![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
পড়তে এবং লিখতে ভাল লাগে, ভালবাসি কবিতা খুব বেশি। আর আছে প্রচণ্ড ছবি আকার নেশা।
১.
ফজরের আযানের সূর কানে যেতেই উঠে বসলো ফারুক মিয়া। আকাশ এখনো অন্ধকার। দরজা খুলে বাইরে আসতেই ঠাণ্ডা হাওয়াতে ঘুম কেটে গেল। ওজু করে নামাজ শেষ করে তাড়াতাড়ি বের হইতে হবে। ওদিকে কিছুক্ষণ পর হাক ডাক শুরু করবে চাঁন মিয়া। ভোরের আলো বেরুবার সাথে হলুদ পিকাপ ভ্যান চলে আসে রোজকার দিনের মত মাঠের পাশে বড় রাস্তাতে। মেলা কাজ পরে আছে। ফারুক মিয়া নামাজ শেষ করে হাঁক দেয়,
_মা আয়েশা কই গেলি ?
একটু মুড়ি দে, খালি পেটে মাঠে গেলে শরীর ভাল লাগে না, আয়েশা ?
শেষ রাতের আলো কেটে এগিয়ে আসে চাঁন মিয়া।
_ওস্তাদ, ও ওস্তাদ! আজও তোমার দেরি হইল। গাড়ি যে চইলা আইছে।
এই সময় আয়েশা এক পাতিল মুড়ি নিয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। চাঁন মিয়ার কথা থেমে যায়। কেন জানি আয়েশা কে দেখলে চাঁন মিয়ার কথা ভিতরে আটকে যায়। ভোরের নোনতা আলোয় ভাল করে আয়েশাকে দেখার চেষ্টা করে চাঁন ।
_ চাঁন ভাই আইছ।
বাজান ও বাজান চাঁন ভাই আইছে।
_চাঁন ভাই তুমিও দুইটা মুড়ি নেও।
এই মাইয়া টা নিশ্চয় যাদু টোনা জানে, নাইলে ক্যামনে তার কথা বন্ধ হয়ে যায়। আয়েশার মা মইরা গেছে অনেক আগে। সারাদিন নামাজ দরূদে দিন পার করে। মনে হয় জিন পুষে। এই নিভু নিভু আলোতে বড়ই সুন্দর লাগতাছে আয়েশা কে। একখান পরী সাদা চাদর গায়ে জড়াইয়া সামনে এসে দাড়াইছে। চাঁন মিয়া শেষ রাতের পানি চুবানো ভাত গলা পর্যন্ত খেয়ে হজমের আশাই হেঁটে আইছে ওস্তাদের বাড়িতে। এক চিমটি লবণ খাওউনের জায়গা খালি নেই পেটে। কিন্তু চাঁন মিয়া সম্মোহিত পোকার মত আগুনের দিকে লাফ দেয়, মানে মুড়ির পাতিল হাতে নেয়। একমুঠো হাতে নিয়ে দাড়ায়ে থাকে উঠানে। কিন্তু খাইতে পারে না। যতক্ষণ আয়েশা দাঁড়াইয়া থাকবে ততক্ষণ সে নড়তে পারবে না। হে আল্লাহ্ তুমি ক্যান এই মাইয়াটারে বানাইছ আর বানাইলে যখন ওস্তাদের ঘরে ক্যান?
