নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তরুর ঘর

তরু

বন্ধু বলি তাকে বুকের ভেতরে যে বৃক্ষ হয়ে থাকে

তরু › বিস্তারিত পোস্টঃ

উপাধি কি প্রচলিত অর্থ বহন করে???

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৩৭

সম্প্রতি একটা লেখা পড়লাম, বাউল শাহ আব্দুল করিম-এর বাউলসসম্রাট উপাধি নিয়ে: Click This Link





প্রশ্ন করা হয়েছে, শ্রদ্ধেয় শাহ আব্দুল করিমকে বাউলসম্রাট বলাটা কতটা যুক্তিপূর্ণ? এবং যুক্তিযুক্ত যে না, সেই কথা বুঝানোর জন্য নানান যুক্তি দেওয়া হয়েছে।



অনেক ব্লগার সাপোর্টও করেছেন।



আমার একটু অবাক লেগেছে।



উপাধি দেওয়ার সময় কি আসলে প্রচলিত অর্থ মেইনটেইন করা হয়???



ধরা যাক, একজনকে বলা হলো কবি সম্রাট। এর মানে কি তিনি কবিদের সম্রাট? কবিশ্রেষ্ঠ কি কবিদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ? বিশ্বকবি মানে তাহলে কী?



আরো ধরা যাক, জাতির পিতা, কিংবা বীরশ্রেষ্ঠ, কিংবা শহিদ...



জাতির পিতা মানে কি যিনি জাতি জন্ম দিয়েছেন? এই ব্যাপারে আরো: Click This Link



বীরশ্রেষ্ঠ মানে কি বীরদের মধ্যে যিনি শ্রেষ্ঠ? সেই শ্রেষ্ঠ কি প্রচলিত অর্থ হিসেবে একজনের বেশি হতে পারে?



শহিদ কি ইসলামি পরিভাষার শহিদ??? তাহলে একজন অমুসলিম কি শহিদ হতে পারে???




জাতির পিতা মানে কী, এই কথা জানার জন্য উইকির লিংক: Click This Link



এইটা একটা সম্মানসূচক উপাধি। উপাধি দেওয়ার সময় এইসব টিপিকাল যুক্তি চলে না।



একইভাবে, বীরশ্রেষ্ঠ, শহিদ...ইত্যাদি।



আমার যেটা অবাক লেগেছে, সেটা হলো যারা শাহ আব্দুল করিম-এর বাউলসম্রাট উপাধি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তারা কি একইভাবে জাতির পিতা, বীরশ্রেষ্ঠ কিংবা শহিদ নিয়ে প্রশ্ন করার সাহস রাখেন?



যদি না রাখেন, তাহলে বেচারা আব্দুল করিমের কী দোষ???



(ব্যক্তিগতভাবে একটা কথা বলে রাখি, আব্দুল করিমের কাজ আসলেই শুধু বাউলসম্রাট উপাধি দিয়ে মূল্যায়ন করা যায় না। আজকে যারা এসব উপাধি দিয়ে ফ্যানা তুলে ফেলছেন, আবদুল করিম জীবিত থাকার সমায়, অসুস্থ থাকার সময় তাদের অনেকের টিকিও, পাঞ্জাবির কোণাও দেখা যায় নি। আমি নিজে এইসব উপাধির পক্ষেও না, বিপক্ষেও না। বাউলসম্রাট না বলে শুধু আব্দুল করিম আমার অনেক আপন লোক। মনের অনেক কাছের। কিন্তু আশ্চর্য লাগে তাদের কথা শুনলে যারা যুক্তি দিয়ে অন্য কোনো উপাধি বিচার করে না, কিন্তু কেন বাউলসম্রাট উপাধি দেয়া হলো এই নিয়ে আলাদা পোস্ট দিয়ে ফেলেন।



প্রশ্নোত্তর, ব্যক্তিগতভাবে নেবেন না, আমি আপনার অনেক লেখা খুব পছন্দ করি, এই লেখাটা করি নি; প্রতিবাদ হিসেবে নেবেন)

