![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
© বোহেমিয়ান । http://shorob.com/author/bohemian/ http://www.ibappy.com/ http://twitter.com/ibappy খুব সামান্য একজন । আপনার আশে পাশের হাঁটঁতে থাকা আটপৌরে দের মধ্যেই আমাকে খুঁজে পাওয়া যাবে ।
আমি তমা ।
গায়ের রঙ কালো বলেই এই নাম রাখা হয়েছে বলে আমার ধারণা ।
জন্মের পর যদিও এত কালো ছিলাম না । কিন্তু দিন কে দিন কালো হচ্ছি বলে মনে হচ্ছে ।
আমার ছোট বোন ডলি । ও আমার থেকে চার বছরের ছোট ।
ওর নাম ডলি রাখারও কারণ আছে । ও খুব্বি সুইট । একদম ডল এর মত।
তাই সবাই ওকে ডলি বলে ডাকে ।
ডলি সোনা চাদেঁর কণা / ডলি মামনি কোথায় ?
কি সুন্দর করেই না ডাকে সবাই । আমাকে অবশ্য কেউ এত সুন্দর করে ডাকে না ।
রেগে গেলে মা আমাকে মা কালী বলে ডাকেন । আগে খুব কষ্ট পেতাম । একা একা কাঁদতাম ।
এখন আর কাঁদি না । কারণ মা প্রায় প্রতিদিন ই এই কথাটা বলেন ।
প্রতিদিন কি কান্নাকাটির সময় পাওয়া যায়?
আমাকে তো অনেক কাজ করতে হয় । এত মন খারাপের সময় কোথায়?
খুব ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছি ।
আমি এক রকম আদর পাই । আমার বোন এক রকম । আমি ভাবতাম আমি বোধহয় ভুল কিছু করি ।
তাই আদর পাই না । খুব ভাল হয়ে চলার চেষ্টা করতাম । মা যা বলত তাই শুনতাম । কখনো কিছু আবদার করতাম না । সবাইকে পুতুল দিয়ে খেলতে দেখতাম । মন খারাপ হত ঠিক ই কিন্তু মার কাছে চাইতাম না ।
তবুও আমার প্রতি ব্যবহারে কোন পরিবর্তন দেখি নি ।
আমাকে প্রায় ই বাসায় একা রেখে যেত ।
জন্মদিনের অনুষ্ঠান হোক,বিয়ে হোক মা আমাকে কোথাও নিত না ।
না নেয়াটা স্বাভাবিক । আমি দেখতে সুন্দর না ।
ডলি সুন্দর । ওকে কোথাও নিয়ে গেলে ওর গালে সবাই আদর করে দেয় ।
মাকে বলে "বাহ খুব সুইট তো আপনার বাচ্চা টি"। আমাকে নিলে উলটা কথা বলে ফেলে ।
আমি আট ন বছর বয়স থেকেই একা একা বাসায় থাকতাম । একটুও কাঁদতাম না ।
আলমারির উপরে রাখা কোরআন শরীফটির দিকে তাকাতাম ।
আর বলতাম "আমার সাথে আল্লাহ আছে। ভুত আমার কিচ্ছু করবে না ।" এই বলতাম আর ভয়ে কাপঁতে
থাকতাম । একটা সময় পর ঘুমিয়ে পড়তাম ।
আমার দাদু কথাটা শিখিয়ে দিয়েছিলেন । "যার সাথে আল্লাহ থাকে তার কোন কিছুর ভয় নেই ।"
দাদু মারা যাবার পর আমি আর কাউ কে পাই নি আমার সমস্যার কথা বলার ।
দাদু আমাকে আদর না করলে হয়ত ভাবতাম আমি "পালক মেয়ে" ।
অবশ্য আমার সাথে নাকি আমার মার অনেক মিল । মাও একটু শ্যামলা ধরনের ।
বাবা তো রীতিমত সুপুরুষ । লম্বা ,ফরসা । ডলি বাবার মত হয়েছে ।
আমার একদম ছোটবেলার টুকটাক কিছু ছবি আছে ।
( কালো মেয়ে বলে আমার তেমন ছবি তোলা হয় নি । ডলির অবশ্য প্রতিটি জন্মদিনের ছবি আছে ।
যখন বাসায় একা থাকি আমি মাঝে মাঝে দেখি । আহা কি সুন্দর আমার ছোট বোন টি । কিভাবে বড় হয়ে যাচ্ছে । )
আমাদের বুয়া আছে । তবুও রান্না আমাকেই করতে হয় । মা বুয়াদের রান্না খেতে পারেন না । আমার
পরীক্ষার সময়টুকুতে একটু কষ্ট হয় । না হলে রাঁধতে আমার অত কষ্ট হয় না । অনেক আগে থেকেই রান্না করি কিনা ।
রান্না খেয়ে মাঝে মাঝে বাবা বলে ফেলেন "বাহ আজকের টা তো বেশ মজা হয়েছে ।" তখন খুব ভাল লাগে ।
বাবা ও অবশ্য আমার সাথে কথা বলেন না । বাবা ব্যস্ত মানুষ । বাসায় থাকেন খুব কম ।
বাসায় থাকলে পিসির সামনে ।
আর কিছুটা সময় টিভির সামনে খবর দেখার জন্য ।
বাবা শেষ কবে আমাকে " মা" বলেছিল আমার মনে আছে । আমার ১০ম জন্মদিনে ।
কারো মনে নেই সে দিন আমার জন্মদিন ।
রাত ১২ টা বাজার পর আমি আমাদের রান্না ঘর থেকে একটা মোমবাতি নিয়ে জ্বালাচ্ছিলাম ।
নিজেই নিজেকে উইশ করছিলাম ।
বাবা হঠাৎ রান্না ঘরে চলে এসেছিলেন ।
"কিরে তমা এত রাতে কি করছিস?"