ফারুক মিয়া ঘর থেকে বাইরে এসে দাঁড়ায়। খুব বেশী শীত তাই চাদর খান মাথায় পেঁচিয়ে নেমে পরে উঠানে।
_কিরে চান, হাতে মুড়ি নিয়া দাঁড়াইলি ক্যান? চল হাঁটা দিই না হলে ওরা চেঁচাইতে শুরু কইরা দেবে।
সম্বিত ফিরে পায় চাঁন। হাতে মুড়ি সেভাবেই ধড়ে ওস্তাদের পেছন পেছন টান পায়ে বেড়িয়ে আসে উঠান থেকে।
আয়েশা দাড়িয়ে থাকে বারান্দার। মনে মনে হাসে, এত বোকা ক্যান মানুষটা? কিরকম বোকার মত চেয়ে থাকে। বেশ মজা লাগে আয়েশার চাঁন মিয়ার বোকা বোকা চেহারা। প্রতিদিন ইচ্ছে করেই তাকে জোড় করে মুড়ি এনে দেয় যাতে তার বোকা চেহারা দেখতে পারে। প্রথম দিনই সে বুঝতে পেরেছিল, এই মানুষটা খুব বোকা, খুবই বোকা।
২.
শহরের প্রান কেন্দ্রে শফিকের ফুলের দোকান। থানার মোড়ে আরও কয়েকটা ফুলের দোকান আছে কিন্তু তার দোকানে বেচা বিক্রি বেশী। কারণ শফিক সবার থেকে দাম কম রাখে, তাতে বিক্রি বেশী হয় লাভও বেশী। আজ দোকানে খুব ভিড় হবে, আগামীকাল ভালবাসা দিবস আর ছেলেদের ফকির হবার দিন। শফিক দোকান খুলেছে ভোর সাড়ে ছ’টায়। আলামপুর থেকে এখনো ফুলের গাড়ি আসে নি। দেরি সহ্য হচ্ছে না আজ।
_এই বাচ্চু, দেখ তো গাড়ি কতদূর?
_ ক্যামনে দেখুম ওস্তাদ?
_আরে হারামি, মোবাইলে কল লাগা।
_মোবাইলে টাকা নেই ওস্তাদ।
_থাকবে ক্যামনে, সারাদিন মেয়েদের সাথে কথা বলবা মোবাইলে আর দোকানের কাজে কল করতে বললে কইবা টাকা নেই। ভাল, তোর বেতন থেকে এবার টাকা কাটবো।
_কি যে কন না, সারাদিন দোকানের কাজে টাইম পায় না আবার মোবাইলে কথা কমু !
_ হ... কত কাজ যে করিস সেইটা তো দেখিই!
_ যা, চা নিয়ে আয় সাথে একটা সিগারেট আনবি।
শফিক নিজেই কল লাগায়।
-ওই জব্বার মিয়া, একখান জব্বর চা বানাও। আর আমারে একখান সিগারেট দেও দেখি।
_তোর সিগারেট বন্ধ।
_কে?
_বাকি পরছে অনেক।
_তো কি হইছে?
_টাকা শোধ দে তারপর দিমু।
_আচ্ছা দিমু নে।
_এখন দে।
_শফিক ভাই দুইটা সিগারেট চাইছে। ওই দুইটা দাও আর চা দেও। তোমার দোকানে আমি মুততেও আসুম না আর। শালা কিপ্টা জব্বার!
বাচ্চু একটা সিগারেট শেষ করে তাকিয়ে দেখে দূর থেক হলুদ একখান পিকআপ ভ্যান আসছে। শালা জবর কুয়াশা নইলে এই সকালেও হেড লাইট জ্বালানো লাগবো ক্যান! তবে আজ ব্যবসা ভাল হবে। কাল পিরিত দিবস জোয়ান বুড়া সব লোকে ফুল কিনবো। এই দিনে দাম চার ডবল বেড়ে যায়। পুরাটায় লাভ। ওস্তাদের মন ভাল থাকলে কিছু টাকা চেয়ে নিবে আজ। মোস্তফার দোকানে বাকি না মেটালে ঘরে ভাত জুটবো না আর।
৩.
