নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পৃথিবীটা সার্ভাইবারদের জন্য, তাই বুলিং ও হিউমিলিয়েশন ওভারকাম করলাম। গ্রাজুয়েশন করে ক্রিয়েটিভ রাইটার, ইনডিপেন্ডেন্ট ডিরেক্টর-সিনেমাটোগ্রাফার এবং শো উপস্থাপক হিসেবে কাজ করেছি। পারকৌর ও ফাইট করা হবি।
বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে তারা যে প্রস্তুতি নিয়েছে সেটা নিমিষেই শেষ হয়ে গেলো। এখন এই অবস্থায় পক্ষে-বিপক্ষে দুটো গ্রুপ তৈরি হয়ে গিয়েছে।
পক্ষকারীদের লজিকঃ
• যে লেট করেছে সে নিজের লেখার কম সময় পাবে, তাতে পরীক্ষকদের কি সমস্যা
• রাস্তা ঘাট ও পরিবহনের অবস্থা সবার জানা, তাহলে অল্প কয়েক মিনিট লেট হলে এত ইসু হবে
• যারা লেট করেছে তারা পরীক্ষার সুযোগ পেলে সড়কের অনিয়ম নিয়ে নিয়ে ভাবার সুযোগ পেত
বিপক্ষকারীদের লজিকঃ
• যারা সময়ের মূল্যায়ণ করেনি তার ফল পাবে এটাই স্বাভাবিক
• যারা সময়ের মূল্য রচনা মুখস্থ করেও কাজে লাগায়নি, তারা দেশের কি করবে, তারা অযোগ্য
• পরিদর্শকেরা দায়িত্ব কর্তব্য অনুযায়ী নিরাপত্তার জন্য গেট লাগিয়ে দিয়েছে, যেন কোনো থার্ড পার্টির ঝামেলায় পরীক্ষার ক্ষতি না হয়
বিসিএসের পড়া যেরকম সময় নেয়, তাতে কেউ পরীক্ষার সুযোগ না পেলে খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক। আমরা অনেক ভাই বোন সিনিয়রকে ইনকামের পাশাপাশি রাত জেগে সংগ্রাম করতে দেখেছি। কিন্তু লেট ইসু নিয়ে বলবো যে, বাংলাদেশের আমলাতান্ত্রিক কাজকারবার যেহেতু আবেগ দিয়ে চলে না, তাই আপনাদেরও আবেগ দিয়ে পরীক্ষার্থীদের সিমপ্যাথি দেওয়া ঠিক হবেনা। আমি স্টুডেন্ট লাইফ থেকে বিসিএস পরীক্ষার্থীদের কিছু জিনিস দেখে আসছি। তার মধ্যে নেগেটিভ বিষয়গুলো হলোঃ
১. সামাজিক ও বাস্তবধর্মী জ্ঞানের অভাব
বিসিএস-এ লাখো মানুষের মধ্যে সহজভাবে মেধা বাছাই করার জন্য একটা কঠিন প্রশ্ন পদ্ধতি বানিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে আপনাকে প্রচন্ড পড়াশোনা করতে হবে। এজন্য ক্লাসের সবচেয়ে সেলফিশ বইয়ের মধ্যে মুখ গোঁজা ছেলেমেয়েরাই বিসিএসে টিকে যেত। আর এই অসামাজিক মানুষগুলোর অন্যন্য কমন সেন্স বা সোশাল নলেজ কম থাকে। কোন দেশের মুদ্রার নাম কি জানা থাকলেও দেশের রাস্তাঘাটের অবস্থা কি জানা থাকে না! সো তারা লেট করবে না তো কারা করবে!