"কিছু না বাবা ।"
"কারেণ্ট আছে তো । মোম কেন জ্বালিয়েছিস ?"
"এমনি বাবা ।" আমার চোখে তখন পানি ছিল । সেই পানি তখন বোধহয় মোমের আলোয় বোঝা যাচ্ছিল ।
"কিরে তুই কাঁদছিস নাকি?"
"না বাবা চোখে কি যেন পড়েছে। "
বাবার হঠাৎ করে কিভাবে যেন মনে পড়ে গেল । "আজ জুলাই এর বার তারিখ না?"
আমি কিছু বলি না ।
"মারে! হ্যাপি বার্থ ডে ।আমার মনে ছিল নারে মা!আমি অনেক সরি। কালই তোকে নিয়ে বাইরে খেতে যাব ।
কাঁদিস না মা ।"
আমি কিছু বললাম না । বাবাকে জড়িয়ে ধরলাম । অনেক দিন পর বাবাকে একটু ধরতে পারলাম ।
সে দিন অনেক খুশি হয়েছিলাম । সারা দিন কোথায় খেতে যাব ভাবছিলাম । মা ডলি কে নিয়ে অনেক জায়গায় যান ।
আমি যাই না তেমন কোথাও।
আর আমার স্কুলের মেয়েরা ও একটু গরিব টাইপ । (কেন জানি আম্মুর ধারণা আমাকে ভাল স্কুলে পড়ানোর দরকার নেই। তাই
আমার বোন কে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে ভিকারুননিসায় ভর্তি করানো হলেও আমাকে আমাদের বাসার কাছে একটি মেয়েদের স্কুলে ভর্তি করানো হয়েছিল ।) তাই ওরাও তেমন ভাল কোন জায়গার নাম বলতে পারে না । আমিও জানি না ।
বাবা তো অনেক জায়গায় যান ।
বাবা নিশ্চয় ই খুব ভালো কোথাও নিয়ে যাবেন ।
স্কুল থেকে এসেই আমি আমার গত ঈদের জামাটা বের করি । খুব ভাল করে গোছল করি । আমার মেকআপ বক্সটা বের করি । এটা অবশ্য আমার না আম্মুর পুরনো একটা মেকাপ বক্স ।
তেমন কিছুই নেই । তবুও বক্সটার আয়নায় একটু নিজেকে দেখি । একটু পাউডার দেই ।
যাতে আব্বু কে শুনতে না হয় "এইটা আপনার মেয়ে?" । হঠাৎ মা ডাক দিয়ে বসেন ।"তমা একটু চা বসা তো ।"
"আসছি মা।" আমি তাড়া তাড়ি মুখটা মুছে চা বসাতে চলে যাই ।
চা নিয়ে আম্মুর কাছে গেলে আম্মু বলেন "মুখে কি দিয়েছিস?"
আমি একটু ভয় পেয়ে যাই । বলি "পাউডার তোমারটা দেই নি। পুরনো একটায় কিছু ছিল ঐটা দিয়েছি ।
"অ । এখন যা । টিভি দেখতে দে"
আমি আমার রুমে চলে আসি । হাফ ছেড়ে বাঁচি । ছোটবেলায় খুব মার খেয়েছিলাম । মার শাড়ি শুধু ধরেছিলাম বলে ।
এর পর থেকে মার কিছু আর ধরি নি । আমি বিকাল থেকেই ছটফট করছিলাম । কত দিন ঘুরতে যাই না ।দাদু শেষ একবার চিড়িয়াখানা নিয়ে গিয়েছিলেন ।
বার বার মুখ ধুচ্ছিলাম । চুল আচঁড়াচ্ছিলাম । দোয়া পড়ছিলাম ।
"আল্লাহ আমার এই জন্ম দিনটায় একটু আনন্দ দিও ।
আমি তো মার কথা শুনি ,ঘরের কাজ করি ,নামাজ পড়ি ,মিথ্যা বলি না । প্লিজ আল্লাহ । আমারে একটা দিন এক টু আনন্দ করতে দাও ।
কেক লাগবে না। ডলির জন্মদিনে তো কত মজা হল । কত ছবি তুলল । আমি কিছুই চাই না । শুধু বাবার সাথে একটু বেরুতে চাই। প্লিজ আল্লাহ । আমি এক শ রাকাত নফল নামাজ পড়ব। প্লিজ আল্লাহ । বাবার কাজ টা এক টু কমিয়ে দাও । প্লিজ আল্লাহ। "
বাবা সে দিন তাড়া তাড়ি আসেন নি । রাতে আসার পর ও তার মনে ছিল না আমার জন্মদিনের কথা ।
আমাকে সরি ও বলেন নি ।
আমি অবশ্য মন খারাপ করি নি । আল্লাহ নাকি সব দোয়া জমা করে রাখেন । আমিও অপেক্ষায় আছি ।
আজ আমার ২২ তম জন্মদিন । এখন রাত ১২ টা এক । এখন আর নিজের খুশির জন্য দোয়া করি না ।
এখন স্বপ্ন দেখি আমার একটা কালো মেয়ে হবে । ওর নাম রাখব আলো ।
ওকে আমি খুব ভালবাসব ।
ওর অনেক ছবি তুলব ।
ওর জন্মদিন করব ধুম ধাম করে ।
ওকে অনেক অনেক পুতুল কিনে দেব ।
ওকে একটু ও কষ্ট পেতে দেব না ।
ওর জন্য গান গাইব
"আলো আমার আলো ও গো আলোয় ভুবন ভরা..."
