নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল আহমেদ

একজন গাঙ্গচিল

লেখলেখি করি একটু আধটু যদিও লেখার হাত ভালো না। অবশ্য লেখালেখির চেয়ে বড় পরিচয় আমি একজন বড় পাঠক। মুক্তিযুদ্ধ আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। সবসময় স্বপ্ন দেখি একটা সুন্দর বাংলাদেশের। ইমেইল[email protected]

একজন গাঙ্গচিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলাদেশ ত্রিপুরা সম্পর্ক-০১

১৬ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১:১৭

বাংলা ভাষার অধ্যুষিত এলাকা বলতে বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ কে বোঝায় বা আমরা বুঝে থাকি। এর পাশাপাশি ভারতের ত্রিপুরাতে এবং আসামের কিছু অংশে বাংলা ভাষার প্রচলন আছে এটা হয়তো আমরা গণনায় আনিনা।

ত্রিপুরা তে মোটামুটি প্রায় সবাই বাংলায় কথা বলে। ত্রিপুরাতে বাংলা ভাষার ব্যাবহার থাকলেও তারা ভাষাভাষীর সব প্রয়োজনে কলকাতার উপর নির্ভরশীল।

বিভিন্ন ব্লগে, পেপার, ভ্রমন কাহিনি, তাদের কিছু ফেসবুক পেজে লক্ষ্য রেখেও আমি দেখেছি শুধু তাদের ভেতর বাংলা ভাষার প্রচলন থাকলেও তাদের ভেতর অন্যান্যতে যথেষ্ট অমিল রয়েছে বলে আমার মনে হয়েছে। ত্রিপুরাবাসী যতটা না মিল খুজে পায় কলকাতার সাথে তার চেয়েও ঢের বেশি সাদৃশ্য রয়েছে বাংলাদেশের সাথে। ভাষার আঞ্চলিকতার টান বাংলাদেশের সাথেই বেশি। শুধু আঞ্চলিকতার টান নয় তাদের আচার ব্যাবহারে, চালচলনে, আত্মার টানে বাংলাদেশের সাথেই কলকাতার চেয়েই বেশি সাদৃশ্য পাওয়া যায়।

আমি যতদুর জানি তারা তাদের প্রদেশের রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তারা একটা পার্ক তৈরি করেছে, ভারতের কেন্দ্রিয় নেতারা সেখানে উপস্থিত হলে যতটা না মানুষের আবেগ কাজ করে তার চেয়ে নাকি বেশি আবেগ কাজ করে বাংলাদেশ থেকে এমপি কিংবা মন্ত্রী গেলে, বাংলাদেশের অনেক পন্যের তুমুল চাহিদাও নাকি রয়েছে সেখানে।

তাদের ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথম ডি লিট প্রাপ্ত ব্যাক্তি হচ্ছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তাদের এই আবেগ কে হয়তো আমরা কাজে লাগাতে পারি, বিশেষ করে টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। যেমন কলকাতার কোনো রিয়েলিটি শো তে বাংলাদেশ থেকে প্রতিযোগী নিতে চাইলে প্রচুর সাড়া পায় তারা, কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে তার উলটো হয়, আমাদের কোন কিছুতেই কলকাতার সাড়া শব্দ নেই বললেই চলে।

এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ত্রিপুরা থেকেও প্রতিযোগীদের আমন্ত্রন জানাতে পারে, আমার বিশ্বাস আমারা এক্ষেত্রে কলকাতার চেয়েও অনেক বেশী সাড়া পাবো। তবে এক্ষেত্রে ত্রিপুরার স্থানীয় চ্যানেলকে ত্রিপুরার জন্য সম্প্রচারের দায়িত্ব দিতে হবে যদিও ত্রিপুরাতে স্থানীয় চ্যানেলের সংখ্যা হাতে গোনা ৪-৫ টা মত (আমি আসল সংখ্যাটা সঠিক জানিনা)। কেননা ভারতে বাংলাদেশীয় চ্যানেল নিষিদ্ধ তাই এই পদ্ধতি অনুসরন করা যেতে পারে। আমার মনে হয় এক্ষেত্রে আমরা বিপুল সাড়া পাবো।

আজকে একটা বিষয় নিয়ে লিখলাম কেননা আমি নতুন ব্লগার, যদি মোটামুটি আপনাদের কাছে লেখাটা নিয়ে সাড়া পায় তবে ত্রিপুরা বাংলাদেশ সম্পর্ক নিয়ে আমি অনেক কিছু লিখবো।
সবার কাছে দোয়া চাই।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৪২

এম মশিউর বলেছেন: বাংলাদেশ ত্রিপুরা সম্পর্ক- বিষয়টি চমৎকার। এ বিষয়ে সিরিজটা চালিয়ে যেতে পারেন।

ব্লগে আপনি নতুন, তাই কিছু কথা-
-বেশি বেশি অন্য ব্লগারদের পোস্ট পড়ুন।
- আর কমেন্টের আশায় বসে না থেকে আপনার প্রিয় বিষয়গুলো নিয়ে লিখতে থাকুন।
- দশটা লেখার মধ্যে অবশ্যই একটা ভালো লেখা বের হয়ে আসবে।
- লিখতে লিখতে একসময় আরো ধারালো হয়ে উঠবেন।


পরামর্শ দেওয়া হিসেবে নয়, সহব্লগার হিসেবে কিছু কথা বললাম। পরামর্শ দেওয়ার মত বড় ব্লগার এখনো হতে পারি নি।

শুভকামনা এবং শুভ ব্লগিং :)

২| ১৮ ই এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৪৫

একজন গাঙ্গচিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর পরামর্শ দেবার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.