নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ভুয়া মফিজ

ভুয়া মফিজের সাথে ভুয়ামি না করাই ভালো...

ভুয়া মফিজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিলিং আউট ইন মরোক্কোঃ ওস্তাদের সাথে বহু-প্রত্যাশিত মোলাকাত!!!

২২ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫



পূর্বকথাঃ আপনাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে সেই ২০২২ এর সেপ্টেম্বর মাসে একটা পোষ্ট করেছিলাম মরোক্কোর তান্জিয়ারে যাওয়া নিয়ে.........বদ লোকের জন্য দোয়া করলে বদ-দোয়া হয়ে যায়!!! শিরোনামে। সেই ভ্রমনের আসল সচিত্র পোষ্টগুলো আর করা হয়ে উঠে নাই। কেন করি নাই, সেটা ব্যাখ্যা দিয়ে আপনাদের ত্যক্ত করতে চাই না; পুরানো কথা আবার নতুন করে বলতে হবে। কয়েকটা আধা-খেচরা পোষ্ট ড্রাফট করা ছিল। তার মধ্যে থেকে প্রথমটা ফাইনাল করেছিলাম গত জুলাইয়ের শুরুতে পোষ্ট করার জন্য। পরের ঘটনা তো আপনাদের সবারই জানা। দেশের সাথে সাথে আমার মন-মানসিকতারও পরিবর্তন হয়ে গেল। তো কিছুদিন আগে ভাবলাম, এটা যেহেতু একেবারে রেডিই হয়ে আছে, বরং পোষ্টটা করেই ফেলি। তান্জিয়ারে যাওয়ার একটা বিশেষ উদ্দেশ্য ছিল সেটা আগেই বলেছি (লিঙ্ক দেয়া পোষ্ট দ্রষ্টব্য), সেই উদ্দেশ্যের সাথে বিধেয় এর একটা সামন্জস্যতা থাকা দরকার। কি বলেন?


আমার আব্বার বেড়ানোর শখ ছিল। ওনার ট্যুরের চাকুরী আর দেশে-বিদেশে বেড়ানোর শখ........দু'টা মিলে যাওয়ার কারনে উনি প্রচুর বেড়াতেন। আমিও সুযোগ পেলেই ওনার পিছু ধরতাম। ফলে, ঘুরে বেড়ানো আমার রক্তের মধ্যেই ছিল/আছে। ক্লাশ ফোর বা ফাইভে পড়ার সময় আব্বা একটা বই উপহার দিয়েছিলেন, বিশ্ব পর্যটক ইবনে বতুতার জীবন কাহিনী। সেটা পড়ার পরে আমার বেড়ানোর পালে প্রচুর হাওয়া লাগে। তখন থেকেই এই বিষয়ে আমি উনাকে আমার আইডল বা ওস্তাদ মানি। সেই বয়সেই ভেবেছিলাম, সময় সুযোগ যখনই আসবে দুনিয়াটাকে যতোটা সম্ভব ঘুরে দেখবো। আধুনিক যানবাহন ছাড়া সেই সময়ে কিভাবে উনি পৃথিবীর বিশাল একটা অঞ্চল ভ্রমন করেছিলেন, ভাবলেই এক্সাইটেড হয়ে যেতাম তখন, এখনও সমানভাবেই হই। উনার ডেডিকেশান দেখে আপ্লুত হই। ওস্তাদ সম্পর্কে পরবর্তীতে আরো বিস্তারিত পড়ালেখা করার পর থেকেই ইচ্ছা ছিল ওনার জন্মভূমি দেখার, ওনার শেষ আশ্রয়স্থলে গিয়ে ওনাকে একটাবার সালাম দেয়ার। আমার এই অভিযান ছিল সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেয়ার ইচ্ছারই প্রতিফলন।

