নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

kamrulsomewhereinblog

মত প্রকাশে আপোষহিন।

কামরুল বিডি

আমি একজন সাধারন মানুষ। এবং পেশায় স্টুডেন্ট, পড়া লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করতে ভালবাসি।

কামরুল বিডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমল নামা, মিস করলে হারাবেনঃ পর্ব-৪ (৪)

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:১৪

১ম পর্ব

২য়

৩য়

আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতা মরহুম আবদুর রাজ্জাক, তোফায়েল আহমেদ একসময় বলতেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে এ দেশ স্বাধীন হতো না। এ রাজনৈতিক বক্তব্যের মধ্যে আমি কিছুটা মিল খুঁজে পাই। কিন্তু এখন যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে আছেন, তারা একসময় বঙ্গবন্ধুকে তুলাধুনা করতেন। তারাই এখন বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে সূর্য পূর্বে উদিত হতো না, পশ্চিমে অস্ত যেত না। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে নদীর স্রোত প্রবাহিত হতো না, বাতায়ন খুলে দিলে বায়ু প্রবাহিত হতো না। বাগানে ফুল ফুটত না, পাখিরা গান গাইত না, মানুষের মুখে হাসি ফুটত না। এসব স্তুতি শুনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদের মন্ত্রী বানিয়েছেন, উপদেষ্টা বানিয়েছেন। হাজার হাজার কোটি টাকার বিদেশি উন্নয়ন প্রকল্প দেখভালের জন্য তাদের দায়িত্ব দিয়েছেন। তোষামোদকারীরা প্রধানমন্ত্রীকে এসব বলে রাষ্ট্রীয় টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে তসরুপ করছেন। কিন্তু আজ আমাকে সত্য প্রকাশ করতেই হবে। আমি বলব, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে শেখ হাসিনার জন্ম হতো না। আর শেখ হাসিনার জন্ম না হলে শেয়ারবাজারে কেলেঙ্কারি হতো না, পদ্মা সেতুর দুর্নীতি হতো না, কুইক রেন্টালের টাকা চুরি হতো না, সোনালী ব্যাংকের টাকা হলমার্কের মাধ্যমে লুট হতো না, ডেসটিনি-ইউনিপে-২’র টাকা ভাগাভাগি করে বিদেশে পাচার করা হতো না। বিরোধী দল এর প্রতিবাদ জানালে সরকারের মুখে একটাই ধ্বনি শোনা যায় আর তা হলো, যুদ্ধাপরাধের বিচার ব্যাহত করার জন্যই এসব বলা হচ্ছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্দে মামলা দিয়ে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে, গ্রেফতার করে নির্যাতন করা হচ্ছে। যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী দলীয় কার্যালয়ে থেকেছেন অবরুদ্ধ। আমার দেশ প্রহসনের বিচারের তথ্য ফাঁস করতে গিয়ে সরকারি নিবর্তনের শিকার হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক নাসিমের স্কাইপ সংলাপ আমার দেশ এবং তার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সাহসিকতার সঙ্গে জাতির সামনে উপস্থাপন করে প্রহসনের বিচারের পথকে স্তব্ধ করে দিয়েছেন। সরকার তার জন্য আমার দেশ ও মাহমুদুর রহমানের টুঁটি চেপে ধরার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। মাহমুদুর রহমানকে তার অফিসে অবরুদ্ধ রাখার পর গ্রেফতার ও রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। এর আগেও প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৫ মিলিয়ন ডলার কমিশন নেয়ার অভিযোগ তোলায় আমার দেশ, সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং সিনিয়র রিপোর্টার অলিউল্লাহ নোমানের বিরুদ্ধে সরকার মামলা দিয়েছিল। আমার দেশ বন্ধ করে দিয়েছিল। মাহমুদুর রহমান ও নোমানকে কারাগারে নিক্ষেপ করেছিল। দীর্ঘ দশ মাসেরও অধিক সময় মাহমুদুর রহমান কারা নির্যাতন ভোগ করে মুক্তি পেয়েছিলেন। এই হচ্ছে আওয়ামী সংবাদপত্রের স্বাধীনতা। ২০০১ সালে চারদলীয় জোট শাসনামলে আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ-যুবলীগের কোনো সন্ত্রাসী, খুনিকে গ্রেফতার করা হলে তত্কালীন বিরোধী দলের নেত্রী তাদের মুক্তি দাবি করে বলতেন, আমার দলীয় কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কোনো খুনিকে অথবা সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করলেই তিনি তার দলীয় কর্মী দাবি করে বসতেন। অথচ আজকের চিত্র ভিন্ন, ঘরে বসে থাকলেও সিটি করপোরেশনের বর্জ্যবাহী গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কন্যা শেখ হাসিনার দৃষ্টিভঙ্গির চমত্কার মিল রয়েছে! (সমাপ্ত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.