এই স্বপ্নটি নিশ্চয় ই পূরণ হবে । আমার অনেক দোয়া জমা আছে যে!
লেখকের কথা :
তমা মেয়েটির প্রতি তার মায়ের এই আচরণ অসম্ভব শোনালেও ঘটনাটি সত্য । আমি সেই মেয়েটিকে কখন ও দেখি নি । আমাদের পাড়ায় থাকত ওরা । মেয়েটির কথা আম্মু আর আমার ছোট বোন আমাকে বলেছিল । খুব কষ্ট লেগেছিল । লিখার সময় ও আমার খুব কষ্ট লেগেছে ।
প্রথম পুরুষে লেখাটা সব সময় মজার হয় না
ছবিটি আমার তোলা
সবাই কে ঈদ মোবারক । ঈদের আগে এমন একটা মন খারাপ করা পোস্ট দিলাম সরি
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২৬
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: ঠিক বলেছেন ছেলে হলে অর্থ/ সার্টিফিকেট...মেয়ে হলে গায়ের রঙ/বয়স...
আমরা যেন ভেতরের মানুষ টাকে বিবেচনা করতে পারি ।
আপনি ও ভালো থাকুন । আপনার জন্য ও শুভ কামনা রইল ।
২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২১
আধারে অপ্সরী বলেছেন:
পড়তে গিয়ে চোখে পানি চলে আসছিল.....
সুন্দর লিখেছ....।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২৭
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: অনেক ধইন্যা । লিখতে গিয়ে আমিও কম আবেগ প্রবণ হই নি ।
৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৩৫
ভাঙ্গা পেন্সিল বলেছেন: শিরোনামে ও এর বদলে আর দিয়ে দেখেন, ভালো লাগবে। আর কালো মেয়েদের বৈষম্যের ব্যাপারটা আমার গন্ডিতে একটু অচেনা। তাই আমি ঠিক বুঝতে পারি না। আমি শুধু ফেয়ার এন্ড লাভ্লির এড দেখেই যা আন্দাজ করতে পারি!
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৪০
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: এই ব্যাপার টা আমার অনেক দিনের চেনা । আরেক টা দুঃখের গল্প ও জানি
ফেয়ার এন্ড লাভলীতে যা দেখ তা বাস্তবতার একটা ক্ষুদ্রতর অংশ মাত্র
শিরোনামের ব্যাপারটা নিয়ে ভাবতেছি
৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৫০
আকাশনীল বলেছেন: পড়লাম। ঘটনাটি সত্যি হলে এমন মাকে মা ডাকা উচিত নয়। এমন বৈষম্য আমি দেখিনি, যেন দেখতেও না হয়।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:০২
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: ভাইয়া আমি মেয়েটিকে দেখিনি কিন্তু মা কে দেখেছি । আমার কাছে ডলি কে পড়ানোর অনুরোধ এসেছিল । পড়াই নি ।
( নাম পরিবির্তিত)
দেখতে না চাইলেই যে নিস্তার পাবেন এর নিশ্চয়তা নাই
আমাদের মন মানসিকতা
৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২০
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: মা কি করে এমন হয় ? খুব কষ্ট হল , ভীষণ জীবন্ত করে লিখেছ
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২৯
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আমার ও প্রশ্ন মা কি করে এমন হয়? মহিলা টিকে দেখার দুর্ভাগ্য পরে আমার হয়েছিল
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া
লিখতে আমারো অনেক কষ্ট হয়েছিল
৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৪৪
পারভেজ বলেছেন: এখন নিশ্চই অনেক বদলেছে এ মানসিকতা
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৬
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আমি ও তাই আশা করি ।
ভালো থাকবেন
৭| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৫০
একরামুল হক শামীম বলেছেন: অনেক ভালো লিখেছেন। জীবনের কষ্টগুলোকে মিশিয়ে দিতে পেরেছেন তমা চরিত্রটির উপর।
প্রথম পুরুষে গল্প লেখলে কিন্তু অনেক আবেগ দিয়ে লেখা যায়।
ছবিটাও চমৎকার।
শুভেচ্ছা রইলো।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:০৭
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই
ঠিক ই বলেছেন ।
আপনাকেও অনেক অনেক শুভেচ্ছা
৮| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৫৩
মায়া নেকড়ে বলেছেন: অনেকাংশেই আমার দেখা কিছু ঘটনার সাথে মেলে। মন খারাপ হ'লো। প্রিয়তে।
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:১৪
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আমাদের অনেকেই এই ধরনের ঘটনা দেখেছে তাহলে
অনেক ধন্যবাদ প্রিয়তে নেবার জন্য
সত্যি গল্প গুলো প্রায়শঃই মন খারাপ করা হয়
৯| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৩৬
আকাশ_পাগলা বলেছেন: আপনার আগের পোস্টগুলো আমি দেখেছি। আপনি আরও অনেক ভাল লেখার ক্ষমতা রাখেন।
এই পোস্টটা কেমন যেন! তমার মা আর ছোট বোন, বলছে যে তারা এভাবে টর্চার করছে?? তাইলে কেমনে হইল? মানে, টর্চার করেও কবে কী হইছে না হইছে, এত কাহিনী মনে রাখল কেমনে !!