ইওরোপ থেকে উড়াল দিয়ে পড়ন্ত বিকালে আফ্রিকার তান্জিয়ারের ইবনে বতুতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে মনটা অন্যরকম আনন্দে ভরে গেল। আশা পূরণের আনন্দ। এয়ারপোর্টে থাকতেই বুঝেছিলাম এখানে ভাষাগত সমস্যা হবে। লোকাল লোকজনের স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ, আরবী সবই চলে কিন্তু ইংরেজির অবস্থা কাহিল, আর আমার ইংরেজি বাদে বাকীগুলোর অবস্থা কাহিল........না, কাহিল বলা ঠিক না, একেবারেই বকলম অবস্থা!! যাকগে, এই সমস্যা আমার জন্য নতুন না, বিভিন্নভাবে ম্যানেজ হয়েই যায়। এয়ারপোর্ট শহর থেকে অনেকটাই বাইরে। ট্যাক্সিওয়ালার সাথে পার্থ প্রতিম মজুমদার প্রদত্ত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে হোটেলে পৌছলাম।


প্রাচীণ স্থাপত্যের এই হোটেলটা সিলেক্ট করেছিলাম এর এই চমৎকার প্রবেশদ্বার দেখেই।


চেক ইন করে রুমে ব্যাগটা রেখেই চলে গেলাম ঢিল ছোড়া দূরত্বে জিব্রাল্টার প্রণালীর ধারে। রাত ৮টা পর্যন্ত সেখানেই কাটালাম নতুন পরিবেশে, নতুন দেশে তথা নতুন মহাদেশে খানিকটা ধাতস্থ হওয়ার আশায়!!! জিব্রাল্টার প্রণালীর ধারে নোনা জলের গন্ধমেশানো আধা-ব্যস্ত সড়ক আর জিব্রাল্টার প্রণালীর একাংশ। ওইপাড়ে স্পেন!!!



খুব টায়ার্ড ছিলাম, তারপরেও অনভ্যস্ত কানে ফজরের আজান শুনে ঘুম ভাঙ্গলো। ঘুমের ঘোরে ভাবছিলাম, আমি কি বাংলাদেশে? আজানের সূর কোথা থেকে ভেসে আসছে? মনটা কেমন যেন এক ভালোলাগায় ভরে উঠলো। উঠে পড়লাম বিছানা থেকে। সকালে নাস্তা করেই রওয়ানা দিলাম ওস্তাদের সাথে মোলাকাতের উদ্দেশ্যে। আবু আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ইবনে বতুতা বা সংক্ষেপে ইবনে বতুতাকে সমাহিত করা হয় তান্জিয়ারের মেদিনা (শহরের পুরানো অংশ) অঞ্চলে। সুপ্রাচীন তান্জিয়ার শহরটার ততোধিক প্রাচীন মেদিনা অংশটা দেখার মতো। অত্যন্ত সরু সরু গলি, প্রাচীন স্থাপত্য আর ইসলামিক সংস্কৃতির ধারক-বাহক হলো এই মেদিনা। ওস্তাদকে যেখানে সমাহিত করা হয়, সেখানে যাওয়াটাও একটা চ্যালেন্জ। আকাবাকা, উচুনীচু সরু সরু গলি, তস্য গলি আর সিড়ি বেয়ে সেখানে পৌছাতে হয়। যাত্রাপথের কিছু নমুনা দেখাই,




মাজারে পৌছলাম অবশেষে,



অজুর স্থান, তবে কল নাই!!!!


মাজার বোঝার জন্য এই দু'টা ফলক লাগিয়েই কাজ সেরেছে কর্তৃপক্ষ।



মাজারের মূল দরজা।


আমার কপাল খারাপ, তাই সেই সময়ে মাজার সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ ছিল; ভিতরে যেতে পারি নাই। বাইরে দাড়িয়েই ওস্তাদকে সালাম দিয়ে মোনাজাত সারলাম। অত্যন্ত সাদাসিদা এই মহান পর্যটকের সমাধির ব্যবস্থাপনা। ইন ফ্যাক্ট, তেমন কোন ব্যবস্থাপনাই নাই। তবে বেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন। কর্তৃপক্ষের ভাবে মনে হলো পর্যটকদের ব্যাপারে তাদের খুব একটা মাথাব্যথাও নাই। ''আইলে আসো, না আইলে অফ যাও'' টাইপ। দুঃখজনক। যার নামে শহরের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নামকরণ করা হয়েছে, এমন একজন বিশ্বখ্যাত পর্যটকের মাজারে অন্ততঃ একটু হলেও পর্যটকবান্ধব ব্যবস্থাপনা আশা করেছিলাম। এই মাজার যদি ইওরোপের কোন দেশে হতো, তাহলে এটা হতো নগর কর্তৃপক্ষের অন্যতম আয়ের উৎস। বেকুব কি আর গাছে ধরে? কাজকারবারে বোঝা যায়।

