নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

\"শব্দগুচ্ছে হারাতে চাই,শব্দগুচ্ছ আমাকে হারায়\"

বৃষ্টি বিন্দু

তুমি আছো বলে মেঘবীনা ঝরে পড়লো বৃষ্টি, তুমি থাকবে বলে বৃষ্টিময় ভালোলাগা সৃষ্টি

বৃষ্টি বিন্দু › বিস্তারিত পোস্টঃ

"গর্বিতা সম্পদ, সম্পত্তি নয়"

০৯ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:০৫

২০১৯ এর নারী দিবসটি যখন শেষ হয়ে গেলো ঠিক সে সময় আমি বৃষ্টি বিন্দু কিছু অনুভূতি নিয়ে হাজির সামুতে বহুদিন পরে।
একটিমাত্র দিনই যে নারী দিবস হবে ব্যপারটা কি তা? অবশ্যই না। নারী আছে, থাকবে। প্রতিটি দিনে, প্রতিটি মুহূর্তে...

কথা না বাড়িয়ে অনুভূতিটা ব্যক্ত করেই ফেলি।তবে আজ কোন কবিতা নয়, শুধুই কিছু একান্ত অনুভূতির অনুরণন!!!

এক নারী পর্দার আড়ালে নিজেকে আবৃত রাখতেই আনন্দিতা আর এক নারী নিজেকে উন্মুক্ত করতেই উল্লসিতা।

যে নারী স্রষ্টার হুকুমকে ভালোবেসে নিজেকে বোরখা আর নেকাবে আবৃত করলো সেই নারীকে উন্মুক্ত করতে স্বামীই অগ্রগামী, আর যে নারী উন্মুক্ত তাকে আবৃত করতে খুব কম স্বামীই তটস্থ।

যে নারী বোরখায় আবৃতা তার কি সাজগোজের ইচ্ছে থাকতে পারেনা? প্রশ্ন উঠবে- সাজবে! কার জন্য সাজবে? সেতো বোরখা আর নেকাবের অন্তরালে থাকে, তাকে কে দেখবে?
কেন?
সে সুশীল নারী সাজবে নিজের জন্য, আর প্রিয় স্বামীর জন্য!

যদি প্রশ্ন করা হয়-
সাজগোজ কি শুধু অন্য পুরুষকে আকৃষ্ট করার জন্য করতে হয়?
এ প্রশ্নে কেউ কেউ ভদ্রতার মুখোশে এঁটে বলবে- না না তা কেন!
অথচ দেখুন সেই ব্যাক্তির কলব ঠিক বিপরীত কথাই বলছে। তর্ক আর ভদ্রতার খাতিরে কেউ কেউ বলবেন- নিজের জন্যইতো সাজগোজ।
আবার কেউ কেউ নির্দ্বিধায় বলবে- আরে সমাজে চলতে হলে, স্ট্যাটাস মেন্টেইন করতে হলে এসব করতে হয়।

[তবে অনাবৃতা অধিকাংশ নারী অন্যকে (নারী/পুরুষ) আকৃষ্ট করার জন্যই সাজগোজ করে। আর আবৃতা! তাদের মধ্যেও কিছু বিভিন্নতা রয়েছে। কেউ কেউ এই পর্দাকেই আকৃষ্ট করার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করেন। আবার কেউ কেউ পর্দা করলেও মন থেকে পর্দার প্রকৃত অর্থ বিলুপ্ত হয়। তবে এটাও ঠিক যে বয়সের নানা অলিগলিতে মেয়ে হিসেবে সাজের প্রাকৃতিক ইচ্ছেটা হতেই পারে, এটাই স্বাভাবিক। যারা বয়সের আকাঙ্ক্ষাকে বলি দিয়ে আবৃত থাকতে পছন্দ করেন তাদের জন্য আল্লাহ উত্তম প্রতিদান রেখেছেন, সুতরাং এখানে আমার আপনার বলার কিছুই নেই। আর যে নারী পর্দাপ্রথাকে পছন্দ করে, কিন্তু নিজেকে সাজাতেও পছন্দ করে তাকে বলবো তার সাজ যেন এমন হয় যা অন্যকে আকৃষ্ট করার মতো না হয়। কারণ কেউ এতো সহজে এ পথে নিজেকে সহনশীল করতে পারে না। তাই তাকে সময় দিতে হবে আর আল্লাহর রহমত যেন বিস্তারিত হয় সেই দোয়া করছি]

