![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারন মানুষ। এবং পেশায় স্টুডেন্ট, পড়া লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করতে ভালবাসি।
কারাগারে স্বল্পকালীন অবস্থানের স্মৃতি নিয়ে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির একটি লেখার প্রতিক্রিয়ায় মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী আবার আলোচনায়। রনির লেখাটি নিয়ে ফেসবুক, টুইটার, ব্লগসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দেখা গেছে মানুষের ব্যাপক প্রতিক্রিয়া।
কারাবন্দিদের কথা লিখতে গিয়ে তিনি লিখেছেন- (কারাগারে) গল্প বলতে সরকারের সমালোচনা। সব বন্দীই কায়মনোবাক্যে দিবানিশি সরকারের পতন কামনা করে দোয়া দরুদ পড়তে থাকে। তারা বলল, কেবল সাঈদী হুজুরের চোখের পানিতেই সরকার ভেসে যাবে। আমি বললাম, সেটা আবার কেমন? তারা বললেন, যতদিন জনাব দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী এই সেলে ছিলেন ততদিনই তিনি নামাজের ইমামতি করতেন। প্রত্যেক নামাজ শেষে তিনি আল্লাহর দরবারে হাত তুলে বলতেন হে আল্লাহ! আমি যদি অন্যায় করে থাকি তবে তুমি শাস্তিদাতা। আমাকে দুনিয়ায় শাস্তিদানের মাধ্যমে আখিরাতের কঠিন শাস্তি থেকে উদ্ধার কর। আর যদি কোনো অন্যায় না করে থাকি তবে তুমি এই মজলুমের জিম্মাদার হয়ে যাও। আমি দেখতে চাই পৃথিবীর কোনো জুলুমবাজের এত স্পর্ধা যে তোমার জিম্মা থেকে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তিকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে তারা শাস্তি প্রদান করে! এভাবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সবাই মিলে চোখের পানি ফেলে বুক ভাসিয়ে মোনাজাত করতেন।
গোলাম মাওলা রনি লিখেছেন, সবার কথা বিশেষত কান্নাকাটি এবং চোখের পানি ফেলার কথা শুনে আমি একটু দমে গেলাম। নিজের যতটুকু ধর্মকর্ম করার অভ্যাস বা জ্ঞান রয়েছে তাতে জেনেছি মহান আল্লাহপাক সব সময় মজলুমের দোয়া কবুল করেন এবং মজলুমের চোখের পানি কখনো বৃথা যায় না। কোনো জমিনে যখন শাসক শ্রেণীর অত্যাচারে আল্লাহর গজব নেমে আসে তখন জমিনের অন্য বান্দারাও সেই আজাব থেকে নিষ্কৃতি পায় না কারণ তাদের দায়িত্ব ছিল জুলুমের প্রতিবাদ করা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৭ ই অক্টোবর, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: +++++++