২. পূর্ব প্রস্তুতির অভাব
আপনি পরীক্ষার্থী হলে আপনার উচিৎ সময়ের ৩০ মিনিট আগে উপস্থিত থাকা। তাই জ্যাম কেমন হবে, বাস কেমন চলবে এসব ভেবে সময় হাতে রেখে সেন্টারে আসা বেটার। কিন্তু দেখা যায় অনেকেই অন্য জেলা থেকে ওইদিন সকালের বাসে রওয়ানা দিয়ে ঢাকা আসে! এটা ঠিক না। আপনি সারাজীবন যার জন্য প্রিপারেশন নিলেন, তার জন্য আরেকটু সাবধান হয়ে বা ১০০০ টাকা বেশি খরচ করে কাছাকাছি থাকবেন না কেন? চাইলে এনিহাউ প্রিপারেশন নিয়ে সেন্টারের কাছে থাকা যায়।
৩. সীমাবদ্ধ চিন্তাভাবনা
অনেকে লেটে ঢুকতে না পেরে কান্নায় রাস্তায় গড়াগড়ি খাচ্ছে। কারণ তাদের (বা তাদের ফ্যামিলির) কাছে বিসিএস-ই স্বপ্ন-ধ্যান-জ্ঞান! কারণ তারা ভাবে এটা সিকিউর লাইফ দেবে। থাকার জায়গা, যাতায়াত ব্যাবস্থা, দূর্নীতির সুযোগ সব এখানে আছে! এতে করে তারা নিজেদের অন্যান্য পটেনশিয়াল গ্রো করছে না। এরকম লেট করে সহজে ডিমোটিভেটেড হওয়া একটা মানুষ বড় কোনো পদে না থাকাই দেশের জন্য বেটার।
বিলিভ মি, আমি বিএসএস হেটার নই। ভার্সিটি লাইফের একটা পযায়ে আমরা ভাবতাম বিসিএস হলো স্টেরিওটিপিকাল টার্গেট, তাই বন্ধুরা ট্রল করতাম। কিন্তু প্রাইভেট জবের ছিমছাম ইনটেরিয়রের আড়ালে থাকা টক্সিক লাইফ দেখে মনে হয়েছে বিসিএস দিয়ে সম্মানজনক একটা পোস্টে যাওয়া মাচ বেটার ছিল।
এখনো হাতে সময় আছে। এখানে ওইরকম জবাবদিহিতা নেই, কেপিআই ফিলআপের প্রেসার নেই। জাস্ট ভাল প্লান এক্সিকিউশন করে মানুষের উপকার করবেন, নিজের ফ্যামিলিকে নিশ্চিন্ত রাখবেন। তাই একজন ভালো ছাত্র কোনো কারণে পরীক্ষার সুযোগ না পেলে তার জন্য অবশ্যই দুঃখপ্রকাশ করবো। কিন্তু সময়ের জ্ঞান নেই এরকম মানুষদের জন্য দুঃপ্রকাশ করতে পারবোনা। আমরা থার্ড ওয়ার্ল্ড কান্ট্রিতে সার্ভাইভ্যাল করছি, আমাদের ট্রাফিক কেমন না বুঝে যে দেরি করলে এটা ঠিক বাস্তবধর্মী হলো না। বিসিএস-এ চান্স পাওয়া কোনো ব্যর্থতা নয়, বরং এই সারাউন্ডিং সেন্স না হওয়াই চরম ব্যর্থতা।
আমি ব্যক্তিগতভাবে জীবনের একটা বিশাল সময় ওয়েট করে কাটিয়েছি। ছোটবেলা থেকে বাবা মা পরীক্ষার ১ ঘন্টা আগে রেডি করে হলের সামনে নিয়ে যেত, তারা আমার সময় জ্ঞানের একটা ভিত্তি তৈরি করে দিয়েছে। কিন্তু এখন কারো সাথে দেখা হলে সে ২ মিনিট, ৫ মিনিট বলে দুই ঘন্টা পরে আসে! এই ছোটখাট কাজে সময়কে অবমূল্যায়ণের অভ্যাসই তরুণদের বড় পরীক্ষা মিস করায়।
সো ইটস বেটার টু রিজারেক্ট দ্য হ্যাবিট অ্যান্ড লাইফ গোলস। জীবনে অনেক অপশন আছে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৬
BM Khalid Hasan বলেছেন: আপনার মনে হয় কর্মকর্তারা এরকম সহনশীল মানসিকতা রাখবে? বড় অফিসার হবার পর ওনারাই বাপের বয়সী লোকদের কান ধরে উঠবস করায়, স্যার না বললে রেগে যায়! সিস্টেমের পরিচালক ঠিক নাই, তাই পরীক্ষার্থীকেই কষ্ট করতে হবে যেহেতু চাকুরির প্রয়োজনটা বেশি তার।