যাইহোক আমাদের অধিকাংশ অনাবৃত নারী কি বলবে?
বলবে- নিজেকে দেখাবোনাতো কি করবো? প্রশংসাইতো সব। অন্য পুরুষের প্রশংসায় বুঝা যায় আমার দাম কতোটা!!!

হায়রে বোকা মেয়ে! তুমি জানো না, ঐসব পুরুষ শুধু তোমাকে চোখ দিয়ে রেপ করবে কিন্তু তোমাকে সম্মান করবেনা। তোমার সামনে প্রশংসার ঝুড়ি খুলে মুখে ফেনা উঠাবে, কিন্তু নিজেদের আড্ডাবাজীতে তোমাকে কি নামে ডাকে জানো?

দু:খজনক হলো- কিছু মেয়ে এই নোংরামো স্বভাবেই বেশি প্রাণবন্ত। এটাই তাদের জীবন রসনা। পুরুষের প্রশংসা বাক্যবীণা তারা উশকোখুশকো।

২০১০ এর ঘটনা:
ছেলেটি মেয়ে পটাতে ওস্তাদ এবং তার টার্গেট বিছানা। প্রতিবারই সে সফল। কিন্তু একসময় বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়। যেসব মেয়ের কথা বলা হয় তাদের সাথে অলরেডি তার বাসর হয়ে গেছে, এখন?
ভাবলো ফেবুতে খুজি, পেতেও পারি ভালো কোন মেয়ে। কয়েকজন থেকে বাছাই করলো, দেখা করে মন তার বিষিয়ে উঠলো। এ কেমন পোষাক পরেছে মেয়ে? এ কেমন গায়ে পড়া স্বভাব! এ কিভাবে আমার স্ত্রী হয়? এও কি আমারই মতো বিছানায় গেছে? সন্দিহান হয়ে উঠলো সতীত্ব নিয়ে। বিয়েই করতে চাইলো না।

জীবনের সফল প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রে সে বিফল হতে শুরু করলো। দামি গাড়ি হাঁকিয়ে চলা, দেশ-বিদেশে বিজনেস করা ছেলে এখন ভাইয়ের দয়ায় চলছে।
দীর্ঘদিন পর বহু কষ্ট হজমের পর, অনুশোচনার পর হয়তো আল্লাহ্‌ তাকে আর একটি সুযোগ দিলেন শোধরানোর। পারিবারিকভাবে সে বিয়ে করলো এমন এক মেয়েকে যার আসলেই অতটা অনাবৃত হবার সৎ সাহস নেই।
অনেকেই বলবেন- খোঁজ নিয়ে দেখুন এই মেয়েও দশ ঘাটের জল খাওয়া। হতেও পারে, তবে না হবার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ অসৎ নারীর চেহারা আর মুখ থেকে অসাধুতার দূর্গন্ধই বেশি ঝরে।

দু:খ হয় সেইসব পুরুষদের জন্য যারা আবৃতা সংগীকে সাথী হিসেবে পেয়েও লোলুপ দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে অনাবৃতার অন্তরালবর্তী জংঘায়। ভালো লাগেনা বোরখায় আবৃতা স্ত্রীর সাজগোজ, অন্তরে পোষণ করে স্ত্রীকে বোরখাহীন তথাকথিত আধুনিকা হিসেবে উপস্থিত করার। আবার কারো কারো মানষিক অত্যাচারে তটস্থ, পর্দা করা স্ত্রী একসময় পর্দা ছেড়ে সেই রংমাখা মেয়েগুলোর দলেই শামিল হয়, আর স্বামী পায় অনাবিল আনন্দ।

দূর্ভাগা স্বামী ভাবেনা- আমি কতো সৌভাগ্যবান যে, আমার স্ত্রী শুধু আমারই সম্পদ, কারো সম্পত্তি নয়...

