নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীটা সার্ভাইবারদের জন্য, তাই বুলিং ও হিউমিলিয়েশন ওভারকাম করলাম। গ্রাজুয়েশন করে ক্রিয়েটিভ রাইটার, ইনডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর-সিনেমাটোগ্রাফার এবং শো উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেছি। পারকৌর ও ফাইট করা হবি।
ডিএসই গ্রুপে একজন খুবই ভাল কিছু প্রশ্ন করেছিল। এক্সেপশনালি গুড কোয়েশ্চনস বলা যায়। প্রশ্নগুলো হলোঃ
• পড়াশোনা কি একটা চাকরি পর্যন্ত সীমাবদ্ধ?
• নিজেকে শিক্ষিত বা এলিট শ্রেণির লোক হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য?
• পড়াশোনা শেষে যে কৃষি কাজ বেছে নেয় তাকে কিভাবে মূল্যায়ন করা হয়?
• পড়াশোনা শেষে যেকোন ধরণের বা যেকোন পেশার কাজ করতে এতো প্রতিবন্ধকতা কেন?
• আসলে পড়াশোনাটাই কেন?
আমি এর একটা উত্তর দিবো ভেবেছিলাম। সেটাই আজ এখানে শেয়ার করছি।
বর্তমানে কৃষিকাজে কেন কেউ যেতে চায়না?
যে স্মার্টলি নিজেকে কৃষিকাজে যুক্ত করবে এবং শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে চিরাচরিত ধারার বাইরে এফিশিয়েন্টলি কাজ করবে, তাকে অবশ্যই সবাই সম্মান করবে। কারণ সে নিজেকে প্রুভ করেছে। সমস্যা হলো আমাদের দেশে কৃষকদের লাইফস্টাইল, ওয়ার্ক স্টাইল এখনো এমন যে একবার হাইয়ার এডুকেটেড হওয়া কেউ কষ্টকর ভেবে ওটাতে যেতে চায়না ।
মূলত ক্রিয়েটিভ সাপোর্টের অভাব ও সিন্ডিকেট নির্ভর ব্যবসার কারণে কৃষকদের পার্সোনাল গ্রোথ কম হয়। এটা দেখে একজন ছাত্র চাকরিকে বেছে নিবে আর কৃষিকাজকে নেগলেক্ট করবে। কিন্তু আপনি যদি বুদ্ধিমান হন, কনফিডেন্ট হন, নিজের লিমিট জানেন, নতুন পদ্ধতি নিয়ে কাজ করেন, টেকনোলজির ইউজ করেন, তাহলে কৃষিকাজ করেই একটা স্ট্যান্ডার্ড তৈরি করতে পারবেন। এরপর সেটাই হয়ে যাবে আপনার এন্টারপ্রেনরশিপ।
যেকারণে বিদেশে কৃষিকাজ করা স্বাভাবিক ব্যাপার
বিদেশে সবাই যে কাজই করুক, দিনশেষে লাইফস্টাইল সেম টাইপের হয়। তাই ব্যক্তির আচার-ব্যবহার মানসম্মত হলে পেশা কি সেটা দেখা হয়না। আমাদের দেশে সামাজিক বিকাশে কমতি থাকার তারণে এটা সম্ভব না। আমাদের সিনিয়ররা গঠনমূলক চিন্তা করেনা, আর তরুণেরা নিজের আইডিয়া প্রুভ করতে পারিনা। তাই যে যার পরিবেশের বাইরে বের হতে পারিনা।
আপনি চাইলেও একদিনে সবার চিন্তা ও চলাফেরা পাল্টাতে পারবেন না। তাই কাজ যেটাই হোক, কাজের ধরণ ডেভেলপ করে, কাজের পজিটিভ এসপেক্টস দেখিয়ে স্টেরিওটিপিক্যাল চিন্তাকে প্রভাবিত করতে পারবেন। যদি কৃষিকাজ বা অন্য ছোটখাট কাজ করেন, কোনোভাবেই লস করা যাবেনা। তাহলে লাইফ স্টাইলের সাথে সবকিছু ব্যালেন্সড হবে আর সেটা দেখে আশেপাশের মানুষের চিন্তা পাল্টাবে।
©somewhere in net ltd.