২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:০২
কামাল১৮ বলেছেন: যদি এমন সর্ত থাকে যে নির্ধারিত সময়ের পরে আসলে হলে ডুকতে দেয়া হবে না, তা হলে ঠিক আছে।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭
BM Khalid Hasan বলেছেন: ৩০ মিনিট আগে ঘোষণা দেওয়া হয়, মাইকিং করে বলা হয়। আর এই ৩০ মিনিট আগেই ইনভেলোপ থেকে প্রশ্ন খোলা হয়ে থাকে। এইসময় আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়না যেন প্রশ্ন লীক না হয় এবং যারা পরীক্ষা দেবে তাদের ডিসট্রাকশন না হয়।
৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৩
ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দেরী করে আসলেও তাকে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেয়া উচিত এবং তার অধিকার বলে আমার মনে হয়। যদিও দেরী করে আসার কারনে তাকে নির্দিষ্ট সময়ের পরে আর অতিরিক্ত কোন সময় দেয়া অনুচিত তদুপরি না ঢুকতে দেয়া মোটেই ঠিক নয়। বি.সি.এস. -কে কেন মানুষ স্বপ্ন ভাবে আমার কাছে তা বোধগম্য নয়। একজন মানুষ এই্ অল্প কটা টাকার সরকারি চাকুরি করে জীবনে তেমন কি করতে পারবে? অবশ্য চুরি করা, ঘুষ খাওয়ার ইচ্ছে থাকলে ভিন্ন ইস্যু।
বলতে চাইছি, জীবনটা অনেক বড় চেষ্টা করলে অনেক বড় কিছু হওয়া সম্ভব এক জীবনে। এরা মানুষের মেধা আর জ্ঞাণকে খুব সম্ভবত অনেক ছোট করে দেখে। ভেবেই নিয়েছে আমাকে দিয়ে এর চেয়ে ভালো কিছু সম্ভব নয়। আহা সুযোগটা হাতছাড়া হয়ে গেল। অবশ্য মেডিওকার লোকজন থেকে এর চেয়ে বেশী আশা করাও বোকামি। কারন তারা নিজে কিছু করার ক্ষমতাকে কখনো চিনতে পারে নি। নিজেকে জানতেও পারে নি। খুবই দুঃখজনক।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২১
BM Khalid Hasan বলেছেন: আমি আপনার সাথে একমত, যে দেরি করবে সে কম সময়ে লিখবে এরকম হওয়া উচিৎ, কারণ সে এডমিট নিয়ে ভেরিফাই হয়ে আসছে, তার পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য নাই। ইভেন এদের জন্য ডিফারেন্ট রুম ও রাখা যায়। কিন্তু কর্মকর্তারা সহনশীল মানসিকতা যে রাখেনা ভাই! এমন সব লোক পরিচালনায় থাকে যারা বড় অফিসার হবার পর বাপের বয়সী লোকদের কান ধরে উঠবস করায়, স্যার না বললে রেগে যায়! তারা অলরেডি একটা সিস্টেম করে ফেলেছে, রাইট? যার নড়চড় তারা করবে না। সেক্ষেত্রে যারা এই নিয়মের মধ্যে পরীক্ষা দিতে আসবে তাদের খুটিনাটি জেনে বুঝেই আসা উচিৎ। কারণ কর্মকর্তারা আবেগ বা সহানুভূতি দেখাবে না। এই রিয়েলিটিকে না বোঝার জন্যই আমি পরীক্ষার্থীদের দোষ দিচ্ছি।
৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:২৬
ঢাবিয়ান বলেছেন: সভ্য দেশে ট্রাফিক জ্যাম নাই। যে কোন জায়গায় সময়মত পৌছানো তাই নির্ভর করে ব্যক্তির উপর। তারপরেও কোনদিনই শুনি নাই দেরী করে আসার জন্য কাউকে পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেয়া হয়নি। খুব বেশি দেরী হলে পরিক্ষার্থী নিজেই বুঝে যে আর পরীক্ষার হলে ঢুকে লাভ নাই।