মিথুন আজ সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠেছে। যদিও অনেক বেলা করে উঠা তার অভ্যাস কিন্তু আজ ভালবাসা দিবস। অনেক বেশি এক্সাইটেড আজ ও। মনে হয় বিভার সাথে প্রথম সব কিছু হতে যাচ্ছে। অনেক কষ্টে বিভাকে রাজি করিয়েছে। সকাল বেলা বিভাকে ফোন করে এগারোটার দিকে থাকতে বলেছে নদীর ধাঁরে। ওখান থেকে বাকি কাজ সারতে হবে। এখন বেলা দশটা। মিথুন দাড়িয়ে আছে শফিকের দোকানে। খুব ভিড় লেগে গেছে এরই মধ্য। শালা শহরে এত প্রেমিক! কেউ বাদ নেই। মিথুন কে দেখে শফিক হাঁক ছাড়ে,
_এই যে রোমিও, খবর কি তোমার?
_ভাল আছি ভাই। আপনি তো সেইরাম চামে আছেন।
_হ, তোমাদের মত মধু প্রেমিকদের কারনে বেঁচে আছি। তো আজকের প্রোগ্রাম কি?
_গতবারের মতই।
_তো আজ কই যাবা?
_পুরাতন জায়গাতেই।
_একবার কি একই জিনিস না নতুন কাউরে পেলে?
_নতুন, চার মাস হইলো।
_তাই, পারো তুমি ।
_তো ফুল নিবা নাকি?
_হ ওই কামেই আইছি।
_আজ মেলা দাম ফুলের।
_জানি কিন্তু আমার কাছ থেকে বেশী নিতে পারবা না!
_আচ্ছা, একটা গোলাপ তিরিশ টাকা করে বেচতাছি, তুমি বিশ করে দিও।
_ওকে।
বিভা খুব বেশি উৎকণ্ঠায় আছে আজ। সকাল থেকে শুধুই ঘামছে। কাল সারারাত ঘুম হয় নি। আজ অনেক কিছু হতে যাচ্ছে ওর জীবনে। মিথুন খুব বেশি জেদি। অবশেষে হার মানতেই হল বিভার। গতকাল বিভাকে নীল শাড়ি কিনে দিয়েছে আজ পরতে হবে বলে। কিন্তু ব্লাউজ ম্যাচিং করতে জত ঝামেলা। রাবু আপার কাছে থেকে চেয়ে নেবে কিনা ভাবছে এসময় ফোন বেজে উঠলো।
_এই কই তুমি , আমি কখন থেকে দাড়িয়ে আছি।
_আসতেছি, আর একটু অপেক্ষা কর সোনা।
_খুব তাড়াতাড়ি কিন্তু।
রাবু আপার ঘরে কেউ নেই। আলনাতে রাবু আপার ব্লাউজ পরে আছে। একটা খুঁজে নিলেই হল। সকাল থেকে কই যে গেছে আপা তার ঠিক নেই। আপা টা এমনই সব সময়। কিন্তু বারান্দার দরজা খোলা। আলো আসছে ঘরের ভিতরে। আপা কি বারান্দায়?
_আপা এখানে কি করিস?
_কিছু না, তুই কি মনে করে?
_তোর একটা ব্লাউজ নিতে এসেছিলাম।
_কি করবি? কোথাও যাবি নাকি?
_হুম, বন্ধুদের সাথে প্রোগ্রাম আছে।
রাবুর চোখে ধরা পরে যায় বিভার লাজুক চেহারা। এই সামান্য কথায় কেন বিভা লজ্জা পাবে ভেবে পাচ্ছে না। তাহলে কি অন্য কিছু।
_সত্যি করে বল কোথায় যাবি?
_বললাম তো বন্ধুদের সাথে।
এর আগে রাবু কখনোই বিভাকে এরকম প্রশ্ন করে নি। আজ কেন করছে ? তবে কি আপা বুঝে ফেলেছে তার বিশেষ আয়োজন। বিভা তর্ক না বেড়িয়ে চলে যায়। আজ ও সত্যি খুব উত্তেজনায় আছে। হয়তো মুখ ফসকে বেড়িয়ে যেতে পারে সব কিছু তাই তাড়াতাড়ি চলে আসে।
৪.
