নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধর্মান্ধ এবং রাজাকার মুক্ত দেশ চাই...

একটা মেয়ের একটু কথা।

আজ আমি কোথাও যাবো না

আমার পৃথিবী নিয়ে আমি ভাল আছি খুব ভালো আছি। সকল অশুদ্ধতাকে নিয়ে সুখে আছি। অশুদ্ধতাই আমার কাছে শুদ্ধতা এখন। শুধু মাঝে মাঝে শ্বেত শুভ্র একটুকরো মেঘের দিকে ভুল করে তাকাই! কিন্তু ভুল করেও আমার ভাল লাগে। আমার পৃথিবী ভুলে ভর্তি। ভুলে ভর্তি পৃথিবী নিয়ে আমার কোন আক্ষেপ নেই। শুধু অন্যেরা উকি না দিলেই হলো। তারা দেখে আমি পঙ্কিল এক পৃথিবীতে পঙ্কস্নান করছি। আমার ভাষায় যদিও তা চন্দ্রস্নান বা রৌদ্র স্নান। সেই পঙ্কিল আমাকে দেখে ভিড়মি খাওয়া মানুষদের বলছি দয়া করে আমার পৃথিবীতে আমাকে থাকতে দিন। এটা একান্তই আমার ভুবন। অশুদ্ধ আমি ভাল আছি খুব। এক টুকরো কল্পনার অংশুকে নিযে ভাল আছি খুব। শুদ্ধতা আমাকে ভাল না বাসুক আমার আপত্তি নেই। যা আছে মানে অশুদ্ধতাটুকুই নিয়ে বাচতে চাই। সব হারালে আমি বাঁচবো কি করে!

আজ আমি কোথাও যাবো না › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাজ, আমি তোমার ফাঁসি চাই

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫৪

সমাজবাসী মানব নামের প্রাণীদের উদ্দেশ্যে,



আমি এক ফাঁসির আসামী। আগামী শুক্রবার বাদ ফজর আমার ফাঁসি হবে। আমি যে অপরাধ করেছি তার এই একটাই সাজা হওয়া উচিৎ। আমি যেতে যেতে কিছু কথা তোমাদের বলে যেতে চাই।



আমি এখন সেলের আলো আধারির কঠুরিতে বসে ফাঁসির অপেক্ষা করছি। কারণ আমি মানসিক প্রতিবন্ধী এক তরুণীকে এক সপ্তাহ এক ফার্ম হাউসে আটকে রেখে রেপ করেছি। তারপর মেয়েটিকে মেরে ফেলেছি। আমি ধরা হয়তো পড়তাম না। কিন্তু আমি আত্মসমর্পণ করেছি। কেন করেছি আমি বলছি।



আমি সেদিন মেয়েটির লাশ ডিসপোস করার পর বাসায় যাই। আমার পনের বছর বয়েসী মেয়ে সেদিন রুমের দরজা বন্ধ করে কাঁদছিল। কি হয়েছে জিজ্ঞসা করাতে আমার স্ত্রী বললো মেয়ে শপিং করার সময় এক লোকে গায়ে হাত দিয়েছে। আমার জীবনে প্রথম বারের মতো কোন মেয়ের জন্য খারাপ লাগে। কেন লাগলো? আমার নিজের মেয়ে বলে? তাহলে সেই মানসিক প্রতিবন্ধী মেয়েটিও তো কারো মেয়ে! আমি সপ্তাহ ব্যাপি ভাবলাম। তারপর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করলাম। কেন করলাম কি ভেবে করলাম সেটাও বলছি পরের অংশে।



সাজা ঘোষনার পরে আমার একমাত্র মেয়েটি সেদিন আমাকে দেখতে আসে। আমি সম্ভবত এই প্রথম কোন মেয়ের চোখের দিকে তাকিয়েছিলাম। আমার মেয়েটির চোখ তার বাবার প্রতি ঘৃণা আর ভালবাসার এক আশ্চর্য সম্মিলনে আর্দ্র ছিল। আমার মেয়েটাকে সেদিন মনে হচ্ছিল স্বর্গ হতে নেমে আসা কোন দেবীর মতো। মেয়েদের এই রূপ আমি কখন ও দেখি নি। মেয়েদের চোখের যে একটা ভাষা আছে সেটা তো আমি জানতাম না! সারাজীবন তাদের শরীরের ভাষা দেখে এসেছিলাম। কত ভুল ছিলাম আমি!



আমার মেয়ে কান্না আটকাতে আটাকতে বলেছিল ‘বাবা তুমি কেন এমন করলে?’ বলে কিছুক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে ছুটে বেড়িয়ে গিয়েছিল। আমি মেযের দিকে আর তাকাতে পারিনি।



সেলের অন্ধকুঠুরিতে আমি সমাজের মানুষদের কাছে এই চিঠি লিখছি। তোমরা জানো আমি কিভাবে রেপিস্ট হলাম। আমাকে কে রেপিস্ট হতে উৎসাহিত করেছে।



গোড়া থেকে শুরু করি। জন্ম থেকে।

আমার জন্মের পর মা হাফ ছেড়ে বাঁচলেন। অবশেষে একটি পুত্রের জন্ম তো দিয়েছেন! শাশুড়ির কটাক্ষ আর শুনতে হবে না। আমার বড় বোন জন্মের সময় সবাই বলেছিলেন যে লোকের প্রথমে যার মেয়ে জন্ম হয় সে ভাগ্যবান। আমার বাবা ভাগ্যবান মেয়ে সন্তান পেয়ে। কিন্তু আমার মা ভাগ্যবতী হতে পারেন নি। কারণ এই প্রবাদ তো পুরুষের জন্য প্রজোয্য! বছর না ঘুরতেই ২য় সন্তান ও যখন মেয়ে হল তখন কেউ বললো না যে ২য় সন্তান মেয়ে হলেও বাবা ভাগ্যবান হবেন। কিন্তু শিক্ষিত হবার একটা মুখোশ আছে তাই কেউ কটাক্ষও করেনি। তবে দাদীজান অশিক্ষিত হবার পুরো ফায়দা তুলেছিলেন। তার কি দোষ তিনিও তো একসময় এই পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গেছেন! বছর খানিক পরে মা যখন আবার পোয়াতি হন তখন বাবা কপাল কুঁচকে ঠোঁটের কোণে সুক্ষ্ণ গোফের রেখা টানতে লাগলেন। আর আমার মা ফকির খাওয়ানো, দরগায় বাতি দেয়া শুরু করলেন। ফলাফল হেসেবে আমাকে পেয়ে মা সেদিন একটি দায়িত্ব হতে মুক্ত হয়েছিলেন।



একমাত্র ছেলে হিসেবে আমি আমার বোনদের তুলনায় বেশী আদর পেতে লাগলাম। ছোটবেলায় আমাকে খেলনা দেওয়া হতো গাড়ি, বন্দুক, উড়োজাহাজ, ক্রিকেট ব্যাট, বল ইত্যাদি। আমার বোনেরা খেলতো কাপড়ের পুতুল দিয়ে। খুব নরম কিন্তু সুন্দর পুতুল গুলো আমি ছিড়ে ফেলতাম। আমার খুব আনন্দ হত তখন। বোনেরা প্রথম প্রথম বকা দিলেও পরে আর দিতো না। আমাকে রক্ষা করার জন্য তো অনেকেই আছে।



