![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমার পৃথিবী নিয়ে আমি ভাল আছি খুব ভালো আছি। সকল অশুদ্ধতাকে নিয়ে সুখে আছি। অশুদ্ধতাই আমার কাছে শুদ্ধতা এখন। শুধু মাঝে মাঝে শ্বেত শুভ্র একটুকরো মেঘের দিকে ভুল করে তাকাই! কিন্তু ভুল করেও আমার ভাল লাগে। আমার পৃথিবী ভুলে ভর্তি। ভুলে ভর্তি পৃথিবী নিয়ে আমার কোন আক্ষেপ নেই। শুধু অন্যেরা উকি না দিলেই হলো। তারা দেখে আমি পঙ্কিল এক পৃথিবীতে পঙ্কস্নান করছি। আমার ভাষায় যদিও তা চন্দ্রস্নান বা রৌদ্র স্নান। সেই পঙ্কিল আমাকে দেখে ভিড়মি খাওয়া মানুষদের বলছি দয়া করে আমার পৃথিবীতে আমাকে থাকতে দিন। এটা একান্তই আমার ভুবন। অশুদ্ধ আমি ভাল আছি খুব। এক টুকরো কল্পনার অংশুকে নিযে ভাল আছি খুব। শুদ্ধতা আমাকে ভাল না বাসুক আমার আপত্তি নেই। যা আছে মানে অশুদ্ধতাটুকুই নিয়ে বাচতে চাই। সব হারালে আমি বাঁচবো কি করে!
এই যে ট্যাক্সি যাবেন?
হ্যাঁ যাবো। ওঠেন।
কোথায় যাবেন সেটা জানতে চাইলেন না যে?
যেখানেই যাবেন সেখানেই নিয়ে যাবো।
মুনিয়া কিছুটা দ্বিধায় ভোগে। কথাবার্তা যেন কেমন মনে হচ্ছে লোকটার ওঠা কি ঠিক হবে? আধাঘন্টা ধরে অপেক্ষার পরে এই ট্যাক্সি পেয়েছে। সে বেশী না ভেবে উঠে পড়ে। সে ভীষন ক্লান্ত এবং ক্ষুধার্ত। ব্যাগ থেকে ফোনটা বের করে। একফোঁটা চার্জ নেই। অথচ রাজুকে ফোন করা দরকার।
সে ড্রাইভারকে বলে:
চলেন সাভার যাবো।
বেশ।
মুনিয়া খানিকটা অবাক হয়। এরকম ড্রাইভার এই প্রথম দেখলো। ভাড়াটাড়া নিয়ে কোন কথা বলছে না।
এই যে ভাই ভাড়ার কথা কিছু বললেন না যে!
আমার ভাড়া নিয়ে আপনার এত মাথা ব্যাথা কেন?
আশ্চর্য! পরে ভাড়া নিয়ে কিচকিচ করবেন....
ঠিক আছে আপনার যে ভাড়া সঠিক মনে হয় সে ভাড়াই দিবেন!
ওকে।
আর শোনেন আমি কিচকিচ করবো কেন? আমি কি পাখি?
মুনিয়া অনেক অবাক হয়। কোন ট্যাক্সি ড্রাইভারকে এই প্রথম এভাবে কথা বলতে শুনলো।
এই যে ভাই গাড়ি থামান থামান বলছি।
না থামালে কি করবেন?
থামাবে না মানে? আমি চিৎকার করবো, পুলিশে ফোন করবো!
করেন ফোন আপনার ফোনে যে চার্জ নেই সেটা দেখেছি। আর চিৎকার করতে চাইলে করেন। কেউ শুনবে না। দরজা লক করে রেখেছি তাই খুলে লাফ দিতে ও পারবেন না।
মুনিয়ার মুখ রক্তশুণ্য হয়ে যায়। খানিকক্ষণ কোন কথা বলতে পারে না। সে বলে:
দেখেন আপনি আমার সাথে জোরাজুরি করবেন না।
আমি কখন জোরাজুরি করলাম? মেয়েদের এই একটাই সমস্যা!
আপনি ট্যাক্সি থামান আমি নামবো।
না থামাবো না।
মুনিয়ার মাথা ফাঁকা হয়ে আসে। এমনিতেই সারাদিন অফিসের কাজের পর মাথা ভোতা হয়ে আছে আর এখন এসব কি হচ্ছে!
