নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাসেল আহমেদ

একজন গাঙ্গচিল

লেখলেখি করি একটু আধটু যদিও লেখার হাত ভালো না। অবশ্য লেখালেখির চেয়ে বড় পরিচয় আমি একজন বড় পাঠক। মুক্তিযুদ্ধ আমার সবচেয়ে বড় অহংকার। সবসময় স্বপ্ন দেখি একটা সুন্দর বাংলাদেশের। ইমেইল[email protected]

একজন গাঙ্গচিল › বিস্তারিত পোস্টঃ

ঘুরে আসুন গোলাপ গ্রাম

১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৫:০৪

কম সময়ে কাছে কোথাও একদিনে ঘুরে আসতে পারবেন এমন অনেক জায়গাই আছে ঢাকার আশে পাশে। তারমধ্যে খুব সুন্দর আর মন ভালো করে দেয়ার মতো একটি জায়গা হলো গোলাপ গ্রাম। বিশ্বাস করুন, এই গ্রাম আপনার যান্ত্রিক জীবনের অনেকটা ক্লান্তিই দূর করে দিবে।



বাসেও যাওয়া যায় আবার ইঞ্জিন চালিত নৌকা করে যাওয়া যায়। আমার মতে নৌকা করে যাওয়া ভাল। মন ভাল হয়ে যাবে।

ঢাকা শহরের যেকোন প্রান্ত থেকে মিরপুর-১ কিংবা মাজার রোড নেমে রিকশা ঠিক করে দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট যাবেন (এটা মিরপুর এর দিয়াবাড়ি, উত্তরার না)। ভাড়া নেবে ২০-৩০ টাকা মত।



বটতলা ঘাট থেকে সাহদুল্লাহপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে ৩০ মিনিট পর পর ইঞ্জিন চালিত নৌকা ছাড়ে। সাহদুল্লাহপুর যেতে যেতে ৩০-৪৫ মিনিট লাগবে। সেখানে একেক জনের জন্য ২০ টাকা করে নিবে।

অথবা হাতে চালানো নৌকা রিজার্ভ করতে পারেন। সময় লাগবে আড়াই-৩ ঘন্টা মত। দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট থেকে সাহদুল্লাহপুর ঘাটে যাওয়ার সময়টা আপনি সত্যি মুগ্ধ হয়ে থাকবেন।

সাহদুল্লাপুর ঘাটে পৌঁছানোর পর ঘাটের বট গাছের নিচে বসে চা-নাস্তা করে নিতে পারেন। এরপর পুরো গ্রামটা হেঁটে ঘুরবেন। আমি যতটা ভেবেছিলাম তার থেকেও বেশি সুন্দর এই গ্রাম। পুরোটাই যেন গোলাপের বাগান! যতদূর যাবেন গোলাপে ঢাকা চারপাশ আপনাকে মুগ্ধ করে রাখবে। পুরোটা গ্রামকে বলা যায় গোলাপ গ্রাম। উঁচু জমিগুলো ছেয়ে আছে গোলাপে। লাল, হলুদ, সাদা—কত বর্ণের যে গোলাপ তার কোনো ইয়ত্তা নেই।

কিংবা নৌকা থেকে নেমে অটো তে করে ৫ টাকা দিয়ে সোজা গোলাপের বাজারে যেতে পারেন। ওই বাজার থেকেই সারাদেশে ফুল যায়। ঢাকার বেশি ভাগ ফুল এখান থেকে আসে। শাহবাগসহ রাজধানীর বিভিন্ন ফুলের বাজারগুলোতে গোলাপের প্রধান যোগান দেন এখানকার চাষিরা। গ্রামে প্রতিদিন সন্ধ্যায় বসে গোলাপের হাট। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে অসংখ্য ব্যবসায়ী এসে ভিড় জমান সেখানে। জমতে থাকে বেচাকেনা, চলে রাত পর্যন্ত।

গ্রামের সবখানে শুধু ফুলের বাগান। অন্য কিছু চোখে পরে নাই।
মন ভাল করার জন্য এর চেয়ে ভাল জায়গা আর হতে পারে না। সারাদিন ফুলের রাজ্যে কাটিয়ে দিলেন। চাইলে অনেকগুলো ফুল কিনে আনতে পারবেন, খুব সস্তা দাম। ৫০ টা গোলাপ এর দাম মাত্র ৮০-১০০ টাকা।

বাসে যেতে চাইলে মাজার এর সামনে কোনাবাড়ী বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস ছেড়ে যায়। ওখান থেকে সরাসরি আক্রান বাজার। ভাড়া ২০ টাকা। আক্রান বাজার থেকে অটো তে করে ফুলের বাজারে কিংবা সাহদুল্লাহপুর গ্রাম ১০ টাকা।