আর একটু বড় হয়ে স্কুলে ভর্তি হলাম। পড়াশোনায় যত না মনোযোগ এর চেয়েও বেশী মনযোগ খেলাধুলা, মারপিটে। তারপরও রেজাল্ট ভাল করতাম। বাবা বলতেন ছেলেদের ব্রেইন বেশী শার্প হয়। আমার বোনেরাও ভাল ছাত্রী ছিল। কিন্তু তাদের নিয়ে ততটা গর্ব করেনি আমার বাবা যতটা আমাকে নিয়ে করতেন।



একের পর এক ক্লাস পেরিয়ে ধীরে ধীরে বড় হতে লাগলাম। আমি বাসায় বোনেদের সাথে মারামারি করতাম কিন্তু তারা আমার সাথে পারতো না। আমি ভেবেছিলাম আমি ব্যাথা পাব তাই ওরা বেশী মারামারি করতো না। পরে বুঝতে পেরেছি মেয়েরা খব দুর্বল হয় শক্তিতে। তাদের গায়ের জোর কম হয়। তাদেরকে সহজেই ব্যাথা দেয়া যায়। এই বিষয়টা নিশ্চিত হয়েছিলাম আমাদের ক্লাস নাইনের বাংলা ব্যাকরণ বই পড়ে। ওখানে নারীর সমার্থক শব্দ ছিল অবলা। মানে বল নাই যার, শক্তি নাই যার।



আমাদের পরিবারে ও দেখতাম মা যখন পায়েস রান্না করতেন তখন আমার আর বাবার জন্য বড় একটা জামবাটিতে রেখে দিতেন পায়েস যেন ওখানেই সর পড়ে। মা আর বোনেরা ডেকচি থেকে নিয়ে খেতেন। মাছের বড় পিসটা, মুড়োটা আমার পাতেই পড়তো সবসময়। আমার এক বোন একদিন বায়না ধরলো মাছের মুড়ো খাবার। আমি দিয়েও দিতাম কিন্তু মা বোনকে বললো যে মেয়েদের মাছের মুড়ো খেতে নেই। আরো অনেক নিষেধাজ্ঞা ছিল আমার বোনেদের। আর আমি ধরেই নিয়েছিলাম আমি ছেলে বলে সবসময় আমিই বেশী পাবো। কারণ এই নিয়ম সমাজ বানিয়েছে। ছেলে হলো ঘরের বাতি। সেই বাতিতে ঘি পরিবারকে ঢালতেই হবে। আর ইসলাম ধর্ম ও বলে যে মেয়েরা পাবে একজন পুরুষের অর্ধেক সম্পত্তি, হিন্দু ধর্মে বাবার সব সম্পত্তি ছেলে পাবে, খ্রীষ্টান ধর্মে নারীদের সম্পত্তি বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। অনেক পরে সংবিধানের আইন তাদের অধিকার দিয়েছিল।



বাবাকে দেখতাম আমি কোন দোষ করলে মাকে বকতেন। আমি খুব চঞ্চল ছিলাম। তাই অন্যবাড়ি থেকে আমার নামে নালিশ আসলেও বাবা মাকেই গালিগালাজ করতেন। শুধু তাই না বাবার ব্যবসায় যখন লোকসান যেত তখন বাবা মেজাজ খারাপ করে ঘরে আসতেন। এমন সময় একটু উনিশ বিশ হলেই মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতেন। এই বিছানার উপর টাওয়াল রেখেছিস কেনরে মাগী? চা এত গরম কেন? তোর মা তোরে চা বানানো শেখায় নাই খানকি? প্রতিমাসে এত এত শাড়ি তোর বাপেরে বলবি পাঠাতে! বিয়ার সময় তোর বাপে কি দিছে রে খানকি আমরা উপর কথা কস!- এই সব। শুধু আমার বাবা না অন্যেদের বাবাকেও দেখতাম এমন করতে।



মাকে আর বোনদেরকে গালি গালাজ করে বাবা মেজাজ ঠান্ডা করতেন। আমি ধরেই নিয়েছিলাম যে এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। মায়ের কাজই হল গালি খেয়ে যাওয়া। আঘাত পেয়ে যাওয়াই মেয়েদের নিয়তি ধরে নিয়েছিলাম। সত্যি বলতে কি কেতাব কলমে মেয়েরা মানুষ কিন্তু আমাদের সমাজে যেন তাদের আশ্চর্য এক স্পিসিস বানিয়ে রেখেছে। মানুষ হিসেবে কখন দেখিনি। দেখেছি নারী হিসেবে একজোড়া স্তন হিসেবে। হাজতের নিরাপত্তায়ও তারা অনিরাপদ! মেয়ে যেমনই হোক প্রতিবন্ধী বা সুস্থ তাদের কেউই নিরাপদ নয়! বাংলাদেশে ধর্ষনের শিকার কয় জন তা কি কেউ জানে?



দেখলাম সমাজের ভয়ঙ্কর সব গালি গুলাও মেয়েদের সাথে সম্পর্কিত- চুদির পুত, চুদির ভাই, তোর মারে ‍ুদি, তোর বোনেরে ‍ুদি, তোর বৌয়েরে ‍ুদি, বেশ্যা নটির পোলা, খানকির পোলা, খানকি মাগী, বহেনচোদ, মাদারচোদ ইত্যাদি। অন্য ছেলেদের সাথে ঝগড়া লাগলে এই গালিগুলো দিয়ে আনন্দ পেতাম।



আমার মনে মেয়েদের প্রতি তাচ্ছিল্যতার জন্ম এভাবেই নেয়। ধরেই নিয়েছিলাম মেয়েরা সব কষ্ট সহ্য করবে লাথ্থি উষ্ঠা সহ্য করবে। কিন্তু এটা ভেবে দেখিনি মেয়েরা তো আমাদের দৃষ্টিতে দুর্বল!



একদিন আমাদের বাসায় বাধা কাজের বুয়াকে মারপিট করে বাসা থেকে তাড়িয়ে দেয়া হলো। আমি বুঝিনি কেন এসব হয়েছে। শুধু বাবা বলছিলেন- আমার কি দোষ? ওই পাড়ার নটি কাপড় ঠিক রাথে না কেন? আমাদের পরিবারের সবাই বাবাকে সাপোর্ট করেছিলেন। শুধু মাকে দেখলাম রান্না ঘরে আঁচলে মুখ চেপে কান্নাকাটি করতে। নারীদের প্রতিবাদ করতে নেই। তারা শুধুই আঁচলে মুখ চেপে কাঁদবে!



