![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি একজন সাধারন মানুষ। এবং পেশায় স্টুডেন্ট, পড়া লেখার পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করতে ভালবাসি।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে (১৯৭২-৭৫) জাসদের ৩০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে সে সময়ের সরকার। ৩০ হাজার নেতাকর্মীর রক্তের সঙ্গে বেঈমানী করে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী হয়েছেন হাসানুল হক ইনু। নৌকায় চড়ে কুষ্টিয়া থেকে নির্বাচিত এক সময়ের গণবাহিনীর এই নেতার সঙ্গে বিরোধ চলছে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের। প্রধানমন্ত্রীর গুডবুকে থাকার কারণে সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রিত্ব পেয়েছেন। হঠাৎ জঙ্গীবাদ বিরোধী এই নেতা ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যার খবর শুনে ট্যাংক এর উপর উঠে নৃত্য করেছিলেন। মন্ত্রী হওয়ার পর পুলিশ প্রহরায় চলাফেরার সুবাদে কথায় কথায় এখন আলেম ওলামাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ান। ৩ বারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে গালিগালাজ করার ঔদ্ধত্য দেখান। অথচ গণবাহিনীর নেতা হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের ঘুম হারাম করে দিয়েছিলেন তিনি। গণবাহিনীর সন্ত্রাসী আর মানুষ খুনের কাহিনী (তখন জঙ্গীবাদ শব্দ ছিল না) মানুষ জানে। শেখ মুজিবুর রহমান সে সময় মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য জাসদের গণবাহিনীর সন্ত্রাসী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছিলেন। আত্মগোপনে থেকে গণবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন হাসানুল হক ইনু। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে ১৯৭২ সালের ৬ জুন সংসদ সদস্য আবদুল গফুর নিহত হন। আবদুল গফুর ১৯৭০ সালের নির্বাচনে খুলনা থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালের ৩ জানুয়ারি নিহত হন সওগাতুল আলম সগির। তিনি মঠবাড়িয়া থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭৩ সালের ৩ মে নুরুল হক নিহত হন। তিনি নড়িয়া থেকে ১৯৭০ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি নিহত হন মোতাহার উদ্দিন আহমদ। তিনি ১৯৭০ সালে ভোলা থেকে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। গাজী ফজলুর রহমান নিহত হন ১৯৭৪ সালের ১৬ মার্চ। তিনি ছিলেন নরসিংদীর মনোহরদী এলাকা থেকে নির্বাচিত প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য। ১ আগস্ট ১৯৭৪ সংসদ সদস্য এডভোকেট ইমান আলী নিহত হন। তিনি জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। ২৭ ডিসেম্বর ১৯৭৪ কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নিহত হন গোলাম কিবরিয়া। তিনি ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি আবুল খালেক নিহত হন। তিনি প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন নেত্রকোনা থেকে। এছাড়া সংসদ সদস্য আবদুল মুকিম, আমিন উদ্দিনসহ (ফরিদপুর) আওয়ামী লীগের আরও অনেক নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে বিভিন্ন সময়ে নিহত হন। এসব হত্যাকান্ডের পেছনে জাসদের গণবাহিনী, সমাজের দুষ্কৃতকারী, চরম বামপন্থী, নকশাল বাহিনী, সর্বহারার হাত ছিল বলে অভিযোগ করা হয়। অথচ সেই গণবাহিনীর হাসানুল হক ইনু সর্বদলীয় সরকারের মন্ত্রী।
২| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৭
মূর্খ রুমেল বলেছেন: বাহ, কি সুন্দর মিথ্যাচার। এরশাদ মন্ত্রীসভায় যোগ দেওয়ায় বিম্পি ওয়ালাদের গায়ে আগুন জ্বলছে
৩| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫১
