![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বৈচিত্রময় চমকপ্রদ তথ্যের এক বিশাল তথ্য ভান্ডার । । বর্তমানে ইন্টারনেটে বাংলা তথ্যের যে দুষ্প্রাপ্যতা , যে সংকট তা নিরসনে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা । যেখানে আপনিও অবদান রাখতে পারেন এই বঙ্গ ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করতে ।
শূণ্য সময় / Zero hour
এ ধারণার উৎপত্তি ভারতীয় সংসদে । একটি বিশেষ সময়কে নির্দেশ করা হয় যেখানে সদস্যরা জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলেন । ভারতীয় সংসদে , একসময় প্রশ্নউত্তর পর্ব শেষ হওয়ার পরও কিছু সদস্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে কথা বলতে উঠে দাড়াতেন । স্পিকারের অনুমতি কখনও পেতেন কখনও পেতেন না । এই অবস্থাটিকে প্রাতিষ্ঠানিকতার মধ্য নিয়ে আসার চিন্তা করা হয় । এথকে জিরো আওয়ার প্রবর্তিত হয় । প্রশ্নোত্তর পর্ব শেষ হওয়ার পর দুপুরের খাবারের বিরতির আগে,সাধারণত এক ঘন্টা সময় দেয়া হয় । এ সময় সদস্যরা তাদের নিজ নিজ এলাকার স্বার্থ –সংশ্লিষ্ট নয়,কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এমন দেশী ও আন্তঃজাতিক বিষয়ে কথা বলেন । শূন্য সময়ে কথা বলতে হলে এই দিন সকাল সোয়া দশটার আগে লিখিত নোঠিশ দিতে হয় । সকল নোটিশ পাওয়ার পর একটি তালিকা তৈরি করে স্পিকার বা সভাপতিকে দেখানো হয় । স্পিকার যে সব নোটিশ গ্রহনযোগ্য মনে করেন সেগুলোর আরেকটি তালিকা তৈরি করা হয় । সাধারণত ১৫ জন সদস্য একদিনে কথা বলতে পারেন । শুন্য সময় ভারতীয় সংসদে একটি কার্য়কর উপায় হিসেবে জনপ্রিতা পেয়েছে ।
বাংলাদেশে ২০০৫ সালে শূন্য সময় ধারণা প্রবর্তনের চেষ্টা করা হয় । তখন বিরোধী দলীয় সদস্যরা এ বিষয়ে আগ্রহ দেখালেও সরাকারী দলের পক্ষ থেকে জোরালো উদ্যোগ নেয়া হয়নি ।
জিরো আওয়ারের সমালোচকের সংখ্যাও কম নয় । কারো কাছে জিরো আওয়ার হলো “ম্যাড আওয়ার {mad hour}” waste of public money , A great beginning of evil day , এসব আলোচনা সত্বেও জিরো আওয়ারই সরকারী দলকে জবাবদিহিতায় রাখতে কারযকর উপায়গুলোর একটি ।
বিস্তারিত পড়ার জন্য ক্লিক করুন । ধারাবহিক ভাবে লেখার ইচ্ছা আছে । আপনার একটি লাইক হতে পারে আমার জন্য অনুপ্রেরণা । লেখাটি ভাল লাগলে আশা করি লাইক দিবেন ।
সুত্র: , 984-07-4897-1 বাংলা একাডেমী , পৃ:286
©somewhere in net ltd.