বড় হয়ে বুঝেছিলাম কি ঘটেছিল। আমি এই ব্যাপারে বাবাকে সফলতার সাথে অনুসরণ করেছিলাম পরে।



সবে মাত্র মেট্রিক পাশ করেছি। ধীরে ধীরে এক ধরনের পরিবর্তন হতে লাগলো আমার। দেখলাম এই জেলিফিস গুলোকে দেখলে কেমন জানি একটা অনুভুতি হয়। সুন্দরী মেয়ে দেখলে মাথা আর গা গরম হয়ে উঠতো। আমি আমার বন্ধুদের নিয়ে সুন্দরী মেয়েদের উত্যক্ত করতে শুরু করলাম। মেয়েগুলোর ভয়ার্ত চেহারা আমাকে পৈশাচিক আনন্দ দিতো। আমার বাবার কাছেও নালিশ গিয়েছিল এই ব্যাপারে। কিন্তু বাবা উল্টো তাদেরকে বলে দিলেন মেয়েকে সামলে রাখতে, ভদ্র কাপড় পরাতে। আমিও ভেবে দেখলাম তাইতো! মেয়েদের বুকের ওড়না যদি ঠিক না থাকে তাহলে ছেলেদের মাথা তো গরম হবেই! এতে আমার কোন দোষ নাই। তাই আমিও খোঁজা শুরু করলাম কোন কোন মেয়ের মাথায় কাপড় নেই, বুকের ওড়না ঠিক নেই, কামিজ শর্ট, কোমড় কে কতটুকু দুলিযে হাটে। মেয়েদের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখিনি কখনও মেয়েদের শরীরের দিকেই তাকাতাম শুধু।



তখন মাথায় ঢুকতো না যে আমার বোনেরাও এই রকম নিপীড়নের শিকার হয়। ওরা বাসায় কিছু বলতো না। কারণ এতে ছেলের গায়ে কালি না লেগে উল্টা মেয়ের গায়েই লাগবে। সমাজ অপবাদ দেবে মেয়ের পোষাক ঠিক নেই। এই পরিস্থিতির শিকার না হবার জন্য আমি যাদেরকে উত্যক্ত করতাম তারাও যেমন বাসায় বেশীর ভাগ সময় কিছু বলতো না তেমন আমার বোনেরাও বাসায় কিছু বলতো না।

কিন্তু এসব করে করে আর কত?

আরে ইনজয়মেন্ট চাই। একদিন এক বন্ধুর বাড়িতে দরজা লাগিয়ে দেখলাম পর্ণ মুভি। বাস্তবিক অর্থেই সেদিন অন্য এক দুনিয়া খুলে গিয়েছিল চোখের সামনে। একটাই ভিডিও যে কতবার দেখেছি! কিন্তু কয়দিন দেখে আর মন ভরে না। তাই একরাতে আমাদের বাসার কাজের ছেমড়িটার ঘরে ঢুকে দরজা লাগিয়ে দিলাম। কৈশরে বইয়ে পড়েছি মেয়েরা দুর্বল তাই বেশী বেগ পেতে হয় নি। বইয়ের কথা যে সত্যি সেদিন হাতে কলমে দেখলাম। হুমকি দিয়ে মেয়েটির মুখ বন্ধ করতেও কষ্ট হয়নি। আমার অভিজ্ঞতা বন্ধদের সাথে শেয়ার করলাম। তারাও এই অভিজ্ঞতা পেতে চাইলো। তাই মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে নিয়ে গেলাম অনেক দুরে। ছয়জন মিলে মেয়েটাকে ভোগ করলাম। মেয়েটি চিৎকার করতেও পারেনি। মেয়েটিকে পাশবিক অত্যাচার করে কি যে আনন্দ পেয়েছিলাম! শুধু রেপ নয়। মেয়েটিকে মোটা লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছিলাম। সাবধানে চলে এলাম সবাই। কয়েকদিন পরে যখন মেয়েটির নগ্ন গলিত লাশ পাওয়া গেল আমরা সবাই হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। আমার মা অনুমান পর্যন্ত করতে পারে না আমি কি করেছি।



যাই হোক ইনজয়মেন্টর খোঁজ আমাদের জারি থাকলো। গণিকালয় যাত্রা নিয়মিত হয়ে উঠলো। সমাজে যারা সেক্স বিক্রি করে তাদের চেয়ে যারা সেক্স কেনে তাদের মর্যাদা অনেক বেশী কিনা! কিন্তু ওখানের মেয়েরা বাঁধা দেয় না। বাঁধা না পেলে কিসের মজা? বাঁধা দিবে, আমি মুখ চেপে ধরবো, পা চেপে ধরবো তবেই না মজা পাবো!



একদিন আমি আর আমার এক বন্ধু মিলে আরেকটি মেয়েকে রেপ করলাম। স্থানীয় বিচার সভা পর্যন্ত গড়ালো বিষয়টি সিদ্ধান্ত হলো যে মেয়েকে বেপর্দা ছিল তাই ছেলেরা তাকে আক্রমন করেছে। বেপর্দা মেয়েদের এটাই শাস্তি হওয়া উচিৎ। এই অপরাধে মেয়েটিকে ১০১ দোররা মারা হবে আর আমাকে দশহাজার টাকা জরিমানা করা হবে। আমার বাবা পুত্রের জন্য টাকা দিতে আপত্তি করলেন না। শুধু মা আমার সাথে কথা বলা ছেড়ে দিলেন। আর কখন ও কথা বলেন নি আমার সাথে। মেয়েটির পরিবার শেষ পর্যন্ত আদালতে যায়। কিন্তু আমার বাবা কিভাবে জানি সব ম্যানেজ করে ফেললেন।



ধর্মও আমাকে সাপোর্ট দিয়েছিল। বলা আছে বাইরে বের হলে মেয়েদের কঠোর পর্দা করে বের হতে হবে, তারা ঘরে থাকবে সবসময়, তারা হলো পুরুষের ক্ষেত্র স্বরূপ, তাদের সহমরণে যেতে হবে, তারা স্বামীর দীর্ঘায়ু লাভের জন্য নানা রকম ব্রত পালন করবে, নামাজ রোজা করবে, পুরুয়েরা বহুবিবাহ করতে পারবে। সকল ধর্ম পুরুষের একাধিক স্ত্রী ছিল।



সব দোষ মেয়েদের। তারাই ছেলেদের কুপথে নিয়ে যায়, তাদের জন্যেই আদম বা এডাম বা মনু স্বর্গ হতে বিতাড়িত হয়েছিলেন। তার মানে আদি যুগ হতেই মেয়েরা পুরুষের বিপথে যাবার কারণ। শাস্ত্রে আছে স্ত্রী বুদ্ধি প্রলয়ংকারী, হাদিসে আছে নারীদের পরীক্ষা হতে বাঁচো, নরকের ৯৫ ভাগ অধিবাসীও নাকি নারী হবে। সো আমার কিসের চিন্তা? আমার তো প্রটেকশনের অভাব নেই।



যাই হোক বাবা আমাকে পাঠিয়ে দিলেন ঢাকায় পড়াশোনা করতে। এখানে এসে আরো অনেক আধুনিক হয়ে উঠলাম।