রাবুর চোখে খুব জল আজ। সকাল থেকেই মন খুব বেশি খারাপ। এই ভালবাসা দিবস আসলে তার মনে পরে যায় এক মস্ত বড় ভুলের কথা। এক সর্বগ্রাসী প্রতারকের চেহারা। কত বড় ভুল যে সেদিন করেছিল তার খেসারত আজ অবধি দিয়ে যাচ্ছে। আজ ঘৃণা হয় সব পুরুষকে, সব কয়টাকে মনে হয় আজন্ম প্রতারক। ফুলের কাছে থেকে সব কিছু কেড়ে মাটিতে পিষে ফেলে তাকে। বিভা কি সেই একই ভুল করতে চলেছে। বিভার চোখে ও কিসের আলো, কিসের লজ্জা? এই একই লজ্জা গত বছর তার চোখে তার মুখে ছিল না? যখন মায়ের কাছ থেকে শাড়ি চেয়ে আনতে গিয়েছিল। মা জানতে চেয়েছিল কি করবি শাড়ি নিয়ে? তখন একই চেহারা ভেসে উঠলো তার সামনে। অতীত সামনে এসে দাড়িয়ে জানাল দিল মেয়েরাই আজীবন দিয়ে যাবে ভুলের মাশুল। আজ আর একটি ভুল হতে যাচ্ছে। পারবে কি রাবুর মত বিভা নিজেকে সামলে নিতে?
৫.
সকাল থেকে দুপুর। তারপর বিকাল একটি লাল গোলাপ বিভার হাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে বাইক থেকে নদীর ধাঁর, ফাস্ট ফুড, দুপুরে রেস্টুরেন্ট, বিকালে কফি শপ, সিনেমা হল। ঝুলতে ঝুলতে ঘাড় বাঁকা হয়ে গেছে ফুলের। এখন তরতাজা নেই সে। চরম ক্লান্ত। আর কত যে ঘুরবে এই মেয়ে জানি না। একটা পানির জারে রেখে দিলে ঠাণ্ডা হতে পারতাম। গলা টা শুকিয়ে কাঠ। মেয়েটা এখন সিঁড়ি ভাঙছে তার সাথে ফুলটার মাথা কাঁপছে। এবার মনে হয় মাথা টা খুলে পড়বে মেঝেতে। আর পারে না। দোতলার সিঁড়ি ভেঙে একটি ঘরে মেয়েটি বসলো। সাথে ছেলেটি। ঘরের কি শ্রিরি? গন্ধ, ময়লা যাচ্ছে তাই। একটি হলুদ কালারের চল্লিশ ওয়াটের বাল্ব ঝুকছে সিলিং বরাবর। একটি খাট, ছোট টেবিল আর চেয়ার। এই হল ঘর।
ঘরের ভিতর গুমোট আবহাওয়া, দুটি মানুষের চাপা গর্জন। ঘাম ছুটে যাচ্ছে এ শরীর থেকে ও শরীর। ফুল টি ঝুলে ছিল যে হাতে সে হাত ব্যস্ত। ফুলটি পরে আছে টেবিলের উপর। তাকিয়ে আছে বিছানায় দুটি মানুষের দিকে। বুঝতে পারে না সে কি হচ্ছে ওখানে। শুধু অবাক চেয়ে আছে। সকাল বেলা যখন সে উঠে এসেছিল মেয়েটির হাতে তার রুপ দেখে মুগ্ধ হয়েছিল। বাহ দারুন সুন্দর মেয়ে! এখন সন্ধ্যার অন্ধকারে চিনতে পারছে না মেয়েটিকে। শুধু শব্দ আর নিঃশ্বাসের দীর্ঘ শব্দ।
আজ সকালে এসেছে এই শহরে গোলাপটি। খুব ভোরে একটি বোকা বোকা চেহারার লোক তাকে অনেক যত্নে বাগান থেকে তুলে গাড়িতে ফেলে দিয়েছিল। তার চোখে ছিল সকালের লজ্জা। যেন প্রথম প্রণয়ে লজ্জিত এক প্রেমিক। তারপর দোকানের পানি ভর্তি বালতি, কিছুক্ষণ বাদে মেয়েটার নরম হাত। বেশ কাটল সারাদিন। কিন্তু এই বদ্ধ ঘরে দম আটকে আসছে তার। কখন যে শেষ হবে ওদের কুস্তি?