মন্তব্য ১৭ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৩

অন্যআনন বলেছেন: যিনি লিখেছেন তাকে তার জীবিতকালে এবং মরণের পর শুভাকাঙ্খীরা কি উপাধি দেন, দেখার অপেক্ষায় রইলাম। আমি মনে করি, প্রয়াত মহান এই বাউল শিল্পীর " বাউল সম্রাট" উপাধিটা খুবই সাধারণ একটা উপাধি। উনি, এর চেয়েও ঢের যোগ্য!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৪৭

তরু বলেছেন: ঠিক।

২| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:০১

আমআঁটিরভেঁপু বলেছেন:
আপনার আকুতিটা বোঝা যাচ্ছে একটি সৎ অবস্থান থেকে। কিন্তু আমার ধারনাটা এরকম, বিশেষতঃ বাউলসসম্রাট-এর বিষয়টি নিয়ে যে, আমরা যখন লালনকে এই বাউলসসম্রাট জেনে আসছি অনেক আগে থেকে তখন নতুন করে বাউল শাহ আব্দুল করিম-কে এই উপাধিতেই কেন ভূষিত করবার প্রয়োজন হল। তাঁর জন্য আমরা অন্যকোন প্রকৃত বিশেষণ আনতে পারিনা নিকি?

ধরুণ এখন আর কাউকে জাতির পিতা বলা শুরু করে সেটা কি সমাচীন হবে!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:০৯

তরু বলেছেন: জাতির পিতা আলাদা ব্যাপার। কিন্তু বাউলসম্রাট...আমি কোনো সমস্যা দেখি না। একজন বাউল সম্রাট হলে আর একজন হইতে পারবে না, এইটা কীরকম কথা ভাই?

৩| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:২৮

রাঙ্গাকলম বলেছেন: ভাই, আমি একটা অবুঝের মতো আপনাদের কাছে প্রশ্ন করি, আমরা তো অ-নে-ক আগে থেকে জেনে এসেছি যে, বাউল সম্রাট লালনের কথা। এখন নতুন করে শুনছি শাহ আব্দুল করিমের কথা।

এই একটা উপাধি নিয়ে এতো টানাটানি কেন ?

লেখক প্রশ্ন করেছেন: শহিদ কি ইসলামি পরিভাষার শহিদ??? তাহলে একজন অমুসলিম কি শহিদ হতে পারে???

এখন আমার প্রশ্ন জাতির পিতা কে নিয়ে, আমরা তো প্রায় বুঝ হবার পর থেকেই শুনে এসেছি মুসলমানের জাতি পিতা ঈব্রাহীম (আঃ)।

প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের বঙ্গবন্ধু, তিনি কি জাতির পিতা না বাঙ্গালীর জাতির পিতা।

প্রশ্নটা ব্যক্তিগত পর্যায় বা রাজনৈতিক পর্যায় নিয়ে পানি ঘোলা করবেন না, ....

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৩৩

তরু বলেছেন: অনুগ্রহ করে নিচের লেখাটা পড়ে আসবেন..
Click This Link

৪| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪০

শেহাব বলেছেন: ঠিক চিন্তা!

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০৮

তরু বলেছেন: কী শেহাব, অনেকদিন পর। কেমন আছো?

৫| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১২:৪৫

রাঙ্গাকলম বলেছেন: পোষ্টটা দেখিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

আমি আসলে বাড়াবাড়ি করাটা পছন্দ করি না কুরআনের হুকুম মতে ঈব্রাহীম (আঃ) জাতির পিতা মেনে নিয়েছি।

বঙ্গবন্ধুকে আমার শ্রোদ্ধাসহ এই লেখার কথাটা বলছি তিনি আমার কাছে একজন প্রিয় ব্যক্তি আশা করি দেশের সকল লোক (যারা রাজনীতি করেনা) বিনা বাক্যে তাকে শ্রোদ্ধা করে, দেশপ্রেমিক, যোগ্যনেতা এবং সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহনকারী হিসাবে।

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:১১

তরু বলেছেন: ঠিক আছে। ধন্যবাদ।

৬| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:০৭

তরু বলেছেন: বাউল কী, বাউলধর্ম কী, কী কী থাকেল তাকে বাউল বলা যাইতে পারে..এ নিয়ে কোনো গবেষণা হইছে কিনা আমার জানা নাই।
আব্দুল করিম নিজে নিজেকে বাউল বলছেন আমি শুধু এইটুক জানি।
(বাউল আব্দুল করিম বলে বুঝে উঠা দায়
কোথা থেকে আসে নাও, কোথায় চলে যায়...