কি কি দেখবেনঃ গোলাপের ক্ষেত, বিরুলিয়াতে আছে রজনীগন্ধা আর গ্লডিওলার বাগান, বেশ কয়েকটি জমিদারবাড়ি, বিরুলিয়া ব্রিজের গোড়া থেকে হাতের বাম দিকে মিনিট দুয়েক হাঁটলেই সুদর্শন প্রাচীন বটগাছ। রাস্তায় যাওয়ার সময় দেখা পেতে পারেন মহিষের গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যাচ্ছে গাড়িয়াল। এ বিলুপ্তপ্রায় দৃশ্যটি দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল আমার “নৌকায় করে গোলাপের দেশে ইভেন্টে” যাওয়ার সময়।

কোথায় খাবেনঃ সাদুল্লাহপুর যেখানে অটো থামে সেখানেই খাবারের হোটেল আছে, মুটামুটি মানের। ভাল হয় ঢাকা থেকে সঙ্গে করে খাবার নিয়ে গেলে।

অন্যান্য সুযোগ সুবিধাঃ ১০০% সেইফ এন্ড সিকিওর। মেয়েরা যেতে পারবে। অটো থামার ওখানেই সাদুল্লাহপুর নৌকা ঘাট। পাশেই মাজার সংলগ্ন একটা মসজিদ আছে। এখানে টয়লেটের ব্যাবস্থা আছে। মাজারের ভেতরের পরিবেশটা খুবই ছায়া সুনিবিড়। বিশাল বিশাল দুটো বটগাছের নিচে আড্ডা জমাতে পারেন। গাছের নিচে বসে শীতল বাতাসে গা জুড়াতে জুড়াতে সামনের নৌকা ঘাটের দিকে তাকিয়ে ধানভর্তি নৌকা দেখবেন নদীর বুকে চলাচল করতে।

* নৌকা কিন্ত ৬ টার পর চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

** ঢাকা থেকে খাবার নিয়ে যেতে পারেন। অবশ্য ঐখানে মুটামুটি মানের বেশ কিছু খাবার হোটেল আছে।

*** গোলাপ বেচাকেনার বাজারে ঢুকতেই ডান দিকে এক চাচা পেয়াজি বিক্রয় করে। খেয়ে আসতে ভুলবেন না

****বর্ষার সময় গেলে দক্ষিণা হাওয়া নামের রিয়েল এস্টেট (বেগুনবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর বাম পাশের গলিতে) এ ঘুরে আসবেন। তখন সেখানে পানি জমে, খুব স্বচ্ছ পানি। গোসল করে নিতেও পারবেন।

মন্তব্য ১০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৯

সুমন কর বলেছেন: তথ্যবহুল পোস্ট। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। +।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৫

একজন গাঙ্গচিল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ। ঘুরে আসুন একদিন, ভালো লাগবে।

২| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪১

আমিই মিসির আলী বলেছেন: যেতে হবে।
শোকেজে রাখলাম।


ধন্যবাদ।

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৩৬

একজন গাঙ্গচিল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

ঘুরে আসুন সময় করে একদিন।

৩| ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:৫৪

মনিরা সুলতানা বলেছেন: লেখা পড়েই ভালোলাগা শুরু হল !
অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য :)

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১:০৫

একজন গাঙ্গচিল বলেছেন: গ্রামে গেলে আরো ভালো লাগবে। ঘুরে আসুন। নৌকা দিয়ে যাওয়ার মধ্যে একটা আলাদা মজা পাবেন।

ধন্যবাদ আপনাকেও। ভালো থাকবেন।

৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৪৬

মাহমুদ আল ইমরোজ বলেছেন: অনেকবার গেছি, ঐ এলাকাটা ভালো লাগে,বেশ নিরিবিলি। একটি প্রাচীন বটগাছও আছে। মিরপুর থাকি বিধায় যেতে সময় কম লাগে আবার নৌকাভ্রমণও হয়, এক ঢিলে দুই পাখি...সুন্দর লিখেছেন।

২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১২:০০

একজন গাঙ্গচিল বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

৫| ২৮ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ রাত ১০:৪০

দাহকাল বলেছেন: সাধুল্লাপুর নামেই আমি জানতাম, নাম যেটাই হোক রুট কিন্তুই ঠিকই মিলেছে। শেষ গিয়েছি বছর ৬ আগে, খেয়া ঘাটে খুব মজার মজার সিঙ্গারা আর নাড়ু পাওয়া যেত, ২টাকা করে। সিঙ্গারা খাবার মিথ্যে বাহানায় কতবার যে গিয়েছি তার হিসেব নেই আর এখন মিথ্যে ব্যাস্ততায় কবে যে আবার যাওয়া হবে তা জানা নেই। তবে আসছে বর্ষায় অবশ্যই ঘুরে আসবো।
ধন্যবাদ আর ভালোলাগা রইলো পুরনো দিনগুলিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ায়।
শুভকামনায়........

০৮ ই মার্চ, ২০১৭ সকাল ১১:২১

একজন গাঙ্গচিল বলেছেন: সাহদুল্লাপুর গ্রামের নাম। গোলাপ এর চাষ হয় এজন্যই নাম হয়েছে গোলাপ গ্রাম।

আপনাকেও ধন্যবাদ। ঘুরে আসুন একদিন। ভালো লাগবে। এখন তো অনেক মানুষ যায়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.