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২৪
BM Khalid Hasan বলেছেন: আপনার ওপিনিওনটা রিলেটেড হবার কারণে আপনাকে আমি আগের কমেন্টটাই দিচ্ছি,
//আমি আপনার সাথে একমত, যে দেরি করবে সে কম সময়ে লিখবে এরকম হওয়া উচিৎ, কারণ সে এডমিট নিয়ে ভেরিফাই হয়ে আসছে, তার পরীক্ষা ছাড়া অন্য কোনো উদ্দেশ্য নাই। ইভেন এদের জন্য ডিফারেন্ট রুম ও রাখা যায়। কিন্তু কর্মকর্তারা সহনশীল মানসিকতা যে রাখেনা ভাই! এমন সব লোক পরিচালনায় থাকে যারা বড় অফিসার হবার পর বাপের বয়সী লোকদের কান ধরে উঠবস করায়, স্যার না বললে রেগে যায়! তারা অলরেডি একটা সিস্টেম করে ফেলেছে, রাইট? যার নড়চড় তারা করবে না। সেক্ষেত্রে যারা এই নিয়মের মধ্যে পরীক্ষা দিতে আসবে তাদের খুটিনাটি জেনে বুঝেই আসা উচিৎ। কারণ কর্মকর্তারা আবেগ বা সহানুভূতি দেখাবে না। এই রিয়েলিটিকে না বোঝার জন্যই আমি পরীক্ষার্থীদের দোষ দিচ্ছি।//
সভ্য দেশের সভ্য নিয়ম হবে, তারা এক্সেপশনালকে কনসিডার করবে। আমাদের দেশে এক্সেপশনাল কেস এলাউ করা হয়না।
৫| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৮
ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: আমার জানামতে বি সি এস পরীক্ষার এডমিট কার্ডে লিখা থাকে কমপক্ষে কতক্ষন আগে হলে ঢুকতে হবে এবং কখন ঢুকতে দেয়া হবে না। এডমিট কার্ড দেয়া হয় পরীক্ষার কমপক্ষে মাসখানেক আগে। অতএব,দেরী করে এলে তো পরীক্ষার হলে ঢুকতে দেয়া হবে না, এটাই তো স্বাভাবিক। আর মাঝে মাঝে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায় আমাদের জীবনে, যার ওপর আমাদের কোনই নিয়ন্ত্রণ থাকে না, যত চেষ্টাই আমরা করিনা কেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেগুলো জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় আমাদের। আমার এক বন্ধু হাত ভেঙে যাওয়ায় বিসিএস পরীক্ষা দিতে পারেনি। পরে সে আমাদের আগে পোস্ট গ্রাজুয়েশন করে বিশেষজ্ঞ হিসেবে দেশের একটি স্বনামধন্য প্রাইভেট হাসপাতালে সেবা দিচ্ছে। অতএব, কোন ঘটনা কার জীবনে কি নিয়ে আসবে আমরা কেউই তা জানিনা। শুধু ধৈর্য ধরে উপরওয়ালার কাছে চাইতে পারি, "আমাদের জন্য যা কল্যানকর, তা আমাদের দান কর।"
২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:২৮
BM Khalid Hasan বলেছেন: হান্ড্রেড পারসেন্ট লেখা থাকে । পরীক্ষার ৩০ মিনিট আগে প্রশ্ন খোলে, তাই এই সময়টা প্রশ্ন লীক এড়াতে বাইরের সাথে কমুনিকেশন অফ করে দেয়। যারা বিসিএস দেবে তারা নিজেদের গাইডলাইন থেকে সহজে এসব জানতে পারে যদি পড়ালেখা বাদে অন্য সব বিষয়ে কেয়ারলেস না হয়! অনেকে দেখা যায় হলে ঢুকার মাইকিং শুনেও দূরে বসে বই পড়ছে! সো, নিজস্ব ইসুগুলোর কারণে দেরি হয়। এখন যারা পরিীক্ষা দিতে পারেনি এদের এক অংশ এক্সকিউজ দিয়ে জীবন যুদ্ধে হেরে যাবে, আরেক অংশ জেদ নিয়ে নিজেকে প্রাইভেট সেক্টরে একটা উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:০১