অথবা,

বাউল আব্দুল করিম বলে
জীবন লীলা সাঙ্গ হলে
শুয়ে থাকবো মায়ের কোলে তাপ-অনুতাপ ভুলে...)

৭| ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ দুপুর ১:৩৫

তরু বলেছেন: প্রশ্নোত্তর বলেছেন, মূল বিতর্কটি হচ্ছে শাহ আব্দুল করিমকে বাউল বলা কতটা যুক্তিসঙ্গত? যদিও তাঁর গানে দেহতত্ত্ব ব্যপকভাবেই স্থান পেয়েছে, তবুও বাউল দর্শণ কতখানি তিনি ধারণ করতেন সে ব্যাপারে প্রশ্ন রয়ে গেছে। হাওড় অঞ্চলের লোকসংগীতের যে ধারা সেটি কি বাউলস্রোতে মিশতে পেরেছে? কিংবা চেয়েছে?

আমার কথা হলো: বাউল দর্শন বা বাউলধর্ম এই ব্যাপারটাকে লেখক ডিফাইন করছেন কীভাবে?

আব্দুল করিম কিন্তু নিজেই নিজেকে বাউল বলেছেন তার বিভিন্ন গানে।

লেখক যদি তাকে বাউল-না বলতে চান, তাহলে তাকে আগে বলতে হবে, বাউল বলতে তিনি কী বুঝাতে চাচ্ছেন, অথবা এই বাউল ধর্ম বা বাউল দর্শন-এর স্বরূপটি কী? তারপর তিনি যুক্তি দেখাতে পারেন যে, কেন সেই সংজ্ঞার আওতায় আব্দুল করিম আদৌ বাউল নন; যতই তিনি নিজেকে বাউল বলুন না কেন।

৮| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৪

আরিফুর রহমান বলেছেন: আমি নিজে এইসব উপাধির পক্ষেও না, বিপক্ষেও না। বাউলসম্রাট না বলে শুধু আব্দুল করিম আমার অনেক আপন লোক। মনের অনেক কাছের।

আমার মনে হয় প্রশ্নোত্তর এটাই বলতে চেয়েছেন।

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:০৩

তরু বলেছেন: দেরির জন্য দুঃখিত।


(আমার মনে হয় প্রশ্নোত্তর এটাই বলতে চেয়েছেন।)

এখন আমারও মনে হচ্ছে, হয়তো। হয়তো তাই।

৯| ২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:২৯

অন্ধ দাঁড়কাক বলেছেন: হমম

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:০৬

তরু বলেছেন: হমমম

১০| ০৯ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ৯:১৩

প্রশ্নোত্তর বলেছেন: ব্যাক্তিগতভাবে নেব কেন! আপনার প্রতিবাদ ধন্যবাদসহ মাথা পেতে নিলাম।

কিন্তু মুশকিল হচ্ছে আপনি আমার যুক্তি খন্ডন না করেই বাউলসম্রাট উপাধিটি শাহ আব্দুল করিমের জন্য বহাল রাখতে চাইছেন। যতই বিতর্কিত হোক না কেন একজন বাউলকে কেউ কেউ বাউল সম্রাট আখ্যায়িত করতেই পারে তাতে দোষের কিছু নেই। কিন্তু যিনি বাউল নন তাঁকে একেবারে বাউলসম্রাট বিশেষণ দেয়াটা কি গ্রহণযোগ্য? বুঝতে পারছি আপনি শাহ আব্দুল করিমের একজন ভক্ত; আমিও তাই। তাঁরা রচনার ভিন্নমাত্রিকতা আমাকে মুগ্ধ করে, তাঁর বাণীর সারল্যে আমি অভিভুত হই। যদি ভক্তের দাবিই গুরুত্বপূর্ণ হয় তবে আপনার চেয়ে আমার দাবির জোর মোটেও কম হবে না। আপার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলতে চাই, তিনি কখনোই বাউল ছিলেন না।