মেয়েদের আধুনিক কায়দায় উত্যক্ত করতে লাগলাম। এর পিছনে যে শুধু সেক্সচুয়াল অনুভুতি ছিল তা নয়। তাদের তাচ্ছিল্য জ্ঞান করতাম, ভয় দেখানোর জন্যেও এগুলো করতাম।



সমাজ মেয়েদের পোশাকের কথা বলে আমাকে এতদিন প্রটেক্ট করে আসছিল কিন্তু এক অন্ধকার রাতে ফুটাপাতের পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষন করলাম। মেয়েটি হয়তো মরেই গিয়েছিল। আমি খোঁজ নিই নি। কেউ জানতেও পারে না কে একাজ করেছে। শুধু তাই না বাসার দশ বছর বয়েসী কাজের ছেলে জিতু মিয়াও আমার লালসার শিকার হয়েছিল। ছেলেটিকে পরে গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলাম।



আমার বিয়ে হয়েছে ষোল বছর আগে। আমার সুন্দরী স্ত্রীকে ফেলে আমি যে আরো কতবার অকাজ করেছি তার হিসেব রাখিনি। তবে লোক দেখানো নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সদস্যও ছিলাম আমি। নারীর উপর সহিংসতা বন্ধ করতে আমিও শহীদমিনারে দাঁড়িয়েছি। ভিকটিম মেয়েকে এককালীন অর্থ সাহায্যও করেছি অনেকবার। সমাজে আমার একটা পজিশন আছে না?



আমি জানি আমি অপরাধী। আমার সকল অপরাধে ফিরিস্তি আমার মেয়ে জানে না। জানলে হয়তো বাবা ডাকতো না। আমি ভাবি আমার মেয়েটিকেও যদি কেউ রেপ করে! তাহলে কি ভাবে সহ্য করবে আমার মেয়ে? এই জন্যেই আমার সব দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলাম আমি। আমি চাই আমার ফাঁসি হোক। যেন আর কেউ এই পৈশাচিক কাজ করার সাহস না পায়। তার সাখে আমি এই সমাজেরও ফাঁসি চাই। সমাজ আমি তোমার ফাঁসি চাই। তুমিই তো আমাকে রেপিস্ট বানিয়েছো। আমাকে প্রটেকশন দেবার জন্য কত



নিষেধাজ্ঞার আইন(ধর্মীয় আইন) বানিয়েছো মেয়েদের জন্য। আমার সাখে তোমাকেও ফাঁসির মঞ্চে উঠতে হবে। আমি তোমারও ফাঁসি চাই। আমি তোমারও ফাঁসি চাই!

ইতি

এক ফাঁসির আসামী।

মন্তব্য ৪৩ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৪৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৩

আসাদুজ্জামান আসাদ বলেছেন: অসাধারন লিখেছেন।+++ নেন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: সমস্যার গোড়ায় যাবার চেষ্টা করেছি।
ধন্যবাদ।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩১

একজন আরমান বলেছেন:
লেখা ভালো লাগলো।
কিন্তু কিছু জায়গায় আপত্তি আছে। কোন কিছু সম্পর্কে অল্প বললে তার গভীরতা সম্পর্কে জানা যায় না।
আপনি বলেছেন-
আর ইসলাম ধর্ম ও বলে যে মেয়েরা পাবে একজন পুরুষের অর্ধেক সম্পত্তি
সহমত।
কিন্তু এটা কি জানেন কেন?
কারন ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী একজন ছেলে শুধু তার বাবার সম্পত্তিরই ভাগ পায়, কিন্তু একজন মেয়ে তার বাবার, স্বামীর এবং তার ছেলের সম্পত্তির ভাগ পেয়ে থাকে।

সব জায়গায় ধর্মকে টেনে না আনলেও হয়। অন্য ধর্মের কথা জানি না কিন্তু ইসলাম ধর্মে কখনও ধর্ষণকে সাধুবাদ জানানো হয়নি, বরং এটা করলে যে তার জাহান্নাম নিশ্চিত সেটা বলা হয়েছে।
ধরুন আমি প্রতিদিন মদ খাই, ধর্ষণ করি আমি নিজেকে মুসলিম বলি। তার মানে কি? হ্যাঁ আমি জন্মগতভাবে মুসলিম ঠিকই। কিন্তু একজন মুসলমানের একটা কাজও কি আমি করেছি নাকি সব তার উল্টোটা?
আশা করছি বুঝতে পেরেছেন।

ধন্যবাদ।
ভালো থাকবেন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫০

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ইসলাম ধর্মে অবশ্যই একজন মেয়ে বারা এবং স্বামীর সম্পত্তির ভাগ পায়। কিন্তু কয়জন মেয়ে তার অধিকারের পুরোটা পায়? এটা কোন ধর্মকে আঘাত করছি না। আমি সমাজের কথা বলছি।
ধর্ম আমাদের সমাজে এমন ভাবে জড়িয়ে আছে যে ধর্মকে আনতেই হয়। ধর্মের রুলস না ধর্মের অপব্যাখ্যাকে বুঝিয়েছি। ধর্ষনকে সাধুবাদ ইসলাম জানায়নি এটা আপনি যেমন জানেন সেটা আমিও জানি কিন্তু তাপরও তো ধর্ষন হচ্ছে। তার মানে কি? সমাজপতিরা এসব ঘটনার বিচার করতে গিয়ে ধর্মকে টেনে আনে ধর্মকে বিকৃত করে। সেটাই তুলে ধরেছি।

ধর্মকে সমাজপতিরা অপব্যাবহার করে তাই এত ান্যায়ের পরও অনেকে হজ্জ করে ্েসে হাজী উপাধি পেয়ে যায়।

আপনি বলুন গনিমতের মাল আখ্যা দিয়ে একাত্তরে এদেশের কিছু মুসলিমনাম ধারীরা ধর্ষন করেছে কিনা?
হ্যাঁ করেছে। এরাই ধর্মকে টেনে আনেফায়দা লোটার জন্যে।

আশা করি বুঝতে পারছেন।
েআপনি যাই বলুন না কেন কোন ধর্মই মেয়েদেরকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয় নি।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: চমৎকার পোষ্ট। একজন ধর্ষক কখনই সমাজের অংশ হতে পারে না। পর্দার কথা বলে যারা ধর্ষনকে সমর্থন করেন, তারা মানসিক বিকলাঙ্গ এবং মানসিক প্রতিবন্ধী। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে অশালীন কোন কিছুকে সমর্থন করি না তা সেটা পোষাক হোক কিংবা আচরন এবং সেটা ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য প্রযোজ্য।

আর একটা কথা, আপনি ধর্মের ব্যাপারে যা বললেন তার সাথে পুরোপুরি ভাবে একমত নয়। যে কোন ধর্মই মানুষকে হিংস্রতার ব্যাপারে উৎসাহিত করে না। ধর্মই আমাদের অহিংসার বানী শোনায়। বরং আমরাই ধর্মকে ভূল ভাবে ব্যাখ্যা করি বা প্রয়োগ করি। তাহলে এই ভূলের দায় ধর্ম কেন নিবে?