:) :) :) :) :) বলেছেন: কেহ ১ মিনিটা দেরি করে আসলে তাকে যদি ঢুকতে দেয়া হয়, কেহ ১ বা ২ ঘণ্টা পরে আসিলেও ঢুকতে দিতে হইবে। ৫ নং কমেন্টের কথা ঠিক। অনেক পাবলিক পরীক্ষা আছে, যেখানে ৩০ মিনিট বা আরো আগে এসে হলে ঢুকতে হয়। কলম, এন আইডি, এডমিট কার্ড ছাড়া আর কিছু সাথে নিবার নিয়ম নাই, এমনকি মানিবেগও না। এর অন্যতম কারন নকল ঠেকানো।
এই কেন্ডিডেটের সময়গেন কম থাকিতে পারে। অন্য দিকে সে হয়ত ক্যালকুলেটিভ রিস্ক নিয়া কাজকর্ম করে, যার দরুন এইখানে সে ধরা খাইয়াছে। হয়ত জেনুইন কারনও থাকিতে পারে, যেমন জেম, বা গাড়ি লেট। তবে, মন্দের ভাল হইল, সে কোন দুর্ঘটনায়ও পড়িতে পারিত পথে।
বিসিএসই তো জীবনে সব না। মনে হইতেছে দেশে বিসিএস না পাইলে সবাই মারা যাইবে। বেপারটা কি তাই?
যাই হোক, তাহার জন্য শুভ কামনা রহিল।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৬
BM Khalid Hasan বলেছেন: আপনার লজিক রাইট। এখন কেউ যে লেট করে ঢুকে চেকিং এড়িয়ে দুষ্কৃতি করে অন্যদের ব্যঘাত করবে না এর গ্যারান্টি নেই (কর্মকর্তাদের কাছে)। দেশে বিসিএস না পেলে মারা যাবে এটাও বেশ সত্য। বিশেষ করে গ্রাম বা মফস্বল এরিয়াতে ক্লাসের টপ ও মিডল রো এর স্টুডেন্টরা প্রাইভেট সেক্টরের জব, ব্যবসা এসব নিয়ে অনেক কম গাইড্যান্স পায়। মেডিক্যাল/ইঞ্জিনিয়ার পড়ারও সামর্থ্য অনেকের থাকে না। তাই ফ্যামিলির নির্দেশনা থাকে স্থানীয় কলেজে এন.ইউ. থেকে অনার্স কমপ্লিট করে বিসিএস দেওয়ার।
৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:০২
নাহল তরকারি বলেছেন: সবই হচ্ছে ঘুস খাওয়ার ধান্ধা।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৯
BM Khalid Hasan বলেছেন: আবার গ্রামে ও মফস্বলে আবার অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা হাইয়ার স্টাডিতে বা মেডিক্যালের মত সেক্টরে পড়াশোনার খরচ বহন করতে পারেনা। তাই প্রেস্টিজিয়াস প্রফেশন এর জন্য বিসিএস দেওয়া তাদের ওনলি এইম হয়।
৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:১৫
এম ডি মুসা বলেছেন: যারা নিজেরা আইন মানে না তারা অন্যের উপর আইন দেখায়। দেশের সকল সেক্টরে কত সুন্দর সময় মত সততার সাথে হয়। এটার কোন কোন খবর নাই। একটা মেয়ে বা ছেলে দুই মিনিট লস করছে তার জন্য তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়নি। তারা বুঝবে কি করবে একজন বেকার এর ব্যথা নিজে তো চাকরি পেয়েছে । অন্যের উপর বাঁশ দিলেও কোন সমস্যা নেই । এই বাঙালি বড় অদ্ভুদ রে ভাই, পৃথিবীতে যেখানে যাবে বাঙালিকে দেখে বা কাজ কর্ম দেখে মানুষ চিনতে পারে এরা বাঙালি