এখান থেকে চলে গেলাম ইবনে বতুতা মিউজিয়াম দেখতে। এটা কসবাহ মিউজিয়াম নামেই স্থানীয়ভাবে পরিচিত। ছোটখাটো, সুন্দর, ছিমছাম মিউজিয়াম। কোন ভিড়-ভাট্টা নাই। এটা অবশ্য এক্সপেক্টেডই ছিল। অথচ এই মহান পর্যটককে ব্র্যান্ডিং করে তান্জিয়ার শহরটা হতে পারতো পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষনের কেন্দ্রবিন্দু। এদের অবস্থা অনেকটা আমাদেরই মতো, অনেকটা বললাম কারন আমাদের চেয়ে কিঞ্চিৎ ভালো!!!

মিউজিয়ামের প্রধান ফটক।


যাইহোক, ১০ দিরহাম দিয়ে ভিতরে ঢুকে গেলাম। এক পাউন্ডে ১২ দিরহাম রেইট পেয়েছিলাম, সেই হিসাবে খুবই সস্তা। ভিতরটা বেশ সুন্দর গ্যালারী করা। অডিও-ভিডিও ডিসপ্লেরও ব্যবস্থা আছে। সম্পূর্ণটা দেখে শেষ করতে খুব বেশী সময় লাগে না, তবে আগ্রহীদের জন্য বেশ আকর্ষনীয়। চলেন, ভিতরের কিছু ছবি দেখাই।

শুরুতেই ওনার ভ্রমনের একটা সংক্ষিপ্ত রুট।





ওস্তাদের ব্যবহৃত কিছু সরন্জামাদি।




সেইসময়ের সমুদ্রগামী জাহাজ।




ঘোড়া বা উটের উপরে স্থাপিত বসার আসন।


ভারতীয় অন্চলে ব্যবহৃত এই পাল্কি উনার বর্ণনা অনুযায়ী তৈরী করা হয়েছে।


মিউজিয়ামে আরো অনেক কিছু আছে........যেমন সেই সময়কার বিভিন্ন মুদ্রা, বিভিন্ন রাজ-দরবার থেকে উনাকে দেয়া বিভিন্ন সন্মাননাসহ প্রচুর দলিল-পত্র, পেইন্টিংস ইত্যাদি ইত্যাদি। এমনিতেই অনেক ছবি দিয়েছি, আর ওসবের ছবি দিয়ে পোষ্ট লম্বা করার কোন মানে নাই। তাই ক্ষ্যান্ত দিলাম। স্বচক্ষে ওস্তাদের কর্মকান্ডের যাবতীয় বিষয়াদি দেখে মনের মধ্যে মাজারে ঢুকতে না পারার যেই অতৃপ্তি ছিল, সেখানে খানিকটা মলম লাগাতে পারায় মোটামুটি খুশীমনেই দিনটা শেষ করলাম।

দেখি পরের পর্ব কবে নাগাদ দিতে পারি। দোয়ার দরখাস্ত রইলো!!!! :)


শিরোনামে ওস্তাদের ভাস্কর্যের যেই ছবিটা দেখছেন সেটা মূল গেইট দিয়ে ভিতরে ঢুকে ডানে টিকেট কাউন্টার পার হয়ে ডানেই মিউজিয়ামের প্রবেশদ্বারের ঠিক উল্টাদিকে, অর্থাৎ বামদিকে স্থাপন করা হয়েছে। আর হ্যা, বলতে ভুলে গিয়েছিলাম, ছবি সবগুলো আমার কমদামী মোবাইল আর ক্যামেরায় তোলা।

মন্তব্য ৩৩ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:২৯

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: মরক্কো গেছি চার বার। ছবি গুলো দেখে সব মনে পড়ছে ।