আমি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হিসেবে আমি মনে করি, আমাদের ইসলাম ধর্মেই নারীপূরুষের অধিকারের কথা সমান ভাবে সুস্পষ্ট ভাবে বলা আছে। এখন কেউ যদি তার অপব্যবহার করে তাহলে সেটা তার নিজস্ব দায়। আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো, মানুষের সচেতনতার অভাব, শিক্ষার অভাব। এই দেশে ধর্ম নিয়ে ব্যবসা হয়। ধর্ম ব্যবসায়ীরা নিজেদের সুবিধার জন্য নানা রকম মিথ্যে ফতোয়া দেয়, মিথ্যে নিয়ম প্রয়োগ করে। তাদের জন্যই ধর্ম কলুষিত হয়, কলংকিত হয়। এবং মানুষ ধর্ম নিয়ে ভূল ধারনা পায়।

আপনি হয়ত ভাবছেন আমি বিশাল বড় ধার্মিক। মোটেই না। আমার ধারনা আমি অতি নিম্নমানের মুসলিম এবং আমি ধর্মান্ধ নই। তবে নারী উন্নয়নের বাধা হিসেবে বা নারীর সম মর্যাদার জন্য যখন দেখি ধর্মকেই শুধু দোষারোপ করা হয়, তখন আমি চেষ্টা করি ব্যাপারটি বুঝিয়ে বলতে।

আমাদের এখন সময় এসেছে, সমাজে নারী পুরুষের সম অধিকারের ব্যাপারে সচেতনতা সৃষ্টি করা। এই অধিকার নির্ধারন করতে হবে আমাদের সামাজিক প্রেক্ষাপট এবং দেশীয় সংস্কৃতির দৃষ্টিকোন থেকে।

সবচেয়ে বড় কথা, এমন কোন ব্যাখ্যা নেই- যা দিয়ে ধর্ষনের মত একটি ঘৃন্য অপরাধকে সমর্থন করা যেতে পারে। মনে রাখবেন ধর্ষনকারীরা এমন একটি নিম্নমানের প্রানী, যাদের কাছে শিশু, তরুনী, বৃদ্ধা এমনকি পশুদেরও কোন পার্থক্য নেই। এদেরকে কঠোর থেকে কঠোর শাস্তি দেয়া হোক। সেই সাথে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করা হোক।

ধর্ষন সংক্রান্ত যে কয়টি পোষ্ট দেখেছি, আমি কেবল আপনার এই পোষ্টেই মন্তব্য করেছি। ভালো থাকবেন। সুন্দর এবং সময়পোযোগী একটি পোষ্টের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আমি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হিসেবে আমি মনে করি, আমাদের ইসলাম ধর্মেই নারীপূরুষের অধিকারের কথা সমান ভাবে সুস্পষ্ট ভাবে বলা আছে।[/sb
হ্যাঁ বলা আছে। কিন্তু কাগজে কলমে। ধর্ম আমরা অনেকেই পালন করি না। কিন্তু কোন মেয়ে যখন হ্যারাসমেন্টের শিকার হয় তখন ঠিকই ধর্মের দোহাই দিয়ে মেয়েটির পোষাকের দোষ দেয়াহয়, চরিত্রের দোষ দেয়া হয়।

ধর্মকে টেনে এনেছি কারণ সমাজরে মাথা যারা আছে তারা ধর্মকে অপব্যাবহার করে। আমাদের চোখের সামনে কিন্তু আমরা প্রতিবাদ টুকু করার সাহস পাই না।

পোষাকের শালীনতা অবশ্যই মেয়েদের জন্য যেমন প্রযোজ্য তেমন পুরুষের জন্য ও।

কিন্তু একজন মেয়ে হিসেবে জানি পোষাকের শালীনতা থাকলেও মেয়েদের হ্যারাস মেন্টের শিকার হতে হয়। কারণ সমস্যা আসেল মগজে।

দুই তিন বছরের শিশুরা যখন ধর্ষনের শিকার হয় তখন অনেক কিছুই স্পষ্ট হয়ে উঠে।

সমস্যা গোড়াতেই। সেখানেই আলোক পত করার চেষ্টা করেছি।

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৩১

আমিনুর রহমান বলেছেন: পোষ্টে ভালো লাগা রইল। অনেক চমৎকার একটি পোষ্ট।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫৯

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ আমিনুর ভাই।
চেষ্টা করেছি সমস্যার গোড়ায় যাবার।

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
আসলে কি জানেন আমরাই মেয়েদের কে ঠেলে দিচ্ছি নির্যাতনের পথে ওদের পন্য করে তুলে ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০২

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: মেয়েদের পণ্য করে তুলেছে আমাদের সমাজই।
এজন সানি লিওনির ভিডিও লিঙ্কে যখন কোন ভদ্র বেশধারীদের লাইক এবং কমেন্ট দেখি তখন আশ্চর্য হই না।

৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

মাক্স বলেছেন: কিছুই বলার নেই।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৩

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: সমাজ তখনই জাগবে যখন আমরা জাগবো।

৭| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৩০

নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: আমি কি বলব বা লিখব বুঝে উঠতে পারছি না ।

কয়েকটা টপিকে নিজেরি কেমন যানি লাগছে । মনে হচ্ছে আমি য়খন শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে দাড়িয়েছিলাম নারির জন্য তখন আমার সাথেও কি এইরুপ কোন পশু দাড়িয়েছিল নাতো ?

একদম মগজে গিয়া বসে থাকার মত একটা লেখা । অনেক ভাল লাগল ।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৪

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ নিয়েল ভাই।
হ্যাঁ অনেকে আছে যারা মার্কেট বুঝে আপনাদের সাথে শহীদ মিনারে দাঁড়িয়েছিল।