মন্তব্য ১৪ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১২:৩৫

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: এ ধরনের মানসিকতার অবসান ঘটবে কবে?

০৯ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:৩৬

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: ধন্যবাদ প্রথম মন্তব্যকারী ব্লগার মাহমুদুর রহমানকে...

এই মানসিকতার অবসান সহজে হবে না। আদৌ হবে কিনা সন্দেহ আছে। তবে আমরা দোয়া করতে পারি আল্লাহ আমাদের সহায় হউন, হিদায়াত দান করুন। এবং এই চেতনায় উদ্দীপ্ত করতে আমাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে, যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে, বাকিটা আল্লাহই ভালো বুঝবেন...

২| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:০৬

কথার ফুলঝুরি! বলেছেন: অনেকদিন পর বৃষ্টি বিন্দু আপু সাথে মনের মতো একটি লেখা পেয়ে অনেক ভালো লাগলো।

চার নম্বর এবং শেষের লাইনটা, দুটি দামী কথা বলেছেন আপু। তবে বিষয়টি খুব গভীর ভাবনার ও উপলব্ধির। এতটা গভীরে গিয়ে উপলব্ধি করার মতো ক্ষমতা সবার থাকেনা আর যাদের থাকে তারা নিঃসন্দেহে সৌভাগ্যবান ও সৌভাগ্যবতী।

০৯ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:০৪

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: ধন্যবাদ আমার প্রিয় কথাপুটা।
আশা আর দোয়া করছি প্রত্যেকেই সেই সৌভাগ্যের ছোঁয়ায় প্রোজ্জ্বলিত হোক।

৩| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ১:৪৭

মুক্তা নীল বলেছেন: আপা, অনুভূতির অনুরণন বলছেন কেন --- আপনি যা বলেছেন প্রতিটি কথার অপর পিঠে যুক্তিসঙ্গতিপূর্ণ।
লেখাগুলো পড়ে কি-যে ভালো লাগছে সত্যিই অসাধারণ।

০৯ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:২৫

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: নীল আপা,
যুক্তিগত কথাতো অবশ্যই।
এখানে অনুরণন বলতে আমি যে এই অনুভূতি অনুভব করে ভয়ে কেঁপে উঠি, যা এক ধরনের কম্পন সৃষ্টি করে সেটাকে বুঝিয়েছি।

আপনার ভালো লাগা আমাকে দিলো অপার ভালো লাগা...

৪| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:২১

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে আজও নারী স্বাধীন নয়।
একটা মাস্টার্স পাশ করা মেয়ে আজও কোথাও ইন্টারভিউ দিতে গেলে, একা যেতে সাহস পায় না।

০৯ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৩২

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: ধন্যবাদ রাজীব ভাই।।

এর পিছনের প্রধান কারণ ধর্মীয় মুল্যবোধ এর অভাব।
সচেতনতার অভাব।
আত্মসম্মানবোধ এর অভাব।
দোয়া করি প্রতিটা মেয়ের ভিতর নিজস্বতার বোমাটা বুম করে ফাটুক...
পারিবারিক সুশিক্ষার প্রসার হউক...

৫| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৯:২৮

আকতার আর হোসাইন বলেছেন: বাহ, সুন্দর মতো গুছিয়ে লিখেছেন। এই ধরণের পুরুষদের মুখে এক দলা থু...

১০ ই মার্চ, ২০১৯ সকাল ৭:৫৬

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: ধন্যবাদ,
কিন্তু থুতু দিলেতো কোন সমাধান আসবে না...
আল্লাহ সবাইকে হিদায়াত দান করুন, আমিন

৬| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ১:৫৭

নীল আকাশ বলেছেন: আপনার লেখা আমি আজ প্রথম পড়লাম। কেন যে আগে চোখে পড়েনি...............