২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: চারবারের অভিজ্ঞতা লিখে ফেলেন!!! :)

২| ২২ শে মে, ২০২৫ রাত ৮:১০

মেহবুবা বলেছেন: ছবিগুলো বেশ পরিষ্কার !
আলেকজান্ডার এর নাকি কি অসুখ করেছিল এদিকে এসে ( শোনা কথা), এ বিষয় জেনে ভেবেছিলাম ইবনে বতুতার এত জায়গায় ঘোরাঘুরি, যদি কোন অসুখ করতো! কত কি অজানা থাকতো! আসলে সবই আল্লাহর ইচ্ছা।

২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:১৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোন না কোন অসুখ তো নিশ্চয়ই হয়েছিল। মানব শরীরে অসুখ-বিসুখ হওয়া যেমন আল্লাহর ইচ্ছা, তেমনি নিরাময়ও আল্লাহর ইচ্ছা। আসলে ''সবই আল্লাহর ইচ্ছা''.........ঠিকই বলেছেন। :)

৩| ২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১০:৪১

মিরোরডডল বলেছেন:



সামুর অবস্থা যে কত করুণ হয়েছে, এটা ভুমের পোষ্ট দেখে বুঝলাম।
দশ ঘণ্টার বেশি হয়েছে, পোষ্টে দুইটা কমেন্ট আর দুইটা লাইক।

সেই দুই লাইকে আবার আলোচিত পাতায় বলছে সর্বাধিক লাইক প্রাপ্ত।
বুঝতে পারছিনা কোন ইমোজি দিবো কান্না, নাকি অবাক #:-S

২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:১৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: সেই দুই লাইকে আবার আলোচিত পাতায় বলছে সর্বাধিক লাইক প্রাপ্ত। এটা এখন সামুতে নিত্যদিনের ঘটনা। সবই আল্লাহর ইচ্ছা!!!!! B-)

৪| ২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:১৬

মিরোরডডল বলেছেন:





পরের ঘটনা তো আপনাদের সবারই জানা। দেশের সাথে সাথে আমার মন-মানসিকতারও পরিবর্তন হয়ে গেল।

রাইট! মনে আছে, ঘোষণা দিয়ে ব্লগ ছেড়ে গেলো।
বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের মতো, কথা দিয়ে কথা রাখে না।
ব্লগ ছেড়ে যাবে বলেও যায়নি :)
Good on you.

চার নাম্বার ছবিটা ভালো লেগেছে, ওই যে দূরে মাউন্টেইন ভিউ।
সানরাইজ অর সানসেট, অপূর্ব!

২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:২৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: রাইট! মনে আছে, ঘোষণা দিয়ে ব্লগ ছেড়ে গেলো। বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের মতো, কথা দিয়ে কথা রাখে না। ব্লগ ছেড়ে যাবে বলেও যায়নি :) ভুল অবজার্ভেশান!!! আমার বলা সব কিছুই ব্লগে আছে এখনও। মিডের আজকাল মাথা আউলায়ে গেছে!!! দুঃখজনক!!!! :P

চার নাম্বার ছবিটা ভালো লেগেছে, ওই যে দূরে মাউন্টেইন ভিউ। সানরাইজ অর সানসেট, অপূর্ব! তান্জিয়ারের ল্যান্ডস্কেপ খুব সুন্দর!!! :)

৫| ২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:২৫

মিরোরডডল বলেছেন:





মাজার আমাকে কখনও টানে না।
তাই পোষ্টের মূল বিষয়ের সাথে কানেক্ট করতে পারিনি।
কথা হবে আবার কখনও অন্য লেখায় অন্য সময়।
সেই পর্যন্ত ভালো থাকবে।

২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মাজার আমাকে কখনও টানে না। সেটা জানি, কি টানে সেটাও জানি। ;)

যেটা টানে সেটা নিয়েই ভবিষ্যতে হয়তো কথা হবে কোনদিন। মিডও ভালো থাকবে। :)

৬| ২৩ শে মে, ২০২৫ রাত ১:০৭

কোলড বলেছেন: I was there in September and went inside the room but lost the phone with pics in Vienna airport thanks a to a FUGLY Kurd security bitch.
You were right, there was no direction to his house and the winding/dirty alley made me wonder if Moroccan govt really wants people to visit this site.