৮| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৩

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: “কোন মেয়ে যখন হ্যারাসমেন্টের শিকার হয় তখন ঠিকই ধর্মের দোহাই দিয়ে মেয়েটির পোষাকের দোষ দেয়া হয়,চরিত্রের দোষ দেয়া হয়।” জী- এটাই হচ্ছে অপব্যবহার। আমাদের দেশের সকল ধর্মই ইচ্ছামত কাষ্টমাইজ করা হচ্ছে। কেউ একটি অংশ মানেন, আবার অন্য অংশ মানেন না। যেমন ধরুন, কেউ যখন নারী অধিকারের কথা বলেন, সেখানে ঘুরে ফিরে কোন একপর্যায়ে অন্যান যুক্তির পাশাপাশি ধর্মকেও উপস্থাপন করা হয়। হোক সেটা কাগজে কলমে। কিন্তু অনেক সময় মেয়েদের পর্দা সংক্রান্ত কিংবা এই জাতীয় কিছু ব্যাপারে আপনি দেখবেন সেখানে ধর্মের বিধিনিষেধ গুলো কেউ মানতে চান না। তাহলে ব্যাপারটা কেমন যেন লাগে না? সাধারন প্রেক্ষাপতে বলা যেতে পারে ধর্ম মানবজীবনের কিছু বিশেষ নীতি মালা। এখন একটা নীতিমালার কিছু বিশেষ অংশ মানা হবে আর কিছু অংশ মানা হবে না এবং এই কাষ্টমাইজেশনের কারনে নীতিমালাকে যদি দোষারপ করি তাহলে ব্যাপারটি কি যুক্তিযুক্ত হবে? আমার মনে হয় না।
একটা সমাজে ভালোর সাথে মন্দের বসবাস। যারা মন্দ লোক তারা এই কাষ্টমাইজেশনের যে ফাকফোকর আছে সেটাকে অপব্যবহার করে এবং সমগ্র ধর্মটি তখন কলুষিত হয়। আমিও মনে করি শালীনতা একটি সার্বজনিন ব্যাপার এবং এটা নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। তবে কেউ অশালীন পোষাক পড়েছে, এই কারনেই তাকে ধর্ষন করতে হবে এটা কেবল মাত্র বিকৃত রুচির মানুষরাই ভাবতে পারে।
ভিনদেশী সংস্কৃতির অপব্যবহার, সামাজিক অবক্ষয় এবং কিছু কিছু মানুষের বিকৃত রুচির কারনেই আমাদের দেশে সম্প্রতি এত ধর্ষনের ঘটনা ঘটছে। সেই সাথে রয়েছে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ও সামাজিক সচেতনতার অভাব। আজকে যে অশালীন পোষাক বা জীবন যাত্রার কথা বলা হয়েছে তা এসেছে মূলত পাশ্চাত্য থেকে এবং সেখান থেকে শুধু খারাপ অংশটুকুই নেয়া হয়েছে। নারী এবং পুরুষ দুই পক্ষই এই খারাপ অংশটুকু গ্রহন করেছে। অথচ পাশ্চাত্য থেকে কি ভালো কিছু নেয়ার সুযোগ ছিল না? তাদের নিয়মানুবর্তিতা, সততা, যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলার অভ্যাস, সময়ের ব্যবহার ইত্যাদি কি আমরা নিতে পারতাম না? সেদিন দেখলাম ব্লগে একজন নারী তার পোষ্টের মাধ্যমে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষনের ব্যাপারগুলোতে সমগ্র পুরুষজাতিকে অনেক কটাক্ষ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, যারা অশালীন কাপড় পড়ে, বা জীবনযাপন করে তাদেরকে কেউ কেন ধর্ষন করে না? কারন কি? তারা সমাজের মাথা বলে? নাকি ধনীর দুলালীদের দিকে কেউ চোখ তুলে তাকাতে সাহস পায় না? বলার অপেক্ষা রাখে না, খুবই অবান্তর প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। তারপরও যদি এই প্রশ্নগুলোর জবাব জানতে হয়, তাহলে আগে জানতে হবে ধর্ষন কাকে বলে? প্রাপ্তবয়স্ক নারী বা পুরুষ কোন এক পক্ষের সম্মতি ছাড়া জোরপূর্বক যে শারীরিক সম্পর্ক হয়, তাকেই ধর্ষন বলে। এমনকি বৈধ স্বামী স্ত্রীর মধ্যেও যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে সেটা ধর্ষন সমতুল্য এবং এটা বাংলাদেশ দন্ডবিধির মধ্যেই পড়ে। এখন প্রশ্ন হলো যে মানুষ গুলো আধুনিকতার নামে অশালীন পোষাক পরিধান করে, অশালীন এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন করেন, তাদের কাছে এই সব বিধি বিধানের মূল্য কতখানি? বাস্তব কথা হচ্ছে, কোন মূল্যই নেই। তাই এই ধরনের নারীপুরুষরা তাদের নিজেদের মধ্যে একটি পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে শারিরীক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে। যাকে আর যাই হোক, আইনগত ভাবে ধর্ষন বলা যাবে না। ফলে কিছুদিন আগে প্রকাশিত একজন সনামধন্য অভিনেত্রী এবং তার বাগদত্তার মধ্যকার শারীরিক সম্পর্কের যে নোংরা ভিডিওচিত্র বাজারে বের হয়েছিল তাকে কেউ ধর্ষন বলে আখ্যায়িত করেন নি। আজকে যারা নারী অধিকারের কথা বলছেন, তারা তখন তো গিয়ে সেই অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়ায়নি বা সান্তনার কোন বাক্যও বলে নি? কেউ তো বলে নি এটাও ধর্ষন কিংবা একজন নারীর ব্যক্তিগত জীবন এই ভাবে প্রকাশ করাটা কত বড় অন্যান বা অপরাধ? যতদূর মনে পড়ে তখন সবাই সেই অভিনেত্রী যিনি কিনা একজন নারী তাকেই দোষ দিয়েছিল। এই সব কারনেই এত অনাচার দেখেও আমরা সমাজের এই স্তর থেকে ধর্ষনের মত কোন গুরুতর অভিযোগ দেখি নাই বা শুনি নাই। ফলে এই সব ঘটনার একটা প্রভাব নিম্ন ও অসুস্থ মানসিকতার লোকদের উপর একটা প্রভাব বিস্তার করে। তারা হয়ে উঠে পাগলা কুকুরের মত। এরা এতটাই পাগলা হয়ে উঠে, এদের হাত থেকে রক্ষা পায়না ছোট শিশুও এবং ঘটে ন্যক্কার জনক ঘটনা। কলংকিত হয় পুরো জাতি এবং সমাজ।
তাই আমি মনে করি অশালীনতার দোষ বা দায় পুরুষ এং নারী দুই পক্ষেরই, কোন এক নির্দিষ্ট পক্ষের নয়। কেউ যদি এটার বরখেলাপ করে তাহলে তার দায় দুইপক্ষের উপরের বর্তায়। যারা ধর্ম বিশ্বাসী তাদের অনেকেরই নিজ নিজ ধর্ম সম্পর্কে ভাসা ভাসা জ্ঞান। ফলে কোনটা সঠিক এবং কোনটা ভূল তারা সেটার পার্থক্য সহজে ধরতে পারে না। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগায় ধর্ম ব্যবসায়ীরা। আমরা প্রতিবাদ করতে পারছি না কারন আমাদের রয়েছে সাহস এবং সচেতনাতার অভাব। সর্বপরি সম্মিলিত ভাবে একজোট হয়ে আন্দোলনের অভাবও রয়েছে। আমি দৃঢ় ভাবে বিশ্বাস করি, নারী পূরুষের সহবস্থান ছাড়া কোন কিছুই সম্ভব নয়। আমাদের দরকার প্রচুর গনসচেতনতা এবং তরুনদের মূল্যবোধ পূর্নগঠন। স্বাধীনতা এবং স্বাধীনতার অপব্যবহারের মধ্যে পাথর্ক্য নির্ধারন করা। আমাদের মনে রাখতে হবে নারী অবমাননা কারীরা কারো ভাই নয়, কারো বন্ধু নয়, কারো ছেলে, স্বামী বা বাবাও নয়। তারা শুধুই অমানুষ এবং ঘৃন্য প্রানী। একজন অমানুষ ও ঘৃন্য প্রানী এই সমাজের অংশ হতে পারে না।

