নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল আহমেদ

একজন গাঙ্গচিল

লেখলেখি করি একটু আধটু যদিও লেখার হাত ভালো না। অবশ্য লেখালেখির চেয়ে বড় পরিচয় আমি একজন বড় পাঠক। মুক্তিযুদ্ধ আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। সবসময় স্বপ্ন দেখি একটা সুন্দর বাংলাদেশের। ইমেইল[email protected]

একজন গাঙ্গচিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুঠোফোনে কথা বলার খরচ বাড়ছে।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৫

সব ধরনের মুঠোফোন ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ১ শতাংশ হার সারচার্জ নেওয়ার প্রস্তাব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে মুঠোফোনে কথা বলার খরচ কিছুটা বাড়বে।

এর আগে চলতি অর্থবছর থেকে দেশে উৎপাদিত ও আমদানি করা মুঠোফোনের ওপর ১ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করা হয়েছিল।

নতুন প্রস্তাবিত সারচার্জ সংগ্রহ করা হবে মুঠোফোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। প্রতিষ্ঠানগুলো প্রি-পেইড ফোনের ক্ষেত্রে এই টাকা কার্ড কেনা বা ফ্লেক্সিলোড করার সময় এবং পোস্ট-পেইড ফোন ব্যবহারকারীদের বিল পরিশোধের সময় এই সারচার্জ কেটে নেবে। পরে প্রতিষ্ঠানগুলো তা এনবিআরকে পরিশোধ করবে। এতে সরকারের বছরে ১৩০ কোটি টাকার বাড়তি রাজস্ব আদায় হবে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।

এই সারচার্জ আরোপ-সংক্রান্ত একটি সার-সংক্ষেপ তৈরি করেছে এনবিআর। তা অনুমোদনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় অনুমোদন করলে তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য মন্ত্রিসভায় যাবে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) হিসাবে দেশের সাড়ে ১১ কোটিরও বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার হয়।

এনবিআরের এ উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন মোবাইল খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা মনে করছেন, এতে এ খাতে প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।

তবে এনবিআরের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বলেন, সারচার্জের কারণে মুঠোফোন ব্যবহারকারীর ওপর খুব বেশি চাপ পড়বে না। মুঠোফোন কোম্পানিগুলো কার্ড কেনা বা ফ্লেক্সিলোড করার সময় মূসক ও সারচার্জ কেটে রেখে টক টাইম দেবে। কেউ যদি মাসে ৩০০ টাকা রিচার্জ করেন, তাহলে তাঁকে মাসে তিন টাকা বাড়তি খরচ করতে হবে।

এনবিআরের এই নিয়ম কার্যকর হলে ১০০ টাকার রিচার্জ বা ফ্লেক্সিলোড করলে একজন মুঠোফোন ব্যবহারকারী ৮৪ টাকার টক টাইম পাবেন। বর্তমানে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) কেটে রাখার পর ৮৫ টাকার টক টাইম পান। ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য রিচার্জ করলেও সারচার্জ কাটা হবে।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক অর্থনীতিবিদ জায়েদ বখত মনে করেন, সরকারের জন্য এটা রাজস্ব আদায়ের সহজ পথ। কিন্তু এটা নিম্ন আয়ের ব্যবহারকারীদের ওপর চাপ বাড়াবে।

গ্রামীণ ফোনের মুখপাত্র ও করপোরেট কমিউনিকেশনস বিভাগের প্রধান তাহমীদ আজিজুল হক প্রথম আলোকে বলেন, এই সারচার্জ আরোপ মোবাইল খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিকাশের গতি শ্লথ হয়ে যেতে পারে।

বাংলা লিংকের জ্যেষ্ঠ পরিচালক (গভর্নমেন্ট ও রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স) তাইমুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত সারচার্জ বসালে অনেকেই কথা বলা কমিয়ে দিতে পারেন। এ কারণে ভবিষ্যতে কোম্পানিগুলোর রাজস্ব কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।

চলতি ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেট পাসের দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর বক্তৃতায় মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের ওপর সারচার্জ আরোপের প্রস্তাব করেন।

আয় ও ব্যয় এই দুই খাতেই সারচার্জ আরোপ হয়। বৈষম্য কমাতে অপেক্ষাকৃত বেশি আয় করেন এমন ব্যক্তির কাছ থেকে সার চার্জ আরোপ করা হয়। আবার জাতীয় উন্নয়নে স্বার্থে দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছ থেকেও ব্যয়ের সময় সারচার্জ আরোপ হতে পারে।

এর আগে ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় পোস্টপেইড মোবাইল গ্রাহকের ক্ষেত্রে মোট বিলের ওপর এবং প্রিপেইড গ্রাহকের ক্ষেত্রে প্রিপেইড কার্ড বিক্রি বা রিচার্জের সময় ২ শতাংশ হারে উৎসে কর কাটার প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। কিন্তু মুঠোফোন কোম্পানিগুলোর আপত্তির মুখে ওই প্রস্তাব পাস হয়নি



Click This Link

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৩৪

ইমতিয়াজ ১৩ বলেছেন: ব্যয় আরো একটু বাড়ল।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

একজন গাঙ্গচিল বলেছেন: কথা বলা কমিয়ে দিন।
ভালো থাকবেন।

২| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১

জামান শেখ বলেছেন: আমি চিন্তা করতেছি প্রস্রাব-পায়খানার উপর সরকার ট্যাক্স বসায় কিনা।

২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫৫

একজন গাঙ্গচিল বলেছেন: এসব ক্ষেত্রে ট্যাক্স বসাইলেও অবাক হবার কিছুই থাবকেনা।

৩| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:৫২

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:

আমি চিন্তা করতেছি প্রস্রাব-পায়খানার উপর সরকার ট্যাক্স বসায় কিনা। +++++

৪| ২০ শে আগস্ট, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৫৮

ভোরের সূর্য বলেছেন: ১% ট্যাক্স বাড়া কোন সমস্যা না। আমরা জনগণ সেটা দিতেই পারি কিন্তু সমস্যা হল এই টাকাগুলো যাতে নষ্ট না হয়। কারণ আমাদের ট্যাক্সের টাকায় সরকার চলে কিন্তু বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে এই টাকা গুলো দুরনিতি,টেন্ডারবাজিতে অন্যের পকেটে চলে যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.