![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারন মানুষ। এবং পেশায় স্টুডেন্ট, পড়া লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করতে ভালবাসি।
ইসলাম শাশ্বত জীবন বিধান, যেখানে রয়েছে শান্তি, সাম্য, প্রগতি, নারী অধীকার। মোট কথা
মানব জীবনে এমন কোন বিষয় নেই যা মহান আল্লাহ তায়ালা তার মনোনীত শাশ্বত বিধান ইসলামে
বর্ণনা করেননি। অথচ কতিপয় কিছু মুসলমান নাম ধারী কথিত বুদ্ধিজীবী বাংলাদেশ থেকে ইসলামের
মুলৎপঠনে চরম ষড়যন্ত্রে ব্যস্ত রয়েছে। তারা এখন জাতির কর্ণধারও!! আওয়ামী সরকার যেন তাদের গোলামে
পরিণত হয়ে গেল। তাদের অন্যতম একজন হলেন অর্থনীতিবিদ ডঃ আবুল বারাকাত। আসুন একটু জেনে নিই
কে এই আবুল বারাকাত? ইসলামের বিরুদ্ধে তার দুশমনি ও প্রতিহিংসার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ইসলামের শত্রুপক্ষের তিনি একজন প্রথম সারির সৈনিক। তার লড়াই বুদ্ধিবৃত্তির ময়দানে। তার কাছে শাহবাগের নাস্তিক ব্লগার ও আয়োজকরা হলো তার নিজের ভাষার আলোকিত সৈনিক। ফলে তারা যে তার খুব কাছের লোক, সেটি তিনি গোপন রাখেননি। তার মেয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ইসলামের বিরুদ্ধে তার মতো তার মেয়ের আক্রোশও অধিক। সম্প্রতি তার মেয়ে সে আক্রোশের প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন সপ্তাহের আর সব দিন বাদ দিয়ে জুমার নামাজের সময় ছাত্রদের পরীক্ষার আয়োজন করে। অবশেষে ছাত্রদের প্রতিবাদের মুখে তার সে ষড়যন্ত্র বানচাল হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের বাংলাদেশকে তারা যে কোন দিকে নিতে চান—সেটি কি এর পরও গোপন থাকে?
আবুল বারকাত লেখাপড়া করেছেন সোভিয়েত রাশিয়ায়। ভারতীয় লবির অতি কাছের লোক তিনি। ঢাকায় অবস্থানরত পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদী মহলের সঙ্গেও তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। ইসলামের বিরুদ্ধে আজ বিশ্বব্যাপী যে কোয়ালিশন, তার প্রায় সবার সঙ্গেই তার গভীর সম্পর্ক। চাকরি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হলেও তার আসল কাজটি অন্যত্র। গবেষণা ও ইভলিউশনের নামে তার একটি এনজিও আছে। সে এনজিও’র সূত্র ধরে তিনি প্রচুর অর্থ পান পশ্চিমা দাতা সংস্থাগুলো থেকে। সেই সঙ্গে আওয়ামী শাসনামলের অতিসুবিধাভোগী ব্যক্তিও। জনতা ব্যাংকের তিনি একজন কর্ণধার। আবুল বারকাতের মূল কাজটি হলো, বাংলাদেশে ইসলামপন্থীদের নির্মূলে অন্যদের উসকানি দেয়া। তার গবেষণা ও লেখালেখির বিষয় মূলত দুটি—এক. কী করে বাংলাদেশের মাটিতে হিন্দু ও হিন্দুস্থানের স্বার্থকে বৃদ্ধি করা যায়; দুই. কী করে বাংলাদেশের ইসলামপন্থীদের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মেরুদণ্ডকে ভেঙে দেয়া যায়। মুজিব আমলে বাংলাদেশের হাজার হাজার কোটি টাকা ভারত লুটে নিয়ে গেল, তা নিয়ে কিন্তু তিনি কোনো সময়ই মুখ খোলেননি। সে লুটের মধ্যে ছিল পাকিস্তান আর্মির অব্যবহৃত হাজার হাজার কোটি টাকার যুদ্ধাস্ত্র। ভারত বাংলাদেশের মাটিতে পাকিস্তান আর্মির কোনো ট্যাংক, কোনো দূরপাল্লার কামান ও গোলাবারুদ রেখে যায়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবের বিরুদ্ধে ঢাকার রাস্তায় যে কয়েকটি ট্যাংক নামানো হয়েছিল, সেগুলো এসেছিল মিসর থেকে। এসেছিল তত্কালীন মিসরীয় প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতের খয়রাত হিসেবে। অথচ পাকিস্তান আর্মির ফেলে যাওয়া যুদ্ধাস্ত্র তখন বাংলাদেশের মাটিতে থাকলে এরূপ খয়রাতের কি প্রয়োজন ছিল?
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৩
সেজুতি_শিপু বলেছেন:
আহা কী ক্ষুরধার যুক্তি আর তথ্যসমৃদ্ধ মেধাবী লেখনী !
কী অসাধারন দৃষ্টিভংগী !! কী বিশ্লেষণ !!
"পড়া লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করতে ভালবাসি।"
দেশ ও জাতি এরকম প্রতিভাবান নেতৃত্ত্বের অপেক্ষায় ..