অনেক বড় মন্তব্য করে ফেললাম। সামুতে এটাই মনে হয় আমার সবচেয়ে বড় মন্তব্য। ভালো থাকবেন। শুভেচ্ছা রইল। ধর্ষন বিরোধী সকল আন্দোলনে সাথেই আছি।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আপনি বলেছেন :এখন একটা নীতিমালার কিছু বিশেষ অংশ মানা হবে আর কিছু অংশ মানা হবে না এবং এই কাষ্টমাইজেশনের কারনে নীতিমালাকে যদি দোষারপ করি তাহলে ব্যাপারটি কি যুক্তিযুক্ত হবে? আমার মনে হয় না।

হুম তাই। নিয়ম মানতে হলে পুরোটাই মানতে হবে। পর্দার নিয়ম শুধু মেয়েরাই মানবে এমন হবে কেন? ইসলাম মতে আমি যতটুকু জানি পর্দা শুধু পোষাকের না, পর্দা দৃষ্টির, মনের, শ্রবণের অর্থাৎ সকল ইন্দ্রিয় জড়িয়ে আছে। এখন বলুন কয়জন পরিপূর্ণ ভাবে মানে? আমি, নিজেই তো পালন করতে পারি না।

আপনি বলেছেন:যারা মন্দ লোক তারা এই কাষ্টমাইজেশনের যে ফাকফোকর আছে সেটাকে অপব্যবহার করে এবং সমগ্র ধর্মটি তখন কলুষিত হয়।

ধর্মকে দোষারোপ করার কিবছু নেই। ধর্ম তো কল্যানের জন্যেই। এই ফাকফোড় গুলোই যেগুলো অপরাধীরা খুঁজে বের করে আমি আমার পোস্টে সেগুলোই তুলে ধরেছি। আপনি লক্ষ্য করে থাকবেন আমি পোস্টে বলেছি যে “আর আমিও তাই আমিও খোঁজা শুরু করলাম কোন কোন মেয়ের মাথায় কাপড় নেই, বুকের ওড়না ঠিক নেই, কামিজ শর্ট, কোমড় কে কতটুকু দুলিযে হাটে। মেয়েদের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখিনি কখনও মেয়েদের শরীরের দিকেই তাকাতাম শুধু।” এখানে দৃষ্টিভঙ্গিটুকুই তুলে ধরেছি মাত্র।

আপনি বলেছেন: সেদিন দেখলাম ব্লগে একজন নারী তার পোষ্টের মাধ্যমে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষনের ব্যাপারগুলোতে সমগ্র পুরুষজাতিকে অনেক কটাক্ষ করেছে।

সমগ্র পুরুষজতি কি মানব জাতির বাইরে? না নয়। আ িঅপরাধীকে ঘৃণা করিনা অপরাধকে ঘৃণা করি। অপরাধ মানুষ মাত্রই করে। সমস্যা হলো যে কিছু অতি নারীবাদী নিজেদের মানুষ ভাবতে পারেন না। ভাবেন নারী হিসেবে। আপনি খেয়াল করবেন আমি পোস্টে বলেছি “সত্যি বলতে কি কেতাব কলমে মেয়েরা মানুষ কিন্তু আমাদের সমাজে যেন তাদের আশ্চর্য এক স্পিসিস বানিয়ে রেখেছে। মানুষ হিসেবে কখন দেখিনি। দেখেছি নারী হিসেবে একজোড়া স্তন হিসেবে। হাজতের নিরাপত্তায়ও তারা অনিরাপদ! মেয়ে যেমনই হোক প্রতিবন্ধী বা সুস্থ তাদের কেউই নিরাপদ নয়! বাংলাদেশে ধর্ষনের শিকার কয় জন তা কি কেউ জানে? ” সমস্যা এখনেই। দৃষ্টিভঙ্গির সমস্যা।

আপনি বলেছেন: কিছুদিন আগে প্রকাশিত একজন সনামধন্য অভিনেত্রী এবং তার বাগদত্তার মধ্যকার শারীরিক সম্পর্কের যে নোংরা ভিডিওচিত্র বাজারে বের হয়েছিল তাকে কেউ ধর্ষন বলে আখ্যায়িত করেন নি। আজকে যারা নারী অধিকারের কথা বলছেন, তারা তখন তো গিয়ে সেই অভিনেত্রীর পাশে দাঁড়ায়নি বা সান্তনার কোন বাক্যও বলে নি? কেউ তো বলে নি এটাও ধর্ষন কিংবা একজন নারীর ব্যক্তিগত জীবন এই ভাবে প্রকাশ করাটা কত বড় অন্যান বা অপরাধ? যতদূর মনে পড়ে তখন সবাই সেই অভিনেত্রী যিনি কিনা একজন নারী তাকেই দোষ দিয়েছিল।

তারা দুজনেই সমান দোষী ছিল ব্যাভিচার করার জন্য। আর এই ভিডিও বাজারে ছড়ার জন্য একমাত্র দোষী পুরুষটি ছিল। কারে ব্যাক্তিগত জীবনকে নগ্নভাবে উন্মোচিত করেছে সে সাইবার ক্রাইমকরেছে কিন্তু দোষ বেশীর ভাগ মেয়েটির ভাগ্যেই জুটেছে। আসলে আমরা হলাম সেই কি বোর্ড সৈনিক যারা মুহর্তের জন্যে কি বোর্ডে ঝড় তুলতে পারি কিন্তু প্র্যাক্টিক্যালি কোন কাজে এগিয়ে আসি না। কোন প্রতিবাদে ফেবুতে লাইক দিয়ে মনে করি প্রতিবাদে অংশগ্রহণ হয়ে গেছে। কিন্তু আসলেই কি তাই?

আপনি খুবই গঠনমুলক মন্তব্য করেছেন। ভাল লাগলো। আপনার প্রতি শুভকামনা রইলো ভাই।

৯| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন: শিরোনামটা টা সিরাম হইছে । সমাজের ফাশি চাই।

তোদের সমাজটাকে থুথু দিয়ে দলিত করি আমার পায়ে
তুচ্ছ অতি তরবারি ক্ষুর ধার আমার গায়
আমি মুঠো ভড়ে রাখি তোদের সমাজ নামক বস্তুটা
আমি এক নিমেষে গিলে ফেলি সেই মানবতা আস্তটা
আমার গায়ের ঘামের ফোটা তোদের কাছে সমুদ্র
তোদের ভাসিয়ে দেই সমাজ সহ আছিস যারা সমাজভদ্র
.......

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৯

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: তোদের সমাজটাকে থুথু দিয়ে দলিত করি আমার পায়ে
তুচ্ছ অতি তরবারি ক্ষুর ধার আমার গায়
আমি মুঠো ভড়ে রাখি তোদের সমাজ নামক বস্তুটা
আমি এক নিমেষে গিলে ফেলি সেই মানবতা আস্তটা
আমার গায়ের ঘামের ফোটা তোদের কাছে সমুদ্র
তোদের ভাসিয়ে দেই সমাজ সহ আছিস যারা সমাজভদ্র
.......