৬.
রাত ন’টা। টেবিলের উপর সেই ভাবে মাথা কাঁত করে পরে আছে গোলাপ। ওরা চলে গেছে ঘণ্টা দুয়েক আগে। নিয়ে যায় নি তাকে। গলা শুকিয়ে আসছে তার কিন্তু কেউ নেই শোনবার। এভাবেই ঘুম এসে গেল ফুলের। সকাল বেলা দরজা খুলার শব্দে ঘুম ভেঙে গেল। আহা! আবার সকাল এলো।
সকাল সাতটা। গোলাপ পরে আছে ডাস্টবিনে। আরও অনেক ফুলের সাথে। কারো হাত নেই কারো পা নেই মাথা নেই, পাপড়িহীন ফুলের সংখ্যা বেশি। বিকট গন্ধ চারদিকে।
চাঁন মিয়া সকাল বেলা দাড়িয়ে আছে ইস্কুলে যাবার পথে। আজ মাঠ থেকে একটি বিঘত সাইজের গোলাপ ছিঁড়ে গামছার ভিতর লুকিয়ে রেখেছে। আয়েশা কে দেখা যায় হাত চল্লিশেক দূরে। চাঁন মিয়ার গলা শুকায় কাঁঠ। পা দুটি নড়ে না, অসার হইয়া গেছে। আবার সেই সমস্যা। মেয়েটার কাছে গেলেই হবেই এটা। কিন্তু আজ আয়েশা অনেক দূরে আছে তবুও চাঁন মিয়া পাথর হইয়া গেছে। আয়েশা আরও কাছে এসে পরে। এক সময় চাঁন মিয়ার কাছে এসে পরে।
_কি চাঁন ভাই, এখানে খাড়াইয়া কি কর?
-কিছু না।
_কারো জন্য ওয়েট করতাছ নাকি?
_না।
_তাইলে যাও না কেন?
_তুমি যাও, আমি যাইতাছি।
আয়েশা চলে গেলে সম্বিত ফিরে পায় চাঁন মিয়া। গামছাটা খোলা হয় না। মাটি মুখ রাস্তা দেখতে দেখত ফিরে আসে বাড়ি।
_এই চাঁন, মুখ শুকনা ক্যান?
_কিছু না।
-খাবি কিছু।
_না।
চৌকির নিচ থেকে টিনের বাক্স টেনে বের করে চাঁন মিয়া। গত এক বছর খোলা হয় না এর মুখ। ইস্ক্রুড্রাইভারের মাথা দিয়ে চাপ মারে। খুলে আসে ঢাকনা। গামছা থেকে গোলাপটা বের করে আলগোছে রেখে দেয় বাক্সের ভিতর। মোট ছয়টা গোলাপ।
রাবু দাড়িয়ে থাকে বারান্দায়। রেলিং বেয়ে টপটপ করে গড়িয়ে পরে জল। হয়তো নীল একটি নদীর স্রোত বয়ে যাবে এই শহরে আজ। সামনের বাড়ির রেলিঙে একটি ফুল ফুটে আছে সমস্ত বিকাল জুড়ে। হতে পারে সে আর কোনদিনই ফুল ভালবাসতে পারবে না।
___________________________________________________
©somewhere in net ltd.