ভয় পাচ্ছেন কেন? আমি কি আপনার কোন ক্ষতি করবো ভেবেছেন?
ভাই প্লিজ আমাকে নামিয়ে দিন!
বললাম তো নামাবো না।
আপনি টাকা পয়সা রেখেদিন আমাকে যেতে দিন!
ওই ছেমড়ি কানে কি তুলা দেয়া? আমি একবার বলেছি না যে থামাবো না! ড্রাইভার স্পিড বাড়িয়ে দেয় গাড়ির। মিরপুর রোড ধরে ছুটে চলে ট্যাক্সি।
মুনিয়ার গলা শুকিয়ে আসে। ফোনটা খালি খালি কয়েকবার টেপে। এই
শীতেও খুব ঘামছে সে। ড্রাইভারটার দিকে তাকালো সে অন্ধকারে দেখে না ভাল করে।
ড্রাইভার বলে:
কি ভয় লাগছে?
হ্যাঁ।
ভয় পাবার কি আছে? জ্বিন ভুত দেখলে না হয় ভয় পেতেন। আমি তো মানুষ।
মুনিয়া ঠোক গেলে। মাথায় কোন বুদ্ধি আসছে না তার। সে ভীষন ক্লান্ত। সারাদিনে দুপুরে একটা সুগার ফ্রি বিস্কুট খেয়েছে শুধু। আজ এত কাজ ছিল যে খাবার সময়টাও পায়নি। এর মধ্যেই রাজু ফোন করলো তাদের সাভারের বাড়িতে যেতে। রাজু মুনিয়ার হবু হাসবেন্ড। এনগেজমেন্ট হয়েছে শুধু। তার মা অসুস্থ খুব। তিনি চান বিয়েটা যেন আজই হয়ে যায়। অনুষ্ঠান পরে হবে। মুনিয়ার অভিভাবক তার বড় ভাই আর ভাবি আগেই রওনা দিয়ে দিয়েছে। মুনিয়ার অফিসের কাজ শেষ করতে করতে দেরী হয়ে গেল। রাজু বলে দিয়েছে রাত এগারোটার আগে পৌছতেই হবে। এখন বাজে নয়টা।
সে বলে:
ভাই আপনি কি চান?
আমি কি বলেছি আমি কিছু চাই? ড্রাইভার এই প্রথম পেছনে ফিরে বলে।
মুনিয়া এক ঝলকের জন্যে দেখে গ্রীক রাজপুত্রের মতো চেহারা এক যুবক। একমাথা কোকড়া চুল মুখে একটা নিস্পাপ ভঙ্গি।
মুনিয়া কিছু বলতে গিয়ে থেমে যায়। কি করবে সে? এমন পরিস্থিতিতে পড়ার কল্পনাও সে করেনি। সে দ্রুত ভাবে। কিন্তু কিছু লজিকবিহীন পরিস্থিতি আছে যখন মানুষের মাথা কাজ করে না। ভয় পবার বদলে তার মনটা যেন আর্দ্র হয়ে উঠলো। সেকি আসলেই রাজুকে বিয়ে করতে চায়? কেন তার ইচ্ছা করছে নেমে পড়ে কোথাও চলে যেতে? তার কৈশরের অবসেশন ছিল কোন এক নদীর তীর ধরে সে দৌড়াবে, চারিদিকে শুভ্র কাঁশফুল থাকবে, তার পড়নে থাকবে সাদা শাড়ি।
রাজুকে একবার বলেছিল এই কথা। শুনে রাজু হেসেই খুন। হাসতে হাসতে সে বলেছিল:
স্টপ কিডিং মুনিয়া! ভেরি ফানি থিংকিং!
মুনিয়া লজ্জায় এতটুকু হয়ে গিয়েছিল। আর কোনদিন কিছু শেয়ার করেনি মুনিয়া রাজুর সাথে।এটা যদি ফানি থিংকিং হয়ে থাকে তাহলে তার বাকি কথা গুলো শুনে রাজু কি বলবে?
সত্যি বলতে কি মুনিয়ার ইচ্ছা হচ্ছে এই ট্যাক্সি করে দুরে কোথাও চলে যেতে। মুনিয়ার ভেতর থেকে ভয়টা কেটে যায়। ক্লান্ত গলায় সে বলে:
এক কাপ চা খাওয়াবেন? বলে সে চমকে ওঠে। কি বলছে আবোল তাবোল? সে কি পাগল হয়ে গেছে?