(আমার ধারণা, প্রতিটা লাইনের দৈর্ঘ্য কেমন যে ছোট ছোট হয়ে যাওয়ায় এমন লাগছে। কিছু কিছু লাইন ছোট আর কিছু কিছু বড় দিলে ভাল লাগত।)
(আজাইরা সমালোচনার জন্য দুঃখিত। অনেক অনেক শুভকামনা রইল।)
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১১:৪৪
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আকাশ ভাই খুব চমৎকার একটা জিনিস ধরিয়ে দিলেন । লাইন ছোট বড় করার ব্যাপারটা ভবিষ্যতে খেয়াল রাখব ।
উহু । তমা (আমার বানানো নাম ) আমাকে কিছুই বলে নি। আমার আম্মু আর ছোট বোন আমাকে কাহিনীটা বলেছে । তারা তমাদের প্রতিব্রেশী দের কাছ থেকে শুনেছে । আমি নিজের মত করে কাহিনী টা বলেছি ।
আপনি অবশ্য ই স্বাগতম । ভবিষ্যতেও যেন আপনার সুচিন্তিত মতামত পাই । ধন্যবাদ
১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৮
সুমিন শাওন বলেছেন: ভালো কাহীনি , আর কথক আরো বেশী ভালো ,ধন্যবাদ
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:২৮
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: কবি আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
খুব ভাল লাগল ।
১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৩০
মুক্ত বয়ান বলেছেন: প্রথম পুরুষে লিখা পড়তে ক্যামন জানি লাগে।
ঘটনাটা তুলে ধরার জন্য ধইন্যা।
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৩৬
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: কি কস?!!! আমার তো প্রথম পুরুষে লিখতে পড়তে দুইটাই ভাল লাগে। দৃশ্যগুলো চরিত্রের এংগেল থেকে দেখা যায় ।
পড়ার জন্য ধইন্যা
১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৩৬
একলব্যের পুনর্জন্ম বলেছেন: এতই কঠিন সমাজে বড় হয়েছি যে এরকম মন খারাপ করা , অবাক করা (মানবিকতার বিচারে)
লেখা পড়লেও অবাক হই না । অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া চোখে সয়ে যায় ।
সুন্দর লিখেছো ভাইয়া ।
আর ছবিটা অসাধারণ । অনেক বেশি সুন্দর ।
(সূর্যটা পুরো এনে কোনো স্ন্যাপ ট্রাই করেছিলে ?)
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৫:৪৮
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: তবুও অনেকে এই কঠিন বাস্তবের সাথে পরিচিত না । তাই তো এখন ও "তমা"রা কষ্টে আছে
থ্যাঙ্কু আপুনি
হ্যা পুরো সূর্য ও তুলেছি ।
এইটা একটা Click This Link
এই লিঙ্কে আরো কয়েকটা আছে
Click This Link
১৩| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:৩৬
একলব্যের পুনর্জন্ম বলেছেন: বাহ ! প্রতিটা ছবিই অনেক সুন্দর !
২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২২
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন:
থ্যাঙ্কু আপুনি
১৪| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:৩০
পুরাতন বলেছেন: বাহ! আপনিতো অসাধারণ লিখেন!
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:৩০
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
১৫| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৩:৩৪
ফারহান দাউদ বলেছেন: ঘটনা সত্য। এখনো কিন্তু বিয়া করতে গেলে লোকজন ফর্সা খুঁজে (কেউ এমনিতেই ফর্সা মেয়ে বিয়ে করলে আপত্তি নাই আমার, আপত্তির জায়গাটা হলো "খোঁজা" ব্যাপারটাকে।) ওবামা আম্রিকার প্রেসিডেন্ট আর রাইস সেক্রেটারি অভ স্টেট হয়া গেল কিন্তু আমরা এখনো কালো হইলে মেয়ে দেখি না, তারপরেও আমরা আবার অন্যদের বলি বর্ণবাদী। আসলেই, আমাদের মত ভণ্ড জাত দুনিয়ায় ২ পিস নাই।
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৮
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আসলেই আমাদের অধিকাংশই বর্ণবাদী
এবং সেইটা নির্লজ্জের মত অস্বীকার করি
প্রায় ই দেখা যায় নিগ্রো শব্দ টা উচ্চারণ করি কালো দেখলেই
১৬| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:৪২
নুশেরা বলেছেন: বড় কষ্টের...