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৩
BM Khalid Hasan বলেছেন: ইন ফ্যাক্ট, আমি প্রথমে কর্মকর্তাদের এইসব উটকো নীতিমালার বিপক্ষে অবস্থান করতাম । কিন্তু পরে যখন দেখি, চাইলেও দেশের সিস্টেমকে পাল্টানো বা উন্নত করা যাবেনা, সবসময়ই আউল ফাউল লোক থাকবেই, তাই এখন নিজেদের রিজারেক্ট করে নেওয়ার পক্ষে চলে গেসি। আমি যে সেক্টরে জব করি, অনেকে ভাল এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে আসে, কিন্তু সিভির ফরম্যাট সুন্দর না বলে রিজেক্ট হয়ে যায়! এখন একটা সিভির জন্য তার কাজ ভাল না খারাপ হবে এটা যাচাই করার সুযোগ তারা দিচ্ছে না! হাস্যকর না? সো, যে ভাল এক্সপেরিয়েন্স রাখে সে পরে পারফেক্ট সিভি বানিয়ে নিজের ফার্স্ট ইমপ্রেসনে নিজেকে প্রুভ করছে।
৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:২০
এম ডি মুসা বলেছেন: দেশের বুকে স্বাধীনতার চেতনা সততা , সবখানে ১০০ ভাগ কবে হবে। যারা দুর্নীতে করে চাকরি পেয়েছে।তাদের তদন্ত করে চাকরি বাদ করে দেক। নিজ পরিশ্রমী চাকরিজীবী কখনো অন্যকে সাথে খারাপ আচরণ করে না। সততার নিজের মূল্য আছে অন্যকে মূল্য দেয়। দেশের সকল সেক্টরে জালিয়াতি করে চাকরি করে তাদের বাতিল করুক। দেশের চাকরির পদ খালি হয় হোক। সততায় নিয়োগ দেওয়া হোক। দেশের স্বাধীনতার বিশ্বাসীদের নিয়োগ দেওয়া হোক। দেশের মানুষ শান্তি পাবে। স্বাধীনতার চেতনা বাস্তবায়ন হবে। এই দেশটা কারো না এই দেশটা মুক্তিযুদ্ধার এই দেশটা মুক্তিযুদ্ধার সাথে সংগ্রামী মানুষের। এই দেশটা সাধারণ সঠিক পথের মানুষের।
১০| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৩
শায়মা বলেছেন: যার সময়ানুবর্তীতা নেই তার পরিকল্পনা নেই। সে মোটেও অরগানাইজড না এবং গুরুত্বপূর্ণ কাজে সিরিয়াসও না। যে এসব নিয়ে গুছিয়ে কাজ করতে জানে না সে কোথাও তার কাজ সুষ্ঠভাবে ইম্লিমেন্টও করতে পারবে না।
এই কথা সত্যি দেরী করে ঢুকলে সে কম সময় পাবে তার মাঝে বেশি লিখবে বা কম লিখবে পাস করবে না ফেইল করবে সেটা তার ব্যপার কিন্তু এই রকম মানুষকে ইররেসপন্সিবল মানুষই মনে হয় আমার।
কাজেই আমিও দেরী করে অফিস আদালত বিয়ে বাড়ি জন্মদিন মিটিং মিছিল এবং পরীক্ষার হলে ঢুকতে না দেওয়ার পক্ষে।
সব কিছুই মামাবাড়ি না আর বিসিএস যারা দেয় তারা কচি খোকাখুকুও না।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:১০
BM Khalid Hasan বলেছেন: এক্সাক্টলি অন পয়েন্টে কথা বলেছেন। আমরা টাইম মেইনটেইন বা নিজের রুম গোছগাছ করার মত ছোটকাট বিষয় এড়িয়ে যাই বলে ই্ন ফিউচার কর্মক্ষেত্রেও শৃংখলার সাথে কোনো কাজ করতে পারিনা। ফলে শুধু ক্যাওস হয়, মিডিয়াতে নেগেটিভ পোর্ট্রেট তৈরি হয়। যদি নিয়মের বাইরে ও ভাবি, আমাদের কোনো পরীক্ষা দিতে হলে ওই পরীক্ষার নিয়ম সুষ্ঠুভাবে ফলো করতে হবে, কারণ এখানে প্রয়োজনটা বেশি আমাদের। পরীক্ষকরা বিকল্প খুঁজে পাবেই, কিন্তু আমরা নিয়ম না মানলে চাকরিটা হারাবো। এই প্রাইরোরিটি বোঝা একটা মানুষকে আসল ম্যাচিউরড করে তোলে।