ড্রাইভার বলে:
অবশ্যই! আমার কাছে ফ্লাক্স ভর্তি চা আছে। বলে একটা ফ্লাক্স এগিয়ে দেয় সে। মুনিয়া আরো অবাক হয়।
কই ধরেন! এটাতে কিন্তু ঘুমের ওষুধ নেই। আরেকটা ফ্লাক্সে আছে। যখন আমার ঘুমের সমস্যা হয় তখন খাই।
মু
নিয়া রোবটের মতো নেয় ফ্লাক্সটা। সে বিভ্রান্ত হয়ে গেছে। নিজের অজান্তেই সে ফ্লাক্সের কাপের মতো মুখটাতে চা ঢালে। চুমুক দিয়ে আভিভুত হয়ে যায়। এত ভালো চা বহুদিন খায় না সে। বলে:
কোথাকার চা এটা?
টঙের চা। খুব স্বাদ তাই ফ্লাক্স ভর্তি করে রাথি সবসময়। দুইটা ফ্লাক্স আছে একটাতে ঘুমের অষুধ দেয়া আরেকটাতে দেয়া নেই।
আপনি কে বলুন তো! আপনি আমাকে অনেক বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন। রাজুর পরিচিত কেউ আপনি?
রাজুটা কে?
সেটা ভাবার দরকার নেই। আপনি কে বলুন।
বিরাট ফিলসফির প্রশ্ন করে ফেলেছো! আমি কে এই প্রশ্ন মানুষ হাজার বছর ধরে খুজছে! বাই দ্যা ওয়ে তুমি করে বলায় কিছু মনে করো নি তো?
আপনি আমাকে অনেক বিভ্রান্ত করেছেন এখনও চেষ্টা করছেন। প্রথমে বিভ্রান্ত হলেও এখণ বুঝতে পারছি।
লোকটা হাসে। আচমকা ব্রেক কষে গাড়ি থামায়। বলে:
আপনি ইচ্ছা হলে নেমে যেতে পারেন। বলে লক খুলে দেয়।
মুনিয়া নামে না। খিল খিল করে হেসে ওঠে।
ড্রাইভার বলে:
কি নামবে না?
না নামবো না।
তাহলে কোথায় যাবে?
আমি জানি না। তবে আমাকে সাভার যেতে হবে এগারোটার আগে।
এখন কোথায় যাবে?
কোন নদী আছে যেখানে কাঁশফুল আছে?
এখন শীতকাল কাশফুল কোথায় পাবে? তবে নদী না অন্য কোথাও যাবে?
কোথায়?
এমনিই ঘুরাঘুরি আরকি!
আপনি কে বলুন তো?
পরে বলি? নাকি আমাকে বিশ্বাস হচ্ছে না? বিশ্বাস না হলে চলে যেতে পারো।
মুনিয়া একটা নিঃশ্বাস ফেলে গাড়ির দরজা লাগায়।
গাড়ি ছুটে চলছে দ্রুত গতিতে। মুনিয়ার ভাল লাগছে। যদিও সে জানে না কোথায় ছুটে চলছে। এই ট্যাক্সি ড্রাইভারের চেহারাটা এত পরিচিত মনে হচ্ছে কেন?
এই যে এখানে নামুন। খুব সুন্দর এই যায়গাটা।
মুনিয়া দেখে একটি নদীর পাড় এই শীতে এত কাঁশফুল কোথা থেকে এলো?
মুনিয়ার কৈশরের অবসেশন! মুনিয়া বলে:
আপনি না বলেছিলেন নদীতীরে এখন কাঁশফুল নেই!
তখন জানতাম না তাই বলেছি।
মুনিয়া দেরী করে না। সে ছুটতে শুরু করে। এত ভাল লাগছে তার! তার অবসেশন! তার চোখে পানি আসে। কাদায় পা আটকে যাচ্ছে তবুও সে ছুটছে। ড্রাইভার লোকটিও তার পাশে পাশে আসছে। মুনিয়া হঠাৎ চিনতে পারে লোকটিকে।
আপা, এই যে আপা। আপামনি!
কি হলো? মুনিয়া খানিকটা থতমত খেয়ে ওঠে।
এসে পড়েছি তো। আপনি যে সেই কোথায় যাবেন বলে ঘুমিয়ে পড়লেন আর তো জাগলেন না। ভাড়ার দরদাম ও করেন নি।
মুনিয়া এত অবাক কখনও হয়নি। কোথায় নদীর তীর? সে তো গাড়িতে বসে আছে। আর ড্রাইভার লোকটিও তো সেই সুদর্শন লোকটি নয়। মুনিয়া বলে:
আপনি কে ভাই?