এই ধরণের গল্পরা আমাদের আশেপাশে সবসময়েই আছে, সবাই হয়তো খেয়াল করেনা। যারা করে, মর্মস্পর্শী বর্ণনায় তুলে আনে তমাদের কথা, তাদের সংবেদনশীলতার প্রতি শ্রদ্ধা। আমাদের সমাজ ও আমাদের মন সবরকম নিষ্ঠুর বর্ণবাদ থেকে মুক্ত হোক। বোহেমিয়ান কথকতা চলতে থাকুক।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১৩
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আপুকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
এমন কমেন্ট পেলে বোহেমিয়ান কথকতা না চলে পারবে?
আমাদের সমাজ ও আমাদের মন সবরকম নিষ্ঠুর বর্ণবাদ থেকে মুক্ত হোক।
১৭| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৫৪
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটা সত্যি কাহিনী! রাগে গা জল্তাসে।
লেখা চমৎকার হয়েছে।+
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১৭
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আমি ও যখন প্রথম শুনছিলাম কষ্ট তো পাইছিলাম ই । রাগ ও রাগছিল
থ্যাঙ্কু হাসান ভাই
১৮| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৮:০৫
শাওন৩৫০৪ বলেছেন: ছবিটা চমৎকার হৈছে...
ডিসক্লেইমার না দিলে লেখাটা নিয়া তর্ক করতাম, এমনকি ডিসক্লেইমার দেয়ার পরও মান্তে ইচ্ছা করতাছেনা...
লেখাটা অনেক আন্তরিক হৈছে, বিশেষত প্রথম পুরুষে থাকায় সম্পৃক্ততা বাড়ছে...
বাবার সাথে মীথস্ক্রিয়ার অংশটা খুবই চমৎকার...
ভালো লেখেন আপনি..
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:২০
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ
এপুর মন্তব্য পড়ে দেখতে পারেন তিনি অবাক হন নি!!!
বুয়েটের এক মেয়ের এই টাইপের কাহিনী আছে !!!
১৯| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৩০
একলব্যের পুনর্জন্ম বলেছেন: শাওন ভাই , এতটা না হোক কাছাকাছি জিনিস আমি নিজে চোখে দেখেছি । বর্ননা কোনো সময় দেয়ার ইচ্ছা থাকলো
কি খবর ব্রাদার ? ঈদ কেমন কাটলো ? @ বাপ্পি
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৪৮
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: জ্বি আপু জোশ
অনেক মজা করছি বেশ কয়েক বছর পর এমন ঈদ পেলাম ।
আপনি আছেন কেমন?
২০| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৩৮
ভেবে ভেবে বলি বলেছেন: আমি নিজে দেখতে কালো এবং ভালো না হওয়া সত্ত্বেও মা-বাবার ভালোবাসা বঞ্চিত হইনি কখনো... তাই প্রথমে বুঝতেই পারিনি যে এটা গল্প, সত্যি ঘটনা নয়।
জীবন আসলে বড়ই প্রবঞ্চক, অন্ততঃ কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে তো খুবই নির্মমভাবে--- এই কথাটা আবারও মনে পড়ে গেলো।
ভালো থাকুন বোহেমিয়ান। আপনার একটা ছোট্ট কালো মেয়ে হোক, আর আপনি তাকে আপনার হৃদয়ের সবটুকু ঢেলে দিয়ে ভালোবাসুন, এই দোয়া করি।
২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৫০
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ
আপনার দোয়ার জন্য ও অনেক অনেক ধন্যবাদ ।
জীবন আসলে বড়ই প্রবঞ্চক, অন্ততঃ কিছু কিছু মানুষের ক্ষেত্রে তো খুবই নির্মমভাবে
২১| ০৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:১১
তামিম ইরফান বলেছেন: হু
০৬ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৫৪
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন:
২২| ১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:১৯
ভাবের অভাব বলেছেন: পড়লাম। আমার পড়া অনেক ভালো গল্পের মধ্যে এটা একটা। সত্যিই মনটা একেবারে ভিজিয়ে দিয়েছেন। পড়তে পড়তে এক কল্পনা চিত্র তৈরি হয়ে গেছিলো মনের মধ্যে।
আর আপনার ছবি তোলার হাত তো খুবই ভালো। এখন তো আমারও ছবি তুলতে ইচ্ছা করছে। আমার একটা খুব ভালো ক্যামেরা ছিলো একসময়। অনুরোধের ঢেকি গিলতে যেয়ে সেটার বারোটা বাজে।
১১ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:১৩
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই ।
লেখার সময় আমার মনেও ছবি তৈরি হয়েছিল ।
থ্যাঙ্কু থ্যাঙ্কু !!!
