নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি এম. বোরহান উদ্দিন রতন, জন্ম : বাংলাদেশের ফেনী জেলায় দাগনভুঁইয়া উপজেলায়, পেশায় একজন প্রফেশনাল আইটি স্পেশালিস্ট গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও চিত্রশিল্পী । সেই সাথে সামাজিক, ক্রীড়া ও রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে যুক্ত আছি ।

এম. বোরহান উদ্দিন রতন

মানুষ হয়ে ওঠাই বড় চ্যালেঞ্জ

এম. বোরহান উদ্দিন রতন › বিস্তারিত পোস্টঃ

নির্বাচনের ওপর দেশের মানুষ আস্থা হারিয়েছে

১১ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:২৩

গত ৩০ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রভাব এর পরের সব নির্বাচনের ওপরে পড়েছে। নির্বাচন কমিশন থেকে যত যা-ই কিছু বলা হোক না কেন, নির্বাচনগুলোতে ভোটারের উপস্থিতি ধারাবাহিকভাবে কমেছে বলে আমরা শুনেছি। এটা হঠাৎ কোনো ঘটনা না।

আর জাতীয় নির্বাচনের চেয়ে এই নির্বাচনের একটি পার্থক্য হচ্ছে, এখানে শুধু ক্ষমতাসীন দলের জোট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল এই নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ফলে এখানে কোনো প্রতিযোগিতা হয়নি। সরকারি দল যাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে, তিনি ৫ শতাংশ ভোট পেলেও জিতবেন, ৫০ শতাংশ ভোট পেলেও জিতবেন। এ ধরনের প্রতিযোগিতার মধ্যে একজন প্রার্থী কেন ভোটে বেশি মনোযোগ দেবেন। তাঁর তো কোনো প্রতিযোগী নেই। ফলে প্রার্থীর কাছেও এই নির্বাচনের গুরুত্ব ছিল কম। দুর্বল ও অনাগ্রহী অনেক প্রার্থী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। নির্বাচন নিয়ে তাঁদের মাথাব্যথা নেই। ৯৬ টির মতো আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। প্রচার-প্রচারণায়ও প্রার্থীদের তেমন সক্রিয় মনে হয়নি। সামগ্রিকভাবে নির্বাচনকে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিরুত্তাপ হিসেবে বলা হয়েছে।

নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা কমে আসাটা একটা প্রবণতা হয়ে গেছে। এখান থেকে আমরা বড় কিছু আশা করতে পারব না। এখান থেকে বের হওয়াও কঠিন হয়ে যাবে। আবার এই নির্বাচনের মধ্যেও সিল-ছাপ্পর মারা হয়েছে। আগের রাতে ভোটবাক্স ভরে ফেলার কথা এবারও শোনা যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন থেকে বেশ কিছু ঘটনার কথা স্বীকারও করা হয়েছে। কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার পর ফলাফল ঘোষণা হলে স্বীকার করে লাভ কী? জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ ধরনের অভিযোগ ওঠার পর নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। এবার তাঁরা ভোট নিয়ে অভিযোগ স্বীকার করে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। কিন্তু এসব কিছু করে নির্বাচনের ওপর মানুষের আস্থা ফেরানো যাচ্ছে না।

এই উপজেলা নির্বাচনটি সেখানেই হচ্ছে, যেখানে কয়েক মাস আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়ে গেছে। স্থানীয় জনগণ তো ওই নির্বাচনটি দেখেছেন। সেখান থেকে তাঁদের একটি অভিজ্ঞতা হয়েছে। ফলে তাঁরা সে অনুযায়ী নির্বাচনে ভোট দিতে গেছেন। অন্যদিক যদি আমরা দেখি যে উপজেলায় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ক্ষমতাও তেমন নেই। যদিও উপজেলা একটি প্রশাসনিক ইউনিট। আর সাংসদেরা এখানে সমন্বয় করতে করতে তাঁদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন। গম বিতরণ থেকে শুরু করে সবকিছুতে সাংসদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হয়েছে। উপজেলা চেয়ারম্যানদের হাতে তেমন কোনো ক্ষমতাই নেই। ফলে নির্বাচিত হয়েও তাঁরা কতটুকু কী করতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ফলে সামগ্রিকভাবে উপজেলা-ব্যবস্থার গুরুত্ব কমে গেছে। সবকিছু মিলিয়ে ভোটার ও প্রার্থী উভয়ের আগ্রহ কমেছে।

মন্তব্য ১৫ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (১৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৩

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: চেয়ারম্যানদের হাতে তেমন কোনো
ক্ষমতাই নেই। ফলে নির্বাচিত হয়েও তাঁরা
কতটুকু কী করতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয়
রয়েছে। ফলে সামগ্রিকভাবে উপজেলা-
ব্যবস্থার গুরুত্ব কমে গেছে। সবকিছু
মিলিয়ে ভোটার ও প্রার্থী উভয়ের আগ্রহ
কমেছে।


চেয়ারম্যান যদি আওয়ামীলীগ এর হয় তাহলে তার ক্ষমতা অনেক বেশি...

