ও বটে। তখন রাজাকারের ছানাপোনাদের ইস্যু আসতে পারে কিংবা আসতে পারে রাজাকারের নাতিপুতিদের কথা ও।
সুতরাং এই ইস্যুর শেষ হবে বলে মনে হয়না।

৫| ১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ৯:৩০

মিতক্ষরা বলেছেন: @শেরিফ এবং কামাল,

এই ইস্যুটির শেষ হতেই হবে। এটা যে কত বড় বিরক্তিকর, তা বলার বাইরে। জামায়াত নিজেই বিরোধীদের হাতে রাজাকার অস্ত্র তুলে দিয়ে এই সুযোগ করে দিয়েছিলো।

ভবিষ্যতে মৌলবাদের মাঝখানে রাজাকারের ছায়া খোজা হতে পারে ঠিকই, তবে সেইটা সফল নাও হতে পারে। বিশেষত নির্বাচন সামনে এলেই যেভাবে মেনন ইনুরা টুপি পড়ে হুজুর সেজে যান, তাতে আমি আশাবাদী যে মৌলবাদকে মৌলবাদ হিসেবেই মোকাবেলা করতে হবে, রাজাকারবাদ দিয়ে নয়।

১১ ই এপ্রিল, ২০১৫ রাত ১১:২০

সাঈফ শেরিফ বলেছেন: মেনন-ইনুর টুপি হলো মাজার ভিত্তিক টুপি, খাজাবাবা ভিত্তিক সুফিবাদী টুপি। এটা মৌলবাদের টুপি না, এটা কমিউনিজম ও সেক্যুলারিজমের হাতকে শক্ত করার জন্য একটা ধর্মীয় ঢাল মাত্র।
সরকার এবং তার সমর্থকেরা এই টুপিকে খাইয়ে দাইয়ে টাকা পয়সা দিয়ে লালন-পালন করে একটা ধর্মকে দাড় করিয়ে রাখবে।

এর বাইরে মৌলবাদ ভিন্ন বিষয়---আওয়ামীলীগের রাজনৈতিক দর্শনের সাথে সংঘাত লাগে এমন যেকোন ধর্ম চিহ্নকে ওয়াহাবিবাদ, জঙ্গিবাদ, মাদ্রাসাবাদ, মৌলবাদ বিভিন্ন নামে মোকাবেলা করা হবে।

কাজেই আওয়ামী বিরোধী ধর্মীয় সংগঠন মানেই সেটা পাকিস্তানের বীর্য থেকে আগত এই ভাবধারা চালু থাকবে অনন্তকাল। জামায়াতকে নিষিদ্ধ, নিশ্চিহ্ন করে দিলেও তা থাকবে।

৬| ২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০২

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: কারণ/ইতিহাস/প্রেক্ষাপট/পরিস্থিতি যাচাই করার মত গুরুতর বিষয়ে নির্মোহ চিন্তা করার মত লোকেরা নেহায়েতই সংখ্যালঘু।
অথচ পরিহাসের বিষয় এই সংখ্যালঘুদের চিন্তা আর নৈতিকতাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর অক্ষমতাকে পুঁজি করে সুবিধাবাদী সংখ্যাগরিষ্ঠরা (বেশিরভাগই অজ্ঞানে-অবুঝ ধার্মিক, আর কিছু সদা সক্রিয় প্রতিক্রিয়াশীল সজ্ঞানে-ধর্ম বিদ্বেষী) ( কারা যে জগতের নিকৃষ্ট প্রাণী?)প্রতিনিয়ত 'প্রতিকী-ধর্ম আর ধর্মহীন-সমাজ নামক' ডিসকোর্সে সামিল হওয়াকে বুদ্ধিবৃত্তিক দায়িত্ব মনে করে তা না হলে তো উন্নতমানের পশু হওয়ার ধারাবাহিকতায় সৃষ্টিতত্ত্বকে ব্যাখ্যা তথা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলা যায় না। তাওহীদের ধারনটা কেন এত গুরুত্বপূর্ন কোরান পড়ে তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছি।
আপনার স্যাটায়ারগুলোর জন্য ধন্যবাদ। লিখা বন্ধ করবেন না আশা করি!

৭| ২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫১

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: কারণ/ইতিহাস/প্রেক্ষাপট/পরিস্থিতি যাচাই করার মত গুরুতর বিষয়ে নির্মোহ চিন্তা করার মত লোকেরা নেহায়েতই সংখ্যালঘু।
অথচ পরিহাসের বিষয় এই সংখ্যালঘুদের চিন্তা আর নৈতিকতাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর অক্ষমতাকে পুঁজি করে সুবিধাবাদী সংখ্যাগরিষ্ঠরা (বেশিরভাগই অজ্ঞানে-অবুঝ ধার্মিক, আর কিছু সদা সক্রিয় প্রতিক্রিয়াশীল সজ্ঞানে-ধর্ম বিদ্বেষী) ( কারা যে জগতের নিকৃষ্ট প্রাণী?)প্রতিনিয়ত 'প্রতিকী-ধর্ম আর ধর্মহীন-সমাজ নামক' ডিসকোর্সে সামিল হওয়াকে বুদ্ধিবৃত্তিক দায়িত্ব মনে করে। তা না হলে পরকাল বিশ্বাসী প্রতিকী ধার্মিকেরা পৃথিবীতে প্রগতি(?) নামক চাপিয়ে দেয়া ধারনাকে হজমও করতে পারেনা আবার উগড়ে দিতেও পারে না। আর ধর্ম বিদ্বেষীরা তো উন্নতমানের পশু হওয়ার ধারাবাহিকতায় সৃষ্টিতত্ত্বকে ব্যাখ্যা তথা চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার মাধ্যমে প্রগতিকে মানব সভ্যতার একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনা। তাওহীদের ধারনটা কেন এত গুরুত্বপূর্ন কোরান পড়ে তা মর্মে মর্মে উপলব্ধি করছি।
আপনার স্যাটায়ারগুলোর জন্য ধন্যবাদ। লিখা বন্ধ করবেন না আশা করি!

৮| ২৮ শে জুন, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেছেন: প্রথম মন্তব্যটা অসম্পূর্ণ! মুছে দিয়েন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.