আজ ও কিছু ছবি তুললাম । ছবি তুলতে খুবই ভাল লাগে ।
আপনার ক্যামেরার কথা শুনে দুঃখ পেলাম । অনেকে একটা জিনিস নিয়ে যত্ন করে না
২৩| ২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:৫১
যীশূ বলেছেন: ঘটনা সত্য।
২১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১১:১৫
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন:
২৪| ২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ দুপুর ২:০১
তাজুল ইসলাম মুন্না বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো.......................
২৭ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:২২
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: মন খারাপ করা ঘটনা
পড়ার জন্য ধইন্যা
২৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ সকাল ১০:০৪
ভাবসাধক বলেছেন: পিতা-মাতার আচরন এরকম থাকা উচিত নয় !
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:২৮
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: সহমত । এট
৩১ শে অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:২৯
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: সহমত । এটী আমার খুব প্রিয় এক টি লেখা । অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৬| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৭:৪৪
এনোনিমাস বলেছেন: তমার জন্য থাকলো ভালোবাসা.....আর কিছু বলার পাচ্ছি না, তবে ইচ্ছা ছিলো।
২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৭
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আমাদের ইচ্ছে গুলোকে আমরা বাস্তবে রূপ দিতে পারি না বলেই তমা দের অস্তিত্ব থাকে
২৭| ২৪ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:০৬
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: গল্পের তমার সাথে একটা অদ্ভুত মিল খুজে পেলাম... আমিও কালো । আর আমার বাকি ভাইগুলো কেউ আমার মত না !! নাহ... আমাদের পরিবারে এটা কারো মাথায় আসেনি ......কিন্তু জানো বোহেমিয়ান , আত্মীয় বাড়িতে এটা শুনেছি একটু দূরের নানী-খালাদের কাছে যে " দেখসো , ভাইটা ফর্সা , আর বোনটা হইসে কালো..."! যেন আমার ফর্সা হওয়াটা দরকার ছিল...... ছেলেরা গায়ের রঙ দিয়ে কি করবে ? এগুলো কিন্তু কম শিক্ষিত কারো কাছে শোনা না ... যথেষ্ট শিক্ষিত + সামাজিক অবস্থানে থাকা মানুষ জন ই। :-)
২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৫০
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: যথেষ্ট শিক্ষিত + সামাজিক অবস্থানে থাকা মানুষ জন ই। আমাদের অনেক বদলাতে হবে
২৮| ২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১৫
আমিই জিনিয়া বলেছেন: কাঁদিয়ে দিলেন।
২৭ শে নভেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:২৫
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আপনার মত আমার অনেক বোন কেই কাঁদিয়ে দিয়েছি সত্য বোধহয় এমন ই
২৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৪৫
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: ভাইয়া আমি এই পোষ্টে কোন কমেন্ট দিতে পারব না। দিতে হলে নিজের কিছু ভয়ঙ্কর কথা বলতে হবে। আমি চাই দুনিয়াতে যেন কোন কালো মেয়ে না হয়।
৩০ শে ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ১০:১৪
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন:
কি বলব বুঝতে পারছি না ।
৩০| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১০ দুপুর ২:২৩
শর্ট সার্কিট বলেছেন: খুব কষ্ট পেলাম পড়ে। এমনও হয়!!!
০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৪৪
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন:
এমন টা হয়
এই লেখাটি আমার খুব খুব প্রিয় ।
৩১| ১৫ ই মার্চ, ২০১০ রাত ১১:২৮
বাবুনি সুপ্তি বলেছেন: পাইছি ......
১৬ ই মার্চ, ২০১০ বিকাল ৪:২৪
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন:
৩২| ০৫ ই এপ্রিল, ২০১০ রাত ৩:২৫
সাকীব বলেছেন: তমার জন্য ভালবাসা ।
আর কিছু বলতে পারছি না।
০৬ ই এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:২৬
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: বলার দরকার নেই, ওদের প্রয়োজন ভালোবাসার
ভালো থাকুন, আপনার জন্য শ্রদ্ধা
৩৩| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:২৮
মেহেরুবা বলেছেন:
না , বিশ্বাস করতে পারছিনা যে এটা সত্যি ঘটনা। সন্তান যেমনই হোক কোন মা তাকে এমন অনাদর করতে পারেনা।
সত্যি হলেও আমি এটা বিশ্বাস করবোনা, কোনদিনও না!
মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল।
২৫ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৮:৪৭
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আমিও বিশ্বাস করতে চাই না , এমন টা যদিও খুব খুব কম ঘটে । আমরা চাই না ঘটুক
৩৪| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩১
মেহেরুবা বলেছেন:
এত আবেগ দিয়ে না লিখলেও পারতেন। এত ভাল লিখেন কেন আপনি?
চোখ ঝাপসা...
২৪ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:৩৬
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: এই লেখাটা লিখতে আমারো অনেক কষ্ট হয়েছিল ।
২য় পর্ব তো কষ্টের কারণে লিখতেই পারছি না , আবার ভয় হচ্ছে তমাকে নিয়ে লিখব যদি দুর্বল লিখে ফেলি!