আপা আপনি ঠিক আছেন তো? আমি কি ভিতরে নিয়ে যাবে আপনাকে?
মুনিয়া কোন রকমে ভাড়া দিয়ে বেড়িয়ে আসে। এতক্ষণ যা হয়েছে তা কি তার স্বপ্নই শুধু? সেই নদীর তীর, কাঁশফুল, গ্রীক দেবতাদের মতো দেখতে লোকটি, সুস্বাদু চা সবই ভ্রম! ক্লান্ত ও উত্তপ্ত মস্তিষ্কের কল্পনা! মুনিয়া রাজুদের বাড়িটিকে দেখে বাইরে থেকে। তার খাঁচার ভিতরের পাখিটি ছটফট করতে থাকে।
বাড়িটির ভিতরে ঢুকলেই তার বিয়ে। সে কি ঢুকবে? সবাই বসে আছে। মুনিয়া একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বাড়িটিতে ঢোকে। তার চোখে ছিল অশ্রু।
(২)
সাগরের ফোনটি বেজে চলেছে। সে রিসিভ করে।
তুমি কোথায় সাগর?
আমি বাইরে।
একটু আমাদের বাসায় আসো তো। বাবার সাথে আজ পরিচয় করিয়ে দেব তোমাকে।
আজ পরবো না মিলি।
কেন?
বেশী বিজি।
আজ আমাকে সন্ধ্যায় দেখতে আসবে। আমি আজই জানলাম মাত্র। বাবাকে বলেছি তোমার কথা। বাবা বলেছেন তোমাকে আসতে।
কে দেখতে আসবে?
ওই যে তোমাকে বলেছিলাম না বাবার বন্ধুর ছেলের সাথে বিয়ের কথা চলছিল আমার।
আমার কথা জেনে তোমার বাবা কিছু বলেন নি তোমাকে?
না বলেন নি। তোমাকে আসতে বলেছেন।
আমি গেলে তোমার বাবা যদি হাত পা কেটে প্যাকেটে ভরে ফেলে!
কি যে বলো। তুমি.....
আরো আরে আমি ফান করছি। আমি আসবো অবশ্যই আসবো। কখন আসতে হবে বলো।
সন্ধ্যার আগে আসবে।
ওকে আসবো।
প্রমিজ!
আরে প্রমিজ করার কি আছে? তুমি কি আমাকে বিশ্বাস করো না?
হ্যাঁ করি। মেয়েটি ফোঁপাতে ফোঁপাতে বললো।
আচ্ছা তাহলে এখন রাখি। একটু সাজগোজ করতে হবে না। তিনদিন ধরে গোসল করি না। আজ গোসল দিতে হবে।
মেয়েটি খিল খিল করে হেসে ওঠে।
মেয়েটি খুব অল্পতে খুশি হয় আবার খুব অল্পতেই কষ্ট পায়। সাগর জানে ভাল করে।
সাগর ফোন রাখে। দ্রুত একটি বাড়িতে ঢোকে। সে এই বাড়িতে টিউশনি করে। মিলিদের বাড়িতে আজ যেতে পারবে না। আসলে কখনই যেতে পারবে না। মিলির সাথে একগাদা মিথ্যা কথা বলে রেখেছে সে। তার বাবা ব্যাবসায়ী বাড়ি গাড়ি এত এত! কিছুই বলার বাকি রাখেনি।
মিলি মেয়েটা বোকা তাই তার মিথ্যা গুলো সহজে বিশ্বাস করেছে। আসলে বোকাও না খুব সরল টাইপের মেয়ে। এত ভাল মেয়ে সে কখনও দেখেনি। মনের ভেতর কোন খুঁত নেই মেয়েটির। আজকাল এমন মেয়ে দেখা যায় খুব কম। মিলির জন্যে খুব মায়া হচ্ছে সাগরের। এত ভাল একটা মেয়ের সাথে মিথ্যা গুলো না বললে কি হতো? সে ছাত্র পড়ানোয় মন দেয়। এর পরে আরো দুটি টিউশনি আছে। শেষ হতে হতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে।
