![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
লডু খেলা একসময় প্রিয় ছিলো। অফলাইনে প্রচুর লুডু খেলেছি সেই স্কুল জীবনে। অফলাইনে বললাম কারণ এখন প্রকাশটা সে ভাবেই হচ্ছে। এটা হয়ত অনলাইন শব্দের ব্যাপক ব্যবহারের জন্য। অনলাইন শব্দের সাথে মিলিয়ে বাস্তবের কাজগুলো আমরা এখন অফলাইন হিসাবেই চিনছি।
সে সময় একাধিক সঙ্গী এক সাথে হওয়া মানেই লুডু খুলে বসে পড়া।সকাল, বিকেল কিংবা রাত খেলা নিয়ে কোন সময় জ্ঞান ছিলো না তখন। ইদানিং অবশ্য লুডু খেলাও অনলাইনে চলে এসেছে, এখানে অফলাইন শব্দটার প্রয়োগ আরো সেকারণেই প্রাধান্য পেয়েছে।
চারজনের খেলা হলে জমজমাট খেলা হয়। ছক্কা পড়ে যে খেলার শুরু তা চলতে থাকে চারটি গুটি পাকা ঘরে না যাওয়া পর্যন্ত। এর মধ্যে রয়েছে তুমুল প্রতিযোগিতা,প্রতিবন্ধকতা। পাশাপাশি চলা, রয়েছে সংঘর্ষে আবার নিজ ঘরে এসে বসে থাকা।
চারজনের ১৬টা গুটি নিয়ে এই সৌরজগত চলতে থাকে। এখানে অবশ্য সৌরজগতের কোন নিয়ম মানা হয় না। এখানে প্রতিযোগিতা হয় কে কার আগে পাকা ঘরে পৌঁছাতে পারে। খেলোয়াড় নিজের গুটিগুলোকে আপন সন্তানের মত অতিযত্নে,সতর্কতার সাথে পাকা ঘরে পৌঁছে দিতে সদা সচেষ্ট।
একজন আরেকজনের গুটিকে অতিক্রম করে যাওয়ার প্রচেষ্টা থাকে সবসময়। এক্ষেত্রে আবার সংঘর্ষে কেউ রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ে। তারপর আবার নতুন ভাবে নিজ ঘর থেকে শুরু হয় যাত্রা।
আমাদের জীবনটাও কি কিছুটা লুডু খেলার মত!!!
জন্ম থেকে শুরু হয় প্রতিযোগিতা। আশেপাশে সমসাময়িক জন্মগ্রহন করা কিংবা পরিচিত একই বয়সী বাচ্চাদের মাঝে চলে প্রতিযোগিতা। স্কুল-কলেজ তুমুল প্রতিযোগীতায় জীবন চলে। লুডু খেলার মত খেলোয়াড়ের ভূমিকায় থাকা অভিভাবকরা নিজ নিজ সন্তানদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সচেষ্ট থাকেন। পরিচালিত করেন অতি সতর্কতার সাথে। এরমাঝেই কেউ তার সন্তানকে আগে কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে পারেন কেউ বা দেরিতে, আবার অনেকে পারেন না।
দীর্ঘ এই খেলায় অনেকে মাঝ পথে ছিটকে পড়েন অন্যকারো আঘাতে কিংবা অসতর্কতায়।কেউ আবার নতুন করে শুরু করে লড়াই কেউ বা হারিয়ে যায় সেখান থেকেই,চিরতরে।
লুডু খেলায় নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকে, জীবনে সেটা থাকে না।
পাকা ঘরে পৌঁছাতে পারলেই লুডু খেলা শেষ হয় কিন্তু বাস্তব জীবনে!
এখানে লক্ষ্যের প্রকারভেদ থাকে।
জীবনের প্রথম দিকে লক্ষ্য থাকে ভালো কোথাও পড়াশুনা করা, ক্লাসে ১ম হওয়া,ভালো রেজাল্ট করা ইত্যাদি।পড়াশুনার শেষ পর্যন্ত এই লক্ষ ছাড়া অন্যকিছু মাথায় নেওয়ার সুযোগ কই!
লুডু খেলায় খেলোয়াড় তার গুটিদের পাক ঘরে পৌঁছাতে পারলেই স্বস্তি পান কিন্তু সন্তানদের শিক্ষাজীবন শেষ করে দিয়েও অভিভাবক স্বস্তি পান না।
পার্থক্য যখন এই তখন কিছুটা মিলও রয়েছে।
পাকা ঘরে গিয়ে গুটিগুলো বসে থাকে বেকার আর ছাত্রত্ব শেষ করেও অধিকাংশ জীবন কাটে বেকারত্বে।
২| ২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ২:৫৩
বৃত্ত হাবিব বলেছেন: ধন্যবাদ।
জীবনেও সঠিক চাল না দিলে ধরা পড়তে হয়।
©somewhere in net ltd.
১|
২২ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১:৩৩
চাঁদগাজী বলেছেন:
ব্লগে স্বাগতম।
জীবন কি লুডুর মতোই; লুডুতে জয়ের জন্য সঠিক চাল দিতে হয়।