৩৫| ১৭ ই মে, ২০১০ রাত ৮:৩৮
রক্তিম কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: গল্পটি পড়ে খুব কষ্ট লাগলো ।
জানি না এই গল্পের বাস্তব চরিত্রগুলোকে কতটা কাছাকাছি আপনি দেখতে পেরেছিলেন । তবে আমার পরিচিত একজন মানুষের জীবনেও এধরনের কিছু ঘটেছিল । আর তাই তা খুব কাছ থেকে দেখার বা জানার দূর্ভাগ্য হয়েছিল আমার ।
আপনার গল্পের "তমা" চরিত্রটি তুলনামূলকভাবে আমার সেই পরিচিতের চাইতে ভাগ্যবতী ।তমা তার বাবার কাছ থেকে কিছুটা ভালো ব্যবহার পেত । কিন্তু আমার সেই পরিচিত মানুষটি বাবা বা মা কারো কাছ থেকেই কখনও ভালো কিছু পায়নি ।
শুভ কামনা রইল আপনার জন্য।
১৮ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:২৫
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: নাহ! খুব কাছ থেকে দেখি নি , শুধু শুনেছি । তাও ৩য় সোর্সের কাছ থেকে । তবে আপনি যেটা বললেন বাস্তবতা খুব খারাপ , অনেক অন্ধকারময়!
৩৬| ১৮ ই মে, ২০১০ রাত ১০:৩৫
রক্তিম কৃষ্ণচূড়া বলেছেন: হুম ... অনেক অন্ধকারময় !
পৃথিবীর সকল 'তমা'-দের জন্য ভালবাসা ।
২০ শে মে, ২০১০ সকাল ৯:১১
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আপনার প্রতি শ্রদ্ধা রইল । ভালো থাকুন
৩৭| ২০ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:২৫
সোহায়লা রিদওয়ান বলেছেন: তোমার পুরোনো লেখা পড়বো ভেবে ভেবে কেন যে এটাই বের করে পড়লাম! মন খারাপ ছিল, আরো অনেক খারাপ হয়ে গেল।
কী কঠিন একটা কষ্টময় ব্যাপার ... ... ... কালো মেয়ে ছাড়া কেউ বুঝবেনা। বোহেমিয়ান, তুমিও বুঝবেনা! না বুঝে বুঝেই এই লেখাটা কিভাবে যেন লিখে ফেলেছো! তোমার কৃতিত্ব না, মঙ্গলময় তোমাকে দিয়ে লিখিয়ে নিয়েছেন, কারো কারো জন্য এই লেখাটা প্রায় প্রায় পড়ার দরকার ছিলতো! যেমন এই যে আমি এসে পড়ে গেলাম।
আমার কানে কেবল ওই দৃষ্টিহীন মেয়েগুলোর কথাই বাজতে থাকে, যারা মনের আলোয় আমাকে দেখে সুন্দর বলেছিলো!
সবার মন আল্লাহ যেন আলোকিত করে দেন।
তুমি ভালো থেকো।
২১ শে জুলাই, ২০১০ দুপুর ২:৫০
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন:
আপুর মন ভালো হোক।
৩৮| ২০ শে জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:৪৫
মুহাম্মদ মামুনুর রশিদ বলেছেন: পুরুষরা যেমন হিংস্র হতে পারে তেমনি মেয়েরাও যেটা আমরা সচরাচর জানতে পারি না।তমা মেয়েটাকে হছ্ছা হয় ইকটু আদর করে বুঝিয়ে দেই তুমিও কারও চেয়ে কম নও।কিন্ত তাতো সম্ভব না।ওকে নিজেই তা পোমান করতে হবে।আমার মেজ ভাইটা তুলনামুলক কালো ছিলো বলে মাসহ আমাদের সবার সবার অবহেলা পেত বলে আমার ধারনা কিন্ত আজকে ওই সবচেয়ে বেশি প্রতিষ্ঠিত কারন ওর মনে জিদ ছিলো অন্যদের দেখিয়ে দেওয়ার যে ও কারো চেয়ে কম না।এই জন্য ওকে আমার ভালোও লাগে।
০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:১৪
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন:
আপনার মন্তব্যের জন্য অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন
৩৯| ২৩ শে আগস্ট, ২০১০ বিকাল ৪:৪২
আমি তুমি আমরা বলেছেন: খুব খারাপ লাগলো.......................
