যা খুশি তাই......

২৬ শে জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৩

যা খুশি তাই.....

তোমাকে কাছে পেয়ে,তোমার স্পর্শে সেই আবেগ কল্পনা থেকে বাস্তবে হতে চলছিল, আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম স্বপ্ন শুধু স্বপ্ন ই হয়, তোমার হাতের স্পর্শ ছিল শুধু একটি ছায়া, তুমি চলে গেছো সব মুছে গেছে, রয়ে গেছে সেই মনের আবেগ, যা জেগে ছিল তুমি আসার আগে,তোমাকে ভালোবাসার আগে.............



......আর কতোটা কষ্ট পেলে তুমি সুখি হবে । আর কতোটা কষ্ট পেলে তুমি বুঝবে যে আমি তোমাকে ভালোবাসি । নিজেকে আর কতোটা দগ্ধ করতে হবে তোমাকে বোঝানোর জন্য যে তুমি ছাড়া আমার এই জীবন অর্থহীন । আর কতকাল... আমাকে বুকের মাঝে ভয়ানক এক ক্ষত নিয়ে বেচে থাকতে হবে । এভাবে তিলে তিলে মৃত্যু বরন করার চেয়ে একবারে মরে যাওয়াই কি ভাল নয় । আমি কোন মহাপুরুষ নই । অতি সাধারণ একজন মানুষ । আমার সহ্যের ক্ষমতা একেবারেই নেই । তিলে তিলে সেটাও শেষ হয়ে গেছে । আমি এখন কি করব তুমি বলে দাও । নিতান্তই অবহেলায় বলেছিলে অন্য কাউকে নিয়ে সুখি হতে । কিন্তু সেটা হবার নয় । তোমাকে ছাড়া আর কাউকে আমার জীবনে কখনো ভাবিনি, ভাবতে পারিনি । কিন্তু তুমি সব বুঝেও আমাকে এক অশিরিরি প্রেতাত্মায় পরিণত করলে । কেন ??? তোমাকে ভালোবেসে কি এতো বড় অপরাধ করে ফেললাম । জীবনের অনেক কঠিন পরীক্ষায় আমি সফল ভাবে উত্তীর্ণ হয়ে এসেছি । কিন্তু তোমাকে হাড়িয়ে জীবন যুদ্ধে আমি পরাজিত । আমি আর পারছি না । ইচ্ছে হয় নিজেকে একেবারে শেষ করে দেই । ভাবনাটা বেশ জোরালো ভাবেই মনের মাঝে গেঁথে যাচ্ছে । তোমাকে ভালবেসে এটাই কি আমার শেষ পরিণতি হবে । তুমিও তো আমাকে ভালবেসেছিলে । তাহলে কেন এমন হল । আমাকে শেষ করে তুমি কি সুখ পেয়েছ । আমি আজো আশা করি তুমি ফিরে আসবে, মুচকি হেসে বলবে, এইতো আমি, কোথাও যাইনি তো । পাগল কোথাকার । কিন্তু সারারাত আগুনে পোড়া যন্ত্রণার পর যখন নতুন একটা দিন শুরু হয় বুঝতে পারি সবই অসার, অলীক । আমাকে আবার নরকের প্রথম দরজা দিয়ে প্রবেশ করে প্রতিটি ধাপ পেরিয়ে শেষ দরজা পর্যন্ত যেতে হবে । তারপর আবার প্রথম দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে হবে । এভাবেই চলতে থাকবে জীবনের সমাপ্তি না হওয়া পর্যন্ত । আর জীবনের সমাপ্তি হলেই কি এই যন্ত্রণার শেষ হবে ??? জানিনা । কেন তুমি এতো নিষ্ঠুর হলে । ওহ, খোদা, যদি এই ভালবাসার পরিণতি এমন কঠিন যন্ত্রণা, তবে কেন আমার মাঝে এতো প্রচণ্ড ভালোবাসা তৈরি করে দিলে । এটা কেমন বিচার ???

... আমি আমাকে ঘৃনা করি কারন,

তোমাকে আজো ভুলতে পারি নি সাথে তোমার অসমাপ্ত স্মৃতি গুলোকে ......



আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে শুধুই নিজের উল্টো প্রতিবিম্ব দেখি এখন,

মাঝে মাঝে জানালা দিয়ে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টি স্পর্শ করি...

বহুদিন আগে বৃষ্টিতে নিখোঁজ হওয়া তোমাকে খুঁজি, প্রকৃতির অপরূপে...

রাতের অসীম শূন্যতায়, আমার ভেতরের খুব সুপ্ত জায়গাটায়,

শীতের গাঢ় কুয়াশায়...

শুধুমাত্র সেই ধূসর কাঁচপোকা স্বপ্ন-রঙিন হয়ে

বারবার উড়তে থাকে চোখের সামনে...

বুকের ভেতরটা জমাট কান্নার বাতাসে ভারী হয়ে আসে

একটা কাঁচপোকা উড়তে থাকে সন্ধ্যার নিঃসঙ্গ আকাশে

আমি পড়ে থাকি এক নির্জন, নিঃস্তব্ধ ঘরের কোণে,

অজস্র মৃত মানুষের পাশে....

একবার...

আমার হাতটা ধরো ...একবার...

একটা বার...