১১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫০
মুহাম্মদ মামুনূর রশীদ বলেছেন: ২৭ তম বিসিএস'এ "এক ঘন্টা" আগে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছেছি, তাও উত্তরা থেকে। বিসিএস'এ যারা পাশ করার যোগ্যতা রাখে, তাদের মত সিরিয়াস মানুষ কখনও ৫ -৭ মিনিট আগে কেন্দ্রে পৌছাবে না।
এতএব এসব টিকটকার গোছের পরীক্ষার্থীদের "কেন্দে" ফেলা নিয়ে hyper হওয়ার কোন কারন দেখি না।
১২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৩
অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: ✈ এর ফ্লাইট হলে ভাইদের হয়তো দেরি হতো না।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:১২
BM Khalid Hasan বলেছেন: ভালো বলেছেন! আমরা ভাবি ১ মিনিটের ই তো ব্যাপার, কোনো ইসু না! আবার বিদেশে যাবার সময় মনে থাকে যে টাকা দিয়ে কেনা টিকিট, না গেলে লস!
১৩| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:০৮
নতুন বলেছেন: যদি উল্লেখ করাই থাকে যে সময়ের পরে পরিক্ষা হলে ঢুকতে দেওয়া হবেনা তবে দেরী হবার পরে কান্নাকাটি করে লাভ নাই।
২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:১৩
BM Khalid Hasan বলেছেন: হ্যা, সবকিছু উল্লেখ করা হান্ড্রেড পারসেন্ট। আনঅফিসিয়াল-ভাবেও একজন বিসিএস পরীক্ষার্থী সিনিয়রদের থেকে সব জানতে পারে। কমুনিটি এখানে বড় একটা ভূমিকা রাখে।
১৪| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:০১
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থার বিবেচনায় প্রিলিমিনারি পরীক্ষাটা অন্তত অনলাইনে নেয়া দরকার।
এই পরীক্ষার জন্য ঢাকা শহরে শুক্রবারও জ্যাম বেধে যায়।
অনলাইনে বাসায় বসে যার যার মতো পরীক্ষা দিক।
১৫| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৩২
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
আজকে আমি বাঁশের পুলে অবস্থিত ডেমরা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়েছিলাম জরুরী একটা দলিল আনতে।
আমি গিয়ে পৌছেছি তখন সকাল ৮টা ৩৫ মিনিট মাত্র।
অফিসের স্টাফরা আসলো সাড়ে নয়টায় ।
আর তাদের ছার ( বাবু মহাশয়) তসরিপ আননয় করিলেন বেলায় সোয়া ১ টায়।
আমার কাজ শেষ করতে পৌনে ১২ টা বেজেছিল।
১৬| ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৩৫
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:
ভাইরে, বাংলাদেশে অনেক অপশন নাই।
এখানে ১ টা কাজ খুঁজে পাওয়া অনেক কঠিন।
©somewhere in net ltd.
১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫০
আরেফিন৩৩৬ বলেছেন: দেশের প্রেক্ষাপটে সময় দেয়া উচিত ছিলো। কারণ বাইরের লোক ঢাকায় আসলে অনেক কিছু বুঝে না,জানেও না।