![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সহজ সরল, সত্য স্বীকারোক্তিতে বিশ্বাসী। বর্তমানে আনন্দ খুঁজে নিয়ে সামনের দিনে এগিয়ে যাই।
এই কবিতাটি ,আমাকে নিয়ে আমার জীবনের প্রথম শিক্ষক এর লেখা । আর আমি ছিলাম তার জীবনের প্রথম ছাত্রী
আজ হঠাৎ পুরনো জিনিস ঘাটতে ঘাটতে পেয়ে গেলাম। আম্মু খুব যত্ন করে এটা রেখে দিয়েছিল
"আমার ছাত্রী"
- সৈয়দ আব্দুর রউফ (রব)
ফারহানা আক্তার বৃষ্টি
ভালবাসে মিষ্টি
আছে একটা শখ তার
বড় হয়ে হবে ব্যারিস্টার।
মন যেদিন ভাল থাকে
কথার পিঠে কথা বলে ।
সভ্যতার যাত্রী ,
আমার এই ছাত্রী।
সবাই যত আদর করে
সে তত বায়না ধরে।
বাসায় আসলে শিক্ষাগুরু
সে করে কান্না শুরু।
একটু জোরে বুঝাতে গেলে
সে বলে ধমক দিলে?
পড়তে সে চায়না
আমার কথা শুনেনা।
ঘন্টার মধ্যে সাতবার
পানির পিপাসা লাগে তার।
সামান্য একটু কিছু হলে
এঘর থেকে ওঘরে যায় চলে।
আমি কিছু বলতে গেলে
আমার কান ধরে দেয় টেনে
সব মিলিয়ে সে বড় ব্যস্ত
গল্প শুনালে থাকে খুব শান্ত।
এক হতাশায় সবাই ভোগে
কবে মেয়েটির বুদ্ধি হবে।
যখন সে বড় হবে
সব কিছু ভুলে যাবে।
কিন্তু আমার স্মৃতি থেকে
হারাবেনা কোন কালে।
~~~~~~~~~~~~~~~
ছেলেবেলায় খুব দুষ্ট ছিলাম আমি । পড়ালেখা আমার কখনোই ভাল লাগতো না । কিন্তু সবার তখন আশা ছিল আমি বড় হয়ে ব্যারিস্টার হব
সবার এত্ত বেশি আদরের ছিলাম যে কেউ কখনো কিছুতে আমাকে জোর করতো না, কিছু বলতো না।আর এর পেছনে আম্মা-পাপা'র (আন্টি-আংকেল) হাত ছিল বেশি । মূলত তাদের জন্যই পরিবারের কেউ আমাকে কিছু বলতো না
সেই ছেলেবেলায় স্কুলে ভর্তি হওয়ার আগে আমার জন্য একজন স্যার রাখা হয়।
আমি বাসায় আম্মুর কাছে পড়তে বসতাম না ,দুষ্টুমি করতাম , তাই সবাই ভাবলো যদি স্যারকে ভয় করে অ,আ টা শেখা হয় ।
কিন্তু আমি এতটাই দুষ্ট ছিলাম যে সেই স্যারকেও আমি ভয় করলাম না, তার সাথেও করেছিলাম অনেক দুষ্টুমি, স্যার বাসায় আসলেই আমার কান্নাকাটি শুরু হত, পড়তে বসলেই আমার পানির পিপাসা লাগতো,স্যার কখনো জরে কথা বললেই আমি তার সামনে থেকে কান্না করে উঠে গিয়ে ভেতরের রুমে বসে থাকতাম, আমাকে ধমক দিয়েছিল বলে একদিন স্যারের কান ও আমি মলে দিয়েছিলাম
স্যার আমাকে খুব আদর করতেন ।আমারো তাকে সেইরাম পছন্দ ছিল । ছোটবেলা থেকে গল্প শুনতে আমি খুব পছন্দ করতাম । তিনি আমাকে পড়ার জন্য বশ করতেন গল্প শুনিয়ে
পরে সে আমাকে পড়ানো বাদ দিল,কারণ বলেছিল আম্মুকে যে আমি তাকে ভয় পাচ্ছিনা আর।
যার দরুন আমার পড়ালেখা তার কাছে ভাল হবেনা
তিনি কোথায় আছেন , কি করছেন কিছুই জানিনা আর তিনিও জানেন না আমদের ঠিকানা ।
কিন্তু তাকে আমি ভুলিনি । প্রায় ভাবি যদি তার খোঁজ পেতাম , কোথাও দেখা হয়ে যেত।
এই আমাকে এক্ষণ দেখলে সে অবাক হত ।
০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১২:২২
বৃষ্টি'র জল বলেছেন: কতখানি সুখ পাই তা বুঝিনা, কিন্তু আমি আর তেমনটি নেই ভেবে দুঃখ হয় । কষ্ট হয় আমার শিক্ষাগুরুর সাথে আর কখনই কোথাও কোন দেখা হলনা,হবেনা ভেবে।
ধন্যবাদ আপনার মন্ত্যবের জন্য
২| ০২ রা মে, ২০১৪ রাত ১২:৩১
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: দারুন স্মৃতিচারণ।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা মে, ২০১৪ রাত ৯:২৬
নাসীমুল বারী বলেছেন: ধন্যবাদ ভিন্নধর্মী লেখাটার জন্যে।
না, আমি সেই স্যারের সন্ধান দিতে মন্তব্য লিখছি না। লেখাটায় কালের ক্যানভাসে একটি চঞ্চলা দুষ্টু মেয়ের যে চরিত্রটি আঁকা, ছন্দ-মাত্রায় সমস্যা থাকলেও মনের আন্তরিকতায় কোনো খাঁদ ছিল না। স্মরণের জানালায় দাঁড়িয়ে এমন লেখা পড়ার মাঝে প্রচণ্ড আবেগ তৈরি করে। সে আবেগ ক্ষণিকের জন্য হলেও সুখ দেয়।