আমার উপজেলা চেয়ারম্যান বি এন পির...

কিন্তু তিনি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর চেয়ে ক্ষমতাশীল নয়... আমাদের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর উপরে সে কখনোই কথা বলরে পারে না। ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ এর।

আর ওরা আগ্রহী কম হচ্ছে... এটাও মনে করি না আমি...

তবে ওনাদের হাতে অনুদান কম আসে, এটাই বলা চলে..

২| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৪৬

এম. বোরহান উদ্দিন রতন বলেছেন: অবশেষে বহুল প্রতিক্ষার ডাকসু নির্বাচনও শেষ হলো ভোট ডাকাতির মহোৎসবের মধ্যদিয়ে এই হলো আমাদের গণতন্ত্র !

৩| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৬

আমি মুক্তা বলেছেন: সরকার যা বলবে বিনা প্রতিবাদে তা মেনে নেওয়াটাই গণতন্ত্র। এটা গণতন্ত্রের নতুন সংজ্ঞা। আসুন সকলে মিলে এই নতুন সংজ্ঞাটি ডিকশনারীতে সংযোজনের জন্য বাংলা একাডেমি'র দৃষ্টি আকষণ করি!

৪| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮

আমি মুক্তা বলেছেন: ঘটনা কি? মন্তব্য করার সময় দেখলাম ৮৯৫ বার পঠিত, মন্তব্য করার পর ৯৮৫। মিনিটে ১০০+ ভিউ, এ তো রীতিমত ভিউর হরিলুট চলছে ভাই। =p~

৫| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৩:২৬

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: জানলাম।

৬| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:১০

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ১৫৭৬ বার পাঠিত এসব কারা করছে?

১১ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:১৯

এম. বোরহান উদ্দিন রতন বলেছেন: কি হিংসে হয় ?

৭| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৭

জগতারন বলেছেন:
আমি পোষ্ট দাতা'র সাথে দ্বিমত পোষন করছি।

৮| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:০৮

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: নীতি-আদর্শহীন ক্ষমতাসীন ডাকাত দলের প্রতিপক্ষও যদি নীতি আদর্শহীন ভদ্র টাইপের বেকুব চোরদের দল হয়, তাহলে এমনটা হবেই।
দুর্ভাগ্য জাতির।

৯| ১১ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৯

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি শিরোনামেই সব বলে দিয়েছেন।

১০| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৪১

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: যে নির্বাচনী অধিকারকে(ফলকে) অবজ্ঞা করায় পাকিস্তান ভেঙ্গে আমরা স্বাধীন হলাম, ইতিহাসের কি নিদারুন প্রহসন
বঙ্গবন্ধুর কন্যার হাতেই ১৬ কোটি নাগরিকের সেই অধিকার আজ ভুলুন্ঠিত!
সংবিধানের দোহাই দিয়ে সংবিধানকেই উলঙ্গন করা হচ্ছে বারবার!

৥ জুনায়েদ বি রাহমান - কে বেকুব, কে চোর কে বাটপার নির্ধারনের ভাল টুকু জনগণের উপরই ছেড়ে দিননা আস্থা থাকলে!
স্বৈরাচারিতার বৈধতায় বেই হাস্যকর আর ঠুনকো কুযুক্তি বাদদিয়ে সংবিধান এবং সত্যকে প্রতিষ্ঠিতি করুন।
আর চোর ঠেকানোর জপ করতে করতে অলখে যে ডাকাত হয়ে গেছে তার খেয়াল করছেন না দলান্ধতায় বুদ হয়েই রইবেন!!!!!

১২ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৫

এম. বোরহান উদ্দিন রতন বলেছেন: সম্পূর্ণ একমত পোষণ করছি আপনার মন্তব্যের সাথে

১১| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৩৯

নীল আকাশ বলেছেন: এইদেশে উত্তর কোরিয়ার মতো নির্বাচন শুরু করা উচিৎ তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে.........

১২| ১২ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৯

তারেক_মাহমুদ বলেছেন: মোটেই হিংসে হচ্ছে না, সন্দেহ হচ্ছে।

১২ ই মার্চ, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

এম. বোরহান উদ্দিন রতন বলেছেন: সন্দেহ হওয়াটা আপনার স্বতন্ত্র ব্যাপার, চেষ্টা করুন সন্দেহের কারণ উদঘাটন করুন আশাকরি পাবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.