Strangely, there was this blind "khadem" and one caretaker type guy who tried to tell me something in broken English and I gave him $20 not knowing if it was right thing to do.
It felt strange that Ibn Batuta came to Bangladesh in 1338 and I went to his house after 700 years! He was and is way ahead of me.

২৩ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কুর্দিশ মেয়েরা সাধারনতঃ সুশ্রী চেহারার হয়। আপনার মোলাকাত কুশ্রী একজনের সাথে হওয়াতে সহানুভূতি রইলো। কিন্তু সে আপনার ফোন হারানোর বিষয়ে দায়ী কিভাবে বুঝলাম না। যাইহোক, আপনি ভিতরে ঢুকতে পেরেছিলেন শুনে ভালো লাগলো। আমার কপাল খারাপ!!!! :(

যেখানে ইবনে বতুতাকে সমাহিত করা হয় সেটাতো উনার বাড়ি ছিল না, আপনার বাড়ি বলার কারনটা কি? আর গোটা মরোক্কোর খবর জানি না, তবে তান্জিয়ারের পর্যটন কর্তৃপক্ষের কাজ-কারবারে আমি হতাশ!!!

It felt strange that Ibn Batuta came to Bangladesh in 1338 and I went to his house after 700 years! He was and is way ahead of me. ভালো বলেছেন। আমারও মোটামুটি একই অবস্থা। উনি সময়ের তুলনায় অবশ্যই এগিয়ে ছিলেন এবং একজন সাহসী মানুষ ছিলেন নিঃসন্দেহে!!!

৭| ২৩ শে মে, ২০২৫ রাত ১:১৬

কোলড বলেছেন: I hope you visit Marrakesh, my most fave place in Morocco. And please leave your better half behind. Marrakesh has lots of stunning sugar babies:)

২৩ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মারাকেশ সেবার যাওয়া হয় নাই, হয়তো যাবো কোন একদিন। তবে চিন্তার কোন কারন নাই, আমি বেড়াতে গেলে সাধারনতঃ আমার বউকে সঙ্গী করি না। সেও আমার বেড়ানোর স্টাইল খুব একটা পছন্দ করে না। মরোক্কোর মেয়েদের সৌন্দর্যের খ্যাতি আছে, কথা সত্যি!!!! ;)

৮| ২৩ শে মে, ২০২৫ সকাল ৯:২০

রাজীব নুর বলেছেন: আপনার বাবা চাকরির সুত্রে অনেক ঘুরে বেরিয়েছেন। আপনার বাবার সাথে আপনিও গেছেন।
ভ্রমন করতে আমিও ভালোবাসি। কিন্তু কোথাও গেলে আমাকে দলবল সাথে করে নিয়ে যেতে হয়। দলবলের কারণে ভ্রমন মাটি হয়ে যায়। বাচ্চা হাটতে পারে না। তাকে কোলে করে হাটতে হয়। সাথে থাকে ব্যাগ। এদিকে সুরভি কোথাও গেলে, কেনাকটা করত্যে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সেসব আবার আমাকেই টানতে হয়।

২৪ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:৫৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: শুনতে খানিকটা অড শোনালেও সত্যিকারের বেড়াতে চাইলে বাচ্চা-কাচ্চা, বিবি সবাইকে বাদ দিয়ে একলা ঘুরতে হয় বহুবিধ কারনে। আপনি কয়েকটা বলেছেন, আরো বেশকিছু কারন / সমস্যা আছে।

সেজন্যে আমি একা ঘোরাই প্রেফার করি।

৯| ২৩ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: স্কুলের সমাজবিজ্ঞান বা ইতিহাসের বইয়ে ইবনে বতুতার নাম শুনেছি। ভূগোলে জিব্রালটার প্রণালীর নাম শুনেছি। ঐ পর্যন্তই। আপনার পোস্ট থেকে আরও কিছু জানলাম। ইবনে বতুতার লেখা বইয়ের বাংলা অনুবাদ পাওয়া যায় সম্ভবত। কিছুটা পড়েছিলাম। মরক্কো মুসলিম প্রধান দেশ সম্ভবত। আরবি কি প্রধান ভাষা?