১০| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৫:২৪

একজন আরমান বলেছেন:
এইতো আপনি আমার কথা বুঝতে পেরেছেন।
আমি আপনাকে সেটাই বলতে চেয়েছি যে সমস্যা ধর্মে নয় সমস্যা আমাদের মধ্যে। আমরা ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যাবহার করছি।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫১

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আমিও কিন্তু সেটাই তুলে ধরেছি।
আমি বলেছি : মেয়েদের বুকের ওড়না যদি ঠিক না থাকে তাহলে ছেলেদের মাথা তো গরম হবেই! এতে আমার কোন দোষ নাই। তাই আমিও খোঁজা শুরু করলাম কোন কোন মেয়ের মাথায় কাপড় নেই, বুকের ওড়না ঠিক নেই, কামিজ শর্ট, কোমড় কে কতটুকু দুলিযে হাটে। মেয়েদের চোখের দিকে তাকিয়ে দেখিনি কখনও মেয়েদের শরীরের দিকেই তাকাতাম শুধু।
সমস্যা কোন ধর্মে বা নিয়মে না সমস্যা মাথায়।

১১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২৪

রীতিমত লিয়া বলেছেন: শিরোনামটা দেখে ঢুঁকেছি। ঢুকেই বুঝলাম আপনি ঠিক মগজে আঘাত করে এমন কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন। পোস্টে ভাল লাগা।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫২

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ লিয়া।
এই পোস্ট যতটা না গল্প এর চেয়েও বেশী সমস্যার সলুক সন্ধান।

১২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৫

আহমেদ আলাউদ্দিন বলেছেন:
চমৎকার! চমৎকার পোষ্ট। অসাধারণ লিখেছেন।

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৫৩

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: চেষ্টা করেছি ভাই।
একজন নারী হিসেবে না। একজন মানুষ হিসেবে।

১৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৪

কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপনাকে আবারও অনেক ধন্যবাদ। একজন সহব্লগার হিসেবে আপনাকে সাথে পেয়ে সত্যি আমি অনেক গর্ববোধ করছি। আপনি চমৎকার বিশ্লেষন করেছেন। " আসলে আমরা হলাম সেই কি বোর্ড সৈনিক যারা মুহর্তের জন্যে কি বোর্ডে ঝড় তুলতে পারি কিন্তু প্র্যাক্টিক্যালি কোন কাজে এগিয়ে আসি না। কোন প্রতিবাদে ফেবুতে লাইক দিয়ে মনে করি প্রতিবাদে অংশগ্রহণ হয়ে গেছে। "

একশভাগ সহমত। আপনি এটাও বলেছেন, আমাদের সমাজে অতি নারীবাদীরা নিজেদেকে শুধু নারীই ভাবে, মানুষ ভাবতে পারে না। অতি সহি কথা। একজন নারী হিসেবে আপনার এই মনোভাব একজন সচেতন এবং সাহসী ব্যক্তিত্বের প্রমানই দেয়।

আমার আন্তরিক অভিবাদন গ্রহন করুন। আমার ব্লগে আপনাকে আমন্ত্রন জানাই। :) যদি সামাজিক যোগাযোগের কোন মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে আমার সাথে যোগ দিতে পারেন, এই ঠিকানায়। আবারও অনেক শুভ কামনা জানাই। ভালো থাকবেন।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:১৯

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাই। আমরা সবাই সহযোগী।
আসি আপনাকে রিকু পাঠালাম।

আবারো ধন্যবাদ।

১৪| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৫

জনৈক মাল্টি নিক বলেছেন: কামের পোষ্ট গুলা মানুষ পড়ে না, এইখানে কইতেন, '' দেখেন ধর্ষনের ভিডিও"
কয়েক হাজার ভিজিটর হইত। যত্তোসব।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: সেটাই তো দুঃখ।

১৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:২৮

অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ৫ম ভালোলাগা +++++++++

ভালো লিখেছেন ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:২৩

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

১৬| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১

সালমাহ্যাপী বলেছেন: অনেক সুন্দর করে লিখেছেন আর সমাজের কিছু ব্যাপার তুলে ধরেছেন লেখনীর মাধ্যমে।

আপনার বিশ্লেষনধর্মী লেখায় অনেক অনেক ভালো লাগা।

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৭

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:৩০

শামীম আরা সনি বলেছেন: কারন ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী একজন ছেলে শুধু তার বাবার সম্পত্তিরই ভাগ পায়, কিন্তু একজন মেয়ে তার বাবার, স্বামীর এবং তার ছেলের সম্পত্তির ভাগ পেয়ে থাকে।


ভূল ভূল সবই ভূল আরমান।

ইসলাম অনুযায়ী একজন পুরুষ শুধু তার বাবার না, মা, স্ত্রী এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে মেয়ের সম্পত্তির ভাগ পায় ।

খোঁজ নিও, তবে কোন বটতলার উকিলের কাছে খোঁজ নিয়ো না আবার !

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৫২

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ইসলাম অনুসারে একজন পুরুষ তার স্ত্রীর সম্পত্তিরও ভাগ পায় স্ত্রীর মৃত্যুর পরে, ভাইয়ের সম্পত্তির ভাগ পায় যদি ভাই শুধু কণ্যা সন্তান রেখে মারা যায়, বোনের সম্পত্তির ভাগ পায় যদি বোন ডিভোর্সড এবং শুধু কণ্যা সন্তান থাকে বা অবিবাহিত হন, মায়ের সম্পত্তির ভাগ পায় মেয়ের সম্পত্তির ভাগ পায় যদি মেয়ে শুধূ কণ্যা সন্তান রেখে মারা যায় এবং ডিভোর্সী বা বিধবা হন।

১৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:০৮

লাবনী আক্তার বলেছেন: পোস্টটা পড়ে অনেক ভালো লাগল।

+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৬

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: thanks...

১৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৭

অনিমেষ রহমান বলেছেন: আবারো পড়লাম।
চমতকার।

১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:২৪

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা।

২০| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:২৫

দার্শনিক বলেছেন: আপনার পোস্ট ভাল হয়েছে। বর্তমান যুগের একটি বড় সমস্যাকে আপনি আপনার লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরেছেন অত্যন্ত সুন্দরভাবে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সমাধান কিভাবে করবেন এই সমস্যাগুলোর? সমস্যার সমাধান আমার কাছে আছে...
এবং আমি নিশ্চিত আমার সমাধানই একমাত্র সমাধান...

১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২০

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: কি সামাধান?
বলুন।

২১| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৯

দার্শনিক বলেছেন: আমার কিছু ব্লগ দেখলেই বুঝতে পারবেন.... আশা করি।

১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:১১

আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: দেখলাম। কিন্তু পেলাম না।

২২| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪৩

বাংলাদেশী০০৭রকস বলেছেন: +++++++++++++

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.