১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৪৩
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন:
৪০| ০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৯
উপদেশ গুরু বলেছেন: কি বলব বুঝতে পারছি না। মনটা খুব খরাপ হয়ে গেল।ভাই তমার মারে একটা কঠিন গালি দিতে ইচ্ছা করেছে কি করি কনতো??? মা না হৈলে গালি টা দিতাম না। আজ সারাদিন শুধু আপনার পোষ্ট গুলাই পড়বো। ++++++++
৪১| ১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:৫৪
অলস ছেলে বলেছেন: সাম্প্রতিক মন্তব্যের ঘরের সূত্র ধরে লেখাটা পড়লাম। নিজেকে নিজে পিঠ চাপড়ালাম, এখন বইপত্র পড়ার অভ্যাস চলে গেছে। ব্লগের লেখা পড়তে পড়তে নিজেকে ছ্যাছড়া জাতের পাঠক মনে হয়, মাঝে মাঝে কিছু লেখা পড়ে আবার সাহসের বোতলটা কিছু হলেও রিফিল হয়। নাহ, পাঠক হিসেবে পড়ছি কিছু একটা।
ঘটনাগুলো নিয়ে কিইবা বলার আছে! বাস্তবতা কখনো কল্পনার চেয়েও তীব্র অন্যরকম হতে পারে। আমরা প্রকৃষ্ট ভন্ড।
১১ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ৮:০৫
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা খুবই ভালো লেগেছে। নিজেকে একজন স্বার্থক লেখক মনে হচ্ছে! অনেক অনেক ধন্যবাদ।
ভালো থাকুন
৪২| ০৮ ই অক্টোবর, ২০১০ সকাল ১০:৫৩
রিফাত হক বলেছেন: গল্পটা পড়ে অনেক দিন আগের একটা ঘটনা মনে পরে গেল। আমার বাবার দিকের সবাই অসম্ভব রকমের ফর্সা, আমার মা শ্যামলা বর্ণের হওয়াতে আমার সবচে বড় বোন ছিলেন আমাদের তিন বোনের মধ্যে একটু শ্যামলা (কালো ত নয় বটেই)। সেই কারনে এক পারিবারিক সম্মেলনে হঠাত করেই আপাকে আমার সব কাজিনরা সবার সামনেই খেপাতে শুরু করে "কাইল্লনী' বলে। ওর কি অপরাধ ছিল জানিনা, তবে সেইদিন আমার মেজ চাচীকে দেখেছিলাম ওর পক্ষ নিয়ে কথা বলতে আর দেখেছিলাম আমার মায়ের সেই অসহায় মুখ। অনেক ছোট ছিলাম আমি, বয়স তখন হয়ত ৬-৭, কিন্তু গভীর ভাবে দাগ কেটেছিল আম্মার সেই মুখ আর আপার সেই কান্না। হয়ত আমাদের কোনো ভাই নেই বলেই চাচাত ভাইরা আরও বেশী পেছনে লাগত। আমাদের সমাজে কালো যেমন একটা সমস্যা, তেমনি ভাই না থাকাও আর একটা বড় সমস্যা।(যদিও আমার মায়ের কাছে ছেলে না থাকাটা কোন সমস্যাই ছিলনা।)
১২ ই অক্টোবর, ২০১০ রাত ১২:২২
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন:
মাঝে মাঝে উত্তর দিতে পারি না।
৪৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:১১
কলম.বিডি বলেছেন: লেখাটা পড়ে মন খারাপ হয়ে গেল। তোবু আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া জানালাম।আমি আমাদের বাসার একমাত্র কালো মেয়ে। আর আমি আমাদের বাসার সবচে আদরের মেয়ে... শুধু কালো হওয়ার জন্য নাকি জানি না। আল্লাহ যেনো দুনিয়ার সব কালো মেয়েকে আমার আব্বু আম্মুর মতন আব্বু আম্মু দেন।
০৫ ই নভেম্বর, ২০১০ সকাল ১০:১৫
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: আপনার জন্য শুভকামনা
ভালো থাকুন।
এঁদের জন্য আমাদের কিছু করা দরকার!
৪৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১০ দুপুর ১:৫৬
কলম.বিডি বলেছেন: কি করা যায়?
০৯ ই নভেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:২৪
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: Click This Link
আমাদের প্রচারণা চালানো উচিত মেয়েদের যোগ্যতার ভিত্তিতেই সর্বত্র মূল্যায়ন করা উচিত।
সাথে সাথে লাক্স টাইপের বিভিন্ন সৌন্দর্য্য বর্ধনকারী বিজ্ঞাপনের থিম বদল করা উচিত।
বাচ্চাকাল থেকেই একটা ছেলে বড় হয় সুন্দরী বউ পাওয়া উচিত জেনে, একটা মেয়ে বড় হয় সুন্দরীদের কদর আছে জেনে/দেখে...
৪৫| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১০ দুপুর ২:৪৩
বন্ধু তুহিন প্রাঙ্গনেমোর বলেছেন: আজব।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:০৩
বোহেমিয়ান কথকতা বলেছেন: দুনিয়াটাই!
৪৬| ০৪ ঠা মে, ২০১২ রাত ১২:১৫
প্রবল প্রবাহী বলেছেন: এত বেশি অবিচারও হওয়া সম্ভব??
৪৭| ১২ ই মে, ২০১২ সকাল ১০:৪৫
একুয়া রেজিয়া বলেছেন: গল্পটা একটানে পড়ে গেলাম। "তমা"র কষ্ট বুঝি। আমারই এক বান্ধবী প্রায় কাঁদত ও কালো কিন্তু ওর ছোটবোন ধবধবে ফর্শা বলে। ওর কথা মনে পরে গেলো। তমার জীবন জুড়ে আলো আসুক। এই কামনাই করি--
©somewhere in net ltd.
১|
১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:১৬
ধূসর মানচিত্র বলেছেন: আমরা বাহিরের দিকটি বেশি দেখি সবাই। তাই এই বৈষম্য, ভিতরের মানুষকে আমরা খুব বিবেচনা করি।
ভাল থাকুন, শুভ কামনা রইল।