নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

kamrulsomewhereinblog

মত প্রকাশে আপোষহিন।

কামরুল বিডি

আমি একজন সাধারন মানুষ। এবং পেশায় স্টুডেন্ট, পড়া লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করতে ভালবাসি।

কামরুল বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমল নামা, মিস করলে হারাবেনঃ পর্ব-২ (৪)

১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৯:৫১

প্রথম পর্বটি এখানে ক্লিক করে দেখে নিন

মতিয়া চৌধুরী রীতিমতো বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বানিয়ে জনগণের মাঝে বিতরণ করতে চেয়েছেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘শেখ মুছিবত রহমান’ আখ্যায়িত করেছিলেন। বর্তমান সরকারের মন্ত্রী হয়ে নিয়োগবাণিজ্য করতে গিয়ে টাকার বস্তাসহ ধরা পড়ে এখনও নির্লজ্জভাবে গণতন্ত্র ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে বয়ান করছেন।

একমাত্র মওলানা ভাসানীর কণ্ঠস্বরই সেদিন শেখ মুজিবকে কাঁপিয়ে তুলেছিল। বাকি নেতাদের বঙ্গবন্ধু সবসময়ই দুর্বল চিত্তের মনে করতেন। মনে করতেন, ওরা তো আমারই প্রোডাকশন। যে সিরাজুল আলম খানের নিউক্লিয়াস স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল, যুদ্ধের সাহস জুগিয়েছিল, হাজার হাজার অনুসারী নিউক্লিয়াসের সদস্য হয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল তার বিরুদ্ধে মুজিব সরকার হুলিয়া জারি করেছিল। ’৭৩-এ রক্ষীবাহিনীর হত্যাযজ্ঞ, ’৭৪-এ চরম দুর্ভিক্ষ যারা প্রত্যক্ষ করেছেন তাদের শরীরের লোম এখনও কাঁটা দিয়ে ওঠে। ’৭৫-এর জানুয়ারিতে বাকশাল কায়েম করে জাতির কণ্ঠরোধ করে দিয়েছিলেন শেখ মুজিব। মানুষের মুখে কুলুপ এটে দিলেও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীকে তিনি দমিয়ে রাখতে পারেননি। সিপিবির কমরেড মণি সিংহ, কমরেড মো. ফরহাদ কাগুজে বাঘ ছিলেন। বর্তমান সিপিবিরও একই অবস্থা, শুধু আওয়ামী লীগের দালালিতে ব্যস্ত। আহমেদুল কবির, অধ্যাপক মোজাফফর, অলি আহাদের মতো নেতারাও মুজিবী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন কিন্তু তাদের তেমন জনসমর্থন না থাকায় শেখ মুজিবের রক্তচক্ষুকে প্রচণ্ড ভয় পেতেন। ৫০ বছর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ করার পর ’৭৫-এ ভিয়েতনাম স্বাধীনতা লাভ করেছে। বর্তমানে তাদের মাথাপিছু আয় বাংলাদেশের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি। আমাদের পাশে সিকিম নামে একটি ছোট স্বাধীন দেশ ছিল। সে দেশের নেতা লেন্দুপ দর্জি পার্লামেন্ট অধিবেশন ডেকে দেশটিকে ভারতের সঙ্গে এক করে দিয়েছিলেন।

আমাদের বঙ্গবন্ধুরও সে রকমই একটি ইচ্ছে ছিল। (ক্রমশ)

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:১০

ফাহাদরক্স বলেছেন: গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে তলে তলে ভুট্টোর চুমু খাওয়ার নজির দেখেছি এই তথাকথিত সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালির কাছে। হাজার হাজার নিরিহ নিরস্র সাধারন বাঙ্গালিকে পাকিস্তানি সৈন্যের মুখে ফেলে দিয়ে তারা আত্মরক্ষায় প্রমোদে ব্যস্ত ছিল। তাই দেখা যায় ৯ মাসের যুদ্ধে আওয়ামি কোন বাঘ কেন ছোট শাবকও মরেনি। যুদ্ধের পরে গনিমতের মালের মত খেয়েছে, লুট করেছে। যা আজ অবধি চলমান। কেয়ামত পর্যন্ত চলতেই থাকবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.