নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বাড়ির কাছে আরশিনগর সেথা পড়শি বসত করে, একঘর পড়শি বসত করে আমি একদিনও না দেখিলাম তারে।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য

মানুষ পথিক বেশে ঘুরছে দেশে দেশে একটু ছায়াতলে থমকে দাঁড়ায়, স্মৃতিটুকু রেখে শুধু একদিন তো চলে যায়।

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিদিন কত খবর আসে যে কাগজের পাতা ভরে...

২২ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:৪৪


পঞ্চগড় সদর উপজেলার পানিমাছপুকুরি এলাকায় তাওহীদ মডেল মাদরাসার এক শিক্ষার্থী (সুমনা)’র রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, এটি স্বাভাবিক মৃত্যু নয়, বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

নিহতের বড় বোন আমেনা খাতুন জানান, কিছুদিন আগে সুমনা কান্নাকাটি করে বলেছিল, ওখানে আর যেতে চায় না। ওরা পড়াশোনা করায় না, শুধু কাজ করায়। ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না।

পরিবারের দাবি, মাদরাসার মুহতামিমের পুত্রবধূ সুমনাকে অতিরিক্ত কাজ করাতেন ও গালিগালাজ করতেন। তার বড় বোনের ধারণা, সুমনাকে ইলেকট্রিক শক দিয়ে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।

নিহতের আরেক বোন জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, মাত্র দুইবার বমি করলেই কেউ মারা যায় না। মরদেহ দেখে মনে হচ্ছিল, সে কয়েক ঘণ্টা আগেই মারা গেছে। এটি কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়।

নিহতের মা অভিযোগ করেন, মাদরাসা কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত না করানোর জন্য তাদের প্রভাবিত করে। তারা বলেছে, মেয়েটা হাফেজা, তার দেহ কাটা হলে অসম্মান হবে। এজন্য আমরা দাফন করি, কিন্তু এখন জানতে চাই, মেয়েটা কীভাবে মারা গেল?

এই যে মেয়েটির মৃত্যু হলো; এটি কি এড়ানো যেত না? মেয়েটা যখন বলল, ওরা পড়াশোনা করায় না, শুধু কাজ করায়। ওরা আমাকে বাঁচতে দেবে না, তখন একটু খোঁজ-খবর নেওয়া গেল না?

দুই
রংপুরে একটি মামলার শুনানিতে অংশ নিতে স্ত্রী আরেফাকে নিয়ে ভ্যান চালিয়ে আদালতে আসেন আনারুল ইসলাম। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা দায়রা জজ আদালত চত্বরের সামনে থেকে ভ্যানটি চুরি হয়ে গেছে। হতাশায় পরে আর শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি। চার সদস্যের সংসারে আয়-রোজগারের একমাত্র ভরসা ছিল ভ্যানটি।

হাউমাউ করে কাঁদতে কাঁদতে আনারুল বলেন, সাত বছর আগোত অনেক কষ্ট করি ১১ শতক জমি কিনছি। তাক গ্রামের এক মানুষ দখল করছে। চেয়ারম্যান মেম্বারোক বিচার দিয়া অনেক চেষ্টা করিও জমি উদ্ধার করিবার পাই নাই। হামাক মারধর করি হাসপাতালত পাঠাইছিল। ওই জন্যে গরু বেঁচে আদালতোত মামলা করছি। আইজ সেই মামলার শুনানি আছলো। ভ্যানটা নিচোত থুইয়া তিনতলাত উঠনো আর নামানো। ইয়ারে ফাকোত দেখি হামার ভ্যানখান নাই। ৮০ হাজার টাকা দিয়া এনজিও থাকি ঋণ নিয়া ভ্যান কিনছি। আইজ আদালতোত থাকি মোর সেই ভ্যানটা চুরি হইল, এ্যালা খামো কী, কেমন করি কিস্তি দিমো?

আনারুলের স্ত্রী আরেফা বেগম বলেন, ভ্যানটা নিচোত থুইয়া তিনতলায় গেছি। অল্প একনা পর (১৫-২০ মিনিট) আসি দেখি ভ্যান নাই। ওই ভ্যানখানে হামার সম্বল। যেকোনো প্রকারে হামাক ভ্যানখান বের করি দেন বাহে। হামরা গরিব মানুষ, ভ্যান না পাইলে কী করি খামো?