ব্লগে একজন নারী ইবনে বতুতা আছেন। আমাদের জুন আপু। অচিরেই এই পোস্টে আসবেন আশা করি।

আপনার ছবিগুলিতে কোন মানুষ দেখা যাচ্ছে না। দর্শনার্থীর সংখ্যা কম মনে হয়।

২৪ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:৫৮

ভুয়া মফিজ বলেছেন: যতোদূর মনে পড়ে, আমাদের সময়ে কোন এক বাংলা টেক্সটবুকে ইবনে বতুতাকে নিয়ে একটা আর্টিকেল ছিল সম্ভবতঃ। জিব্রালটার প্রণালীর ওইপাড়ে স্পেন, কাজেই মরোক্কোর উত্তরাঞ্চলে স্পেনিশ ভাষার প্রচলন আছে। মরোক্কো একটা সময়ে ফ্রেঞ্চ প্রোটেক্টোরেট ছিল, তাই সেখানে ফ্রেঞ্চ ভাষারও প্রচলন আছে। আর আরবী তো ওদেরই ভাষা। কাজেই এই তিনটাই মরোক্কোর উত্তরাঞ্চলে প্রচলিত।

প্রোটেক্টোরেট এর বিষয়ে বলি..........আমাদের প্রতিবেশী ভুটান কিন্তু আনঅফিসিয়ালী একটা ইনডিয়ান প্রোটেক্টোরেট। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আমরাও আনঅফিসিয়ালী একটা ইনডিয়ান প্রোটেক্টোরেটে পরিণত হবো। দেশ সেদিকেই আগাচ্ছে। এই ব্যাপারে আমি বেশ আশাবাদী। আওয়ামী লীগের আমলে ভারত যেই ভুল করেছিল, এবার সেটা আর করবে না, নিশ্চিত থাকেন!!!! ;)

মরক্কো মুসলিম প্রধান দেশ সম্ভবত। সম্ভবতঃ না, ওটা মুসলিম প্রধান দেশই।

জুন আপাকে আজকাল ব্লগে আমার মতোই খুব কম দেখা যায়। মানুষ ছিল, তবে ছবি তোলার সময়ে আমি ফ্রেমে মানুষ না আনার চেষ্টা করি। অনেক সময়ে সেই কারনে একটা স্ন্যাপ নেয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তাই আমার তোলা ছবিতে মানুষের উপস্থিতি কম!!! B-)

১০| ২৩ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৪২

মনিরা সুলতানা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো পোষ্ট।

২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১০:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার পোষ্টে আপনের সাথে মোলাকাতে যারপরনাই খুশী হইলাম!!! পোষ্ট ভালো লাগায় ততোধিক খুশী!!!! :)

১১| ২৩ শে মে, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:৪৮

কোলড বলেছেন: "কুর্দিশ মেয়েরা সাধারনতঃ সুশ্রী চেহারার হয়। আপনার মোলাকাত কুশ্রী একজনের সাথে হওয়াতে সহানুভূতি রইলো। কিন্তু সে আপনার ফোন হারানোর বিষয়ে দায়ী কিভাবে বুঝলাম না" She was a baggage checker at VIE and refugee types tend to be more catholic than the pope. She put me through extra security for 3.4 oz perfume bottle (limit was 3.3 oz) and in the heated argument I misplaced the phone.

"যেখানে ইবনে বতুতাকে সমাহিত করা হয় সেটাতো উনার বাড়ি ছিল না, আপনার বাড়ি বলার কারনটা কি? আর গোটা মরোক্কোর খবর জানি না, তবে তান্জিয়ারের পর্যটন কর্তৃপক্ষের কাজ-কারবারে আমি হতাশ!!!"
That caretaker told me that Ibn Batuta lived last few years of his life in that place.

