নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল আহমেদ

একজন গাঙ্গচিল

লেখলেখি করি একটু আধটু যদিও লেখার হাত ভালো না। অবশ্য লেখালেখির চেয়ে বড় পরিচয় আমি একজন বড় পাঠক। মুক্তিযুদ্ধ আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। সবসময় স্বপ্ন দেখি একটা সুন্দর বাংলাদেশের। ইমেইল[email protected]

একজন গাঙ্গচিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

মঞ্চে গান ও কিছু কথা।

২২ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

যারা গান গায় অর্থাৎ যারা গায়ক তাদের অনেক ক্ষমতা, অন্তত মানুষ কে তারা খুব অনুপ্রাণিত করতে পারে। যখন তারা লাইভ অনুষ্ঠানে গান গায় তখন তাদের বাঙ্গালী চেতনাবোধের উপর খেয়াল রাখা উচিৎ অন্তত স্বাধীনতার এই মাসে।



“বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার এসোসিয়েশন” আয়োজিত “২১ তম সাধারন সভা ২০১৫” তে গতকাল অফিসার্স ক্লাবে গিয়েছিলাম, বন্ধুর অনুরোধে। ভালই লেগেছিল। অনেক অভিজ্ঞতা হলো। অনুষ্ঠানের একেবারে শেষ পর্যায়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্ব ছিলো। সেখানে এসেছিলো একজন মহিলা গায়ক। তিনি বাংলাদেশের একজন খুব পরিচিত ও বিখ্যাতও বটে। তিনি খুব ভালো গান গায় এতে সন্দেহ নেই।



অনুষ্ঠানে উপস্থিত ৮০% মানুষের বয়স ৬০+ । কিন্ত সবচেয়ে বেশি আবাক করলো আমাকে ঐসব ৬০ ঊর্ধ্ব মানুষের সামনে তিনি নেচে গেয়ে উলালা উলালা...... দামা দাম মাস্কালান্দার... এর মত গান গাইলেন। যদিও মাঝে তিনি কয়েকটা বাংলা গান গেয়েছিলেন। তারপরের অনুষ্ঠান শেষ অবধি পর্যন্ত আমি অপেক্ষায় ছিলাম তিনি এই স্বাধীনতার মাসে অন্তত একটা দেশের গান গাইবেন, কেননা এখানে যারা উপস্থিত ছিলো তারা সবাই বাংলাদেশের প্রতিটা জেলা থেকে এসেছেন। তাদের হিন্দি গানের সাথে এতটা সখ্য হয়তো গড়ে উঠেনি। কিন্তু আমার মত আরো অনেক কেই হতাশ করে একটাও দেশের গান তিনি গাইলেন না।



আমাদের দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত গায়িকার যদি এই দশা হয় তাহলে যারা নতুন তারা তাদের কাছ থেকে কি শিখবে? ঐসব প্রতিষ্ঠিত গায়কেরা কিন্ত ঠিকই টক শো তে বলে বেড়ায় হিন্দি গান আমাদের মিউজিক ইন্ড্রাস্টিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে, শ্রোতাদের ভেতোর দেশপ্রেম কম, সরকার এর বিরুদ্ধে কেন আইন করছে না, ইত্যাদি ইত্যাদি। তার নিজেরাই যদি নিজেদের কাজটুকু ঠিকমত না করে তাহলে তো ব্লা ব্লা করে লাভ নাই।



তারচেয়ে বরং কনসার্টে হিন্দি গান গেয়ে আবার টকশো করে যদি বাড়তি কিছু পেয়ে যায় তাহলে এর মন্দ কি? দুটোই চালিয়ে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ।



শ্রোতাদের হিন্দি বিমুখ করার চেয়ে আগে আপনারা হিন্দির চর্চা দূর করুন। কেননা আপনারা শ্রোতাদের যেভাবে তৈরি করবেন তারা ঠিক সেভাবেই গড়ে উঠবে।



** গায়িকাকে সম্মান জানিয়েই আমি তার নামটা উল্লেখ করলাম না।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:২২

যুগল শব্দ বলেছেন:
আমাদের দেশের একজন প্রতিষ্ঠিত গায়িকার যদি এই দশা হয় তাহলে যারা নতুন তারা তাদের কাছ থেকে কি শিখবে?

সুন্দর একটি বিষয় তুলে ধরেছেন, ধন্যবাদ ভাই। +

২৪ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০

একজন গাঙ্গচিল বলেছেন: ধন্যবাদ যুগল শব্দ ভাই।
ভালো থাকবেন ।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.