অসহায়ত্বের ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠা আনারুল ইসলাম ভাঙা কণ্ঠে জানান, সহায়-সম্বল বলতে বসতভিটা ও ১৩ শতক আবাদি জমি তার। বড় মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সময় ১৩ শতক জমি বন্ধক দেন তিনি। ২০ বছর ধরে রিকশা চালিয়ে সংসার চালান। অনেক কষ্টে ২০১৯ সালে একই এলাকার আফাজ, দুলাল ও আফজালের কাছে বাড়ির পাশে ১১ শতক জমি কিনেন। কিন্তু সেই জমি দখল করে নেন মিলন নামের এক ব্যক্তি। স্থানীয়ভাবে অনেক চেষ্টা করেও জমি উদ্ধার করতে না পারায় আদালতে মামলা করেন। সেই মামলার শুনানিতে হাজির হতে আজ সকাল ৯টায় স্ত্রীকে ভ্যানে বসিয়ে নিজে ভ্যান চালিয়ে আদালতে আসেন তিনি। নিচে রিকশাটি রেখে তৃতীয় তলায় ওঠেন। ওপর থেকে কিছুক্ষণ পর এসে দেখেন নিচে রাখা ভ্যানটি নেই। এখন সংসার, মামলার খরচ আর মানুষের ঋণ পরিশোধ করতে অন্যের সহযোগিতা নেওয়া ছাড়া তার সামনে কোনো বিকল্প উপায় নেই।

এই যে ভ্যানটি চুরি হলো; এটি কি অস্বাভাবিক ঘটনা? হর-হামেশাই তো ঘটে এমন ঘটনা। লোকটি মামলা চালাতে পারছে, ভাড়া দিয়ে আদালতে আসতে পারল না? দেশ চোর-চোট্টায় ভরা। একটি টিস্যুর প্যাকেট চোখের আড়ালে রাখলেও মুহূর্তে চুরি হয়ে যায়, আর সে ভ্যান তালাবদ্ধ না করে ১৫-২০ মিনিটের জন্য অন্য জায়গায় গেছে।

তিন
দুই ব্যক্তি নিজেদের একজনকে সেনাপ্রধানের ‘ম্যাডামের গৃহশিক্ষক’ ও অপরজনকে ‘এমইএস ঠিকাদার’ পরিচয় দিয়ে রাজশাহীতে আসেন। সেখানে তারা স্থানীয় গরু ব্যবসায়ীদের জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান এবং বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক রয়েছে এবং ঈদ উপলক্ষ্যে ভারত থেকে গরু আমদানির জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়া হবে।

তারা দাবি করেন, শুধুমাত্র ‘নির্বাচিত’ ব্যবসায়ীরাই এই সুযোগ পাবেন এবং প্রতি জোড়া গরুর জন্য অগ্রিম ৩৫ হাজার টাকা, আর ১০ হাজার গরু আনার বিনিময়ে ২০ লাখ টাকা দাবি করেন।

যাহোক, তারা লোকজনকে বোকা বানাতে সফল হননি। অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। তবে প্রতারিত হওয়ার অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে আগে। মানুষ এমন মদন যে, যে যা বলল সরল বিশ্বাসে মেনে নেয়। পরে খায় ধরা।

মন্তব্য ৭ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে মে, ২০২৫ রাত ৯:৫১

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: বাংলাদেশের মানুষের বুদ্ধি অনুসারে উন্নতি কম ! :)

২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১০:০২

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: কমনসেন্সের বড় অভাব মানুষের। অনেক অনেক বিপদ সহজে এড়ানো যায়। গোয়ার্তমি করে পরে বাঁশ খায়।

২| ২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:০২

এইচ এন নার্গিস বলেছেন: অনেক বিপদ চার দিকে যা দেখছি ।

২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:৪৩

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: জ্ঞান-বুদ্ধি কাজে লাগাতে হয়।

৩| ২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:২৬

কামাল১৮ বলেছেন: মানুষ যুক্তি দিয়ে বিচার করতে শিখেনি।আবেগ দিয়ে সবকিছু করে।এর পিছনে ধর্মের প্রভাব।ধর্মই আমাদের শিখায়,যুক্তি দিয়ে নয়,বিশ্বাস করে গ্রহন কর।

২২ শে মে, ২০২৫ রাত ১১:৪৪

অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য বলেছেন: এরা ধর্মও ঠিকমতো বোঝে না, আবেগে চলে।

৪| ২৩ শে মে, ২০২৫ ভোর ৫:৪৭

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: এতো বেশী চালাক মানুষ এই দেশে যে কেউ কারো চেয়ে কম না।
কেউ কাউকে সম্মান দেয় না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.