শুনুন এবং জেনে রাখুন:
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- নারীকে চার কারণে বিবাহ করা হয় (১) তার সম্পদের কারণে। (২) তার বংশ মর্যাদার কারণে। (৩) তার সৌন্দর্যের কারণে এবং (৪) তার ধর্মের কারণে। সুতরাং তুমি ধার্মিক নারী লাভ করে কামিয়াব হও। যদি অন্য নারী চাও, তোমাদের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক অর্থাৎ- তুমি ধ্বংস হও। [দেখুনঃ বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ]

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন-গোটা দুনিয়াই হলো সম্পদ, আর দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ সম্পদ হলো নেককার স্ত্রী। (দেখুনঃ মুসলিম শরীফ, মেশকাত শরীফ) কারণ নেক স্ত্রী আখেরাতের ব্যাপারে সাহায্যকারী হয়। তাই বিবাহের সময় দেখতে হবে নেককার কি না।

যদি কোন লানত প্রাপ্ত পুরুষ স্বেচ্ছায় নিজের স্ত্রীকে আল্লাহর হুকুম অমান্য করে পর্দা প্রথার বাইরে নিয়ে আসে তবে তার জন্য নির্দিস্ট হয়ে গেছে কঠিনতম শাস্তি। আর যেসব মেয়েরা আল্লাহর হুকুম অমান্য করে পর্দা প্রথার বাইরে এসে নিজের রূপ লাবন্য গায়ের মাহরামদের দেখিয়ে বেড়াবে তাদের জন্যও নির্দিস্ট হয়ে গেছে কঠিনতম শাস্তি।

প্রত্যেকেই তার কৃতকর্মের জন্য উপযুক্ত পুরষ্কার দেয়া হবে, এবং সেই দিন খুব বেশি দুরে নয়..........

আমরা যেন জেনেও বার বার ভুলি যাই, আমরা ঢেকে রাখা খাদ্য দ্রব্য সব সময় নিরাপদ মনে করি। কারণ তার ভিতরটা জীবাণু মুক্ত থাকে। আর খোলা জিনিসে মশা, মাছি আর পোকামাকড় এসে ভীড় করে।

দোকানে ঢুকে কিছু কিনতে চাইলে সবাই দোকানের স্যাম্পলটা নেড়েচেড়ে ভালোভাবে দেখে নেয়, কেনার সময় কিন্তু নেয় কিন্তু শোকেসের ভিতরের ইন্ট্যাক্ট প্যাকেট। বতর্মানে এইসব মেয়েরা সবাই ইন্ট্যাক্ট প্যাকেট থেকে বের হয়ে এসে স্যাম্পল হবার প্রতিযোগিতায় নেমে গেছে....

সময় থাকলে এটা পড়ার জন্য অনুরোধ রেখে গেলাম। তোমার স্ত্রী, তোমার অনুপমা সঙ্গী!

চমৎকার বিষয়ের উপর লেখার জন্য আবারও ধন্যবাদ।
শুভ কামনা রইল!

১০ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৪

বৃষ্টি বিন্দু বলেছেন: শুকরিয়া আপা,
এতো সুন্দর করে বিষয়টি উপস্থাপনের জন্য।

জাজাক আল্লাহ...

৭| ০৯ ই মার্চ, ২০১৯ রাত ৮:১৯

আরোগ্য বলেছেন: চমৎকার পোস্ট আপু। গতকালই পড়েছি কিন্তু লগআউট ছিলাম তাই মন্তব্য করতে পারিনি।

৮| ১০ ই মার্চ, ২০১৯ দুপুর ২:৫৮

নীল আকাশ বলেছেন: হায় আল্লাহ? আপনি আমাকে আপু বানিয়ে দিলেন? কিভাবে মনে হলো আমি আপু, ভাইয়া না? বলুন তো?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.