কামরুল বিডি বলেছেন: ভাই কিছু বিশ্বাস করেন আর না করেন অন্তত েএটাতো অবশ্যই বিশ্বাস করেন যে ইনুরাই ছিল বঙ্গবন্ধুর মূল মাথা ব্যথার কারণ। যদি তাও অবিশ্বাস করেন তাহলে আর আপনাদের সাথে তর্কে যেতে চাইনা, কারন তখন আপনাদের দরকার পড়বে ভাল কোন ইতিহাস টিচারের।
৪| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৭
প্রািন্তক বলেছেন: সহ্য করা যাচ্ছে না, আবার বলারও কিছু নাই। তাই পাগলের প্রলাপ বকা। ১৯৭২ সালে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির ভিন্নতার কারণে আওয়ামীলীগের ছাত্র-যুব অংশটি জাসদ গঠন করে। বলাবাহুল্য, তথন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকারের বিরুদ্ধে জাসদ সরাসরি আন্দোলনে ছিল। তাই মুখোমুখি অবস্থানে থেকে আন্দোলনে আওয়ামীলীগ ও জাসদ উভয়ই উভয়ের বিরুদ্ধে ছিল; এটাই তখনকার পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ছিল। এটাকে পুঁজি করে মূলতঃ জামাত শিবির প্রচার চালাচ্ছে তাদের রাজাকার নেতাদের মুক্ত করার জন্য। সেটাকে লালন পালনের দায়িত্ব নিয়েছে বিএনপি।
বলার অপেক্ষা রাখে না, বাংলাদেশে জঙ্গীবাদী ও তথাকথিত জাতীয়তাবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে হাসানুল হক ইনু লাগাতার আন্দোলনে আছেন, যার ফলে জঙ্গীবাদী ও তথাকথিত জাতীয়তাবাদীদের ভিত নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে; যার ফলে এতো ক্ষোভ। মিথ্যার সাথে সত্যের লেজের কিংয়াদংশ ব্যবহার করে পরাস্ত করার চেষ্টা করছে তারা জাসদকে।
বাংলাদেশে এখন জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বড় সমস্যা। এই সমস্যা মোকাবেলা করার জন্যই জাসদ আওয়ামীলীগের সাথে জোট বেধেছে এবং জোটবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম করছে। এটা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোন সুযোগ নেই।
৫| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৫:৩১
রাহুল বলেছেন: বাংলাদেশে এখন জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বড় সমস্যা। এই সমস্যা মোকাবেলা করার জন্যই জাসদ আওয়ামীলীগের সাথে জোট বেধেছে এবং জোটবদ্ধ আন্দোলন সংগ্রাম করছে। এটা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কোন সুযোগ নেই।
ধ্রুব সত্য।সহমত।
৬| ২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩৮
কামরুল বিডি বলেছেন: বাবা বঙ্গবন্ধু সিরাজ সিকদারকে কেন হত্যা করেছিলেন আর সিরাজ সিকদারও বা কোন দলের লোক ছিলেন? একটু যাচাই করার অনুরোধ রইলো। আশা করি তখন বুঝবেন জাসদের ঠেলা...।
৭| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:৩১
বিশ্বাস করি 1971-এ বলেছেন: এই হারামীটা আর কিছু বাংলদেশে বামগুলো কত বড় বাটপার তার প্রমাণ। কুত্তার বাচ্চাগুলা সারাজীবন চীন আর রাশিয়া দিয়া টাকা আনছে আর খাইছে। দালালী করসে আর শেষ জীবনে আইসা এখন দালালী করতেছে। আর এক মাগী আছে মতিয়া চৌধুরী আছে যে কইছিল শেখ মুজিবের চামড়া দিয়া জুতা বানাইব। আজকে মতিয়া চৌধুরী সবার আগে বালের জন্য আন্দোলনে নাইমা শাড়ি খুইলা ফালায়। কমউনিষ্ট পার্টি নামে আর একটা বাটপারের দল আগে যেকুত্তা গুলা ১৯৯১এর আগে রাশিয়ার টাকায় চলত। আর রাশিয়া ক্ষতমের পর পল্টনে থাকা যত জায়গা আছে সবগুলা ডেভেলপারদের দিয়া মনিসিংহ ট্রাস্ট নামে একটা বানায়া টাকা লুটতাছে। এরা জামাতীদের চেয়েও খারাপ। জামাতীরাতো ৭১ যা কইতো এখনও তাই কয়। আর এই বামপন্হী কুত্তাগুলা আরো খারাপ। এরা নিজেদের মারেও বিক্রি করতে পারবে।
©somewhere in net ltd.
১|
২০ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
সবখানে সবাই আছে বলেছেন: প্রথম প্রশ্ন জাসদের ৩০ হাজার মানুষের মৃত্যুর খবর কৈ থেকে পাইলেন? সোর্স কি??
দ্বিতীয় প্রশ্ন, ইনু ট্যাঙ্কের উপর নৃত্য করেছিলেন এই জিনিশ পাইলেন কৈ থেকে?