তোমার সেই দুষ্টু – মিষ্টি হাসি , বাঁকা চোখের চাহনি ,মায়ায় জড়ানো অদ্ভুত সুন্দর প্রেম আলাপ ,তোমার বাচনভঙ্গি আমার মাঝে এখনও জীবন্ত । যতই দিন যাচ্ছে এগুলো যেন সামনের মেঘ কেটে ততই উজ্জ্বল হয়ে উঠছে । তুমি নিশ্চয়ই দেখেছ মেঘযুক্ত আকাশে যখন পূর্ণিমার চাঁদ মেঘের আড়াল থেকে ধীরে ধীরে যখন সামনে চলে আসে , তখন অন্য সময়ের চেয়ে বেশি উজ্জ্বল ও ভাল লাগে । আমার স্মৃতিগুলোর ও এমন দশা হয়েছে । প্রথম ভালোলাগার মুহূর্ত গুলো আজ অন্য রকম জীবন্ত হয়ে ভেসে উঠেছে চোখের সামনে, আমি যেন বাস্তবে তোমাকে দেখছি । জানি এগুলোর এক কানাকড়িও মূল্য তোমার কাছে নেই। যা হয়েছিল সেগুলো নিয়ে পরে থাকলে তো আর জীবন চলে না, তা আমি জানি, কিন্তু আমি যে তোমার মত হতে পারি না, তোমাকে ভুলতে পারিনা । বৃত্তের মত তোমার চারপাশেই ঘুরপাক খাই।



এখন বড় একা আমি , বড় শূন্য আমি । তোমার কথা ভেবে অনেক কষ্ট পাই, কিন্তু এখন এটাই আমার সুখ এতেই আমার শান্তি । তোমার কথা ভাবতে ভাবতে যখন হারিয়ে যাই, কোন ফাকে যে চোখের দু- কোনে জল গড়িয়ে পড়ে বুঝতেই পারিনা ………………



এখন আমার সব অনুভূতি হারিয়ে গেছে । আগে অল্পতেই অনেক কষ্ট পেতাম আবার অল্পতেই অনেক আনন্দ পেতাম । দুইটার মাত্রায় ছিল বেশি কিন্তু এখন আর কষ্ট – আনন্দের পার্থক্য বুঝি না । কষ্ট পেতে পেতে অনুভূতি সব ভোতা হয়ে গেছে । আগে হারানোর ভয় ছিল , তুমি হারানোর পর আমার আর কোনদিন কোন কিছু হারানোর ভয় হয় নি ………

হতাশার গহ্বরে দিন দিন তলিয়ে যাচ্ছি । রাহুর গ্রাসে কতগুলো যে সুন্দর সকাল মেঘে ঢেকে গেছে তার সংখ্যা গুনতে গিয়ে প্রায় হাঁপিয়ে উঠি! বুকের মাঝে শুনতে পাই একটা বোবা চিৎকার '' আমি কিছু বলতে চাই। কিন্তু কি বলব! অগোছালো মনের কথাগুলো সাজিয়ে বলার ...মত কোন উপযুক্ত শব্দ খুঁজে পাই না। চোখ হয়ে আসে ঝাপসা।

আর বললেই বা কে শুনবে? এই ইট পাথরের চারটি দেয়াল? এরা যে আমার কথাই আবার প্রতিধ্বনিত করে আমাকে ফিরিয়ে দেয়! ওরাও যে আমার মত বোবা পাথর! আর পৃথিবীতে কেউ কারো কথা শোনে না এটা পৃথিবীর নির্মম শিক্ষা!



আর পারিনা আমি, ভয়ঙ্কর এক ক্লান্তি আমাকে গ্রাস করে নিয়েছে, তোমাকে ছাড়া আমি যে পুরোপুরি নিঃস্ব, সবকিছুই মিথ্যে মনে হয় । তবুও বেচে আছি বেচে থাকতে হয় বলে । কিন্তু নিজেকে নিজে কষ্ট দিয়ে বেচে থাকার কি কোন মানে হয় ??? জানি হয়না, কিন্তু আমি নিরুপায় ...।

তোমাকে ভালোবেসে আমি যে অপরাধ করেছি এভাবেই তার শাস্তি পেতে হবে আমাকে ।

কষ্টগুলো বুকে চাপা, ব্যথায় কাতর জীবনের বোঝা আর টানতে পারিনা, তবুও চলছি আমি নির্বিকার ভাবে, কারণ এটা আমার ভালবাসার উপহার । কারণ তোমাকে ছাড়া আর কিছুই বুঝি না আমি, আর তাইতো তোমাকে ছাড়া এই পৃথিবী মনে হয় নরক ।

স্বপ্নগুলো হাড়িয়ে গেছে । ভেঙে গুড়িয়ে গেছে আমার পরিচিত জগত । এখন যে জগতে আমার বিচরণ তা আমার একেবারেই অচেনা । তোমাকে ছাড়া নিঃসঙ্গ আমি একাকী পথ চলছি উদ্ভ্রান্তের মতো ।

কিছুই আর আমার হাতে নেই ।

আমি ভাসমান মেঘের মতো,

শুধু ভেসে চলি উদ্দেশ্য বিহীন,

তোমার দেয়া কষ্টগুলো বুকের মাঝে

অতি যত্নে লালন করে ………..

হাজারো মানুষের কোলাহলের মাঝে,

আমার নিজের কণ্ঠস্বরের কোন প্রতিধ্বনি শুনতে পাইনা আমি ।

অতি ক্ষুদ্র আমার অস্তিত্ব,

রাতের আকাশে এক নিঃসঙ্গ ধ্রুব তারা আমি,

আলোহীন, মলিন, দিশাহারা, গন্তব্য-হীন ।

Love u বউ...Miss u………..

০ টি +০/-০