I didn't see much Tangier but the drive to Chefchouan from Tangier was fun notwithstanding Moroccan police speed trap :)

২৪ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১:৫৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মেয়েদের (সুশ্রী অথবা কুশ্রী) সাথে ঝগড়া করার সময়ে ঠান্ডা মাথায় ঝগড়া করতে হবে। টেম্পার লুজ করলে বিপদ। এই কারনেই আপনার ফোন মিসপ্লেসড হয়েছে!!!! ;)

She put me through extra security for 3.4 oz perfume bottle (limit was 3.3 oz) .1 এর জন্য ঝামেলা!!!ওই মেয়ে মনে হচ্ছে জবের ব্যাপারে ওভার-সিরিয়াস!!! অথবা আপনি যে তাকে পছন্দ করেন নাই, সেটা বুঝতে পেরেছিল। মেয়েদের আবার সিক্সথ সেন্স বেশ শার্প!!! জানেন তো, কানাকে কানা বলা বা ভাবাও নিষেধ!!!! :P

That caretaker told me that Ibn Batuta lived last few years of his life in that place. থাকার জন্য ওটা তো অনেক ছোট ঘর। তাছাড়া থাকতে গেলে টয়লেট, কিচেনও দরকার!!!! ইবনে বতুতা হয়তো আশেপাশে কোথাও থাকতেন। কেয়ারটেকার হয়তো তার ব্রোকেন ইংলিশে ঠিকমতো বোঝাতে পারে নাই।

I didn't see much Tangier but the drive to Chefchouan from Tangier was fun notwithstanding Moroccan police speed trap :) ট্যুরিস্টরা মরোক্কোতে সাধারনতঃ ফেজ, রাবাত, ক্যাসাব্লাঙ্কা, মারাকেশ ইত্যাদি জায়গাতে যায়। আপনি শেফশাওন যাওয়াতে বোঝা যাচ্ছে বেশ এক্সটেন্সিভ ট্রাভেল করেছেন। আপনার বেড়ানোর অভিজ্ঞতা নিয়ে একটা ব্লগ লিখে ফেলেন। আমরাও আপনার সাথে ঘুরে আসি। :)

১২| ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩৫

অপু তানভীর বলেছেন: আমার বাপেরও বদলির চাকরি ছিল এক সময়ে। তবে আমরা কেবল একজায়গা থেকে আরেক জায়গা গেছি। ঘোরাঘুরি জীবনে করি নাই। জীবনে কেবল একবার ঘুরতে গেছি পরিবারের সাথে।

তবে সেই সব পুষিয়ে নিয়েছি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পরে। যদিও সব দেশের ভেতরেই। বিদ্যাশ যাওয়ার টেকাটুকা নাই।

২৪ শে মে, ২০২৫ রাত ১০:১৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার আব্বার অবশ্য বদলির চাকুরি ছিল না। উনাকে প্রচুর ট্যুর করতে হতো। দেশের ভিতরে এবং সময়ে সময়ে বাইরে। আমি দেশের ভিতরের গুলোতে চান্স তো নিতামই, মাঝে মধ্যে বাইরেও; তবে সেটা স্বাভাবিকভাবেই খুব সহজ ছিল না।

দেশে ঘুরেন, ঠিক আছে; তবে চাইলে দেশের বাইরেও আপনে ঘুরতে পারেন। আজকাল কিছু টেকনিক খাটাইলে আশেপাশের দেশ ঘুরতে খুব বেশী ট্যাকাটুকা লাগে না। ইচ্ছাটাই আসল। :)

১৩| ২৫ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:০২

শায়মা বলেছেন: ভাইয়া
ওস্তাদের জিনিসপত্রগুলো দেখলাম কিন্তু এত সুন্দর সব জাহাজ দেখে পরান জুড়াইলো....

২৫ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:৩৩

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমারও পরান জুরাইছিলো.............ওস্তাদ বলে কথা!!!!

তুমি এমন একটা জাহাজের অর্ডার করো। আমরা সব ব্লগার মিলে সেটাতে পার্টি করবো আর বলবো.........এইটা শায়মা, এইটা শায়মার জাহাজ, আর আমরা সবাই এখানে ''পার্ডি'' করছি!!!!! :P

২৫ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:৪০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: তোমার জন্য একটা ভিডিও..............view this link =p~

১৪| ২৫ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:৫১

শায়মা বলেছেন: অর্ডার করে দিলাম। এখন সবাই মিলে চান্দা তোলো। ঐ লাল লাল পালের জাহাজটা লাগবে আমার!!! :)

Pawri Hori Hai......