কিন্তু সাগরে আজ আর কোন টিউশনিতে যেতে পারেনি। ফোনটাও বন্ধ করে রেখেছে। মিলি নিশ্চই ফোনের উপর ফোন করছে তাকে। যে সরল মেয়ে হয়তো এখনও ভেবে বসে আছে যে সাগর যাবে তাদের বাসায়। সাগরের তার বুকের ভেতরটা কেমন যেন করছে। মিলিকে যখন মিথ্যা গুলো বলেছিল তখন সে জানতো মিলিকে সে কখনও পাবে না। তাহলে কেন সে কষ্ট পাচ্ছে? সাগর নিজের বুকে হাত রাখে। খালি পেটে তিন প্যাকেট সিগারেট খেয়ে শেষ করে ফেলছে। মাথাটা ফাঁকা হয়ে আছে
সন্ধ্যা হবে হবে করছে। সে না গেলে মিলিকে তার বাবা তো ওই ছেলেটার সাথেই বিয়ে দিবেন। নাম যেন কি তার? হ্যাঁ ফুয়াদ। বিরাট ধনীর ছেলে। দেখতেও সুদর্শন। মিলি মতো মেয়েকে ওর সাথেই মানায়! তার বাবা তো সামান্য ডাকপিওন! অনেক কষ্টে সাগরকে পড়াশুনা করিয়েছেন। ছোট আরো চারটি ভাই বোন আছে। ছোট্ট একটা ভাড়া বাসায় থাকে তারা। সাগরের মাস্টার্সটা কমপ্লিট হয়ে গেলে সংসারের হাল ধরতে হবে। চাকরি পাওয়া ও তো সহজ না। সাগর কয়েকটা টিউশনি করে নিজের খরচ মেটায়।
সাগর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। আচ্ছা এখন কি মিলিকে দেখতে পাত্রপক্ষ এসে পড়েছে? এত সুন্দরী মেয়েকে অপছন্দ হবার কিছু নেই। হয়তো এনগেজমেন্টও হয়ে যাবে। অখবা বিয়েও হয়ে যেতে পারে। সাগর জানতো সে কখনও মিলিকে পাবে না। তবুও টিউশনির টাকা থেকে অল্প অল্প করে বাঁচিয়ে সাত হাজার টাকা জমিয়েছে। মিলিকে একটা আংটি কিনে পড়িয়ে দেবার জন্য।
সে দিশেহারার মতো হাঁটে। খুব ইচ্ছা করছে মিলিকে একবার দেখার জন্য। শ্যামলা বর্ণের গোলাগাল মায়া মায়া চেহারার মেয়েটি, বাদামী চোখ।
সাগর রাস্তায় রাস্তায় হেটে বেড়ায়। এতক্ষণে হয়তো মিলির এনগেজমেন্টও হয়ে গেছে। মিলি কি ভেবেছে? সরল মেয়েটি হয়তো এখনও কিছু বোঝেনি। কিংবা বুঝেছে। কি করছে মিলি? কাঁদছে নাকি তাকে অভিশাপ দিচ্ছে?
রাত বারোটা সাগর বাসার বাইরে দাড়িয়ে আছে। তার চোখমুখ ফুলে লাল হয়ে আছে। মা দেখলে হাজারটা প্রশ্ন করবে। বোনগুলিও কম যায় না। সাগরের ভেতরে আবারো ঝড় বইছে। তার খাঁচার ভেতরের পাখিটা খুব কষ্টে আছে। চোখ মুছে সে ভিতরে ঢুকে।
ভিতরে ঢুকে সে অবাক হয়ে যায়। মিলি আর মিলির বাবা বসে আছে সাথে তার বাবা মা আর ভাইবোনেরা। মিলিকে দেখে সাগর লজ্জায় এতটুকু হয়ে যায়। ভেবে পায়না মিলি এখানে কিভাবে এল। তার কি বিয়ে হয়নি?
মিলির বাবা তাকে বলেন:
তুমি এতক্ষণ কোথায় ছিলে ছেলে? সন্ধ্যা থেকে বসে আছি।
সাগর কি বলবে ভেবে পায় না। মাথা নিচু করে রাখে।
আমার মেয়েটা আজ সন্ধ্যা থেকেই কাঁদছে। তাই এখানে নিয়ে আসতে হল তাকে। বড় আদরের মেয়ে। তুমি কি আমার মেয়েকে বিয়ে করবে বাবা?
সাগর মাথা নিচু করে রাথে তুলে না। কারণ তার চোখে আবার পানি এসে পড়েছে। যা সে কাওকে দেখাতে চায় না।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।
আপনি আপু এম আই রাইট?
২| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৩
ঘুড্ডির পাইলট বলেছেন:
ইস ইরাম একখান শ্বশুর যদি দেশের সব পুলারা পাইতো।
লেখা ভালো হইছে , কিন্তু চে গুয়েভারা মুখে প্রেমের গল্প ভালো লাগে না। ফাইটিং পোষ্ট চাই।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: চে গুয়েভারা!!
ফাইটিং পুস্ট লেখতাছি ভাইজান।
৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০০
লক্ষ্যহীন বলেছেন: ছুয়ে গেল আমায় তোমার ছোট্ট এই গল্প দুটো ভাই। ভাল থেকো, আরও লেখ।
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:০৮
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।
অট: আমি আপু।
৪| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:০০
লক্ষ্যহীন বলেছেন: Correction: ছুয়ে গেল আমায় তোমার এই ছোট্ট গল্প দুটো আপু। ভাল থেকো, আরও বেশি বেশি লেখ। আর আমার ব্লগে স্বাগতম :#> :#> :#>
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন:
৫| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:৩৬
জাকারিয়া মুবিন বলেছেন: অসাধারণ, আমারও চোখে পানি চলে এলো।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:৪৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যা।
৬| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:০৮
আমি ইহতিব বলেছেন: ভালো হয়েছে গল্প দুটোই, গল্প লেখা চালিয়ে যান, শুভ কামনা আপনার জন্য।
১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৩:৪০
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন:
৭| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৩৫
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার কাছে প্রথম গল্পটা বেশি ভালো লেগেছে। আমার মনে আপনি সময় দিলে গল্প ভালো লিখতে পারবেন আমার মনে হয়েছে কেন যেন আপনি কিছুটা তাড়াহুড়া করে লিখেছেন। আরো একটু সময় নিয়ে লিখলে আরো বেশি দারুন হত।
অনেক শুভ কামনা রইল।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৫
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ২য় গল্পটা আসলেই তাড়াহুড়ো করে লিখেছি।
ধন্যবাদ। পরামর্শ মাথায় রাখলাম।
৮| ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
সর্বহারা:৭১ বলেছেন: ভালো লিখেছেন।শুভ কামনা।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৬
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
শুভকামনা আপনার জন্যেও।
৯| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:০২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: ক্লাসিক দুইটা গল্প +++++++++++ প্রিয়তে
ভালো থাকবেন সবসময়
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৯:২৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ অপূর্ণ
ভাল থাকুন আপনিও।
১০| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:২২
ফারজানা শিরিন বলেছেন: কৈশরের অবসেশন ছিল কোন এক নদীর তীর ধরে সে দৌড়াবে, চারিদিকে শুভ্র কাঁশফুল থাকবে, তার পড়নে থাকবে সাদা শাড়ি
আমার কৈশোর আর তারুণ্য এখনো এই স্বপ্ন দেখে।
আজ সকাল থেকে মন খুব ভালো । গল্পগুলো ভালোলাগা বাড়ায় দিলো । ধন্যবাদ ।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ১:৫১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: আসেন হাত মিলাই। আমারও এই অবসেশন আছে।
ভাল লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
১১| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:৫০
মাক্স বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখেছেন। এখন প্লাস দিতে পারতাছিনা, পেইজ লোড হয় না। পরে দিয়ে যাচ্ছি।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:২২
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ মাক্স।
১২| ১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:৪৬
অনিমেষ রহমান বলেছেন: ভালো লাগছে-আবারো প্রথমটাই।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১১
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ দাদা। আমার ভাড়া বাড়িতে আপনেরে স্বাগতম।
১৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ ভোর ৪:০৭
নিয়েল ( হিমু ) বলেছেন: হুমায়ূন আহমেদের কাছাকাছি । আর কিছু বলার নাই ।
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১০:১৯
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন:
১৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ বিকাল ৪:১৯
দায়িত্ববান নাগরিক বলেছেন: ভালো লাগলো!
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৪৭
আজ আমি কোথাও যাবো না বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৫| ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৮:৪২
বাংলাদেশী০০৭রকস বলেছেন: আপনার এই গল্পদুটোর মধ্যে প্রথমটাই ভাল লেগেছে।
©somewhere in net ltd.
১|
০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১০:২৫
প্রিয়তমেষূ বলেছেন: অসাধারন লাগলো !!!