৬০ এর দশকে তিনি বেশ পরিচিত হয়ে ওঠেন গণসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে। প্রখ্যাত রাজনীতিবিদদের সভার এক পর্যায়ে গণসঙ্গীত পরিবেশনা একসময় কাস্টোমারি ছিল। সে সময়টাতে তিনি প্রচুর গণসঙ্গীত রচনা করেছেন, গেয়েছেন। ড. মৃদুল কান্তি চক্রবর্তী তাঁকে প্রতিবাদী গণসঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

তিনি কমুনিষ্ট রাজনীতিবিদদের সংস্পর্শে এসে সাম্যবাদী চেতনায় সমৃদ্ধ হয়েছেন, এক্ষেত্রে সর্বাগ্রে কমরেড বরুন রায়ের কথা বলতে হয়। যদিও তিনি স্পস্ট করেই বলেছেন তিন কমুনিষ্ট নন, অথবা নাস্তিকও নন; তিনি পরকালে বিশ্বাসী। এসময় অসাম্প্রদায়ীক মৌলিক গান রচনা করে তিনি বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। আত্মনিমগ্ন বাউল সাধক না হয়ে তিনি বেছে নিয়েছিলেন সঙ্গীতের মাধ্যমে প্রতিবাদের পথ। তাঁর সঙ্গীত জীবনের সাথে আষ্ঠে-পৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে সমাজ সচেতনতা। এমনকি তিনি জনসংখ্যা রোধে সচেতনতামূলক গানও রচনা করেছেন।

সংক্ষেপে, বাউলধর্ম বাংলা লোকধর্মের ধ্বংসাবশেষ। বাউলধর্মে পরকালের কোন স্থান নেই। বাউল হতে গেলে আনুষ্ঠানিকভাবে দীক্ষা নিতে হয়; নিগূঢ় দেহতত্ত্বের সাধনায় বাউল তার জীবন ব্যয় করে। দীক্ষা এককভাবে বা সাধনসঙ্গীকে নিয়ে যৌথভাবে নেয়া যায়। সাধনসঙ্গী ব্যাতীত বাউলসাধনা অপূর্ণ থাকে। দীক্ষা শেষে বাউল হন 'জ্যান্তে মরা'। এটি দেহত্ত্বের সাধনার গুরুত্ত্বপূর্ণ একটি স্তর; বাউল হতে হলে সকলকেই এই স্তর পার হয়ে আসতে হয়। এ প্রসঙ্গে প্রফেসর আনোয়ারুল করিম বলেন:

A Baul is not born, he is made. If anyone is willing to accept the Baul faith, he or she is inducted into the Baul cult after being properly initiated by the Baul Guru. When a Baul is initiated, a ceremony is arranged for him or her or for the couple who are initiated jointly, by other Bauls. Woman or female plays the most vital part in Baul cult. Without woman partners the cult loses its significance. Woman is also considered a ' chetan guru' or one who is awaken or conscious of all activities in the cult.

Here the persons to be initiated undergo certain process or rituals with the guru that is never disclosed to others. On the following day, the couple is taken to a purifying bath either to a river or in a pond. A 'khilka' is a new white cloth which stands as the symbol of 'kafaon' as used by the Muslims for a burial cloth and is given to the couple who undergo initiation process with this end in view that the persons who are being initiated are also taken as dead to the life which they led previously.

They are now considered dead while still living . In Baul terminology, it is taken as 'jyante-mora'. The initiating couple then taken to the shade of a big 'chadoa' or cover which is held by four persons, of them, two are women taking the four corners of the 'chadoa' or shed while the others who are already initiated help the initiating couple dress in a 'khilka'.The male initiate is then covered with a 'pagree' or turban. Underneath his outer garments the initiate is then made to wear a very tight-fitting underwear or a catche-sexe known as 'dor-kowpin' or 'kapni'.It is a tiny loin cloth worn by the ascetics of India and Bangladesh.

আপনিই সিদ্ধান্ত নিন, এখনও কি শাহ আব্দুল করিমের অযাচিত ও অপ্রাসঙ্গিক বাউলসম্রাট বিশেষণ বহাল রাখবেন নাকি তাঁকে তাঁর প্রাপ্য সম্মান দেবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.