২৫ শে মে, ২০২৫ রাত ১২:৫৯

ভুয়া মফিজ বলেছেন: এখন সবাই মিলে চান্দা তোলো। ব্যাস, দিলা তো ভেজাল লাগায়ে। এখন চান্দা দিবে কে? তুমিই পেমেন্ট করে ফেলো, একটা না একটা ব্যবস্থা হয়েই যাবে.........মাগার পা্উরি জরুর হোনা চাহিয়ে!!!!!! ;)

লাল পালের ওইটা কিন্তু চাইনিজ জাহাজ। এমন একটা জাহাজেই উনি ওই অন্চলে ভ্রমন করেছিলেন।

১৫| ২৬ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:৫২

জুন বলেছেন: আমাকে নিয়ে লেখা পোস্ট আমার নজরে আসেনি এতদিন :-* মুঝে মার ডালো, মুঝে মার ডালো :((
আমার আব্বারও ছিল প্রচুর ঘুর ঘুর করার চাকরি, পরবর্তীতে স্পাউসেরও একই অবস্থা। আর আমাকে পায় কে! মার্কোপোলো আর ইবনে বতুতা এই দুজনের পথ ধরে আমি হেটে চলি বিম্বিসার পথে :P

আপনি ঠিকি বলেছেন, আগে বাসার পাশে পুকুর পাড় থেকে ঘুরে আসলেও ব্লগে একটা মহাকাব্য রচনা করতাম। এখন এক মহাসাগর থেকে আরেক মহাসাগর ঘুরে আসলেও কিছু লিখতে মন উঠে না :-/

+

২৬ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাকে নিয়ে লেখা পোস্ট আমার নজরে আসেনি এতদিন :-* মুঝে মার ডালো, মুঝে মার ডালো :(( আপনেরে মাইরা দ্বিতীয়বার ইবনে বতুতারে হারাইতে চাই না। গুইনা কন দেখি কতগুলান দেশ ঘুরছেন এই পর্যন্ত? আমার নিজের লিস্টও কিন্তু বিরাট লম্বা। দেখি, আপনের কাছাকাছি পর্যায়ে যাইতে পারি কিনা!!!! :P

আগে বাসার পাশে পুকুর পাড় থেকে ঘুরে আসলেও ব্লগে একটা মহাকাব্য রচনা করতাম। এখন এক মহাসাগর থেকে আরেক মহাসাগর ঘুরে আসলেও কিছু লিখতে মন উঠে না :-/ এইজন্য কে বা কাহারা দায়ী? দুই একটা নাম কন......খাড়ার উপ্রে মার ডালুঙ্গা!!!! :-B

১৬| ২৭ শে মে, ২০২৫ রাত ৩:৩০

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: মরক্কোর ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা নিয়ে হলিউডে অনেক মুভি দেখেছি‌‌। ওইখানে যাওয়া হইছিল নাকি???
তাঁদের খাবার-দাবার, কৃষ্টি-কালচার আর নাইট লাইফ কেমন? এন্টারটেইনমেন্ট কি শুধু হুক্কার মধ্যেই সীমাবদ্ধ?

২৭ শে মে, ২০২৫ দুপুর ২:০৪

ভুয়া মফিজ বলেছেন: ক্যাসাব্ল্যাঙ্কা যাই নাই।

দুইদিনের জন্য শুধু তান্জিয়ারে গিয়েছি, তাতে কৃষ্টি কালচার আর কতো বোঝা যাবে? বুড়াদেরকে হুক্কা খেতে দেখেছি। সিগারেটও ভালোই চলে, তবে নাইট লাইফ নিয়ে আমার যেহেতু তেমন কোন আগ্রহ নাই, তাই ওটা জানা হয় নাই। খাবার-দাবার নিয়ে একটা পোষ্ট দেয়া যায়, মানে যতোটুকু খেয়েছি সেই অনুযায়ী আর কি..........তবে এই পোষ্ট যেহেতু আপনের তেমন একটা পছন্দ হয় নাই, তাই সেটা দিবো কিনা ভাবছি!!!! B-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.